সরকার
বিদেশফেরত দুই লাখ কর্মীকে ২৭০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
করোনা মহামারির সময় বিদেশফেরত দুই লাখ কর্মীকে ২৭০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার।
এজন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (আরএআইএসই বা রেইজ)- শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ভবনে প্রকল্পের বিষয়ে অবহিত করতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
এসময় প্রকল্প পরিচালক ও সরকারের যুগ্ম সচিব সৌমেন্দ্রনাথ সাহাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভার আয়োজন করেপ্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।
সভায় জানানো হয়, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ হারিয়ে ২০২০ সালে প্রায় পাঁচ লাখ কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। প্রত্যাগত বিদেশফেরত অধিকাংশ কর্মী কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্থকষ্টসহ সমাজে নানা ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
আরও পড়ুন: বোরোতে উফশী ধানের উৎপাদন বাড়াতে ১০৮ কোটি টাকার প্রণোদনা: কৃষি মন্ত্রণালয়
এতে আরও বলা হয়েছে, এই কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হলে সমাজে অস্থিরতাসহ নানাধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তাদের পুনঃএকত্রীকরণের (রি-ইন্টিগ্রেশন) লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় রেইজ প্রকল্পের আওতায় বিদেশফেরত কর্মীদের পুনর্বাসন ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
সহযোগিতার মধ্যে দুই লাখ কর্মীকে এককালীন ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে প্রণোদনা দেওয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এ প্রণোদনা দেওয়া হবে।
এছাড়াও, তাদের আত্মকর্মসংস্থানে সহযোগিতা, ঋণ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা, দক্ষতা সনদ প্রদান, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করা হবে।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, প্রণোদনার মূল উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে আমাদের সঙ্গে তাদের যুক্ত করা। শুরুতে যে পরিমাণ রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা আশাব্যঞ্জক। এই প্রজেক্ট তার গন্তব্যে পৌঁছবে। প্রজেক্টটি করোনাকালে যারা ফেরত এসেছে তাদের নিয়ে শুরু করেছি। তবে আমরা ভাবছি করোনা পরবর্তীতেও যারা এসেছে তাদের নিয়েও কাজ করার। আমরা চেষ্টা করি তাদের পাশে দাঁড়ানোর। তবে আমরা শতভাগ তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি না তথ্যের ঘাটতির কারণে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর কতজন কর্মী প্রবাসে যান সেটি আমাদের তালিকায় আছে। কিন্তু কতজন ফেরত আসেন তা কিন্তু আমাদের জানা নেই। তারা হয়তো জানেন না কিভাবে কি করতে হবে। কেউ হয়তো পুনরায় প্রবাসে যেতে চান। সেসব বিষয়ে তাদের সহযোগিতা করাই রেইজ প্রকল্পের লক্ষ্য। শুধু প্রণোদনা দেওয়া নয়, দক্ষতা উন্নয়নেও সহযোগিতা করবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। প্রবাস ফেরতদের কেউ ঋণ চাইলে আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে দেব। কেউ উদ্যোক্তা হতে চাইলেও আমরা সহযোগিতা করবো।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনকারীদের প্রণোদনা দেবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের বিষয়ে ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, প্রত্যাশী মানুষের সংখ্যা কম হওয়ায় আমরা ঋণ দিতে পারছি না। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ২০০ কোটি টাকার ফান্ড আছে। আমরা হয়তো ১৫০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছি। এর মানে এই না, আমরা কার্যক্রম চালাচ্ছি না। আসলে আমরা প্রবাসীদের ঋণের চাহিদা পাচ্ছি না। তবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তো একটা ব্যাংক। এই প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম মেনে চলতে হয়। হয়তো ঋণ পাওয়ার যেসব শর্ত আছে, সেটি কারও জন্য পূরণ করা কঠিন হয়। কিন্তু ঋণ পাচ্ছে না বিষয়টি এমন নয়।
সভায় জানানো হয়, যে সকল কর্মী বিদেশ গমনের পর দক্ষতা অর্জন করেছেন, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক সনদ নেই এ সকল কর্মীদের রিকগনিশন অব প্রিয়র লার্নিং (আরপিএল) এর আওতায় ২৩ হাজার ৫০০ জন কর্মীকে দক্ষতা সনদ প্রদান করা হবে। যা তাদের কর্মসংস্থানে সহায়ক হবে। এ প্রকল্পের সুবিধাভোগী কর্মী সংখ্যা ২ লাখ। এই দুই লাখ কর্মীর প্রত্যেককে এককালীন ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে নগদ প্রণোদনা (ক্যাশ ইনসেনটিভ) দেওয়া হবে।
এছাড়া, রেফারেলের আওতায় কর্মীর চাহিদা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করা হবে। যাতে করে তারা সমাজে নিজেকে পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রশিক্ষণ/আর্থিক কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নিজেই নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে।
এ লক্ষ্যে রেইজ প্রকল্প বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো প্রত্যাগত কর্মীদের একটি তথ্য সমৃদ্ধ ডাটাবেইজ তৈরি হবে। গত ৪ মাসে ৫৯ হাজার জন কর্মীর রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ৩০ জুলাই, ২০২৩ তারিখে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কর্তৃক ৩০টি জেলায় ওয়েলফেয়ার সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ৩০টি সেন্টারের মাধ্যমে সারা দেশে প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেন্টারের কার্যক্রম বাস্তবায়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইওএম বাংলাদেশ এবং সাব কনসালট্যান্ট হিসেবে আরো ৭ টি বেসরকারি সংস্থা (রামরু, ওকাপ, ব্র্যাক, প্রত্যাশী, বিএসএসকে, ওয়্যারবি, কেএনইউএস) সহায়তা করছে।
আরও পড়ুন: রবি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১৮৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
ঢাকা-উত্তরপশ্চিমাঞ্চল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করিডোর উন্নয়ন: বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করিডোর উন্নয়নে ২৭৭ দমমিক ৮৮ মিলিয়ন ইউরো (৩০০ মিলিয়ন ডলার) ঋণচুক্তি সই করেছে।
ঢাকায় ইআরডিতে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও এডিবির পক্ষে যথাক্রমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং ঋণচুক্তিতে সই করেন।
আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংকটি বলেছে, সড়কপথে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন হয় এবং ৬০ শতাংশ পণ্য পরিবহন হয়।
এই সহায়তা এডিবি’র দ্বিতীয় সাউথ এশিয়া সাবরিজিয়নাল ইকোনোমিক কো-অপারেশন (সাসেক) ঢাকা-উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের করিডোর সড়ক প্রকল্পের জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের মাল্টিট্রাঞ্চ ঋণের তৃতীয় ধাপ।
এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং বলেন, ‘এই প্রকল্প সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং উপআঞ্চলিক সংযোগ ও বাণিজ্যের উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করে।’
তিনি বলেন, এটি ঢাকা ও দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চল সড়ক করিডোরে যানবাহন পরিচালনার খরচ, ভ্রমণের সময়, যানবাহনের নির্গমন, দুর্ঘটনা ও যানজট কমাতে সাহায্য করবে।
গিনটিং আরও বলেন, ‘প্রকল্পটি করিডোর সংলগ্ন এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং ভুটান, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য সহজতর করতে সহায়তা করবে।’
প্রকল্পটি এলেঙ্গা থেকে হাটিকুমরুল হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার অংশকে চার লেন করে বাংলাদেশের একটি দক্ষ ও আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
এটি রাস্তার নিরাপত্তা বাড়াবে এবং নারীদের ভ্রমণকে নিরাপদ করতে ফুটব্রিজ, ফুটপাথ ও ধীরগতির ট্র্যাফিকের জন্য দুটি ডেডিকেটেড লেন অন্তর্ভুক্ত করবে।
কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা; বিশেষ করে পায়ে চলা বা ধীরগতির যানবাহন যেমন রিকশার মতো রুট বেশি ব্যবহার করে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনাও জোরদার করা হবে। রাস্তা নির্মাণের জন্য জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক নকশা গ্রহণ করা হবে।
১৯৯৪ সালে যুগান্তকারী যমুনা সেতু প্রকল্প অনুমোদনের পর থেকে এডিবি ঢাকা-উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের সড়ক করিডোর উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে।
২০১২ সালে অনুমোদিত সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের অধীনে সড়কটির ৭০ কিলোমিটার জয়দেপুর-এলেঙ্গা অংশটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
এটি বুড়িমারী ও বেনাপোল স্থলবন্দরগুলোর কার্যকারিতাও উন্নত করেছে, যা যথাক্রমে ভুটান ও ভারতে প্রবেশদ্বার।
পরিবহন অবকাঠামো এডিবির সাসেক প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দু, যা আঞ্চলিক উন্নয়নে সহায়তা করে।
এডিবির অর্থায়নে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাসেক সদস্য দেশগুলো পরিবহন খাতে ১৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন মূল্যের ৪৬টি প্রকল্পসহ ১৮ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ৭৯টি প্রকল্প সই ও বাস্তবায়ন করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি স্থিতিস্থাপকতা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য ১২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
বাংলাদেশের জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্মার্ট মিটারিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জ্বালানির দক্ষতা বাড়াতে এবং ক্লিন এনার্জি সলিউশনে রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণচুক্তি সই করেছে।
বাংলাদেশ ও এডিবির পক্ষে যথাক্রমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং চুক্তিতে সই করেন।
ম্যানিলাভিত্তিক ঋণদানকারী সংস্থাটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, স্মার্ট মিটারিং এনার্জি এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার স্মার্ট প্রিপেইড গ্যাস মিটার (এসপিজিএম) ইনস্টল করে লোকসান কমাতে সরকারের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে।
প্যারিস চুক্তির অধীনে বাংলাদেশের নিজস্ব জলবায়ু প্রশমন ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে একটি হল এসপিজিএম ইনস্টল করা।
এডিবি জানিয়েছে, প্রকল্পটি বছরে প্রায় ৪ লাখ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গিনটিং বলেছেন, ‘এই প্রকল্প গ্যাস বাঁচাতে সাহায্য করবে; গ্যাসের অপচয় রোধ করা; গ্যাসের নিরাপদ ও দক্ষ ব্যবহার সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতনতা তৈরি করা; রাজস্ব প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং বিল তৈরি, সংগ্রহ ও নিরীক্ষণের খরচ কমিয়ে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির আর্থিক কর্মক্ষমতা উন্নয়ন করে।’
আরও পড়ুন: দেশের গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি স্থিতিস্থাপকতা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য ১২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
এতে বলা হয়েছে, ‘প্রকল্পটি গ্যাস বিতরণ উপখাতের জন্য বাংলাদেশের জলবায়ু প্রশমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণেও অবদান রাখবে। যেমনটি ২০২১ সালের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদানের আপডেট করা হয়েছে।’
প্রকল্পটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দেশের বৃহত্তম গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের রূপান্তরমূলক এবং আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে অপারেশনাল দক্ষতা বাড়ায়।
এর মধ্যে রয়েছে উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তি, যেমন ইউনিফাইড মিটারিং ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত স্মার্ট মিটার এবং একটি স্বয়ংক্রিয় ওয়েব-ভিত্তিক অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের ব্যবহারের প্রচার।
১ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলারের একটি সহগামী প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে এডিবি সরকারকে তার স্বল্প-কার্বন জ্বালানি রূপান্তর এবং গ্যাস বিতরণ উপখাতের জন্য মিথেন লিকেজ ক্ষতি হ্রাস পরিকল্পনায় সহায়তা করবে।
এর মধ্যে রয়েছে উদ্ভাবনী ক্লিন এনার্জি সলিউশনের উপর প্রাক-সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন তৈরি করা এবং কার্বন ক্রেডিট ব্যবহারসহ ভবিষ্যতের প্রকল্প অর্থায়নের জন্য ব্যক্তিগত পুঁজি অভিগম্যতার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা।
কারিগরি সহায়তা বিশেষ তহবিল থেকে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান এবং এডিবির পরিচালিত রিপাবলিক অব কোরিয়া ই-এশিয়া এবং নলেজ পার্টনারশিপ ফান্ড থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার অর্থায়ন সহায়তা করা হবে।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করে নতুন দল তৈরি করছে সরকার: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করা টাকা দিয়ে সরকার বিভিন্ন দলের ত্যাগী লোকদের নিয়োগ দিয়ে নতুন দল তৈরি করছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, বিশ্বাসযোগ্য ভোটে জয়ী হওয়ার সুযোগ না থাকায় জনগণকে একতরফা নির্বাচন করার জন্য ফাউল গেম অবলম্বন করার অভিযোগ করেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল কখনই অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়োগ দেয় না। গ্রামাঞ্চলের টাউট এবং খারাপ মানুষেরা বিরোধীদের সমস্যায় ফেলতে এটা করে...শেখ হাসিনাও একই কাজ করছেন।’
তিনি বলেন, সুবিধাবাদীরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দলে অনুপ্রবেশ করে এবং এই লোকেরা নিজেদের লাভের সুযোগ পেলেই তাদের আসল রঙ পরিবর্তন করে। ‘এরশাদের শাসনামলে আমরা তাকে এই ধরনের লোক নিয়ে দল ও সরকার গঠন করতে দেখেছি। শেখ হাসিনা এখন সেই অশুভ পন্থা অনুসরণ করছেন।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার একতরফা নির্বাচনের কৌশল: রিজভী
রিজভী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি ও সমমনা দলের লোকদের বিভিন্নভাবে লোভ দেখিয়ে নিয়োগ দিতে।
তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন লোকদেরকে টাকা দিয়ে লোভ দেখিয়ে দলে নিয়ে যাচ্ছে এবং নিশ্চিত মনোনয়ন ও বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, একদিকে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে জনগণকে দমন করতে সব ধরনের নিষ্ঠুর পদক্ষেপ নিচ্ছেন, অন্যদিকে অর্থ ব্যবহার করে বিভিন্ন পক্ষের ফেলে দেওয়া লোকদের নিয়ে দল গঠনের চালাকি চালাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুট করা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, অন্য স্বৈরাচারীদের মতো শেখ হাসিনাও ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরার জন্য নির্লজ্জ ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। ‘কারণ জনগণের কাছে গিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার কোনো উপায় তার নেই। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি সব গণবিরোধী, অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বেপরোয়াভাবে গ্রেপ্তার এবং তাদের বাড়িতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এজন্য সারাদেশে র্যাবের ৪২৮টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেট দলের পরাজয়ে বাংলাদেশিদের উদযাপন নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের ক্ষোভের বিষয়ে তিনি ভারতীয় মিডিয়া ও নীতিনির্ধারকদের প্রতি বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এখন গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারের অভাবে… শেখ হাসিনা কেন সুষ্ঠু নির্বাচন দিচ্ছেন না? কারণ অনেক দেশ (ভারত সহ) তাকে ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি দিচ্ছে, যাতে সে তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে। এ কারণে অনেক দেশ তাকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কারচুপি করতে সরকার এজেন্সিগুলো ব্যবহার করে কিংস পার্টি গঠন করছে: রিজভী
অগ্নিসংযোগ-নাশকতার পেছনে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা: রিজভী
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধের জন্য বর্তমান সরকার অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার রোধকল্পে বর্তমান সরকার আইন প্রণয়ন করেছে। এ আইনের যথাযথ ও কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে এমন মানহীন অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য ওষুধ যারা তৈরি করবে, ব্যবহার করবে বা এটি নিয়ে যারা ব্যবসা করবে তাদের বিশেষ আইন ও আদালতে বিচার করা হবে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, কিছু ফার্মেসিতে ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা হচ্ছে, কিছু চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার করছেন। গ্রাম পর্যায়ে বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিছু ফার্মেসি অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার করছে। আইনানুগভাবে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধই শুধু নয়, মানবস্বাস্থ্য, প্রাণিস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য যা কিছু ক্ষতিকর সেটি নিয়ে সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, ওয়ান হেলথ ধারণা সারাবিশ্বে জনপ্রিয়। বর্তমান সরকার ওয়ান হেলথ ধারণা কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার সমন্বিতভাবে ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নে কাজ করছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা, তার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, মানুষের সুস্বাস্থ্য, নিরাপদ খাবার ও জীবনমান উন্নত করার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা, ওষুধের যথাযথ ব্যবহার, গুণগত মানের ওষুধ তৈরি এবং এটি তৈরিতে নজরদারির ক্ষেত্রে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এক সময় মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদন না করার কারণে সরকার বিপুল সংখ্যক ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করেছে। ওষুধে ভেজাল দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এখনও বড় বড় কোম্পানির ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য সরকার নজরদারি এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন, বাংলাদেশে এফএও-একটাডেরর কান্ট্রি লিড এরিক ব্রাম, এফএও-একটাডের জ্যেষ্ঠ কারিগরি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার কনসালট্যান্ট নূর ই আলম সিদ্দিকী, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফ্লেমিং ফান্ড কান্ট্রি গ্র্যান্টের টিম লিড ডা. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ।
এর আগে বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ১২ অক্টোবর-২ নভেম্বর ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
নির্বাচনে কারচুপি করতে সরকার এজেন্সিগুলো ব্যবহার করে কিংস পার্টি গঠন করছে: রিজভী
বিএনপি অভিযোগ করেছে, সরকার বিভিন্ন এজেন্সি ব্যবহার করে বিভিন্ন ভিত্তিহীন ও তথাকথিত কিংস পার্টি গঠন করছে এবং আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের নামে প্রহসন করার জন্য বিভিন্ন দলের লোক নিয়োগ করছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, কিছু লোক সামান্য অর্থ ও বিভিন্ন সুবিধার লোভে প্রহসনমূলক নির্বাচনে অংশ নিতে আত্মা বিক্রি করছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ মাফিয়া গোষ্ঠীর এই নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করায় ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা এখন তথাকথিত কিংস পার্টি তৈরি করে নির্বাচনের নামে প্রহসন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।’
সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নির্বাচনে অংশ নিতে চাপ সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার বিভিন্ন সংস্থাকে মাঠে নামিয়েছেন তথাকথিত কিংস পার্টি গঠনের জন্য। বিভিন্ন দলের নেতাদের ভাড়া করতে গরুর হাটের মতো দর কষাকষি চলছে। অনেক দেশপ্রেমিক নেতাকে আওয়ামী লীগের কিংস পার্টিতে যোগদানের জন্য চাপ ও ভয় দেখানো হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, লুটপাটের টাকার ভাগ পাওয়ার অঙ্গীকারে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছেড়ে কিছু মানুষ তথাকথিত কিংস পার্টিতে যোগ দিয়ে বঙ্গভবন ও গণভবনে যাচ্ছে।
কোনো দল বা ব্যক্তির নাম সরাসরি উল্লেখ না করে রিজভী বলেন, বিশ্বাসঘাতকদের ইতিহাসের ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হবে। ‘এই রঙ পরিবর্তনকারী পরজীবী রাজনীতিবিদরা জনগণের সংকেত টের পাচ্ছেন না।’
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার গণতন্ত্রকামী জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে তল্লাশি চালিয়েছে, গ্রেপ্তার করছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা হেলমেট পরা আন্দোলনে সক্রিয় থাকা নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী আরও বলেন, সরকারের নির্দেশে বিচার বিভাগ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ‘মিথ্যা ও কাল্পনিক’ মামলায় সাজা দিচ্ছে।
বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির অন্তত ৫১৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা আজ আরেকটি জোট করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এখানে আরও অনেক বিএনপির সাবেক নেতাকে আমরা দেখছি, বিভিন্ন দলে তারা আসছেন।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘সাংবাদিকতার অ আ ক খ’- বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে চাপ সৃষ্টি করে তাদের নির্বাচনে আনা হচ্ছে, নাকি তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চাপ সৃষ্টি করলে তো বিএনপির আরও অনেক নেতা চলে আসতেন। আমরা কাউকে চাপ সৃষ্টি করছি না। বিএনপির এ অপরাজনীতির সঙ্গে তারা দ্বিমত পোষণ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির সহযাত্রী হতে চান না বিধায় বা এ জ্বালাও-পোড়াওয়ের বদনামটা তাদের ঘাড়ে যাতে না পড়ে, সেজন্য এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্যই তারা বেরিয়ে এসে নতুন জোট করে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন বলে আমি মনে করি।’
গতকাল একটি ব্রিফিংয়ে এসেছে, গাড়িতে যারা আগুন দিচ্ছে তাদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে এবং এই ফুটেজ তাদের নেতা-নেত্রীদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
এই অর্থায়ন কারা করছে এবং কারা এই নেতা নেত্রী- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের ধরা হয়েছে এবং যারা এই জবানবন্দি দিয়েছে প্রত্যেকেই বিএনপির নেতা। একজন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিও আছেন সেখানে।’
তিনি বলেন, ‘এটি কী জঘন্য, ন্যাক্কারজনক, ঘৃণ্য যে- গাড়িতে আগুন দিলে, যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিলে ১০ হাজার টাকা পেমেন্ট দেওয়া হয়। সেটা নিশ্চিত করার জন্য ভিডিও ধারণ করে সেটি আবার লন্ডনে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে, তারপর এখানে ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে পাঠাতে হয়।’
এটি কি কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ? এমন প্রশ্ন রেখে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো তো জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাজ। জঙ্গি সংগঠনও তো এরকম কাজ করে না। তাদের রাজনৈতিক দল বলা হয় বাংলাদেশে। তাদের সঙ্গে আলোচনার কথাও কেউ কেউ বলে। এখন অবশ্য বলে না আর। এই অপরাজনীতি যারা করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আমেজে ঢাকা পড়ে গেছে বিএনপির বর্জনের ডাক: তথ্যমন্ত্রী
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের হেলপার নিহত
শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখবে। যাতে তারা ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করতে বাংলাদেশিদের সুবিধার্থে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানাতে পারে।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ২০ নভেম্বর নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট কোনো দলের পক্ষে অবস্থান নেই না। আমরা তাই চাই যা বাংলাদেশের জনগণ চায়, আর তা হলো- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবারও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন এবং পুনরায় বলেন- তিনি তা থেকে বিরত থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বারবার আমাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টার প্রশংসা করি, তবে আমি তা করা থেকে বিরত থাকব এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে বলছি- বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য আমাদের লক্ষ্য সর্বদা যা ছিল তাই থাকবে, আর তা হলো: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ আয়োজন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
মিলার আরও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার রক্ষা ও প্রচারের জন্য বিশ্বজুড়ে সরকার, শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে কীভাবে জড়িত তার রূপরেখা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে এটি চালিয়ে যাব।’
মিলার বলেন, ‘ন্যূনতম মজুরির প্রতিবাদে বাংলাদেশে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সহিংসতার পাশাপাশি বৈধ শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রমকে অপরাধীকরণের নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, বাংলাদেশ কর্মকর্তা ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে: মুখপাত্র
তিনি বলেন, শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ওপর চলমান দমন-পীড়ন নিয়েও তারা 'উদ্বিগ্ন'।
মিলার বলেন, ‘আমাদের নীতি, যেমনটি আমরা আগেই বলেছি, সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে শ্রমিকরা সহিংসতা, প্রতিশোধ বা ভীতি প্রদর্শনের ভয় ছাড়াই সংগঠন এবং সম্মিলিত দরকষাকষির স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম।’
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে তাদের কাজের মাধ্যমে তারা মৌলিক মানবাধিকারগুলো কে এগিয়ে নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো সহিংসতা 'অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে' নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র প্যাটেল
ভোটের মধ্যে দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার দল সবসময় ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের পক্ষে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই জনগণের ভোটাধিকার অব্যাহত থাকুক। আর ভোটের মধ্যে দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।’
শনিবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য যারা অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে দেশের মানুষকে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।’
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
যেসব রাজনৈতিক দল ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘যেসব রাজনৈতিক দলের জনগণের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস নেই এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে সুসংগঠিত নয়, তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল একটি দেশের জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘২০১৩ এবং ২০১৪ সালে আমরা অগ্নিসন্ত্রাস প্রত্যক্ষ করেছি, যার ফলে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
শেখ হাসিনা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে যারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে তাদের সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে এবং এর ফলে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য তিনি জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জনগণকে নির্যাতন করে আনন্দ পায়।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা সংশ্লিষ্টদের জন্য কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না।
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রাখে, তাহলে এর ফলাফল তাদের কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। নির্বাচনে তাদের কাঙ্খিত প্রার্থীকে ভোট দেওয়া ও নির্বাচন করা জনগণের অধিকার।’
আরও পড়ুন: আজ আ. লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের জনগণ তাদের শাস্তি দেবে, উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাব যে, বেশ সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জন করা গণতান্ত্রিক মূল্যকে কেউ যেন থামাতে না পারে।’
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, যারা মনোনয়ন ফরম নিচ্ছেন তারা সবাই যোগ্য, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কাজ হচ্ছে আগামী নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই করা। প্রার্থী বাছাইয়ের আগে আমরা তৃণমূল পর্যায় থেকেও মতামত নেব।’
এর আগে তিনি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির বুথ পরিদর্শন করেন।
সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়ন ফরম বিক্রির জন্য ৮টি বিভাগের জন্য ১০টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শনিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রশাসনিক বিভাগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট বুথ থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। এদিকে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলা থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: অনলাইনে পাওয়া যাবে আ. লীগের মনোনয়ন ফরম
সরকার নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না, রুটিন কাজ করবে: আইনমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বর্তমান সরকার রুটিন কাজ চালিয়ে যাবে, কোনো নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে গতকাল বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
আইনমন্ত্রী বলেন, 'যেহেতু গতকাল তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী কাজ-কর্ম নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী কাজে যেসব সরকারি বিভাগ, সংস্থা বা অফিস তাদের প্রয়োজন হবে এবং নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে না সেই সব কাজ করবে বর্তমান সরকার। এ সরকার রুটিন কাজগুলো করে যাবে। এটাই গণতন্ত্রের মূল বক্তব্য যখন নির্বাচন আসে।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এখন থেকে রুটিন কাজ করে যাবে। পলিসি ডিসিশন (নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত) নেওয়া হবে না, কারণ একটা নির্বাচন আছে। জনগণের কাছে আমাদের ম্যান্ডেট দেব। পলিসি ডিসিশন হবে না নির্বাচন পর্যন্ত রুটিন কাজ করে যাবেন।'
আরও পড়ুন: যা কিছু হবে সংবিধান ও আইনের মধ্যেই হতে হবে: আইনমন্ত্রী
সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে গণতন্ত্রকে সঠিকভাবে চালিত করার জন্য নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকে তারা পলিসি ডিসিশন নেয় না, যাতে একটা লেভেল প্লেইং ফিল্ড থাকে। তারা এমন কিছু করে না, যেটাতে সরকারকে জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য, আকৃষ্ট করার জন্য কিছু করছে, এরকম একটা ব্যাপার হয়।'
আইনমন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। ঠিক গণতান্ত্রিক উপায়ে পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসিতে শিডিউল ঘোষণার পর যেভাবে সরকার চালিত হবে, ঠিক সেভাবেই হবে'
এই মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা থাকবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সেই সিদ্ধান্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর।'
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'আইন তো হবেই না, কারণ সংসদ বসবে না। কিন্তু এমন কথা আমি বলতে পারি না... এটা একটা স্বাধীন দেশ। যদি প্রয়োজন হয় অর্থাৎ অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে কোনো বিশেষ প্রয়োজনে, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কোনো পরিস্থিতিতে। আইন হবে না এমন কথা তো আমি বলতে পারি না।'
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক: জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন,'রুটিন কাজ হচ্ছে গতানুগতিক অফিস চলার জন্য যে কাজ সেগুলো। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার বেতন পাওয়ার বিষয়, দৈনন্দিন কার্যক্রম- এসব কাজ বর্তমান সরকার করবে। উন্নয়ন কাজ যেগুলো আছে সেগুলো চলবে। নতুন করে কোনো উন্নয়ন কাজ শুরু হবে না। নতুন করে কোনো প্রজেক্টও নেওয়া হবে না।'
কর্মকর্তাদের বদলি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'সেটা নির্বাচন কমিশন নেবে কি না সেটাও নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। সেটা আমি বলে দিতে পারব না।'
আনিসুল হক বলেন, 'পুলিশের ব্যাপারে যদি নির্বাচন কমিশনের কোনো বক্তব্য থাকে। সেটা নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে। নির্বাচন কমিশন যেটা বলছে, সেটা যদি যৌক্তিক হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটার ব্যবস্থা নেবে।'
পুলিশ কর্মকর্তার বিষয়ে ইসির এখতিয়ার প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, 'আইনের আওতায় বলতে হবে সবকিছুই।'
আরও পড়ুন: বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক, বেআইনি: জাতিসংঘকে আইনমন্ত্রী