ভারত
৫২তম বিজয় দিবসে বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা ভারতের
বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর এক বার্তায় বলেছেন, ‘৫২তম বিজয় দিবসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা!’
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী (বন্ধুত্ব) কেবল তার জনগণের স্বার্থেই কাজ করেনি, একটি দৃষ্টান্তও তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
দূতাবাসের এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘শুভ বিজয় দিবস, বাংলাদেশ।’
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, তারা স্বাধীনতা আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণের ‘সাহস ও আত্মত্যাগ’কে অভিবাদন জানায়।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই দিনটি ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধির অনুপ্রেরণা অব্যাহত রাখুক।’
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
ঢাকা-লন্ডন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব অব্যাহত রয়েছে: সারাহ কুক
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ: ভারতকে বিদায় করে ফাইনালে বাংলাদেশ
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ১৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল চার উইকেটে জয় লাভ করে।
আরও পড়ুন: ‘মিথ্যা প্রতিবেদন’: একাত্তর টিভির বিরুদ্ধে মুশফিকের আইনি ব্যবস্থা
টস জিতে প্রথমে বাংলাদেশের ফিল্ডিং নেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। মারুফ মৃধার নেতৃত্বাধীন বোলিং ভারতীয় ব্যাটিংকে বিপর্যস্ত করে ফেলে। আদর্শ সিং, আরশিন কুলকার্নি ও উদয় সাহারান সহজে আউট হলে ষষ্ঠ ওভারে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ১৩/৩।
তবে মুশির খান (৫০) ও মুরুগান অভিষেকের (৬২) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভারতকে ১৮৮ রানের প্রতিযোগিতামূলক স্কোরে নিয়ে যায়।
কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও, রাজ লিম্বানি (১১*) এবং নমন তিওয়ারি (৬) সমস্ত উইকেটে স্কোরকে ১৮৮- এ ঠেলে দিয়ে মূল্যবান রানের অবদান রাখেন।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায়। রাজ লিম্বানি (২/৪৭) ও নমন তিওয়ারি (৩/৩৫) শক্তিশালী অবদান রাখলেও আরিফুল ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষে লিঞ্চপিন হিসেবে আবির্ভূত হন। আহরার আমিনের ৪৪ রানের অবদানে ৯০ বলে ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস বাংলাদেশকে জয়ের দিকে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: এসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ: সেমিফাইনাল নির্ধারণে বুধবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ
বিজয় দিবস উদযাপনে ঢাকায় ৩০ ভারতীয় ওয়ার ভেটারেন
মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ ভারতীয় ওয়ার ভেটারেন এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ৬ জন কর্মরত কর্মকর্তা বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন অনুসারে, ‘এই সফরগুলো আমাদের বন্ধুত্ব উদযাপন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে।’
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণীয় করে রাখতে ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরের ওয়ার ভেটারেন ও কর্মরত অফিসারদের প্রতি বছর তাদের বিজয় দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানায়।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৬ জন কর্মরত অফিসার কলকাতায় বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
একইভাবে ৩০ ভারতীয় ওয়ার ভেটারেন এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ৬ জন কর্মরত অফিসার বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
হাইকমিশন বলেছে, এই দ্বিপক্ষীয় সফরগুলো বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয় ওয়ার ভেটারেন দুই দেশের অনন্য বন্ধুত্ব উদযাপন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। যা মূলত দখল, নিপীড়ন ও গণনৃশংসতা থেকে বাংলাদেশের মুক্তির জন্য ভারত ও বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর অভিন্ন আত্মত্যাগের প্রতীক।
আরও পড়ুন: ‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
ভারত থেকে ৮৪ টন বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৮৪ টন বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করা হয়েছে। রবিবার সকালে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ছয়টি ট্রাকে করে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করা হয়।
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড বিস্ফোরক দ্রব্যগুলো আমদানি করেছে। বেনাপোল বন্দরে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা বিস্ফোরকের ট্রাকগুলো ঘিরে রেখেছেন। আশপাশের এলাকায় কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: পূজার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
বেনাপোলের মেসার্স নাজমুল অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানটির মালিক নাজমুল হোসেন জানান, পণ্য চালানটি খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাস্টমসে দাখিল করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কাজ সম্পন্ন হলে ভারতীয় ট্রাক থেকে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য খালাস করে বাংলাদেশি ট্রাকে নেওয়া হবে। পরে ট্রাকগুলো রবিবার সন্ধ্যায় দিনাজপুরের উদ্দেশে বেনাপোল বন্দর থেকে ছেড়ে যাবে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল কারিম জানান, খননকাজ পরিচালনার জন্য ভারত থেকে এই বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করেছে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড।
তিনি আরও জানান, দ্রুত যাতে পণ্য খালাস নিতে পারেন তার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্দর এলাকায় প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার
ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা ছাড়াল
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ এশিয়ায় খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় মশলা রপ্তানির ওপর ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর শনিবার ঢাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ২০০-২২০ টাকা বা তার বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, যা বৃহস্পতিবার ছিল ১৩০ টাকা।
এটি ভোক্তাদের উচ্চ ব্যয়ের জীবনযাত্রার মধ্যে আরেকটি কষ্টকর পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
৩১ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহ আগে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে ভারত।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা নতুন কিছু না হলেও বাংলাদেশের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা হঠাৎ দাম বাড়ার জন্য ভারতের নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোকে দায়ী করছেন।
তারা বলেন, নিষেধাজ্ঞাটি ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে এবং এটি কেবল বাড়ানো হয়েছে এবং এটি বর্তমান পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগে। কিন্তু হঠাৎ করে দাম বাড়ানোর পেছনে বাজারের একদল নিয়ন্ত্রণকারী বা সিন্ডিকেট কাজ করেছে।
খুচরা বিক্রেতারা আজ কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ২০৪ টাকায়, যা বৃহস্পতিবার ছিল ১৩০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরের মোকামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১০৫ থেকে ১২৫ টাকা এবং আজ তা বেড়ে হয়েছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৯০-১১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ পাইকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মাজেদ বলেন, ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেশের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। গত কয়েক দিন ধরে আকস্মিক বৃষ্টিও দামে প্রভাব ফেলেছে।
শুধু ঢাকায় নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পাবনায় আজ সকালে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
পাইকাররা জানান, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে জেলার পাইকারি বাজারে হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আড়তে ঝুলছে ‘পেঁয়াজ নাই’ লেখা বোর্ড
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। গণমাধ্যমে এমন খবর আসার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয় এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে বাজারের দৃশ্যপট পাল্টে যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ১৫০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ২০০-২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশের মতো খুলনায়ও ভারতীয় এবং দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে।
নগরীর সন্ধ্যা বাজার, নিউ মার্কেট, জোড়াকল বাজার, বয়রা বাজার, গল্লামারী, ট্রাক টার্মিনালের পাইকারী আড়ৎ ঘুরে দেখা যায় খবর প্রচার হওয়া মাত্রই একটি সিন্ডিকেটের কালো থাবা পড়েছে বাজারে। এলাকার বাজার ঘুরে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির খবর জানা গেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালেই নিউ মার্কেট কাঁচা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত। যা গত সপ্তাহেও ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি।
এছাড়াও পাবনার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা করে।
তবে শুক্রবার সন্ধ্যার পরই পাল্টে যায় পেঁয়াজের বাজারের দৃশ্যপট।
বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা করে এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি করে।
মূলত দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার খবর সন্ধ্যার মধ্যেই পৌঁছে যায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের কানে।
এরপরই নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন সরকারের
ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা খবর পেয়ে পেঁয়াজ কিনতে বড় বাজারে আসেন সরকারি চাকরিজীবী জাহিদুল ইসলাম।
দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্ধ্যার দিকেই দেখেছি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে, তখনই বুঝতে পারলাম দেশেও দাম বেড়ে যাবে। তাই দ্রুত বাজারে চলে এলাম, কিন্তু এসে দেখি আগেই দাম বেড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ দুই দিন আগেও ১০০ টাকা কেজি কিনেছি, শনিবার কিনতে হয়েছে ১৫০ টাকা করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর ব্যাপারে খুবই দক্ষ। কোনো একটা ঘোষণা আসার আগেই অটোমেটিক দাম বেড়ে যায়। ভারত আজ ঘোষণা দিয়েছে, তাই বলে আজই দাম বাড়িয়ে ফেলতে হবে?
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে সন্ধ্যা বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে বেশি দামেই পেঁয়াজ আনতে হচ্ছে। যার কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেশি।
তিনি আরও বলেন, শনিবার আবার শুনেছি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে, তাহলে তো পেঁয়াজের বাজারে আরও অস্থিরতা তৈরি হবে।
দেশি পেঁয়াজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজের সিজন শেষ, যে কারণে দামটা একটু বেশি। তবে আগামী ১৫ দিন পরই বাজারে নতুন পেঁয়াজ চলে আসবে, আশা করি দেশিটার দাম তখন কমে যাবে।
বিক্রেতা রাকিব মিয়া বলেন, গত দুই দিনের বৃষ্টিতে কৃষকের পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। যার কারণে নতুন পেঁয়াজ এলেও দাম তেমন একটা কমবে না। এছাড়া বাজারে সব জিনিসেরই তো দাম বেশি। পেঁয়াজের দাম কমবে কী করে?
শুক্রবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে অন্যান্য দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
এর আগে গত ২০ আগস্ট ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগ বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির উপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যার ফলে স্থানীয় বাজারে মূলত মশলা হিসেবে ব্যবহৃত পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে লক্ষাধিক মেট্রিক টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রত্যাশা
ভারতের শুল্ক আরোপ করায় খুলনার বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
গ্লোবাল ইকোনমিক পলিসি ফোরামে সালমান এফ রহমান
বর্তমান সময়ে বিদ্যমান নানামুখী সংকটের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সমৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দুই দিনব্যাপী গ্লোবাল ইকোনমিক পলিসি ফোরাম।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (৭-৮ ডিসেম্বর) ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অর্থনীতিবিষয়ক বিভাগ এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) যৌথ উদ্যোগে এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়।
ফোরামটির সভাপতিত্ব করেন ভারতের অর্থমন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারমন।
আয়োজিত ফোরামে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বিশেষজ্ঞ প্যানেল সদস্য হিসেবে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সৌদি বিনিয়োগ দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদাহরণ: সালমান এফ রহমান
বাংলাদেশ কীভাবে দ্রুত অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক সমৃদ্ধি অর্জন করেছে সে বিষয়ে আলোচনার জন্য সালমান এফ রহমানকে ফোরামে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ‘বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন যাত্রা থেকে অনুপ্রেরণা’- শীর্ষক সেশনে ভাষণ দেন।
বিগত দেড় দশকে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশসমূহ কী ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে পারে, সে সম্পর্কে আলোচনা ছিল সেশনের প্রধান উদ্দেশ্য।
সালমান এফ রহমান সেশন সঞ্চালক ও অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
সরকার পরিবর্তন করতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে: সালমান এফ রহমান
মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত
বৃহস্পতিবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৮ ডিসেম্বর থেকে অন্যান্য দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। অভ্যন্তরীণ প্রাপ্যতা বৃদ্ধি ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক অন্যান্য দেশকে দেওয়া অনুমতির ভিত্তিতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভারত ৪০% শুল্ক আরোপ করায় হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নিম্নোক্ত ৩টি শর্তের যে কোনো একটি পূরণ হলে পেঁয়াজের চালান রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে:
- এই প্রজ্ঞাপন জারি করার আগে যেসব জায়গার জন্য জাহাজে পেঁয়াজ তোলা হয়েছে।
- শিপিং বিল জমা দেওয়া হয়েছে; পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজ ইতোমধ্যে ভারতীয় বন্দরে এসে নোঙর করেছে এবং এই প্রজ্ঞাপনের আগে সেগুলোর রোটেশন নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনের আগে পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজের নোঙর/বার্থিং সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিশ্চিত হওয়ার পরেই এ ধরনের জাহাজে লোডিংয়ের অনুমোদন প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন সরকারের
- পেঁয়াজের চালান এই প্রজ্ঞাপনের পূর্বে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে/যেখানে এই প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে রপ্তানির জন্য চালান কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশ করেছে এবং এই প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশকরা পণ্যগুলোর তারিখ ও সময় স্ট্যাম্পিংয়ের যাচাইযোগ্য প্রমাণসহ কাস্টমস স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কাস্টোডিয়ানের ইলেকট্রনিক সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে।
এর আগে ২০ আগস্ট ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগ বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যার ফলে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
পরে ভারত সরকার ২৯ অক্টোবর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য ফ্রি-অন-বোর্ড ভিত্তিতে টন প্রতি ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (এমইপি) ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে পেঁয়াজ-আলুর দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের পাশে আছে ভারত: রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা
একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভারত ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘৬ ডিসেম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তারিখ। এটি আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি প্রভাবশালী গুণনীয়ক।’
আরও পড়ুন: জাহাজের শুভেচ্ছা সফর ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক: প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে 'ভারত সরকার ও জনগণের অমূল্য অবদান' থেকে উদ্ভূত আবেগময় বন্ধনকে তুলে ধরে উভয় দেশ ৬ ডিসেম্বরকে 'মৈত্রী দিবস' বা 'বন্ধুত্ব দিবস' হিসেবে পালন করে।
মৈত্রী দিবসের আয়োজন ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গভীর ও চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন, যা রক্ত ও অভিন্ন আত্মত্যাগে গড়ে উঠেছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ইতিহাসে এই দিনটি অনন্য।
তিনি বলেন, এটি অংশীদারিত্বের সূচনা যা এখন বহুমুখী হিসাবে দেখা হয় এবং সম্পর্কটি কৌশলগত অংশীদারদের ছাড়িয়ে যায়।
হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশ কৌশলগত অংশীদারের চেয়েও বেশি কিছু।
তিনি বলেন, এটি আত্মত্যাগকারীদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানোর দিন।
সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে উল্লেখ করে প্রণয় ভার্মা বলেন, 'আজ এটি একটি বহুমুখী সম্পর্ক, যা আমাদের সম্পর্কে নতুন গতি যোগ করছে।’
তিনি বলেন, দুই দেশ সব ক্ষেত্রে নতুন সংযোগ গড়ে তুলছে। ‘বৃহত্তর আশা এবং বৃহত্তর আশাবাদের সঙ্গে সুযোগটি সত্যিই অন্তহীন।’
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে আরও ১৪৫ অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের ইতিহাস ও উত্তরাধিকার সম্পর্কে তরুণদের আকৃষ্ট করতে তারা ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে একটি মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি স্থাপন করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে যোগদানের জন্য ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে আসলে ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ১০ দিন আগে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভারত।
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম।
২০২১ সালে ঢাকা ও দিল্লি ছাড়াও বিশ্বের ১৮টি দেশে দিবসটি পালিত হয়।
দেশগুলো হলো- বেলজিয়াম, কানাডা, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জাপান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র।
সেলিব্রিটি, সম্পাদক এবং ভারতের বন্ধুরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর কারাগারে ভারতীয় হিন্দু নাগরিকের মৃত্যু
বেনাপোল বন্দরে চারমাসে ভারতের সঙ্গে রাজস্ব ঘাটতি ৩১৩ কোটি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়েও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসে ব্যাপক কড়াকড়ির কারণে পচনশীল ও বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা এই বন্দর দিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। উচ্চ শুল্ককরের পণ্য এ বন্দর দিয়ে আমদানি কমে গেছে।
মোটরপার্টস, ফেব্রিকস, আয়রন, স্টিল, আপেল ও মোটর গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানিকারকেরা বেনাপোল দিয়ে আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
আমদানি কমে যাওয়ায় এসব পণ্য থেকে প্রায় ২০১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা যায়।
চলতি অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। গত চার মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। তার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র এক হাজার ৭৫১ কোটি টাকা।
সেই হিসাবে ২৪০ কোটি টাকার রাজস্ব কম আদায় হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩১৩ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, মূল কারণ হচ্ছে ব্যাংক থেকে এলসি ওপেন করা যাচ্ছে না। ডলার সংকটের কারণেই আমদানি বাণিজ্যে এ ধরনের ধস নমেছে। ফলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কমে যাওয়ায় রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
আমদানিকারক আমিনুল ইসলাম আনু বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম ১১০টাকা ৪২ পয়সা। এলসির সব টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করলেও ব্যাংক এলসি দিচ্ছে না। এলসি করতে গেলে পিআই অনুমোদনের জন্য ব্যাংকের উচ্চ মহলে ধর্না দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহে এলসি করতে ডলারের বিপরীতে টাকার দাম ছিল ১১২ টাকা। চলতি সপ্তাহে তা বেড়ে ১৩০ টাকা হয়েছে। বাণিজ্যিক পণ্যের এলসি না হওয়ায় আমদানি বাণিজ্য কম গেছে এবং রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের বৈধ সুবিধা নিশ্চিত হলে আশা করছি বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্যে আবারও গতি ফিরবে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল বাঁশ-কাঠের গুঁড়ি দিয়ে রাজস্ব ভবন রক্ষার চেষ্টা
সি অ্যান্ড এফের ব্যবসায়ী জুয়েল রানা জানান, ভারতের নাসিক থেকে আসা আপেলসহ অন্যান্য উচ্চ পচনশীল পণ্যের চালান আসতে প্রায় তিনদিন সময় লাগে। ফলে পচে যায় অধিকাংশ কার্টুনের ফল। পচা মালের রাজস্ব আদায় করায় অধিকাংশ আমদানিকারক বেনাপোল বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশসেন সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ডলার সংকট চলছে। ডলার সংকট দেখিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এলসি দিতে চাচ্ছে না। আর এলসি দিলেও ডলারের রেট অনেক বেশি। ডলার বাইরে থেকে কেনার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। এলসি না হওয়ার কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি অনেক কমে গেছে।’
বেনাপোলের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়ে ধস নামার কারণ আমদানি বাণিজ্য কমে যাওয়া। এলসি করতে ব্যাংক ম্যানেজার ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কারণে এলসি কমে গেছে। এলসি করতে ব্যাংকে অতিরিক্ত খরচ হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে নিরুৎসাহী হচ্ছেন।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়েত হোসেন বলেন, ‘জেনেছি ডলার সংকটে এলসি না হওয়ার আমদানি কম হচ্ছে। আগের তুলনায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। বিশেষ করে মোটরগাড়ি ও মোটরপার্টস থেকে ২০১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। আপেলসহ অন্যান্য ফলে আমদানিতে ২৪ কোটি ও ফেব্রিকস আমদানিতে ২১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। সর্বমোট ৩১৩ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি আছে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ‘আতা ফলের’ ঘোষণায় এলো ‘পার্সিমন’!