সরকার
রাজনৈতিক ফায়দার জন্য আবারো আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে সরকার: ট্রেনে অগ্নিসংযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিএনপি বলেছে, সরকার বিরোধী দলকে দোষারোপ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আগুন নিয়ে খেলছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকার আবারো আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। তারা একতরফা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অতীতের মতো পুরানো খেলায় মেতে উঠেছে।’
৭ জানুয়ারির 'ডামি' নির্বাচনের প্রতিবাদে আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া ৪৮ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে পিকেটিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী দাবি করেন, এর আগেও ক্ষমতাসীন দল অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গতকালের (শুক্রবার) বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনা সরকারের পুরানো খেলার অংশ বলে জনগণ বিশ্বাস করে।’
গণতন্ত্রের জন্য বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের আন্দোলনে জনগণ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়ে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, ‘কর্তৃত্ববাদী দেশের মতো নির্বাচন আয়োজন করতে সরকার একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে, আর দায় চাপাচ্ছে বিরোধী দলের ওপর।’
তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দলগুলো, বিশেষ করে বিএনপিকে নির্মূল করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যায়িত করে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এ ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত: মোমেন
সরকার ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কৃত্রিম উপস্থিতি দেখাতে চায়: মঈন খান
রবিবারের নির্বাচনে কৃত্রিম ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য সরকার ভোটারদের ভয় দেখানোসহ বিভিন্ন অসাংবিধানিক, অনৈতিক ও প্রতারণামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. আবদুল মঈন খান।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা সরকারের সব ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে 'প্রহসনের' নির্বাচনে বর্জন করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মঈন খান
ভোটের মাত্র দুই দিন আগে মঈন খানের গুলশানের বাসভবন প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ বানচালের পর এটাই ছিল বিএনপির প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় আসন ভাগাভাগি ও বণ্টনের একতরফা নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনা চলছে। সরকার ডামি প্রার্থী ও ডামি দল তৈরি করে থেমে নেই, কারণ তারা এখন জোর করে ডামি ভোটার তৈরির দিকে মনোনিবেশ করেছে।’
আরও পড়ুন: বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই একমাত্র লক্ষ্য: মঈন খান
তিনি বলেন, বিএনপিসহ ৬২টি গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি দেশের সব শ্রেণি-পেশার ভোটার এবং দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিক ইতোমধ্যে তথাকথিত নির্বাচন বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, 'ক্ষমতায় টিকে থাকতে মরিয়া হয়ে অবৈধ সরকার আসন বণ্টন ব্যবস্থাকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। তাই আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের চিহ্নিত মহল ষড়যন্ত্রের নীলনকশা প্রণয়ন করেছে।’
জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত 'অর্থহীন' নির্বাচনে কৃত্রিম ভোটারদের উপস্থিতি দেখানোর জন্য সরকার যেভাবে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে, তা নৈতিকভাবে গণবিরোধী ও রাজনৈতিকভাবে শিশুসুলভ।
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না: মঈন খান
তিনি বলেন, 'ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য তাদের সব কৌশলের তালিকা এখন আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের কাছে স্পষ্ট।’
ড. মঈন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তার অধীনস্থ রাষ্ট্রযন্ত্র মিথ্যা ও জাল ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য অসংখ্য অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
ভোটারদের ভয় দেখানোর অংশ হিসেবে তিনি বলেন, সরকারের এমপিরা হুমকি দিচ্ছেন যে, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির লাখ লাখ সুবিধাভোগী ভোটকেন্দ্রে না গেলে তারা তাদের আর্থিক সুবিধা হারাবেন।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করছে সরকার: ড. মঈন খান
মঈন বলেন, বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ মানুষ বিভিন্ন সামাজিক সুবিধা পাচ্ছেন, যা সব সরকারের অধীনে একটি চলমান প্রক্রিয়া। এসব সুবিধাভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বলা হচ্ছে, ৭ জানুয়ারি ভোট না দিলে তাদের ভাতা বাতিল করা হবে।
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা জোরপূর্বক কৌশল অবলম্বন করে অনেক জায়গায় সরকারি সুবিধাভোগীদের কার্ড জব্দ করতে শুরু করেছেন। সুবিধাভোগীদের ঘরে ঘরে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যে তারা যদি ভোটকেন্দ্রে না যায় এবং জনসমক্ষে ভোট না দেয় তবে তারা তাদের কার্ড ফেরত পাবে না। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের ভোট দিতে বাধ্য করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: ড. মঈন খান
এছাড়া সারাদেশে প্রায় ২০ লাখ সরকারি কর্মচারীকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে সরকার বেআইনিভাবে নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রশাসনের একটি বড় অংশের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। এটি সরকারি কর্মকর্তাদের ভোটাধিকার নিয়ন্ত্রণের একটি প্রচেষ্টা।’
ড. মঈন বলেন, অবৈধ সরকার ও তার অধীনস্থ রাষ্ট্রযন্ত্র নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোস্টাল ভোট গ্রহণের দিকে মনোনিবেশ করেছে। ‘একই সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারসহ বিভিন্ন নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের এক লাখের বেশি কর্মকর্তাকে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে বলা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না সরকার: মঈন খান
তিনি বলেন, তথাকথিত নির্বাচনের দিন আনসার ও ভিডিপির ৬১ লাখ সদস্যের একটি বড় অংশ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবে। তাদের প্রত্যেকের জন্য ডাকযোগে ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং প্রতিটি পরিবারের কমপক্ষে পাঁচজন সদস্যকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সদর দপ্তর থেকে প্রতিটি ইউনিট ও ব্যাটালিয়নকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, সারাদেশে পুলিশ সদস্যরা ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর মিশনে নেমেছে।
তিনি বলেন, 'ঢাকার পুলিশ কমিশনার নিজে দুই সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের ডেকে ভোটকেন্দ্রে যতটা সম্ভব ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের এসপি ও ওসিরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রচারে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং জনগণকে ভোট দিতে বলছেন। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর রাজনৈতিক দায়িত্ব পুলিশকে কে দিয়েছে? এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের সাংবিধানিক ও আইনগত ভিত্তি কী?’
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নেতারা ভোটকেন্দ্রে না গেলে জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল ও বিভিন্ন ইউটিলিটি সেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
ড. মঈন বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা নানা কৌশল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও জাল ভোট দিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রহসনের’ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না: মঈন খান
তিনি জনগণকে সাহসের সঙ্গে অবৈধ সরকারের হুমকি মোকাবিলা এবং যারা তাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করছে তাদের নাম রেকর্ড রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, 'আমরা বলতে চাই, এই একদলীয় সরকারের সময় শেষ। সুতরাং তাদের অন্যায্য ও অবৈধ হুমকিনিয়ে চিন্তা করার আর কোনো কারণ নেই। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের জনগণ শিগগিরই একদলীয় শাসনের কবল থেকে মুক্ত হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার বিএনপির ওপর দোষ চাপানো এবং তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার জন্য যানবাহন ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মতো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল একতরফা নির্বাচন করে জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলছে, দেশ ও এর সব অর্জনকে ধ্বংস করছে।
আরও পড়ুন: আগামী ৭ জানুয়ারি চরম পরাজয়ের মুখে পড়বে সরকার: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান নির্বাচন বয়কটের অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমরা জনগণকে ধর্মঘট পালন ও নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানিয়েছি। সেজন্য আমাদের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করবেন।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ আজকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়: মঈন খান
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না সরকার: মঈন খান
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে, তাই তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভয় পাচ্ছে। এ কারণেই তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করছে না। এটাই প্রধান কারণ, যে যাই বলুক না কেন।’
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করলে সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনকে কেন এত ভয় পায়- এ প্রশ্ন তোলেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘এবার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করুন, তাহলে দেখবেন আগামী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ আবারও আনন্দের সঙ্গে আপনাদের ভোট দেবে।’
তিনি বাংলাদেশের জনগণের চরিত্র ও মনস্তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বুঝে রাজনীতি করার জন্য ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ হস্তক্ষেপ করছে: রিজভী
যদিও নির্বাচনের আট দিন বাকি তবে ডক্টর মঈন মনে করেন, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ করার এবং দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খুঁজে বের করার জন্য সরকারের এখনও সময় আছে।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি এখনও অনেক দূরে... এই সহিংস সংঘর্ষের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আলোচনা করুন। আপনারা সরকারে আছেন বলে আমি আপনাদের অনুরোধ করছি। সুতরাং, এই বিষয়ে মূল সিদ্ধান্ত নেওয়া আপনার দায়িত্ব।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, দেশের স্বার্থে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সংঘাত এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিতে ফিরতে হবে।
সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. মঈন বলেন, দেশের জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে গণমাধ্যম অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ...আধুনিক বিশ্বে সংবাদপত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা দেশ চালাচ্ছেন তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করাই গণমাধ্যমের প্রধান দায়িত্ব। এই কারণে, বিশ্বের সব সরকার মিডিয়াকে ভয় পায়।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, গণমাধ্যমগুলো সরকারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী, কারণ তারা তাদের কলম দিয়ে যেকোনো সরকারের পতন নিশ্চিত করতে পারে।
সরকারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের নিজেদের মধ্যে বিভেদ ও সংঘাত দূর করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের নামে প্রহসনমূলক খেলা বানচাল করতে জনগণের প্রতি আহ্বান বিএনপির
শনিবার পর্যন্ত চলবে বিএনপির গণসংযোগ কর্মসূচি
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা সরকারের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সোনিয়া হাসানের সই করা একটি গ্যাজেট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারী এবং সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে।
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: ৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে চিঠি দিয়েছে ইসি
আ. লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: ড. মঈন খান
বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের দল রাজপথে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মৌলিক অধিকার এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা রাজপথে রয়েছি এবং এই স্বৈরাচারী সরকারকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আমরা এই লক্ষ্য নিয়ে রাজপথে থাকব।’
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পথচারীদের মাঝে আসন্ন নির্বাচন বর্জনের জন্য তাদের দলের আহ্বান সম্বলিত লিফলেট বিতরণকালে এই প্রবীণ নেতা এসব কথা করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন বলেন, তাদের দল অসহযোগ আন্দোলনের মতো সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকারকে অপসারণ করে দেশে একটি গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘মানুষকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে আমরা রাজপথে লিফলেট বিতরণ করছি। প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা জনগণের সঙ্গে কথা বলছি।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে বলে দাবি করলেও জনগণের ভোটকে কেন এত ভয় পায়?
আরও পড়ুন: রবিবার ফের বিএনপির অবরোধ
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) কেন (আসন) ভাগাভাগি ও বণ্টনের ভুয়া একতরফা নির্বাচন করছে? এটা এখন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রশ্ন।’
বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা শাখা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ড. মঈন ৭ জানুয়ারির আসন্ন নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে বিরোধী দলের অবস্থানের পক্ষে জনসমর্থন জোগাড় করতে লিফলেট বিতরণ করেন।
এর আগে সকালে রাজধানীর রামপুরা ও শাহজাহানপুর এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রামপুরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নিজেরাই ডামি প্রার্থী দিয়ে প্রহসনমূলক নির্বাচনের আয়োজন করছে।
তিনি বলেন, সরকার প্রতিবেশী দেশের সহায়তায় ভোট না দিয়ে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ক্ষমতা দখল করে। ‘তারা আবারও দেশের জনগণের মতামত উপেক্ষা করে প্রতিবেশী দেশের সমর্থনে আরেকটি মঞ্চ-পরিচালিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে।’
এই বিএনপি নেতা দেশবাসীকে নির্বাচন বর্জন এবং ৭ জানুয়ারি ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর নেতারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২১-২৩ ডিসেম্বর গণসংযোগ এবং ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী অবরোধের ঘোষণা বিএনপির
আজ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ঘোষণা বিএনপির
৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে সরকার
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত লাইসেন্সধারীদের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শনে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইসরাত জাহানের সই করা এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আর্মস অ্যাক্ট ১৮৭৮ অনুযায়ী লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
জাতীয় নির্বাচন: প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাহারায় ১৫-১৭ জন নিরাপত্তাকর্মী থাকবেন
আজ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ঘোষণা বিএনপির
বিএনপি আজ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে 'অসহযোগ আন্দোলনের' ঘোষণা দিয়েছে এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
রিজভী বলেন, আজ থেকে সরকারকে সহযোগিতা না করার জন্য সর্বস্তরের জনগণ ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এখন থেকে জনগণকে কর না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘রাজ্জাকের বক্তব্য বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার-জেলে রাখার সরকারের পরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ’
তেজগাঁওয়ে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ: অবিলম্বে নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি বিএনপির
‘রাজ্জাকের বক্তব্য বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার-জেলে রাখার সরকারের পরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ’
রাজ্জাকের বক্তব্য বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার ও জেলে রাখার সরকারের পরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, কারাবন্দী বিএনপি নেতাদের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা আব্দুর রাজ্জাক যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বোঝা যায়, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ এবং বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার করে জেলে রাখার মতো রাজনৈতিক সহিংসতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্বপরিকল্পিত।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব অভিযোগ করেন।
এসময় তিনি বলেন, বিচার বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আসন ভাগাভাগির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে বিএনপির ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে সত্য প্রকাশ করেছেন।’
রিজভী বলেন, ‘মন্ত্রী আরও দাবি করেছেন, বিএনপিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করা হবে এবং তাদের সব নেতাকে রাতারাতি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু বিএনপি তাতে রাজি হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীর এই স্বীকারোক্তি প্রমাণ করেছে বিএনপির ২৮ অক্টোবরের জনসভা বানচাল করার পর পুলিশের সহিংসতা, হত্যা, মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তার ও বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের বাড়িতে চলমান অভিযান এবং গ্রেপ্তার বাণিজ্য শেখ হাসিনার পরিকল্পিত।’
বিএনপির জেষ্ঠ এই নেতা বলেন, রাজ্জাক অবশেষে স্বীকার করেছেন দেশের আইন, আদালত, বিচার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রযন্ত্র সবই আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে।
আরও পড়ুন: শুধু সরকারপন্থী দলগুলোই 'পাতানো' নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে: বিএনপি
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ ও আওয়ামী লীগ একই সত্তায় পরিণত হয়েছে। দেশে আলাদা কোনো সত্তা নেই, কোনো আইন নেই... সবকিছু শেখ হাসিনার নির্দেশেই চলছে।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও দেড় লাখ মামলা হয়েছে। ‘সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের কারাগারে হত্যা করে বিচার বিভাগের অস্তিত্ব ধ্বংস করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ আইন অনুযায়ী চলছে না, শেখ হাসিনার নির্দেশে গণভবনের নির্দেশ অনুযায়ী চলছে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জেল-জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। আব্দুর রাজ্জাক তার বক্তব্যের মাধ্যমে তা প্রমাণ করেছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগ, জনগণের বিচারের শেষ আশ্রয়স্থল, আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতাদের বিচার বিভাগে নিয়োগের পর থেকে কার্যত আওয়ামী লীগের একটি ইউনিটে পরিণত হয়েছে। ‘স্বাধীন বিচার বিভাগ ও আইনের শাসনের আওয়ামী মডেলের বিষয়টি কৃষিমন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট।’
তিনি দাবি করেন, বিনা বাধায় ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ২০ হাজারেরও বেশি ‘নিরপরাধ’ বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে, তাদের জামিনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনার বর্তমান ‘স্বৈরাচারী’ সরকারের প্রশংসা করার জন্য সাংবাদিক ও ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরকে কটাক্ষ করেন রিজভী।
ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে (এফএসএ) এক সেমিনারে বক্তৃতায় এম জে আকবর হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় মুক্তিদাতা, কারণ তিনি স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছেন।
রিজভী বলেন, ‘যারা তার সম্পর্কে জানতেন তারা তার বক্তৃতা শুনে হতবাক হয়েছিলেন...এম জে আকবর অন্ধ ব্যক্তির মতো স্বৈরাচারের প্রশংসা গেয়েছেন। এম জে আকবরের মতো একজন বিচক্ষণ সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ১৮ কোটি বাংলাদেশির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একজন স্বৈরশাসকের পক্ষে কথা বলতে পারেন কী করে?’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ জানতে চায় জনসমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনা ভারতের কী স্বার্থ রক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ একতরফা আসন ভাগাভাগির নির্বাচন করছে: খোকন
বিএনপিকে বিজয় দিবসের সমাবেশের অনুমতি দিতে গড়িমসি করছে পুলিশ: রিজভী
মালয়েশিয়ায় একদিনে সবচেয়ে পাসপোর্ট বিতরণ
মালয়েশিয়া সরকার ঘোষিত অনথিভুক্ত বা অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ কর্মসূচি ‘রিক্যালিব্রেশনের ২.০’ নির্ধারিত সময়ের (৩১ ডিসেম্বর) মধ্যে যাতে প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারেন বা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুরে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় একদিনে সবচেয়ে বেশি পাসপোর্ট বিতরণ করেছে।
হাইকমিশনের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী- নির্ধারিত তারিখে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে যারা পাসপোর্ট পেতে আবেদন করেছিলেন এমন তিন হাজার ১২৪ জনকে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুরের সিটি ব্যাংক লিমিটেড (সিবিএল) মানি ট্রান্সফার হাউস থেকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: জুনে শুরু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট বিতরণ
এর ফলে এ বছর এখন পর্যন্ত হাইকমিশন থেকে ১ লাখ ১০ হাজার ১১টি পাসপোর্ট বিতরণ করা হলো।
উল্লেখ্য যে, মালয়েশিয়ায় চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অনথিভুক্ত বা অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ কর্মসূচি ‘রিক্যালিব্রেশন ২.০’ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।
এ সময়ের মধ্যে যাতে প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারেন বা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন সেই লক্ষ্যে পোস্ট অফিসের পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সার্ভিস সেন্টার ও কুয়ালালামপুরের সিবিএল মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স হাউস থেকে যৌথভাবে সরাসরি পাসপোর্ট বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
হাইকমিশনের এই বিশেষ ব্যবস্থাপনার আওতায় আগামী ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সার্ভিস সেন্টার থেকে এবং ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরের সিবিএল মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স হাউস থেকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা।
পাসপোর্ট নির্ধারিত স্থান থেকে সংগ্রহে- লিংকে গিয়ে https://appointment.bdhckl.gov.bd/other অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট ব্যতীত পাসপোর্ট বিতরণ সম্ভব হবে না বিধায় নির্ধারিত তারিখের আগেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য বিদ্যমান পোস্ট অফিসের সার্ভিসটিও চালু থাকবে।
তবে একইসঙ্গে দুই প্রকার সার্ভিসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে প্রবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছে হাইকমিশন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে ই-পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ই-পাসপোর্ট বিতরণ জুলাইয়ে শুরু হতে পারে
মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি হত্যা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে তার সরকারকে উৎখাত করতে পারবে না।
বিএনপির ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'মানুষ হত্যা করে তারা সরকারকে উৎখাত করতে পারে না। কোন ধরনের রাজনীতি করছে তারা?'
বুধবার(১৩ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
গাজীপুরে রেললাইন উপড়ে ফেলার কারণে ট্রেন দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় গ্যাসচালিত মেশিন দিয়ে প্রায় ২০ ফুট রেললাইন কেটে ফেলা হয়।
নেত্রকোণা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের আটটি বগি গাজীপুরে লাইনচ্যুত হয়ে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসীরা এর আগেও একাধিকবার একই কাজ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
তার মানে এটি ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত করে মানুষকে হত্যার চেষ্টা। তারা জনগণকে হত্যা করে সরকার উৎখাত করতে চায়। মানুষ হত্যা করে তারা আন্দোলন থেকে কী অর্জন করতে পারে?
তিনি আরও বলেন, বিএনপি অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রেখেছে এবং প্রতিদিন হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করছে। ধর্মঘট ও অবরোধের অর্থ কিছু বাস ও ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়া।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েছি, তখন তারা যদি এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) জনগণের কাছে যাওয়া উচিত এবং জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে। ‘আমরা ক্ষমতায় টিকে থাকার কোনো চেষ্টা করছি না। আমরা যতদিন ক্ষমতায় আছি ততদিন বাংলাদেশের উন্নয়ন করছি। কেউ অস্বীকার করতে পারে না যে, দেশের উন্নয়ন হয়েছে। আজ বাংলাদেশ আমূল বদলে গেছে।’
আরও পড়ুন: সার কারখানা স্থাপন করে ভোলার গ্যাস ব্যবহার করা যায় কি না মূল্যায়ন করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, যারা রেললাইন তুলে ফেলে বা মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করে, তাদের মধ্যে মানবিকতা বোধ বলতে কিছু নেই। সুতরাং জনগণকেই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের জন্য কোনো ক্ষমা নেই। তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আমি জনগণকেও তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বলব।’
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনিদের জন্য শুকনো খাবার ও জামাকাপড়সহ ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে এবং তাদের জন্য আরও ত্রাণ সামগ্রী পাঠাবে।
মাহবুবুল আলমকে সভাপতি করে ২০২৩ সালের আগস্টে ২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য এফবিসিসিআইয়ের নতুন কমিটি নির্বাচিত করা হয়।
নবনির্বাচিত সহসভাপতি আমিন হেলালী, খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার ও জোশোদা জীবন দেবনাথ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী স্পেনের ব্যবসায়ীরা: বিদায়ী রাষ্ট্রদূত