সরকার
ইটভাটার দূষণ শনাক্তে ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ ব্যবহার করবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
দূষণকারী ইটভাটা দ্রুত শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তার জন্য সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণকারী ও অবৈধ ইটভাটা শনাক্তকরণ ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তার জন্য ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ ব্যবহার করবে সরকার। এর ফলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অত্যন্ত ক্ষতিকর ইটভাটা শনাক্ত করে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা সহজ হবে। ফলে ইটভাটার সৃষ্ট বায়ুদূষণ হ্রাস করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: দ্রুত লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড পেতে পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইটভাটার দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুত করা ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ উপস্থাপনাবিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটর যৌথ উদ্যোগে আইটি ও রিমোর্ট সেন্সিং প্রযুক্তি নির্ভর ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ তৈরি করা হয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই ট্র্যাকারের সহায়তায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এবং এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম জোরদার ও সফল হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. মার্টিন ম্যাটসন সহ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকমুক্ত দেশ গড়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মজুতদারি রোধে কঠোর হবে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
অবৈধভাবে মজুতের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে তেল ও চিনির দাম না বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
রমজানের আগে যারা মজুত করে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হতে দ্বিধা করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সারাদেশে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর এক কোটি পরিবার কার্ডধারীর মধ্যে জানুয়ারি মাসে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পণ্যের অবৈধ মজুত রেখে সরকার বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে দেবে না। যারা বেশি মুনাফার লোভে অন্যায়ভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
টিটু আরও বলেন, 'ভয় দেখানো বা জরিমানা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে সব পণ্য যেন সহজে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে যায়, তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করুন এবং যারা সৎভাবে ব্যবসা করবেন তাদের সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। যেসব ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে সুবিধা নেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এছাড়া টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেলিম উল্লাহ (সালু) অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। সব পণ্যই উৎপাদন এবং মজুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এরপরও দাম বেশি কেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাংস, ডিম এবং মাছের মূল্য কেন বেশি, এসব কেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজানে এক সপ্তাহ আগে থেকে ন্যায্যমূল্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মাছ, মাংস ডিম ন্যায্য মূল্যে বিক্রি হবে।
মন্ত্রী বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে ভর্তুকি দিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। রমজানের কয়েকদিন আগে থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হবে।
বস্তি এলাকা এবং কিছুটা দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকায় এ কার্যক্রম চলবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
মন্ত্রী বলেন, আমি একটা সম্পূর্ণ নতুন জায়গায় এসেছি। এই জায়গাটা নিয়ে আমার কোনো অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠেনি। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার একটি পরিপূর্ণ অংশ এই মন্ত্রণালয়টি।
তিনি বলেন, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয়তা, বিশেষ করে পুষ্টিজনিত খাবারের ব্যাপারটি এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জড়িত। সেই ক্ষেত্রে এই জায়গাটিতে কিছু মৌলিক কাজ আছে, সেগুলো আমাদের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, আমরা এখন সারা পৃথিবীতে তৃতীয় অবস্থানে আছি। আমরা যাতে আরও বেশি দূর যেতে পারি, এমনকি আমাদের অবস্থান, আরও উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান
তিনি বলেন, আজ আমরা মাছে ও গবাদিপশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতিবছর ঈদুল আজহায় যে এক কোটি পশু কোরবানি হয়, সেটার জন্য বাইরে থেকে আমদানি নির্ভরতা একেবারেই নেই।
তিনি বলেন, এতে দুটো জিনিস হয়েছে। এসব গরু-ছাগল আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সীমান্ত হত্যাটা হতো। যেহেতু বাইরে থেকে গবাদিপশু আনা বন্ধ হয়েছে, সেহেতু সীমান্ত হত্যাটাও কমে গেছে, নেই বললেই চলে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের এখন ডেইরিতে আরও কিছু কাজ করার প্রয়োজন। আমাদের দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে আরও কিছু কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মা ইলিশ ও বাচ্চা ইলিশ ধরার যে প্রবণতা ছিল, সেগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাছ ধরা নিষেধ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সেটার সুফল পেয়েছি। এ বিষয়টি অব্যাহত রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্যজীবীদের যে প্রণোদনা দেওয়া হয়, সেটা একটু বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব। যাতে তাদের প্রণোদনা বাড়িয়ে মাছ ধরার নিষিদ্ধের সময়টা আরেকটু বাড়ানো যায়। তাতে আমরা আরও সমৃদ্ধ হব।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: ওবায়দুল কাদের
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের ওপর বড় ধরনের বোঝা রয়ে গেছে বলে স্বীকার করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে সরকার এসব পণ্যের মূল্য সামর্থ্যের মধ্যে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।’
সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রাথমিক চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন,‘পদ্মা সেতু ও ঢাকা মেট্রোরেল উদ্বোধনের পরেও সড়কে শৃঙ্খলা এখনও ঠিক হয়নি। আমরা একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি, যা বাস্তবায়িত হলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাবে।’
ওবায়দুল কাদের জাতীয় উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করেন এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, 'অনেক সংশয় থাকা সত্ত্বেও আমরা সফলভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছি। আমরা আরও চ্যালেঞ্জ প্রত্যাশা করছি, আমরা নির্ভীক এবং তাদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’
সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
নতুন সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এই তিন চ্যালেঞ্জ সামনে রয়েছে। এই তিন খাতে বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা এত সহজ নয়।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন বলেন, 'এই সংকট কাটিয়ে আমরা আজ একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী প্রভাবের কারণে।’
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের পথে কখনো ফুল আসেনি। জন্ম থেকেই আমাদের কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব। সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ওবায়দুল কাদের
৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
নির্বাচন হয়েছে সরকার বনাম সরকার: তৈমূর
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, নির্বাচন হয়েছে সরকার বনাম সরকারের। দেশ একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা সাজানো নির্বাচনে আর যাবো না। আমাদের সকল প্রার্থীরা ঢাকায় আসবে। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব।
আরও পড়ুন: অদৃশ্য শক্তির মতো আইভীর মাথার ওপর আমার হাত আছে: তৈমূর
বুধবার(১০ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ প্রদান শেষে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের জন্য দেশে সুষ্ঠু রাজনীতি সম্ভব না। আগামী প্রজন্মও পারবে না। তৃতীয় প্রজন্ম হয়ত পারবে। সরকার ভাবে ক্ষমতা ছাড়লে আমাকে জেলে যেতে হবে। সেকারণেই ওরা নির্বাচন কুক্ষিগত করে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোন ক্ষমতা নেই। প্রশাসনও সরকারের আজ্ঞাবহ। সিইসির সচিবের বক্তব্য শুনেছেন, সে বলেছে ডিসিদের কাছে মেসেজ চলে গেছে। সে অনুযায়ী রেজাল্ট হবে। আমরা সবসময় রাজপথে ছিলাম। বাকি জীবনও আমাকে রাজপথেই থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: আমৃত্যু নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করবো: আইভী
তৈমূর বলেন, যখন চোখের সামনে দেখলাম এই ব্যারিস্টার সুমনও বলেছে সরকার বনাম সরকার নির্বাচন। এটা তাদের মুখেরই কথা। রূপগঞ্জের দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী শমসের ডাকাত ও রীতা মেম্বার। আমরা বারবার নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে বলে এসেছি। আমাদের কাছে ডকুমেন্টস আছে।
আমরা বলেছি- এরকম সিরিজ মামলার আসামিদের আইনের আওতায় আনা হোক। কিন্তু আমরা কোন প্রতিকার পাইনি। নির্বাচনের দিন চনপাড়ায় রেজাল্ট ঘোষণার পর সমশের বাহিনী ও রিতা বাহিনী আমার কর্মীদের বাড়িঘর লুটপাট করে। আমি আজ এই পরিবারটিকে নিয়ে এসপি অফিসে এসেছি।
আরও পড়ুন: সবার নজর নারায়ণগঞ্জে
যেহেতু তারা আমার নির্বাচন করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসপি সাহেব আশ্বস্ত করেছেন যে তারা নির্বিঘ্নে চনপাড়ায় বসবাস করতে পারবে। তিনি ওসিকে ফোনে নির্দেশনাও দিয়েছেন।
সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, সরকার যেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চেয়েছে সেখানেই নিরপেক্ষ হয়েছে; যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর সেনপাড়ায় স্কাইভিউ বাসভবনে নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিকে ভোট দিন: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, নির্বাচন সার্বিকভাবে ভালো হয়নি। যে রকম আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই হয়েছে। সরকার যেখানে নিরপেক্ষ করতে চেয়েছে সেখানে নিরপেক্ষ হয়েছে। সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সেটাই হয়েছে।
সরকারের নিয়ন্ত্রণে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, আমার বিশ্বাস এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
জিএম কাদের বলেন, একটি পক্ষ আমাদের রাজনীতিটা নষ্টের চেষ্টা করছে। এখানে সরকারও মদদ দিচ্ছে বলে আমার ধারণা।
জিএম কাদের বলেন, রবিবার যে নির্বাচন হয়েছে তাতে আমরা আশানুরূপ ফলাফল পাইনি। আমরা একটা পরিবেশ চেয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম যেন প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে এবং আমাদের প্রার্থীরা অর্থ ও অস্ত্রের প্রভাবমুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
তিনি বলেন, তারা আমাদের কথা দিয়েছিলেন, নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু ভোটারদের হুমকি, এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র দখল করে ভোট দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সম্পূর্ণ তাদের পক্ষে কাজ করেছে। কিন্তু তারা কথা দেওয়ার পরেও কথা রাখেনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান যেখানে ছিল সেখানেই আছে।
এসময় ঢাকা, চাঁদপুর, জামালপুর, কুমিল্লা, শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার চিত্র ধরে জিএম কাদের বলেন, এসব জায়গায় আমাদের প্রার্থীদের যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল বেরিয়ে আসার। কিন্তু সেটা করতে দেওয়া হয়নি।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া ভুল ছিল কি না- সে বিষয়ে এখনই মূল্যায়ন করা যাবে না। সামনের দিনগুলো দেখতে হবে।
ফলাফল প্রত্যাখ্যান এবং সংসদে না যাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এসময় দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সারাদেশে জাপা প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে: জিএম কাদের
সৌদি সরকারের সঙ্গে হজচুক্তি সম্পাদিত
সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তি-২০২৪ সম্পাদিত হয়েছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সৌদি আরবের জেদ্দায় স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় এ চুক্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠায় নতুন করে নির্বাচন ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি বিএনপির
বৈঠকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ও বাংলাদেশের হজযাত্রীদের কল্যাণে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
হজ এজেন্সির সংখ্যা না কমিয়ে অন্যান্য বছরের ন্যায় সব এজেন্সিকে রেখে হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সৌদি উপমন্ত্রীকে জোরালো অনুরোধ করেন হাব সভাপতি।
এজেন্সির সংখ্যা না কমিয়ে পূর্বের মতো রাখা হলে হজযাত্রীদের সেবা প্রদানে সুবিধা হবে এবং বাংলাদেশি বয়োবৃদ্ধসহ সব হজযাত্রীর কল্যাণের কথা চিন্তা করে হজ এজেন্সির সংখ্যা না কমানোর পক্ষে বিস্তারিত যুক্তি তুলে ধরে সৌদি উপমন্ত্রীকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য হাব সভাপতি অনুরোধ করলে সৌদি উপমন্ত্রী তা বিবেচনার আশ্বাস দেন।
তাছাড়া হজযাত্রীদের লাগেজ পরিবহন ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, মিনা আরাফায় তাঁবু ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও হজের ১০ দিন আগে এজেন্সিকে তাবু বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে হাব সভাপতি হাব সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: বর্জনের আহ্বান সফল হওয়ায় ভোটারদের অভিনন্দন বিএনপির
সভায় ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার হজ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয় এবং হজযাত্রীদের সুযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সভাশেষে দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী এবছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি হজ পালনের সুযোগ পাবেন।
সৌদি আরবের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আব্দুল ফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ধর্মমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মতিউল ইসলাম, পরিচালক (হজ অফিস) সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর (হজ) জেদ্দা জহিরুল ইসলাম, কনসাল (হজ) জেদ্দা আসলাম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের অভিনন্দন
বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায়নি কানাডা সরকার: হাইকমিশন
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কানাডা সরকার কোনো নির্বাচণ পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। পর্যবেক্ষক হিসেবে চিহ্নিত কানাডিয়ান দুই নাগরিক স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটারে) এই তথ্য জানিয়েছে ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশন।
এতে বলা হয়, নির্বাচন বিষয়ে তাদের(দুই পর্যবেক্ষকের) প্রদত্ত মতামতের সঙ্গে কানাডা সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই।আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন 'অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরাপদ' হয়েছে: সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষকরা
নির্বাচনকে 'অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সফল' বললেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও রাশিয়ার পর্যবেক্ষকরা
৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে, সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা সিইসির
সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আন্তরিকতা ও সহযোগিতার কারণে রবিবারের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু সরকারের আন্তরিকতা রয়েছে..... এবং সরকারের আশ্বাস অনুযায়ী আমরা সহায়তা পেয়েছি, তাই দলীয় সরকারের অধীনে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে: সিইসি
ভোট গ্রহণ শেষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্দলীয় নির্বাচন করতে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা কিছুটা চ্যালেঞ্জ।
সিইসি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রায় ৪০ শতাংশ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভোট দিয়ে সংসদ-সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
তিনি বলেন, 'আজকের নির্বাচনে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। তবে এই বিষয়ে (চূড়ান্ত অনুমান) সব তথ্য সংগ্রহের পরে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এই নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য হবে কি না তা ফলাফল প্রকাশের পরে জানা যাবে। আপনারাই এর বিচার করবেন।’
আরও পড়ুন: রবিবারের নির্বাচন দেশে-বিদেশে বিশ্বাসযোগ্য হবে: সিইসি