ব্যবসা
সর্বাধুনিক ফিচারের রেফ্রিজারেটর নিয়ে এলো সিঙ্গার
বাংলাদেশি ক্রেতাদের চাহিদা ও ব্যবহারবিধির কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ দেশের বাজারে নতুন সিরিজের রেফ্রিজারেটর নিয়ে এসেছে সিঙ্গার। এ সিরিজের রেফ্রিজারেটরগুলো দীর্ঘসময় ধরে ফলমূল ও শাক-সবজি সতেজ রাখার পাশাপাশি ভিটামিনও অটুট রাখবে।
প্রতিষ্ঠানটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউরোপিয়ান ডিজাইন ও প্রযুক্তির এ রেফ্রিজারেটরগুলো আধুনিক বাসা-বাড়ির জন্য বেশ উপযোগী; একইসঙ্গে এর উদ্ভাবনী ‘ফ্রেশ-ও-লজি’ও ‘নিউট্রিলক’ ফিচার মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে আরও সহজ ও উন্নত করবে। এ ধরনের উদ্ভাবনী ফিচারসমৃদ্ধ রেফ্রিজারেটরগুলো প্রথমবারের মতো দেশের বাজারে নিয়ে এসেছে সিঙ্গার।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন সিরিজের এ রেফ্রিজারেটরগুলো উন্মোচন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিঙ্গার বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও এমএইচএম ফাইরোজ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্তদের জন্য ভেন্টিলেটর দিল সিঙ্গার ও আর্চেলিক
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং ডিরেক্টর চন্দনা সামারাসিংহে, সেলস ডিরেক্টর কাজী রফিকুল ইসলাম, ডিরেক্টর- টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন হাকান আলতিনিসিক, জেনারেল ম্যানেজার- কর্পোরেট সেলস আসগার হোসেন, সিনিয়র ম্যানেজার প্রোডাক্ট ফারহান আজহারসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কমকর্তারা।
খুলনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মঘটের ডাক জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের
জ্বালানি তেলের ওপর সাড়ে সাত শতাংশ কমিশন বৃদ্ধিসহ ৬ দফা দাবিতে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলনা ও ফরিদপুরের ১৫ জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে খুলনা জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ট্যাংকলরি মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
ধর্মঘট চলাকালে ট্যাংকলরি চলাচল বন্ধ রেখে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তিনটি তেল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রাখা হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী, রংপুর ও খুলনায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ
ব্যবসায়ীদের অন্য দাবিগুলো হলো, সেলস কমিশন ঘোষণার গেজেট আকারে প্রকাশ, মালিক কর্তৃক প্রিমিয়াম পরিশোধ স্বাপেক্ষে ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল এবং জ্বালানি ডিপোতে ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রামাগার নির্মাণ।
আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত পলিথিন পুড়িয়ে জ্বালানি তেলসহ এলপি গ্যাস উদ্ভাবন
বেনাপোল কাস্টমসে ৬ মাসে ৫০৯ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৫০৯ কোটি টাকা রাজস্ব কম আদায় হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা, সেখানে আদায় করা হয়েছে এক হাজার ৯৯১ কোটি টাকা।
২০১৯-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের চেয়ে একশ এক কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে। ওই সময়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা।
একই সময়ে পণ্য আমদানি হয়েছে ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন। আর রপ্তানি হয়েছে দুই লাখ ৭৬ হাজার তিন মেট্রিক টন। গত বছরের চেয়ে আমদানি কিছুটা কমলেও রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। তবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি হয়েছিল ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৩২ মেট্রিক টন এবং রপ্তানি হয়েছিল এক লাখ ৭৬ হাজার ২৯৬ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন: সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না ৩১ লাখ টাকার সেতু
এর জন্য সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য সম্পাদনে অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় এবং ভারতে পার্কিং ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের হয়রানিসহ আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তের কারণে ব্যবসায়ীরা এই বন্দর ছেড়ে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্র জানায়, চলতি বছর আমদানি পণ্য থেকে ছয় হাজার ২৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ছয় হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থবছর শেষে আদায় হয়েছিল চার হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। বছরটিতে রাজস্ব আয়ের গ্রোথ অন্যান্য সময়ের চাইতে বেশি হলেও দুই হাজার ৫৭ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল।
এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঘাটতি ছিল তিন হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঘাটতি এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ তে ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ঘাটতি।
অপরদিকে চলতি বছরে এত বড় অংকের লক্ষ্যমাত্রা আদায় নিয়ে সব মহলে সংশয় রয়েছে। তারা বলছেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাস্টমস ও বন্দরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। তা না হলে কখনও এত বড় অংকের রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: ইঁদুরের গর্তে দু-মুঠো খেয়ে বাঁচার স্বপ্ন!
সংশ্লিষ্টরা বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের এ পথে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। তবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় ব্যবসায়ী চাহিদা মত পণ্য আমদানি করতে পারেন না। এতেই বার বার রাজস্ব আয়ে ধস নামছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জানান, চলতি অর্থবছরে এত বড় অংকের রাজস্ব আদায় কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ একদিকে করোনা পরিস্থিতি ও অন্য দিকে সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য সম্পাদনে অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেকবার বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করেছেন। আবার ভারতের কালিতলায় অবৈধভাবে পার্কিংয়ের নামে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের হয়রানিসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যেকারণে অনেক ব্যবসায়ী এই বন্দর ছেড়ে চলে গেছে।
তবে বেনাপোল বন্দর উন্নয়ন ভারতে হয়রানি বন্ধ হলে এই বন্দর থেকে লক্ষ্য মাত্রার দ্বিগুণ রাজস্ব আয় কাস্টমসের পক্ষ্যে সম্ভব।
আমদানিকারক মামুন বাবু বলেন, ভারতের কালিতলায় পার্কিংয়ের নামে আমদানি পণ্যবোঝাই ট্রাক থেকে মোট অংকের চাঁদাবাজি করছে। চাঁদাবাজির পরও এসব ট্রাক দেশে প্রবেশে করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগছে। প্রতিদিন ট্রাক প্রতি দুই হাজার রুপি দিতে হয়। তাই বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি কমিয়ে অন্য বন্দরে যেতে বাধ্য হচ্ছি।
আরও পড়ুন: বাঁশের সাঁকোই ৩০ হাজার মানুষের ভরসা
তিনি বলেন, বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্তোষজনক নয়। আমদানিকারকদের নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে বন্দরে পণ্য পাহাড়া দিতে হয়। বন্দর থেকে পণ্য চুরি, বারবার রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডে অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যবসা বন্ধ করেছেন অনেকেই। গত ৯ বছর ধরে আমদানি পণ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চাহিদা মত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্র পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, ব্যবসায়ীরা যেখানে সুবিধা পাবেন সেখানেই আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্যে আগ্রহী হবেন এটাই স্বাভাবিক। চট্টগ্রাম বন্দরে অনেক সুবিধা বিদ্যমান তাই ব্যবসায়ী দিন দিন সে পথে আমদানিতে ঝুঁকছেন। বেনাপোল বন্দর দিয়ে রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কাস্টমস ও বন্দরে বৈধ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, শুধুমাত্র ভারতের কালিতলায় অবৈধভাবে আমদানিবাহী গাড়ি আটকিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হচ্ছে। তাছাড়া গত আড়াই মাস বেনাপোল বন্দর দিয়ে সোয়াবিন এক্সট্রাক্ট রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় আমদানি কমে গেছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে এবার মিলল সাড়ে ছয়শ’ বছর আগের তৈজসপত্র!
তিনি বলেন, বেনাপোল বন্দরে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় বাণিজ্য সম্প্রসারণ হচ্ছে না। এতে কয়েক বছর ধরে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। তারপরও চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে আমরা গত বছরের চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করেছি। প্রবৃদ্ধির হারও বেশি।
পরিচয়পত্র জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে ২য় দিনের মতো আমদানি বন্ধ
ভারতের পেট্রাপোলে পরিচয়পত্র নিয়ে জটিলতায় দ্বিতীয় দিনের মতো বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত আমদানি বন্ধ ছিল।
এর আগে একই দাবিতে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। নানা সমস্যায় দু‘দিন পর পর এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: এক মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বুদ্ধদেব বিশ্বাস বলেন, এতদিন আমরা সংগঠনের পরিচয়পত্র নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানির কাজ করে আসছিলাম। হঠাৎ করে গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিএসএফ থেকে বলা হয় ভারতীয় কাস্টমস, বন্দর, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ও ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ স্বাক্ষরের পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এ কারণে শনিবার আট ঘণ্টা রপ্তানি বন্ধ থাকে। পরে এক বৈঠকে আলোচনার পর আবারও বাণিজ্য চালু হয়। তারা আমাদের সোমবার পর্যন্ত সময় দেয়। কিন্তু দু’দিনের মধ্যে চারটি সংস্থা থেকে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করাও কঠিন। এ কারণে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে পেট্রাপোল বন্দরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিএসএফ সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেয় পরিচয় ছাড়া কোনো ভারতীয় ট্রান্সপোর্ট ও সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা বন্দরে প্রবেশ করবে না। এতে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা বিঘ্ন ঘটায় শনিবার আট ঘণ্টা ভারত থেকে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের সমঝোতা বৈঠক শেষে বিকাল ৪টার দিকে আবারও বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: রাজস্ব ফাঁকি রোধে বেনাপোল বন্দরে কঠোর অবস্থান কাস্টমস কর্তৃপক্ষের
তিনি জানান, সোমবার আবারও একই দাবিতে আমদানি বন্ধ করে দেয় ভারতীয় ট্রান্সপোর্ট শ্রমিকরা যা মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে এখনও বলবৎ রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার বলেন, ‘এটা ভারতের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এরপরও আমদানি-রপ্তানি সচল রাখতে আমরা পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি।’
তুলাবোঝাই ট্রাকে কীটনাশক, ৭ কোটি টাকার চালান আটক
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত তুলাবোঝাই ট্রাকে কীটনাশকসহ অন্যান্য চোরাই পণ্য আমদানির অভিযোগে ৭ কোটি টাকা মূল্যের একটি ‘র কটোনের’চালান আটক করা হয়েছে।
বন্দরের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনাল থেকে রবিবার রাতে পণ্য চালানটি আটক করে কাস্টমস কর্মকর্তারা।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড ভারত থেকে তুলা আমদানি করেন। পণ্যচালানটি ১৭টি ট্রাকে করে আমদানি করা হয়। যার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার রোটাস ড্রেসইসফাস কোম্পানি লিমিটেড। পণ্যচালানটি বন্দরে প্রবেশের পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কমিশনার আ. আজিজের নির্দেশে ডাক্লুবি ৫১-৫৪৩৮ নাম্বারের ভারতীয় ট্রাকটি আটক করেন যুগ্ম কমিশনার-১ আব্দুর রশিদ মিয়া।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন কড়াকড়িতে বেনাপোলে যাত্রী যাতায়াত কমেছে
পরে পণ্যচালানটি আইআরএমের ডেপুটি কমিশনার অনুপম চাকমার নেতৃত্বে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে ঘোষণা বহির্ভুত কীটনাশক, তামাক ও সবজির বীজ পাওয়া যায়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমনা সজন জানান, একটি বহিরাগত চোরাচালানী চক্র ভারতীয় তুলোর ট্রাকে এসব পণ্য তুলে দিয়েছে। মালের মধ্যে মিথ্যা ঘোষণার কোন পণ্য পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেছে ভারতীয় ট্রাকের মধ্যে। এ দায় দায়িত্ব কেবল ভারতীয় ট্রাক চালাককেই নিতে হবে। এ ঘটনায় আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কোনভাবেই জড়িত নয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১২০ মেট্রিক টন বিস্ফোরক আমদানি
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জনান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বৈধ আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে কাস্টমস সব সময় ট্রেড ফেসিলিটিশন নীতি অবলম্বন করে আসছে। কিন্ত অবৈধ আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাজ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় কাস্টমস একটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে। দি কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং রুলস ২০০২ অনুযায়ী লাইসেন্সটি সময়িক বাতিল করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
রপ্তানি বাড়াতে চায় এক্সপো ফোম
এক্সপো ফোম আগামী দিনে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি বাড়াতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদ চৌধুরী।
শুক্রবার (১৬ জানুয়ারি) কক্সবাজারে এক্সপো গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এক্সপো ফোমে'র বার্ষিক সেলস কনফারেন্সে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কনফারেন্সে গ্রুপের চেয়ারম্যান তানিয়া সুলতানা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদ চৌধুরী এফসিএমএ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় গ্রুপের চেয়ারম্যান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এক্সপো ফোমের উৎপাদন ও বিপণন সফলতায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন: বড়দিন: বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদ চৌধুরী বলেন, বার্ষিক সেলস কনফারেন্সে এক্সপো ফোমের বিক্রয় সাফল্যের জন্য কর্মীদের উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি আগামী দিনে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এক্সপো গ্রুপের ব্যবসা প্রসার ঘটাবে।
কনফারেন্স শেষে এক্সপো ফোর কারখানায় উৎপাদন কাজে সফলতার জন্য অন্তর শেখকে শ্রেষ্ঠ কারখানা কর্মী, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের জুনিয়র অফিসার সাইদুর রহমানকে প্রধান কার্যালয়ের শ্রেষ্ঠ কর্মী ও মার্কেটিং শেখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার অন্যমন ভূঁইয়াকে বিপণন শাখায় শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়াও এক্সপ্রো ফোম ও এক্সপো গ্রুপের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: গুলশানের পুলিশ প্লাজায় ভাইব্রেন্টের নতুন শাখা উদ্বোধন
এক্সপো গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মধ্যে আরও রয়েছে, রাঙামাটি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড, এক্সপো সিন্থেটিক লেদার লিমিটেড, এক্সপো হাইট ক্রাফট লিমিটেড, এক্সপো মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশন্স লিমিটেড।
শেরপুরে আগুনে পুড়লো ২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
শেরপুরে আগুনে পুড়ে গেছে সদর উপজলার কুসুমহাটি বাজারের ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রবিবার (২ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। সংবাদ পেয়ে দমকল বিভাগ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডের সঠিক কারণ জানা না গেলেও বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছে দমকল বিভাগ। এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আনুমানিক কোটি টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
শেরপুর দমকল বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন তারেক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাতের প্রমাণ মিলেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লছমনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই জানান, কুসুমহাটি বাজারটি একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। যুগ যুগ ধরে এখানে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু রবিবার দিনটি আমাদের জন্য কষ্টের। ভোর ৬টার দিকে আগুনে পুড়ে গেছে ২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যেখানে ছোট বড় ২০ জন ব্যবসায়ী একদম পথে বসে গেছেন।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধা নিহত
আগুনে ভস্মীভূত সাদিয়া কসমেটিকস দোকানের স্বত্তাধিকারী সুজন মিয়া জানান, গতরাতেও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মালামাল ঢুকেছে। তার মোট তিনটি গোডাউনে কসমেটিকস, প্লাস্টিক ও সুতার আইটেম ছিল। আগুন তার সব শেষ করে দিয়েছে।
ঝর্ণা চাল আড়তের মালিক হযরত মিয়া বলেন, ভাই আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমার পরিবারের খরচ কী দিয়ে চালাব। আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আতপসহ নানা ধরনের চাল ছিল। আগুনে সব পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। আগুনে এখানকার ২০টি দোকানের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ সিআইডির
চলন্ত লঞ্চে আগুন: নিহতদের ৫০ লাখ ও দগ্ধদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে রিট
এলডিসি পরবর্তী সময়ের জন্য বাংলাদেশের এখনই প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন: প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি
এলডিসিতে উত্তরণকে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ও একটি অসাধারণ কৃতিত্ব হিসেবে উল্লেখ করে সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশনের (এসডিসি) মহাপরিচালক প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি বলেছেন, বাংলাদেশের এখন এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন, কারণ পূর্বে বিদ্যমান নির্দিষ্ট কিছু বাজারে এখন তাদের প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
১৯৯৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ক্রীড়াবিদ হিসাবে সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী ড্যানজি ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই অগ্রযাত্রাটা হতে হবে মসৃণ, স্থায়িত্ব ও অন্তর্ভুক্তিমূলক, যাতে করে কেউ পিছিয়ে না পড়ে।
এসময় তিনি বাজারের ব্যাপারে পূর্বানুমানের সক্ষমতা বাড়ানো এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন কাঠামোগত সংস্কারের ওপর জোর দেন।
ড্যানজি বলেন, বর্তমানে করোনার কারণে সৃষ্ট নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে গোটা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে। এর ফলে দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, বৈশ্বিক অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং বৈষম্য আরও বেড়েছে।
তিনি বলেন, এই দুরবস্থায় আমরা আমাদের নতুন সহযোগিতা কর্মসূচির আওতায় দারিদ্র্য নিরসন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব।
ভবিষ্যতের কথা বলতে গিয়ে ড্যানজি বলেন, সুইজারল্যান্ড তার উন্নয়ন যাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদারিত্ব’ অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, আমার সফরে আমি এই দেশে অনেকগুলো ইতিবাচক বিষয় দেখেছি, যেগুলোর ফলে সুইজারল্যান্ড এই দেশের সঙ্গে কাজ করা এবং সে সংক্রান্ত ভবিষ্যত আলোচনা ও মতবিনিময়ে আগ্রহী করবে।
এসডিসি মহাপরিচালক বলেন, এই সমস্ত উপাদান কেন্দ্রীয় এবং তারা এটি তৈরি করতে চাইবে। তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন একসঙ্গে এই পরবর্তী পদক্ষেপ নেই এবং সবার জন্য একটি সমৃদ্ধ ও স্থায়িত্বমূলক ভবিষ্যত তৈরিতে কাজ করি।
জলবায়ু পরিবর্তনকে আরেকটি মৌলিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থার অর্থায়নের জন্য সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে।
ড্যানজি বলেন, গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক কপ২৬ সম্মেলনে আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল টেকসই ও স্বচ্ছ জলবায়ু অর্থায়ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১১ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করবে সুইজারল্যান্ড
বড়দিন: বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দরে সারাদিন বাণিজ্য বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও স্থবির বেনাপোল বন্দর
বেনাপোল সি অ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে শনিবার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর রবিবার থেকে দু’দেশের মধ্যে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চালু হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু
বড়দিন উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য উঠা নামাসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এই কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দরে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বাংলাদেশ বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, শনিবার বিশ্বে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব ক্রিসমাস ডে উদযাপিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীরা আজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি, বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য উঠা-নামাসহ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
রবিবার থেকে পুনরায় বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঈদে মিলাদুন্নবী: হিলিতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