ই-কমার্স
ই-অরেঞ্জের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
গ্রাহকদের সঙ্গে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণা ও গ্রাহক ঠকিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত বাংলাদেশর কেন্দ্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে এই তদন্ত করে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাত করে বিদেশে থাকা পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিক বিথিসহ ৫ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
বৃহস্পতিবার গ্রাহকদের কাছ থেকে আত্মসাতকৃত অর্থ ফেরতের দাবিতে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্ট রুলে ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের টাকা আত্মসাত করে যারা বিদেশে পাচার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কেন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন। সেই সঙ্গে পাচার হওয়া টাকা উদ্ধার করে গ্রাহকদের কেন ফেরত দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। বাণিজ্য সচিবসহ মোট ৯ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আর রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও আব্দুল কাইয়ুম।
গত বছরের বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকরা ই-অরেঞ্জ থেকে বিভিন্ন পণ্যের জন্য অর্থ দিয়ে ভাউচার কিনেন। কিন্তু পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে মালিকপক্ষ কোম্পানি গুটিয়ে পালিয়ে যায়। এমন প্রেক্ষাপটে ৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার পাশাপাশি কত টাকা বিদেশ পাচার করা হয়েছে তা অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩ এপ্রিল এই রিটটি করেন ই-অরেঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪৭ গ্রাহক। সে রিটের শুনানি নিয়ে আজ রুলসহ আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে প্রতারণা মামলা
গ্রাহকের টাকা ফেরত দিলে আস্থা ফিরবে ই-কমার্সে
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের টাকা ফেরত দিয়ে ব্যবসায় ফিরলে আস্থায় ফিরতে পারবে বলে মনে করছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।তিনি বলেন, যে সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে লুকিয়ে থাকবে তারা মার্চের পরে আর পারবে না। এই তথ্যটা সবার মাধ্যমে জানাতে চাই।বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দালাল প্লাস, বাংলাদেশ ডিল এবং আনন্দ বাজারের প্রতারিত গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।সফিকুজ্জামান বলেন, যারা অফিস বন্ধ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা গ্রাহকের টাকা শোধ করে ব্যাবসায় আসলে আস্থার জায়গায় ফিরে আসবে। আজকে দালাল প্লাসের ১০ জন গ্রাহককে ৯ লাখ সাত হাজার ৪৬৩ টাকা, বাংলাদেশ ডিলের ১০ গ্রাহককে পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯ টাকা এবং আনন্দের বাজার ১০ গ্রাহককে ৬ লাখ ৫ হাজার ৬৪৩ টাকা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া আমরা আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরতের কার্যক্রম গুছিয়ে এনেছি। আগামী সপ্তাহে আবার বসে শ্রেষ্ঠ.কম, আলিফ ওয়ার্ল্ড, ধামাকার টাকাগুলো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফেরত দিতে পারব। তাহলে সবমিলে ১১টি প্রতিষ্ঠান এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আসবে।অতিরিক্ত সচিব বলেন, কিউকমের এখন পর্যন্ত ২৩ কোটি টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। তাদের টাকা সেটেল হয়ে গেছে, ফস্টারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। দু'একদিনের মধ্যে আরও ৩৫ কোটি টাকা চলে যাবে। তাহলে কিউকমের ৬০ কোটি টাকার মধ্যে ৫৭ কোটি টাকার মতো পরিশোধ হয়ে যাবে, বাকি কিছু থাকতে পারে। তাদের ১০০ কোটি টাকার প্রোডাক্ট আছে সেগুলোও প্রক্রিয়া করা যাবে।
আরও পড়ুন: কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
