রাজনীতি
‘আকবর আলী ছিলেন ন্যায়বিচারের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, প্রশাসনিক সংস্কারক’
দেশের অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজ ড. আকবর আলী খানের আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তাকে প্রগতিশীল নীতি ও আলোকিত বুদ্ধির অধিকারী ব্যক্তি হিসেবে প্রশংসা করেছেন।
বক্তারা বলেন, তার প্রথম পরিচয় তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার পেশাগত জীবনে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে এবং তার মৃত্যু সমাজের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
তারা আরও বলেন, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিফলিত হওয়ার পাশাপশি তিনি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ে তোলার চিন্তা করেছিলেন।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আকবর আলী খান আমলাতান্ত্রিক ফাঁদে আটকে থাকার পরিবর্তে তার জীবনে আত্মত্যাগের দর্শন প্রতিফলিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন:আকবর আলী খানের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বেসরকারি থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)-এর বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় বলেন, তিনি যে নীতিগুলো এখন রাষ্ট্রের প্রশাসনে খুব স্বাভাবিকভাবে গৃহীত হচ্ছে তার পক্ষে একটি ঐক্যমত প্রবর্তন এবং তৈরি করার পিছনে ছিলেন।এমনকি তিনি গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতাকে উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করতে কখনও পিছপা হননি। বরং তিনি সর্বদা এ বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন।
পরিশেষে, তিনি বলেন, আকবর আলী খান সুশীল সমাজের একজন উজ্জ্বল প্রতিনিধি ছিলেন। চাকরি পরবর্তী জীবনে তিনি তার নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট করতে কখনও দ্বিধাবোধ করেননি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আকবর আলী মনেপ্রাণে জ্ঞানের সন্ধানী ছিলেন, কিন্তু সমাজের মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন নন।
জিল্লুর বলেছেন ,‘তার প্রথম বই ডিসকভারি অব বাংলাদেশ থেকে শুরু করে পরবর্তী অসংখ্য শিরোনাম পর্যন্ত, তিনি তার পাণ্ডিত্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন এবং তিনি পাঠকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে আগ্রহী ছিলেন। তার অপ্রচলিত শিরোনাম, তার যোগাযোগমূলক ভাষা যার মাধ্যমে তিনি জটিল অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যে উভয়ই পাঠকদের আকৃষ্ট করে। এর মাধ্যমে লেখক হিসাবে তার দুর্দান্ত সাফল্যের প্রমাণ দিয়েছে।’
তিনি বলেন, আকবর আলী কর্মজীবনে অনেক পথ অতিক্রম করেছেন: শিক্ষক, আমলা, মুক্তিযোদ্ধা, নীতিনির্ধারক, লেখক এবং গণবুদ্ধিজীবী। কিন্তু এই দীর্ঘ এবং ঘটনাবহুল জীবনযাত্রায় একটি ধ্রুবক হুমকি ছিল: সততা, সেবার জন্য উৎসর্গীকরণ এবং শেখার জন্য উন্মুক্ততা।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলী খান মারা গেছেন
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, আকবর আলী পেশাগত জীবনে একজন আমলা ছিলেন, তবে তিনি এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না।
রায়হান বলেন, ‘আমলাতন্ত্রেও শ্রেষ্ঠত্বের ছাপ রেখে গেছেন আকবর আলী। তিনি সংস্কারেরও সূচনা করেছিলেন, যদিও আমরা জানি দেশের আমলাতন্ত্রের সংস্কার করা কতটা কঠিন। কিছু ক্ষেত্রে তিনি সফল হয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রে তিনি সফল হননি।’
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন গভীরভাবে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা ছিল তার। উন্নয়নের রাজনৈতিক অর্থনীতিও অধ্যয়ন করেছেন তিনি। তার লেখায়ও এর প্রতিফলন ঘটেছে। ফলে দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়নের অধ্যাপক রায়হান বলেন, ‘এখন কতটা অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়ন তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে, আকবর আলীও এসব বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি যে এই বিষয়গুলো নিয়ে বেশি কথা বলেছেন তা নয়, তবে তিনি যা বলেছেন তার গভীরতা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আকবর আলী খান
বগুড়ায় একই স্থানে আ. লীগ-বিএনপির সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
বগুড়ার শেরপুরে একই সময় একই স্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা আহ্বান করায় সহিংসতা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শহরের বাসস্ট্যান্ড ও এর আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল হোসেন বলেন, ‘একই সময় ও স্থানে দুটি রাজনৈতিক দল কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। এই অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে।’
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
জানা যায়, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও পুলিশের গুলিতে দলীয় কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শেরপুর পৌর বিএনপি শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শনিবার বেলা ৩ টা থেকে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিলো। এতে বগুড়া জেলা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উপস্থিত থাকার কথা ছিলো।
শেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েল বলেন, কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে বিক্ষোভ ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে বিএনপির এই কর্মসূচি বানচাল করতেই আওয়ামী লীগ একই সময় ও স্থানে প্রতিহিংসামূলকভাবে কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে বিএনপির প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
অন্যদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামাত জোটের মিথ্যাচার ও আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শনিবার বিকাল ৩ টায় প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত আমাদের এই কর্মসূচি বানচাল করতেই বিএনপি সমাবেশের ডাক দেয়। একই সময় ও স্থানে দুটি রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর, নেতাদের বাড়িতে হামলা
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, ‘এই নির্দেশ জারির পর থেকে ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোন ধরনের সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। এই জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।’
এছাড়া বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সুদিন আসবে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভালো দিন আসবে এবং দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।
বৃহস্পতিবার আহত কিশোরগঞ্জ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেসিডি) নেতা শ্রাবণের মাকে ফখরুল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আপনার ছেলে গণতন্ত্রের আন্দোলনে গুরুতর আহত হয়েছে। তার কষ্ট বৃথা যাবে না।’
গত ৩ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত শ্রাবণকে দেখতে দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে যান তিনি।
পড়ুন: যুবদল কর্মী হত্যা: পুলিশ সুপারকে আসামি করে বিএনপির মামলার আবেদন
তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ছাত্রদল নেতার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
পরে শ্রাবণের মায়ের সঙ্গে কথা বলে এই বিএনপি নেতা বলেন, ছেলের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাদের দল তার পরিবারের পাশে থাকবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন বানচাল করতেই বিরোধীদের ওপর সরকারের দমন-পীড়ন: বিএনপি
তিনি বলেন, ‘ধৈর্য্য ধারণ করেন এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে ঐশী আশীর্বাদ কামনা করেন। আমরা আপনার সঙ্গে আছি... গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে এবং অবশ্যই ভালো দিন আসবে।
এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, বুলেটের আঘাতে শ্রাবণের ফুসফুস, লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেরে উঠতে অনেক সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপি নেতা ও তার সহযোগী গুলিবিদ্ধ
জিএম কাদেরের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, আলোচনায় রাজনীতি-অর্থনীতি
অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎ করেছেন।
এসময় রাজনীতি ও অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন তারা।
জাতীয় পার্টি একটি বিবৃতিতে বলেছে, দুপুরে জিএম কাদেরের উত্তরার বাসভবনে তারা বৈঠকে মিলিত হন।
এতে বলা হয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক এবং পারস্পরিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
পড়ুন: নির্বাচন কমিশন নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ: জিএম কাদের
দলটি বলছে, নর্দিয়া সিম্পসন বাংলাদেশের মানুসেল বন্ধুসুলভ মানসিকতা ও আতিথেয়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জিএম কাদের আশা করছেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার বন্ধুত্ব আরও বাড়বে।
জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সমন্বয়ক শেরিফুল কাদের, দলের চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত ও উপদেষ্টা মাশরুর মাওলা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
বাংলদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে: জিএম কাদের
খুলনায় বিএনপি নেতা ও তার সহযোগী গুলিবিদ্ধ
খুলনার দৌলতপুর থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় বিএনপি নেতা ও তার সহযোগীকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে খুলনা বিএল কলেজের দ্বিতীয় গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় আ’লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ, হাসপাতালে ভর্তি
গুলিবিদ্ধ বিএল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদ ও তার সহযোগী রফিক বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বেগমগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ গুলিবিদ্ধ ৩
দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, রাত ১০টার দিকে তারা দুজন খুলনা বিএল কলেজের দ্বিতীয় গেট এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাদের গুলি করে। এসময় তারা দুজনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: প্রচারণার সময় হঠাৎ হামলায় পিরোজপুরে যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান ওসি।
পাবনায় বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় একই স্থানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে উপজেলার শরৎনগর বাজার এলাকায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি এবং জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্য প্রতিহত করার জন্য আওয়ামী লীগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শরৎনগর বাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। এরপরও যদি কোন পক্ষ মিছিল-সমাবেশ করার চেষ্টা করে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পড়ুন: পাবনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ১৪৪ ধারা জারির চিঠি পেয়েছি। আমরা ইতোমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছি। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমাদের ৭-৮ দিন আগে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নেয়া ছিল। এটা আমাদের চলমান কর্মসূচি, সেটা সরকার পতনের নয়, শুধুমাত্র দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান কর্মসূচি। এমন কর্মসূচিতে যদি বাধা দেয়া হয়, তাহলে এর চেয়ে অগণতান্ত্রিক ও অসভ্যতা আর কি হতে পারে?
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গোলাম হাসনায়েন রাসেল বলেন, বিএনপির এটা মূলত নৈরাজ্য সৃষ্টির কর্মসূচি ছিল। কিন্তু ভাঙ্গুড়া তো শান্তিপূর্ণ ও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। তাই এখানে যেন কোন ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য আমরা একটা কর্মসূচি দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি।
আরও পড়ুন: পাবনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত
পাবনায় ‘চরমপন্থী’ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত জয় ও দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার সরকারের অনেক ডিজিটাল উদ্যোগের পিছনে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ছিলেন, তবে রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত তার (জয়ের) এবং দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ছেলে সম্পর্কে এসব কথা বলেন। বর্তমানে জয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন... সে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ। এটা তার ব্যাপার, তবে সে দেশের জন্য কাজ করছে… আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ (উদ্যোগ) বাস্তবায়ন করেছি, এসব স্যাটেলাইট বা সাবমেরিন ক্যাবল বা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ-এই সবই তার আইডিয়া এবং সে আমাকে সহায়তা করছে…কিন্তু দলে বা মন্ত্রিসভায় কখনই সে কোনো পদ নেয়ার কথা ভাবেনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, দলীয় একটি অনুষ্ঠানে জয়ের পদ নেয়ার জন্য নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জোরালো দাবি ছিল।
তিনি বলেন, ‘এমনকি আমাদের দলীয় সম্মেলনেও তাকে একটি পদ দেয়ার জোরালো দাবি উঠেছিল। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি চাও মাইক্রোফোনে তা বলো, এবং সে তা করেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, সেসময় জয় বলল, ‘আমি এই মুহূর্তে দলে কোনো পদ চাই না। বরং যারা এখানে কাজ করছেন, তারা যেন এই পদটি পান। আমি কেন একটি পদ দখল করে থাকবো? আমি আমার মায়ের সঙ্গে আছি, আমি দেশের জন্য কাজ করছি এবং আমি তাকে সহায়তা করছি... আমি এটি করে যাব।’
সাক্ষাৎকারে তিনি তার জাতির পররাষ্ট্রনীতি গঠনে তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’- যা আমার পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে তার ভাষণে বলেছিলেন। এবং আমরা তার আদর্শ অনুসরণ করি। আমার বক্তব্য হল আমাদের জনগণের ওপর ফোকাস করা উচিত... কিভাবে তাদের একটি ভালো জীবন দেয়া যায়... আমাদের একটি শত্রু আছে। সেটা হলো দারিদ্র্য। সুতরাং, আসুন আমরা একসঙ্গে কাজ করি।’
হাসিনা বলেন, তিনি সবসময় মনে করেন নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর উচিত আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ ও মতভেদ দূর করা। ‘...চীন ও ভারতের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা হয়, আমি তাতে নাক গলাতে চাই না। আমি আমার দেশের উন্নয়ন চাই এবং ভারত যেহেতু আমাদের পাশের প্রতিবেশি, তাই আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো। আমাদের অনেক দ্বিপক্ষীয় সমস্যা ছিল, এটা সত্য, কিন্তু আমরা অনেক সমস্যার সমাধানও করেছি।’
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) এর সঙ্গে তার সাক্ষাত্কারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার ছিল উন্নয়ন এবং তার জনগণের জন্য উন্নতি করতে পারে এমন যে কোনও দেশের সাহায্য নিতে তারা ইচ্ছুক।
আরও পড়ুন: ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতেও সংখ্যালঘুরা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’
‘আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সেটাই করছে’: এএনআইকে প্রধানমন্ত্রী
স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক কমিটি ঘোষণা
আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে দল ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে রবিবার স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
রবিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এস এম জিলানীকে সভাপতি ও রাজীব আহসানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে
জিলানী স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি এবং রাজীব বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) সাবেক সভাপতি ছিলেন।
এছাড়া সংগঠনের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীকে সহসভাপতি এবং সাইফুল ইসলাম ফিরোজকে ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক জেসিডি সভাপতি নাজমুল হাসানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত: ভোলা থানার ওসিসহ ৩৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি ইউনিটের আংশিক কমিটিও ঘোষণা করেছে বিএনপি।
শফিউদ্দিন সেন্টুকে স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার সভাপতি, জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক এবং ওমর ফারুককে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দল ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত ২০
এছাড়া আনোয়ার হোসেনকে ঢাকা উত্তর সিটি শাখার সভাপতি, আজিজুর রহমান মোসাব্বিরকে সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদ হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
অসুস্থ রওশনকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা থেকে সরাতে চায় জাপা
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে রওশন এরশাদকে সরাতে জাতীয় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের অনুরোধ সম্বলিত একটি চিঠি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে দিয়েছে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল।
বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতা জনিত কারণে বিদেশে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এসময় জিএম কাদের সংসদীয় উপনেতা হিসেবে কাজ করছেন।
পড়ুন: জাতীয় পার্টির মহাসচিব রাঙ্গার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মামলা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে জাপা প্রতিনিধি দল স্পিকারের চিঠি দপ্তরে চিঠিটি প্রদান করেন।
চুন্নু বলেন, ‘বিরোধী দলীয় নেতা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, দীর্ঘদিন ধরে তিনি সংসদে আসতে পারছেন না। জাতীয় পার্টির ২৬ জন সংসদ সদস্যের সংসদীয় দলের ২৩ জনের উপস্থিতিতে ও একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া অপর একজন টেলিফোনে তার মতামত জানিয়েছেন,পরে তিনি সাক্ষর করবেন।’
চুন্নু বলেন, জাতীয় সংসদ ভবনের জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের কার্যালয়ে এক বৈঠকে বিরোধী দলীয় নেতা পরিবর্তন ও তা স্পিকারের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
রওশন বর্তমানে ব্যাংককে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন: জাতীয় পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু
রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
হাসপাতাল থেকে ফিরোজায় খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে তিন দিন থেকে শারীরিক পরীক্ষা শেষে বুধবার সন্ধ্যায় তার বাসা ফিরোজায় ফিরেছেন।
বিএনপি প্রধান বিকাল সাড়ে ৫টায় হাসপাতাল থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় গুলশানের বাসায় পৌঁছান বলে জানান তার মিডিয়া উইং মেম্বার শামছুদ্দিন দিদার।
বিএনপি প্রধানের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডাম তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে কিছু শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার পরীক্ষা শেষ ও শারীরিক পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করেছে বোর্ড।’
তিনি বলেন, বিএনপি প্রধান মেডিকেল বোর্ডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
জাহিদ বলেন, খালেদা তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
হাসপাতালে তার সর্বশেষ বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টের আলোকে মেডিক্যাল বোর্ড তার চিকিৎসায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন।
বেশ কিছু পরীক্ষা শেষে আবার ছয়দিন পর গত রবিবার রাতে খালেদা জিয়া আরও কিছু শারিরীক পরীক্ষার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
২২ আগস্ট করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে খালেদা জিয়ার ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।
ওইসব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করে মেডিকেল বোর্ড।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনায় এ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি প্রধানকে ছয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া