ব্যবসা
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু
৯ মাস পর শনিবার থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ভারতী চালের আমদানি শুরু হয়েছে। এতে করে দেশের ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রথম দিনে শনিবার এলসির চাল নিয়ে তিন ট্রাকে ১০৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ চাল আমদানি
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, '৯ মাস চাল আমদানি বন্ধ ছিল। আমদানিকৃত ভারতীয় চাল দ্রুত বাজারজাত করা হলে চালের দর কিছুটা কমে আসবে।
হিলি আমদানি ও রপ্তানিকারক( সিএন্ডএফ) গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) ওপেন করায় শনিবার থেকে চাল আসা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এদিকে, দিনাজপুরের খুচরা বাজারে গুটি স্বর্ণা ৪৬ টাকা, বিআর-২৯ জাত ৪৬ টাকা, মিনিকেট ৬৪ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫৬ টাকা, সম্পা কাটারি-৬৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঈদ: সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য চার দিন বন্ধ থাকবে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ জানান, ঈদ উপলক্ষে আগামী ৯ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত টানা চার দিন বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ১৭ দিন বন্ধের পর বাংলাবান্ধায় আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, সোনামসজিদ আমদানি ও রপ্তানি গ্রুপসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ঈদুল আযহা উপলক্ষে আলোচনা সভা এই সিদ্ধান্ত হয়।
আগামী ১৩ জুলাই সকাল থেকে যথারীতি বন্দরের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ৩ দিন ধরে আমদানি রপ্তানি বন্ধ
সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কর্মরত বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক আলিমুজ্জামান জানান, সরকারি ছুটি ছাড়া অন্যান্য দিন বন্দরের কার্যক্রম চালু থাকবে। সরকারি ছুটির অতিরিক্ত এক দিন তারা ছুটি বাড়িয়েছে। এই দিন কেউ কাজ করতে চাইলে কাজ করতে পারবে।
দেশে ইইউ চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার লক্ষ্যে শিগগির ‘ইইউ-বাংলাদেশ মিনিং বিজনেস’ অনুষ্ঠিত হবে। এর লক্ষ্য হলো- ইইউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ইউরোপের মধ্যে ঘনিষ্ট সহযোগিতা পারস্পরিকভাবে লাভজনক হতে পারে এমন সম্ভাবনাময় বাণিজ্যিক খাতগুলোকে তুলে ধরা।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হোটেলে সপ্তম ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট সংলাপের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চেম্বার অব কমার্স- ইউরোচাম প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর লক্ষ্য বাংলাদেশি ও ইইউ বেসরকারি খাতের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা এবং বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সুষ্ঠু ও টেকসই ব্যবসায়িক সম্পর্কের কল্যাণে ইউরোপের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশি সরকারি ও বেসরকারি খাতের সংযোগকারী উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করা।
এটি ইবিএ-পরবর্তী বাণিজ্যে বাংলাদেশের উত্তরণ সুগম করতেও সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: ‘গ্লোবাল গেটওয়ে’ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে
২০১৬ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগের সপ্তম পূর্ণাঙ্গ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগের লক্ষ্য হলো- যৌথভাবে বাংলাদেশের এক নম্বর বাণিজ্য অংশীদার এবং বাংলাদেশে এফডিআইয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস ইইউ থেকে বাণিজ্য সহজতর করা।
২০২১ সালে ইইউতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬ বিলিয়ন ইউরো। বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রপ্তানি ছিল ৩ বিলিয়ন ইউরো বলে বিবৃতি উল্লেখ করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. তপন কান্তি ঘোষ এবং ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি প্ল্যানারিতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন। এতে ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও সুইডেনের ইইউ কূটনৈতিক মিশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খাদ্যশস্য সরবরাহের আশ্বাস কানাডার
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পাশাপাশি ইইউ বেসরকারি খাতের কয়েকজন প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নেন।
ব্যবসার ধরন পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে: বিজিএমইএ
বিজিএমইএ-এর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য ফ্যাশন শিল্পের পরিবর্তনশীল প্রবণতার সঙ্গে ব্যবসায়িক কৌশলের সমন্বয় সাধন করা এবং সেই অনুযায়ী সক্ষমতা তৈরি করা অপরিহার্য।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ওয়ার্ল্ডএক্স ইন্ডিয়া আয়োজিত ইনটেক্স দক্ষিণ এশিয়ার নবম সংস্করণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফারুক হাসান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী পোশাক শিল্প দ্রুত ও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর বেশিরভাগই নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে এবং ব্যবসার জন্য নতুন ব্যবসায়িক পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প টেকসই ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য ব্যবসার পুনর্বিন্যাস, পণ্যে বৈচিত্র্যকরণ এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছে।
আরও পড়ুন: ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচারের আহ্বান বিজিএমইএ’র
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববাজারে নন-কটন পণ্যের আধিপত্য থাকায় এবং আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা থাকায় বাংলাদেশ হাতে তৈরি ফাইবারের পণ্যের ওপর জোর দিচ্ছে।
ম্যানুফ্যাকচারিং ল্যান্ডস্কেপ থ্রিসি অর্থাৎ খরচ, প্রতিযোগীতা ও নৈকট্য দ্বারা প্রভাবিত হবে। কারণ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হবে উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খলের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের চাবিকাঠি।
ফারুক দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের মধ্যে জ্ঞান, দক্ষতা ও প্রযুক্তি বিনিময়ের ওপর জোর দিয়ে বলেন, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য সাহায্য ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ওয়ার্ল্ডএক্স ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজেশ ভগত ও ওয়ার্ল্ডএক্স ইন্ডিয়ার পরিচালক আরতি ভগত।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ‘ঘোষণা’ দেয়া হয়নি: বিজিএমইএ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্য বাড়াবে পদ্মা সেতু
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানিতে গতি আসবে। ঘটবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধি। বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাক দ্রুত সময়ে পৌঁছে যাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। ফলে একদিকে যেমন পরিবহন খরচ কমবে, অন্যদিকে বাজারে পণ্যের মূল্যও কমে যাবে- এমনটি বলছিলেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান।
দেশের সিংহভাগ কলকারখানা ও তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল শতকরা ৮০ ভাগ আমদানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। বন্দর থেকে খালাস করা কাঁচামাল দ্রুত সময়ে শিল্প কলকারখানায় পৌঁছে গেলে পণ্যের উৎপাদন খরচও কমে যাবে।শিল্প-কলকারখানা প্রসারিত হবে। কৃষিজাত পণ্যের বাজার প্রসারিত হবে। এ অঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য স্বল্প সময়ে় এবং অল্প খরচে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে অধিক মুনাফা পাবে। বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্যকারিতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলের সামগ্রিক যাতায়াত ব্যবস্থা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের আমূল পরিবর্তন হবে। জিডিপি এবং রাজস্ব আয় দুইই বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে সরকার প্রতিবছর ছয় হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকে। পদ্মা সেতুর কারণে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১০ হাজার কেটি টাকায়।
বেনাপোল আামদানি- রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীদের চাওয়া পদ্মা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার মধ্যে দিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ এবং কম সময় লাগার কারণে দেশে অন্যতম বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে আমদানি ও রপ্তানিকারকরা উৎসাহিত হবেন। আমদানি ও রপ্তানিকারকদের আর্থিক সাশ্রয়ও হবে।
ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ জানান, এই সেতু ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। দেশ থেকে রপ্তানি বাড়বে দ্বিগুণ। শুধু ব্যবসা বাণিজ্য নয়, সকল দিকেই পদ্মা সেতুর প্রভাব পড়বে। বেনাপোল বন্দরের হারানো গৌরব ফিরে পাবে বলে প্রত্যাশা তার।
ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের জন্য দূর্গম পথ ছিল ঢাকা। বেনাপোল থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে ৮/১০ ঘন্টা সময় লেগে যেত। প্রতি বছর শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে পদ্মার দু’পাড়ে শত শত যানবাহন এবং হাজার হাজার মানুষের দূর্ভোগ দেখেছি। এ অঞ্চলের মেধাবীরা ঢাকার সংগে উন্নত সড়ক যোগাযোগ না থাকায় ইচ্ছা থাকা সত্বেও ঢাকায় গিয়ে পড়াশুনা করতে পারেনি। বহু রোগী সময় মতো পদ্মা নদী পার হতে না পেরে মৃত্যুবরণ করেছে ফেরি ঘাটেই।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, পদ্মা সেতু ছিল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন। সরকার নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য খুলে যাবে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে দ্রুত ও কম খরচে পণ্য খালাস করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে বাড়বে যাত্রী পারাপার। বর্তমানে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ১০ হাজার যাত্রী ভারতে যাতায়াত করছে। পাদ্মা সেতু চালু হলে যাত্রী পারাপার বাড়বে , সেই সঙ্গে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে এটা খুবই আনন্দের বিষয়। বেনাপোল দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়বে দ্বিগুণ। বেনাপোল দিয়ে রেলপথে মালামাল আমদানি বেড়েছে। পদ্মা সেতু দিয়ে পণ্য খলাসের পর দ্রুত সময়ে রেল যোগে পণ্য পৌঁছে যাবে ব্যবসায়ীদের কাছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়ে দ্বিগুণ হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: ফরিদপুরের অর্থনৈতিক দ্বার উন্মোচিত
পদ্মা সেতু: উদ্বোধনকে ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
পদ্মা সেতুকে ঘিরে মাদারীপুরে উন্নয়নের ছোঁয়া
ব্যবসায়িক গ্রুপ থেকে সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি কিনবে টিসিবি
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বিভিন্ন বেসরকারি ব্যবসায়িক গ্রুপ থেকে এক দশমিক ৯২ কোটি লিটার সয়াবিন তেল, ১৩ হাজার ৫০০ কেজি মসুর ডাল ও ১৫ হাজার কেজি চিনি ক্রয় করবে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী-টিসিবি বসুন্ধরা মাল্টিফুড, সিনহা এডিবল অয়েল, সনসিং এডিবল অয়েল, মেঘনা এডিবল অয়েল, সুপার অয়েল রিফাইনারি ও সিটি এডিবল অয়েল থেকে প্রতি লিটার ২০১ টাকা দরে মোট এক দশমিক ৯২ কোটি লিটার সয়াবিন তেল ক্রয় করবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান বলেন, সরকার সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণ করে আলোচনার মাধ্যমে এসব গ্রুপ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করবে।
তিনি আরও জানান, টিসিবি মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড ও সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে মোট ১২৩ দশমিক ০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি কিনবে।
আরও পড়ুন: মধ্য মে থেকে ভোজ্যতেল ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি শুরু করবে টিসিবি
এক প্যাকেটে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ৮৪ টাকা এবং ৫০ কেজি বস্তায় প্রতি কেজির দাম পড়বে ৮১ টাকা।
টিসিবি এসিআই পিওর ফ্লাওয়ার লিমিটেড, সেনা কল্যাণ সংস্থা, এনএস নির্মাণ, বাংলাদেশ ভোজ্য তেল লি., নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড ও ইজ সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ১৫৮ দশমিক ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয় করবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১১৭ দশমিক ৫ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, সরকার একটি কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারের মধ্যে এসব পণ্য বিতরণ করবে।
মন্ত্রিসভা কমিটি বিভিন্ন দেশ থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার এবং ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএপি সার আমদানির জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির জন্য বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) একটি প্রস্তাব কমিটির অনুমোদন পেয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব আরও জানান,বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে তুলনামূলক কম দামে এই সার আমদানি করতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে টিসিবির পণ্য দোকানে বিক্রি, আটক ২
চট্টগ্রামে গুদাম থেকে টিসিবির পণ্য জব্দ, ৩ ব্যবসায়ী আটক
বাংলাদেশে ব্যবসায়িক সুযোগ খুঁজতে ফিনিশ কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান
ফিনল্যান্ডের ব্যবসায়িক কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে ব্যবসার ‘আকর্ষণীয়’ বিভিন্ন সুবিধা থেকে উপকৃত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রিতভা কোক্কু-রন্ডে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা দুই দেশের মধ্যকার সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা করেন।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা (ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) উভয়েই বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। বিশেষত ব্যবসা ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পদক্ষেপ, এসডিজি, অভিবাসন ও গতিশীলতা, শিক্ষা ও গবেষণা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং ডিজিটাল সহযোগিতার ক্ষেত্রে সম্পর্ক সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
এ সময় দুই পক্ষই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর প্রভাবসহ আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় বিষয়েও মতবিনিময় করে।
আরও পড়ুন: আমরা শুধু চাই জনগণের অবাধ অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অভিবাসন ও গতিশীলতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছার বিষয়েও তিনি রাষ্ট্রদূতকে জানান।
ফিনিশ রাষ্ট্রদূত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া এবং তাদের টেকসই জীবিকা ও শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণে বাংলাদেশের সুপরিচিত ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট বন্দর নির্মাণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ফিনল্যান্ডের জ্বালানি কোম্পানিগুলোর সহযোগিতা সম্পর্ক তৈরির করার আগ্রহের কথাও জানান।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের প্রার্থীতার প্রতি ফিনল্যান্ডের সমর্থন কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে উচ্চশিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং গুরুত্বপূর্ণ খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ফিনল্যান্ডে যাওয়ার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়টিও তারা আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত উচ্চশিক্ষা খাতে আরও সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং শিগগিরই ভিসা জটিলতা কমানোর আশ্বাস দেন। দুই পক্ষই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিবাচক গতি অব্যাহত রাখার বিষয়ে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বর্তমানে বাংলাদেশে একটি দ্বিপক্ষীয় সফরে এসেছেন। সফরকালীন তার বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী ফিনল্যান্ড
ভাসানচর পরিদর্শন করলেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি
বেনাপোল বন্দরে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধ
বেনাপোলে পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফরক্লিপ না থাকায় মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধ ঘোষণা দিয়েছে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি।
রবিবার বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বেনাপোল বন্দর দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর হওয়া সত্ত্বেও এখানে ভারি পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফরক্লিপ নেই। যেগুলো আছে তার মধ্যে কয়েকটা কিছুটা ভালো থাকলেও পণ্য খালাস করতে গিয়ে বার বার নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে এ বন্দরে আমদানিকৃত ভারি পণ্য খালাস করতে দীর্ঘদিন সময় লেগে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি শুরু
তাই আগামী ১৭ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
এছাড়া এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদারকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানালেও তিনি বিষয়টি আমলে নেননি বলে জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, বন্দরে ছয়টি ক্রেন ও ১০টি ফরক্লিপ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি ক্রেন ফরক্লিপ নষ্ট হয়ে গেছে। যা মেরামতের কাজ চলছে। শিগগিরই সমস্যা কেটে যাবে।
বেনাপোল বন্দরে ক্রেন ও ফরক্লিপ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাক বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজের ম্যনেজার মিল্টন বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বর্তমানে অধিক পরিমাণে পিডিপি (বিদ্যুৎ টাওয়ারের মালামাল) অ্যাঙ্গেল আমদানি হচ্ছে। এতে এ টিটিবি অ্যাঙ্গেল ওঠাতে ও নামাতে গিয়ে তাদের বেশ কিছু ক্রেন ও ফরক্লিপের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে। ফলে পণ্য ওঠাতে-নামাতে সমস্যা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে ৪টি শুটার গান উদ্ধার
তিনি জানান, বন্দরের তিনটি ক্রেন ও আটটি ফরক্লিপের মধ্যে সচল আছে। খুব দ্রুত আরও দুটি ক্রেন আনা হবে।
নষ্ট হয়ে যাওয়া ক্রেন ফরক্লিপগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে বলে তিনি জানান।
৬ দিন পর হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
টানা ছয় দিন বন্ধের পর শনিবার থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলা নববর্ষ: হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বাংলাহিলি কাস্টমস সি অ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, ঈদুল ফিতর, মে দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে গত ১- ৬ মে পর্যন্ত ছয় দিন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ ছিল। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়ার মধ্যদিয়ে বন্দরে কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: টানা ৩ দিন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ায় পর থেকে বন্দর সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বলে জানান তিনি।
বাংলা নববর্ষ: হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দিনাজপুরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আনা ও নেয়াসহ সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: টানা ৩ দিন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এ ব্যাপারে বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, পহেলা বৈশাখ সরকারি ছুটি থাকায় দিনটি উদযাপনে দুই দেশেরএই বন্দর দিয়ে পণ্য আনা ও নেয়া এবং বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য লোড-আনলোড কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস: হিলি বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এছাড়া শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণেও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। শনিবার থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।