জমি
রাজশাহীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ৪
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা চারজনে পৌঁছেছে। সোমবার (১০ জুলাই) রাতে হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত মনিরুল ইসলাম (৪৫) উপজেলার পাকড়ীর গোরিসার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় নিহতের ভাতিজা ফয়সাল ইসলাম জানান, তার চাচা রাতে হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার লাশ মর্গে রয়েছে।
এদিকে চারজন খুন হওয়ার ঘটনায় সোমবার রাতে গোদাগাড়ী থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীর নতুন বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৭১ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি ৫০ জন অজ্ঞাত আসামি।
তিনি আরও বলেন, এ মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এরা হলেন- মো. ইউনুস আলী, মো. রজব আলী, মো. হায়দার আলী, মো. আতাউর রহমান, মো. মঞ্জুর রহমান, মো. ওমর ফারুক ও মো. আনারুল ইসলাম।
সোমবার (১০ জুলাই) রাত ১১টার দিকে গোদাগাড়ী থানায় নিহত সোহেল রানা ছোটনের ভাই হৃদয় বাদী হয়ে মামলা করেন।
এর আগে সোমবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের মুসরাপাড়া ইয়াজপুর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজশাহী নগরীর ভাটাপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে ছোটন (৫০), গোদাগাড়ীর বড়গাছী কামারপাড়ার মৃত আলিম উদ্দীনের ছেলে মেহের আলী (৬৫) ও তার ভাই নাইমুল (৬৮) নিহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরুল ইসলামের (৪৫) মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পরে ইয়াজপুর গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে পুলিশ বলছে, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গোদাগাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী ও সিলেটের নবনির্বাচিত মেয়রদের শপথ গ্রহণ
রাজশাহীতে ৮ বছরের শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা
গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১, গ্রেপ্তার ৬
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
শনিবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের খুকশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুস সাত্তার ওই গ্রামের মরহুম মোবারক আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ভাপা পিঠা আনতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
অন্যদিকে, রবিবার (২ জুলাই) দুপুরে নিহতের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- হাবিবুর রহমান মধু মিয়া, কাওসার আলী, সাখাওয়াত হোসেন ছকু, সাইদুর রহমান, সানোয়ার ও মিলন মিয়া।
এলাকাবাসী জানায়, জমির সীমানা নিয়ে আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে মধু মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। ঘটনার দিন দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়।
খবর পেয়ে মধুমিয়ার স্বজনেরা লাঠিসোটা নিয়ে আব্দুস সাত্তারের ওপর হামলা চালায়। এসময় আব্দুস সাত্তার মারা যান।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে ১০ জনকে আটক করা হয়। আজ রবিবার দুপুরে মামলা দায়েরের পর মামলায় নাম না থাকায় ৪ নারীকে বাদ দিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বাস-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে ২ জন নিহত
গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাহেব আলী (২৫) নামের এক যুবককে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুস সবুর, হাবিবুর ও বুলু মিয়া।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ এবং সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান।
জানা যায়, চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ঘটনায় ৩৬ জনকে আসামি করে নিহতের বাবা আমজাদ আলী মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ৩৬ আসামির নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং অন্যান্য আসমিদের খালাস দেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মাগুরার শালিখা উপজেলার কোটভাগ গ্রামের আমজাদ আলী বিশ্বাসের ছেলে সাহেব আলীকে ২০০২ সালের ৮ মার্চ সকালে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
না.গঞ্জে অপহরণের পর শিশুহত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফেনীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় হোমিও চিকিৎসকের মৃত্যু
ফেনীর সোনাগাজীতে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় এক হোমিও চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। এ হামলা তার তিন সহোদর আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. মিজানুর রহমান (৪৫) ছাড়াইতকান্দি গ্রামের কালা সোবহানের বাড়ির মৃত নূরুল হুদার ছেলে এবং মনগাজী বাজারের হোমিও চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঈদের নামাজ পর মোনাজাতের সময় মুসুল্লির মৃত্যু
এ হামলার আহত তিন সহোদর হলেন- আবদুল হাই (৪৮), আবু তৈয়ব (৫০) ও আবদুল গোফরান (৫৫)।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, মৃত নূরুল হুদার ছেলে মিজানুর রহমান ও তার ভাইদের সঙ্গে একই বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে জসিম উদ্দিন ও তার পরিবারের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে মিজি বাড়ির সামনে গেলে আবু তাহেরের ছেলে জসিম উদ্দিন, সবুজ মিয়া, আবুল খায়েরের ছেলে মাঈন উদ্দিন মামুন ও সবুজের ছেলে বাবলুর ১৫-২০ জন দুর্বৃত্ত মিজানুর রহমানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তার ওপর হামলার খবর শুনে তার তিন সহোদর আবদুল হাই, আবু তৈয়ব ও আবদুল গোফরান এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করলে মিজানুর রহমানকে রাত ৮টার দিকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আহত
রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
জয়পুরহাটে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে বৃদ্ধের মৃত্যু
জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কড়িয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত সোনামিয়া (৬৭) ওই পাঁচবিবি উপজেলার পাড়ইল গ্রামের ঝরা মণ্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে সোনামিয়া তার কেনা সম্পত্তি বুঝে নেওয়ার জন্য ঘটনাস্থল কড়িয়া গ্রামে যান। এসময় ওই সম্পত্তির দাবি করা প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের হাতে থাকা লাঠির আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা সোনা মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে তাকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য নিহত সোনামিয়ার লাশ জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
নাচোলে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
জমি নিয়ে বিরোধ: দিনাজপুরে ছুরিকাঘাতে নারী নিহত
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধে জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক নারী নিহত হয়েছে।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আমেনা বেগম দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বারো পাইকেরগড় গ্রামের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
স্থানীয়রা জানান, মালিকানা বিরোধীয় জমিতে প্রতিপক্ষরা হাল চাষ করার সময় বাধা দিতে যান আমেনা বেগম। এসময় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে উপজেলা স্বাস্হ্য কেন্দ্রে তাকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘোড়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল ওহাব জানান, খবর পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্হলে যান। লাশ ময়নাতদন্তসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, জমির মালিকানা বিরোধে ১০দিনের ব্যবধানে ঘোড়াঘাটে এটি তৃতীয় হত্যার ঘটনা। এর আগে ২৫ জানুয়ারি ঘোড়াঘাটের খোদাদপুর গ্রামে জমির মালিকানা বিরোধে ছুরিকাঘাতে এবং পিটিয়ে হায়দারের ছেলে আসাদুজ্জামান এবং চাচাতো ভাই রাকিবকে হত্যা করেছিল প্রতিপক্ষরা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ফেসবুক পোস্টে হা হা রিঅ্যাক্ট দেয়ায় বন্ধুকে ছুরিকাঘাত
ময়মনসিংহে শ্যালকের ছুরিকাঘাতে ভগ্নিপতি নিহত
মতলবে জমির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ৩
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ফৈলাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত শুক্কুর আলী (৬৫) উপজেলার ১১নং পশ্চিম ফতেপুর ইউনিয়নের উত্তর ফৈলাকান্দি গ্রামের মৃত নছর আলী খানের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহত শুকুর আলীর ছেলে মহিউদ্দিন নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
গ্রেপ্তারেরা হলেন-ফৈলাকান্দি গ্রামের মনোয়ার খান এবং মনোহর আলী খানের দুই ছেলে আল আমিন ও আহাম্মদ খান।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নিহত শুকুর আলী ও বিরোধী মনোয়ার খান, আলামিন, আহাম্মদ গংদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এদিন সকালে তাদের জমির একটি সীমানা তুলে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় শুকুর আলী ও অপরপক্ষের আলামিন আহত হন। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শুকুর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আলামিন বর্তমানে পুলিশের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ইউএনবিকে জানান, জমির সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ফৈলাকান্দি গ্রামের একই বাড়ির নিহত শুকুর আলী ও একই প্রতিপক্ষ মনোয়ার খান, আল-আমিন, আহাম্মদ গংদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকাল ৭টার সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শুক্কুর আলী নামে এক বৃদ্ধ আহত হন। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শুকুর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় মনোয়ার খান, আল আমিন ও আহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষযয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
