নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রত্যেক গেইটে স্ক্যানার বসানো হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রত্যেক গেইটে আমদানি-রপ্তানি জন্য স্ক্যানার বসানো হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘ চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন। এর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য স্ক্যানার বসানোর কার্যক্রম চলমান আছে। বন্দরের প্রত্যেক গেইটে আমদানি-রপ্তানি জন্য স্ক্যানার বসানো হবে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারী আটক, ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ
রবিবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে যাতে স্ক্যানার বসানো না হয়, এখানে যাতে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া না লাগে সেজন্য সংঘবদ্ধ চক্র জোরালো ভূমিকা রাখছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বমানের ডিজিটাল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যা যা করণীয় তা করা হবে। শুধু চট্গ্রাম বন্দর নয়, মোংলা বন্দরসহ স্থলবন্দরগুলোতেও স্ক্যানার বসানোর কাজ চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে চুক্তি অনুসারে তাদের দেশের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে এবং সেখান থেকে সড়ক পথে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে মালামাল যেতে পারবে। এজন্য চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতের জাহাজের ট্রায়াল রান হয়েছে। আরও ট্রায়াল হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও আপগ্রেড করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, ওভারফ্লো ইয়ার্ড নির্মিত হয়েছে। অধিক জাহাজ বাড়ার চাপ সামাল দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর প্রস্তুত আছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে এস আর ও হয়ে গেলে নিয়মিতভাবে ভারতীয় জাহাজ আসা শুরু করবে।
ভারতের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করা এবং সেখান থেকে পণ্য ভারতের অন্যান্য রাজ্যের পাঠানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক রাষ্ট্র। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ পেয়েছি। আমরা সবসময় মানবিক পদক্ষেপ নিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর বিদেশ নীতি হলো-সকলের সাথে বন্ধুত্ব। সে অনুযায়ি আমরা মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মো. মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল অপারেশন এবং লজিস্টিকস সাপোর্টে ইউএই’র আগ্রহ প্রকাশ
চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের
নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,‘নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, অবৈধ দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে কাজ করছি। নদীমাতৃক বাংলাদেশকে ধরে রাখতে চাই।’
সোমবার বরিশালে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার বেইজ উদ্বোধন উপলক্ষে সুধি সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে ড্রেজার বেইজ স্থাপন করা হচ্ছে। আমরা মানুষকে দখল ও দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা করতে পেরেছি। নদীর দখল ও দূষণকে চিহ্নিত করে নদীর জায়গা নদীর কাছে ফিরিয়ে দিব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশাল এখন সে জায়গায় নেই। এখানকার নদীনালা খালগুলো পুনরুদ্ধার করতে হবে। বরিশালে অত্যাধুনিক নদী বন্দর স্থাপনসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য বন্দরগুলোর আধুনিকায়ন করা হবে। প্রশিক্ষিত জনবল ও নিরাপদ নৌযানের মাধ্যমে নৌঝুঁকি ধীরে ধীরে শূণ্যের কোঠায় নিয়ে আসব। নদীর দখল ও দূষণ নিয়ে দেশের ১৭ কোটি মানুষ এখন কথা বলে- এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সফলতা।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর নৌপথ খননের জন্য সাতটি ড্রেজার এনেছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় সরকারি ড্রেজার আসেনি। নৌপথ খননের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যকম চলমান রয়েছে। দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ৪০ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে ; তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৩ বছরের শাসন আমলে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি বলেন, বিএনপির কষ্ট হচ্ছে কেন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও লিবিয়ার মতো হচ্ছে না? তাদের মনের চিন্তা বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশ হবে। তাদের কাজ আতঙ্ক সৃষ্টি করা। তারা বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে। এসব ষড়যন্ত্র থেকে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেইটওয়ে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো.ওয়াহিদুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি মো.এনামুল হক, পুলিশ সুপার মো.মারুফ হোসেন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো.শহীদুল ইসলাম।
বিএনপি বাংলার মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিএনপি বাংলার মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির কষ্ট হচ্ছে কেন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো হচ্ছে না? তাদের মনের চিন্তা বাংলার মানুষ অশিক্ষিত থাকবে, চিকিৎসাসেবা পাবেনা, বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এগুলো করতে করতে বিএনপি বাংলার মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে। এসব ষড়যন্ত্র থেকে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।’
বুধবার মানিকগঞ্জের আরিচায় বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার বেইজ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর নৌপথ খননের জন্য ৭টি ড্রেজার এনেছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় সরকারি ড্রেজার আসেনি। নৌপথ খননের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে, আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গত ৪০ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে,তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শাসন আমলে। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কোন উন্নয়ন করেনি, উন্নয়নের বিষয়টি উপলব্ধি করেনি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন। গত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে ইমাজিং টাইগারে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আরিচায় ড্রেজার বেইজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ ড্রেজার বেইজটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেইটওয়ে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বালাসী ও বাহাদুরাবাদের মধ্যে পরীক্ষামূলক লঞ্চ সার্ভিস উদ্বোধন
বালাসী ও বাহাদুরাবাদের মধ্যে পরীক্ষামূলক লঞ্চ সার্ভিস চালু হয়েছে। শনিবার এই সার্ভিসের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী বালাসী বন্দরে ড্রেজার বেইজ স্থাপন করা হবে। ফলে সেখানে সার্বক্ষণিক ড্রেজার থাকবে। নাব্যতা সচল রাখা হবে; আবার বন্দরটি গতি ফিরে পাবে।
বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে ইতোপূর্বে গৃহিত ফেরি সার্ভিসের উদ্যোগ সফল হয়নি। উক্ত নৌরুটে পরীক্ষামূলক লঞ্চ সার্ভিস সফলতা পেলে পণ্য ও যানবাহন পরিবহনের জন্য ফেরির ব্যবস্থা করা হবে। সরকার ১০,০০০ কিলোমিটার নৌপথ খননের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে ৭,০০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বালাসী নৌবন্দরে বালাসী ও বাহাদুরাবাদের মধ্যে পরীক্ষামূলক লঞ্চ সার্ভিস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সুধি সমাবেশে এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বালাসীঘাটে নদী বন্দরের টার্মিনাল উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. রফিকুল ইসলাম খান, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান, পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) যমুনা নদীর উভয় পাড়ে নিরবছিন্নভাবে ফেরি ও লঞ্চ সার্ভিস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বালাসী ও বাহাদুরাবাদে ফেরিঘাটসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বালাসী ও বাহাদুরাবাদ ঘাট ও টার্মিনাল নির্মাণ করেছে। এতে করে বৃহত্তর রংপুর বিভাগের সঙ্গে ময়মনসিংহ বিভাগসহ দেশের অন্যান্য স্থানের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধিত হবে। নতুন নৌপথ সৃষ্টির মাধ্যমে সহজ ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য।
ফেরি ও লঞ্চ সার্ভিস উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১৩৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বাহাদুরাবাদঘাট ও বালাসীঘাটের নৌপথের দুরত্ব ৩৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১০কিলোমিটার নৌচ্যানেল খনন করা হয়েছে; যার প্রস্থ ৩৭মিটার। বেসরকারি ও বিআইডব্লিউটিএ'র ড্রেজার দ্বারা মোট ১৮ লাখ ২০ হাজার ঘনমিটার খনন করা হয়েছে। বেসরকারি ড্রেজার দ্বারা ১৫ লাখ ঘনমিটার খনন করা হয়েছে। এজন্য ব্যয় হয়েছে ২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
উক্ত চ্যানেলে বর্তমানে ৯ থেকে ১০ ফুট পানি আছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেইটওয়ে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ইউক্রেনে আটকা পড়া নাবিকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজ ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’র নাবিকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বাংলাদেশি নাবিকদের উদ্ধার বা নিরাপদে সরিয়ে নিতে কূটনৈতিক পর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাহাজে ২৯ জন নাবিক ছিল। থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানকে হারিয়ে ফেলায় আমাদের ২৮ জন নাবিক আছে। নিহত হাদিসুরের মরদেহ আমাদের সংরক্ষণে আছে। তাঁর মরদেহ দেশে ফেরত আনার বিষয়টি নির্ভর করছে যুদ্ধ পরিস্থিতির ওপর। আমরা হাদিসুরের পরিবারের পাশে দাঁড়াব। পরিবারের জন্য যা যা করণীয় সরকারের পক্ষ থেকে তা করা হবে। তিনি জানান, হাদিসুরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদেরকে সমবেদনা জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা, নিহত এক নাবিক
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমি, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্তকর্তা এবং জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কথা বলেছি। নাবিকদের নিরাপত্তাই প্রথম কথা। জাহাজের ক্রুদের আতংকিত হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত না নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদেরকে সাহস দেয়ার চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন আছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,এই মুহূর্তে কূটনৈতিকভাবে যতটুকু কথা বলা দরকার, আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করছি। তিনি জানান, যুদ্ধের মিসাইলে জাহাজটি আক্রান্ত হয়েছে। আমরা যখন জানব কারা আক্রমণ করেছে, তখন তার ব্যাপারে আমরা কথা বলব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা: ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে উদ্ধারের আকুতি নাবিকদের
লঞ্চে অগ্নিদগ্ধদের হাসপাতালে দেখতে গেলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঝালকাঠিতে এম ভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনে দগ্ধদের হাসপাতালে দেখতে গেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে তিনি তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্ববয়ক ডা. সামন্তলাল সেন, পরিচালক ডা. আবুল কালাম বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের ( বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: হতাহতের ঘটনায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক
জানা গেছে, শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ২১ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচ জন এবং বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৩ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ডিসেম্বর মধ্যরাতে এম ভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার খবর পেয়ে প্রতিমন্ত্রী সেদিন সকালে ঢাকা থেকে সড়কপথে ঝালকাঠির উদ্দেশে রওনা দেন। যাত্রা পথে বরিশালে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ঝালকাঠি হাসপাতালে দগ্ধদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ নেন। বিকালে তিনি ঘটনাস্থলে অগ্নিদগ্ধ লঞ্চটি পরিদর্শন করেন। ওই দিন রাতে ঢাকায় পৌঁছে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে এগিয়ে নিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা সহায়তায় সরকার পাশে দাঁড়াবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে আহত যাত্রীদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার রাতে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে 'এমভি অভিযান-১০' লঞ্চে আগুনে আহত ব্যক্তিদের দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
লঞ্চে এ ধরণের মর্মান্তিক ঘটনা আগে ঘটেনি বলে জানান খালিদ মাহমুদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার একটি মানবিক সরকার। তিনি নৌপথের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। তার নেতৃত্বে নৌপথের আরও বেশি নিরাপদে সক্ষম হব।’
আরও পড়ুন: আগুন লাগার পরও লঞ্চ ৪০ মিনিট চলে
এর আগে প্রতিমন্ত্রী ঝালকাঠি হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি কমিটি গঠন করেছে। তিন দিনের মধ্যে তাদেরকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দিয়াবাড়ি নামক স্থানে শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান ১০ নামে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের লাশ এবং আহত ৭২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পড়ুন: লঞ্চের আগুনে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে দেড় লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা
লঞ্চের আগুনে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে দেড় লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে 'এমভি অভিযান-১০' লঞ্চের আগুনে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে দেড় লাখ টাকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ঝালকাঠিতে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চ পরিদর্শনকালে এ ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলেও প্রতিমন্ত্রী জানান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল এবং বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী ঝালকাঠি হাসপাতালে লঞ্চে আগুনে আহতদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
প্রতিমন্ত্রী ঢাকা থেকে ঝালকাঠি যাওয়ার পথে দুপুরে বরিশালে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লঞ্চে আগুনে আহতদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ নেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন, নিহত বেড়ে ৩৯
এর আগে, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দিয়াবাড়ি নামক স্থানে শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান ১০ নামে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের লাশ এবং আহত ৭২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম শাখা) মো. শাহজাহান সিকদার ৭২ জন আহত যাত্রীকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের ঝালকাঠির স্থানীয় হাসপাতালসহ বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লঞ্চটিতে আনুমানিক ৮০০ থেকে ১২০০ জন যাত্রী ছিল। বাকিরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তীরে পৌঁছে।
পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৭ সদস্যের কমিটি গঠন
ভারতের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক অক্ষুণ্ন থাকবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে রক্ত ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তা অক্ষুণ্ন থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কটা তা থেকে ভিন্ন। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে রক্ত ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তা ভাঙার নয়।
শুক্রবার ঢাকার শাহবাগস্থ সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে ভারতে শিক্ষালাভকারী বাংলাদেশের শিক্ষার্থী সমিতি (অ্যাবসি) আয়োজিত ‘মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
এসময় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারতের সাথে সম্পর্কটা অনন্য উচ্চতায় গেছে। মাঝখানে যে অবিশ্বাসের রেখা তৈরি হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর কারণে তা দূর হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: পায়রা বন্দর অর্থনীতিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে: প্রতিমন্ত্রী খালিদ
ভারত আমাদের পাশে আছে বলে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত আমাদের পাশে আছে। ভারতের সাথে যে বন্ধন তার সহায়ক শক্তি হিসেবে আছেন ভারতে শিক্ষালাভকারী বাংলাদেশের শিক্ষার্থী সমিতির সদস্যরা। তাই ভারতের সাথে রক্তের সম্পর্কটা অক্ষুন্ন থাকবে।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ডালেম চন্দ্র বর্মণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (শিক্ষা) অক্ষয় যোশী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এ মামুন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন নীপু বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. অজয় দাস গুপ্ত ‘বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব’ বিষয়ের ওপর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি: খালিদ মাহমুদ
বঙ্গবন্ধুর নাম সংবাদপত্রে ছাপাতে বাধা দিয়েছিল জিয়া সরকার: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে ১৬ কোটি মানুষের মাথা ব্যথা নেই’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া চিকিৎসায় আছে কিনা সেটা নিয়ে বাংলার ১৬ কোটি মানুষের মাথা ব্যথার কোন কারণ নাই। এটা নিয়ে তাদের কিছু যায় আসে না।’
মঙ্গলবার ভোলার চরফ্যাশনে বেতুয়া নদী বন্দরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন শেষে সুধী সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘বাংলাদেশের উন্নয়ন, রাজনীতি, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় খালেদা জিয়ার কোন ভূমিকা নাই।’
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের মধ্যে সব নদীর পলি অপসারণ করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের লালনপালন, মানুষ হত্যা, গ্রেনেড মেরে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে তার ভূমিকা রয়েছে। খালেদা জিয়া একটি অন্ধকারের নাম। জিয়া পরিবার একটি খুনি পরিবার। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করছে।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব,বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক,জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ইলাহী চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শীতলক্ষ্যা নদী তীরের ৩৪ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
উল্লেখ্য, এ বছরের ১২ অক্টোবর বেতুয়া নদী বন্দরের গেজেট ঘোষণা করা হয়। দেশে মোট ৩৬ নদী বন্দর রয়েছে। ২৪ অক্টোবর দেশের ৩৬তম নদী বন্দর 'কোম্পানীগঞ্জ-সোনাগাজী নদী বন্দরের' গেজেট ঘোষণা করা হয়। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৬ নতুন নদী বন্দর ঘোষণা করা হয়। আরও পাঁচটি নদী বন্দর ঘোষণার প্রস্তাবনা রয়েছে। ৩৬ নদী বন্দরের আওতায় বিআইডব্লিউটিএ'র নিয়ন্ত্রণে ৪৫৭টি ঘাট/পয়েন্ট ইজারা দিয়ে থাকে।