শিক্ষক
চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে মারধর: অভিযুক্ত ছাত্রকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত
চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষককে মারধর করার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুসরাত জেরিন এ আদেশ দেন।
এর আগে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে অভিযুক্ত ছাত্র।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
এদিকে, এ ঘটনায় ওই ছাত্রের শাস্তির দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
জানা গেছে, এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষককে থাপ্পড় মারার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ঘটনার দিন, পরীক্ষার হলে বিশৃঙ্খলা ও অসুদপায় অবলম্বনের অভিযোগে পরীক্ষার্থী দশম শ্রেণির এক ছাত্রের খাতা কেড়ে নেন শিক্ষক হাফিজুর। এতে শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শিক্ষককে থাপ্পড় মারে অভিযুক্ত ছাত্র।
এ ঘটনায় শিক্ষকদের পক্ষে রবিবার রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান।
অভিযোগটি পুলিশ মামলা হিসেবে রুজু করে আমলে নেয়।
এদিকে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
এসময় কিছুক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সামনে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর রোডে অবস্থান নিলে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে যানযট নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গ্যালারি’ প্রতিষ্ঠা করল পুলিশ
মানববন্ধনে ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
সঠিক বিচারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এ ধরনের সামাজিক অবক্ষয়ের ঘটনা আর যেন চুয়াডাঙ্গায় না ঘটে। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। সামাজিকভাবে আমরা এত নিচে নেমে গেছি, এটা থেকে উত্তরণ দরকার।
তারা আরও বলেন, আমরা এই ঘটনার দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি চাই।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষার নিয়মকানুন যথাযথভাবে মানছিল না। যে কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষক তার খাতাটি নিয়ে নেন এবং বসতে বলেন। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী শিক্ষকের ওপর চড়াও হয় এবং একপর্যায়ে চড়-থাপ্পড় মারে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক লিখিতভাবে বিচারের আবেদন করেছেন। তার আবেদন ও সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ সহকারে বিদ্যালয়ের সভাপতির পরামর্শে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, সরকারি কর্মচারিকে কর্তব্য পালনে বাধাপ্রদান, আক্রমণ, অপরাধমূলক বল প্রয়োগ এবং আঘাতসহ ভয়-ভীতি প্রদানের অপরাধে ৩৩২, ৩৫৩ ও ৫০৬ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী আবু তালেব বলেন, আদালতে হাজির হয়ে ওই শিশু জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে শিশুটি সংশোধনাগারে (যশোর শিশু ইন্নয়ন কেন্দ্র) পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গাছের গুঁড়িচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
দক্ষিণ বনশ্রী থেকে অপহৃত শিক্ষক উদ্ধার, আটক ৫
রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী কাজীবাড়ি টিএন্ডটি টাওয়ার এলাকার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে অপহৃত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।
অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, লাঠি, হাতুড়ি ও অপহরণে ব্যবহৃত রশি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বিলকিস ওরফে তানিয়া (৩০), মো. বিপ্লব (৩০), ইব্রাহিম হোসেন রাজু (২৯), লিংকন খলিফা (২৪) ও আমির শেখ (৩০)।
এটিপি সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (অপারেশন্স) মো. সানোয়ার হোসেন জানান, এক সপ্তাহ আগে ফেসবুকে অভিযুক্ত বিলকিসের সঙ্গে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পুরুষ শিক্ষকের পরিচয় হয়। এরপর থেকে বিলকিস উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে সহায়তা চাওয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে ফেসবুকে ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকে।
একপর্যায়ে, গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই শিক্ষক তার এক ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে খিলগাঁও থানার রামপুরা বনশ্রী এলাকায় যান।
খবর পেয়ে বিলকিস ওই শিক্ষককে ফোনে ডেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য বনশ্রীর ১০ তলা মার্কেটের সামনে তার সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানান।
ভুক্তভোগী শিক্ষক সেখানে গেলে গ্রেপ্তার বিলকিস তার সহযোগীদের নিয়ে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে দক্ষিণ বনশ্রী কাজীবাড়ী টিএন্ডটি টাওয়ার এলাকার একটি বাড়ির ৬ তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বিপুল পরিমাণ জালনোটসহ জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
পরে অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীকে হত্যার হুমকি দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাঠি-হাতুড়ি দিয়ে নির্যাতন করে নগদ তিন হাজার টাকা এবং বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এছাড়া, তারা মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগীর আপত্তিকর ভিডিও রেকর্ড করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এছাড়া, একই দিনে মুক্তিপণ হিসেবে অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীকে তার পরিবারের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা আনতে বলে। অন্য কোনো উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগী তার ভগ্নিপতির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে অপহরণকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা পাঠাতে বলে।
ভুক্তভোগীর ফোন বন্ধ থাকায় এবং বুধবার তিনি বাড়ি না ফেরায় তার ভাবি রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরের দিন বৃহস্পতিবার অপহৃত শিক্ষক আবার তার ভাবির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে টাকা পাঠাতে বলেন।
অবশেষে ভুক্তভোগীর দুলাভাই বিকাশের মাধ্যমে দুইবার ৪৫ হাজার টাকা পাঠান।
এরই মধ্যে নিহতের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি এটিইউ সদর দপ্তরে অবহিত করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে স্থানীয় খিলগাঁও থানা পুলিশের সহায়তায় বনশ্রীতে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী পাঁচজনকে আটক করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এটিইউ।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ১.২২ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে রায়ের দিন ধার্য
কুড়িগ্রামে ফ্যান মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শিক্ষকের
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বাড়ির সিলিং ফ্যান মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে হাতিয়া ইউনিয়নের হাজির বাজার এলাকায় ওই শিক্ষকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার খোকসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
নিহত শিক্ষক আজম আলী (৫৩) উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাজির বাজার এলাকার বাসিন্দা।
পার্শ্ববর্তী চিলমারী উপজেলার থানাহাট এ ইউ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজম আলী শিক্ষকতার পাশাপাশি বিদ্যুতের কাজ করতেন। শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িতে নিজের সিলিং ফ্যান মেরামত করছিলেন তিনি।
এ সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। পরিবারে লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর চকবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা শিক্ষকের মত্যু
ঝিনাইদহে যৌন হয়রানির অভিযোগে ইবির ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
ঝিনাইদহের সদর উপজেলার ঝিনুক টাওয়ারে এক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী গত ৩ জুলাই ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ঝিনাইদহ থানা পুলিশ ৫ জুলাই আদালত থেকে মামলাটি গ্রহণ করে বলে পুলিশ বুধবার জানিয়েছে।
আসামিরা হলেন- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এম আনোয়ার হোসেন এবং অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক দেবাশীষ শর্মা।
অন্য চারজন হলেন- উপজেলার আব্দুল জলিলের ছেলে লিয়াকত হোসেন (৪২), রহমত আলীর ছেলে মো. আব্দুস সাদ (৪০), মোশাররফ হোসেনের ছেলে মোকাররম হোসেন (৪৩) ও মামুন (৩০)। সবাই ঝিনুক টাওয়ারের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ইবিতে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী সাদিয়া মল্লিক (২৯) একজন ইতালীয় প্রবাসীর স্ত্রী। গত সাত মাস ধরে তিনি ঝিনুক টাওয়ারের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী আসামিরা বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীর কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে।
এজাহারে বলা হয়, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন প্রায়ই ভুক্তভোগীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করতেন।
এতে আরও বলা হয়, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অন্য পাঁচজনের সহায়তায় রাতে ভুক্তভোগীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে শারীরিকভাবে হয়রানির চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।
তবে সাদিয়া মল্লিকের ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যাপক এম আনোয়ার হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এম কামরুজ্জামান জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে তিনি ঝিনাইদহ আদালতে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেতা ও ৪ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করল ইবি
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা শিক্ষকের মত্যু
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জেলার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের কানাইনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাদরাসা শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান (৫৯) মহম্মদপুরের কানাইনগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান মাস্টারের ছেলে। তিনি উপজেলা সদরের বরকতিয়া বিএসএআর দাখিল মাদরাসার জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু, আহত ১
আছাদুজ্জামানের বড় ছেলে হামিম শেখ জানান, মা বাড়িতে না থাকায় বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে রাইস কুকারে ভাত রান্নার সময় ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগে বিঘ্ন ঘটে।
আছাদুজ্জামান তা মেরামত করার সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে গুরুতর আহত হন।
পরে আছাদুজ্জামানকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাবাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ছেলে হামিমও আহত হয়েছেন।
মহম্মদপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আক্তার কাফুর উজ্জ্বল দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ীতে আম পাড়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে ‘অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে’ গ্যারেজ মালিকের মৃত্যু
শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভের মূল হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট নাগরিক না হলে স্মার্ট অর্থনীতি হবে না, স্মার্ট সরকার হবে না।
তিনি বলেন, স্মার্ট নাগরিক তৈরি করবেন আপনারা, যারা মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষাই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল হাতিয়ার। আর শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর।
শনিবার (১৭ জুন) সকালে চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে জেলার নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ: আমাদের করণীয়’- শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আগামীতে শিক্ষাই হবে আমাদের মেগা প্রজেক্ট : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশ এগিয়ে গেছে। এখন আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষকরা বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারেন।
তিনি বলেন, তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশ এগিয়ে গেছে। এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। এ পথে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। এখন গ্রামে বসেও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল মিলছে।
মন্ত্রী বলেন, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের বিকল্প নেই। তাই সামনের দিনে প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর ও আমাদের প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলায় গুরুত্ব দিতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নীতি-আদর্শ ধরে রেখে কাজ করেছি। এরই ফলস্বরূপ দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে আমাদের।
তিনি আরও বলেন, এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশরত্ন শেখ হাসিনার অবিচল নেতৃত্বে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি পক্ষ সবসময় কাজ করছে: শিক্ষামন্ত্রী
মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী
কুমিল্লায় কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লা নগরীর বারপাড়া এলাকার কলেজ শিক্ষক সাইফুল আলম সুজনকে হত্যার ঘটনায় ছয় জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পরিবহন নেতাকে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের এপিপি জাকির হোসেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জামাল, ইলিয়াস ও জাকির হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিনজন নয়ন, কামাল ও মিঠুন পলাতক।
এছাড়া মোট ৯ আসামির মধ্যে দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। একজন বিচারাধীন সময়ে মারা যান।
২০১০ সালের ১০ আগস্ট বিকালে কুমিল্লা নগরীর বারপাড়া এলাকায় শিক্ষক সাইফুল আজম সুজনকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরদিন কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় সুজনের বাবা ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিষাক্ত ট্যাবলেট খাইয়ে নিজ শিশুকন্যাকে হত্যা, মায়ের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুড়িগ্রামে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শিক্ষক নিহত
কুড়িগ্রাম সদরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সাড়ে ১১ টার দিকে কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়কের বেলগাছ ইউনিয়নের ত্রিমোহনী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল রহিম রাজু (৪৮) জেলার উলিপুর উপজেলার দক্ষিণ মধুপুর আকন্দ পাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং ধামশ্রেণি ইন্দিরার পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
স্থানীয়রা জানান, নিহত রাজু মোটরসাইকেলে করে কুড়িগ্রাম থেকে রংপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেল শহরের দিকে আসার সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে রাজু নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী গাড়ি থেকে ছিটকে পরে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহারিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে অপর এক মোটরসাইকেল আরোহী শিক্ষক নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পিকআপ চাপায় বৃদ্ধার মৃত্যু
কুড়িগ্রামে ট্রাক্টর চালকের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় গরু ব্যবসায়ী নিহত
প্রশাসনিক পদ থেকে আরও ৩ চবি শিক্ষকের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরসহ ১৫ জনের পদত্যাগের একদিন পরেইই আরও তিন শিক্ষক তাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমদ বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন শিক্ষকেরা।
আরও পড়ুন: চবিতে সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ
পদত্যাগকারীরা হলেন-দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ও পরিবহন দপ্তারের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট ড. সুমন বড়ুয়া এবং সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব।
সবাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, আমি আদর্শিকভাবে নতুন প্রক্টরের বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। তিনি বিএনপিপন্থী মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনে উনার ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার গুঞ্জন রয়েছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে এরকম কাউকে মনোনীত করা আমার পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। তাই আদর্শগত কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।
তবে অন্যরা কেন পদত্যাগ করেছে আমি জানি না।
অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট ড. সুমন বড়ুয়া বলেন, আমি আমার একান্ত ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। আমার সঙ্গে বাকিদের পদত্যাগের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি আমার গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের সময় দিতে চাই। তাই একটা দায়িত্ব কমিয়ে নিয়েছি।
এর আগে রবিবার (১২ মার্চ) চবি প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরসহ ১৮টি পদ থেকে ১৬ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের পরপরই নতুন প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদারকে।
এছাড়া শিক্ষক হওয়ার এক মাসের মাথায় মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের নতুন প্রভাষক সৌরভ সাহা জয় এবং ওশানোগ্রাফি বিভাগের মোহাম্মদ রোকন উদ্দিনকে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষকদের গণহারে পদত্যাগের বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, তিনমাস আগে থেকে আমি খবর পাচ্ছি, তারা বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করছেন এবং প্রশাসন বিরোধী কথা বলছেন। তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ছিলো। চেষ্টা করেছি, কিন্তু সবকিছু পূরণ করতে পারিনি। যারা পদত্যাগ করেছে তাদের সবাইকে রবিউল (সাবেক প্রক্টর) নিয়োগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চবি প্রশাসন থেকে প্রক্টরসহ ১৭ জনের পদত্যাগ
চবি সিন্ডিকেট নির্বাচনে বিএনপিপন্থী সাদা দলের বিজয়
কলেজে বন্দুক নিয়ে সহকর্মী শিক্ষকদের হুমকি অধ্যক্ষের, অতঃপর যা ঘটলো
বন্দুক-গুলি নিয়ে নিজ কলেজের সহকর্মী শিক্ষকদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে কলেজ থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করা হলে পুলিশ এসে বন্দুকসহ ওই অধ্যক্ষকে থানায় নিয়ে যায়।
এরপরেই থানা চত্বরে অবস্থান নেন শিক্ষকরা।
সোমবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে। গোলাম মোস্তফা উপজেলার চরারহাট শহীদ স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নদীর গতিপথ বন্ধ করে বালু ভরাট, হুমকিতে হাট-বাজার
কলেজে গিয়ে জানা যায়, গত ১১ থেকে ১২ মাস অনুপস্থিত থাকার পর অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা একনলা একটি বন্দুক ও সাত রাউন্ড গুলি নিয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজে আসেন। এসময় তিনি পিয়নের মাধ্যমে সহকর্মী শিক্ষকদের দ্বিতীয় তলায় ডেকে নেন।
একপর্যায়ে তিনি শিক্ষকদের বলেন, আমি হাইকোর্টের রায় পেয়েছি। আপনারা বিল-বেতন শিটে সই করবেন। যদি না করেন তাহলে আমি আপনাদের গুলি করে দিব। এসময় তিনি বন্দুক উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দিলে শিক্ষকেরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতি দেখে একজন শিক্ষক কলেজ থেকে ৯৯৯-এ কল দেন। দ্রুত সেখান থেকে নবাবগঞ্জ থানায় বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ কলেজে রওনা দেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ কলেজে উপস্থিত হয়ে অধ্যক্ষকে থানায় নিয়ে আসেন। প্রায় ৮ ঘণ্টা থানায় রাখার পর সন্ধ্যা ৭টায় তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ৯৯৯ এর কল পেয়ে আমরা তাকে থানায় নিয়ে এসেছিলাম। সে তার বন্দুকের বৈধ কাগজ আমাদেরকে দেখিয়েছে। পরে তাকে আমরা ছেড়ে দিয়েছি। তবে বন্দুকটি তার বাড়িতে রাখতে সমস্যা হওয়ায় সে বন্দুকটি আমাদের হেফাজতে রেখে গেছে। এছাড়া আমরা জিডি মূলে বন্দুকটি আমাদের অস্ত্রাগারে জমা রেখেছি।
ওসি আরও বলেন, কি কারণে কলেজে বন্দুক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে তার কাছ থেকে একটি লিখিত নেয়া হয়েছে। এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সে যদি কাউকে হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ড হুমকি, সতর্ক করলেন আরব নেতারা
অমর একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি আনসার আল-ইসলামের