শিক্ষক
নড়াইলে অধ্যক্ষ হেনস্তা: ১ শিক্ষক ও কলেজ পরিচালনা পরিষদকে শোকজ
নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হেনস্তার ঘটনায় কলেজের এক শিক্ষক এবং কলেজ পরিচালনা পরিষদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মো. রহমাতুল্লাহ রনির ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (জনসংযোগ দপ্তর) পরিচালক মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঘটনার দিন নেতিবাচক ভূমিকা রাখায় মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক আক্তার হোসেন টিংকু এবং এ ঘটনায় নির্লিপ্ততার জন্য কলেজ পরিচালনা পরিষদকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিক্ষককে হেনস্তা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না-সে মর্মে দ্রুত সময়ের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া অধ্যক্ষ হেনস্তার ঘটনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৮ জুন তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং তদন্ত কমিটি সিন্ডিকেট সভায় ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বিএল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শরীফ আতিকুজ্জমান।
এ প্রসঙ্গে মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক আক্তার হোসেন টিংকু বলেন, শোকজের বিষয়টি শুনেছি। এখনও কোন চিঠি পাইনি।
তিনি আরও বলেন, চিঠি পেলে অবশ্যই দ্রুত সময়ের মধ্যে জবাব দেব।
মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্তী বলেন, শোকজের বিষয়টি শুনেছি, তবে এখনও কোনো কাগজপত্র পাইনি। চিঠি পেলে জবাব দেয়া হবে।
অধ্যক্ষ হেনস্তার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুর রহমান বলেন, শাওন, মনিরুল, রিমন ও রনির তিনদিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়েছে। পরে তাদের হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া নূর নবীর তিন দিনের রিমান্ড শুরু হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত এ রিমান্ড চলবে।
জানা গেছে, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাময়িক বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে কলেজছাত্র রাহুল দেব রায়ের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত ১৮ জুন দিনভর নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও সহিংসতা চলে। ওইদিন বিকালে পুলিশের পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। ওইসময় কতিপয় ব্যক্তি এসে অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। গুজব ছড়ায়, নূপুর শর্মার ছবি পোস্ট করা ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত রাহুলকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। সে এখন হাজতে। এছাড়া অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের মামলায় ১৭০-১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক লাঞ্ছিত: নড়াইল থানার ওসি প্রত্যাহার
নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত: আ’লীগ নেতাকে অব্যাহতি
শিক্ষক লাঞ্ছিত: নূর নবীর রিমান্ড শুনানি বুধবার
নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হেনস্তার ঘটনায় সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া নূর নবীর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনের শুনানি আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে এ ঘটনায় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনই জমা দেয়া হয়েছে। গত ২৩ জুন জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন তদন্ত কমিটি প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী শনিবার (২জুন) জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়েছেন। তবে কত পৃষ্টার প্রতিবেদন, কতজন ও কারা জড়িত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হবে। একই ঘটনায় ২৩ জুন পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলাম সোমবার (৪ জুন) পুলিশ সুপারের কাছে জমা দিয়েছেন। কাদের নাম এসেছে বা কারা জড়িত, কত পৃষ্টার প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কিছু বলেননি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিক্ষককে হেনস্তা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট
অধ্যক্ষ হেনস্তার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্বে) মো. মাহামুদুর রহমান বলেন, বুধবার (৬ জুন) সদর আমলি আদালতে নূর নবীর রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রিমান্ডে আনা চারজন মির্জাপুর গ্রামের শাওন, মনিরুল, রিমন ও রুখালি গ্রামের রনিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ পর্যন্ত গোবরা গ্রামের নূর নবীসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাময়িক বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে কলেজছাত্র রাহুল দেব রায়ের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত ১৮ জুন দিনভর নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও সহিংসতা চলে। ওইদিন বিকালে পুলিশের পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। ওইসময় কতিপয় ব্যক্তি এসে অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। গুজব ছড়ায়, নূপুর শর্মার ছবি পোস্ট করা ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত রাহুলকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। সে এখন হাজতে। এছাড়া অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের মামলায় ১৭০-১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা, শিক্ষক দেবব্রতের ৮ বছর কারাদণ্ড
শিক্ষক লাঞ্ছিত: নড়াইল থানার ওসি প্রত্যাহার
নড়াইলে শিক্ষককে হেনস্তা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট
নড়াইলে কলেজশিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসকের) পক্ষে আইনজীবী লুৎফে জাহান পূর্ণিমা এই রিট দাখিল করেছেন।
বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে।
আইনজীবী পূর্ণিমা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে নড়াইলের ডিসি, এসপি উপস্থিত ছিলেন। তারপরও একজন অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরানো হয়েছে। কেন এমন ঘটনা ঘটলো এর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট দায়ের করেছি। রিট আবেদনটির ওপর এ সপ্তাহেই শুনানি হতে পারে। রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, নড়াইলের এসপি, ডিসিসহ সংশ্লিস্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত: আ’লীগ নেতাকে অব্যাহতি
এর আগে গত ৩০ জুন এই রিট দায়ের করতে গেলে অনুমতি না দিয়ে হাইকোর্ট বলেছিলেন অবকাশকালীন বেঞ্চে দাখিল করতে। সে অনুযায়ী সোমবার রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাময়িক বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে এক কলেজছাত্রের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত ১৮ জুন দিনভর নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও সহিংসতা চলে। ওইদিন বিকালে পুলিশের পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। ওইসময় কতিপয় ব্যক্তি এসে অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। গুজব ছড়ায়, নূপুর শর্মার ছবি পোস্ট করা শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
তবে পুলিশ ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে কলেজশিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনায় সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিক্ষক হেনস্তা: গ্রেপ্তার আরও ১
শিক্ষক লাঞ্ছিত: নড়াইল থানার ওসি প্রত্যাহার
ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা, শিক্ষক দেবব্রতের ৮ বছর কারাদণ্ড
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে দেবব্রত দাস নামে এক স্কুল শিক্ষকের আট বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত।সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালত এ রায় দেন।রায় ঘোষণার সময় স্কুল শিক্ষক দেবব্রত দাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দেবব্রত নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণ চরইশ্বর এলাকার সুবল চন্দ্র দাশের ছেলে। তিনি স্থানীয় চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির থাকা আসামিকে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মোট আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়।’আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের অক্টোবরের ১৫ ও ২৮ তারিখে নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইসলাম ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে অবমাননাকর পোস্টের অভিযোগ ওঠে দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় হাতিয়া থানা পুলিশ সদস্য হুমায়ূন কবীর বাদী হয়ে তাকে আসামি করে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করে।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শিক্ষক দেবব্রত ১৫ অক্টোবর রাত ৯টা ১২ মিনিটে ও ২৮ অক্টোবর রাত ৮টা ৫৯ মিনিটে তার ফেসবুক আইডি থেকে দেয়া পৃথক দুটি পোস্টে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করে নানা বক্তব্য লিখেন। এতে ইসলাম ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত সৃষ্টি হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ওইদিনই পুলিশ দেবব্রত দাসকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: সঙ্গীত শিল্পী আব্দুল মান্নান রানার কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নড়াইলে শিক্ষক হেনস্থা ঠেকাতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সম্প্রতি নড়াইলে এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কোনো গাফিলতি আছে কি না তা কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
নড়াইলের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সামনে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই আকস্মিক ঘটনায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কয়েকজন উত্তেজিত ব্যক্তি শিক্ষককে হেনস্থা করেছে। আমাদের ডিসি ও এসপি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তবে বিস্তারিতভাবে প্রকৃত তথ্য পাওয়ার পর আপনাদের (সাংবাদিকদের) জানাব।’
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শিল্পাঞ্চলসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সাভারে এক শিক্ষককে হত্যার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে অভিযুক্ত ছাত্রের বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং অবশ্যই অভিযুক্ত খুনিকে গ্রেপ্তার করবে। অপরাধীকে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।
পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও এর ওপর মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। সেতুর দুই পাশে দুটি নতুন থানা স্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, সেতুতে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে এবং পুরো সেতু পর্যবেক্ষণে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
শিক্ষক হেনস্থা ও হত্যার প্রতিবাদে টিএসসিতে সমাবেশ
শিক্ষকদের হেনস্থা ও হত্যার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, সম্প্রতি শিক্ষক নির্যাতনের দুটি ভিন্ন ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নজরে এসেছে। একটি ঘটনায় গত ১৭ জুন কথিত ধর্ম অবমাননাকারীদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ এনে নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে হেনস্থা করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, অন্য ঘটনায় গত ২৭ জুন এক শিক্ষার্থীর আঘাতে সাভারের আশুলিয়ায় কলেজ শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি কমানোর সিদ্ধান্ত
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুটি ঘটনাতেই তীব্র সামাজিক অসহিষ্ণুতার বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ম নিয়ে একশ্রেণির মানুষের অপতৎপরতা দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মূল্যবোধকে চরমভাবে আঘাত করছে যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার হীন উদ্দেশ্যে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টার অংশ হিসাবেই ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। এছাড়া সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে কোথাও কোথাও ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের চরম অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার বিকল্প নেই।
আরও বলা হয়, আমাদের নতুন প্রজন্মকে ধর্মান্ধতা থেকে বের করে পরমত সহিষ্ণুতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও মুক্ত চিন্তা-ধারায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে যাতে তারা আদর্শ জীবন গঠনসহ দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। এক্ষেত্রে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সবাইকেই ভূমিকা রাখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি উক্ত দুটি ঘটনার তীব্র ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং এ ধরনের চরম নিন্দনীয় ও বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে বন্ধ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬৭ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার
যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই দেখে পরীক্ষা দেয় শিক্ষার্থীরা!
শিক্ষকদের কেউ আড্ডা দিচ্ছেন, কেউবা ঘুমাচ্ছেন। আর শিক্ষার্থীরা বই দেখে পরীক্ষা দিচ্ছে। এটি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া দাখিল মাদরাসার চিত্র।
দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো এখানেও চলছে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষায় মাদরাসার সব ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ নেয়ার কথা থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাত্র সাতজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে।
ভরনিয়া দাখিল মাদরাসা উপজেলা শহর থেকে দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। ১৯৬৪ সালে ভরনিয়া দাখিল মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আর এমপিওভূক্ত হয় ১৯৮৫ সালে। একসময় নামডাক থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি এখন পরিণত হয়েছে সাত শিক্ষার্থীর পাঠশালায়। শিক্ষক, কর্মচারীও আছেন ১৮ জন।
নিয়মিত বেতনও নিচ্ছেন তারা। ইবতেদায়ী থেকে দাখিল পর্যন্ত রয়েছে দশটি শ্রেণি কক্ষ। কাগজ-কলমে শিক্ষার্থী রয়েছে ২৪৫ জন। কিন্তু বাস্তবে এর চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগ ডের নামে অশ্লীলতা বন্ধ করতে নির্দেশ
অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া সাত শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছেন ৬ষ্ঠ শ্রেণির একজন, ৭ম শ্রেণির একজন এবং নবম শ্রেণির পাঁচজন। পরীক্ষা চলাকালে দেখা গেছে, শিক্ষকরা অফিসে বসে আড্ডা মারছেন, আর সাত পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন বই খুলে!
এদিকে, শিক্ষার্থী না থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণের বরাদ্দও পেয়েছে। মাদরাসার নামে ১৫ বিঘা আবাদি জমি থাকলেও সেগুলো লিজ দেয়া হয়েছে।
ভরনিয়া গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, ‘মাদরাসায় নতুন সুপার আসার পর থেকে মাদরাসার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দেয়। কিন্তু সব ফেল করে। প্রতিষ্ঠানের অনেক পুরাতন গাছ ছিল, সেগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। মাদারাসায় এখন কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই। মাদরাসার জমি আছে সেগুলোও বন্ধক দেয়া হয়েছে।’
একই গ্রামের বাবুল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকরা ঠিকভাবে ডিউটি করে না। তাই ছাত্রছাত্রীরা অন্য বিদ্যালয়ে চলে গেছে।’
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘যেখানে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতি বাড়াতে কারও কোনো পদক্ষেপ নেই। সেখানে কর্মচারী নিয়োগে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য এবং মাদরাসার জন্য ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন বরাদ্দ হয় কিভাবে ?’
মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুল করিম বলেন, ‘কমিটির কোনো মিটিং হয় না। ছাত্র-ছাত্রী এখন ৬-৭ জন। শিক্ষকরা সময়মতো আসেন না।
আরও পড়ুন: বরিশালের ২২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
৬০ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পায়। এই টাকা কোথায় যায়, কে পায়? একদিন মাদরাসায় গিয়ে দেখি পাঁচজন শিক্ষক এসেছে, এর মধ্যে একজন ঘুমাচ্ছে।’
ভরনিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আতাউর রহমান বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের আসার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু কাজ-কামের জন্য ছাত্ররা আসছে না। করোনার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা আসেনি। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, ‘স্থানীয় জনগণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখি কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই। কয়েকজন শিক্ষক আছেন, সুপারও ছিল না। একটি ক্লাস রুমে প্রবেশ করে দেখি সেখানে ছাগল ও বাদুরের মল। যা আমাকে হতবাক করেছে। পড়ালেখাও হয় না, বিষয়টি আমি মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাতে অবগত করেছি।’ এই পরিণতির জন্য তিনি শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৈয়ব আলী মাদারাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি যোগদান করার প্রায় এক মাস হলো। এসে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে মত বিনিময় করেছি। কিন্তু মাদরাসা পর্যায় তা করা সম্ভব হয়নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি এই পরিস্থিতি উত্তরণের উপায় খোঁজা হবে। প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে যদি অনিয়ম পাওয়া যায়, তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিএম কলেজের শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা
বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তরিকুল ইসলামের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধ্যার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রবিবার বিকালে শাহিন হোসেন মল্লিক মামুনকে প্রধান আসামি ও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা করেন হামলার শিকার শিক্ষক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম।
তিনি বলেন, শিক্ষক তরিকুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এদিকে, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আলামিন সরোয়ার বলেন, কলেজের শিক্ষক তরিকুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় রবিবার দুপুরে আমরা জরুরি বৈঠকে বসেছি। আমরা বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেব। এছাড়া হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির পক্ষ থেকেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পড়ুন: খুলনায় ধর্ষণ মামলায় পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৩ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার, আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীকে মারধর, শিক্ষক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার বিকালে অভিযুক্ত শিক্ষক মো.সাইফ হোসেনের (২৬) বিরুদ্ধে বোয়ালখালী থানায় মামলা করেছেন আহত শিক্ষার্থীর বাবা আবদুল বারেক।
এর আগে রবিবার দুপুরে উপজেলার গোমদন্ডী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইদুল হককে (১৫) শিক্ষক সাইফ হোসেন বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এতে আহত শিক্ষার্থী সাইদুল উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে সাইদুলের সহপাঠীরা। এসময় তারা বিদ্যালয়ের সামনে কানুনগোপাড়া ডিসি সড়কে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসের সঙ্গে পুলিশভ্যানের ধাক্কা, ১৩ শিল্প পুলিশ আহত
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফররুখ আহমদ মিনহাজ জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক সাইফ হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের শিশু আইনে মামলা করেছেন শিক্ষার্থীর বাবা।
মামলা হওয়ায় শিক্ষক সাইফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শিক্ষক সাইফ জামালপুর জেলার মেসকা ইউনিয়নের পূর্ব কলতাপাড়ার ৮নং ওয়ার্ডের মো. গোলাম রব্বানীর ছেলে। তিনি বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী সালাম মার্কেটে ভাড়া থাকেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঈনুল আবেদীন নাজিম বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় খন্ডকালীন শিক্ষক সাইফ হোসেনকে বহিস্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হাতি হত্যার দায়ে বাবা-ছেলে কারাগারে
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অভিন্ন নীতিমালা তৈরি
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণের অভিন্ন নির্দেশিকার খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববদ্যিালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।রবিবার ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ নির্দেশিকা -২০২২’ এর খসড়া চূড়ান্তকরণে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও এ সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, প্রথমবারের মতো ইউজিসি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগে অভিন্ন নির্দেশিকার খসড়া প্রণয়ন করেছে। এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জনবল নিয়োগে একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করে দেয়া হবে। এই মানদণ্ড অনুসরণ করে জনবল নিয়োগ দেয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হবে।
আরও পড়ুন: ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ইউজিসিসভায় অভিন্ন নির্দেশিকার খসড়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়োগ ও পদোন্নতি বা পদোন্নয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করে দিয়েছে ইউজিসি যা ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন দিয়েছে।
ইউজিসি নির্দেশিকাটি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুসরণের জন্য পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: বরেণ্য শিক্ষাবিদরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হতে চান না: দীপু মনি