কিউকমের মালিকের জামিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জামিনের বিষয়ে আমরাও বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেছি, ই-ক্যাবকে বলেছিলাম কোর্টে যোগাযোগ করার জন্য। তারা সেখানে গেছেন, সেটার রেজাল্টও আপনারা জানেন। একটা মামলার জামিন হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি সে যদি লিগ্যাল প্রসিডিউরে আসতে পারলে কিউকমের আটকে থাকা প্রায় ৪শ' কোটি টাকা ফেরত দেয়া যাবে। এটি ফেরত দিতে পারলে বড় ধরনের রিলিফ হবে। এ কারণে আবারও বলব যারা যেখানে সমস্যায় আছে, গা ঢাকা দিয়ে আছে তারা যদি যোগাযোগ করে পজিটিভলি টাকাগুলো ফেরত দেয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অ্যাডযাস্টমেন্টও আছে তাদেরকে আমরা আপাতত ডিস্টার্ব করব না।উল্লেখ্য, আমাদের ই-কমার্সের ২৪ টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কমপক্ষ ১১০ টি মামলা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর টাকা বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে আছে ৫০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ১০ থেকে ১১টি প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারমধ্যে আটটি প্রতিষ্ঠানের টাকা গ্রাহকদের ফেরত দেয়া প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর আগে বিটিটিসির প্রতিবেদন চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
মনিটরিং টিমের অভিযান অব্যাহত রেখেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
ইভ্যালির ৭ গাড়ি নিলামে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকায় বিক্রি
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধে প্রতিষ্ঠানটির সাতটি গাড়ি নিলামে বিক্রি করেছেন হাইকোর্টের গঠন করে দেয়া পরিচালনা পর্ষদ।
বৃহস্পতিবার গাড়িগুলো দুই কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।
দীর্ঘ নিলাম প্রক্রিয়ার পর সাতজন ক্রেতা গাড়িগুলো সর্বোচ্চ দামে কিনে নেন। নিলামের পর আয়োজক ও অংশগ্রহণকারী সবাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: স্বজনসহ ইভ্যালির রাসেলের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
রাজধানীর ধানমন্ডির ভিক্টোরিয়া কনভেনশন সেন্টারে নিলাম শেষে এসব তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
নিলাম শেষে বিচারপতি মানিক নিলাম প্রক্রিয়া ও দাম নিয়ে তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘গাড়ির দাম নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।’
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সম্পত্তি যে কোন স্বনামধন্য ফার্ম দিয়ে অডিট করতে নির্দেশ
স্বজনসহ ইভ্যালির রাসেলের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাসহ আত্মীয়দের ব্যাংক হিসাব জব্দে নোটিশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
নোটিশে ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী, ভাই-বোন, পিতা-মাতা, শ্বশুর-শাশুড়ি ও কন্যার ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক যেসব ব্যাংক হিসাব রয়েছে, সেগুলো কেন জব্দ করা হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। এতে রাসেল ও তার পরিবারের সদস্যদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার ইভ্যালি পরিচালনায় আদালত কর্তৃক গঠিত পরিচালনা বোর্ডের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সম্পত্তি যে কোন স্বনামধন্য ফার্ম দিয়ে অডিট করতে নির্দেশ
এ ছাড়া আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ইভ্যালির কিছু গাড়ি নিলামের জন্য সুপ্রিম কোর্টের একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নিলামের স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার এবং র্যাবের ডিজিকে।
আদালতে বোর্ডের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান। অন্যদিকে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বোর্ডের আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান বলেন, ‘ইভ্যালির রাসেল, তার স্ত্রী ও বাবা-মাসহ পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কেন ফ্রিজ (জব্দ) করা হবে না মর্মে শোকজ করেছে আদালত। তাদের আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
‘পাশাপাশি ইভ্যালির লিগ্যাল টিমের কো-অর্ডিনেটর দাবি করে ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করা নিঝুম মজুমদারকে ২ সপ্তাহের মধ্যে হাজির হতে বলেছে আদালত। অন্যথায় তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেবে আদালত।’
ইভ্যালির এক গ্রাহকের পক্ষ থেকে কোম্পানির অবসায়ন চেয়ে করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির প্রতারণার মামলা: তাহসান খানের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
এরপর হাইকোর্ট গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে (চেয়ারম্যান) পরিচালনা বোর্ড গঠন করে দেয়।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী ছাড়াও বোর্ডের সদস্য করা হয় স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ ও আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজকে। আর সরকারি বেতনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীরকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
ইভ্যালির অবসায়ন বা পরিচালনায় গঠন করা এ বোর্ডের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
প্রাণবন্ত প্রকৃতির এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে ভ্যালেন্টাইন ডে’র সাথে। তা না হলে কেনই বা বসন্ত বরণের সাথেই সময়রেখায় পদচিহ্ন রাখতে হবে! ঝরা পাতার ধুসর বিসর্জনের মুক্তি মেলে গাছে গাছে সবুজ পাতার হৈচৈ-এ। যেন দুঃখময় স্মৃতিগুলোকে চোখ রাঙিয়ে নতুন এক ভালবাসার দিন শুরুতে তৃপ্ত বাতাসে নৌকার পাল ছেড়ে দেয়া। তাতে বৈঠা হাতে হাজারো মানব-মানবীর পরিণয়ের উপাখ্যান। এমনি বিশেষ দিনটিকে চির স্মরণীয় করে রাখতে পারে প্রাণখোলা হাসি, শুভকামনা আর উপহার। ভাবনার রাজপথ জুড়ে প্রিয় মানুষটির অবিরাম পদচারণার টোটেম হিসেবে কাজ করা সেরকমি কয়েকটি ডিজিটাল উপহার নিয়ে আজকের ফিচার।
ডিজিটাল ভ্যালেন্টাইন ডে উপহার ২০২২
ডিজিটাল সাবস্ক্রিপশন
ইন্টারনেটের বদৌলতে টিভি-রেডিওর জায়গাটি এখন দখল করে নিয়েছে অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটগুলো। এখন নিজের পছন্দ মতই বেছে বেছে উপভোগ করা যাচ্ছে সাম্প্রতিক মুভি ও সিরিজগুলো।
মুভি ও নাটক পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। নিদেনপক্ষে প্রতিটি স্ট্রিমিং সাইট এখন সব ধরনের দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই সম্প্রচার করছে তাদের নিজ নিজ অরিজিনাল কন্টেন্টগুলো।
আরও পড়ুন: লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীর সময় বাড়ল
বিশ্ববিখ্যাত ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) সাইট নেটফ্লিক্সের কন্টেন্টগুলোর জন্য প্রত্যেকেই মুখিয়ে থাকে। এর ৭.৯৯ মার্কিন ডলার বা ৬৮৭ টাকার বেসিক প্যাকেজটি এক মাসের জন্য একটি যুগোপযোগী উপহার হতে পারে। আর ৯.৯৯ মার্কিন ডলার বা ৮৫৯ টাকার স্ট্যান্ডার্ড প্ল্যানটিতে পুরো মাস জুড়ে এমনকি অনেক দূরে থাকলেও দুজনেই উপভোগ করা যাবে নিজ নিজ কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে।
এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের কন্টেন্ট-এর জন্য হৈচৈ-এর গিফ্ট কার্ড দেয়া যেতে পারে। এর ৬ মাসের প্যাকেজটি ৩১৭ টাকা।
ভার্চুয়াল স্ক্র্যাপবুক
বিভিন্ন উপলক্ষে কার্ড পেতে সবাই ভালবাসে। ভ্যালেন্টাইন ডে তে নানা গিফ্ট শপগুলো আকর্ষণীয় নকশায় তৈরি করে থাকে কার্ডগুলো। কিন্তু স্ক্র্যাপবুক এই কার্ডের ধারণাকে দিয়েছে এক অভাবনীয় মাত্রা। কার্ডের নকশা ছাড়াও এখানে জুড়ে দেয়া যায় ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে তোলা বিভিন্ন আকারের ছবি। আর এর ডিজিটাল ভার্সনটির নয়নাভিরাম কন্টেন্টগুলো গ্রাহকদের মধ্যে রীতিমত মন্ত্রমুগ্ধতা সৃষ্টি করে। ফটোশপ সহ ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফটো ইডিটরগুলোর জন্য দারুণ স্ক্র্যাপবুকগুলো এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ব্যবহারকারিদের অনেকেই সেই গ্রাফিক্যাল কন্টেন্টগুলো রীতিমত নিয়ম করে কালেকশানে রাখে। তাই ভ্যালেন্টাইন ডে’র উপহার হিসেবে এটি একটি সেরা উপায় হতে পারে।
আরও পড়ুন: সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর: ভারতীয় সংগীতের জগতে অবিস্মরণীয় উজ্জ্বল নক্ষত্র
এগুলো কেনা যেতে পারে বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন থেকে। তবে একটু সৃজনশীলতা খাটালে নিজে নিজেই বানিয়ে নেয়া যায় মনোমুগ্ধকর কিছু স্ক্র্যাপবুক। ইন্টারনেটের যে কোন একটি ইমেজ ইডিটর দিয়ে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় ভার্চুয়াল স্ক্র্যাপবুক। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় একটি সাইট হচ্ছে ক্যানভা। এর স্যাম্পল টেমপ্লেটগুলো ইডিট করে প্রিয় মানুষটির সাথে কাটানো সেরা মুহুর্তের ছবিগুলো একত্রিত করে অনায়াসেই বানিয়ে ফেলা যায় স্ক্র্যাপবুক। সাথে সাথে শেয়ারও করে দেয়া যায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
অনলাইন জুকবক্স
শুধুমাত্র একটি স্থির চিত্র দিয়ে পটভূমিতে একসাথে অনেক গুলো গান বাজতে দেখা যায় জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সামাজিক মাধ্যম ইউটিউবে। এটি ক্যাসেট প্লেয়ারের যুগের এ্যালবামে গান শোনার নস্টালজিয়া দেয়। মূলত অনলাইনে বিভিন্ন সাইট বা ইউটিউবেরই বিভিন্ন চ্যানেল থেকে সংগৃহীত গানের প্লেলিস্ট দিয়ে সাজানো হয় এই ডিজিটাল জুকবক্সগুলো।
ইউটিউবে এরকম প্লেলিস্ট তৈরি করা খুবই সহজ। যে কোন ভিডিও দেখার সময় ভিডিও ঠিক নিচেই সেভ বাটনে ক্লিক করে নতুন প্রদর্শিত ছোট্ট স্ক্রিণটি থেকে ক্রিয়েট নিউ প্লেলিস্টে ক্লিক করলেই তৈরি হয়ে যাবে প্লেলিস্ট। অতঃপর একে একে প্রিয় গানগুলোর ভিডিওতে যেয়ে সেগুলোকে এই প্লেলিস্টে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে। তারপর ইউটিউবের হোম পেজ থেকে বা দিকে প্রদর্শিত সদ্য তৈরিকৃত প্লেলিস্টে ক্লিক করলে প্লেলিস্টটির নিজস্ব পেজ প্রদর্শিত হবে। আর ব্রাউজারের একদম উপর থেকে এই পেজটির ঠিকানা কপি করে নিয়ে শেয়ার করা যাবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
ভিডিও ডায়েরি
এটাকে বলা যেতে পারে ভার্চুয়াল স্ক্র্যাপবুকের ভিডিও ভার্সন। প্রিয় মানুষটির সাথে কাটানো সেরা মুহূর্তগুলোর ফুটেজ নিয়ে বানানো যেতে পারে এই ভিডিও ডায়েরি। ছোট-খাট একটা ফিল্মে পরিণত হবে ভিডিও ডায়েরিটা। ভিডিও ইডিটিং-এর মত বড় কাজ মনে হলেও এই ভিডিও তৈরি মোটেই তা নয়। ভিডিও বানানোর কারিগরি জ্ঞান থাকলে ভালো, তবে না থাকলেও তৈরি করা যাবে একদম নিখুঁত মানের ভিডিও। অনলাইনে খুঁজলে এমন অনেক ভিডিও ইডিটর পাওয়া যাবে, যেখানে ক্যামেরা দিয়ে তোলা ফুটেজগুলো পরপর বসিয়ে বানানো যাবে দারুণ একটি ভিডিও। জলছাপকে ঝামেলা মনে হলে কিনে ফেলতে হবে সেই ভিডিও ইডিটরটির সাবস্ক্রিপশন। তবে এক্ষেত্রে জলছাপ উপেক্ষা করে কন্টেন্টে জোর দেয়াটাই উত্তম। এই ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ভিডিও টেমপ্লেট পাওয়া যায় রেন্ডারফরেস্ট-এ। এত উন্নত মানের, প্রোফেশনাল এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ টেমপ্লেট অনলাইনে নেই বললেই চলে। এখানকার স্লাইডশোগুলোও বেশ চমৎকার। এর প্রোফেশনাল ইন্ট্রো ও ইন্ডিং ভিডিও সংযোজন করার পর তৈরিকৃত ভিডিও ডায়েরিটিকে মনে হতে পারে পরিপূর্ণ একটি শর্টফিল্ম।
পরিশেষে
প্রযুক্তির ক্রমবিকাশে সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। একই পাত্রে রঙ বদলেছে প্রয়োজনীয়তাগুলো। এর মাঝেও মানুষ আগলে রেখেছে তাদের আদিম ও অকৃত্রিম অনুভূতিগুলোকে। ডিজিটাল ভ্যালেন্টাইন ডে উপহার দেয়ার মাধ্যমগুলো যেন তারই জানান দিচ্ছে। হাত দ্বারা স্পর্শনীয় বস্তুগুলো বর্তমানে শুধু দর্শনেন্দ্রিয় ও শ্রবণেন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করা বস্তুতে রূপান্তর হলেও, শুভকামনা দেয়ার ছলে অটুট রয়েছে যত্ন নেয়ার ভনিতাটি।
ই-কমার্সে আস্থা ফেরাতে ফেব্রুয়ারিতে চালু হচ্ছে ইউবিআইডি: পলক
ই-কমার্স খাতকে বিশ্বস্ত করতে ফেব্রুয়ারিতে ইউনিক বিজনেস আইডি (ইউবিআইডি) চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘ই-কমার্সে আস্থা ফেরাতে এই খাতে স্থিতিশীলতা আনয়ন এবং অনলাইন কেনা-বেচাকে ত্বরান্বিত্ব করার ক্ষেত্রে সমাধানের পথ হিসেবে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ডেটাবেজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইউনিক বিজনেস আইডি’র নিবন্ধন এবং ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এটুআই, ভোক্তা অধিকার ও ই-ক্যাব মিলে তৈরি কেন্দ্রীয় অভিযোগ নিষ্পত্তি সিস্টেম আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে চালু করা হবে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের কারিগরি সহায়তায় বুধবার আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এই সব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টের সিইওসহ ৪ গ্রেপ্তার
তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতেও কেন্দ্রীয় অভিযোগ নিষ্পত্তি সিস্টেম (সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-সিসিএমএস) এবং ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’ চালু করা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে ঘিরে উৎপাদক, বিক্রেতা, ক্রেতা, উদ্যোক্তা সবকিছু মিলে দেশে একটা ইকোসিস্টেম তৈরি হয়েছে। নতুন উদ্ভাবন ও নতুন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই ই-কমার্সে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের বাজার তৈরি হয়েছে। অনলাইনে দেশের আড়াই হাজারের অধিক ই-কমার্স এবং ৫০ হাজারের বেশি এফ-কমার্স প্ল্যাটফর্মে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের বেচা-কেনা হচ্ছে।’
পলক বলেন, ‘ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’এরই মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। আগামী মার্চে উদ্বোধনের পর বিনিময় প্ল্যাটফর্ম ও অ্যাপের মাধ্যমে ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফিজিক্যাল শপকে ডিজিটালে নিয়ে যেতে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোকে আরও বেশি প্রযুক্তি নির্ভর করতে হবে। কেনা-বেচায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য এসব লেনদেনকে ডিজিটাল মাধ্যমে নিয়ে আসতে হবে। সঠিক পলিসি, টেকনোলজি ও স্ট্রাটেজি নেয়ার মাধ্যমে ই-কর্মাসকে আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করা সম্ভব। যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ডিজিটাল কোরবানির হাট।’
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যদের মধ্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পিএএ, এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, এটুআই-এর গ্রামীণ ই-কমার্স ও হেড অব কমার্সিলাইজেশন রেজওয়ানুল হক জামি ও ই-ক্যাব পরিচালক ও চালডালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিয়া আশরাফ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা, এটুআই এবং আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরাসহ, প্ল্যাটফর্মগুলো প্রস্তুতে যুক্ত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইভ্যালির প্রতারণা: আগাম জামিন চেয়ে আবেদন মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার
দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির হয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া।
মিথিলার পক্ষে আইনজীবী নিয়াজ মোর্শেদ এবং ফারিয়ার পক্ষে করেন আইনজীবী জেসমিন সুলতানা পৃথক আবেদন দুটি দাখিল করেন।
আগামীকাল সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও রাসেলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার আদালতে মামলা
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগের ব্যাপারে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানান, মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা তার তিন লাখ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাতে সাহায্য করেছে। তার টাকা তিনি এখনো উদ্ধার করতে পারেননি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির গ্রাহকরা ৬ মাস পাওনার জন্য বোর্ডকে চাপ দিতে পারবেন না: হাইকোর্ট
ইভ্যালি পরিচালনায় বিচারপতি মানিককে প্রধান করে ৫ সদস্যের বোর্ড
প্রতারণা এড়াতে আসল ওয়েবসাইট ভিজিটের আহ্বান দারাজের
ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, (ইউএনবি)- কেনাকাটার সময় প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচতে সকল গ্রাহক ও ক্রেতাদের দারাজ বাংলাদেশের আসল ওয়েবসাইট ভিজিট করার আহ্বান জানিয়েছে দারাজ বাংলাদেশ (https://www.daraz.com.bd/) কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ডিএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (সিটিটিসি) প্রতারণার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী,আটক ব্যক্তি দারাজ বাংলাদেশের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট বানিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। দারাজ বাংলাদেশের মূল ওয়েবসাইটের অনুকরণে দারাজ ডট সিএল ডোমেইন নামে ভুয়া ওয়েবসাইট ও ‘দারাজ বাংলাদেশ’ নামে ভুয়া ফেসবুক পেজ বানিয়ে ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করা হতো ও অবৈধ পণ্য বিক্রি করা হত, যার ফলে দারাজের যথেষ্ট সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে এবং ক্রেতারা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের প্রতি আংশিকভাবে আস্থা হারিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই প্রতারক চক্র ক্রেতাদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন এমএফএস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করতো এ চক্র।
আরও পড়ুন: দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে রেকর্ড
এর প্রেক্ষিতে দারাজ বাংলাদেশ সকল ক্রেতাদের সন্দেহজনক কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার ও দারাজের মূল ওয়েবসাইট ভিজিট করার অনুরোধ জানিয়েছে।
দারাজ সবসময় দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সঠিকভাবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণার বিপরীতে দারাজ ইতোমধ্যেই বনানী থানায় মামলা করেছে।
দারাজের মাধ্যমে প্রতারণার কোনো সুযোগ নেই। দারাজের https://www.daraz.com.bd/ শুধুমাত্র এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই ক্রেতারা পণ্য অর্ডার করতে পারবেন। এবং দারাজ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হচ্ছে- https://www.facebook.com/DarazBangladesh।
এ ব্যাপারে দারাজ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস বলেন, “ডিএমপি’র সিটিটিসি ইউনিট থেকে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি, আমরা এর সাধুবাদ জানাই। আমাদের ক্রেতা ও ই-কমার্স খাতের জন্য ইতিবাচক ফলাফল নিশ্চিতে দারাজ ডিএমপি’কে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। দারাজ এর ক্রেতাদের সবসময় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এবং তাদের জন্য নিরাপদ শপিং নিশ্চিত করাকে আমরা অগ্রাধিকার দেই। আমরা আমাদের সকল ক্রেতাদের দারাজের মূল ওয়েবসাইট ভিজিট করার এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে সঠিক চ্যানেল ব্যবহারের অনুরোধ করছি।”
ডিএমপি’র সিটিটিসি ইউনিট থেকে তাদের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেন- “সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণায় এখন অভিনব নানা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতারকরাও সময়ের সাথে সাথে স্মার্ট হয়ে উঠছে। সবাইকে এখন এসব ট্রেন্ডের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং কোনো সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আসল ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।”
আরও পড়ুন: দারাজের বৃহত্তম ওয়ান-ডে সেল ১১.১১ ক্যাম্পেইন চলছে
দারাজ:
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ, অসংখ্য বিক্রেতাকে লক্ষাধিক ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করেছে। একশো’রও বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষণিক এবং সহজ সুবিধাদানের সাথে সাথে প্রতি মাসে ২০ লাখেরও বেশি পণ্য বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ।
দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একইসাথে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস এবং কমিউনিটি। দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারেরও বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে। দারাজ বিভিন্ন লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলোকে মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান এবং নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে।
২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যেকোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ গর্বের সাথে কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে, দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন ‘ইলেভেন ইলেভেন’ এর জন্য প্রস্তুত দারাজ
ই-কমার্স খাতের অর্থপাচার: প্রতিবেদন না পেয়ে হাইকোর্টের ক্ষোভ প্রকাশ
দেশের ই-কমার্স খাত থেকে অর্থপাচারের বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ এবং এ খাতের কর আদায়ে নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে প্রতিবেদন চেয়ে নির্ধারিত সময়ে তা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আদালত বলেন, ‘নোটিশ জারির পরেও তারা রেস্পন্স করবে না? বিষয়টি আমরা কিন্তু সিরিয়াসলি নেব।’ এসময় আদালতে উপস্থিত রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, ’ মি. ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আপনি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি তাকে জানান। এসব আমরা কিন্তু টলারেট করবো না।’
আরও পড়ুন: আইন বিভাগের মতামতের পর ই-কমার্স গ্রাহকদের গেটওয়ের টাকা ফেরত
এরপর আদালতে ২৩ নভেম্বর মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়ে ওইদিন পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল, কিভাবে এসব টাকা হস্তান্তর হয়েছে, এক্ষেত্রে যে অর্থ পাচার হয়েছে-সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট থেকে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চান। একইসঙ্গে ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক লেনদেনের বিপরীতে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে কি পলিসি নেয়া হয়েছে, আদৌ কোন পলিসি আছে কিনা কিংবা ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় করা হয় কিনা-সে ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআরকে) জানাতে বলা হয়। পাশাপাশি ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কমিটির কার্যপরিধি কী তাও জানতে চান আদালত। সরকারও এ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে বলা হয়। ই-কমার্স কোম্পানির গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় ভুক্তভোগীদের করা পৃথক তিনটি রিটের শুনানিকালে হাইকোর্ট এসব আদেশ দেন। এ বিষয়ে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দাখিল না করায় গতকাল ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: দারাজসহ ২৩ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন। পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন এবং ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব একটি রিট করেন। এই রিটে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে যাদের গাফিলতির কারণে ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, দারাজ, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো পরিচিত ই-কমার্স কোম্পানি থেকে প্রতারিত হয়ে লাখ লাখ গ্রাহক সর্বসান্ত হয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, এ পর্যন্ত এসব ই-কমার্স কোম্পানি থেকে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ নিরূপণ করে দুদকের মাধ্যমে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বাংলাদেশ ব্যাংককে এ পর্যন্ত ইভ্যলি, ধামাকা, আলেশা মার্ট, কিউকেম, দালাল, ই-অরেঞ্জ, আলাদিনের প্রদীপ, দারাজ, ইত্যাদিতে মোট কত টাকা লেনদেন হয়েছে এবং গ্রাহকরা মোট কত টাকা দিয়েছে তা চিহ্নিত করা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত কতগুলো প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে এবং তারা কি কি পদক্ষেপ এ পর্যন্ত নিয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা কমিশনকে প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ অনুযায়ী, ই -কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ দায়িত্ব নেয়াসহ ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নজরদারি, অসম প্রতিযোগিতা রোধ, জনসচেতনতা তৈরি ইত্যাদি পদক্ষেপ নেয়া, জাতীয় ডিজিটাল বাণিজ্য নীতি, ২০১৮ অনুযায়ী দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে হেল্প ডেস্ক অবিলম্বে চালু করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স: গেটওয়েতে আটকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
পরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জের কাছে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারে ৩৩ জন গ্রাহক একটি রিট করেন। এই রিটে ই-অরেঞ্জসহ অন্যান্য অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহে রিসিভার নিয়োগের, অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীল ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান এবং গ্রাহক ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু পরিচালনার নিমিত্তে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের আর্জি জানানো হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর এই তিনটি রিটের ওপর একসাথে শুনানি হয়।
দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে রেকর্ড
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ এবারের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে সেবা প্রদানে নতুন রেকর্ড করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম এই শপিং ডে’তে অংশগ্রহণ করতে পাঁচটি দেশে দারাজের প্ল্যাটফর্মে ভিজিট করেছে এক কোটি ৪০ লাখের বেশি ক্রেতা।
দেশ পাঁচটি হলো: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল ও মিয়ানমার।
ক্যাম্পেইন শুরুর প্রথম ঘণ্টায় প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য বিক্রি হয়েছে, যা গত বছরের বিক্রির তুলনায় ১৫০ শতাংশ বেশি।
দারাজের সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা বিয়ার্কে মিকেলসেন এ বিষয়ে বলেন,‘আজকের সফলতায় আমরা খুবই আনন্দিত। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে,ক্রেতারা দারাজ থেকে কেনা পণ্যের গুণগত মানের ওপর আস্থা রাখেন এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহের সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। একইসাথে,এর মাধ্যমে এসএমই ব্যবসায়ীরা কীভাবে অনলাইনে তাদের ব্যবসাকে আরও প্রসারিত করতে পারবেন,সে বিষয়টিও উঠে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন,‘এ পাঁচটি বাজারের ছোট-বড় সকল শহরের আরও বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করছেন,যা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। এর মাধ্যমে এটিও বোঝা যায় যে,এ অঞ্চলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে ই-কমার্স পৌঁছে গেছে।’
আরও পড়ুন: দারাজের বৃহত্তম ওয়ান-ডে সেল ১১.১১ ক্যাম্পেইন চলছে
ক্যাম্পেইনের প্রথম অর্ডার ডেলিভারি হয়েছে সকাল ৬টা ৫ মিনিটে এবং আড়াই লাখ অর্ডারের পণ্য ইতোমধ্যে অর্ডারকৃত ক্রেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ক্রেতাদের সেবা প্রদানের বিষয়টি তুলে ধরে মিকেলসেন বলেন,‘এবারের ১১.১১ সেলে আমরা আরও উদ্ভাবনী ও পার্সোনালাইজড ক্রেতা অভিজ্ঞতা প্রদানের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। বিক্রির সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, ক্রেতাদের অভিজ্ঞতার বিষয়ে ইতিবাচক ফিডব্যাক পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’
এ সম্পর্কে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন,‘এমন অভাবনীয় সাড়া পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। সারাদেশ থেকে মানুষ অত্যন্ত আগ্রহের সাথে এ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেছেন। ১১.১১ ক্যাম্পেইনে আস্থা রাখার জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। দারাজ সবসময় ক্রেতা-কেন্দ্রিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং ক্রেতাদের মানোন্নয়নকে আমরা প্রাধান্য দেই। এজন্য ক্রেতাদের অর্ডার করা পণ্য যত দ্রুত সম্ভব তাদের কাছে পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর পাশাপাশি আমি দারাজের সকল কর্মী,বিক্রেতা,ডেলিভারি কর্মী এবং এ ক্যাম্পেইনের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে তাদের সহায়তায় জন্য ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন ‘ইলেভেন ইলেভেন’ এর জন্য প্রস্তুত দারাজ
দারাজসহ ২৩ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব