সংলাপ
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সংলাপ শুরু করল বিএনপি
নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেছে বিএনপি। এর মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে ঐক্য গড়ে তোলার জন্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু করেছে দলটি।
বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারসহ জনগণের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধারে বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য আমরা আলোচনা শুরু করেছি।’
রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করে একটি সত্যিকারের সরকার ও জনগণের সংসদ’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই হারানো অধিকার পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশের মানুষ আশা করছে বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে ফলপ্রসূ ও কার্যকর আন্দোলন করবে এবং এর মধ্য দিয়ে একটি সরকার ও জনগণের সংসদ প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবর্তন আসবে।’
আরও পড়ুন: খালেদাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভের পরিকল্পনা বিএনপির
তিনি বলেন, তারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও কথা বলবেন এবং তারা আশা করছেন দ্রুত সংলাপ শেষ করে যৌথ আন্দোলনের সূচনা করতে পারবেন। ‘আমরা আশা করি খুব শিগগিরই এটি করতে পারব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয়গুলো হলো- গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, জাতীয় সরকার গঠন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্য সব বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি, ওই সব মামলা প্রত্যাহার এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কার্যকর আলোচনা করেছি। আমরা আশা করি অন্যান্য দলের সঙ্গেও আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হবে এবং আমরা খুব শিগগিরই একটি আন্দোলনের কর্মসূচি উপস্থাপন করতে সক্ষম হব।’
বিকেল ৫টার দিকে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম ও জহির উদ্দিন স্বপনকে সঙ্গে নিয়ে মির্জা ফখরুল নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে আসেন এবং মাহমুদুর রহমান মান্না ও তার দলের জ্যৈষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা আলোচনা করেন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্না বলেন, তারা আন্দোলন করার মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। দেশের সব বিরোধী দল বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু আজ
এর ভিত্তিতে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠায় বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। ‘আমরা এই বৈঠককে একটি বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করার পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছি।’
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংলাপ শুরুর ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।
অচিরেই বিএনপিসহ সব দলের সঙ্গে সংলাপ হবে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেছেন, অচিরেই বিএনপিসহ সব দলের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সংলাপ করা হবে।
শুক্রবার সকালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০২২ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ছাড়াও অনেকগুলো কাজ আমাদের হাতে রয়েছে। সব কিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন,আজকে ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হলো। এমন আরও অনেক কাজ রয়েছে। অচিরেই বিএনপিসহ সব দলকে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানানো হবে। এটা আগামী দুই-এক মাসের মধ্যেই হবে।
ইভিএমের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর জন্য কী করছে নির্বাচন কমিশন এ প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল বলেন, ইভিএমের সক্ষমতা কতটুকু দরকার এবং ইভিএম নিয়ে আরও কিছু সভা সেমিনার করবো। তারপরে আমরা ইভিএম সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চিন্তা করবো। এই মুহূর্তে আমি একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না।
আরও পড়ুন: ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার সক্ষমতা নেই: সিইসি
৩০০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করার সক্ষমতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন বলা সম্ভব নয়। তবে সামনে আলোচনার মাধ্যমে বোঝা যাবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ কিন্তু এখনও আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। প্রশ্ন রেখে সিইসি বলেন, নির্বাচন হচ্ছে আমি ভোটকেন্দ্রে যাব না, আমাকে কেউ জোর করে নিয়ে যাবে না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমার মধ্যে যদি সঠিক দায়িত্ববোধটুকু থাকে। এতটুকু বুঝতে হবে আমি পরিচালিত হবো, আমার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন হালনাগাদ কার্যক্রমের সঙ্গে এই প্রথম আমি জড়িত হচ্ছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করাই আমার দায়িত্ব কর্তব্য। আমরা তা করবো, যাতে কেউ বাদ না যায়; শৃঙ্খলা থাকে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলোয়াত,গীতা পাঠ,ত্রিপিটক পাঠ ও বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা জেলা জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান, সাভার উপজেলা চেয়াম্যান মুন্জুরুল আলম রাজীব ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি,সমাজকর্মী,ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইভিএম এখনও বুঝে উঠিনি: সিইসি
সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়ালগের প্রিমিয়ার বুধবার
‘বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক একটি সংলাপের আয়োজন করছে কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা কসমস ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশ সময় বুধবার সন্ধ্যায় (৭টা) কসমস ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে ভার্চুয়াল এই সংলাপের প্রিমিয়ার হবে।
এই সংলাপটি কসমস ফাউন্ডেশনের চলমান ‘অ্যাম্বাসেডরস লেকচার সিরিজ’-এর অংশ।
সংলাপে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ন্যাথালি চুয়ার্ড তার মূল বক্তব্যে আলোচনা করবেন- সম্পর্কের (বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড) সূচনা, কীভাবে দুই দেশ ৫০ বছরের দীর্ঘ যাত্রা অতিবাহিত করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের (দুই দেশের ) ভবিষ্যৎ কী হতে পারে তা তুলে ধরবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার
কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান সংলাপে সূচনা বক্তব্য রাখবেন।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন প্রখ্যাত কূটনীতিক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। এছাড়া আলোচক প্যানেলে থাকবেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম,মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আনিস এ খান এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
২০২২ সালকে বাংলাদেশ এবং সুইজারল্যান্ড উভয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বছর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ এবছর দেশ দুটি তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছে।
সুইজারল্যান্ড এটিকে (৫০ বছরের বন্ধন) একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছে। এটি দুই দেশের ‘দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী’ অংশীদারিত্বকে প্রমাণ করে এবং এটি তাদের যৌথ যাত্রার ক্ষেত্রে একটি অবিস্মরণীয় মুহূর্ত।
আরও পড়ুন: কসমস সংলাপ: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কসমসের ভার্চুয়াল সভা বৃহস্পতিবার
ঢাকা-ওয়াশিংটন ৮ম অংশীদারিত্ব সংলাপ শুরু
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার অষ্টম ‘অংশীদারিত্ব সংলাপ’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রবিবার সকালে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত এই দ্বিপক্ষীয় সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এটাই প্রথম দুই দেশের মধ্যে হওয়া দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
এই সংলাপের মাধ্যমে দুই দেশ নিজেদের মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠ বোঝাপড়া’ করতে চায় এবং ব্যবধান দূর করে সম্পর্কের পরিধি আরও বাড়াতে চায়।
আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরুর আগে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মোমেন ও মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি নুলান্ড একই ভেন্যুতে তেতে-এ-তেতে কথা বলেন।
বাংলাদেশ সংলাপে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উত্থাপন করবে। কারণ বাংলাদেশের দাবি, নিষেধাজ্ঞাগুলো ‘অযৌক্তিক এবং একটি বিশেষ মহলের করা বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে এগুলো আরোপ করা হয়েছিল’।
গত ১০ ডিসেম্বর র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর,বাংলাদেশ অবিলম্বে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড
ইসি’র সংলাপ একটি নির্ভেজাল নাটক: বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রোডম্যাপ তৈরিতে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনাকে নতুন ‘ড্রামা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে নতুন নাটক মঞ্চস্থ করছে।’
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল আয়োজিত সমাবেশে ফখরুল বলেন, ইসির সংলাপের প্রথম দিনে ৩০ জনের মধ্যে মাত্র ১২ জন আমন্ত্রিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যোগ দিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, আপনারা (ইসি) প্রহসন করছেন কেন? নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে নির্বাচন কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। এটা আমার নয়, একজন শিক্ষকের মন্তব্য।’
যাদের বিচক্ষণতা ও দেশের প্রতি ভালোবাসা আছে, তারা ভালো করেই বোঝে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন জনগণের সরকার খুবই প্রয়োজন। এ ধরনের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ প্রশাসন প্রয়োজন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। আওয়ামী লীগের অধীনে এটা সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনগণের সঙ্গে ‘তামাশা’ করছেন মন্ত্রীরা: বিএনপি
এই বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান শাসনকে উচ্ছেদ করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বস্তরের জনগণ ও গণতান্ত্রিক দলগুলোকে নিয়ে তুমুল আন্দোলন করতে হবে।
ফখরুল বলেন, চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায়, দেশ এখন নীরব দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন।
তিনি বলেন, ‘প্রায় সব ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, কিন্তু মানুষের আয় বাড়েনি।’
মাথাপিছু আয় বেড়েছে বলে মন্তব্য করে মন্ত্রীরা মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘একজন যখন মাসে এক হাজার কোটি টাকা আয় করে, আরেকজন তখন ১৫ হাজার টাকা আয় করে। তাহলে দুটো কি সমান হতে পারে? মাসিক এক হাজার কোটি টাকা আয়ের সঙ্গে সাধারণ মানুষের গড় আয় মিলিয়ে, সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের দুর্দশা দেখতে এসি রুম ছেড়ে রাস্তায় নামার জন্য মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির পেছনে আ’লীগ জড়িত: ফখরুল
দেশে নীরব ‘দুর্ভিক্ষ’ চলছে: বিএনপি
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বদলে সংলাপের আহ্বান ঢাকার
ইউক্রেনে রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাদের হামলার পর বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে বলেছে, ‘এই ধরনের সহিংসতা সমগ্র অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে।’
বাংলাদেশ সরকার বলেছে,তারা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে এবং এর বাইরেও এই অঞ্চলের অবনতিশীল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সঙ্কটের সম্ভাব্য প্রভাবগুলি মূল্যায়ন করছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ
এদিকে, বাংলাদেশ সরকার ইউক্রেনে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে এবং প্রয়োজনে পোল্যান্ডে যেতে বলেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রেখেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে,‘আমরা সেখানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের অবিলম্বে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসনের জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার মসৃণ সমন্বয়ের জন্য ওয়ারশতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে ইতোমধ্যেই অতিরিক্ত জনবল ও সহায়তা দিয়ে শক্তিশালী করা হয়েছে।’
তারা আরও জানায়, সব ধরনের কনস্যুলার সহায়তা বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে বাংলাদেশিদের নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ
রুশ হামলা বন্ধে ভারতের হস্তক্ষেপ চায় ইউক্রেন
বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই সার্চ কমিটি ও সংলাপকে অবজ্ঞা করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই রাষ্ট্রপতি, সার্চ কমিটি এবং সংলাপকে অবজ্ঞা করছে। তাদের এ আচরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ।’
তিনি বলেন, 'আসলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ধ্বংস করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া আর ফেরেশতাও যদি তাদেরকে নির্বাচনে জয়লাভের নিশ্চয়তা না দেয় তার আগ পর্যন্ত তারা নির্বাচন মানবে না -এই তাদের উদ্দেশ্য।' বুধবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মিলনায়তনে ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।সার্চ কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বসে তাদের কাছ থেকে নাম নিয়ে একটি অসাধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে, যা দেশের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাটা সার্চ কমিটির হাতে দিয়েছেন। সার্চ কমিটি সেখান থেকে বাছাই করে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন, যেখান থেকে তিনি পাঁচ জনকে নিয়োগ দেবেন। বিএনপি’র ঘরোনা বুদ্ধিজীবীরাও সার্চ কমিটিকে বলেছেন, বিএনপির আসা প্রয়োজন, কিন্তু বিএনপি শুরু থেকেই পুরো প্রক্রিয়াকেই না করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির হুমকি শুনে মানুষ হাস্যরস করে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সার্চ কমিটি যেভাবে কাজ করছে এজন্য তারা সত্যিকার অর্থেই দেশবাসীর ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকার রাখে এবং ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এমনকি কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও এতো অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় না।এর আগে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে ওআইসির সদস্যভূক্ত করেছিলেন। যে কারণে আজকে আমরা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটালের অনুষ্ঠানাদি আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক আগ্রহেই আজ বাংলাদেশ ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশ্বে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। যখন আমাদের যুব ক্রিকেট দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়, আমাদের নারী ক্রিকেট দল এশিয়া কাপ জিতে নেয়, নারী ফুটবল দল ১১ গোলে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়, এমনকি আমাদের শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ যখন এশীয় অলিম্পিক থেকে পদক নিয়ে আসে তখন আমরা বিশ্ব সংবাদ হই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়ায় উৎকর্ষ সাধনের যে নানা উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়েছেন সেজন্যই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই সমৃদ্ধি এবং তারুণ্যের শক্তি দিয়ে দেশ ও বিশ্বকে আমরা সমৃদ্ধির সোপানে উন্নীত করবো উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ এসময় ঢাকাকে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল হিসেবে নির্বাচিত করায় ওআইসি ইয়ুথ ফোরামকে এবং প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সভাশেষে অতিথিরা ওআইসি ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ে ১০টি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সাহায্য বন্ধের চিঠি লেখায় মির্জা ফখরুলের বিচার হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
ইসি গঠনের সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ: তথ্যমন্ত্রী
সাংবাদিকতায় নারীর অংশগ্রহণ এখনও খুব কম: বক্তারা
বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে সাংবাদিকতায় নারীদের অংশগ্রহণ এখনও খুবই কম বলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস) আয়োজিত এক সংলাপে বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় বিশেষ করে নেতৃত্বের ভূমিকায় নারীর উপস্থিতি খুবই নগণ্য। দেশের সাংবাদিকতায় ‘রোল মডেল’ ও ‘হিরো’ এর অভাব রয়েছে, যা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস) সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে তাদের সর্বশেষ বিআইপিএসএস পলিসি ক্যাফে বিষয়ে ‘কফি@ বিআইপিএসএস ’এর আয়োজন করেছে।
বিআইপিএসএস সভাপতি মেজর জেনারেল এএনএম মুনিরুজ্জামান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আফসান চৌধুরীসহ ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৬ লেখক
প্রথম আলো ইংরেজি পত্রিকার কনসালটিং এডিটর আয়েশা কবির সংলাপে অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সংলাপে বিভিন্ন কূটনীতিক, সম্পাদক, পণ্ডিত, প্রতিরক্ষাকর্মী, শিক্ষাবিদ এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা সামগ্রিক জনসংখ্যার মধ্যে নারীর পরিমাণ তুলে ধরে বলেন, প্রাত্যাহিক জীবনে জাতীয় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণমাধ্যমে তাদের অংশগ্রহণ ও ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।
তারা বলেছিলেন যে করোনা মহামারির প্রভাব সমগ্র পরিস্থিতির অন্তর্নিহিত জটিলতাগুলোকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তারা সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের সময় একজন নারীকে যে নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হতে হয় তাও তুলে ধরেন।
বক্তারা একটি জেন্ডার সংবেদনশীল জাতীয় এজেন্ডা নিশ্চিত করার জন্য সাংবাদিকতায় নারীর ভূমিকার ওপর আলোকপাত করেন। এবং সংবেদনশীলতা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেন।
তারা বৃহত্তর সমাজের জন্য সাংবাদিকতায় নারীর ভূমিকার বৃদ্ধির গ্রহণযোগ্যতা এবং অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য সহায়ক পদক্ষেপের বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশের পরামর্শ দিয়েছেন, যা বিশ্বায়ন এবং সংযোগের যুগে অপরিহার্য।
অতিথি বক্তা এবং শ্রোতাদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ামূলক আলোচনার সময়, এই সমস্যা সম্পর্কিত অনেকগুলো সমস্যার কথা উঠে এসছে। বিশেষ করে সাংবাদিকতায় নারীর অংশগ্রহণের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যাপারে অনেকেই কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদা হোসেন: বাংলা সাহিত্যের এক স্বপ্ন শিল্পী
‘মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা’
ইসি গঠনে সরকারের পদক্ষেপ আরেকটি ‘উপহাস’: বিএনপি
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপকে আরেকটি ‘উপহাস' বলে বর্ণনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, যারা বলপ্রয়োগ করে দেশ শাসন করবে তারাই আইন করবে। এরপর আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। অন্য কথায়, সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতিকে একটি তালিকা দেবে যা প্রধানমন্ত্রী সরবরাহ করবেন।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে সরকার: বিএনপি
বিএনপি নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতি শুধু ওই তালিকা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের নাম ঘোষণা করবেন।
তিনি বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য এটি একটি উপহাস মাত্র। সরকার প্রথমে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে উপহাস করেছিল।
বিএনপি নেতা বলেন, বহুল আলোচিত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ এবং নির্বাচন কমিশনার বিল-২০২২’ (রবিবার) সংসদে উত্থাপন করা হবে। কারণ সরকার এ বিষয়ে সংবিধান অনুযায়ী একটি আইন করতে চায়।
গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইসি আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি’র মন্তব্য ‘না বলা বাতিকের' প্রমাণ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেছেন, বর্তমান ‘অবৈধ’ ও ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে তাদের দল কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, সুতরাং সরকার এখন যে নাটক করছে তা অর্থহীন। এই সরকারের অধীনে কখনই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না এবং এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। সর্বশেষ দুটি নির্বাচন কমিশন তার প্রমাণ।
ইসি নিয়ে সংলাপ: নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন প্রস্তাব আ. লীগের
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণনয়নসহ বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে ইসি গঠনের বিষয়ে চলমান সংলাপে অংশ নিয়ে এসব প্রস্তাব দেয় ক্ষমতাসীন দলটি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ সংলাপে যোগ দেয়।
এ সংলাপের কয়েক ঘণ্টা আগে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে ইসি গঠনের বিষয়ে একটি খসড়া আইন অনুমোদন দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগ তাদের প্রস্তাবে বলেছে, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতি যে প্রক্রিয়া উপযুক্ত মনে করবেন সে মোতাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা দিয়েছে।
আরেক প্রস্তাবে বলা হয়, প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তার ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ দেয়া।
প্রতিটি নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোরও প্রস্তাব করে প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনের বিষয়ে খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে একটি স্বাধীন ও কার্যকর ইসি অপরিহার্য বলেও মত দেয় আওয়ামী লীগ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা যেন নিরপেক্ষ হয় তা নিশ্চিত করা লাগবে।
প্রত্যেক ভোটারের নামের সঙ্গে ছবি যুক্ত করে ভোটার তালিকা নির্ভুল করা এবং ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটগ্রহণে ইভিএমের অধিক ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
নির্বাচনে পেশি শক্তির ব্যবহার বন্ধ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুসহ সব স্তরের ভোটাররা যাতে সঠিকভাবে তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায় দলটি।
প্রতিনিধি দল নির্বাচনের আগে ও পরে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে।