ভারত
দুর্বল হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) অনুসারে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গেছে এবং দ্রুতই এটি দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, শুক্রবার ভোরে নিম্নচাপটি ভারতের পুদুচেরী ও চেন্নাই এর মধ্য দিয়ে উত্তর তামিলনাড়ু এবং পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে।এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ধীরে ধীরে দুর্বল ও গুরুত্বহীন হয়ে যেতে পারে।
তবে গভীর সাগরে মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে পারে
নিম্নচাপরের প্রভাবে সাতক্ষীরায় বৃষ্টিপাত
কোভিড-১৯: বিশ্বে মৃত্যু ৫১ লাখ ৩১ হাজার ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকলেও করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩২ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫১ লাখ ৩১ হাজার ১৬০ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার ৮৯৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে সাত লাখ ৬৮ হাজার ৬৮৪ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১২ হাজার ১৭৭ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫১৭ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৬৪ হাজার ৭১৫ জনে।
আরও পড়ুন: সারাদেশের স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পাচঁ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে ২৪৪ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৩৯ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৪৫৮ জনে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৫০৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ২৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৯৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫১৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু
করোনা ফি’র আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ, টেকনোলজিস্টের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের
তাহিরপুর সীমান্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে মেঘালয়ে ফিরে গেছে ৪ বন্য হাতি
ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ি এলাকা থেকে বুধবার দুপুরের দিকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর আসা চার বন্য হাতি ফিরে গেছে। উপজেলার বরগুপ এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যাদুকাটা নদী এলাকার সীমান্ত বেড়া ভেঙে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে হাতিগুলো মেঘালয়ে ফিরে যায়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার ভোরে গিয়ে বেড়া ভাঙা ও পায়ের ছাপে নিশ্চিত হয়েছে হাতিগুলো ভারতে ফেরত গেছে।
তিনি বলেন, রাতে হাতিগুলো বরগুপ এলাকায় বিচরণ করছিল। বিজিবি ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা আমাদের নিশ্চিত করেছেন, বরগুপের সীমান্ত এলাকার বেড়া ভেঙে প্রাণীগুলো ভারতে চলে গেছে। হাতিগুলো সাধারণ মানুষের ক্ষতি করেনি। তারা বেশ শান্ত ছিল এবং রাতভর গ্রামবাসীও সচেতন ভূমিকা পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীর ধানক্ষেত থেকে মৃত হাতি উদ্ধার
সুনামগঞ্জ জেলা বন অফিসের সহকারী বন সংরক্ষক অরুণ বরণ চৌধুরীও জানান, বন্য হলেও হাতিগুলো শান্ত ছিল। দু-তিনজনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে, তবে তাদের চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। আবেদন করলেই সরকার ভর্তুকি দিয়ে দেবে।
এর আগে বুধবার ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ি এলাকা থেকে দুটি বড় ও দুটি ছোট হাতি যাদুকাটা সীমান্ত পেরিয়ে তাহিরপুরের বারেক টিলায় প্রবেশ করে। দিনভর বিচরণের পর হাতিগুলো রাতে বরগুপ এলাকায় অবস্থান নেয়। হাতিগুলোর বিচরণের কারণে এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বসতবাড়ি ও ক্ষেত রক্ষায় সারা রাত পাহারা দেয় বিজিবি, বন বিভাগ ও স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
ভারত থেকে ফিরলেন পাচারের শিকার ৬ বাংলাদেশি
ভারতে পাচারের শিকার ছয় বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশে করেছেন। এ সময় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশের তৈরি হয়।
তারা হলেন- বগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলার জিয়ারুল ইসলাম,কিশোরগঞ্জ সদরের হানিফা আক্তার, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার আলপনা খাতুন, ঢাকার কেরানীগঞ্জের রীনা আক্তার, জামালপুরের মানিক মিয়া এবং মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মো.শাহাজান মিয়া।
ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় এই ছয়জনকে বাংলাদেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।
আখাউড়ার নো ম্যান্স ল্যান্ডে তাদেরকে গ্রহণ করার সময় উপস্থিত ছিলেন- ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন, প্রথম সচিব আসাদুজ্জামান ও রেজাউল হক, আখাউড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমিকা) সাইফুল ইসলাম, ওসি ইমিগ্রেশন আব্দুল হামিদ, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান, স্বেচ্ছাসেবক সৈয়দ খায়রুল আলম এবং পাচারের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি বন্ধ
পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে পাচারের শিকার ব্যক্তি ও তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে জরুরি অর্থ সহায়তা এবং কাউন্সিলিং সেবা দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান তাদের হাতে এসব সাহায্য তুলে দেন।
নথিপত্র বলছে, পাচারের শিকার ছয় বাংলাদেশিই মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হন।
ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের নির্দেশে তারা আগরতলার মর্ডান সাইক্রিয়াটিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের অনেকেই এই হাসপাতালে চার থেকে পাঁচ বছর বা আরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাইকমিশন সবসময় তাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছে। পরে অবস্থার উন্নতি হলে তাদের দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে তারা কীভাবে ভারতে এসেছিলেন সেটি তারা বলতে পারেননি।
আরও পড়ুন: আখাউড়া স্থলবন্দরে বাংলাদেশি যাত্রীদের দুর্ভোগ
পাচারের শিকার জিয়ারুলের আত্মীয় মোহাম্মদ রাজ্জাক জানান, ২০১৪ সালে তার স্ত্রীর বোনের স্বামী জিয়ারুল নিখোঁজ হয়ে যান। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। এমন একজন মানুষ কীভাবে ভারতে পাচার হলেন সেটা নিয়ে তারাও বিস্মিত।
আলপনার চাচাত ভাই দুলাল জানান, ১০ বছর আগে হঠাৎ করে একদিন তাদের বোন নিখোঁজ হন। অনেক পরে পুলিশের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন, আলপনা আগরতলায় মানসিক হাসপাতালে আছেন। কিন্তু কীভাবে সে ভারত গেল আমরা তা বুঝতে পারছি না।
হানিফা আক্তারর ছেলে হেফজ ছাত্র ইয়াছিন জানান, ৫ বছর আগে হঠাৎ করে তাদের মা হারিয়ে যান। তারা ভেবেছিলেন কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে গেছেন। পরে নানাবাড়ি করিমগঞ্জ থানায় খোঁজ করেন, কিন্তু পাননি। পরে মে মাসে পুলিশ খোঁজ নিতে বাড়িতে এলে জানতে পারেন আগরতলায় আছেন তার মা। দীর্ঘদিন পর এখন মাকে পেয়ে তারা খুশি।
আরও পড়ুন: ৬ বছর পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা রপ্তানি শুরু
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বায়োপিক’
প্রথম মুজিব শতবর্ষ পূর্ণ হওয়ার পরের দিন ২০২০ এর ১৮ মার্চ শুরু হবে সিনেমা তৈরি- পরিকল্পনাটা ছিল এরকমই। কিন্তু তাতে বাঁধ সাধলো মহামারি করোনাভাইরাস। পুরো দশ মাস পিছিয়ে ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি মুম্বাইতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু ছবির দৃশ্য ধারণ। বাংলাদেশের অংশটুকুও শুরু হয়ে গেছে ১ নভেম্বর থেকে। ছবি মুক্তির নতুন তারিখ ঠিক হয়েছে ২০২২ এর মার্চে। চলুন, এই ঐতিহাসিক বায়োপিকটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
চিত্রনাট্য জুড়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনচরিত
শেখ মুজিবুর রহমানের তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পাশাপাশি একজন ব্যক্তি মুজিবেরও আত্মপ্রকাশ ঘটবে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক-এ। কোটি বাঙালির প্রাণপ্রিয় নেতাকে দর্শকরা আবিষ্কার করবে একজন সন্তান, একজন স্বামী ও একজন বাবা হিসেবে।
চিত্রনাট্যকার শ্যামা জায়দি ও অতুল তিওয়ারি বায়োপিক লেখার ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্ভর করেছেন প্রাথমিক উৎসের উপর। আর এই প্রাথমিক উৎসটি ছিলেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ মুজিবুর রহমানের সমগ্র জীবনটাকে তুলে ধরতে নিজেদের সেরাটা দিয়ে শৈল্পিক ভাবে চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন জায়দি ও তিওয়ারি। তবে রাজনৈতিক অংশগুলোকে আরও প্রাণবন্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার অবদানও অপরিসীম। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিবেশনের জন্য বেশ সময় নিয়েই চিত্রনাট্যকারদের সহযোগিতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জিৎ-এর প্রযোজনায় প্রসেনজিৎ-মিথিলা জুটির প্রথম ছবি 'আয় খুকু আয়'
বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্র নির্মাণের নেপথ্যে
একদম শুরু থেকে বায়োপিকটির সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন ভারতের ৮৬ বছর বয়সী পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। বায়োগ্রাফী জনরার প্রতি নিবেদিত প্রাণ শ্যাম বেনেগাল এর আগে কাজ করেছেন সুভাস বোস, গান্ধী, এবং নেহেরুর জীবনচরিত নিয়ে।
২০২১ এর এপ্রিল নাগাদ বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তি ও পারিবারিক অংশটুকু শেষ করা হয়েছে মুম্বাইয়ের দাদাসাহেব ফিল্মসিটিসহ বিভিন্ন স্থানে। নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া শ্যুটিং-এ মূলত তাঁর রাজনৈতিক অংশগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হবে।
চলচ্চিত্রটি তৈরিতে সহযোগী পরিচালক হিসেবে আছেন দয়াল নিহালানি। শিল্প নির্দেশনার দিকটা দেখছেন নীতিশ রায়। কস্টিউম পরিচালনায় থাকছেন শ্যাম বেনেগালের মেয়ে পিয়া বেনেগাল। সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আকাশদীপ পান্ডে। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শান্তনু মৈত্র।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন এবং ভারত জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের সহযোগে এই চলচ্চিত্রটি তৈরির জন্য বাজেট ঠিক করা হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা, যার ৬০ ভাগ বাংলাদেশ ও ৪০ ভাগ ভারত বহন করবে।
আরও পড়ুন: সরকারি অনুদানের ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ সিনেমায় নায়িকা দীঘি
২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে বাংলাদেশ-ভারত
ভারতের সাথে যৌথভাবে ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ছেলেদের নির্ধারিত ওভারের সব ফরম্যাটের টুর্নামেন্টের স্বাগতিক দেশের নাম চূড়ান্ত করেছে আইসিসি।
বাংলাদেশ এককভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব করলেও পর্যাপ্ত মাঠ না থাকায় আইসিসি সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি।
২০১৪ সালে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভারত ও শ্রীলঙ্কার সাথে যৌথভাবে আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া ছেলে ও মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ।
২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে যৌথভাবে আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র। আর এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির এমন বড় কোনো টুর্নামেন্টের অংশ হবে। এর আগে ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করে।
২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রপির আয়োজন করবে পাকিস্তান। ১৯৯৬ সালের পর বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে পাকিস্তান।
২০২৭ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। একই বছরের অক্টোবর বা নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়া যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজন করলেও এবারই এই বৈশ্বিক আসরের স্বাগতিক দেশ হবে নামিবিয়া।
২০২৮ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। এর ১২ মাস পর ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রপির আয়োজন করবে।
২০৩০ সালে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে। ১৯৯৯ সালের পর আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড বড় কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের আয়োজক হবে।
এছাড়া পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে অস্ট্রেলিয়ায়। আর টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস অস্ট্রেলিয়া, রানারআপ নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে সরাসরি সুপার টুয়েলভ পর্বে খেলবে।
আরও পড়ুন: মুশফিককে বাদ দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়
টিকা নেয়া পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো ভারত
করোনার সংক্রমণ হ্রাস পাওয়া ও টিকাকরণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দীর্ঘ ১৮ মাস পর পূর্ণডোজ টিকা নেয়া পর্যটকদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ভারত।
সোমবার থেকে নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এসব পর্যটকেরা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়,ভারতে আসা পর্যটকদের অবশ্যই সম্পূর্ণডোজ টিকা দিতে হবে, কোভিড-১৯ প্রোটোকল অনুসরণ করতে হবে এবং তাদের ফ্লাইটের ৭২ ঘন্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার প্রমাণপত্র থাকতে হবে। অনেককে বিমানবন্দরে আসার পরও করোনা পরীক্ষা করা হবে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয়ান যেসব দেশের সাথে ভারতের ‘টিকা প্রশংসাপত্রের পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি’ রয়েছে সেসব দেশের করোনা পরীক্ষা না করেই বিমানবন্দর ছাড়তে পারবেন।
২০২০ সালের মার্চ মাসের পর প্রথমবার ভারত বিদেশি পর্যটকদের বহনকারী বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। এর আগে গত মাস থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে করে পূর্ণডোজ টিকাপ্রাপ্ত পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আমরা কোনো সীমান্তেই প্রাণহানি চাই না: ভারতীয় হাইকমিশনার
পর্যটকদের ভারত ভ্রমণে উৎসাহিত করার জন্য, দেশটির সরকার আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত পাঁচ লাখ ভিসা বিনামূল্যে দেয়ার পরিকল্পনা করছে। এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে করোনায় ধসে পড়া দেশটির পর্যটনখাতকে আবার চাঙ্গা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারত করোনায় দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ।
ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় ৭৯ শতাংশ টিকার এক ডোজ পেয়েছে, আর ৩৮ শতাংশ টিকার সম্পূর্ণডোজ পেয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার টিকাকরণের গতি বাড়াতে রাজ্য প্রশাসনকে ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণকে বোঝানোর আদেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
বেনাপোল হয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাইকেল র্যালি বাংলাদেশে
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফর করবেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এছাড়াও ভুটানের কাছ থেকে উচ্চ পর্যায়ের অংশগ্রহণ আশা করছে বাংলাদেশ।
এটি হবে ভারতের ১৪তম রাষ্ট্রপতির প্রথম বাংলাদেশ সফর। তিনি ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই শপথ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক আর ভারতের জন্য লজ্জা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে।
আগামী মাসে দুটি মেগা ইভেন্টে বাংলাদেশ ও ভারত একসাথে কাজ করতে যাচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়সহ যথাক্রমে ৬ ও ১৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস ও বাংলাদেশের বিজয় দিবস পালিত হবে।
২৬ থেকে ২৭ মার্চ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
এই সফরটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অর্ধ শতাব্দীর অংশীদারিত্বের প্রতীক যা সমগ্র অঞ্চলের জন্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের শক্তিশালী, পরিপক্ক ও বিকশিত করেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল হয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাইকেল র্যালি বাংলাদেশে
সীমান্ত হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক আর ভারতের জন্য লজ্জা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রবিবার সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বলেন,এটি ভারতের জন্য লজ্জার বিষয়। আর বাংলাদেশিদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক যে তাদের জীবন হারাতে হচ্ছে।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,আমি সবসময়ই বলি, এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং এটা ভারতের জন্য লজ্জার বিষয়। আমার কাছে এ বিষয়ে অন্য কোনো উত্তর নেই।
ড. মোমেন বলেন, দুই দেশের সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, দুই দেশ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কোনো হত্যাকাণ্ড দেখতে চায় না এবং কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না বলে মৌখিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সময়ে সময়ে এটি ঘটে চলছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটে ফ্রান্স বাংলাদেশের পাশে থাকবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময়,উভয় নেতারাই একটি শান্ত, স্থিতিশীল ও অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছিলেন।
উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে যে সীমান্তে যে কোনও মৃত্যু উদ্বেগের বিষয় এবং যৌথ বিবৃতি অনুসারে, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জনমুখী পদক্ষেপ বাড়ানো ও বেসামরিক নাগরিকদের এই ধরনের মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারকে বিব্রত করতে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ডিজেল পাচার ঠেকাতে কঠোর নজরদারি বিজিবির
বেনাপোল বন্দর ও সীমান্ত দিয়ে ডিজেল পাচার ঠেকাতে নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি সদস্যরা। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আসা ট্রাকের তেলের ট্যাংকি স্কেল দিয়ে পরিমাপ করে রেজিস্ট্রার খাতায় লিপিবদ্ধ করছে এবং ওই ট্রাক পণ্য খালাস করে ফিরে যাওয়ার সময় আবারও পরিমাপ করা হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি গেটে তেল পাচার রোধে তদারকি করতে দেখা যায় বিজিবি সদস্যদের।
জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতি লিটার ডিজেলের যখন মূল্য ছিল ৬৫ টাকা ২০ পয়সা তখন ভারতে মূল্য ছিল প্রতি লিটার ১০১.৫৬ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ১১৮ টাকা ৭৮ পয়সা)। ৪ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি লিটার করা হয় ৮০ টাকা। তখন ভারতে ডিজেলের দাম কমিয়ে করা হয় ৮৯.৭৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ১০৫ টাকা)।
প্রতি লিটারে বাংলাদেশ থেকে ভারতে দাম বেশি ২৫ টাকা। আর এ কারণে ডিজেল পাচারের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। আর এ সুযোগটা নিয়ে যাচ্ছিল ভারতীয় এক শ্রেণির পণ্যবাহী ট্রাক চালকরা।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: সারাদেশে শুক্রবার থেকে পরিবহন ধর্মঘট
সম্প্রতি ভারত থেকে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকে তেল পাচার ও সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে তেল পাচারের সংবাদ প্রচার হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
বিজিবি’র হাবিলদার আব্দুল কুদ্দুস জানান, ভারত থেকে আসার সময় যে তেল ছিল তা আমরা লিখে রেখেছি। যাওয়ার পথে ওই ট্রাকের তেলের পরিমাপ করা হচ্ছে। যদি বেশি পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এখনও এরকম কোন কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
বেনাপোল আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, ওপারে ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় বিভিন্ন তেল পাম্প থেকে ব্যারেল ভরে এনে বন্দরের আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে রেখে এসব ডিজেল পাইপের মাধ্যমে ভারতীয় ট্রাকের ট্যাংকিতে ভরে দিত। আর এ কারণে বন্দরের আশেপাশে গড়ে ওঠে ডিজেল পাচারের একটি সিন্ডিকেট। বিজিবি কড়াকড়ি আরোপ করায় এসব সিন্ডিকেট চুপসে গেছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: ২ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা বলেন, ভারতে জ্বালানি তেল পাচার রোধে অতিরিক্ত নজরদারি বাড়াতে হেডকোয়ার্টার থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যার ফলে আমরা আমদানি করা পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাকগুলোর জ্বালানি তেল স্কেল দিয়ে পরিমাপ করে খাতায় নোট করে রাখছি। ট্রাকগুলো ফিরে যাওয়ার সময় আবারও স্কেল দিয়ে পরিমাপ করা হচ্ছে। পূর্বের এন্ট্রি করে রাখা তেলের পরিমাণ মিলিয়েই ট্রাক ছাড়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ৩ দিন ধরে আমদানি রপ্তানি বন্ধ