ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
বায়তুল মুকাররমে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা শুরু
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে শনিবার (২ এপ্রিল) থেকে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ চত্বরে শুরু হয়েছে ইসলামী বইমেলা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত মাসব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
এবারের মেলায় মোট ৬৪টি স্টল রয়েছে। পবিত্র কুরআনের অনুবাদ, তাফসীর, হাদিসগ্রন্থসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মৌলিক ও গবেষণামূলক গ্রন্থ এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন বই স্থান পেয়েছে মেলায়।
ইসলামী বইমেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন চাঁদ দেখা যাওয়ায় বাংলাদেশে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে।
পড়ুন: রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস
এবার হজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
এই বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক কোভিড পরিস্থিতির উন্নতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সৌদি সরকার বাংলাদেশ থেকেও হজযাত্রীদের অনুমতি দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সৌদি সরকার বলেছে যে তারা এই বিষয়ে একটি ডিক্রি জারি করবে।
আরও পড়ুন: সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি হজযাত্রী নিহত
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সুযোগ হলে হজযাত্রীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে হজ পালন করতে পারেন সেজন্য আমরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছি।
ফরিদুল হক খান বলেন, কতজন হজযাত্রী হজে যেতে পারবেন তা সৌদি-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তির মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা ইতোমধ্যে হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন তারা অগ্রাধিকার পাবেন। তাছাড়া হজের পুরো ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ হজ অফিস আশকোনা ঢাকার সভাকক্ষে ২০২২ সালের হজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও সংগঠনের অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান।
কুমিল্লার ঘটনাটি পরিকল্পিত: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, যারা দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে, তারাই অপশক্তি। কুমিল্লার এ ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত ও পরিকল্পিত। এ অপশক্তিকে কোন অবস্থাতেই আর ছোবল দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে আমার দলেরও যদি কেউ করে থাকে সেও ওই অপশক্তির আন্ডারে এবং তাকেও ছাড় দেয়া হবে না।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘীরপাড় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন।
ফরিদুল হক বলেন, দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য অপশক্তি এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা এ ঘটনার সাথে যুক্ত তারা কোন ধর্মের বা দলের হতে পারে না। অপরাধ যেই করুক, তাকে শাস্তি পেতেই হবে। এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এসময় কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা-৭ আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী শারদীয় দুর্গাপূজায় ক্ষতিগ্রস্থ বেশ কয়েকটি মন্দির ও পূজামণ্ডপ এলাকা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মণ্ডপে কোরআন অবমাননার মামলা সিআইডিতে
কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর
আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে চায় তারাই এসব করার অপচেষ্টা করে। তারা কোন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের নয়। তাদের চিহিৃত করার জন্য সরকার কাজ করছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ভোলার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বিশ্বে হানাহানি রোধ করে শান্তি ও সমৃদ্ধিসহ সকল জীবের কল্যাণ কামনায় বাঙালির অন্যতম উৎসব শারদীয় দুর্গাৎসব বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এই উৎসব হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করে আসছে।
আরও পড়ুন: দেশীয় টাকায় নির্মাণ হচ্ছে ৫৬০ মডেল মসজিদ: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আবহমানকাল থেকে এদেশে সকল ধর্মের মানুষ মুক্ত পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে প্রতিপালন করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার’। হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মালম্বীরাও যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন। সরকার দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন পূজা মন্ডপে আর্থিক অনুদান প্রদানসহ সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করছে। দুর্গা পূজার প্রধান বৈশিষ্ট হলো অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করা এবং সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় আরাধনা করা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন আল ফারুকের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গোলদার, বোরহানউদিদ্দন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান, ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মীর মো. বেলায়েত হোসেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার সাহা, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্ববায়ক অবিনাশ নন্দী, জেলা ইমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তাজুদ্দিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
দেশীয় টাকায় নির্মাণ হচ্ছে ৫৬০ মডেল মসজিদ: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রতিশ্রুতি দিয়েও সৌদি আরব সরকার অর্থ না দেয়ায় দেশীয় অর্থে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
শনিবার বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত আন্তধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সৌদি সরকারের সাথে আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রী জেলা সদরসহ দেশের প্রতিটি উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দেন। যার অর্থ দেয়ার কথা ছিল সৌদি সরকারের। সৌদি আরবের আশ্বাস পেয়ে প্রধানমন্ত্রী এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সৌদি আরব অর্থ না দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রের অর্থে মসজিদগুলো নির্মাণ শুরু করেন।’
আরও পড়ুন: স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন ইবির কেন্দ্রীয় মসজিদ
ইতোমধ্যে ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়া ১০০টি মসজিদ উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। মসজিগুলো নির্মাণ করতে ৯ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলেও জানান ফরিদুল হক খান।
ধর্মকে কেন্দ্র করে একটি চক্র দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে উল্লেখ করে সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য দেশের প্রত্যেক উপজেলায় ধর্মীয় সংলাপ আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
ধর্মীয় সংলাপের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখতে গেলে কয়েক জন মিলে আলোচনা করলে হবে না। উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় সকল ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে ধর্মীয় সংলাপ আয়োজন করতে হবে। এর ফলে এক ধর্মের মানুষের প্রতি অন্য ধর্মের মানুষের শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পাবে।’
এ সময় অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীদের পৈতৃক সম্পত্তিতে অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মডেল মন্দির নির্মাণেরও দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মসজিদসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ
ফতুল্লায় বিস্ফোরণে বন্ধ হওয়া মসজিদ খুলে দেয়ার দাবি
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। দেশে যাতে কোনভাবেই জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ফিরে না আসে এ বিষয়ে সরকার তৎপর রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত থাকলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকীতে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত গরীব-অসহায়, কর্মহীনদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও বিশেষ প্রার্থনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় বঙ্গবন্ধু, তাঁর স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র মূলনীতি লিপিবদ্ধ করেছিলেন। এদেশের উন্নয়ন যেমন আজকের বিশ্বের বিস্ময়, রোলমডেল; ঠিক তেমনি এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
তিনি আরও বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। বিভিন্ন সময় স্বার্থান্বেসী মহল বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুন্দর পরিবেশকে নস্যাৎ করতে চায়। আমাদের সকলকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের মহান লক্ষ্যে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণে পর্যাপ্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। যার সুফল সকল সম্প্রদায়ের জনগণ ভোগ করছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ২০০৯-২০২১ সময়ে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের স্থায়ী মূলধন ২১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকায় উন্নিত করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই প্রথম সমগ্র দেশে মন্দির ও সনাতন ধর্মাবলম্বিদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ২২৮কোটি টাকা ব্যয়ে সারাদেশে এক হাজার ৮১২টি মঠ/মন্দির/শ্মশান সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি কর্মসূচির অধীনে শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির ও শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় মোট ১৯৯টি মঠ/মন্দির/শ্মশান সংস্কারের জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট: বঙ্গভবনে জাতির পিতার দোয়া অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩২৪টি মঠ/মন্দির/আশ্রম ও শ্মশান সংস্কার/উন্নয়নের জন্য ১৪ কোটি ৯১ লাখ ২৫ হাজার ৩৫০ টাকার অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও আরও অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম চালু রয়েছে।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী সুব্রত পাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী মনোরঞ্জন শীল, এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামলী লীগ এর সাংস্কৃতিক সম্পাদক শ্রী অসীম কুমার উকিল এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামলী লীগ এর দপ্তর সম্পাদক, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামলী লীগ এর ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক
শ্রী সুজিত রায় নন্দী, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সভাপতি শ্রী নির্মল রঞ্জন গুহ, সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন পূজা পরিষদ এর সভাপতি শ্রী জয়ন্ত কুমার দেব, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এ-র
সচিব ড. দিলীপ কুমার ঘোষ প্রমুখ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় এবং গরীব-অসহায় কর্মহীনদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সুপরিকল্পিত: নানক
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার আহ্বান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর
৫০ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ৪৩ শতাংশ জায়গার ওপর তিন ক্যাটাগরিতে নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে ৪ তলা, উপজেলা পর্যায়ে ৩ তলা এবং উপকূলীয় এলাকায় ৪ তলা (নীচ তলা ফাঁকা) মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ-ক্যাটাগরিতে ৬৪টি জেলা শহর ও ৩টি সিটি করপোরেশনে ৫টিসহ মোট ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ঠ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। বি-ক্যাটাগরিতে উপজেলা পর্যায়ে ৪৭৫টি এবং সি-ক্যাটাগরিতে উপকূলীয় এলাকায় ১৬টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মডেল মসজিদ: মুজিববর্ষের অনন্য এক উপহার
ফরিদুল হক বলেন, মসজিদগুলোতে নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক অজু ও নামাজকক্ষ, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হেফজখানা, গণশিক্ষা কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র, পাঠাগার, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, জানাজার ব্যবস্থা, হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন, অটিজমকর্ণার, ই-কর্ণার, বিদেশি পর্যটকদের আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নারীর প্রতি সহিংসতারোধ এবং সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, তৃণমূল পর্যন্ত ইসলাম ধর্মের সঠিক প্রচার-প্রসার, ধর্মীয় সভা-সেমিনার আয়োজন, হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ, হামদ-নাত-ক্বেরাত প্রতিযোগিতা তথা ইসলামিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, ইসলামিক রিসার্চ, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ট্রেনিং, সামাজিক সমস্যা-বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও মাদকসহ নানাবিধ সামাজিক সমস্যা সমাধানে আলেম ওলামাদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে এ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
হাটহাজারী মাদ্রাসা সফরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
হঠাৎ করেই চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা সফর করলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল আলম খান।
বড়দিন উপলক্ষে ২৫৪ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ১৩৭ কোটি টাকা বিতরণের সিদ্ধান্ত
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শুভ বড়দিন উপলক্ষে সারা দেশের ২৫৪টি খ্রিস্টান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এক কোটি ৩৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সরকার ও ওলামাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নেই: প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, সরকার ও ওলামায়ে কেরামের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই। কোনো সমস্যা হলে তা আলাপ আলোচনা করেই সমাধান করা যায়।