টিকা
বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ৩০ লাখ টিকা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশকে করোনার ফাইজারের টিকার আরও ৩০ লাখ ডোজ অনুদান হিসেবে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, সর্বশেষ চালানসহ বাংলাদেশে মোট ৬৪ মিলিয়ন ডোজ অনুদান দেয়া হয়েছে।
এই চালানে ফাইজার ভ্যাকসিনের একটি নতুন রেডি-টু-গো ফর্মুলেশন রয়েছে যা দেয়ার আগে মিশ্রণের প্রয়োজন হয় না।
এই নতুন মিশ্রণটি ন্যূনতম কোল্ড-চেইন ক্ষমতাসহ দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা যাবে।
দূতাবাস জানিয়েছে, এই নতুন টিকা ঠিক সময়ে পৌঁছেছে যাতে একটি নতুন বুস্টার ক্যাম্পেইন শুরু করা যায়।
আরও পড়ুন: ফাইজারের করোনার পিল ব্যবহারের সুপারিশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও এক কোটি টিকা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বে সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে কমদামে জনগণকে টিকা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে টিকা দিয়েছি বলে গণমাধ্যমে এসেছে। এটি সঠিক নয়। বরং আমরা সারাবিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে জনগণকে টিকা দিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) এই তথ্য দিয়ে থাকলেও তা সঠিক নয়।’
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিআইবি প্রতিবেদন বিষয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রতিবেদন যে গ্রহন করিনি সেটিই বললাম। আমরা অবশ্যই এটা প্রত্যাখ্যান করি। একটা সংস্থা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। যেহেতু এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে, ১৩ কোটি মানুষ টিকা নিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, কোভিড নিয়ন্ত্রণ ও টিকাদানে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেলের সম্মানে অবস্থান করছে। কোভিড নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসা ব্যবসায় অনেক উন্নয়ন করেছি। টিকার কার্যক্রম অনেক দেশের তুলনায় ভালো করেছি। প্রথম ডোজ প্রায় ১৩ কোটি, সেকেন্ড ডোজ ১১ কোটি ৬০ লাখ ও বুস্টার ডোজ এক কোটি ১৯ লাখ টিকা দিয়েছি। প্রথম ডোজ ৯৬ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ ৮৭ শতাংশ ও বুস্টার ডোজ ৯ শতাংশ দেয়া হয়েছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে।
টেস্টের বিষয়ে তিনি বলেন, টিআইবি বলে ল্যাব সংখ্যা খুব কম। একটা ল্যাব ছিল, সেখানে থেকে ৮৭০টি বিভিন্ন পর্যায়ে ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। বেশিরভাগ সময় বিনামূল্যে টেস্ট করিয়েছি। প্রাইভেট সেক্টরে ৩০ শতাংশ টেস্ট করেছে। বাকি ৭০ শতাংশ সরকারি ল্যাবে টেস্ট হয়েছে। এখন পাঁচ হাজার টেস্টে হয়, কখনো ৫০ হাজারও করেছি। তখন তো চাপ বেশি পড়ে, তাই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারার কথা না। চিকিংসা ভালো দিতে পারিনি বলা হয়েছে, আমাদের নাকি বেড ছিল না। তারা আট মাসের সার্ভের কথা বলেছে, কিন্তু কোভিড তো দুই বছর ধরে। বেডের কোন ঘাটতি ছিল না।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার পেছনে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, আইসিইউতে কিছুটা সংকট ছিল, কিন্তু আমরা করোনার মধ্যে সেটি করেছি। ভ্যান্টিলেটর ইজ নট সলিউশন, ভ্যান্টিলেটর খালিই ছিল। বাংলাদেশের এমন কোনো হাসপাতাল নেই যেখানে অক্সিজেন ছিল না। এটি সঠিক নয়।
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ নাকি বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। সেটা হলে তো দেড় লাখ মানুষ মারা গেছে। কিন্তু এতো মানুষ তো মারা যায়নি। ওষুধ পায়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে ওষুধ এভেইলেবল ছিল কোন অভাব হয়নি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, কোভিডের চিকিৎসা প্রাইভেটেও যা, সরকারিতেও তা। তারা তো আমাদের গাইডলাইনেই চিকিৎসা করেছে। দেশের সুনামের দিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে অনেক চিকিৎসক, নার্স মৃত্যুবরণ করেছে। বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে দেখেন। প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যাক্সিনেশনে চ্যাম্পিয়ন করেছে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে বাংলাদেশকে সচেতন থাকতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারতে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে, এই অবস্থায় বাংলাদেশেও সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় নিপসম অডিটোরিয়ামে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। মৃত্যুও শূন্যের কোটায়। এটি আমাদের ধরে রাখতে হবে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে, ১৩ কোটি মানুষ টিকা নিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশে এতোদিন করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল বলেই খাদ্যের অভাব হয়নি। আমাদের মাথাপিছু আয় সচল আছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ মানুষকে টিকা দিয়েছি। শুধু যারা টিকা নিতে চায় না, তারাই টিকা নিতে বাকি আছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য বিভাগে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের উন্নতি হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। পুষ্টি সেবার উন্নয়ন হয়েছে।
সাত দিনব্যাপী জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২২-এরও উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত আরও ২৪
টিকা নিচ্ছে ভাসানচরের রোহিঙ্গা শিশুরা
ভাসানচরের রোহিঙ্গা শিশুরা নিয়মিত শৈশব টিকাদান কর্মসূচির আওতায় টিকা গ্রহণ করছে।
লাখো শিশু এখনও জীবন রক্ষাকারী টিকা থেকে বঞ্চিত এই বিষয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের ঠিক আগে এই কর্মসূচিটি শুরু হয়েছে। প্রতি বছর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ পালিত হয়।
ভাসানচরে শৈশবকালীন টিকাদানে সহায়তায় ইউনিসেফ বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জানায় জাতিসংঘের এই সংস্থাটি।
যদিও রোহিঙ্গা শিশুরা চরে আসার পর থেকে দুটি অ্যাডহক প্রচারাভিযানের মাধ্যমে কিছু টিকা পেয়েছে তবে চরে এই সপ্তাহেই প্রথম নিয়মিত শৈশব টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষ পাবেন ডায়রিয়ার টিকা
ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জর্জ লারিয়া-আদজেই বলেছেন, ‘আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের শৈশবকালীন টিকাদানের প্রয়োজন রয়েছে নতুবা এর পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।’
ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, ‘যতই চ্যালেঞ্জিং বা দূরবর্তী হোক না কেন, আমাদের অবশ্যই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রান্তিক ছেলে-মেয়েদের কাছে পৌঁছানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। তারা যেই হোক বা যেখানেই থাকুক।’
আরও পড়ুন: দেশের ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাতৃ নবজাতক শিশু ও কিশোর স্বাস্থ্য বিভাগের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বলেন, ভাসান চরে রুটিন শৈশব টিকাদান কর্মসূচি সরকারের জাতীয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) অনুসরণ করে করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিপথেরিয়া, পের্টুসিস, টিটেনাস, হেপাটাইটিস-বি, হিবি, পোলিও, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, হাম ও রুবেলা প্রতিরোধের টিকা।
ভাসান চরে এখন ১০ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।
ইউনিসেফ, ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য অংশীদাররা চরের জনগণের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরিষেবা সরবরাহ করতে সরকারকে সহায়তা করার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: করোনার টিকাকরণ ও অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে: জাতিসংঘ
রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষ পাবেন ডায়রিয়ার টিকা
দেশে চলমান ডায়রিয়া প্রকোপ মোকাবিলায় রাজধানীর ২৩ লাখ মানুষকে মুখে খাওয়ার কলেরা টিকা দেবে সরকার। গর্ভবতী মহিলা ব্যতীত এক বছরের ঊর্ধ্বে সকল বয়সের মানুষকে এই টিকা দেয়া হবে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, দুই ডোজের এই টিকা কর্মসূচির প্রথম ডোজ দেয়া হবে মে মাসে। সব মিলিয়ে ২৩ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হবে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে জুন মাসে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে
তিনি বলেন, প্রথম ধাপে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় এই টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সেগুলো হলো- যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, সবুজবাগ।
নাজমুল ইসলাম বলেন, টিকা কার্যক্রমটি নিয়ে আমরা এখনও কাজ করছি। এই টিকা নিতে আলাদা কোন নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। নির্দিষ্ট তারিখ ও কেন্দ্র বাছাই হলে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে। নিকটস্থ কেন্দ্র থেকেই টিকা নেয়া যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ডায়রিয়া রোগীদের সুস্থ ব্যবস্থাপনায় এবং ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ড চালু করা হচ্ছে। ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসায় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬০ জনের অধিক চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়া রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ, আইভি স্যালাইন, মুখে খাওয়ার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ইত্যাদি চাহিদা মোতাবেক দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ: সচেতন থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বুধবার বিকাল ৫টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন।
বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে জানান, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী আজ (বুধবার) বিকাল ৫টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন।’
গত বছরের ১১ এপ্রিল ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সন করোনা পজিটিভ হন। এরপর গত ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৭ দিন পর ৮মে তার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।
পরে ৮ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সন করোনা টিকা নেয়ার জন্য সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন করেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
সরকার এখনও এ আবেদন নিষ্পত্তি করেনি। তবে, মন্ত্রীরা বলছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন জেলে ফিরে আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে গত বছরের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষায় আজ এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে
করোনা টিকার পেছনে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের মানুষকে টিকা দিতে সরকারের ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, টিকা কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে পেরেছি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমরা শুরুতেই পর্যাপ্ত টিকা ক্রয় করেছি। উপহার হিসেবেও অনেক টিকা পেয়েছি। টিকা ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থায় আমাদের খরচ ৪০ হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সারাবিশ্বে রোল মডেল হিসেবে অবস্থান করছে। প্রধানমন্ত্রীর গাইডলাইনে আমরা কাজ করেছি। করোনায় এখনও মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জটিলতার মুখে
রাশিয়ার উদ্ভাবিত করোনার টিকা উৎপাদনকারী দক্ষিণ কোরীয় একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ব্যবসায়িক জটিলতার মুখে পড়েছে। ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।
সম্প্রতি রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট। কারণ এই প্রতিষ্ঠানটি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের দ্বারা পরিচালিত। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী স্পুটনিক টিকার বাজারজাত করে।
সিউল-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিএল রাফার একজন কর্মকর্তা কিম গি-ইয়ং বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে সরাসরি টিকা উৎপাদনে বাধা তৈরি করবে না, কারণ টিকা সরবরাহের বিষয়টি নিষেধাজ্ঞার বাইরে রয়েছে।
তবে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক দিক থেকে সম্ভাব্য সমস্যাগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ দক্ষিণ কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা জোটের সঙ্গে মিলে বিশ্বব্যাপী পেমেন্ট সিস্টেম থেকে রাশিয়ার প্রধান ব্যাঙ্কগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্তে যোগ দিয়েছে।
কিম বলেন,এই মুহূর্তে আমরা এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করব,তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: পুতিনকে ‘মূল্য’ দিতে হবে, হুঁশিয়ারি বাইডেনের
জিএল রাফা নামের প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত এক ডোজ স্পুটনিক লাইট ভ্যাকসিনের পাঁচ মিলিয়ন ডোজ টিকা মজুদ করে রেখেছে। কিন্তু রাশিয়া টিকাদান কর্মসূচি বিলম্বিত করার কারণে সেগুলোর একটিও এখন পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়নি।
আরডিআইএফ-এর সঙ্গে দুই-ডোজ স্পুটনিক-ভি এর ১৫০ মিলিয়ন ডোজ তৈরির একটি চুক্তি রয়েছে জিএল রাফার। এবং তারা দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলির একটি কনসোর্টিয়ামে অংশ নেবে, যার ফলে তারা স্পুটনিক-ভি এর আরও ৫০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, তবে এই টিকাগুলো এখনও উৎপাদিত হয়নি।
আরডিআইএফ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে এবং বলেছে যে এই নিষেধাজ্ঞার ফলে স্পুটনিক-ভি বিতরণ মন্থর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করল নরওয়ে ও জার্মানি
যুদ্ধ নিয়ে নতুন আলোচনায় রাজি ইউক্রেন ও রাশিয়া
নিবন্ধন ছাড়াও করোনা টিকার প্রথম ডোজ মিলবে স্থায়ী কেন্দ্রে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে তিনদিনব্যাপী টিকা ক্যাম্পেইনেও যারা প্রথম ডোজের টিকা নিতে পারেননি, তাদেরকে চলমান টিকা কর্মসূচির স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অনেক মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় এনেছি। তারপরও কেউ যদি বাদ পড়ে থাকেন, তারা আমাদের স্থায়ী কেন্দ্রে এসে টিকা নিতে পারবেন। এটা রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) করেও নিতে পারবেন, যদি রেজিস্ট্রেশন না করা থাকলে তিনি কার্ডের মাধ্যমে নিতে পারবেন।
শাসসুল হক বলেন, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী কয়েকটি এলাকা বিশেষ করে সাভার, কেরাণীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এসব জায়গায় শিল্প কারখানা বেশি এবং অনেক মানুষ আমাদের টিকার আওতার বাইরে ছিলেন। তাদের জন্য টিকাদান কার্যক্রম স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে এই কার্যক্রম তারা আরেকটু বৃদ্ধি করতে পারবেন। এই সুযোগ তাদের দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার আরও ১০ লাখ ডোজ দিলো যুক্তরাজ্য
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা একটা বিশেষ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করি। যেটা ২৬ মার্চ এটা নির্ধারিত দিন ছিল। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত আমরা বিশেষভাবেই এটার দিকে নজর দেই, ক্যাম্পেইন এবং ক্যাম্পেইনের সময় বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য।
টিকা কর্মসূচির পরিচালক বলেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত আমরা প্রথম ডোজের টিকা দিতে পেরেছি দুই কোটি ৩২ লাখ মানুষকে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে এক কোটি সাত লাখ মানুষকে এবং বুস্টার দেয়া হয়েছে ১০ লাখ মানুষকে। এই কয়েকদিনে আমরা তিন কোটি ৪৯ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি বিভিন্ন ডোজে।
আরও পড়ুন: ১ মার্চ থেকে টিকা সনদ না পেলে ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
করোনা টিকার সকল ডোজই চালু থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার আরও ১০ লাখ ডোজ দিলো যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশকে করোনার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার আরও ১০ লাখ ডোজ অনুদান হিসেবে দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
বুধবার ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন জানায়, টিকার এই চালানটি ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পৌঁছায়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, ‘আমরা যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ১০ লাখ ডোজ আসাকে স্বাগত জানাই। গত বছর কোভ্যাক্সের আওতায় ৪০ লাখ টিকা অনুদান দেয় যুক্তরাজ্য। আর এই দ্বিপক্ষীয় অনুদান ওইটার সঙ্গে যোগ হলো।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও এক কোটি টিকা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের এই সহায়তা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে এবং দ্রুত পুনরুদ্ধার ও একটি স্বাস্থ্যকর ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়তে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি আরও জোরদার করেছে।
হাইকমিশন বলছে, যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় অনুদান করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াই এবং দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে জোরদার করবে।
এর আগে গেল বছরের ডিসেম্বরে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ৪০ লাখের বেশি ডোজ অনুদান হিসেবে দেয় যুক্তরাজ্য।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার সকল ডোজই চালু থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী