সরকার
গ্যাসের দাম না বাড়াতে সরকারের প্রতি বিটিএমএ’র আহ্বান
গ্যাসের দাম না বাড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে টেক্সটাইল মালিকেরা বলেছেন, গ্যাসের দাম বাড়লে তাদের উৎপাদন খরচ বাড়বে।
তারা স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্যাস সংকট মোকাবিলায় সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এ আহ্বান জানান।
বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘যদি গ্যাসের দাম আরও বাড়ানো হয়, তাহলে এটি স্থানীয় টেক্সটাইল প্রস্তুতকারকদের উপর বড় প্রভাব ফেলবে যারা রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক (আরএমজি) শিল্পে ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ সরবরাহ করে আসছে।
আরও পড়ুন: প্রত্যাখ্যানের পরও ফের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব
তিনি দাবি করেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে তাদের উৎপাদন খরচ ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে যা বিশ্ববাজারে দেশীয় টেক্সটাইলকে অ-প্রতিযোগিতা করে তুলবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে স্থানীয় টেক্সটাইল মিলাররা তীব্র গ্যাস সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন। ফলে তাদের উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হতে হচ্ছে।
বিটিএমএ সভাপতি বলেন, গত তিন মাস ধরে গ্যাস সংকটের কারণে, আমরা আশংকা করছি, স্থানীয় বাজারে টেক্সটাইল উৎপাদনে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন এবং রপ্তানি বাজারের জন্য দুই বিলিয়ন ক্ষতি হবে।
বিটিএমএ এসময় সরকারের কাছে পাঁচ বছরের একটি দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি নীতিও দাবি করেছেন ।
তারা বলেন, ২০১৯ সালে সর্বশেষ দাম বৃদ্ধির পর বর্তমানে টেক্সটাইল মিলগুলোকে প্রতি ইউনিট গ্যাসের জন্য ১৩ দশমিক ৮৫ টাকা দিতে হয়।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে সরকার: বিএনপি
বুধবার ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস
আগামীকাল বুধবার (২৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস। এই দিনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির পক্ষ থেকে ভারতের সরকার ও জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির দপ্তর সম্পাদক এ ইউ এস এম সাইফুল্লাহ এর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথমবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়। এই দিন ভারত শাসনের জন্য ১৯৩৫ সালের ঔপনিবেশিক ভারত সরকার আইনের পরিবর্তে ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হয়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর স্বাধীন ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর ঠিক করা হয় ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথম স্বাধীনতা পালনের দিনটিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে ভারতের সংবিধান কার্যকর হবে এবং সেদিন থেকে প্রজাতান্ত্রিক ভারতবর্ষ ‘Republic of India’ হিসেবে পরিচিত হবে। সেই থেকে ভারতবর্ষ ২৬ জানুয়ারিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পালন করে আসেছ।
আরও পড়ুন: এবছরও ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে থাকছে না কোনো বিদেশি অতিথি
এতে আরও বলা হয়, ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক শ্রী নারায়ন সাহা মনি ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের সর্বস্তরের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ ও ভারত অকৃত্রিম বন্ধু। ১৯৭১ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারতের সাহায্য ও সহযোগিতা তারই প্রমাণ।
সবশেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উভয় দেশ শান্তি, সম্প্রীতি ও অর্থনৈতিক উন্নতি অর্জিত হোক ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের নেতৃত্বে বাংলাদেশি কন্টিনজেন্ট
প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করেছে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন
বিধি-নিষেধ বাড়বে কি না সিদ্ধান্ত একসপ্তাহ পর
আগামী একসপ্তাহ পর করোনা পরিস্থিতি দেখে চলমান বিধি নিষেধ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
সরকারের দেয়া বিধি নিষেধ আরও দীর্ঘায়িত হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই পরিস্থিতি বিবেচনা করে। কারণ আমাদের সচেতনতার ওপরে এখন যে ভ্যারিয়েন্টটা দেখছি ওমিক্রন সেটা সেরে উঠতে অল্প সময় নিচ্ছে। রিকভারি রেট কিন্তু খুবই ভালো।
আরও পড়ুন: করোনা: জনগণের চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ, রেড জোনে সাধারণ ছুটি
৮৫ শতাংশের বেশি সংখ্যক আক্রান্ত মানুষ ঘরে থেকে ট্রিটমেন্ট নিতে পারছেন এবং তারা সেরে উঠছেন। আমরা অবশ্যই আগামী এক সপ্তাহ পর দেখব এটা (সংক্রমণ) কী পর্যায়ে আছে, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী নির্দেশনা দেব।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে দেশ ভাইরাসটির তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে রয়েছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। এ অবস্থায় গত শুক্রবার থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সপ্তাহের জন্য নানা বিধি নিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এর মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুল কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রবিবার জারি করা আরেকটি বিধি নিষেধে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ সম্পাদন করতে বলা হয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য সকলেই মাস্ক পরুক। এই সময়টা আমরা অতিক্রম করতে চাই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্য নাগাদ এটি বাড়তে থাকবে। সকলকে সচেতন হতে হবে। আমরা চাই- এই তৃতীয় ঢেউ থেকে যেনো খুব তাড়াতাড়ি উত্তোরণ করতে পারি। সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে।
গণপরিবহন সরকারের বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ সবাইকে মানতে হবে। ইউরোপ সংক্রমণের ক্ষেত্রে তাদের পিক সময় পার করেছে। আমাদের একটু পরে শুরু হয়েছে, এজন্য আমাদের একটু পরে সেটা (চূড়ান্ত সংক্রমণ) হতে পারে।
আরও পড়ুন: হিলিতে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ, চলবে আমদানি-রপ্তানি
সেক্ষেত্রে আমরা চাইব যাদেরকে যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, নির্দেশনাগুলো সবাই মেনে চললে তা সকলের জন্যই ভালো। পরিবহন সেক্টরে যারা রয়েছেন তাদেরকেও আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। নিয়ম মেনে তারা গণপরিবহন পরিচালনা করবেন। এরমধ্যে দিয়ে আমরা একটা ভাল রেজাল্ট পাব। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ উত্তোরণ করব।
সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে এর আগে মোবাইল কোর্টের নির্দিষ্ট তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে।
সরকারকে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান শিক্ষক সমিতির
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষক সমিতি।সভায় চলমান সংকট নিরসনে চার দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। দাবির মধ্যে রয়েছে-শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে সরকার কর্তৃক নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর জন্য যা যা করা দরকার করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি, উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। এক্ষেত্রে অতি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কোন ধরনের সহিংসতায় সম্পৃক্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হলো।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি
শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’: ঢাবিতে বিক্ষোভ
শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র: রুমিন ফারহানা
বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, বর্তমান সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন তাদের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের ভয়াবহতার চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
রবিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে রুমিন এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু, বিরোধী দল-মত দমন, বিরাজনীতিকরণ, সেপারেশন অব পাওয়ার মুছে ফেলে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের অধীনস্ত করা, বীভৎস দুর্নীতি, সব কিছুর ফল হয়েছে এই যুক্তরাষ্ট্রের মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ করপোরেশনের রিপোর্ট।
এছাড়াও গণতন্ত্রের সূচক প্রকাশকারী ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, ফ্রিডম হাউজ, বেরটেলসম্যান স্টিফ টুং, ভি-ডেম, ইন্সটিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স, মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, সিভিল লিবার্টি নিয়ে কাজ করা সিভিকাস, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স, আইনের শাসনের সূচক প্রকাশকারী ওয়ার্ল্ড জাস্টিস রিপোর্ট, দুর্নীতির সূচক প্রকাশকারী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, নির্বাচনের মান নিয়ে সূচক প্রকাশ করা ইলেক্টোরাল ইন্টিগ্রিটি প্রজেক্টের গত কয়েক বছরের রিপোর্টে বাংলাদেশের দুরবস্থার চিত্র পরিষ্কার।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনে সরকারের পদক্ষেপ আরেকটি ‘উপহাস’: বিএনপি
র্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে রুমিন বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখে এটা স্পষ্ট, নিষেধাজ্ঞা এখানেই শেষ হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিশ্বের স্বনামধন্য ১২টি মানবাধিকার সংস্থা র্যাবের সদস্যদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে পদায়নের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘে জোর দাবি জানিয়েছে। জাতিসংঘও বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে।
বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন,‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আর সব মন্ত্রী প্রথমে খুব কড়া ভাষায় আমেরিকাকে আক্রমণ করলেও এখন গলার স্বর নিচু। এখন নিজেদের সমস্যা খতিয়ে দেখার আলাপ হচ্ছে। প্রয়োজনে লবিস্ট, ল ফার্ম নিয়োগের কথা হচ্ছে।’
সরকার জনগণের করের কোটি কোটি টাকা খরচ করে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্ম পুষছে দাবি করে রুমিন ফারহানা বলেন, মজার ব্যাপার হচ্ছে, লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ কোনো নতুন বিষয় নয়। জনগণের করের কোটি কোটি টাকা খরচ করে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্ম পুষছে সরকার।
বিএনপির এই সাংসদ বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রে লবিং করতে শিখিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে লবিং সংস্কৃতির সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ অ্যালক্যাড অ্যান্ড ফে নামের লবিং প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ১২ লাখ ডলারের (১০ কোটি টাকার বেশি) বেশি দিয়েছে বলে দাবি বিএনপির এই সংসদ সদস্যের।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে সরকার: বিএনপি
ইসি নয়, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রতিই বিএনপির মনোযোগ: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে সরকার: বিএনপি
সরকার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে জানিয়ে জনগণ কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ভোক্তা পর্যায়ে দুই চুলার গ্যাসের দাম ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১০০ টাকা এবং এক চুলার দাম ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম তিনগুণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা যাবে না। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক। আমরা এই ধরনের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর শাখা যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, সরকার কয়েকদিন আগে জ্বালানি তেল, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, এতে জনগণের চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এবং ক্ষমতাসীনদের বড় কমিশন পাওয়ার সুযোগ তৈরি করছে।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা লুটপাট ও ‘দুর্নীতি’ করে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনদুর্ভোগ নিয়ে তারা কোনো চিন্তা করে না।
মোশাররফ বলেন, ‘আমরা এ সরকারের অন্যায় কর্মকাণ্ড আর সহ্য করব না। এই সব অন্যায় থেকে মুক্তি পেতে আমাদের অবশ্যই এই শাসনের পতন নিশ্চিত করতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করি।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) শান্তিরক্ষা মিশনে নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রায় ১২টি মানবাধিকার (এইচআর) সংস্থার জাতিসংঘে চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করেছিল মানুষের ওপর দমন-পীড়নের পরিণতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন জানে যে বাংলাদেশে কোনো মানবাধিকার নেই... বাংলাদেশের একটি সংস্থা ও তার কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে সর্বস্তরের জনগণ ও সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মোশাররফ।
আরও পড়ুন: ইসি নয়, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রতিই বিএনপির মনোযোগ: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ প্রত্যাখান বিএনপির
সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিতের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। তাছাড়া যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে করোনা মোকাবিলার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ডিসিদের সঙ্গে অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'যেহেতু কোভিড বাড়ছে,আমরা খুবই আতঙ্কিত না হলেও এটা আশঙ্কাজনক এবং চিন্তার কারণ। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি গতবার দ্বিতীয় ঢেউ বা প্রথমে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন এবারও সেভাবে সহযোগিতা আপনাদের কাছে আশা করি। আপনারা একটি জেলা পর্যায়ের কমিটির সভাপতিত্ব করেন, সেখানে সকলকে নিয়ে কাজ করবে। আমাদের যে স্থানীয় প্রতিনিধি আছেন তাদেরকে নিয়েও কাজ করবেন। এবং তাদেরকে নিয়ে কাজ করলে আপানাদের কাজ ভালো হবে, সফল হবে।
আরও পড়ুন: ডিসিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ২৪ দফা নির্দেশনা
তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিভাগ প্রস্তুত আছি। আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থায় আছি।আমাদের অক্সিজেনের অভাব নেই। প্রায় ১৩০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করা হয়েছে, যেটা আগে ছিলো না। আমাদের টেলিমেডিসিনের ব্যবস্থা রয়েছে, ২০ হাজার বেড রয়েছে। ৪০ হাজার নতুন লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, ১৫ হাজার ডাক্তার রয়েছে, ২০ হাজার নার্স রয়েছে, টেকনিশিয়ান রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি ভালো। সামনে চলমান ওমিক্রন যেভাবে বাড়ছে সেটার লাগাম ধরে রাখতে আমাদের কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, ১১ দফা বলতে পারেন। বিধিনিষেধগুলো যাতে বাস্তবায়ন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিয়েসহ বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান এখন বন্ধ থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরেছি। পাশাপাশি আমরা বলেছি ল্যান্ডপোর্ট, সিপোর্ট, এয়ারপোর্টেও স্ক্রিনিং চলছে। তাছাড়া যারা কোয়ারেন্টাইনে থাকে তারা যাতে ঠিকভাবে কোয়ারেন্টাইন মেনে চলে সে ব্যাপারে নজরদারি করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ ডিসি ও ২ বিভাগীয় কমিশনার করোনায় আক্রান্ত
এসময় যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ১৫ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি, আরও ৯ কোটি হাতে আছে। সবাইকে টিকা দেয়া হবে।সেটি আমরা করতে পারবো। ৯০ ভাগ শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শেষ হয়েছে।বাকীদেরও দেয়া হবে।
ইসি নয়, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রতিই বিএনপির মনোযোগ: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তাদের দল (বিএনপি) নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের খসড়া আইন নিয়ে কম চিন্তিত, কারণ তাদের মূল মনোযোগ নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রতি। তিনি বলেন, আমাদের দাবি একটি (নির্বাচনকালীন) নিরপেক্ষ সরকারের জন্য, নির্বাচন কমিশনের জন্য নয়।
বুধবার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনকালে গয়েশ্বর চন্দ্র এ মন্তব্য করেন।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচন হয়েছিল এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩টি আসন জিতেছিল।
সুতরাং নির্বাচন কমিশন বা এ বিষয়ে আইনের খসড়া নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ প্রত্যাখান বিএনপির
তিনি বলেন, খসড়া আইনে একটি বড় শর্ত হলো- গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বা আধা-সরকারি অফিসে বা বিচার বিভাগে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা না থাকলে কেউ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সদস্য হতে পারবেন না। এর মানে সরকারি কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কাউকে কমিশনে নিয়োগ দেয়া হবে না। আর সরকারি কর্মকর্তারা তো শেখ হাসিনার কর্মচারী।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, এমনকি সুশীল সমাজের সদস্য, শিক্ষাবিদ ও আইনজ্ঞরাও ইসির সদস্য হতে পারবেন না।
তিনি বলেন, সার্চ কমিটি আইনসম্মত ছিল না, কিন্তু আইন পাস হলেই তা আইনের আওতায় চলে আসবে। এর মানে অবৈধ জিনিস আইনের মাধ্যমে বৈধ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার মন্ত্রিসভায় ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’-এর খসড়ায় সংবিধান অনুযায়ী আইন করার অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে’
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে এবং সার্চ কমিটি সিইসি ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে উপযুক্ত প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) অন্য কোনো বিকল্প নেই। এখন আপনার ক্ষমতা ছাড়ার সময়ের ব্যাপার।
মেডিকেল ক্যাম্প থেকে চিকিৎসকরা ১৮০ জন দরিদ্র রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়া মাত্র এক মাস আগে বাকি থাকায় নতুন ইসি গঠনে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে নতুন বিধিনিষেধ: রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার কখনই লবিস্ট নিয়োগ করেনি, করার পরিকল্পনাও নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার তার গত তিন মেয়াদে কখনোই কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি। বরং বাংলাদেশ ও এর জনগণের সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে জানাতে এবং দেশের বিরুদ্ধে চালানো বিভিন্ন অপপ্রচারের বদলে দেশের বিভিন্ন সফলতাকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার জন্য ২০১৫ সালে একটি পিআর ফার্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনকালে এসব কথা বলেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এটা পরিষ্কার করতে চাই যে আওয়ামী লীগ সরকার তার গত তিন মেয়াদে কোনো লবিস্টকে নিয়োগ করেনি। আর এই মুহূর্তে কোনও লবিস্ট নিয়োগ করার পরিকল্পনাও আমাদের নেই। আমরা যা করেছি তা সম্পূর্ণরূপে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সাফল্যকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার জন্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী পার্লামেন্টে তার গতকালের বক্তব্যের পুনরুল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) লবিস্টের পেছনে কমপক্ষে ৩ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে।
এসময় শাহরিয়ার দেশে নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে তথ্যভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিবেদনের উল্লেখ করেন, যেগুলো গত চার-পাঁচ বছরে আন্তর্জাতিক মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক গণমাধ্যমে যখন কোনো নেতিবাচক ধারণা থাকে এবং কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ ও এর জনগণ সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু লেখে, তখন বাংলাদেশকেও সত্য দিয়ে এর মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা জনসংযোগ বা পিআর ফার্ম নিযুক্ত করেছি, কারণ সাধারণত দেশি- বিদেশি গণমাধ্যমে আমাদের অর্জনগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হয় না।
শাহরিয়ার বলেন, সরকার শুধু সেই কাজগুলোই করবে যা ‘আইনগতভাবে সঠিক‘’ এবং দেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে পরিচালিত কিছু গণমাধ্যম বিএনপি-জামায়াতের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে এবং তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছে।
তিনি বলেন, ‘ওই আটটি চুক্তির মধ্যে অন্তত তিনটিতে বিএনপির নয়া পল্টন কার্যালয়ের ঠিকানা মূল ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করে স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই টিকা নিতে পারবে: শিক্ষামন্ত্রী
শাহরিয়ার বলেন, ওয়াশিংটনে ব্লু স্ট্র্যাটেজিস, এলএলসি এর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল - সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে মে ২০২০ পর্যন্ত।
তিনি বলেন, বিএনপি কীভাবে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাঠিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে আটটি চুক্তি সংক্রান্ত এসব নথি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও জামায়াত একই মুদ্রার দুই পিঠ। চারটি নথিতে জামায়াতের নাম পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত যে এই চুক্তির বাইরে আরও অনেক কিছু আছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, লবিস্টকে কাজে লাগানো দোষের কিছু নয়, তবে ঘটনা আড়াল করে বাংলাদেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করা ঠিক নয়।
আরও পড়ুন: প্রজন্মের উন্নয়নে চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এটাকে লবিস্টদের বিরুদ্ধে সরকারের কূটনীতির পরাজয় হিসেবে দেখছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এটাকে আমাদের কূটনীতির বিরুদ্ধে পরাজয় হিসেবে দেখছি না।
র্যাবের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করছে এবং শিগগিরই উচ্চ পর্যায়ের মতবিনিময় হবে।
তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না। আমরা আশা করি সমস্যার সমাধান হবে।
তিনি আশা করেন যে তারা কোনো লবিস্টকে নিয়োগ না দিয়েই সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মধ্যেমে একটি ইতিবাচক ফলাফল আনবে।
শাহরিয়ার বলেন, যেখানে নগদ অর্থ জড়িত সেই পথ ব্যবহার করে তারা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে বিশ্বাসী না।
বাগেরহাটে ১২ থেকে ১৭ বছরের শতভাগ শিক্ষার্থীর টিকাদান সম্পন্ন
সারাদেশে গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবে যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না করতে হয় সে জন্য সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এছাড়া টিকা না নেয়া শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যেতে পারবে না বলেও জানানো হয়েছে। সরকারি এ ঘোষণা অনুযায়ী বাগেরহাট জেলার শিক্ষার্থীরা আগ্রহ চিত্তে করোনার টিকা নিয়েছেন। জেলার ৯টি উপজেলার ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের শতভাগ শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন।
বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, জেলায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী মোট এক লাখ ৩৬ হাজার ৬৫১ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার টার্গেট নেয়া হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত ওই বয়সের এক লাখ ৪১ হাজার ৩০৮ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এর ফলে ১০৩ শতাংশ শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত চার হাজার ৬৫৭ জন ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থী।
জেলার ১৪টি টিকাদান কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে টিকা নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৬৬৯ জন শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ বকসী জানান, ৫ ডিসেম্বর থেকে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু হয়। টিকাদান কর্মসূচির জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। এখন দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার বুস্টার ডোজে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্না
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, আমরা ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় এনেছি। এখন জানুয়ারি মাসের মধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনতে প্রচেষ্টা চলছে।
বাগেরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, জেলার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, জেলায় ১৮ বছরের ওপরে ৩৩ হাজার ১১২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ৫৩১ জন প্রথম ডোজ পেয়েছেন। বাকি তিন হাজার ৫৩১ জন অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন।
জেলা প্রশাসন সব শিক্ষার্থীকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসায় অভিভাবক ও শিক্ষক সকলেই খুশি। টিকার গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে নেয়া পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন তারা।
জেলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পাল জানান, তার বিদ্যালয়ের এক হাজার ৩৩০ জন শিক্ষার্থীর সবাই প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে।
মঙ্গলবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রের সামনে দেখা যায়, লম্বা সারিতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা করোনার টিকার- ফাইজার- দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
অপ্রিতা মহন্ত নামে জেলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়,নিবন্ধন করে মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তা (এসএমএস) পাওয়ার পর ৮ জানুয়ারি সে সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। এখন সে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাচ্ছে।
দ্বিতীয় ডোজের জন্য সে অপেক্ষা করছে এবং ক্ষুদেবার্তা পেলেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার কথা জানায় এই স্কুলছাত্রী।
শেখ আসাদুজ্জামান নামে এক অভিভাবক জানান, তার ছেলে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। এক মাস আগে ছেলে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। বাবা হিসেবে তিনি সচেতন হওয়ায় ছেলেকে সময় মতো টিকা দিতে উৎসাহিত করেছেন। ছেলের দ্বিতীয় ডোজ টিকার জন্য মঙ্গলবার সদর হাসপতাল কেন্দ্রে এসেছেন তিনি।
অনিতা বিশ্বাস, কোহিনুর বেগম, সুলতানা খাতুন, দেবাশীষ পাল, মোহন আলীসহ বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান, ১০ থেকে ১২ দিন আগে তাদের ছেলে-মেয়েরা প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে। তারা নিয়মিত স্কুল-কলেজেও যাচ্ছে।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিমুক্ত থাকতে দ্রুত টিকা নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে অভিভাকদের মধ্যেও হতাশা কাজ করে। সরকারি নির্দেশনা মেনে তাদের ছেলে-মেয়েদের টিকা দেয়া হয়েছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় চালু থাকলে ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে-এমটাই প্রত্যাশা তাদের।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, বাগেরহাটে মোট জনসংখ্যা ১৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৭ জন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ করোনার টিকা দেয়া হবে। সেই হিসাবে এ জেলায় ১২ লাখ ২১ হাজার ১০৫ জনকে করোনার টিকা দেয়া হবে।
এখন পর্যন্ত মোট ১০ লাখ সাত হাজার সাত জনকে করোনার প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ছয় লাখ ৭৫ হাজার ৮৯৫ জনকে। শতকরা হিসাবে জেলার মোট জনসংখ্যার ৫৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং টার্গেট জনসংখ্যার ৮২ দশমিক ৪৭ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। এছাড়া জেলার মোট জনসংখ্যার ৩৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং টার্গেট জনসংখ্যার ৫৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।