বৃষ্টিপাত
সারাদেশে মৌসুমী বৃষ্টির পূর্বাভাস
সারাদেশে মৌসুমী বায়ু মোটামুটি সক্রিয় থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বুধবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) জানিয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বিএমডি আরও জানিয়েছে, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থেকে বিস্তার লাভ করতে পারে।
বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ১০৪ মিলিমিটার।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরেরর তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা
২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা
২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) জানিয়েছে-রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজারহাটে ৯৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়া রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণে মাইলফলক
বন্যায় সুনামগঞ্জে শত কোটি টাকার ক্ষতি
সম্প্রতি পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় সুনামগঞ্জে বোরো ধান, মাছের খামার ও সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টাকার অংকে এই ক্ষতি শত কোটি টাকার ওপরে। তবে জেলার কিছু কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনও বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত আছে। তাই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এবার দুই দফা আগাম বন্যায় সুনামগঞ্জের হাওরের কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। গত ২ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম দফা পাহাড়ি ঢলে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে জেলার ২০টি ছোটবড় হাওরের অন্তত ১০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে যায়। এরপর মে মাসের শুরু থেকে আবার ভারী বৃষ্টি, নামে উজানের ঢল শুরু হয়। এতে সৃষ্ট বন্যায় জেলায় ৮২৯ হেক্টর বোরো জমির ধান তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে আউশ বীজতলা, বাদাম ও সবজি খেতের ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ধানের মূল্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা।
তবে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, পাকা ধান তলিয়েছে ঠিকই, তবে দ্রুত পানি সরে যাওয়ায় কিছু জমির ধান কৃষকেরা কেটেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার পরিস্থিতির উন্নতি, গ্রামাঞ্চলে অপরিবর্তিত
জেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, বন্যায় তলিয়ে যাওয়া জমির মধ্যে পাকা ধানই বেশি ছিল। যে কারণে পানি কমার পর অনেক কৃষক সেগুলো কেটেছেন। তবে বৃষ্টি থাকায় ধান মাড়াই ও শুকানো নিয়ে কৃষকদের বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, এবারের বন্যায় জেলায় এক হাজার ৩১০টি পুকুরের মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। এসব পুকুরে ১৬৮ মেটিক টন মাছ ও ৫০ মেট্রিক টন পোনা ছিল। জেলার ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় ক্ষতি হয়েছে বেশি। ছাতকে ৭৫০ ও দোয়ারাবাজারে ৪৩৫ পুকুরের মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারি সংখ্যা এক হাজার ১৪৭ জন।
সদর উপজেলার রঙ্গারচর এলাকার মুমিন ফিশারিজ অ্যান্ড এগ্রো লিমিটেডের মালিক মো. আবদুল আলীম জানান, তার খামারের ৭টি পুকুরের মধ্যে চারটির মাছ পোনা ভেসে গেছে। ক্ষতি হয়েছে খামারের অবকাঠামোর।
আরও পড়ুন: ত্রাণ নিয়ে হাহাকার
খামারি আবদুল আলীম বলেন, গত বছরও বন্যায় খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবার সবমিলিয়ে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হলো। মাছের খাবারের দোকানে বাকি আছে প্রায় ১৫ লাখ। ব্যাংক ঋণের কিস্তি আছে। এই ক্ষতি কীভাবে কাটাবো এ নিয়ে চিন্তায় আছি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুনীল মন্ডল বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের একটা তালিকা করেছি। এটি মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। যদি কোনো সহযোগিতা আসে সেটি খামারিরা পাবেন।
এদিকে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে গ্রামীণ রাস্তাঘাটের। একই সঙ্গে তিনটি সেতু, একটি বারার বাঁধের ক্ষতি হয়েছে। অনেক সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে গেছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে কমছে বন্যার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ
সুনামগঞ্জ-১ আসনের (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক বলেছেন, এবারের বন্যায় আমার এলাকাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে অনেক রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে। সংশ্লিষ্টদের বলেছি, ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করার জন্য।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেছেন, আমাদের প্রায় ৯০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনো পূর্ণাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতি পাওয়া যায়নি। পানি পুরোপুরি নেমে গেলে সেটা নির্ধারণ করা হবে।
সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে,রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রাক-মৌসুমী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলেছে ‘রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কয়েকটি স্থানে এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী (২২-৪৩ থেকে ৪৪-৮৮ মিলিমিটার) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায়।
আরও পড়ুন: দেশের ৮ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
ঢাকায় রেকর্ড ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত
ঢাকায় রেকর্ড ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত
ঢাকায় শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, রংপুর ও বগুড়া জেলায় বৃষ্টি হতে পারে।
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপ থেকে বাসিন্দাদের পরিত্রাণ দিলেও বৃষ্টির কারণে ঢাকার বিভিন্ন ব্যস্ত অংশে যান চলাচল বন্ধ থাকায় অফিসগামী ও স্কুলগামী শিশুরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ
শুক্রবার প্রকাশিত আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় এবং দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনার যশোরে ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রংপুরের রাজারহাটে ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ফের ‘অস্বাস্থ্যকর' ঢাকার বাতাস
সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে সুনামগঞ্জের নদনদীতে পানি বেড়েছে। সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে শহরের নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর, নবীনগর, ধারারগাও, জেলরোড, উত্তর আরপিননগর, তেঘরিয়া ও বড়পাড়া এলাকার সড়ক ও কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। শহরতলির সুরমা নদীর উত্তরপাড়ের ইব্রাহিমপুর, সদরগড়সহ নদীরপাড়ের গ্রামগুলোর নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানিতে উঠেছে। এছাড়া সুনামগঞ্জের ছাতক, তাহিরপুর, দিরাই, শাল্লা ও জামালগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ ছাতক সড়কে পানি ওঠায় ছাতকের সঙ্গে সারাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে এবং জেলা শহরের সাথে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার একমাত্র সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৫ নদীর পানি বিপদসীমার উপরে
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ কৃষি বিভাগের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৫০০ হেক্টর বোরো ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে যার ক্ষতির পরিমাণ হবে ৫ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি এবং সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘরস্থ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং তাহিরপুরের যাদুকাটাসহ অন্যান্য নদীর পানিও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: টানা বর্ষণে সিলেট-সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি
ঢাকার বাতাসের মান এখন ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌসুমের বৃষ্টিপাতের কারণে সোমবারও ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে।
সকাল ৯টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৭৬ রেকর্ড করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ১৯তম স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলা হয়। তবে, কিছু লোক ঝুঁকি থাকতে পারে, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও কুয়েতের কুয়েক সিটি যথাক্রমে একিউআই ১৭৯, ১৬৪ ও ১৫৭ স্কোর নিয়ে প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: একিউআই: আবারও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
সারাদেশে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপে পরিণত ‘অশনি’, নামলো সতর্ক সংকেত
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ৭৮ মিলিমিটার।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় অশনি বৃহস্পতিবার সকালে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ভারতের অন্ধ্র উপকূলের অদূরে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগেরে অবস্থানরত অশনি পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রথমে গভীর নিম্নচাপ ও পরবর্তীতে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুমান ‘মধ্যম’
‘অশনি’র প্রভাবে উপকূলজুড়ে বৃষ্টিপাত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে রবিবার সকাল থেকে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সোমবার সকাল ৯টার দিকে ৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
সোমবার দুপুরে এটিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক হাজার ১০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে এক হাজার ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা বন্দর থেকে এক হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল বলে আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অশনি' মোকাবিলায় বরিশালে প্রস্তুত প্রায় ৫ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, জেলেদেরকে ঘূর্ণিঝড় সর্ম্পকে অবহিত করা হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় অশনি সম্পর্কে কোনো নির্দেশনা পাইনি। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে জেলেদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের লোক মাঠে আছেন; তারা কৃষকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছেন এবং সতর্ক বার্তা দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে কৃষকরা ৫০ শতাংশ মুগডাল ঘরে তুলেছেন। বাকি ডাল দ্রুত ঘরে তোলার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৮০ শতাংশ ধান পেকেছে এমন বোরো খেতের ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও এলাকায় এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন- চার নম্বর সতর্কতা সংকেত পাওয়ার পরে আমাদের প্রস্তুতি সভা হবে। তারপরও আমরা ঘূর্ণিঝড় 'অশনি' সম্পর্কে অবজারভেশনে আছি।
এদিকে বৃষ্টির কারণে রবিশস্য নিয়ে বিপদে পড়েছে এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক পরিবার।
গলাচিপা উপজেলার বাউরিয়া এলাকায় কৃষক ইউনুস হাওলাদার বলেন,লোকমুখে অশনির কথা শুনেছি। প্রায় এক-দেড় একর জমিতে ঘরে তোলার উপযোগী পাকা মুগডাল রয়েছে। কিন্তু মজুর সঙ্কটে সেই ডাল ঘরে তুলতে পারিনি। ঘূর্ণিঝড়ে যদি জল ওঠে, তা হলে সব ডাল ভেসে যাবে।
আরও পড়ুন: ‘অশনি’: তিন বিভাগে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’: আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে
ঢাকার বাতাসের মান কিছুটা ‘উন্নত’
এই সপ্তাহে কালবৈশাখী এবং মৌসুমি বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঈদের ছুটির কারণে ঢাকার বাতাসের মানের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১২ টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) এ ৮৬ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে খারাপ বায়ু মানের সঙ্গে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৬ তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ৷
ঢাকার একিউআইকে 'মধ্যম' হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
ভারতের দিল্লি, দুবাই এবং চিলির সান্তিয়াগো যথাক্রমে ১৮০, ১৭২ এবং ১৬২ স্কোর সহ তালিকায় প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ৮ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে 'খারাপ' বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: তলিয়ে যাওয়া ফসল নিয়ে হাওরের কৃষকের হাহাকার
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।