না.গঞ্জে পাওয়ার প্লান্টের চীনা কর্মীদের আবাসস্থলে হামলা ও ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫
গৌরীপুরে জমির বিরোধে পিটিয়ে হত্যা
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকালে উপজেলার সহনাটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহতের নাম আবুল কালাম (৫০)। সে সহনাটি গ্রামের মগল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সহনাটি গ্রামের একই বংশের আবুল কালাম ও আব্দুল হালিম গংদের সঙ্গে বাড়ির পাশের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
বুধবার সকালে বিরোধকৃত জমিতে কালাম গোবর ফেলার জন্য গর্ত করতে গেলে হালিম গংরা বাধা দেয়। এনিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়।
পরে স্থানীয়রা দুই পক্ষকে সরিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
এর পরপরই আবুল কালাম মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।
পরে স্থানীয়রার কালামকে উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন মিয়া জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: জামালপুরে মেয়েকে অপমানজনক শব্দ ব্যবহার, প্রতিবাদ করায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যা!
ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ইজিবাইক চালককে পিটিয়ে হত্যা
সিলেটে জমি নিয়ে বিরোধ, যুবকের কব্জি বিচ্ছিন্ন
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে জমি বিরোধের জেরে এক যুবকের কব্জি বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে তার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২ জানুয়ারী) বিকালে উপজেলার কাঁঠালবাড়ী বিলে হেলাল আহমদ (৩৫) নামের ব্যক্তির কব্জি বিচ্ছিন্ন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব কাঁঠালবাড়ী গ্রামের দুইভাই জসিম উদ্দিন ও আব্দুল হাসেম মিয়ার ছেলেদের মধ্যে জমি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের ১৩ জন আহত হয়। গুরুতর আহত হন হেলাল আহমদ (৩৫), ইসলাম উদ্দিন (২৫), সাগর মিয়া (২৪), আহম্মদ আলী (৩৫) ও আরিফুল ইসলাম (২৬)।
তারা আরও জানায়, সংঘর্ষে দায়ের কোপে আরিফুল ইসলাম মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং হেলাল আহমদের এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এজন্য হেলাল আহমদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: জমির বিরোধের জেরে স্বামীর ভাইকে হত্যা করল স্ত্রী
এ ঘটনায় আব্দুল হাসেমের ছেলে খুর্শেদ মিয়া (৫৫) ও তারা মিয়াকে(৪০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। সংঘর্ষে ব্যবহৃত লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুইজনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালে আটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৪২
রাজশাহীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
রাজশাহীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
রাজশাহীর চারঘাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে চাচাতো দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’পক্ষের আরও অন্তত ছয়জন।
শনিবার বিকালে উপজেলার চারঘাটের ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বাঁকড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দেদার হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান (৪৫) ও জেকের হোসেনের ছেলে আকরাম হোসেন (৬০)। আজিজুর ও আকরাম সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আজিজ ও আকরাম দুই ভাইয়ের মধ্যে তাদের পারিবারিক সূত্রে পাওয়া এক একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। আকরাম সেই এক একর জমি নিজের দখলে রেখে চলতি মৌসুমে গম রোপণ করেছিলেন। শনিবার বিকালে গমের জমিতে সার প্রয়োগ করতে গেলে আজিজ তার পক্ষের লোকজন নিয়ে এসে তাকে সার দিতে নিষেধ করেন। এসময় আকরামও তার লোকজনকে খবর দেয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের হাসুয়ার আঘাতে আজিজ ও আকরাম গুরুতর আহত হন।পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মনিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ ভাইয়ের মৃত্যু
এছাড়াও এ ঘটনায় দুই গ্রুপের আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।
পুলিশের চারঘাট সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, সংঘর্ষে মারা যাওয়া দু’জনের লাশ হাসপাতালে আছে। আহতরাও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, লাশ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু