ই-কমার্স
জালিয়াতির অভিযোগে ‘ধামাকা শপিং’এর সিওও গ্রেপ্তার
জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘ধামাকা শপিং’-এর চিফ অপারেটিং অফিসারসহ আরও দুই ব্যক্তিকে।
র্যাব সদর দপ্তরের এএসপি (মিডিয়া) ইমরান খান বুধবার ইউএনবিকে বলেন র্যাবের সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে রাজধানী থেকে ধামাকার সিওও সিরাজুল ইসলাম রানাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে, একজন গ্রাহকের অভিযোগে গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানায় এই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
আরও পড়ুন: ই-কমার্স বন্ধ নয়, শৃঙ্খলা আনতে রেগুলেটরি অথরিটি হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ই-কমার্স নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কোটি কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের গৃহীত পদক্ষেপসহ তিনটি বিষয় জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে এনবিআরের পলিসি কী এবং ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী তা-ও জানতে চেয়েছেন।
ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর প্রতারণার শিকার হয়ে ভুক্তভোগীদের পৃথক তিনটি রিটের শুনানিকালে মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত রিট আবেদনগুলোর শুনানি মূলতবি করে এ সময়ের মধ্যে লিখিতভাবে এসব বিষয়ে জানাতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ই-কমার্সে প্রতারিত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেয়া সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মোহাম্মদ শিশির মনির ও হুমায়ন কবির পল্লব। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্সের গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.আনোয়ারুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন।
পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন, ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির একটি রিট দায়ের করেন। এই রিটে কোনো ব্যক্তি বা সরকারি কর্তৃপক্ষের অবহেলা বা ব্যর্থতায় ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, দারাজ, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো পরিচিত বাজার থেকে পণ্যের জন্য লাখ লাখ গ্রাহকের ক্ষতি ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ণয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারকের নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স বন্ধ নয়, শৃঙ্খলা আনতে রেগুলেটরি অথরিটি হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
পরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জের কাছে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারে ৩৩ জন গ্রাহক একটি রিট করেন। এই রিটে ই-অরেঞ্জসহ অন্যান্য অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহে রিসিভার নিয়োগের, অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্বশীল ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান এবং গ্রাহক ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু পরিচালনার নিমিত্তে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের আর্জি জানানো হয়েছে।তাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
মঙ্গলবার এই তিনটি রিটের ওপর এসব রিটে কোন ব্যক্তি বা সরকারি কর্তৃপক্ষের অবহেলা বা ব্যর্থতায় ইভ্যালি, আলিশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, দারাজ, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো পরিচিত অনলাইন বাজার থেকে পণ্যের জন্য লাখ লাখ গ্রাহকের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ণয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারকের নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার তিনটি রিট একই ধরণের হওয়ায় আদালত একসাথে শুনানি গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট
ই-কমার্সে প্রতারিত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেয়া সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রতারণাকারী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সম্পদ বিক্রি করে প্রতারিত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে যে সকল প্রতিষ্ঠান মানুষকে প্রতারিত করেছে, সেগুলোর অনেক সম্পদ আছে। সম্পদগুলো বিক্রয় করলে অনেকের পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব। এসব বিষয় মাথায় রেখে সরকার কাজ করছে।
রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে ইআরএফ এর ভুমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স বন্ধ নয়, শৃঙ্খলা আনতে রেগুলেটরি অথরিটি হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী কর্মশালায় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ই-কমার্স বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচার মাধ্যম তথা সাংবাদিকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল বাণিজ্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। গুটি কয়েক অসৎ প্রতিষ্ঠানের কারণে ই-কমার্স বন্ধ করে দেয়ার সুযোগ নেই। করোনাকালীন ই-কমার্স ভোক্তাদের সেবায় কাজ করে সুনাম অর্জন করেছে। বিগত দুটি ঈদুল আযহায় কোরবানির প্রাণী ক্রয়-বিক্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সরকার যথাযথ আইন প্রনয়ণ করে সুশৃঙখল ভাবে ই-বাণিজ্য পরিচালনা করার জন্য কাজ করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ই-কমার্স সম্পর্কে মানুষের ধারণা পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন। এ জন্য মানুষের সচেতনতা বাড়াতে হবে, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সাংবাদিকরা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারেন। দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মানুষকে প্রতারিত করার চেষ্টা করছে। ই-কমার্স বিষয়ে মানুষকে সচেতন হতে হবে।
আরও পড়ুন: ৯৭ ভাগ পণ্য রপ্তানিতে বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে চীন: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি নতুন প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এটি নির্দিষ্ট আইনের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। এ কমিশনের জনবল এবং সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা আছে। এ কমিশনকে শক্তিশালী করতে সরকার কাজ করছে। এ কমিশন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে স্বপ্রনোদিতভাবে অনেক বিষয়ে তদন্ত করে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাচ্ছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই বাণিজ্য ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে প্রতিযোগিতা কমিশন কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন শক্তিশালী হবে।বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য বি এম সালে উদ্দীন, ড. মো. মনজুর কাদির, নাসরিন বেগম, কমিশনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাফরুহ মুরফি, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এর প্রেসিডেন্ট সারমিন রিনভি এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মেডিকেল পণ্য উৎপাদনে সহায়তা দেবে সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
ই-কমার্স বন্ধ নয়, শৃঙ্খলা আনতে রেগুলেটরি অথরিটি হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধ করা হবে না। তবে এই ব্যবসা সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা হবে এবং সব প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, ‘সারা বিশ্বে ই-কমার্স চালু রয়েছে। ইতোমধ্যে এ ব্যবসার সাথে লাখ লাখ মানুষ জড়িত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য পরিচালিত হবে। সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা হবে।’
বুধবার বিকালে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ডিজিটাল কমার্স ব্যবসায় সাম্প্রতিক সমস্যা বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট
সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীদের দেনা পরিশোধে তাদের কি পরিমাণ সম্পদ আছে, ইভ্যালির সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের সে সম্পদ দিয়ে কতটুকু অ্যাড্রেস করতে পারবে। আগামীতে যাতে মানুষ আর প্রতারিত না হয় সেটি দেখা হবে।’
তিনি বলেন, ‘তাদের জেলে ভরে রাখলে তো কিছু পাবে না তারা (গ্রাহক)। আবার কিছু না থাকলে বের করলেও লাভ হবে না। দেশে দুই হাজার ব্যবসায়ী ছিল না, এখন দুই লাখ ব্যবসায়ী হয়েছে। যে সমস্যা হয়েছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। ১০/১২ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, এছাড়াও আলিশা মার্টকেও আমরা নজরদারিতে রেখেছি।’
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
টিপু মুনশি বলেন, ইভ্যালির ৫০০ কোটি টাকার দায় রয়েছে। অর্ধেক কাস্টমার, অর্ধেক মার্চেন্টদের। শুনেছি ৮০/৯০ কোটি টাকার সম্পদ আছে। তাদের চিন্তা কি সেটা জানার চেষ্টা করা হবে। এগুলো আজকের আলোচনায় এসেছে। ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠানের টাকা শোধের এবিলিটিই নেই। তারা প্রচারের জন্য ব্যাপক টাকা বিনিয়োগ করেছে। ক্রিকেট খেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় টাকা নষ্ট করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জের মালিক জেলে আছে। আবার কোম্পানির কেউ কেউ পালিয়ে গেছে। তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে, অনেকে যারা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারী তারা ই-কমার্সে যুক্ত হয়েছে। তাই ই-কমার্স বন্ধ করা যাবে না। যারা চিটিং করেছে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটি একটি বিষয় এবং সামনে কিভাবে চলা যায় সেটি একটি বিষয়।’
আরও পড়ুন: ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
তিনি বলেন, ‘গত ৪ জুনের আগে ছয় হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এখন বাকি চারমাসে ৬০০ কোটি টাকা স্ক্রো ফান্ডে জমা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানানো ১২ টাকার জিনিস ১ টাকায় দেয়া যায় না। এ ধরনের বড় কোম্পানিকে এখন থেকে সতর্কীকরণ বার্তা দিতে হবে। ’
আরেক প্রশ্নে টিপু মুনশি বলেন, ‘আমাদের কাজ ব্যবসায়ীদের সহায়তা করা। কিন্তু তারা যে মানুষকে লোভ দেখাচ্ছে সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখবে না। ১০০ টাকার জিনিস তারা ৫০ টাকায় দিতে চায়, সেটা কিভাবে সম্ভব। মানুষ লোভ সংবরণ করতে পারেনি। লোভ সংবরণ করা দরকার।’
সরকার টাকার দায় নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকার তো টাকা নেয়নি। যে লোকটা একটি মটরসাইকেল কিনে লাভ করেছে, পরে আরও ১৭ টা অর্ডার করেছে। লাভের ভাগিদার তো সরকার হয়নি। তাদের (ইকমার্স প্রতিষ্ঠান) কতটুকু সম্পদ আছে সেটা দেখতে হবে।’
বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আজকের বৈঠকে বেশ কিছু আলোচনা হয়েছে। কেউ কেউ ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়েছে কয়েকটি খারাপ প্রতিষ্ঠানের জন্য ই-কমার্স বন্ধ করা ঠিক হবে না। কিছু সুপারিশ এসেছে, সেগুলো হলো- ই-কমার্স ব্যবস্থাপনার জন্য ই-কমার্স রেগুলেটোরি করতে হবে,
ডিজিটাল কমার্স আইন করতে হবে। যে অভিযোগ আসছে সেগুলো বিভিন্নভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে, তাই সব কমপ্লেইন মনিটরিংয়ের কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হবে। যারা ইতোমধ্যে যে অপরাধ করেছে, প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যাতে ব্যবস্থা নেয়া যায় সেজন্য আইনে কিছুটা সংশোধনী আনতে হবে। আর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন নিতে হবে, নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসা করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: ‘ই-কমার্স খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ জরুরি’
সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণা, অর্থ আত্মসাত ও অর্থপাচার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে তদন্তের মাধ্যমে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন এবং ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে জনস্বার্থে রিটটি করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার রিটটি দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
রিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ১৮ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার পল্লব। তিনি আরও জানান, মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি, ব্যাংক খাতে অনলাইন পেমেন্টের সুবিধা, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধির সুযোগে ব্যাঙের ছাতার মতো ই-কমার্সভিত্তিক অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। গত কয়েক বছর কিছু প্রতিষ্ঠান সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কার্যকর নজরদারির অভাবের সুযোগে বিভিন্ন অনৈতিক অফার, ডিসকাউন্ট নামে গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করেছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তসহ গ্রাহকের স্বার্থরক্ষায় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবিতে রিট করা হয়েছে।
রিটে উল্লেখ করা হয়, ইভ্যালি, ধামাকা, আলেশা মার্ট, কিউকম, দালাল, ই-অরেঞ্জ, আলাদিনের প্রদীপ, দারাজ প্রতিষ্ঠার মাত্র দু-এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন অফারের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা মূলত মাল্টিলেভেল মার্কেটিং পদ্ধতিতে এ অর্থ সংগ্রহ করে। বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী এসব কোম্পানি বিপুল অর্থ ইতোমধ্যে বিদেশে পাচার করেছে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
ই-ওয়ালেট, গিফট কার্ডসহ আরও অন্যান্য অ-অনুমোদিত পদ্ধতিতে লেনদেন করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে লাখ লাখ গ্রাহককে সর্বস্বান্ত করেছে। সরকারি দপ্তরগুলোর নাকের ডগায় এসব অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করেছে। কিন্তু তারা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বছরের পর বছর নোটিশগ্রহীতাদের কার্যকর নজরদারির অভাবে এসব কোম্পানি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারি দপ্তরগুলোর তাদের সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগে গাফিলতি ও ব্যর্থতার ফলে বাংলাদেশের লাখ লাখ গ্রাহক যাদের বেশিরভাগই তরুণ আজ সর্বস্বান্ত। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যে সম্ভাবনা সেটিও আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সংশ্লিষ্টরা কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না।
রিটে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে যাদের গাফিলতির কারণে লাখ লাখ গ্রাহক সর্বস্বান্ত হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, দুদকের মাধ্যমে এ পর্যন্ত এসব কোম্পানির মাধ্যমে পাচার করা অর্থের পরিমাণ বের করে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, বাংলাদেশ ব্যাংককে এসব কোম্পানিতে কত টাকা লেনদেন হয়েছে এবং গ্রাহকরা মোট কত টাকা দিয়েছে তা চিহ্নিত করা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত কতগুলো প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে এবং তারা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা কমিশনকে প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ অনুযায়ী, ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ দায়িত্ব নেয়াসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারি, অসম প্রতিযোগিতা রোধ, জনসচেতনতা তৈরি ইত্যাদি পদক্ষেপ নেয়া, জাতীয় ডিজিটাল বাণিজ্যনীতি, ২০১৮ অনুযায়ী দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে হেল্প ডেস্ক অবিলম্বে চালু করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ই-কমার্স খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ জরুরি’
গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন এবং ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা, অর্থ আত্মসাত ও অর্থপাচারের বিষয়টি উল্লেখ করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জনস্বার্থে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। ওই নোটিশের পরও সরকারের তরফ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না নেয়ায় এই রিট করা হয়।
ইভ্যালির সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
দেশের আলোচিত ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালি’র স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। কোম্পানিটির অবসায়ন চেয়ে ইভ্যালি’র গ্রাহক ফরহাদ হোসেনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের কোম্পানি বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
আরও পড়ুন: ফের রিমান্ডে ইভ্যালির সিইও
আদেশের পর আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইভ্যালি অনলাইন শপ থেকে গত মে মাসে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের অর্ডার করেন এবং অর্থ পরিশোধ করেন গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এরপর কোম্পানিটি অনলাইনে তাকে পণ্যটি কেনার একটি রশিদও দেয়। কিন্তু এতদিনেও পণ্যটি বুঝিয়ে না দেয়ায় যোগাযোগ করা হলে তাকে বার বার আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পণ্যটি না পেয়ে এবং টাকা ফেরত না পেয়ে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
তিনি আরও জানান, হাইকোর্ট আজ ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি অথবা ট্রান্সফার না করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে নোটিশ ইস্যু করেছেন, কেন ইভ্যালিকে অবসায়ন করা হবে না। আর এবিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে এই সময়ের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইভ্যালির চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা
ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট, কনজুমার রাইটস প্রটেকশন ব্যুরো, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে এক সপ্তাহের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করছে না এমন অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আরিফ বাকের গুলশান থানায় মামলা করেন। পরদিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত শুক্রবার গুলশান থানায় করা মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমার তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর পর গতকাল মঙ্গলবার ধানমন্ডি থানায় এক গ্রাহকের করা মামলায় মোহাম্মদ রাসেলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
অনলাইন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার দাবি করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার সকালে আদালতের অনুমতি নিয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটকারী আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের অনুমতি নিয়ে রিটটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দাখিল করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।’
আরও পড়ুন: ইভ্যালি ও ই অরেঞ্জের মতো ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
রিটে বাণিজ্যসচিব, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব, অর্থসচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টসহ ছয়জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে ই-কমার্স বাণিজ্যে জবাবদিহি নিশ্চিত ও গ্রাহকের অধিকারবিরোধী চর্চা রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। ই-কমার্স বাণিজ্যে জবাবদিহি নিশ্চিত ও গ্রাহকের অধিকারবিরোধী চর্চা রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে রিটে। এছাড়া ২০১৮ সালের জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে অনলাইন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।
আরও পড়ুন: ‘ই কমার্স খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ জরুরি’
রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় অনলাইন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গ্রাহকের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠায় কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা জানিয়ে বিবাদীদের আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের আরজি জানানো হয়েছে এই রিটে
দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা নিয়ে একটা অস্থির সময় যাচ্ছে। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ ও ধামাকার মতো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী ও সাবেক সিওও নাজমুল আলম রাসেলকে। মামলা হয়েছে ধামাকার মালিকদের বিরুদ্ধেও। এরই মধ্যে হাইকোর্ট রবিবার লোভ কমাতে গ্রহকদের সচেতন করার তাগিদ দেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)।
শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এর অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আছে যারা ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো প্রতারণার সাথে জড়িত। তারা বাজারের দামের চেয়ে কম দামে গ্রাহকদের পণ্য দিবে বলে প্রতারণা করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত চলছে এবং তদন্তের পর এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
হাফিজ বলেন, ‘আমরা চাই দেশে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সমৃদ্ধ হোক।’
ইভ্যালির গ্রাহক আরিফ বাকের প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনসহ কোম্পানির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। এরপর বৃহস্পতিবার ( ১৬ সেপ্টেম্বর) মোহাম্মদের বাসায় অভিযান চালিয়ে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) অহিদুল ইসলাম জানান, টাকা আত্মসাত ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অপরাধ শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ইভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের দ্বারা পরিচালিত সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার জন্য ২৭ আগস্ট বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একটি সাধারণ চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিভাগ ইভ্যালির দ্বারা ‘প্রতারণা’ করার অভিযোগ পেয়েছে গ্রাহকদের কাছ থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ হচ্ছে, তারা ভোক্তাদের প্রতিষ্ঠানটির ই-ওয়ালেটে টাকা জমা দিতে বাধ্য করত, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
আরও পড়ুন: ই অরেঞ্জের মালিক সোনিয়াসহ ৩ জন কারাগারে
১৮ আগস্ট ই-অরেঞ্জের গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম গুলশান থানায় অন্য ৩৭ জন গ্রাহকের উপস্থিতিতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। এই ৩৭ জন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
‘ই-কমার্স খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ জরুরি’
দেশে ই-কমার্সের ব্যাপক প্রসার হলেও আইনী কাঠামোর অনুপস্থিতি ও পরিবীক্ষণ না থাকায় এই সেক্টরে জবাবদিহিতা গড়ে উঠেনি। কিছু সংখ্যক মুনাফা লোভী প্রতারক গ্রাহক স্বার্থ ক্ষুন্ন করে টাকা লুট করছে। যে সমস্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ভোক্তাদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ লুট করেছে তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
শনিবার এফডিসিতে ‘ই-কমার্স খাতে নৈরাজ্য বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ’ বিষয়ক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই)সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
আরও পড়ুন: দেশে ই-কমার্স বাজার ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ কে আজাদ বলেন,প্রতারিত হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা নিতে হবে।যেখানে দেশের ব্যাংকগুলোতে অলস টাকার পরিমাণ বাড়ছে সেই টাকা বিনিয়োগে না এনে সাধারণ নাগরিকদের অস্বাভাবিক লোভনীয় অফার দিয়ে তাদের টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। দিনশেষে অনলাইন পণ্য কেনার নামে প্রতারণার শিকার গ্রাহকদের সংখ্যা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ফলে সমাজে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। সার্বিকভাবে এই খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি বিশেষায়িত সেল গঠন জরুরি।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন,দেশের কোম্পানি আইন, ট্রেড লাইসেন্স আইন বা আয়কর আইনে ই-কমার্স হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হয়নি। বর্তমানে ই-কমার্স ব্যবসা তথ্য প্রযুক্তি সেবা হিসেবে নিবন্ধিত হয়। অনুসন্ধানে দেখা যায় বাংলাদেশে, ই-কমার্স খাতে নিয়োজিত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান কোন ঘোষণা ছাড়াই ব্যবসা বন্ধ করে আত্মগোপন করেছে। সম্প্রতি আলোচিত ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী এবং ই-অরেঞ্জের মালিক ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তারের পর ই-কমার্সের প্রতারণার চিত্র আরও দৃশ্যমান হয়। ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জ ছাড়াও নিরাপদ ডটকম, ধামাকা শপিং ডটকম, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট, নিড ডটকম ডটবিডি, কিউকুম নামক আরও অনেক প্রতিষ্ঠান গা-ঢাকা দেয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরা ভোক্তাদের বোকা বানিয়ে মায়াজাল ও প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বাহারি বিজ্ঞাপন, অস্বাভাবিক ও আকর্ষণীয় অফার,অবিশ্বাস্য ডিসকাউন্ট, ক্যাশব্যাক ইত্যাদি প্রলোভনের মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। প্রাথমিক হিসাবে জানা গেছে, ইভ্যালির দেনা ৪০৩ কোটি টাকা আর সম্পদ রয়েছে ৬৫ কোটি টাকার। গ্রাহকদের কাছ থেকে পণ্যমূল্য বাবদ ২১৪ কোটি টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করা এবং পণ্য কেনা বাবদ ১৯০ কোটি টাকা দেয়নি ইভ্যালি। এছাড়াও ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকের এক হাজার কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্স বাস্তবায়নে চুক্তি সই
ই-কমার্স খাতে নৈরাজ্য বন্ধ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তৈরির মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ সাতটি সুপারিশ করেছেন।
সুপারিশগুলো হলো - ই-কমার্স খাতের নৈরাজ্য বন্ধে নীতিমালা ও নির্দেশিকার পাশাপাশি আইন প্রণয়ন জরুরি, ই-কমার্স খাতে বিদ্যমান নৈরাজ্য অনুসন্ধান ও আইনী কাঠামো তৈরির জন্য একটি কমিশন গঠন করা,জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনলাইন কেনাকাটায় বিভিন্ন প্রতারণায় অভিযুক্তদের দৃশ্যমান শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রহকের অর্থ ফেরতের ব্যবস্থা করা,দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রতিযোগিতা কমিশন ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের বিদ্যমান আইনের আওতায় প্রতারিত গ্রাহকরা কীভাবে আইনী প্রতিকার পেতে পারেন তা জনগণকে অবহিত করা,ইভ্যালি বা ই-অরেঞ্জসহ অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যারা প্রতারিত হয়েছে তাদের সঠিক তালিকা ও অর্থের পরিমাণ জানার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি কমিটি গঠন করা, প্রতারণার সাথে জড়িত কাউকে ই-ক্যাব বা অন্য কোন ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য না করা এবং ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতারণায় অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশাসক বসিয়ে তাদের সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে যতটা সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত গ্রহকের অর্থ ফেরত দেয়া।
আরও পড়ুন: ই-কমার্সে বিলিয়ন ডলারের মার্কেট রয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এ কে আজাদ আরও বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলোতে ক্রমবর্ধমান হারে ঋণ খেলাপির সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি ব্যাংকে ঋণ খেলাপির পরিমাণ ২০-২৫ শতাংশ। প্রতিবছর সরকার ঋণ খেলাপের কারণে ছয় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি ব্যাংকগুলোতে ঋণখেলাপি এক শতাংশের বেশি নয়।বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও ঋণখেলাপির সংখ্যা বৃদ্ধি উদ্বেগজনক। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা না গেলে আর্থিক খাতে বিপর্যয় আসতে পারে।
তিনি বলেন,করোনার অভিঘাতে বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান কমেছে। অন্যদিকে সরকারি খাতেও দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশে বেকার তরুণের সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষার গুণগত মান নিম্নমুখী হওয়ার কারণে তরুণরা শ্রমবাজারের চাহিদার আলোকে নিজেকে তৈরি করতে পারছে না। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশের করোনার ভ্যাকসিন সনদ পৃথিবীর অনেক দেশ গ্রহণ করছে না।
প্রতিযোগিতায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি এর বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
সিরাজগঞ্জে ইভ্যালির চেয়ারম্যান-পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
সিরাজগঞ্জে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরের দিকে কামারখন্দ উপজেলার কোনাবাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক রাজ নামে এক গ্রাহক বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরা এর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত এ মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার কাছে পণ্য পৌঁছাবে ইভ্যালির 'এসএমই ডিল
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ইভ্যালি থেকে চলতি বছরের ৪ মে একটি টেলিভিশন, পেনড্রাইভ, আয়রন মেশিনসহ পাঁচটি পণ্য অর্ডার করেন। ওই সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী পণ্য অর্ডারের ৭ থেকে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও ডেলিভারি দেয়া হয়নি। অর্ডারকৃত ওই পণ্যের মূল্য ৫০ হাজার ৭৩৭ টাকা।
নিদিষ্ট সময়ে পণ্য হাতে না পেয়ে ওই সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিকসহ তিনজন ৫ দিনের রিমান্ডে
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মঞ্জুরুল ইসলাম সোহাগ সাংবাদিকদের জানান, বিজ্ঞ আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও কাগজপত্র বিবেচনা করে মামলা আমলে নিয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিরাজগঞ্জকে মামলা তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।