বিএসএফ
৫ দিন পর বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হওয়ার পাঁচদিন পর চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার ছোট বলদিয়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ীর লাশ ফেরত দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দামুড়হুদা সীমান্তের ৮১ মেইন পিলারের জিরো লাইনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে মুনতাজের লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে লাশটি দর্শনা থানা পুলিশ জিম্মায় নেয়।
নিহত মুনতাজ আলি (৩৫) হোসেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছোট বলদিয়া গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত
পতাকা বৈঠকে ভারতের পক্ষে বিএসএফের বিজয়পুর ক্যাম্পের ইনস্পেক্টর মহেশ রায় এবং বাংলাদেশের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা বিজিবির-৬ ব্যাটালিয়ন সহকারি পরিচালক ইমরান শেখ পতাকা বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।
এবিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াকের সরকারি নাম্বারে একাধিক কল করলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
দর্শনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার সরকার বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে সীমান্তের ৮১ মেইন পিলারের জিরো লাইনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
তিনি জানান, দর্শনা পুলিশ লাশ হস্তান্তরের পর নিহতের পরিবারের কাছে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএসএফের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে পাঁচ দিন পর লাশ হস্তান্ত করল বিএসএফ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে অবৈধভাবে গরু নিয়ে আসার জন্য ভারত সীমান্তে যান মুনতাজ হোসেনসহ তার সঙ্গীরা। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি চালালে মুনতাজ নিহত হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।
পরদিন রবিবার সকালে ভারত সীমান্তের মধ্যে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা। ওইদিনই বিএসএফ লাশ নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের হাতে নির্যাতিত বাংলাদেশি কৃষক
কারাভোগ শেষে ৩ ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের হাতে নির্যাতিত বাংলাদেশি কৃষক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের শিংনগর সীমান্তে ঢুকে এক বাংলাদেশি কৃষককে নির্যাতন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা।
ভুক্তভোগী এসলাম আলী (৭০)।
বিজিবি-৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সুরুজ মিয়া জানান, বুধবার দুপুরে ওই কৃষক সীমান্ত জিরো লাইনের ১৫ গজের মধ্যে মাঠে কাজ করছিলেন তখন বিএসএফ সদস্যরা সীমান্তে ঢুকে তাকে নির্যাতন করে। দুই হাত ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয়রা কৃষককে শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কারাভোগ শেষে ৩ ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর
খবর পেয়ে বিজিবির সদস্যরা আহত কৃষকের ছেলেকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বিএসএফকে এই বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই বিজিবি কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিএসএফ প্রায়ই বাংলাদেশে প্রবেশ করে এখানকার কৃষকদের ওপর নির্যাতন চালায়।
কারাভোগ শেষে ৩ ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর
সাড়ে ১৮ মাস কারাভোগ শেষে তিন ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টোর ৭৬ নং মেইন পিলারের কাছে শূন্য রেখায় হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
ফেরত যাওয়া ভারতীয় নাগরিকরা হলেন-ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়া থানার হায়দারবেলিয়া গ্রামের মৃত রতন দের ছেলে সুমন দে, তার স্ত্রী সুজাতা দে ও শিশুপুত্র শুভজিত দে।
আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ভারতীয় চোরাকারবারীর লাশ হস্তান্তর
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অবৈধভাবে ভারত থেকে সুমন দে, তার স্ত্রী ও শিশুপুত্র সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে মামা গোতম দত্তের যশোরের রুপদিয়া মুন্সিপুর গ্রামের বাড়িতে আসেন। মার্চে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় তাদের আটক করে বিজিবি। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে পাসপোর্ট আইনে মামলা করলে তাদের তিন মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
দীর্ঘ দিন কারাভোগ শেষে দুই দেশের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর সোমবার দুপুরে দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে তাদের হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভারতের লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর
এদিকে কাগজপত্রে জটিলতার থাকায় আব্বাস নামে অপর এক ভারতীয় নাগরীককে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়। এ সময় স্বজনরা তাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ভারতের কলকাতার নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইনচার্জ বাবিন মুখার্জি বলেন, তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি
হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু নাঈম, বিজিবির দর্শনা চেকপোষ্ট ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল, দর্শনা থানার এসআই শামিম রেজা। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ সন্দিপ কুমার তেয়ারি, গেদে বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার নাগেন্দ্র পাল, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইনচার্জ বাবিন মুখার্জি।
সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত
সাতক্ষীরায় ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৪টার দিকে সদর উপজেলার খৈতলা-কৈজুরী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. হাসানুর রহমান (২৫) সাতক্ষীরা সদর উপেজলার কুশখালী গ্রামের মো. হায়দার আলীর ছেলে।
নিহতের পিতা হয়দার আলী জানান, পার্সপোট না থাকায় তার ছেলে হাসানুর রহমান কয়েকদিন আগে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে অত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। রবিবার ভোর রাত ৩টার দিকে একইভাবে কয়েকজন সঙ্গীর সঙ্গে ভারতের কৈজুরী সীমান্ত পার হয়ে দেশে ফিরছিল। পথিমধ্যে ভোর রাত ৪টার দিকে ভারতের কৈজুরী ক্যাম্পের টহল বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে হাসানুর বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়।
এসময় তার সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে সকাল সোয়া ৬টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনায় রেফার্ড করে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা সার্জিকাল হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ আল মাহমুদ বলেন, ‘হাসানুরের মৃত্যুর বিষয়ে বিএসএফকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করে। আমরা তাদের পতাকা বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। মিটিং হলেই আমরা মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারব।’
যদিও জানা গেছে, কখন বা কোথায় বৈঠক হতে পারে সে বিষয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
একই সময়ে দেশের পৃথক স্থানে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বলদিয়া সীমান্তে মুনতাজ হোসেন ওরফে জাহাঙ্গীর (৩২) নামের এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ।
বিজিবি-৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক জানান, ভোর ৫টার দিকে মুনতাজ ৮২ নম্বর মূল পিলারের বিপরীত সীমান্ত দিয়ে গরু আনতে ভারতে গেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, নিহতের লাশ এখনও সীমান্তের ভারতীয় অংশে রয়েছে।
এ বছর প্রথমবারের মতো একদিনে বিএসএফের হাতে দুই বাংলাদেশি নিহত হলেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তথ্যে দেখা গেছে যে ২০২২ সালে গত মাসের শুরু পর্যন্ত বিএসএফ ১৮ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: মহেশপুর সীমান্ত থেকে নারী ও শিশুসহ ২৬ জন আটক
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা: ৩০০ পরিবারকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার বলদিয়া সীমান্তে রবিবার ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা গুলি করে এক বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) এক কর্মকর্তা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বলদিয়া স্কুল পাড়ার মুনতাজ হোসেন ওরফে জাহাঙ্গীর (৩২) নামে ওই বাংলাদেশি একজন গরু ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: রেজুআমতলী সীমান্তে মিয়ানমারের ফের গোলাগুলিতে স্থানীয়রা আতঙ্কিত
বিজিবি-৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক জানান, ভোর ৫টার দিকে মুনতাজ ৮২ নম্বর মূল পিলারের বিপরীত সীমান্ত দিয়ে গরু আনতে ভারতে গেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, মৃতদেহটি এখনও সীমান্তের ভারতীয় অংশে রয়েছে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুতফুল কবির বলেন, আমরা ঘটনা শুনেছি। তবে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: মহেশপুর সীমান্ত থেকে নারী ও শিশুসহ ২৬ জন আটক
কুমিল্লা সীমান্ত থেকে ৩০ রোহিঙ্গা আটক
৫ দিন পর বাংলাদেশি তরুণের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি তরুণের লাশ পাঁচদিন পর বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়েছে।সোমবার বিকাল ৪টার দিকে দিনাজপুর সীমান্তের ৩১৪/৪ নম্বর পিলারের কাছে বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-২৯ ব্যাটালিয়নের মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর তারা লাশ হস্তান্তর করতে সম্মত হন।
পড়ুন: বিএসএফের গ্রেনেডে আহত শিশু বাড়ি ফিরতে চায়
বিএসএফ’র গুলিতে নিহত কিশোর মিনহাজুল ইসলাম মিনার (১৭) দিনাজপুর সদর উপজেলার আস্করপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
গত শনিবার ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মিনার নিহত হওয়া সহ আরও একজন আহত হন বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
খানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, স্থানীয়রা হরিপুর তেলিপাড়া এলাকায় ওইদিন সকালে গুলিবিদ্ধ একটি লাশ দেখতে পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, ‘আত্মরক্ষার্থে’ গুলির দাবি বিএসএফের
কুড়িগ্রামে আটকের ৩ ঘন্টা পর বাংলাদেশিকে ফেরত বিএসএফের
দিনাজপুরে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, ‘আত্মরক্ষার্থে’ গুলির দাবি বিএসএফের
দিনাজপুরের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর গুলিতে বাংলাদেশি এক তরুণ নিহত ও একজন আহত হয়েছে। বুধবার কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছেন।
নিহত মিনার (১৭) উপজেলার আসকরপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, তারা রাত ১০টার দিকে দুই-তিন রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, গতরাতে উপজেলার দিনাজপুর সীমান্তের হরিপুর-তেলিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গ্রেনেডে আহত শিশু বাড়ি ফিরতে চায়
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন,বুধবার সকালে হরিপুর সীমান্ত এলাকায় স্থানীয়রা তার গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পায়।
স্থানীয়রা আরও জানায়, নিহতের লাশ ও আহত অন্যজন বর্তমানে বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজিবি ও বিএসএফ আজ একটি পতাকা বৈঠক করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বিএসএফের দাবি, গতকাল তাদের একটি টহল দল হরিহরপুরের ১৭৪ নম্বর সীমান্ত পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (বিওপি) কাছে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তারা জানায়, এসময় রাত ৯টা ৫ মিনিটের দিকে প্রায় ৯-১০ জন বাংলাদেশি ‘চোরাকারবারী’কে কোনো পণ্যের চালান নিতে সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে আসতে দেখে। এসময় টহল দল তাদের থামতে নির্দেশ দিলেও চোরাকারবারীরা বিএসএফ জওয়ানদের একজনকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণার এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
বিএসএফ আরও জানায়, ওই জওয়ানকে ঘিরে ফেলতে দেখে তার সহকর্মীরা ‘চোরাকারবারীদের’ ছত্রভঙ্গ করার জন্য একটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। এতেও তারা তাতে কর্ণপাত না করে ওই জওয়ানের আরও কাছে এগিয়ে আসতে থাকে।
তারা জানায়, চোরাকারবারীদের আগ্রাসন দেখে ওই জওয়ান বাতাসে এক রাউন্ড পিএজি গুলি ছোঁড়ে, কিন্তু এরপরও তারা ওই জওয়ানের কাছে এগিয়ে আসতে থাকে।
এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ওই জওয়ান ‘চোরাকারবারীদের’ দিকে পিএজি’র আরেকটি গুলি ছোঁড়ে।
বেশ কয়েকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ‘চোরাকারবারীরা’ ওই জওয়ান আটকে তার অস্ত্র নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিল।
ওই জওয়ান আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে যে ‘চোরাকারবারী’ তার রাইফেল ধরে ছিল সরাসরি তার গাঁয়ে লাগে। এসময় ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে বিএসএফ জানিয়েছে।
তারা জানায়,গুলির শব্দ শুনে ও তাদের সহযোগীকে আহত হতে দেখে অন্য ‘চোরাকারবারীরা’ বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে নদীতে পড়ে দুই শিশু নিখোঁজ
নেত্রকোণার এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার বারমারী সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে মো.শাহান মিয়া (৩৬) নামের এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ১১৬৩ নং সীমান্ত পিলারে ভারতের অভ্যন্তরে তাকে ধরে নিয়ে যায়।
শাহান মিয়া উপজেলার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের মেনকীফান্দা গ্রামের মো. ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
নিখোঁজের স্বজনরা জানান, সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে মেনকীফান্দা গ্রামের কালাম নামের একজনের চোরাই কাঠ কাটতে ভারতে যান। সেখানে সন্ধ্যার দিকে পাঁচ সদস্যের আরেকটি চোরাই টিম ভারতীয় কসমেটিক্স আনতে অনুপ্রবেশ করে। এসময় মো. শাহান মিয়া ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ এর হাতে আটক হন। ঘটনার পরদিন ভোর বেলায় ওই পাঁচজন পালিয়ে চলে আসে। কিন্তু আটকা পড়ে যান শাহান মিয়া।
এ বিষয়টি স্থানীয় বিজিবি সদস্যদের জানানো হলে বুধবার দুপুরে এক দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন পরিবারের লোকজন বলেও জানা গেছে।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের অভিযোগ
নেত্রকোণা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বারমারী বিওপি’র সুবেদার মো.লিয়াকত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শাহান মিয়া চোরাকারবারি দলের সঙ্গে ভারতে যান, সেখান থেকে ফেরার পথে বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে। বর্তমানে তিনি ভারতের রংরা থানা হেফোজতে রয়েছেন। তবে তিনি সুস্থ রয়েছেন। আইনি কিছু প্রক্রিয়া শেষে আগামী ৩-৫ দিনের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আমাদের হাতে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএসএফের আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে। তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনায় আমাদের যা করণীয় সেটাও চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল
চোর সন্দেহে ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের অভিযোগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার শিংনগর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
নিহত শরিফুল ইসলাম ভদু (২৪) উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের তাজ উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
স্থানীয়রা জানায়, শিংনগর সীমান্ত দিয়ে ১০ থেকে ১২ জনের একটি চোরাচালানী দল গরু আনতে শিং নগর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
মঙ্গলবার রাতে তারা গরু নিয়ে ফেরার সময় ভারতের দৌলতপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি ছুড়লে শরিফুল ইসলাম ভদু গুলিবিদ্ধ হয়ে ভারতীয় সীমান্তে নিহত হন। এ সময় অহিদুর নামে আরেকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ হোসেন জানান, এ ধরনের ঘটনার কথা শুনেছেন তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকেও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রামে আটকের ৩ ঘন্টা পর বাংলাদেশিকে ফেরত বিএসএফের
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে আটকের তিন ঘন্টা পর হাবিবুল ইসলাম (৪১) নামে এক বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার সকাল ১১টার দিকে তাকে ফেরত দেয় তারা। এর আগে এদিন সকাল ৮টার দিকে তাকে আটক করে বিএসএফ।
আটক হাবিবুল ইসলাম ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোড়কমন্ডল কৃঞ্চানন্দ বকসী গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন:চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের সীমান্ত বৈঠক
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুল ইসলাম শনিবার সকালে ভারতীয় সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯২৯ এর কাছ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। তিনি কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার মরাকুটি ভূরামপাকিস্থি এলাকার বাসিন্দা ফেলদেওয়ারের জেমিত দিনহাজিরায় পাট কাটতে যায়। এসময় ভারতীয় গিদালদহ ক্যাম্পের টহলরত এক বিএসএফ সদস্য তাকে আটক করে। খবর পেয়ে বিএসএফ সদস্যদের কাছে বাংলাদেশি ওই নাগরিককে ফেরত দিতে মৌখিকভাবে জানায় বিজিবি। এ ঘটনার তিন ঘন্টা পর বেলা ১১টার দিকে হাবিবুল ইসলামকে বিজিবি’র মাধ্যমে ফেরত দেয় বিএসএফ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি’র গোড়কমণ্ডল ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মো. খলিলুর রহমান জানান, আটকের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দিনমজুরকে ফেরত চেয়ে বিএসএফ’র কাছে অনুরোধ জানাই আমরা। এর তিন ঘন্টা পর তারা আটক বাংলাদেশিকে ফেরত দেয়।
আরও পড়ুন:ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শুরু
পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত