বিএসএফ
পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নুরুল হুদা আশরাফি (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছেন।
শনিবার ভোররাতে পাটগ্রামের জোংড়া ইউনিয়নের ককোয়াবাড়ি-গুরুপাড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
আহত নুরুল হুদা উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় নুরুল হুদা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোররাতে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় সাত থেকে আটজনের বাংলাদেশি গরু পারপারকারীর দল ককোয়াবাড়ি-গুরুপাড়া সীমান্তের ৮৬৮ নম্বর মেইন ও ৫ নম্বর সাবপিলারের কাছ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এ সময় ভারতের ১৬৯ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চেনাকাটা ক্যাম্পের টহল দলের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে।
এতে নুরুল হুদা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে রংপুর নেয়া হয়।
জোংড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য আজিজুল হক মানিক জানান, আহত নূরুল হুদা তার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার কোমড়ের নিচে গুলি লাগে। এরপর তার সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরবর্তীতে রংপুর নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
কুষ্টিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
মাদক পাচার বন্ধে বিজিবি-বিএসএফের ঐক্যমত
সীমান্ত দিয়ে যেকোন ধরণের মাদক পাচার বন্ধে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন বিজিবি ও বিএসএফের কর্মকর্তারা।
বুধবার বেলা ১১টায় দিনাজপুরের হিলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে তারা এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। হিলি সিপি বিজিবি ক্যাম্পের গোলঘরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ১৫ সদস্যের নেতৃত্ব দেন বিজিবির দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার এবং ভারতের পক্ষে ১৫ সদস্যের নেতৃত্ব দেন বিএসএফের রায়গঞ্জ সেক্টরের ডিআইজি এসএন ভাস্তব।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের আবারও ‘বাঙালি সম্প্রদায়’ বলল মিয়ানমার
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিএসএফের প্রতিনিধি দল হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। এসময় সেখানে তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিজিবির কর্মকর্তারা।
বিজিবির দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার জানান, করোনার কারণে আমাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা বন্ধ ছিল। এখন হচ্ছে। আমরা বর্ডার ইস্যু ও বিভিন্ন ধরনের মাদক সহ অবৈধ পারাপার বন্ধ নিয়ে আলোচনা করেছি। বিএসএফকে বলেছি বাংলাদেশে মাদক পাচার বন্ধে তারা যেনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।
তিনি আরও বলেন, বিএসএফও তাদের কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। উভয়ে সীমান্তে যেকোন ধরনের অপরাধ রোধে একমত হয়ে কাজ করব। আমাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা: যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাবাসনে সহায়তা করবে প্রত্যাশা ঢাকার
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে রেজাউল করিম নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ সময় জুম্মান বাবু (৩০) নামে অপর এক যুবক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের সমশেরনগর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রেজাউল করিম (৪২)ওই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নয়াবাড়ি এলাকার মনসুর আলীর ছেলে। আহত জুম্মান বাবু পাটগ্রাম পৌরসভার রেলগেট এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে।
এলাকাবাসী ও সীমান্তসূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোররাতে ওই সীমান্তে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় বাংলাদেশি গরু পারাপারকারীদের একটি দল জগতবেড় সীমান্তের ৮৬১ নম্বর মেইন পিলারের ১ নম্বর সাব পিলারের পাশ দিয়ে গরু পার করতে যায়। এ সময় ভারতের কুচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার তেতলিরছড়া গ্রামের ভগরামপুর এলাকার স্থানীয়রা ধাওয়া করে দু’জনকে ধরে বেধড়ক পিটাতে থাকে। এ সময় গ্রামবাসীর পিটুনিতে রেজাউল ও জুম্মান বাবু গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাদেরকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ১৬৯ ব্যাটালিয়নের পারসা ক্যাম্পের টহল দলের কাছে হস্তান্তর করে এলাকাবাসী। এ সময় আহত দুই বাংলাদেশি পালিয়ে আসার চেষ্টা করলে বিএসএফের টহল দলের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে রেজাউল ঘটনাস্থলে নিহত হয়। অপর আহত জুম্মান বাবু ভারতের মেখলিগঞ্জ হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ ৬১ বিজিবির শমসেরনগর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জালাল সরকার বলেন, ‘সীমান্তে বাংলাদেশি নিহত হয়েছে শুনেছি। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছেনা। এ ব্যাপারে পারসা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি দিয়েছে। বিকেলে সীমান্তের ৮৬৪ নম্বর মেইন পিলারের ১ নম্বর সাব পিলারের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
এ ব্যাপারে ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর হাসান শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, ‘আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদেরকে বিস্তারিত জানাতে বলেছি। খোঁজ নিয়ে দুই ধরনের তথ্য পেয়েছি। ভারতীয় গ্রামের আলু চাষিদের আলু চুরি করতে গেলে চাষিরা রেজাউলকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আর শুনেছি বিএসএফের গুলিতে একজন নাকি মারা গেছে। নিশ্চিত হতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। তারা জানালে বিস্তারিত বলতে পারব।’
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ
হাতীবান্ধা সীমান্তে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় নাগরিক আটক
কুষ্টিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (০৫ মার্চ) রাতে প্রাগপুর ইউনিয়নের বিলগাথুয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লিটন বিশ্বাস (৩৫) উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের বিলগাথুয়া মাঠপাড়া গ্রামের আকবর বিশ্বাসের ছেলে।
প্রাগপুর (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান জানান, লিটনসহ কয়েকজন ভারত থেকে মালামাল নিয়ে বিলগাথুয়া এলাকার সীমান্ত দিয়ে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় টহলরত বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে লিটন বিশ্বাস নিহত হয় এবং অন্যরা বাংলাদেশ সীমানায় পালিয়ে আসে।
তবে দৌলতপুর থানার (ওসি) জাবীদ হাসান জানান, নিহতের লাশ হোগলবাড়িয়া থানায় রাখা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: নওগাঁর হাপানিয়া সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত
সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশি যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে আসা ভারতীয় সেই তরুণীকে ফিরতেই হলো
প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা এক ভারতীয় তরুণীকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে হস্তান্তর করা হয়ছে। দীর্ঘ ৮ মাস বাংলাদেশের সেফহোমে থাকার পর মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টার দিকে দর্শনা স্থলবন্দর দিয়ে প্রীতি পন্ডিত নামের ওই তরুণীকে ভারতীয় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ পুলিশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের পক্ষে বিএসএফ’র গেঁদে কোম্পানী কমান্ডার অশোক মেহি, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ গোপাল চন্দ্র দে, কাস্টমস ইন্সপেক্টর অজয় নারায়ণ, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর বাপিন মূর্খাজি, ডিআইও সাধন মণ্ডল ও মানবাধিকার কর্মী চিত্তরঞ্জন দে। বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন বিজিবির আইসিপি কমান্ডার সুবেদার শহিদুল ইসলাম, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আব্দুল আলিম, দর্শনা থানার (উপপরিদর্শক) এসআই হারুন অর রশীদ, রংপুর সিআইডি ইন্সপেক্টর এনায়েতুর রহমান ও এসআই রাব্বি।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় তরুণী
জানা যায়, প্রেমের টানে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল প্রীতি পন্ডিত। প্রেমিক মিলনের বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলায়। তারপর তার পরিবার কৃষ্ণনগর থানায় জিডি করে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। অবশেষে সন্ধান মেলে প্রীতির। রংপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ প্রীতিকে উদ্ধার করে রংপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখে। সেখানেই ৮ মাস ছিল প্রীতি।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা ও কৃষ্ণনগর মিলনীনি গার্লস হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। তার বাবা মণ্টু পন্ডিত ও মা ইতি পন্ডিত থাকতেন কৃষ্ণনগর শহরের ভাতজংলা এলাকায়।
রংপুরের সিআইডি ইন্সপেক্টর এনায়েতুর রহমান জানান, ২৬ জুন সকালে রংপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ উদ্ধার করে প্রীতিকে। সেই থেকে তাকে রাখা হয় রংপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে। প্রেমিক মিলনের সঙ্গে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল প্রীতি। প্রীতিকে উদ্ধারের পর তার প্রেমিক মিলন (২২) ও তার সহযোগী হাবিবুরের (২৩) বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করে পুলিশ। পরে তাদের আটক করা হলে জামিনে মুক্তি পায় তারা।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় কিশোরীকে ফেরত
প্রেমের টানে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় তরুণী
প্রেমের টানে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন খুসনামা (১৭) নামের ভারতীয় এক তরুণী। তার বাড়ি ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপুকুর থানার হরিয়ানি গ্রামে। সে ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের মহানন্দা নদী পেরিয়ে ইদগাহ বস্তি এলাকায় প্রবেশ করে সে। খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ দুপুরে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ভারতীয় ওই তরুণী জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রতনদিঘী গ্রামের ইসরাইল হোসেনের ছেলে আব্দুল লতিফ রকিব (২১) এর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভারতের কেরালা প্রদেশের এক হোটেলে তার ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করত রকিব। তখনি তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা বিয়ে করে।
আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না দেয়ায় ভালোবাসা দিবসে কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
তবে পুলিশের কাছে সে কোন প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি।
বিষয়টি পুলিশ, বিজিবি ও বিএসএফ এবং দু দেশের আইনী জটিলতা নিরসনের পর সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে ওই তরুণী তার প্রেমিকের সঙ্গেই বাংলাদেশে প্রবেশ করে বলে পুলিশের ধারণা। অবশ্য তরুণী আটকের খবর পেয়ে তার প্রেমিক আব্দুল লতিফও থানায় আসে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া ভারতীয় এক তরুণীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যেহেতু মেয়েটি নাবালিকা। তাই আমরা মেয়েটির অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। বিষয়টি বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে। বিজিবি-বিএসএফের আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম ফজলে রাব্বি জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিএসএফ সিদ্ধান্ত না জানালে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
ভারতে সাজাভোগ শেষে বিয়ানীবাজারের স্থলবন্দর দিয়ে ফিরলেন ২২ বাংলাদেশি
ভারতের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে সাজাভোগের পর বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দর হয়ে দেশে ফিরেছেন ২২ বাংলাদেশি নাগরিক। শনিবার দুপুরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং সীমান্ত পুলিশ শেওলা ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিজিবির কাছে এসব বাংলাদেশি নাগরিকদের হস্তান্তর করে।
বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে প্রত্যাবর্তনকারীরা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরে সেখানকার আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়ে ঠাঁই হয় কারাগারে। পরবর্তীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় এসব বাংলাদেশিরা নাগরিকরা দেশে ফেরার সুযোগ পেয়েছেন।
দেশে ফেরা নাগরিকরা হলেন- মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কয়েছ উদ্দিন, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার শহিদুল ইসলাম, রউমারী উপজেলার আশিক মিয়া, মো. সাইজুদ্দিন, দিনাজপুর জেলার খানশামা উপজেলার জয় চন্দ্র শর্মা, শেরপুর সদর উপজেলার সাব্বির মিয়া, চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার লিটন গাজি, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার আলম হাওলাদার, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আব্দুল গণি, রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার মো. আছলম আলী, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার আইনুল হক, টাংগাইল জেলার সখিপুর উপজেলার অমূল্য বর্মন, খুলনা জেলার আব্দুল হাকিম, মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার জুয়েল হাওলাদার, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার শরিফুদ্দিন মিয়া, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার নাসির আলী ও শাহিনুর, সিলেট জেলার কানাইঘাটের সেলিম আহমদ, গোলাপগঞ্জের রুহান আহমদ, সিলেট সদরের লিটন ভূমিজ, ঢাকা জেলার জামাল উদ্দিন, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার রাজু আহমদ ও নওগাঁ জেলার রানী নগর উপজেলার মো. ফিরোজ মিয়া।
আরও পড়ুন: ভারতে ২১ মাস জেল খেটে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশি যুবক
বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলম সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশে প্রবেশের আগে শেওলা আইসিপিতে নিয়োজিত বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধানে প্রত্যাবর্তনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। করোনার কোনো উপসর্গ না পাওয়ায় তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। তিনি আর বলেন, এরকম আরও বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধ উপায়ে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। পর্যায়ক্রমে সকলকেই দেশে ফেরত নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সূত্র জানায়, ভারতের আসাম রাজ্যের পাঁচটি ও মেঘালয় রাজ্যের দুটি জেল থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ২৫০ বাংলাদেশিকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই কার্যক্রমের মূল ব্যক্তি আসামের গৌহাটিস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর।
আরও পড়ুন: ২০ জেলেসহ বাংলাদেশি মাছ ধরা নৌকা ফেরত দিল ভারত
ভারতে ২১ মাস জেল খেটে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশি যুবক
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে প্রায় দু’বছর জেল খেটে শুক্রবার দুপুরে সিলেটের তামাবিল অভিবাসন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশি এক যুবক।
ফেরত আসা মো. আলী হোসেন (৩০) শেরপুরের নালিতা বাড়ি উপজেলার বাটকুচি টিলাপাড়া গ্রামের মো. ফরহাদ হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাচার হওয়া দুই নারীকে ফেরত পাঠাল ভারত
তামাবিল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রনু মিয়া বলেন, ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে দেশটির পুলিশ দু’বছর আগে তাকে আটক করে। ২১ মাস কারাগারে থাকার পর ভারতীয় অভিবাসন পুলিশ তামাবিল অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে হস্তান্তর করে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বজনদের কাছে আলী হোসেনকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আটক বাংলাদেশি যুবককে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
ধরে নিয়ে যাওয়ার ৫ ঘন্টা পর দুই ছাত্রকে ফেরত দিলো বিএসএফ
অবশেষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে পতাকা বৈঠকের পর দুই মাদরাসা ছাত্রকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকা থেকে ওই দুই মাদরাসা ছাত্রকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ৫ ঘন্টা পর ফেরত দিলো বিএসএফ।
ছাত্ররা হলো-উপজেলার আলীহাট গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন ও আরমান আলীর ছেলে আরাফাত হোসেন। তারা আলীহাট গাজী আমেনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র।
বিজিবির হিলি সিপি ক্যাম্পের সুবেদার আলম হোসেন জানান, হিলির একটি মাদরাসার দুই ছাত্র করোনার টিকা নিয়ে ঘুরতে চেকপোস্ট এলাকায় যায়। এ সময় তারা সীমান্তের ২৮৫নং মেইন পিলারের ১০নং সাব সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে ভুল করে ভারত অংশে ঢুকে পড়লে বিএসএফ তাদের ধরে নিয়ে যায়। পরে ছাত্রদের পরিবারের কাছে ঘটনাটি জানতে পেরে তাদের ফেরত চেয়ে ভারতের হিলি বিএসএফ ক্যাম্পের খবর পাঠানো হয়। পরে বিএসএফ ওই দুই ছাত্র বাংলাদেশি কিনা তা প্রমাণ চান। এসময় ছাত্রদের জন্মনিবন্ধন দেয়া হলে বিএসএফ পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানান। এরই প্রেক্ষিতে আজ বিকেল ৫টায় সীমান্তের ২৮৫ মেইন পিলারের ১০নং সাব সীমানা পিলারের বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত। এরপর বিএসএফ ওই দুই ছাত্রকে আমাদের কাছে ফেরত দিলে তাদের স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দরে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আলিহাট গাজী আমেনিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, রবিবার আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের করোনার টিকা দেয়ার জন্য হিলি স্থলবন্দরের একটি টিকা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। টিকা নেয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীদের নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু আরাফাত ও রুহুল হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের দিকে বেড়াতে যায়। বেড়ানোর এক পর্যায়ে সীমান্ত এলাকা চিহ্নিত করতে না পেরে সীমান্তের কাছে গেলে ভারতের হিলি ক্যাম্পের বিএসএফ তাদের আটক করে নিয়ে যায়। তাদের উদ্ধারে আমরা বিষয়টিকে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে জানায়।
এব্যাপারে হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার শামীম জানান, এরা শিশু ছাত্র। ভুল করে চলে গেছে। আমরা সন্ধ্যায় তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্কে হিলি স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে সতর্কতা
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ চাল আমদানি
নওগাঁর হাপানিয়া সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত
নওগাঁর সাপাহারে হাপানিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোরে উপজেলার হাপানিয়া সীমান্তের ২৩৬ পিলারের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত সালাহ উদ্দিন (৩০) উপজেলার কৃষ্ণসদা গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে এবং পেশায় একজন গরু ব্যাবসায়ী বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশি একদল গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে সালাহ উদ্দীন (৩০) গরু আনতে ভারত প্রবেশ করেন। পরে তারা গরু নিয়ে শনিবার ভোরে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে ভারতের পান্নাপুর ৬৯ বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত জোয়ানরা তাদের উদ্দেশ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এসময় অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও সালাহ উদ্দীন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আরও পড়ুন: শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহতের অভিযোগ
নওগাঁর ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল কবির জানান, আমরা শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে জানতে পারি যে, সাপাহার উপজেলার হাপানিয়া সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় ভূখন্ডের ২০০ গজ ভিতরে একটি লাশ পড়ে আছে। এ ব্যাপারে ১৬ বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতের ৬৯ পান্নাপুর বিএসএফ ক্যাম্পে পতাকা বৈঠকের জন্য মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তবে আজ দুপুর পর্যন্ত বিএসএফ বিজিবির পাঠানো মেসেজের কোন উত্তর দেয়নি।
তিনি আরও জানান, সর্বশেষ শনিবার দুপুরের দিকে ভারতের পান্নাপুর ৬৯ বিএসএফ এর সদস্য ও ভারতীয় পুলিশ নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে গেছে। তবে, এখনও পর্যন্ত সাপাহার উপজেলার কোন পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের সদস্য নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে বিজিবির কাছে কোন অভিযোগ করেননি।
আরও পড়ুন: মহেশপুর সীমান্তের ওপারে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহতের অভিযোগ