সরকার
সিনিয়র সচিব হলেন দুই কর্মকর্তা
প্রশাসনের দুই সচিবকে সিনিয়র সচিব পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। তারা হলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।
সিনিয়র সচিব হিসেবে তাদের পদোন্নতি দিয়ে বুধবার (১৮ মে) রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, এ আদেশ গোলাম মো. হাসিবুল আলমের ক্ষেত্রে ২২ মে এবং আমিনুল ইসলাম খানের ক্ষেত্রে ১৪ জুন থেকে কার্যকর হবে।
পড়ুন: পুলিশের ৭ ডিআইজিকে এআইজিপি পদে পদোন্নতি
অর্থনৈতিক মন্দা এড়াতে ব্যয়বহুল মেগাপ্রকল্প বাদ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান বিএনপির
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের মধ্যে বাংলাদেশ ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিরোধীদলীয় এই নেতা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে শ্রীলঙ্কার মতো একই পরিণতির মুখোমুখি হতে পারে। তাই তারা সরকারকে ব্যয়বহুল মেগা প্রকল্পগুলো বাদ দেয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বুলেট ট্রেন, দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, পূর্বাচলে ১১০ তলা বঙ্গবন্ধু বহুতল ভবন কমপ্লেক্স, শরীয়তপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, নোয়াখালী বিমানবন্দর, দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রকল্প এবং রাজধানী ঢাকার বাইরে স্থানান্তরের মতো প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ এবং পদ্মা সেতু হয়ে পায়রা বন্দর এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার এবং দোহাজারী হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণসহ কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা ইতোমধ্যে এই প্রকল্পগুলোকে ব্যয়বহুল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যা কেবলমাত্র সরকারি ঋণের বোঝা বাড়াবে।
আরও পড়ুন: নতুন ফসল উঠলেও ভুল নীতির কারণে চালের দাম বাড়ছে: বিএনপি
সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা আশঙ্কা করছি, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কার মতো বিপদে পড়তে পারে। আমাদের আশঙ্কাকে বাস্তবসম্মত বলা যায়।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ব্যাপকভাবে লুণ্ঠন করে অর্থ উপার্জন করা। ‘অর্থনীতি তখনই চাঙ্গা হবে, যখন জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন, বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে তাদের দলের ঐক্য প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। ‘আপনারা আমাদের আন্দোলন পরিকল্পনাসহ সবকিছু জানতে পারবেন, আমরা প্রকাশ্যে ঐক্য প্রক্রিয়ার ঘোষণা নিয়ে আসব।’
ফখরুল বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ‘দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি গত ১৩-১৪ বছরের তুলনায় এখন সবচেয়ে বেশি চাপের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, রপ্তানি হ্রাস এবং রেমিট্যান্স হ্রাসের কারণে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে দ্রব্যমূল্য অসহনীয় হয়ে উঠছে। মনে হচ্ছে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গত আট মাসে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নেমে এসেছে। আগামী দুই মাসে এটি আরও ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘এভাবে যদি রপ্তানির তুলনায় আমদানি বাড়তে থাকে এবং রেমিট্যান্সের মাধ্যমে সেই শূন্যতা পূরণ না হয়, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ খুব শিগগিরিই শেষ হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: তীব্র সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশ: বিএনপি
এরকম কতজন পি কে হালদার আছে, জানতে চাই: ফখরুল
ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এসডিজির অন্যতম টার্গেট - জনগণের ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।তিনি বলেন, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার ডিজিটাইজেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে সীমিত পরিসরে ডিজিটাইজেশন চালু করা হয়েছে। অধিকন্তু আইন ও বিচার বিভাগ একটি গণমুখী বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুগান্তকারী ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসডিজি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনের প্যারালাল সেশন- ১ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণের ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার সংরক্ষণের জন্য করোনার মহামারিকালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আইন ও বিচার বিভাগ 'আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ এর আওতায় ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থা চালু করে। ১১ মে ২০২০ থেকে ১০ আগস্ট ২০২১ সময়কালে এ আদালত দ্বারা মোট তিন লাখ ১৪ হাজার ৪৮২টি পিটিশন নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং এক লাখ ৫৮ হাজার ৫০৭ জনকে জামিন দেয়া হয়েছে, যা করোনাকালে জরুরি সমস্যা মোকাবিলায় এবং কারাগারে বন্দিদের বাড়তি চাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জেলা লিগ্যাল এইড অফিস, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ায় সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম এখন দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। এমনকি করোনার মহামারিকালে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ৭৮ হাজার ৮৪৭ জনকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে ৩৮ হাজার ৫৩৯ জন মহিলা।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগও বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নের যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ৭ম এবং ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে একটি সমন্বিত কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করেছে এবং মন্ত্রণালয়গুলোর ম্যাপিং, আর্থিক কৌশল, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন, ডেটা গ্যাপ বিশ্লেষণ, জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা, এপিএ-তে এসডিজি অর্ন্তভুক্তসহ অনেকগুলো কাজ সম্পন্ন করেছে।তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত বোধ করি যে, জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতাকৃত টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক ২০১৫-২০২০ সালের মধ্যে অধিকাংশ এসডিজি বাস্তবায়নের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি প্রোগেস অ্যাওয়ার্ড ২০২১’- এ ভূষিত করেছে। এই পুরস্কার দারিদ্র্যের অবসান, পৃথিবী নামক গ্রহ রক্ষা এবং শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার বৈশ্বিক আহ্বানের প্রতি আমাদের ঐক্য ও অঙ্গীকারের প্রতীক।তিনি বলেন, বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজিএস) বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিল। সেই সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড, চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ এবং প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়নসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ব পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার একটি জনকেন্দ্রিক আধুনিক গণতন্ত্র গ্রহণ করেছে। ফলে দেশে সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা শক্তিশালীসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে। আর এসব উন্নয়ন বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে।এসডিজি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক তিনদিনব্যাপী চলমান সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আজ প্যারালাল সেশন- ১ এ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবরা তাদের স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়/বিভাগের এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।এই সেশনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিশেষ অতিথি ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সঞ্চালক ছিলেন। আলোচক ছিলেন প্রতিরক্ষা সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আলোচনা
মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর টোল হার চূড়ান্ত করেছে সরকার
পদ্মা বহুমুখী সেতু পারাপারের জন্য বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের টোলের হার চূড়ান্ত করেছে সরকার। মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সেতু বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোটরসাইকেলের জন্য ১০০ টাকা, প্রাইভেট কার ও জিপের জন্য ৭৫০ টাকা, পিক-আপের জন্য ১২০০ টাকা, মাইক্রোবাসের জন্য ১৩০০ টাকা, ছোট বাসের জন্য (৩১টি আসন বিশিষ্ট) এক হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাসের জন্য ২০০০ টাকা (৩২টি আসন বিশিষ্ট), বড় সাইজের বাসের জন্য ২৪০০ টাকা, ছোট ট্রাক (৫ টন) এর জন্য এক হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি আকারের ট্রাকের জন্য (৫ টন থেকে ৮ টনের বেশি), মাঝারি আকারের ট্রাক (৮ টন থেকে ১১ টনের বেশি) ২১০০ টাকা, বড় ট্রাকের জন্য ৫৫০০ টাকা (৩ এক্সেল পর্যন্ত) ট্রেলার ট্রাকের জন্য ছয় হাজার টাকা (৪ এক্সেল) এবং ট্রেলারের জন্য (৪ এক্সেলের বেশি) ছয় হাজারের বেশি টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা ট্রেন চালু আগামী বছরের জুনে: রেলমন্ত্রী
গত ১১ মে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু জুনে উদ্বোধন করা হবে; বর্তমানে উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে।
রাজধানীর সেতু বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১১১তম বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কাদের এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৯৮ শতাংশ, নদী প্রশিক্ষণ ৯২ শতাংশ এবং কার্পেটিং কাজের অগ্রগতি ৯১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন: ওবায়দুল কাদের
জুনে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে: কাদের
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। সিলেটে ধান-চালের মজুত ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে একটি স্টিল রাইস সাইলো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।রবিবার দুপুরে সিলেট সদর খাদ্য গুদাম (এলএসডি) পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আগাম বন্যায় হাওরের ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে তবে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তায় এটি তেমন প্রভাব পড়বে না। কারণ এবার হাওরে ধানের চাষাবাদ গতবারের চেয়ে বেশি জমিতে হয়েছিল। এছাড়া সামনে আউশ উৎপাদন হবে, কৃষক দ্রতই বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: আগস্টের আগে গম আমদানি করতে হবে না: খাদ্য সচিবধানের দাম বাড়ানো হবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যৌক্তিক ভাবে ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়, যাতে কৃষক তার ফসলের নায্যমূল্য পায়। সরকার কৃষকের জন্য সার, বীজ ও নানা কৃষি উপকরণ প্রণোদনা হিসেবে দিয়ে থাকে। ধানের দাম বাড়লে চালেরও দাম বাড়বে সে কারণে যৌক্তিক যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, সে দামেই ধান চাল সংগ্রহ করা হবে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারিভাবে ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করেনি, আর বন্ধ করলেও তার প্রভাব বাংলাদেশে পড়বেনা। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় দেশে অনেক পণ্যের দাম কম। সরকার পণ্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে নিরলস কাজ করছে।এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাজমানারা খানুম, জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংগ্রহ) মো. রায়হানুল কবীর,পরিচালক মো. জামাল হোসেন,আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সিলেট মো. মাইন উদ্দিন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নয়ন জ্যোতি চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জুন মাসে আরও এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উদ্ভাবনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশ এখন দুর্নীতির আখড়া: আবদুল আউয়াল
সরকার দেশকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের পকেট ভারী হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি বিদেশে পাচার করছে।’
শনিবার (১৪ মে) চাঁদপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে সবাই আমাদেরকে ক্ষমতা থেকে নামাতে চায়। কিন্তু আমাদের অপরাধটা কি? আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা বলতে চাই, এই সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর অপরাধ সীমাহীন। তিনি দিনের ভোট রাতে করেছেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছেন। অন্যায়ভাবে আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করছেন। দেশটাকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা আমাদের দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে অবৈধভাবে আটকে রাখার বিচার চাই। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসতে দিচ্ছে না এই অবৈধ সরকার। আমরা এর বিচার চাই।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সলিম উল্লাহ সেলিমের পরিচালনায় এনডিপির চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের, বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান, এম এ হান্নান, মাহবুব আনোয়ার বাবলু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো বিএনপি নেতারা আগেই পালিয়ে গেছেন: তথ্যমন্ত্রী
দেশে আওয়ামী দুঃশাসন চলছে: বুলু
এদিকে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, বাংলাদেশে আওয়ামী দুঃশাসন চলছে। মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, চলার স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যমকে হুমকি-ধমকি দিয়ে দমিয়ে রাখা হয়েছে।
শনিবার ফেনী জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
দেশব্যাপী নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, দেশের দুঃশাসন রাজত্ব কায়েম করে সরকারের মন্ত্রী এমপি ও ক্ষমতাসীন নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশ পাচার করছে। কিন্তু দেশের মানুষ খেতে পারছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ কষ্টে আছে।
জেলা বিএনপি আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ হারুন, নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আজিম সুমন প্রমুখ এসময় বক্তব্য দেন।
সরকারের মিথ্যা আশ্বাসে নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: জয়নুল আবেদীন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, সরকারের ‘মিথ্যা’ আশ্বাসে তাদের দল আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য অহেতুক চেষ্টা করছেন। আপনারা ভাবছেন মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিএনপিকে আবার নির্বাচনে নিতে পারবেন, কিন্তু তা হবে না।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল।
কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডার’ দের বিরোধী দলের নেতাদের ওপর অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে দলটির দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা জেলা শাখা এ সমাবেশের আয়োজন করে।
এসময় জয়নুল আবেদীন বলেন, শোনা যাচ্ছে সরকারের নীতি-নির্ধারকেরা নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি করছেন। ‘এটা কোনো নির্বাচনী রোডম্যাপ নয়। অনির্বাচিত সরকার কীভাবে বাংলাদেশ থেকে পালাতে পারবে তার রোডম্যাপ।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ দ্রুত শ্রীলঙ্কায় পরিণত হতে যাচ্ছে: ফখরুল
বিএনপিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার লোভে যারা দলের (বিএনপি) সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, তাদের ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। ‘দেশদ্রোহীরা বাংলাদেশে কোনো স্থান পাবে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, জনগণ তাদের সঙ্গে থাকায় ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের দলকে ভাঙতে ও দুর্বল করতে পারবে না। আপনারা (সরকার) যতই চেষ্টা করুন না কেন, বিএনপিকে বিভক্ত করতে পারবেন না।
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মন্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করার জন্য এটা জনগণের আন্দোলন, কোনো ষড়যন্ত্র নয়। ‘বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে এবং তারা আপনারদের পতনের আন্দোলনে নেমেছে। ষড়যন্ত্রের কথা বলে এই আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সরকারকে নিন্দা জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘সরকার জনগণের টাকা লুটপাট করতে সিন্ডিকেট তৈরি করে সব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
আ.লীগের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তাদের প্রতি সতর্কবার্তা বিএনপির
আগামী নির্বাচনও আ.লীগ সরকারের অধীনে বিএনপির অংশগ্রহণে হবে: হানিফ
বিএনপি ২০১৮ সালের মতো বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনও সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে এবং সেই নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নিতে হবে।
সোমবার সাদ্দাম বাজার এলাকায় নবনির্মিত জেলা বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির কার্যালয় ভবন উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হানিফ এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যা যা করা দরকার সরকার তা করবে।
আরও পড়ুন: সমাবেশ বন্ধ করতে নয়, করোনা থেকে বাচঁতেই বিধিনিষেধ: হানিফ
ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা স্মরণ করেন যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি ২০১৮ সালের নির্বাচনে যোগ দিয়েছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে কোনো কৌশল অবলম্বন করে না। বিএনপির নির্বাচনে কারচুপি করার অভ্যাস আছে।
এর আগে রবিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশ্বস্ত করে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে এতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস তাদের দলকে ধোঁকা দেয়ার ফাঁদ মাত্র।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ও প্রধানমন্ত্রী যা বলছেন, তা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি অংশ না নিলেও নির্বাচন কমিশন গঠন বন্ধ হবে না: হানিফ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আসবে না: কুষ্টিয়ায় হানিফ
সরকার ক্ষমতা না ছাড়লে নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় যাবে না বিএনপি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা না ছাড়া পর্যন্ত তাদের দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনায় যোগ দেবে না।
রবিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একটি সিদ্ধান্তের প্রতি সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপি নেতা এই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করলে অস্তিত্ব সংকটে পরবে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
ফখরুল বলেন,‘আগামী নির্বাচনে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ না করে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো প্রশ্নই আসে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে আমরা নির্বাচনে যাব না।’
ফখরুল বলেন, বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আনতে সরকারকে দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথম শর্ত হল তাদের (সরকার) পদত্যাগ করতে হবে এবং তারপর একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার জনমতের ভিত্তিতে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করবে এবং এভাবে দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার ও সংসদ গঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে: ওবায়দুল কাদের
ভোজ্যতেলের দাম নতুন করে বৃদ্ধির অনুমোদন দিলো সরকার
বিশ্ববাজারে মূল্য বৃদ্ধির কারণে সয়াবিন ও পামতেলের দাম নতুন করে বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ভোজ্যতেলের নতুন এ দাম শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটির আগে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিভিওভিএমএ) জমা দেয়া ভোজ্যতেলের দাম অনুমোদন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বিভিওভিএমএ বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: প্রায় ২৩ মিলিয়ন লিটার সয়াবিন তেল চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে
এর অর্থ হলো বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ৪৪ টাকা বেড়েছে।
পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হবে ৯৯৫ টাকায় যা আগে বিক্রি হতো ৭৬০ টাকায়। শুক্রবার থেকে প্রতি লিটার পরিশোধিত পামতেল ১৭২ টাকায় বিক্রি হবে।