স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৩ রোগী হাসপাতালে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন তিন জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ২৬ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় ১৯ জন ও ঢাকার বাইরে সাত জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১০৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৮২ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কোন ডেঙ্গু রোগী মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি: তদারকির নির্দেশ হাইকোর্টের
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
ফের ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি আবারও ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত এর আগের এক সপ্তাহে দেশে করোনায় ২৮ হাজার ৪৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৪৯ জন।
এছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশে ৩৮ হাজার ৪৭৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এসব তথ্য জানিয়েছে।
১০ জানুয়ারি দেশে করোনার শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৫৩ থাকলেও সোমবার তা বেড়ে হয়েছে ২২ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ছয় হাজার ছাড়াল
এছাড়া করোনা থেকে সুস্থতার হারও কমেছে। সোমবার সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৬২ শতাংশ যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৯৭ দশমিক ১৯ শতাংশ।
তবে এ সময়ে করোনায় মৃত্যুর হার কিছুটা কমে ১ দশমিক ৭৬ থেকে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ হয়েছে।
এর আগে সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনায় নতুন করে ছয় হাজার ৬৭৬ জন আক্রান্ত হন এবং ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২২ বিচারক করোনায় আক্রান্ত, প্রশিক্ষণ কর্মশালা স্থগিত
এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৫৪ জনে এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৭ জন।
এদিকে সোমবার পর্যন্ত দেশে ৫৫ জনের দেহে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে করোনার সংক্রমণ কমতে থাকলে গেল বছরের ৯ ডিসেম্বর তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পুনরায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।
আরও পড়ুন: ভারতে একদিনে দুই লাখ ৫৮ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত
বাংলাদেশে ২০ নভেম্বর ওই বছর প্রথমবারের মতো করোনায় কেউ মারা যায়নি। এদিন ১৭৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
বাংলাদেশে গত বছরের ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করোনায় মারা যান এবং একই বছরের ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
দেশে করোনায় শনাক্ত ছয় হাজার ছাড়াল
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ছয় হাজার ৬৭৬ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৫৪ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৭ জনে পৌঁছেছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ৯৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৩ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪২৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩২০ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ২২ বিচারক করোনায় আক্রান্ত, প্রশিক্ষণ কর্মশালা স্থগিত
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনা মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ কোটি ৭৭ লাখ ৩৮ হাজার ১৪৬ জনে ছাড়িয়েছে। এছাড়া মোট মারা গেছেন ৫৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ছয় কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৫০ হাজার ৬০৫ জন।
ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে এক কোটি ৪২ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৪ জন। এছাড়া মোট মারা গেছেন এক লাখ ২৭ হাজার ৯৫৭ জন।
যুক্তরাজ্যে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি ৫৩ লাখ ১৬ হাজার ৪৫৭ জন। মোট মারা গেছেন এক লাখ ৫২ হাজার ৪৮৩ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৭১ লাখ ২২ হাজার ১৬৪ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮৬ হাজার ৬৬ জন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত আসাদুজ্জামান নূর
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি করোনায় আক্রান্ত
আরও ২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
দেশে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আরও দুইজন নতুন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। নতুন রোগীদের মধ্যে দুইজনই ঢাকা বিভাগের। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৩২ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ২১ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ১০৪ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ৭২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত আসাদুজ্জামান নূর
ভারতে একদিনে দুই লাখ ৫৮ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত
করোনায় এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৩৫৯ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১২৩ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৪ হাজার ৬৪৪ জনে পৌঁছেছে। এনিয়ে গত এক সপ্তাহের তুলনায় শনাক্ত বেড়েছে ১৯১ দশমিক ৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৯২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩০২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৭২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ছয় জন পুরুষ এবং ছয় জন নারী। এদের মধ্যে আটজন ঢাকা বিভাগে এবং একজন করে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: সংক্রমণের রেড জোন ঢাকা-রাঙামাটি
ওমিক্রন
সব ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা তথ্য প্রদানকারী বৈশ্বিক উদ্যোগ জিআইএসএডি- এর মতে, বাংলাদেশে করোনার ওমিক্রন ধরনে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৩০ এ পৌঁছেছে।
সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, দেশের মোট করোনার মৃত্যুর প্রায় ৪৩.৬৮ শতাংশ ঢাকা বিভাগ থেকে শনাক্ত হয়েছে।
বুধবার করোনা নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. রোবেদ আমিন একথা বলেন।
এদিকে, করোনায় মৃত্যুর ২০ শতাংশ নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যেখানে খুলনায় ১২ দশমিক ৮৮ শতাংশ, রাজশাহী ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ, বরিশালে ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে সর্বনিম্ন দশমিক ০২ শতাংশ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: চার-পাঁচদিনের মধ্যেই হাসপাতালগুলো করোনা রোগীতে পূর্ণ হতে শুরু করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এদিকে, দুই জেলায় করোনা সংক্রমণের উল্লেখ্যযোগ্য বৃদ্ধির কারণে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ঢাকা ও রাঙামাটিকে ‘রেড জোন’হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা এবং রাঙ্গামাটিতে সংক্রমণের হার ১০-১৯ শতাংশ।
এছাড়া যশোরসহ ছয়টি জেলাকে ‘ইয়েলো জোন’ বা ‘মধ্য পর্যায়ের ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জেলাগুলিতে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে বলে অধিদপ্তর জানিয়েছে।
অন্যদিকে, ৫৪টি জেলাকে 'গ্রিন জোন' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে পঞ্চগড় ও বান্দরবান জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার খুবই কম।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার বুস্টার ডোজে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্না
করোনাভাইরাস: সংক্রমণের রেড জোন ঢাকা-রাঙামাটি
করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় ঢাকা ও রাঙামাটি জেলাকে রেড জোন বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া মধ্যম পর্যায়ের (হলুদ জোন) ঝুঁকিতে রাখা হয়েছে যশোরসহ সীমান্তবর্তী ছয় জেলাকে।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা ড্যাশবোর্ড ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মধ্যম পর্যায়ের ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হলো-রাজশাহী, রংপুর, নাটোর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, যশোর। এসব জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে অবস্থান করছে। আর রেড জোনে থাকা ঢাকা ও রাঙামাটি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশ।
আর সংক্রমণের গ্রিন জোন বা ক্ষীণ ঝুঁকিতে আছে ৫৪ জেলা। অন্যদিকে পঞ্চগড় ও বান্দরবান জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার খুবই কম হয়েছে বলে জানায় অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতির অবনতি, ফের কঠোর বিধিনিষেধ
ক্ষীণ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হলো- চট্টগ্রাম, বগুড়া, গাজীপুর, কক্সবাজার, কুষ্টিয়া, নীলফামারী, বরগুনা, শেরপুর, মেহেরপুর, ঠাকুরগাঁও, ফেনী, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, পিরোজপুর, বাগেরহাট, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, ঝালকাঠি, খুলনা, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, ফরিদপুর, বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ময়মনসিংহ, রাজবাড়ী, সিলেট, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, গাইবান্ধা, শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, খাগড়াছড়ি, ঝিনাইদাহ, পাবনা, মাদারীপুর, মাগুরা, সুনামগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা, নেত্রকোণা, ভোলা, টাঙ্গাইল, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, নড়াইল।
বাংলাদেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন বা লাল, হলুদ ও সবুজ-এই তিন ভাগে ভাগ করে থাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩১ কোটি ৩১ লাখ ছাড়িয়েছে
দেশে করোনায় শনাক্ত আরও বেড়েছে
দেশে করোনায় শনাক্ত আরও বেড়েছে
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৪৫৮ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১০৭ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৮৯ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে সোমবার করোনায় তিনজনের মৃত্যু ও দুই হাজার ২৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত মির্জা ফখরুল
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৩৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৭৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ০৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতির অবনতি, ফের কঠোর বিধিনিষেধ
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩১ কোটি ছাড়াল
ওমিক্রনে আক্রান্তরা সকলেই সুস্থ আছেন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দক্ষিণ আফ্রিকান নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তরা সকলেই সুস্থ আছেন। তাদের মধ্যে কারও কোন জটিলতা নেই। অনেকেই আবার সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
রবিবার দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ওমিক্রন বিভিন্ন দেশেই রোগী বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। দেশেও রোগী বাড়ছে, তবে আশা করছি সকলে মিলে আমরা এটিকে প্রতিহত করতে পারবো’।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন কড়াকড়িতে বেনাপোলে যাত্রী যাতায়াত কমেছে
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে এই পর্যন্ত যারা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছিল শুনেছি তাদের সবাই প্রায় সুস্থ আছেন। এমনকি তাদের অনেকেই বাড়িও চলে গেছেন। সুতরাং ওমিক্রন নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ওমিক্রন নয়, করোনায় আক্রান্ত যে কেউ যথাসময়ে চিকিৎসার ব্যাপারে পরামর্শ নেন। তথ্য গোপন না করে চিকিৎসা নিলে করোনা মোকাবিলা করার কাজটি সহজ হয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে নারীরা বেশি ঝুঁকিতে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
রোগীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কারণে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের অনেক তথ্য শেয়ার করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, সবার সক্রিয় সহযোগিতায় বাংলাদেশে আমরা গত দুই বছর যেভাবে করোনা মোকাবিলা করেছি, চলতি ২০২২ সালেও তা অব্যাহত রাখতে পারবো। আশা করি, আমরা এই মহামারিকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো।
করোনায় বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ৪৯১ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১০২ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৯২ হাজার ২০৯ জনে পৌঁছেছে। এর আগে শনিবার করোনায় এক জনের মৃত্যু ও এক হাজার ১১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৯৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৭৮।মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২১৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৯০৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভয় না পেয়ে টিকা নিন: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া একই সময়ে মারা গেছেন পাঁচ হাজারের বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনায় ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৫৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ কোটি ৪৮ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭৫ জনে ছাড়িয়েছে। এছাড়া একই সময়ে ৫ হাজার ১১৬ মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার ৭২ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৩৭ হাজার ২৬২ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৯ হাজার ৬৫৪ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২৩ লাখ ২৮ হাজার ২৫২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
আরও পড়ুন: টিকা ছাড়া স্কুলে যেতে পারবে না ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীরা
দেশের প্রতিটি নাগরিককে টিকা গ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আরও ৭ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
দেশে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আরও সাতজন নতুন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। নতুন রোগীদের মধ্যে চারজন ঢাকার এবং বাকি তিনজন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগের। রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ২৮ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ৭১ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ২৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: এখনই লকডাউন দেয়ার কথা ভাবছি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভয় না পেয়ে টিকা নিন: প্রধানমন্ত্রী