সরকার
মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোনোভাবেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বীজ-সার ও কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য, কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই দায়িত্ব পালন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
সোমবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, রোজায় পণ্যের সরবরাহের ঘাটতি নেই। তাই দাম বেড়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই।
সিন্ডিকেটের কারণে দাম বাড়ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের ধরিয়ে দিন এবং তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করুন। কোথাও সিন্ডিকেটের খবর পেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের অফিসাররা সেখানে গিয়ে হাজির হবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরও পড়ুন: ফসলি জমি রক্ষা এবং মজুতদারি রোধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চান কৃষিমন্ত্রী
টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় মূল চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন: কৃষিমন্ত্রী
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং ইলিশ বেড়ে উঠার পথে কোনোভাবেই যাতে বাধা সৃষ্টি না হয় সেজন্য যা যা করা দরকার তা করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের কর্মসূচি ১১ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত পালন করা হচ্ছে। ‘ইলিশ হলো মাছের রাজা, জাটকা ধরলে হবে সাজা’ এই প্রতিপাদ্যে আমাদের এবারের কর্মসূচি। এ সময় ইলিশের অভয়াশ্রম সুরক্ষা এবং জাটকা নিধন বন্ধে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাটকা আহরণ বন্ধকালে ইলিশ আহরণে জড়িতদের যাতে সমস্যা না নয়, সেজন্য তাদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ব্র্যান্ডেড এবং পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সেরা মাছ ইলিশ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। আশা করছি- ভবিষ্যতে এটা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে।
ইলিশ উৎপাদনকারী দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাটকা রক্ষায় ও মা ইলিশ আহরণ বন্ধে জলে, স্থলে ও আকাশপথে বিভিন্নভাবে মনিটর করা হচ্ছে। ইলিশের অভয়াশ্রমে জাটকা নিধনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, যারা কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য ক্ষতিকর জাল তৈরি করে জাটকা নিধন করে তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা প্রদান ও জরিমানা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, জাটকাসহ অন্যান্য মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল নির্মূলে এ বছর বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করে ৩০ দিনে ১৭টি জেলায় মোট ৯৩১টি মোবাইল কোর্ট ও ৩ হাজার ৪৭৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যার মাধ্যমে- ৭ হাজার ৬৬৯টি বেহুন্দি জাল, ৪৪৮ দশমিক ৭১ লাখ মিটার কারেন্ট জাল এবং ১৯ হাজার ৭৪২টি বেড় জাল, চরঘড়া জাল, মশারি জাল ও পাইজাল আটক করা হয়েছে এবং প্রায় ২৩ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১৯২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা খুব কঠোর অবস্থান নিয়েছি।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাটকা আহরণে বিরত ৩ লাখ ৬১ হাজার ৭১টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ৫৭ হাজার ৭৭১ মেট্রিক টন ভিজিএফ বিতরণ করা হয়েছে। কারণ, আমাদের মৎস্যজীবীদের পরিবারের কথাও মাথায় রাখতে হয়।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে কম লাভে পণ্য বিক্রয়ের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর
মন্ত্রী আরও বলেন, ভিজিএফ সহায়তার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩১ হাজার ৭০০ জেলেকে চাহিদানুযায়ী নানা উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।
ইলিশ সংরক্ষণে শুধু মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর নয়, সকলকে সম্পৃক্ত থাকতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব, নৌবাহিনী, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে।
এমন কি মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ও আমাদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে। আমরা জাটকা ধরবো না। বড় ইলিশ তৈরির সুযোগ করে দেবো। আমরা বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করবো না। এটা হোক জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে আমাদের অঙ্গীকার।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, জাটকা নিধনের সাথে যারা জড়িত, গোচরীভূত হওয়া মাত্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় সরকার কাজ করছে। মা ইলিশ রক্ষা পেলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। আর উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে দাম কমে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, তবে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার এসব বিষয় সদিচ্ছার সঙ্গে মনিটরিং করছে।
শুধুমাত্র আইন প্রয়োগের মাধ্যমে জাটকা বা মা ইলিশ ধরা বন্ধ করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের জাটকা বা মা ইলিশ ধরা বন্ধে সামাজিক ক্যাম্পেইন চালাতে হবে, জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশে কোরবানির পশুর কোন সংকট নেই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের দায় সরকারকে নিতে হবে: সংসদে চুন্নু ও রেজাউল
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
শনিবার (২ মার্চ) পার্লামেন্টে পয়েন্ট অব অর্ডারে অংশ নিয়ে চুন্নু নগরীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।
এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সাবেক প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যমন্ত্রী রেজাউল করিম।
চুন্নু বলেন, সরকার চালাতে কর দেয় দেশের মানুষ। নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, ভবন নির্মাণে সরকারের ছয়টি সংস্থার অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু অনুমতি দেওয়ার পর ভবনগুলোতে কোনো নজরদারি থাকে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, একটি ভবন এক উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হলেও তা অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।
‘বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে যারা মারা গেছেন তাদের দায় কে নেবে?’ এটা সরকার ও সরকারি অফিসের দায়িত্ব।
মুজিবুল হক বলেন, এ ধরনের ঘটনার পর সরকার বলছে তদন্ত করা হবে, একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। ‘কিন্তু এরপর আর কোনো ফলোআপ হয় না। এভাবে দেশ চলতে পারে না। সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। সরকারকে দায় নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: অফশোর ব্যাংকিং বিল সংসদে উত্থাপন, একদিনের মধ্যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
এদিকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে শ ম রেজাউল করিম সংসদকে জানান, ধানমন্ডির সাত মসজিদ এলাকায় একটি ভবনে ১৫টি রেস্তোরাঁ রয়েছে, যদিও তাদের অনুমতি নেই।
তিনি বলেন, ‘ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কের পাশের ভবনগুলোতে শত শত রেস্টুরেন্ট থাকলেও তাদের কোনো অনুমতি নেই। খিলগাঁওয়ের তালতলায় বিভিন্ন বহুতল ভবনেও একই অবস্থা।’
সরকার এ বিষয়ে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন রেজাউল।
তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের কাছে জানতে চাই এসবের দায়ভার কে নেবে, রাজউক হোক, ফায়ার ব্রিগেড হোক, পরিবেশ হোক, এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার ব্যবস্থা করুন।’
আরও পড়ুন: বিকালে শপথ নেবেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যরা
ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য এ ধরনের প্রাণঘাতী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
২০১৯ সালে বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী থাকাকালে বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'আমরা তদন্ত করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। দুঃখজনক হলেও সত্য, একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তাদের প্রতিবেদন দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। অভিযোগ পত্র দেওয়ার সময় অনেকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।’
রেজাউল করিম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দোষীদের বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের দাবি জানান।
এর আগে অধিবেশনের শুরুতে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে সংসদ।
আরও পড়ুন: দ্রুত বিচার আইন সংসদে উত্থাপন
বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপি জড়িত- পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘যত্নের অভাবে বা নির্যাতনে’ পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে: রিজভী
রিজভী বলেন, ‘পিলখানায় সেনা অভিযান না চালানো, খুনিদের আপ্যায়ন করা, সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা এবং অনেককে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় নানা প্রশ্ন ওঠে। সেসব প্রশ্ন তুলতে গিয়ে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। ২০১১ সালের ৩০ আগস্ট উইকিলিকসের ফাঁস করা গোপন তথ্য, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সাক্ষ্য, তাদের বিচার প্রক্রিয়া, তদন্ত কমিটির আংশিক প্রতিবেদন, দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের তদন্ত প্রতিবেদন পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টা পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলামের শেষ বক্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের অনেক সদস্যকে ঠান্ডা মাথায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর তাদের পেছনে ছিলেন এই সরকারের বিদেশি প্রভুরা।’
এদিকে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে বিএনপি ছিল এবং দেশের স্মার্ট অফিসারদের হত্যা করেছে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলামের সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, ‘হাছান মাহমুদ হয়তো স্বীকার করবেন না, কিন্তু সেদিন পিলখানায় যা ঘটেছিল, কারা করেছিল, কেন ঘটল, ঘটনার পেছনে কারা ছিল, কে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল- এসব সত্য গতকালও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার গণমাধ্যমে বিজিবির সাবেক এই মহাপরিচালকের সাক্ষাৎকার দেখে কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে? সাবেক ডিজির বক্তব্যে সেদিন জনগণ যা দেখেছে এবং বিশ্বাস করেছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল সাবেক মহাপরিচালকের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন- একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং তারা ঘটনার সময় বাইরে জয় বাংলা স্লোগান দেন। তাছাড়া বিদেশি উসকানির বিষয়ে তিনি যা বলেছেন, ঘটনার দিন থেকেই জনগণ তা বিশ্বাস করেছে। সাবেক এই মহাপরিচালক সাক্ষাৎকারে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়নি। আমরা বলতে চাই, পিলখানা ট্র্যাজেডির রহস্য লুকিয়ে রাখা যাবে না, একদিন এর আসল রহস্য উন্মোচিত হবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আ.লীগ সরকার: রিজভী
বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের দাম ইউনিট প্রতি ৭৫ পয়সা বাড়াল সরকার
সরকারি, বেসরকারি ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রের খুচরা গ্যাসের দাম ইউনিট প্রতি ৭৫ পয়সা বাড়িয়েছে সরকার। যা কার্যকর হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
এতে বলা হয়, রেন্টাল সহ সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রতি ইউনিট গ্যাসের মূল্য বর্তমানে ১৪ টাকার পরিবর্তে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা এবং ক্যাপটিভ, ছোট ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রতি ইউনিট গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নতির দাবি তিতাসের, তবে ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জের শিল্প-কারখানায় এখনো তীব্র গ্যাস সংকট
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইনের নতুন সংশোধনী অনুযায়ী জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এক প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে এই দাম নির্ধারণ করে।
নতুন আইনটি সরকারকে যেকোনো সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থার এখতিয়ারকে পাশ কাটিয়ে সব ধরনের জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দিয়েছে।
এই ধরনের গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের দাম সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি বাড়ানো হয় এবং সেটি ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এসেছে। তিনি বলেছেন, গ্যাসের দাম আবার সমন্বয় করা হবে।
আরও পড়ুন: বুধবার ঢাকার যেসব এলাকায় ১৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ
সরকার বিদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব চায় কিন্তু তাদের আধিপত্য চায় না: কাদের
সরকার বিদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব চায়, কিন্তু দেশে কেউ আধিপত্য বিস্তার করতে চাইলে তা হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। তবে তারা বন্ধুর পরিবর্তে প্রভুর ভূমিকায় আসতে চাইলে আমরা বরদাশত করব না।’
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দলের সফরকালে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: উগ্রবাদের মূল উৎস বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারা যা বলেছে তাতে বিএনপির আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই। তারা সরকারের পতন, ব্যর্থতা বা সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে কিছু বলেনি। এ কারণে তারা এখন নীরব।’
তারা (বিএনপি) যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যা চেয়েছিল তা পায়নি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা শুনতে চেয়েছিল, সরকারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে, কিন্তু মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মানুষ বুঝতে পারছে এটা সরকারের দোষ নয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়। সারা বিশ্বেই দাম বাড়ছে। আমাকে বিশ্বের এমন একটি দেশ দেখান যেখানে দাম স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা এখনো আছে। আমরা আশা করছি, আসন্ন রমজানে পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজির একটা ব্যাপার অবশ্যই আছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে না আসায় বিএনপিকে খেসারত দিতে হবে: কাদের
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরেছে: ওবায়দুল কাদের
ফিলিস্তিন সরকারের পদত্যাগের ফলে সংস্কারের দ্বার উন্মোচনের সম্ভাবনা
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেছেন, তার সরকার পদত্যাগ করছে, যা মার্কিন সমর্থিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কারের দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন: রমজানে গাজা সংঘাত সম্প্রসারণের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ
সোমবার জমা দেওয়া ওই পদত্যাগপত্রের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তিনি শাতায়েহ ও তার সরকারের পদত্যাগ গ্রহণ করবেন কি না। কিন্তু এই পদক্ষেপ পশ্চিমা সমর্থিত ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের নড়েচড়ে বসেছে এবং এটা মেনে নিতে ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে পুনরুজ্জীবিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের সূচনা করতে পারে।
যুদ্ধ শেষ হলে গাজা শাসনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি সংস্কার করা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। চায় কিন্তু সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে এখনও অনেক বাধা রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরুর পর ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে: জেলেনস্কি
'আর গণহত্যায় জড়িত থাকব না' বলে নিজের গায়ে আগুন দিলেন মার্কিন সেনা
বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা বলেছিলাম, দ্রব্যমূল্য যেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেটি আমাদের অগ্রাধিকার।
তিনি বলেন, সেই অগ্রাধিকার নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং বাজারের অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার সব রকম ব্যবস্থা নেবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে এলডি হল চত্বরে রাঙ্গুনিয়া সমিতি, ঢাকা আয়োজিত সংবর্ধনা, মেজবান ও মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি রোজা-রমজান, ঈদ কোনোটাই মানে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোজার আগেই কিছু পেঁয়াজ বাজারে ঢুকবে, কাজেই বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাজারের অসাধু লোভাতুর সিন্ডিকেট কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বাড়ায়। আমরা দেখেছি, একটি কোল্ড স্টোরেজের ভেতর থেকে দেড় লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। অতীতে পেঁয়াজের সংকট তৈরি করা হয়েছিল।’
সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে দায়ী করছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সিন্ডিকেট সরকার অদ্ভুত সব মন্তব্য করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার এখন এজন্য বিএনপিকে দায়ী করছে।’
শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গণভবনে শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন করছে তাদের দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর কিছু কৌশল আছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
রিজভী বলেন, ‘তার এ ধরনের বক্তব্যের অর্থ হলো, তার স্বৈরশাসন পচে বিপথগামী হয়ে গেছে। তাই ডাহা মিথ্যাচার, অসত্য, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করা ছাড়া শেখ হাসিনার আর কোনো উপায় নেই। এই সমস্ত বক্তব্য একটি অশান্ত মনের বহিঃপ্রকাশ... এজন্য তিনি হাস্যকর মিথ্যাচারের আশ্রয় নিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, তবে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে দ্রব্যমূল্য সীমাহীনভাবে বেড়েছে। ‘ব্যর্থতা, লুটপাট, চুরি ও অপকর্মের জন্য নির্লজ্জভাবে বিএনপিকে দোষারোপ করা তাদের (সরকারের) পুরোনো অভ্যাস।’
রিজভী বলেন, যেহেতু শেখ হাসিনা সরকার প্রধান হিসেবে অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, তাই তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে ব্যর্থতার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে মিথ্যাচার চালাচ্ছেন। ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে লুটেরা সরকারের ন্যূনতম যোগ্যতা নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সব জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দামের মধ্যে সাধারণ মানুষ বেঁচে থাকার জন্য খুব কঠিন সময় পার করছে।
তিনি বলেন, সরকার নানা হুমকি দিলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, মার্কেট ম্যানিপুলেটররা এখন আওয়ামী লীগের শাসন নিয়ন্ত্রণ করছে।
‘প্রতিটি পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষ নয়, মধ্যবিত্তরাও চরম অসহায় হয়ে পড়েছে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছে না মানুষ। গরিব মানুষের কাছে গরুর মাংস ও খাসির মাংস এখন আকাশের দূরবর্তী নক্ষত্রের মতো হয়ে উঠছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব গুরুতর অসুস্থ হলেও কারা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা, 'তার (হাবিব) অবস্থা গুরুতর। কারাগারে তার চিকিৎসা হচ্ছে না এবং তাকে যথাযথ প্রেসক্রিপশন ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি হাঁটতেও পারছেন না।’
সম্প্রতি ১৫ জন বিরোধী দলীয় নেতা কারাবন্দি অবস্থায় মারা যাওয়ায় অসুস্থ হাবিবের উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আ.লীগ সরকার: রিজভী
‘যত্নের অভাবে বা নির্যাতনে’ পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে: রিজভী
পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট তৈরিতে প্রণোদনা দিতে বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট তৈরিতে উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দিতে সরকার বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বায়ুদূষণকারী ও কৃষিজমির মাটি ক্ষয়কারী ইটভাটা বন্ধ করে আধুনিক পদ্ধতির ব্লক ইটের ব্যবহার পুরোপুরি চালু করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সমৃদ্ধ করে অবিলম্বে বিতরণ শুরু করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ফেনী সার্কিট হাউসে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পুরোনো ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইটভাটাগুলো যাতে আবার চালু হতে না পারে সেই ব্যবস্থাও নিচ্ছে সরকার।
মন্ত্রী আরও বলেন, পৌরসভাগুলোর বর্জ্য রিসাইকেল করার জন্য নির্দিষ্ট স্থান করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অস্তিত্ব রক্ষায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধসহ পরিবেশ দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, পরিবেশ ছাড়পত্র না নিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদানে দীর্ঘসূত্রিতাও পরিহার করতে হবে। চিকিৎসা বর্জ্য ও পৌর বর্জ্য প্রতিদিন পরিষ্কার করা হচ্ছে কি না তদারকি করতে হবে।
একই সঙ্গে জবরদখল করা বনভূমি উদ্ধার এবং নগর ও উপকূলীয় বনায়নের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর