দুর্নীতি
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ জানতে চায় জ্বালানি খাতে বছরে কত হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে কারা জড়িত?’
রাজধানীর মিরপুর এলাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা রোডের ঈদগাহ মাঠে জাতীয় পার্টির মিরপুর ও শাহ আলী থানা ইউনিটের কাউন্সিলে বক্তব্যে জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
তিনি জানান, যারা প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন তাদের তালিকাও তারা জানতে চান। অর্থ পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
গত বছর বাংলাদেশ থেকে সুইস ব্যাংকে চার লাখ কোটি টাকা জমা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। অর্থ পাচারকারীদের তথ্য প্রকাশ না করে সরকার নিজেকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে।
সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের পক্ষ নেয়ার অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ মনে করে বর্তমান সরকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বাঁচাতে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করছে না।
ড. জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি দেশের স্বার্থের কথা বললে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা এর মধ্যে ষড়যন্ত্র খোঁজেন।
দেশ শ্রীলঙ্কার মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র হতে চলেছে বলে মন্তব্য করে তিনি নেতা বলেন, আমাদের বোকা বলা হচ্ছে। কিন্তু কেন সারা দেশে এখন লোডশেডিং হচ্ছে? ডলারের দাম কেন এত বেড়েছে? জ্বালানির দাম এত বেড়েছে কেন?
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
জনদুর্ভোগ নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তা করে না: জিএম কাদের
ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে: জিএম কাদের
বিপিসির দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির দরকার হতো না: সিপিডি
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) দুর্নীতি, চুরি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থাটির দক্ষতা বৃদ্ধি করে সরকার জ্বালানির নজিরহীন মূল্যবৃদ্ধি এড়াতে পারত বলে দাবি করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই পর্যবেক্ষণ দেয় থিংক ট্যাংকটি।
সিপিডির মতে, বাংলাদেশে প্রতি লিটার অকটেনের দাম প্রতিবেশী ভারতের দামের তুলনায় ১০ টাকা বেশি এবং ডিজেলের দাম ২ টাকা বেশি।
বৈশ্বিক আরএমজি বাজারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের তুলনায় অকটেনের দাম ২৯ টাকা এবং ডিজেলের দাম ১৬ টাকা বেশি।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
এটি সরকারকে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এই বৃদ্ধি অর্থনীতিতে বহুগুণ প্রভাব ফেলবে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খায়রুন বলেন, ‘জ্বালানির দাম বৃদ্ধি বর্তমান সাড়ে সাত শতাংশ মূল্যস্ফীতিকে আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাবে।’
‘এখন কি নজিরহীন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এড়ানো যায়’ শীর্ষক একটি উপস্থাপনা করেছেন তিনি।
লোডশেডিংয়ের পেছনে সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি, লুটপাট: বিএনপি
সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে দেশবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশের এখন প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এখন কেন লোডশেডিং হচ্ছে? এর পেছনের কারণ হলো মেগা দুর্নীতি ও চুরি।’
এক জনসভায় বক্তৃতাকালে তিনি অভিযোগ করেন যে সরকার কুইক-রেন্টাল এবং অন্যান্য পাওয়ার প্ল্যান্টের সঙ্গে এই জাতীয় চুক্তি স্বাক্ষর করার পর থেকে ১০টি কোম্পানিকে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসাবে হাজার হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে যদিও তারা কোনও বিদ্যুৎ উৎপাদন করেনি।
চলমান লোডশেডিং, জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানি-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পদত্যাগ করলে আপনাদের সঙ্গে চা খাব: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
ফখরুল বলেন, অফশোর গ্যাস অনুসন্ধানে জনগণের কাছ থেকে সারচার্জ নিয়ে একটি তহবিল তৈরি করা হয়েছে। এটা উদ্বেগজনক যে সরকার এই তহবিল থেকে গ্যাস কিনতে (বিদেশ থেকে) প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। ‘এটি আরেকটি প্রতারণা ও ডাকাতি।’
তিনি অভিযোগ করেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে এলএনজি ও এলপিজি গ্যাস আমদানি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ীরা। এভাবে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
চলমান লোডশেডিং, জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানি-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি।
ফখরুল বলেন, ‘অফশোর গ্যাস অনুসন্ধানে জনগণের কাছ থেকে সারচার্জ নিয়ে একটি তহবিল তৈরি করা হয়েছে। এটা উদ্বেগজনক যে সরকার এই তহবিল থেকে গ্যাস কিনতে (বিদেশ থেকে) প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। এটি আরেকটি প্রতারণা এবং ডাকাতি।’
তিনি অভিযোগ করেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে এলএনজি ও এলপিজি গ্যাস আমদানি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ীরা। এভাবে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সড়কে নৈরাজ্যের জন্য সরকারের সমালোচনা বিএনপির
মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার কম জনসংখ্যা দেখাচ্ছে: ফখরুল
আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার মেগা প্রকল্পে ‘মেগা’ দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে অন্ধকার এক খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ জীবিকার সব উপায় হারিয়ে ফেলেছে। দেশের অর্থনীতির প্রতিটি সূচক এখন নিম্নগামী।’
সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতিতে দেশ ভরে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লুটপাট, মানি লন্ডারিং, হত্যা ও দুর্নীতির গল্প এখন মানুষের মুখে মুখে।
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশের আর্থিক খাত লুণ্ঠনে সবসময় (লুটেরাদের) সহযোগিতা করেছে। কারণ লুটপাটের মূল হোতারা সবাই সরকারের এজেন্ট...বাংলাদেশকে দেউলিয়া করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: লোডশেডিং সরকারের ভুল নীতির ফল: বিএনপি
ফেনী জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিমকে ‘মিথ্যা’ মামলায় কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানিয়ে এ বিবৃতি দেয়া হয়।
বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইল থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে ফেনীর বাসায় নিয়ে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিএনপি নেতা বলেন, জসিমকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকতে এবং তার দুঃশাসন অব্যাহত রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই তারা দমন-পীড়নের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে।’
তিনি বলেন, দেশের জনগণকে শত্রু মনে করে ক্ষমতাসীন দল সব মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে। ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখন আওয়ামী কারাগারে বন্দী। নাৎসি শাসনের বিষাক্ত দখলে মানুষের জীবন বিপন্ন এবং সবাই জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিরোধী দলের অস্তিত্ব সরকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘তাই তাদের এখন একমাত্র কর্মসূচি পরিকল্পিত ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তারের জন্য মিথ্যা মামলা করা। সরকার নির্লজ্জভাবে প্রশাসন ও পুলিশকে ব্যবহার করে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’
ফখরুল বলেন, সরকারের সেই ‘অশুভ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জসিমকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জসিমের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ইসিই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না: বিএনপি
সরকার পতনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: আব্বাস
পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টিকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠন
পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৬৫ (৩ ধারা) অনুসারে মঙ্গলবার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক মাসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে দুই মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার জন্যও বলেছেন আদালত।
কেবিনেট সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুদকের চেয়ারম্যান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: খুলনার পর্যটন শিল্পের দুয়ার উন্মোচন
পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাবে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের বিচার দাবি: আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরদিন ওই প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের কথা উল্লেখ করে এ রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ (৩ ধারা)’ অনুসারে কমিশন গঠন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র, আইন ও যোগাযোগ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান এবং আইজিপিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পাশাপাশি এ কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয় ২০৫৭ সালের মধ্যে পরিশোধ করা হবে: ওবায়দুল কাদের
পরে ওই বছরের ২০ মার্চ রুলের জবাব ও প্রতিবেদন দিতে আট সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে একই বছরের ০৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে কয়েক দফা সময়ের আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।
এর মধ্যে কমিশন গঠনের জন্য ২০১৭ সালের ০৯ নভেম্বর একজন সদস্যের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। তিনি হলেন পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কারিগরি) মো. কামরুজ্জামান। পরবর্তীতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন হওয়ার রুলটি আর শুনানিতে উঠেনি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: প্রথম দিনে ২ কোটি টাকার বেশি টোল আদায়
পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ, বিরোধীরা জাতির শত্রু: হাইকোর্ট
পদ্মা সেতুকে জাতীয় সম্পদ উল্লেখ করে যারা এ ধরনের জাতীয় স্বার্থ ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে থাকেন তাদের চিহ্নিত করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন প্রশ্নে জারি করা রুল কার্যতালিকায় আসলে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
হাইকোর্ট বলেছেন, পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটা আমাদের অহংকার। এ ধরনের জাতীয় স্বার্থ ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে যারা থাকেন, তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু, তাদের চিহ্নিত করা দরকার।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: প্রথম দিনে ২ কোটি টাকার বেশি টোল আদায়
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আদালত ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করার কমিশন গঠনের বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য মঙ্গলবার (২৮ জুন) দিন রেখেছেন।
দৈনিক ইনকিলাবে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের বিচার দাবি: আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরদিন ওই প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের কথা উল্লেখ করে এ রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ (৩ ধারা)’ অনুসারে কমিশন গঠন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র, আইন ও যোগাযোগ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান এবং আইজিপিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পাশাপাশি এ কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ২ জনের মৃত্যু
পরে ওই বছরের ২০ মার্চ রুলের জবাব ও প্রতিবেদন দিতে আট সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে একই বছরের ০৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে কয়েক দফা সময়ের আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।
এর মধ্যে কমিশন গঠনের জন্য ২০১৭ সালের ০৯ নভেম্বর একজন সদস্যের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। তিনি হলেন পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কারিগরি) মো. কামরুজ্জামান। পরবর্তীতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন হওয়ার রুলটি আর শুনানিতে উঠেনি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ
চেম্বার আদালতে জামিন পাননি হাজী সেলিম, ১ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে জামিন দেননি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত। তবে তার আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ১ আগস্ট দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে হাজী সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
তিনি জানান, আমরা জামিন আবেদনটি মুভ করেছিলাম। চেম্বার বিচারপতি জামিন দেননি। জামিন আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ১ আগস্ট দিন ধার্য করে দিয়েছেন।
এর আগে গত ২২ মে হাইকোর্টের আদেশে হাজী সেলিম বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর বর্তমানে কারাগারে আছেন। গত ২৪ মে হাইকোর্টে বহাল থাকা ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করেন সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিম। আপিলে ১০ বছরের সাজা থেকে খালাস চান তিনি। একইসঙ্গে তিনি একটি জামিন আবেদনও দাখিল করেন।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে বিচারিক আদালত দুদক আইনের দুটি ধারায় হাজী সেলিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। এছাড়া এই অবৈধ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে তার স্ত্রী গুলশান আরা সহযোগিতা করেছেন-এমন অপরাধে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া তাদেরকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রায় ২৬ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ রাষ্ট্রের অনুক‚লে বাজেয়াপ্ত করেন আদালত।
পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাদের সাজার রায় বাতিল ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ হাইকোর্টকে তাদের আপিলের ওপর পুন:শুনানির নির্দেশ দেন।
এরই মধ্যে ২০২০ সালের বছরের ৩০ নভেম্বর মারা যান হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা। এছাড়া এ মামলায় হাজী সেলিম জামিনে ছিলেন। আপিল বিভাগের নির্দেশের দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর পর দুদক হাজী সেলিমের আপিল দ্রুত শুনানির জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে। এরপর পুন:শুনানি করে গত বছরের ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেন। গত ২৫ এপ্রিল ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বিচারিক আাদালতে পৌঁছায়। এরপর ২২ মে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন হাজী সেলিম।
পড়ুন: দণ্ড বাতিল চেয়ে হাজী সেলিমের আপিল
হাজী সেলিম কারাগার থেকে হাসপাতালে
ইতিহাসে জিয়া খুনি ও বিশ্বাসঘাতক: তথ্যমন্ত্রী
জিয়াউর রহমান ইতিহাসের পাতায় একজন খুনি এবং বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছিল জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দুর্নীতি, লুটপাটের অর্থনীতি চালু করেছিল জিয়াউর রহমান। আর জিয়াউর রহমান ছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব। শুধু তাই নয় জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতাকে নিষ্কন্টক করার জন্য সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার এবং জওয়ানকে হত্যা করেছে। তাই জিয়াউর রহমান ইতিহাসের পাতায় একজন খুনী এবং বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই থাকবে।’
মঙ্গলবার (৩১ মে) রাজধানী শিল্পকলা একাডেমীতে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্টস এসোসিয়েশন ও শিল্পকলা একাডেমীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সম্মাননা ২০২২’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ উসকানি দেয়নি, দিয়েছে ছাত্রদল: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসতে পারে সেজন্যই বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার করেনি।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ছিল, কিন্তু লক্ষ্য করবেন বিএনপি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার করেনি। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, এর পরে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেও দুই দফা ক্ষমতায় ছিল কিন্তু জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার করে নাই।’
এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় ড. হাছান বলেন, একটি ছবি হাজারো শব্দের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। ফটোসাংবাদিকরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন, অনেকে একটি ছবির জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করেন। আমি আশা করবো, আজকে যে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে গেছে, করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে, আকাশ থেকেও কুঁড়ে ঘর দেখা যায় না, খালি পায়ে মানুষ নেই। মানুষকে সত্য জানানোর জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের এই চিত্রগুলোও আপনাদের আলোকচিত্রে উঠে আসা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হওয়ার পর ড. ইউনুসদের মুখে কথা নেই: তথ্যমন্ত্রী
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে একাডেমির পরিচালক (চারুকলা) মিনি করিম, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মঈন উদ্দীন আহমদ বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের একশ’ ছবি এবং দেশের প্রকৃতির একশ’ ছবি নিয়ে সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা, শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার তিন নম্বর গ্যালারিতে সকলের জন্য উন্মুক্ত।
আরও পড়ুন: বিএনপির মুখে অর্থ পাচার নিয়ে কথা মানায় না: তথ্যমন্ত্রী
হাজী সেলিম কারাগার থেকে হাসপাতালে
দুর্নীতির দায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে কারাগার থেকে সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, হাজী সেলিম বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতের নির্দেশে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে বিএসএমএমইউতে নেয়া হয়।
এর আগে রবিবার ঢাকার একটি বিচারিক আদালত হাজী সেলিমকে দুর্নীতির মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।
আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিশেষ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জামিন আবেদন নামঞ্জুর: কারাগারে হাজী সেলিম
১০ ফেব্রুয়ারি তার ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ পাঠ্য প্রকাশিত হয়।
রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে ট্রায়াল কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে হাইকোর্ট।
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী গুলশান আরার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এই রায়ের পর সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাজী সেলিম এমপি থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলা: আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন হাজী সেলিম
আইন মেনে দেশে ফিরেছেন হাজী সেলিম: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নর্থ সাউথের জমি ক্রয়ে দুর্নীতি: চার ট্রাস্টির জামিন আবেদন খারিজ
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টির আগাম জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদেরকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যে চার ট্রাস্টিকে পুলিশের হাতে দেয়া হয়েছে তারা হলেন- রেহানা রহমান, এম এ কাশেম, মোহাম্মদ শাহজাহান ও বেনজীর আহমেদ। শাহবাগ থানা পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব আসামিকে বিচারিক আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগাম জামিন নিতে হাজির হলে তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জামিন আবেদন নামঞ্জুর: কারাগারে হাজী সেলিম
আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, আইনজীবী ফিদা এম কামাল, আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও আইনজীবী মিজান সাঈদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান।
পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, চার আসামি আগাম জামিন নিতে এসেছিল হাইকোর্টে। তাদের জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে তাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকায় এ মামলা করেন বলে কমিশনের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান জানান। জামিন আবেদনকারী চারজন ছাড়া মামলার বাকি দুই আসামি হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় সাবেক ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন খারিজ
এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আসামিরা অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য ওই অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।’ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর