সেতুমন্ত্রী
বিএনপি নির্বাচনে যেতে ভয় পায়, তাই পথ হারিয়ে তারা পদযাত্রা করছে: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচনে যেতে ভয় পায়। তাই পথ হারিয়ে তারা পদযাত্রা করে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনে জনগণ না থাকলে সেটা আন্দোলন নয়। আন্দোলনে মানুষ থাকতে হবে। তাদের আন্দোলনে নেতাকর্মীরা আছে, সাধারণ জনগণ নেই। কারণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জন সারা দুনিয়ায় সমাদৃত।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরভার বঙ্গবন্ধু চত্বরে উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধন ও মোশাররফ-ফজিলাতুন্নিছা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা রাজনীতিকে ভালো মানুষের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি: সেতুমন্ত্রী
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের জন্য নির্ঘুম রাত কাটান। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের কোনও দোষ নেই। বরং আমরা বেশি টাকায় আমদানি করে কম টাকায় বিক্রি করছি। আমরা মূল্য দিচ্ছি। দোষ বড় বড় শক্তির। তারাই আজকে সারা বিশ্বকে সংকটে ফেলেছে। শেখ হাসিনা সংকট সামাল দিচ্ছেন।
এছাড়া কয়েকদিন আগে আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে এবং বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
পাকিস্তানে দুই সপ্তাহের আমদানি করার ডলার নেই। পাকিস্তান তলানিতে নেমেছে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে না। বাংলাদেশ দুঃসময়ে শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছে।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা কর্মীদের থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দেয়, তারা ভালো মানুষ না। নেতা হয়ে গরিবের থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দিলে ওই টাকা তার পরিশোধ করতে ১০ বছর লেগে যাবে। এই কথাটা ভেবে দেখবেন সবাই। সরকারের দুর্নাম হয় এমন কাজ করবেন না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ২ মানুষের মৃত্যু নেই: সেতুমন্ত্রী
তিনি বলেন, মানুষের মনের ভাষা, চোখের ভাষা বুঝতে হবে। বুঝতে না পারলে, ভুল করবেন। নির্বাচনে তার প্রমাণ পাবেন।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে নির্বাচনে হারানোর কোনও শক্তি বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশ গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চায় মানুষ।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি মোশারফ-ফজিলাতুন্নিছা ফাউন্ডেশন বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪০৯ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি প্রদান করেন এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত কার্যালয় ও উপজেলার ২৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
বাংলাদেশে ২ মানুষের মৃত্যু নেই: সেতুমন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে দু’জন মানুষের মৃত্যু নেই। একজন হলেন শেখ মুজিব, যিনি স্বাধীনতা দিয়েছেন। আরেকজন হলেন শেখ হাসিনা, যিনি দেশের অর্থনীতির রূপকার।
তিনি বলেন, তিনি দেশকে বদলে দিয়েছেন। এছাড়া সুনামগঞ্জ শহর একসময় গ্রামীণ বাজার ছিল। এখন সেই দৃশ্য আর নেই।
শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ শহরের জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দীর্ঘ সাত বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা রাজনীতিকে ভালো মানুষের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি: সেতুমন্ত্রী
তিনি বলেন, হিংসা করে কোন লাভ নেই। বিএনপি’র জ্বালা শুধু বাড়ছেই। পদ্মা সেতুর জ্বালা, মেট্রোরেলের জ্বালা, ফ্লাইওভার, ট্যানেল, একদিনে একশ’ সেতু উদ্বোধনের জ্বালা।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র গণ অভ্যুত্থান গেল কোথায়? ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন হাক ডাক আর নেই। আর কত লালকার্ড দেখাবেন। বিএনপি’র গনতন্ত্র গোপালগঞ্জের গরুর হাটে গিয়ে আহত হয়েছে। আমরা ডাকি সমাবেশ হয়ে যায় মহাসমাবেশ। বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ হয়ে যায় সমাবেশ।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন রাস্তায় দাঁড়াতে দেয়নি আমাদের। ১৪৪ ধারা জারি করা হতো। অফিসের সামনে সমাবেশ করতে পারিনি। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করে এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করা হয়েছিল। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
এছাড়া পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দেশ। দুর্নীতিবাজদের মুখে গণতন্ত্র মানে ভুতের মুখে রাম। আমাদেরকে পালানোর ভয় দেখায়! আ’লীগ পালানোর দল নয়। সাহস থাকলে রাজপথে মোকাবিলা করুন। খেলা হবে। আগামী খেলা হবে ফাইনাল খেলা।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি: ওবায়দুল কাদের
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনেক রাস্তা হচ্ছে, সেতু হচ্ছে, কিন্তু শৃঙ্খলা না থাকলে সাফল্য ধরে রাখতে পারবো না। এজন্য সড়ক ও পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসিদের সঙ্গে সংলাপের পর সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন। তিনদিনব্যাপী জেলাপ্রশাসক সম্মেলনের আজ ছিল দ্বিতীয়দিন।
ওবায়দুর কাদের বলেন, আমি ডিসিদের বলেছি, সরকারের যেসব উন্নয়নমূলক অবকাঠামো হয়েছে। যেমন–পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, শতসেতু, শতরাস্তা, ওভারপাস, ফ্লাইওভার, এগুলো দৃশ্যমান। এগুলো নিয়ে সময় নষ্ট করতে চাই না। এগুলো সবাই দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলে আরও বেশি করে সবার জানান সুযোগ মিলবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু তাদের বলেছি, আমি এখন আর নতুন কোনো রাস্তা করতে চাই না। আগামী নির্বাচনের আগে নতুন করে কোনো রাস্তা হবে না। যে রাস্তাগুলো আছে, সেগুলো মেরামত ও সংরক্ষণ করা আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ।’
আরও পড়ুন: দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিজেরাই সমাধান করবো: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আরেকটি বিষয় বলেছি, মোটরসাইকেলের মতো ছোটো ছোটো যানগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ঢাকা শহরে মোটরসাইকেল অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি, ৯৫ শতাংশ। ঢাকায় একটি মোটরসাইকেলে দুজন থাকলে তাদের মাথায় হেলমেট থাকে, কিন্তু মফস্বলে তিনজন থাকলেও কারও মাথায় হেলমেট থাকে না।
তিনি জানান, আর আমি সচিবকে একটা কথা বলেছি, গরিব মানুষের জীবন যেমন আছে, জীবিকাও আছে। ওদের জীবিকার চাকা তো আমরা বন্ধ করে দিতে পারি না। কাজেই এগুলোকে একটি নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা প্রণয়ন করতে হবে।
কাদের বলেন, ‘ডিসিদের দায়িত্ব হচ্ছে এসব গাড়িগুলো শহরে ও মহাসড়কে যে যানজটের সৃষ্টি করে, দুর্ঘটনার সৃষ্টি করে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দেখা গেল, একটি ইজিবাইক দুর্ঘটনা ঘটলে ১০-১২ জন মারা যান। সেটাও বড় দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার হার কমলেও এতে মৃত্যুর হার কমছে না।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, নসিমন, করিমন এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আমার কথা হচ্ছে, আমি পরিবহন ও সড়কে শৃঙ্খলাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এতে আমি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। অনেক রান্তা হচ্ছে, সেতু হচ্ছে, কিন্তু শৃঙ্খলা না হলে সাফল্য ধরে রাখতে পারবো না। এ ক্ষেত্রে ডিসিদের সহযোগিতা চেয়েছি।
নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা; জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, শৃঙ্খলা বলতে সবকিছুকেই বোঝায়।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি না: কাদের
নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই: ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের
আমরা রাজনীতিকে ভালো মানুষের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভালো মানুষ রাজনীতিতে আসতে চায় না। কারণ আমরা রাজনীতিকে তাদের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি, আকর্ষণীয় করতে পারিনি।
তিনি বলেন, নষ্ট রাজনীতিকরা নষ্ট রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করবে সরকার: সেতুমন্ত্রী
রবিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনের জাতীয় পার্টির (জেপি) ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ছাত্র রাজনীতির সুনামের ধারা হারিয়ে গেছে বলে ওবায়দুল কাদের বলেন, খারাপ লোকদের হাতে রাজনীতি থাকলে দেশটি খারাপ হয়ে যাবে। চরিত্রবানদের রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া ভালো, সৎ ও মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে হবে, না হয় রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে যাবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রকে বাঁচানোর তাগিদ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। বিজয়কে সুসংহত করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে।
এছাড়া তিনি গণতন্ত্রকে বাঁচাতে শক্তিশালী বিরোধীদলের প্রয়োজনীয়তাকে জোর দেন তার বক্তব্যে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশের উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ১৯৭৫ এর হত্যাকাণ্ড বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। চার নেতার হত্যার মাধ্যমে রাজনৈতিক দেয়াল তৈরি হওয়া শুরু হলো, রাজনীতিতে সে দুরত্ব ঘোচাতে সেতু নির্মাণ করতে ব্যর্থ।
তিনি সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তার বক্তব্যে।
জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সম্মেলন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির ১০ দফা দাবির মধ্যে নতুন কিছু নেই, সব পুরনো কথা।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামের সামনের মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি তার রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর সব অচল করে দেয়ার ছক এঁকে বিএনপি এখন নিজেরাই অচল হয়ে গেছে। বিএনপির সংসদ সদস্যরা চলে গেলেন, এভাবে বয়কট করা বড় ভুল, অচিরেই তারা বুঝতে পারবেন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, নির্বাচন চালনায় নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনের মূলশক্তি। সরকার শুধু সহযোগিতা করবে।
বিএনপির মতো আওয়ামী লীগেরও দাবি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন বলেও তিনি জানান।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দীন আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলনের ২য় অধিবেশন সর্বসম্মতিক্রমে মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও মফিজুর রহমানকে সাধারণ করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন মাহবুব উল আলম হানিফ।
আরও পড়ুন: সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: ভেন্যু সমস্যার সমাধানে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জায়গা নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে সেটা সমাধান হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার বার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশস্থল নিয়ে একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। তা এখনও সমঝোতা হয়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর যানজট নিরসনে সাবওয়ে নির্মাণের বিকল্প নেই: সেতুমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবসময় আশাবাদী, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, একটা সমাধান বের হবে।’
তিনি বলেন, জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। দলের পক্ষ থেকে আমি বলতে চাই, আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা কেন দেশে অশান্তি চাইব?
কেন আমরা এমন কিছু করব যা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে? আমাদের এটির দরকার নেই।
তিনি বলেন, ‘এখন যদি কেউ আমাদের ওপর হামলা করে, কোনো প্ররোচনা দেয়, আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আমরা কি নির্বিকার বসে থাকব? এছাড়া আমরা আশা করি বিরোধীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সমাবেশ করবে।’
ভারতীয় হাইকমিশনারের সফরের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক যোগাযোগের আওতায় অনেক প্রকল্প রয়েছে এবং প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তিস্তা ইস্যু নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি।
তিস্তা ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করবেন (এটি সমাধানে)।
২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
এছাড়া ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শেষ জনসভা করে বিভাগীয় কর্মসূচি শেষ করবে দলটি।
ঢাকায় পুলিশ বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বললেও বিএনপি ঢাকায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে বদ্ধপরিকর।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে। সংবিধানে এ ধরনের কোনো বিধান না থাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই দাবি তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
বিএনপির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির নেতাদের ইঙ্গিত করে বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে খেলা হবে আন্দোলনে ও নির্বাচনে, তাদের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ।
তিনি বলেন, এখনই শুরু হয়ে গেছে মনোনয়ন বাণিজ্য। কাকে কাকে মনোনয়ন দিবে। মনোনয়নের কথা বলে বস্তায় বস্তায় টাকা নিচ্ছেন। তারেক জিয়া বস্তায় বস্তায় টাকা সুইস ব্যাংকে পাঠিয়েছেন। তাদের এই বাণিজ্যের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করবে সরকার: সেতুমন্ত্রী
দীর্ঘ আট বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন। এই জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষা করতে আইন সংশোধন করেছিল।
এছাড়া ১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড হলো জিয়াউর রহমান, আর ২১ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড হলো তারেক রহমান।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
তিনি বলেন, জিয়া মোশতাক ফারুক রশিদ বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত। তারা ছিল পাকিস্তানের এজেন্ট। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পাকিস্থান বানাতে চেয়েছিল কিন্তু এদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।
তিনি বলেন, ২১ আগস্ট হামলার নায়ক ছিল তারেক রহমান। তারেক বাংলাদেশে আসতে চায়। আমরাও চাই আসুক। তাকে ৩৭ বছর সাজা খাটার ব্যবস্থা করব। তারেক রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে।
এছাড়া বিএনপি খুনী ও সন্ত্রাসের দল। তাদেরকে বিশ্বাস করবেন না।
আরও পড়ুন: কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি'র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও পূর্নবাসন সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান এমপি, এ্যারোমা দত্ত এমপি প্রমুখ।
এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের এমপি ক্যাপ্টেন (অবসর) তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের এমপি ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের এমপি এবাদুল করিম বুলবুল।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।
সম্মেলন শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে পুনরায় র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও সেক্রেটারি হিসেবে পুনরায় আল মামুন সরকারের নাম ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
আরও পড়ুন: রাজধানীর যানজট নিরসনে সাবওয়ে নির্মাণের বিকল্প নেই: সেতুমন্ত্রী
কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই এই সেতুর নামকরণ করা হয়েছে ‘মধুমতী সেতু’ বলে জানিয়েছেন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনায় মধুমতি নদীর ওপর ৯৫৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬৯০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি পরিদর্শনকালে এসব কথা জানান তিনি।
তিনি জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে পদ্মা সেতুর সুফল পৌঁছে দিবে মধুমতি সেতু। এছাড়া গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনায় মধুমতি নদীর ওপর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বহু প্রতীক্ষিত সেতু নির্মিত হয়েছে। সেতুটি নির্মাণের মধ্যেদিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। এছাড়া সেতুর কাজ জুলাই মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। যথাসময়ই শেষ হয়েছে। কালনা সেতু যত ছোট হোক না কেন এর উল্লেখযোগ্য দিক রয়েছে। এটা হলো পদ্মা সেতুর মিসিং লিংক। কাজেই পদ্মা সেতুর সব সুফল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হলে এ সেতু নির্মাণের কোন বিকল্প ছিল না। একইসঙ্গে নড়াইলবাসীর জন্য সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নড়াইল থেকে যশোর, বেনাপোল, মাগুরা, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের যোগাযোগ সহজ হবে। ফলে গোটা অঞ্চল উপকৃত হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করবে সরকার: সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুর কাদের বলেন, ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। এখনও বড় অঞ্চলটি আমরা কানেক্ট করতে পারিনি। এ সেতুটির উদ্বোধনের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে প্রধামন্ত্রীকে একটি সামারি পাঠানো হয়েছে। আমি নিজেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি সেতুটির নামকরণ করেছেন ‘মধুমতি সেতু’। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে তিনি উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করবেন। তবে আক্টোবর মাসেই তিনি সেতুটি উদ্বোধন করবেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্যই-প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য। এ সরকারের আমলে এত বেশি সড়ক সংযোগ হয়েছে, যার নজির অন্য কোথাও নেই। সমতল থেকে পাহাড় পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন হয়েছে।
সম্প্রতি সীমান্তে উত্তেজনা ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টায় মিয়ানমারের কার্যকালাপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্লের উত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সতর্ক ও সংযমী হয়ে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড, র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা সবাই প্রস্তুত আছে। আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করব না। আক্রমণকারী হিসেবে চিহ্নিত হবো না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাই লেটারাল কো-অপারেশন। টেবিলে বসে শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে আমরা সমস্যার সমাধান করব।
প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে তার বক্তব্যে বিষয়টি উত্থাপন করবেন।
মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে মূদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি সংকট ও জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। এর প্রভাব আমাদের ওপরও পড়েছে। আমাদের জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে হয়েছে। তাই এখন যুদ্ধ করার সময় নয়। আমরা শান্তির পক্ষে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সেনাবাহিনী, পুলিশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পরিচালিত হবে, সরকার কেবল রুটিন দ্বায়িত্ব পালন করবেন। বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে পানি ঘোলা করলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে না এসে কোন বিকল্প থাকবে না।
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মতুর্জা, নড়াইল, লোহাগাড়া ও কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন এবং যোগাযোগ ও সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
রাজধানীর যানজট নিরসনে সাবওয়ে নির্মাণের বিকল্প নেই: সেতুমন্ত্রী
কালনা সেতু: টোল হার নির্ধারণ, অপেক্ষা উদ্বোধনের
দেশের প্রথম ছয় লেনের কালনা সেতুর টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সেতুর টোল হার নির্ধারণ করেছে। এক্ষেত্রে বড় ট্রেইলার ৫৬৫ টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সসেল বিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০ টাকা, দুই এক্সসেল বিশিষ্ট মিডিয়াম ট্রাক ২২৫, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার ট্রিলার ও ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, বড় বাসের ক্ষেত্রে ২০৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকাপ, কনভারশনকৃত জিপ ও রে-কার ৯০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫৫ টাকা, অটোটেম্পু, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং রিক্শা, ভ্যান ও বাইসাইকেল পাঁচ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কালনা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান বলেছেন, ‘সেতুটির নির্মাণকাজ ৩০ আগস্ট শেষ হয়েছে, তবে প্রধানমন্ত্রী এখনও উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করেননি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তারিখ সম্পর্কে আমাদের অবহিত করার পরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়া হবে।’
গত ৭ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে অক্টোবরের যেকোনো দিন কালনা সেতু উদ্বোধন করা হবে।
আরও পড়ুন: কঁচা নদীর ওপর বঙ্গমাতা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে কালনা সেতু নির্মিত হয়েছে।
আশরাফুজ্জামান বলেন, কালনা দেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু। নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) সেতু এটি। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার এবং প্রস্থ ২৭ দশমিক ১ মিটার। উভয় পাশে ছয় লেনের সংযোগ সড়ক প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, সেতুটি এশিয়ান হাইওয়ের ওপর অবস্থিত। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢাকা, ফরিদপুর, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় বালুবোঝাই বাল্কহেডডুবি
অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেল এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, 'চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেলের একটি টিউব অক্টোবরে আর আরেকটি নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।’
বুধবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'বিএসআরএফ সংলাপ' এ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী জানান, কালনা সেতু নির্মাণ কাজ এ মাসেই শেষ হবে। অক্টোবরের যে কোন সময়, প্রধানমন্ত্রী যখন সময় দেবেন, এটি উদ্বোধন করা হবে।
আরও পড়ুন:পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব চলে যাবে কি না, সে এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর: ওবায়দুল কাদের
ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের বিষয়ে কাদের বলেন, মেট্রোরেলের আগারগাঁও পর্যন্ত ৯৪ ভাগ কাজ হয়েছে। মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশ উদ্বোধন ডিসেম্বরে। আর মতিঝিল পর্যন্ত হবে আগামী বছরের ডিসেম্বরের আগেই।
তিনি বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসের কাজ ৫২ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে এবং এটি পুরোদমে চলছে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস এবং পরিচালনা করেন বিএসআরএফ এর সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
আরও পড়ুন:বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আ.লীগ ভীত নয়: ওবায়দুল কাদের
ভারত নিয়ে মোমেনের বক্তব্যের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগসূত্র নেই: ওবায়দুল কাদের