সরকার
সয়াবিন তেলের সংকটের জন্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দুষছে বিএনপি
বাজারে হস্তক্ষেপ এবং সরকারের জবাবদিহিতার অভাবের জন্য দেশ সয়াবিন তেলের ‘কৃত্রিম’ সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার থাকলে বাজারে হস্তক্ষেপ করত এবং বাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটদের গ্রেপ্তার করত। কিন্তু তা হচ্ছে না, ফলে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।
রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরস্থানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হারানো অধিকার ফিরে পেতে সোচ্চার হউন: মির্জা ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, সয়াবিন তেল, চাল, ডাল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে তীব্র মুদ্রাস্ফীতি এর অন্যতম কারণ। এই ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ ও শ্রমিকদের আয় একেবারেই বাড়েনি।
রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেকেই অনেক কষ্টে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঈদ উপলক্ষে রাজধানী থেকে বিভিন্ন জেলায় বাড়ি যাওয়ার পথে অনেক গৃহমুখী যাত্রী, প্রধানত শ্রমিকরা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: ইলিয়াস আলীর পরিবার অনেক বিপদে আছে: ফখরুল
পাসপোর্ট প্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবের আহ্বান সাংবাদিকদের
পাসপোর্ট সকল নাগরিকের অধিকার উল্লেখ করে পাসপোর্ট পেতে দুর্ভোগ লাঘবের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েন সাংবাদিক নেতারা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে একটি রেস্তোরাঁয় পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (পিআইআরএফ) আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তারা এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের পাসপোর্ট থাকা প্রয়োজন। তবে ঝামেলা ছাড়া পাসপোর্ট পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে পিআইআরএফ পাসপোর্ট প্রার্থী ও বিভাগের মধ্যে সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করছে।
পিআইআরএফের সভাপতি আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মনোজ কান্তি রায়, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু ও ডিআরইউ-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরির রোডম্যাপ করছে প্রেস কাউন্সিল: তথ্যমন্ত্রী
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৯ সাংবাদিক
ভর্তুকি বা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ভর্তুকি বা মূল্যস্ফীতি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছি।’
বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবির মতো আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো যখন নিম্নমুখী বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির আশঙ্কা করছে, তখন বাংলাদেশ কেন উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার চলতি অর্থবছর ২০২১-২২ এর জন্য সাত দশমিক দুই শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য পরিবর্তন করেনি। এছাড়া আগামী অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধি সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ বিবেচনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে: অর্থমন্ত্রী
সরকার এখনও বিশ্বাস করে বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে কোনো অনিশ্চয়তা সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত ঘাটতি বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বের সব দেশই মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির সমস্যায় পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমরা মুদ্রাস্ফীতি ব্যবস্থাপনায় বেশ ভালো অবস্থানে আছি।’
যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধে কমবেশি সব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বাংলাদেশও এর প্রভাবের বাইরে নয়।
কামাল বলেন, ‘আজ পর্যন্ত যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হওয়ার কোনো দৃশ্যমান লক্ষণ নেই। তবে আমরা আশা করি যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে।’
আরও পড়ুন: বৈদেশিক ঋণ প্রাপ্তিতে নিরাপদ অবস্থানে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করবে সরকার: অর্থমন্ত্রী
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দ্বিগুণ হতে পারে
সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের আসন্ন বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দ্বিগুণ করে ১৮ হাজার কোটি টাকা করার কথা ভাবছে।
মঙ্গলবার অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আসন্ন বাজেটে সামগ্রিক ভর্তুকি এবং প্রণোদনা বরাদ্দ ১৬ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বেড়ে আনুমানিক ৫৭ হাজার ৪৫ কোটি টাকা হবে।
চলতি বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার কোটি টাকা। এ বছর এ খাতে ভর্তুকি দ্বিগুণ করা হচ্ছে। তবে সংশোধিত বাজেটে, বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি তিন হাজার কোটি টাকা বেড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।
প্রতিবছর বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাড়ছে। ফলে বরাদ্দও বাড়ানো হচ্ছে। যেমন ২০২২ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা হিসেবে বরাদ্দ ৪০ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে ১২ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৫৩ হাজার ২৮২ কোটি টাকা করা হয়েছে।
বাজেট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরূপ প্রভাবের কারণে আসন্ন বাজেটে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও ঋণ সহায়তায় বরাদ্দ আনুমানিক ২৬ দশমিক ১৩ শতাংশ বা ২৭ হাজার ৯১০ কোটি টাকা বেড়ে এক লাখ ৭৭ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা করা হয়েছে।
এর আগে ২০২২ অর্থবছরের বাজেটে এই তিনটি খাতে বরাদ্দ ছিল এক লাখ ৪৯ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, আগামী ২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার প্রায় ছয় দশমিক ৭৮ ট্রিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণ; এই তিনটি খাতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭৭ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: জাতীয় বাজেট উপস্থাপন ৯ জুন: মুস্তফা কামাল
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে তার সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪০টি নতুন ফায়ার স্টেশন উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, ‘আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন ডেনমার্কের রাজকুমারী
প্রধানমন্ত্রী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুতদার এবং অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: পানি সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। তারপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এর ওপর আরও বেশি প্রভাব ফেলেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এমনকি অনেক উন্নত দেশেও খাদ্য সংকট রয়েছে এবং কিছু কিছু জায়গায় মূল্যস্ফীতির হার ১৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে। ইউরোপের অনেক দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭-৯ শতাংশ।
ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের হাতে সার তুলে দিচ্ছে সরকার: আমু
সরকার ৮০ ভাগ ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের কাছে সার পৌঁছে দিচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সরকারের আমলে কৃষক সারের জন্য গুলি খেয়েছিল। আর আওয়ামী লীগ সরকার শতকরা ৮০ ভাগ ভর্তুকি দিয়ে সময় মত কৃষকের কাছে সার, বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ পৌঁছে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার হচ্ছে কৃষক বান্ধব সরকার। যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই কৃষকদের বিনামূল্যে এবং ন্যার্য মূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করে থাকে।’
শুক্রবার দুপুরে ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কুষকদের মাঝে বিনামূল্যে উফশী আইশ ধানের বীজ, এপি এবং এমওপি সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ এ নেতা বলেন, করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্নভাবে দেশের মানুষকে অর্থ ও খাদ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে করোনার সময় আমাদের দেশে খাদ্যের কোন অভাব হয়নি।
আরও পড়ুন: আমুই হলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে দাবি করে আমির হোসেন আমু বলেন, রাস্তার কারণে দোকান পাট হয়েছে, গাড়ি চলছে। দালান কোঠা হচ্ছে, যাতে শ্রমিক কাজ করে। রাস্তা ঘাট উন্নয়ন হওয়ার কারণে মানুষের বিভিন্নভাবে কর্মসংস্থান হয়েছে। আজ যারা সরকারের বিরোধীতা করছেন, তারা এসব উন্নয়নের কথা বলেন না।
তিনি বলেন, আজকে পদ্মা সেতু, পায়রা বন্দর দেশের দক্ষিণ অঞ্চলকে সাউদ এশিয়ার একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল। তাই আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে সকলকে কাজ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, কৃষিম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক মো. মরিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সম্পদের ওপর বিদেশিদের লোভ দীর্ঘদিনের: আমু
নারীদের সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান আমুর
শিল্প কারখানায় ৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
শিল্প কারখানায় প্রতিদিন চার ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২২ এপ্রিল) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এর আগে ১১ এপ্রিল পেট্রোবাংলা জানায়, ১২ এপ্রিল থেকে ১৫ দিনের জন্য প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
সূত্র জানায়, শিল্প মালিকদের অনুরোধে নতুন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে পেট্রোবাংলা গৃহস্থালীর গ্রাহক ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের সুবিধার্থে পবিত্র রমজান মাসে প্রতিদিন বিকাল ৫ থেকে ১১টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখার জন্য সব সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনকে নির্দেশ দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের আহ্বান বিজিএমইএর
কারখানায় মঙ্গলবার থেকে দিনে ৪ ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ থাকবে
রপ্তানি বাড়াতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
সরকার ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্য রপ্তানি বাড়াতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে খাদ্য পণ্যগুলোতে মূল্য যোগ করতে পারি তবে আমরা আমাদের দেশে চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এই পণ্যগুলো রপ্তানি করতেও সক্ষম হব।’
এখন মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার নরসিংদী জেলায় প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দেশের বৃহত্তম ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি) এবং নরসিংদীর সার প্রকল্প প্রান্ত থেকে সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এছাড়া একই অনুষ্ঠানে তিনি রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) নবনির্মিত ১৪ তলা প্রধান কার্যালয় ভবনসহ চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ছত্রছায়ায় সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় কিছু দল: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করায় সরকার কৃষি পণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে ফসল, ফল, সবজি, ডিম, মাছ ও মাংসের উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের বিকাশের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় ঢাকা-দিল্লি সহযোগিতার প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
সম্প্রতি প্রকাশিত মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে মৌলিক ত্রুটি রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আলোচনার বিষয় রয়েছে। তাই সরকার মার্কিন সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। এ দেশ আইনের শাসন, মানবাধিকার ও সুশাসন অনুসরণ করে এবং তাই এর অর্থনৈতিক অর্জনও উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো: তথ্যমন্ত্রী
এদিকে পৃথক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিবেদনটি সমাজ ও সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি ‘অরাজকতার সমাজ’ তৈরিতে উৎসাহিত করছে বলে মনে হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, সব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সরকার জনগণের কাছে করা নিজস্ব প্রতিশ্রুতির জন্য জনগণের মঙ্গল, অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল ‘বাংলাদেশ ২০২১ হিউম্যান রাইটস রিপোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও শ্রম ব্যুরো প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে তথ্য বিভ্রাট হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
(এ প্রতিবেদনের জন্য) সংগৃহীত সব পর্যবেক্ষণ প্রধানত এনজিও/আইএনজিও রিপোর্টিং উৎস থেকে সংগৃহীত বলে নোট করেছে সরকার।
সংবাদপত্র থেকে তথ্য/উপাত্তও সংগ্রহ করা হয়েছে যা থেকে বুঝা যায় গণমাধ্যম প্রতিবেদন করার ক্ষেত্রে তাদের পদ্ধতি অনুশীলন করতে সক্ষম।
মানবাধিকার পরিস্থিতির বিপরীতে বেশ কিছু অপ্রমাণিত পরিসংখ্যান উৎসের উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। এছাড়া প্রতিবেদনে কিছু বাস্তবিক ত্রুটি রয়েছে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।
মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনের সমালোচনা সরকারের
বাংলাদেশে মানবাধিকার অনুশীলনের বিষয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে ‘সরকারবিরোধী প্রচারণা মেশিন’ থেকে সংগ্রহ করা কিছু ‘ভুল তথ্য’ রয়েছে দাবি করে এর সমালোচনা করেছে সরকার।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা প্রতিবেদনটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অধ্যয়ন করছি এবং রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে (এ বিষয়ে) বিস্তারিত শেয়ার করবো।’
বুধবার প্রতিবেদনটির বিষয়ে তার প্রাথমিক মন্তব্য চাওয়া হলে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার চুক্তি করছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
তিনি বলেন, মার্কিন সরকারকে ‘ভুল ধারণা’ থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা করবে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী প্রতিবেদনের বেশ কয়েকটি দিক তুলে ধরেন যেখানে কোনো যুক্তি ছাড়াই সরকারকে দোষারোপ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ‘এটা ভুল। এটি মিথ্যা। এটা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ২০২১ সালের কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে এই বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে মানবাধিকার রেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি বিশ্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে মানবাধিকার সুরক্ষিত হয়, এর রক্ষকদের প্রশংসা করা হয় এবং যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাদের জবাবদিহি করা হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়াতে আমাদের অবশ্যই নিজেদের নিবেদিত করতে হবে, একসঙ্গে কাজের মাধ্যমে। আমরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব সে সম্পর্কে সততার সঙ্গে কথা বলতে হবে। মানবাধিকার পরিস্থিতির অগ্রগতি শুরু হয় তথ্য দিয়ে।’
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা: যুক্তরাষ্ট্রে আইনজীবী নিয়োগ দেবে সরকার
জাতিসংঘের মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা এবং তৎপরবর্তী মানবাধিকার চুক্তিগুলোতে দেখানো পথ অনুসরণ করে, কান্ট্রি রিপোর্টে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের পরিপালন ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা তুলে ধরা হয়।
দেশভিত্তিক প্রতিবেদনে আইনি উপসংহার টানে না, দেশগুলোকে রেট করে না বা তারা মান পূরণে ব্যর্থ হয়েছে কি না তাও ঘোষণা করে না।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানায়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এমন একটি পররাষ্ট্রনীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে আমাদের কূটনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে যুথবদ্ধ করে এবং যা গড়ে উঠেছে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সুরক্ষাকে কেন্দ্রে রেখে।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এই ৫০তম বার্ষিকীতে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকারের উন্নয়ন সবার ওপরে থাকবে।