টিকা
৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের টিকার অনুমোদন কানাডার
কানাডার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ব্যবহারের জন্য কোভিড-১৯ এর ফাইজারের টিকার অনুমোদন দিয়েছে।
শুক্রবার দেশটির ফেডারেল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের অনুমোদিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তথ্য আপডেট করেছে।
এতে বলা হয়েছে, ছয় মাস থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের শরীরে এই টিকা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে।
আরও পড়ুন:৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজারের বুস্টার ডোজ দেয়ার আহ্বান সিডিসির
এর আগে শিশুদের শরীরে টিকার কার্যকারিতা ও ঝুঁকি নিয়ে পর্যালোচনা চলছিল। বলা হচ্ছে তিন ডোজের টিকা সিরিজের প্রথম দুটি ডোজ তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দেয়া হবে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কমপক্ষে আট সপ্তাহ পরে তৃতীয় ডোজ দেয়া হবে।
গত জুলাই মাসে কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ মডার্না স্পাইকভ্যাক্সকে অনুমোদন করে। ফলে ফাইজার হবে এই বয়সী শিশুদের জন্য অনুমোদিত দ্বিতীয় টিকা।
গত সপ্তাহে কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ মডার্না স্পাইকভ্যাক্স কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের একটি সংমিশ্রিত একটি সংস্করণ অনুমোদন দিয়েছে। যা দ্বি-জাতীয় টিকা হিসেবে পরিচিত। এই টিকা ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে বুস্টার ডোজ হিসেবে মূল সার্স-কোভ-২ ভাইরাস ও ওমিক্রন (বিএ.১) ভেরিয়েন্ট উভয়ের বিরুদ্ধেই সুরক্ষা দেয়।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ৪০ লাখ টিকা দিল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ১ কোটি টিকা দিল যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে এইচআইভি আক্রান্ত পুরুষদের মাঙ্কিপক্স টিকা দেয়া হতে পারে
মার্কিন কর্মকর্তারা এইচআইভি আক্রান্ত অনেক পুরুষ বা যারা সম্প্রতি অন্যান্য যৌন রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে মাঙ্কিপক্সের টিকা নেয়ার সুপারিশের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়েও অধিকহারে অন্যান্য যৌন সংক্রমণে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ঘটছে।
দেশটির সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. জন টি. ব্রুকস মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাব প্রতিক্রিয়ায় এই সমীক্ষাটিকে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে দেখছেন।
ব্রুকস বৃহস্পতিবার এপিকে বলেন, তিনি ভ্যাকসিনের সুপারিশগুলোর পরিধি বাড়ানো হবে বলে আশা করেছিলেন এবং হোয়াইট হাউস সিডিসি’র সঙ্গে একত্রে এটির বিষয়ে একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
বর্তমানে সিডিসি এমন ব্যক্তিদের টিকা দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে যাদের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে, যাদের যৌন সঙ্গী গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে এবং সমকামী বা উভকামী পুরুষ; যাদের ভাইরাস সংক্রমিত এলাকায় গত দুই সপ্তাহে একাধিক যৌন সঙ্গী ছিল।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স: ওয়াশিংটনের কিং কাউন্টিতে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা
উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদেরও টিকা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের শেষের দিকে চারটি রাজ্য ও চারটি শহরে প্রায় দুই হাজার মাঙ্কিপক্সের ঘটনা দেখা গেছে।
প্রতিবেদনটিতে আরও দেখা যায়, মাঙ্কিপক্স সংক্রমণে আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮ শতাংশ এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বরিশালে ২০ হাজার শিশুকে করোনার টিকা দেয়া হবে
বরিশালে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সের ২০ হাজার ৫১৮ জন শিশু শিক্ষার্থীকে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২ টায় নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর তিলক কলাডেমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বসিক) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
মেয়র জানান, আমি বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকার শিশুদের সুষ্ঠুভাবে করোনা টিকাদানের দায়িত্ব নিয়েছি। আশাকরি এ কাজ ১৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এজন্য নগরে ১০ টি আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে, যারা প্রতিদিন ১০-১১ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘুরে ঘুরে টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
আরও পড়ুন: পাঁচ বছর বয়সীদের করোনার টিকা শিগগিরই
তিনি জানান, নগরের ৭৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কিন্ডারগার্ডেন ও মাদ্রাসাসহ ২৫০ টির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০ হাজার ৫১৮ জন শিশু শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ থেকে এ কার্যক্রম শুরু হলো। এছাড়া প্রথম দিন চারটি ওয়ার্ডের (২৭, ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর) ১১টি স্কুল কেন্দ্রে টিকা প্রদান কার্যক্রম চলে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সকল শিশুকে টিকা দেয়া হবে। এছাড়া এদিকে টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন পর প্রথম আধা ঘন্টার মধ্যে কোন শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান, বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মো. ফারুক আহম্মেদ, বরিশাল জেলার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান, বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, রফিকুল ইসলাম খোকন বরিশাল, সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মঞ্জুরুল ইসলাম শুভ্র প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেয়া শুরু
বাংলাদেশে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শিশুকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে
৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেয়া শুরু
সারাদেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের ১৮৬টি কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আগামী ১৪ দিন প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলবে এ টিকাদান কার্যক্রম।
সকাল ৯টায় রাজধানীর নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১২টি সিটি কর্পোরেশনের ১৮৬টি কেন্দ্রে শিশুদের জন্য ফাইজার টিকা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনে ২১টি কেন্দ্রে শিশুদের টিকা দেয়া হবে। একই সাথে পথশিশু বা বিদ্যালয়ে যায় না এমন শিশুদেরও করোনা টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন স্কুল ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বুথ করার মাধ্যমে সরাসরি স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এই শিশুরা টিকা নিতে পারবে।
শিক্ষার্থীরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা কার্ড নিয়ে এসে টিকা নিতে পারবেন। এই কার্যক্রমে রেড ক্রিসেন্ট ও ব্রাকের স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছেন।
এর আগে ১১ আগস্ট দেশে পরীক্ষামূলকভাবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়।
পড়ুন: ৫ -১১ বছরের শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনা টিকা দেয়া শুরু
বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ১ কোটি টিকা দিল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ১ কোটি টিকা দিল যুক্তরাষ্ট্র
সারাদেশে কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে ফাইজারের তৈরি কোভিড-১৯ টিকার আরও এক কোটি ডোজ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, এই অনুদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের টিকা ডোজের সংখ্যা সাড়ে ৮ কোটি ছাড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশ যে পরিমাণ কোভিড-১৯ টিকা ডোজ এযাবতকালে পেয়েছে তার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি টিকা ডোজ অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও আমেরিকান জনগণ।
আরও পড়ুন: করোনা টিকাদানে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির প্রতিটি ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কাজের প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় টিকাদান কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নের জন্য ৫১ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যসেবাদানকারী ও অন্যান্য কর্মীদের নিরাপদ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ১৮টি ফ্রিজার ভ্যান, ৭৫০টি ফ্রিজার ইউনিট ও ৮০০০ টিকা বহন বাক্স অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি ৪ কোটি ৭০ লাখ টিকা সরাসরি প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ৫ কোটি ৭০ লাখ ডোজ টিকা পরিবহনে সহায়তা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে ১৪ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স কার্যক্রমের আওতায় কোভিড-১৯ টিকার অতি-শীতলীকৃত মজুদ, পরিবহন ও নিরাপদ ব্যবহার-বিধি অনুসরণে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৪০০ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে। আর এই অনুদানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের ন্যায়সঙ্গত সুযোগ তৈরি করার ক্ষেত্রে বৃহত্তম দাতা দেশের মর্যাদা লাভ করেছে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকা উৎপাদনের প্রযুক্তি ও জ্ঞান ভাগ করে নেয়ার আহ্বান ঢাকার
বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ৪০ লাখ টিকা দিল যুক্তরাষ্ট্র
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই টিকা পাবে শিশুরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পাঁচ থেকে ১১ বছরের শিশুদের (প্রাথমিকের শিক্ষার্থী) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘শিশুদের এই টিকা কর্মসূচি পরিচালিত হবে সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে। সেখানকার স্কুলগুলোতে আমরা টিকা প্রদান করবো। ইতোমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে শিশুরা যাতে সঠিক সময়ে কেন্দ্রে এসে টিকা নেয়। এবং টিকা কেন্দ্রে এসে যাতে বসতে পারে সেই ব্যবস্থা করে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আমাদের দেশে পাঁচ থেকে ১১ বছরের দুই কোটি ২০ লাখ শিশু আছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এই বয়সী শিশুরা দেশের যে প্রান্তেই থাকুক তাদেরকে হিসেবে নেয়া হয়েছে। এতে তারা ভাসমান হোক আর স্কুলে না পড়া শিশু হোক সকল শিশুই টিকা পাবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। টিকার প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ কার্যক্রম ও চলমান রয়েছে। শিশুদের টিকা কার্যক্রম ১১ আগস্ট উদ্বোধন করা হয়েছে এবং আগামী ২৫ তারিখ থেকে পুরোদমে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা হবে। তার জন্য যা যা ব্যবস্থা করা প্রয়োজন সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, টিকা তারাই নিতে পারবে যারা নিবন্ধন করেছে। নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে তবে তা দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী জানান, কতগুলো সেন্টারে এই টিকা দেয়ার প্রয়োজন হবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানালে সে হিসেবে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
মন্ত্রী আরও জানান, আমরা অতীতেও টিকা দিয়েছি। আমাদের ডাক্তার, নার্সদের এখন পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারা প্রশিক্ষিত৷ ৩০ কোটি টিকা প্রদানেও আমাদের কোনো রকম কোনো অঘটন ঘটে নি। আমরা শিশুদের ব্যাপারে বিশেষভাবে মনোযোগী আছি।
আরও পড়ুন: পর্যায়ক্রমে সারাদেশের স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে পৌঁছেছে শিশুদের করোনার টিকা
নভেম্বরের পর করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ বন্ধ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
আগামী নভেম্বরের পর থেকে দেশে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নভেম্বরের পর করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হবে না। কারণ ওই সময়ে টিকার মেয়াদ থাকবে না। নতুন করে টিকা কেনার সম্ভাবনা কম।’
শামসুল হক বলেন, আগস্ট থেকে ৫ থেকে ১১ বছর বসয়সীদের টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেয়া বন্ধ হলেও সারাদেশে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম চলমান থাকবে। টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে মানুষের গড়িমসি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এর আগে রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণে মারা যাওয়াদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই টিকা নেয়নি।
তিনি বলেন, টিকা শতভাগ মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও যারা টিকা নিয়েছেন, তারা এক ধরনের সুরক্ষা পেয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ আক্রান্ত হলেও জটিলতা অনেকাংশেই কমে গেছে। এজন্যই সবাইকে দ্রুততম সময়ে টিকার আওতায় আসতে হবে।
পড়ুন: করোনায় মৃতদের ৭০ শতাংশই টিকা নেয়নি: স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক
বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ৫৭ কোটি ৬১ লাখ ছাড়াল
করোনার টিকা নিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের দেশীয়ভাবে তৈরি করোনার টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে চীন।
দেশটিতে করোনার টিকাদানের হার, বিশেষ করে বুস্টার, বাড়ানোর প্রচারণার অংশ হিসেবে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
রবিবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় বিবিসি।
আরও পড়ুন: শত বিপত্তি পেরিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা চীনের
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের উপপ্রধান জেং ইক্সিন বলেছেন, এটি চীনা টিকার প্রতি নেতাদের আস্থা প্রদর্শন করেছে।
এই ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য সাধারণত জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হয় না।
জেং বলেন, চীনা নেতারা ‘সবাই দেশীয় করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন।’
এর মাধ্যমে এটি প্রদর্শন করে যে তারা মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের কাজে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন এবং দেশের তৈরি করোনার টিকার ওপর অত্যন্ত আস্থা রাখেন।
চীনে টিকাদানের হার খুবই কম। দেশটি পুনরায় খুলতে টিকাদানের হার বাড়ানোর চেষ্টা করছেন কর্মকর্তারা।
গণপরীক্ষা, কঠোর আইসোলেশন নিয়ম ও স্থানীয় লকডাউনসহ ‘শূন্য কোভিড’ কৌশল অনুসরণ করে চলেছে চীন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেলের ক্রমবর্ধমান বাজার হয়ে উঠছে ভারত, চীন
প্রেসিডেন্ট শি বারংবার বলছেন, শূন্য কোভিডের কোনো বিকল্প নেই।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে চীনে ২১ লাখ ৬৭ হাজার ৬১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং এতে মারা গেছেন ১৪ হাজার ৬৪৭ জন।
মহামারিকালে দেশটিতে টিকাদানের হার নিম্ন হওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, ৬০ বছর বেশি বয়সীদের মাত্র ৩৮ শতাংশ বুস্টার ডোজ এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের মাত্র ১৫ শতাংশ দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারাদেশে ৯০ শতাংশ মানুষ এখন করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন।
করোনার কারণে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হয়েছে
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি আনুমানিক ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাহত হয়েছে বলে জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রকাশিত শুক্রবারের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টঙ্কার ও হুপিং কাশি (ডিটিপি৩) এর বিরুদ্ধে তিনটি ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে এমন শিশুদের সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ৫ শতাংশ কমে ৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷
ফলস্বরূপ, শুধুমাত্র ২০২১ সালেই ২৫ মিলিয়ন শিশু ডিটিপির নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির এক বা একাধিক ডোজ মিস করেছে।
২০২১ সালে টিকা মিস করা শিশুর সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় ২ মিলিয়ন বেশি এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ৬ মিলিয়ন বেশি।
এই টিকাগ্রহণ ব্যাহত হওয়ার কারণ হলো- যুদ্ধাবস্থায় বসবাসকারী শিশুদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভঙ্গুর সামাজিক কাঠামো। কেননা এর ফলে টিকাদান কর্মসূচি প্রায়ই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।
এছাড়া ভুল তথ্য, কোভিড-১৯ এর কারণে পরিষেবা ও সরবরাহ শৃঙ্খল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, টিকার স্বল্পতা এবং অসম স্বাস্থ্য সুবিধাপ্রাপ্তি ইত্যাদিও প্রভাব রেখেছে।
আরও পড়ুন: কাউকে পেছনে না ফেলে ন্যায়সঙ্গত ও বর্ধনশীল কর্মী তৈরির আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
এ বিষয়ে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, ‘এটি শিশু স্বাস্থ্যের জন্য একটি বিপদ সঙ্কেত। আমরা একটি প্রজন্মকে শৈশবকালীন টিকাদানে সবচেয়ে বেশি ঘাটতির শিকার হতে দেখছি। এর পরিণতি জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।’
তিনি আরও বলেন,‘যদিও গত বছর কোভিড-১৯ মহামারি ও লকডাউনের ফলে মহামারির বিরুদ্ধে কার্যকর টিকাগ্রহণের পরিমাণ প্রত্যাশিত ছিল, তবে বর্তমানে তা হ্রাস পেয়েছে।’
বছরে ২৫ মিলিয়ন শিশুর মধ্যে ১৮ মিলিয়ন পর্যন্ত ডিটিপি টিকার একটি ডোজও পায়নি। এসব শিশুদের বেশিরভাগই ভারত, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইথিওপিয়া, ফিলিপাইন এবং অন্যান্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বাস করে।
২০১৯ ও ২০২১ সালের মধ্যে একটিও টিকা না পাওয়া শিশুদের সংখ্যা আপেক্ষিকভাবে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার ও মোজাম্বিক রয়েছে।
ডব্লুউএইচও মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেছেন, ‘হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার মতো ঘাতক রোগের টিকা দেয়ার সঙ্গে কোভিড-১৯ টিকাদানের পরিকল্পনা ও সমন্বয় করা উচিত।’
আরও পড়ুন: যুদ্ধ, জলবায়ু বিপর্যয় বহুমুখী খাদ্য সংকট সৃষ্টি করছে: জাতিসংঘ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিপুল সংখ্যক শিশুর অপুষ্টি ঝুঁকি বাড়িয়েছে: জাতিসংঘ
শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুরা করোনা টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুদের করোনা টিকা দেয়া শুরু হবে।
তিনি বলেন, আমরা শিশুদের টিকা প্রয়োগে অনুমোদন পেয়েছি। এমনকি সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৫-১২ বছরের শিশুদের জন্মনিবন্ধন দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) আয়োজিত ‘সার্টিফিকেট কোর্স অন নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার’- শীর্ষক কোর্সের উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হলেও আমরা এখনো শিশুদের টিকা দিতে পারিনি। প্রথম কারণ হলো শিশুদের টিকায় এতদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ছিলো না। এখন অনুমোদন পেয়েছি, তাই অতি দ্রুতই আমরা এই কার্যক্রম শুরু করব।
আরও পড়ুন: জুনে ৫-১২ বছরের শিশুদের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, শিশুদের টিকা বড়দের টিকার চেয়ে একটু আলাদা। আমাদের কাছে এতদিন শিশুদের জন্য আলাদা এই টিকা টিকা ছিল না। এখন আমাদের হাতে শিশুদের জন্য উপযোগী টিকা চলে এসেছে। যেসব শিশুরা এখনো নিবন্ধন করেনি, তারা যেন নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দ্রুত নিবন্ধন করে নেয়।অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রায় দেড় কোটির মত শিশু রয়েছে। সেই হিসেবে শিশুর সংখ্যা কিন্তু অনেক। তাদের টিকা দিতে আমাদের সময় লাগবে। তাই আপনারা দ্রুত শিশুদের টিকার নিবন্ধন করিয়ে নিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু অনুষদের ডিন ও ইপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক শাহীন আখতার।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল ও শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুণ্ডু।
আরও পড়ুন: ঢাকার কেন্দ্রগুলোতে স্কুলগামী শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু
৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে ফাইজার