স্বাস্থ্য
দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি হবে না: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রভাবে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে গেলেও, দেশে অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
বুধবার দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে সংক্রমণ পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অক্সিজেনের যে মজুদ আমরা রেখেছি, সামনে যদিও ওমিক্রন অথবা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়ে হাসপাতালে অনেক বেশি রোগী আসে, আমরা আশা করছি অক্সিজেনের খুব একটা সমস্যা হবে না।
রোবেদ আমিন বলেন, বিভাগ অনুযায়ী আমাদের যে সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে, সেগুলোর জন্য অনেক বেশি অক্সিজেন সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়। এই বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সফলতার পরিচয় দিয়েছি। এইগুলোতে প্রায় ১১৮টি অক্সিজেন সেন্ট্রাল লাইন করা হয়েছে। আমাদের প্রায় ২৯ হাজারের মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার এভেলেবেল আছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেবাচিমের ১শ’ অক্সিজেন সিলিন্ডার উধাও
তিনি বলেন, এছাড়াও হাইফ্লোনাজাল ক্যানুলা, যেটি করোনা আক্রান্ত রোগীদের অধিক বেশি পরিমাণ প্রয়োজন হতে পারে -প্রায় দুই হাজার করা আছে। প্রায় আড়াই হাজারের কাছাকাছি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর আমাদের বিভিন্ন বিভাগে মিলিয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান যদি আমরা দেখি, সেখানেও ঢাকা বিভাগ এগিয়ে আছে। দেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ৪৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ মৃত্যু শুধু ঢাকাতেই হচ্ছে। তার পরে আছে চট্টগ্রাম বিভাগ; যেখানে ২০ শতাংশের মতো মৃত্যু হচ্ছে। এরপর রয়েছে খুলনা বিভাগ; সেখানে ১২ দশমিক ৮৮ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে, রাজশাহীতে ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ, বরিশালে ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং ময়মনসিংহের সবচেয়ে কম ৩ দশমিক ২ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
বাংলাদেশকে অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন জেনারেটর উপহার দিল কোরিয়া
আরও ১৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৩৯ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্ত ১৪ জনই ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৯১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৫২ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কোন রোগী মারা যায়নি।
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৩ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
আরও পড়ুন: আরও ২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন একজন হাসপাতালে ভর্তি
কাজাখস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৬৪
কাজাখস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতায় কমপক্ষে ১৬৪ জন নিহত হয়েছেন। রবিবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ৩০ বছর আগে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দেশটিতে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
রবিবার দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের দখল করা সব ভবনের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মধ্য এশিয়ার এই দেশটিতে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ২ জানুয়ারি দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে বিক্ষোভ শুরু হয়ে। পরে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হলেও তা তোকায়েভ সরকার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্দোলনে রূপ নেয়।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বিবৃতিতে আরও জানা যায়, দেশটিতে এক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভ থেকে ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক’ বিদেশি নাগরিকসহ প্রায় ছয় হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: কাজাখস্তানে ১২ পুলিশসহ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী নিহত
এছাড়া দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে জরুরি অবস্থা এবং কারফিউ বহাল রয়েছে।
রবিবার প্রথমে কাজাখ কর্তৃপক্ষ জানায়, বিক্ষোভের সময় ১৬ পুলিশ বা ন্যাশনাল গার্ড সদস্য নিহত হয়েছে। এর আগে জানানো হয়েছিল, নিহত বেসামরিক নাগরিকের সংখ্যা ২৬ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দেশটির বৃহত্তম শহর আলমাটিতে নিহত হয়েছেন ১০৩ জন। এখানে বিক্ষোভকারীরা সরকারি ভবন দখল করে এবং কয়েকটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে।
দেশটির একটি শিক্ষা অধিকার সংস্থা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে চার বছর বয়সী এক মেয়ে শিশু ছিল।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে একটি রাজনৈতিক দলই কাজাখস্তান শাসন করছে। বিপুল তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ থাকা সত্ত্বেও দেশটিতে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে দেশটিতে।
আরও পড়ুন: মহামারির মধ্যে ভারতের ৫ রাজ্যে নির্বাচন
ব্রাজিলে ঝর্ণার পাথর ভেঙে ৬ জনের মৃত্যু
ভারতে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৯১ হাজার, মৃত্যু ৩ শতাধিক
ভারতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৯০ হাজার ৯২৮ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ৫১ লাখ ৯ হাজার ২৮৬ জনে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন চার লাখ ৮২ হাজার ৮৭৬ জন।
ভারতে এখন দৈনিক সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজারের বেশি মানুষ। ফলে দেশটিতে এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৮৫ হাজার ৪০১ জন।
এরইমধ্যে ভারতে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ৬৩০ জনে পৌঁছেছে। তার মধ্যে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে যথাক্রমে ৭৯৭ এবং ৪৬৫ জন ওমিক্রন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু
সৌরভ গাঙ্গুলির পর তার মেয়েও করোনায় আক্রান্ত
সুনামির মতো ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
নিপা ভাইরাস এড়িয়ে খেজুর রস খাওয়ার উপায়
নিপা ভাইরাস একটি জুনোটিক ভাইরাস। এটি বাঁদুড় থেকে বিভিন্ন মাধ্যম (বিভিন্ন পশু বা খাবার) হয়ে অথবা সরাসরি মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। বাংলাদেশে খেজুরের রস খেকো বাঁদুড় হচ্ছে নিপা ভাইরাসের প্রধান উৎস।
বাঁদুড় খেজুরের রস খাওয়ার সময় তাদের মুখ থেকে নিঃসৃত লালা খেজুরের কাঁচা রসের সঙ্গে মিশে রসকে দূষিত করে। এর ফলে সংক্রামিত ব্যক্তি শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর সমস্যা ও মস্তিষ্কের প্রদাহ জনিত মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ১০ কার্যকরী পানীয়
চলুন জেনে নিই কীভাবে নিপা ভাইরাস এড়িয়ে খেজুর রস খাবেন?
নিপা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে আরোগ্য লাভের কোন টিকা নেই, তাই এই ভাইরাস এড়ানোর একমাত্র উপায় প্রতিরোধ। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো হলো-
খেজুর রস সংগ্রহের স্থানটি বাঁদুড়ের উৎপাতমুক্ত রাখা
প্রত্যন্ত অঞ্চলে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানকার খেজুর গাছগুলোর খেজুর রসের স্বাদ বাড়তে থাকে। এ সময় গাছগুলোতে রাতের বেলা শুরু হয় বাঁদুড়ের উৎপাত। তাই সংক্রমণ রোধ করার প্রচেষ্টায় প্রথমে খেজুর রস সংগ্রহের জায়গা অর্থাৎ এই গাছগুলো বাঁদুড়ের সংস্পর্শে আসা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষামূলক আবরণ যেমন- বাঁশ, ধোইঞ্চা, পাট কাঠি ও পলিথিনের স্যাপ স্কার্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো খেজুর রস সংগ্রহের স্থান থেকে বাঁদুড়কে দূরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এই সময়ে যারা নিয়মিত খেজুর রস সংগ্রহ করেন বিশেষ করে গাছিদের এই পদ্ধতি অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়।
খেজুর রস সংগ্রহের সরঞ্জামাদি পরিষ্কার রাখা
গ্রামাঞ্চলে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য মাটির হাড়ি ব্যবহার করা হয়। শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খেজুর গাছগুলোতে একটি করে মাটির হাঁড়ি ঝুঁলে থাকতে দেখা যায়। বাঁদুড় খেজুর রস খাওয়ার সময় মল-মূত্র ত্যাগ করে এগুলো দূষিত করে ফেলে। এই ময়লাগুলোর মাধ্যমেও নিপা ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে। তাই প্রতিবার রস সংগ্রহের সময় হাঁড়ির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। অবশ্য উপরোল্লিখিত স্যাপ স্কার্টগুলো ব্যবহার করা হলে বাঁদুড় বা অন্যান্য পাখির ময়লা লাগার সম্ভাবনা থাকে না।
সংগৃহীত খেজুর রস অন্যান্য পশুর সংস্পর্শে না রাখা
প্রতিরক্ষামূলক বেষ্টনী থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করলেই কাজ শেষ নয়। সংগৃহীত রস বাড়ির যে জায়গাটিতে রাখা হচ্ছে সে জায়গাটিতে গরু বা ছাগলের আনাগোনা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা বাঁদুড় থেকে প্রায় সময় গরু-বাছুর ও ছাগলেও নিপা ভাইরাস ছড়ায়। অতঃপর এগুলো খেজুর রস রাখার জায়গাগুলোকে দূষিত করে ফেলতে পারে। এই বিষয়টি বিশেষ করে যারা খেজুর রস সংগ্রহ করে বাজারজাত করে থাকেন বা গাছিদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
এই সংক্রমিত গবাদি পশু খেজুর রস দূষিত করা ছাড়াও সরাসরি মানুষের সংস্পর্শে এসে মানুষের মধ্যে নিপা ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই গৃহপালিত পশু পরিচালনার সময় গ্লাভস ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরে থাকা নিরাপদ। তাছাড়া বাড়ির যে স্থানটিতে খেজুর রস রাখা হয়েছে সেখানে বাঁদুড়ই এসে দূষিত করে দিয়ে যেতে পারে। তাই বাড়িতে বাঁদুড় বা অন্যান্য পশুর ধরা ছোয়ার বাইরে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে নতুন খামার করার সময়েই বাদুড়মুক্ত স্থান নির্বাচন করা উচিত। আর প্রাদুর্ভাবের এলাকাগুলো সপরিবারেই ত্যাগ করা উচিত।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ডালিমের খোসার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার
সালথায় দফায় দফায় সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
ফরিদপুরের সালথায় দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া ও ভাবুকদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল ও নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বালিয়া গ্রামে একটি গ্রাম্য দলপক্ষের মিটিংকে কেন্দ্র করে হিরু মোল্যার সমর্থকদের সঙ্গে প্রতিপক্ষ সরোয়ার মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এঘটনা নিয়ে রাতেই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই সূত্রধরে হিরু মোল্যাকে সমর্থন দেয় পার্শ্ববর্তী ভাবুকদিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, জয়-লেখকসহ আহত ১০
পরে বুধবার সকাল ৬টার দিকে ভাবুকদিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বালিয়া গ্রামের সরোয়ার মাতুব্বরের সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সকাল ১০ টা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ। এতে পুলিশসহ উভয় দলের অন্তত ২৫ জন আহত হয়।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের রাবার বুলেট, টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় উভয়পক্ষের ইটপাটকেলে সাত পুলিশ আহত হয়। এলাকা শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেঞ্চুগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত
সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষ: বিএনপির ৭ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ৪ মামলা
দেশে আরও ১১ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
দেশে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এগারো জন নতুন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। নতুন রোগীদের মধ্যে সাত জন ঢাকার এবং বাকি চার জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগের। রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৩২ জন রোগী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ৩২ জন সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ১৫ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রবিবার ৪৯জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এছাড়া চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে দেশে ৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গুতে প্রাণ গেলো আরও ১ জনের
দেশে নতুন ১১ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় আট জন ও ঢাকার বাইরে তিনজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৭৭ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৫জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩২জন রোগী ভর্তি রয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৩৯৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২৮ হাজার ২১৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১০৪ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: আরও ১৫ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
আরও পড়ুন: আরও ১৮ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৭ জন হাসপাতালে
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৯ জন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৯ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় চার জন ও ঢাকার বাইরে পাঁচ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৯০ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৯জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩১জন রোগী ভর্তি রয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৩৫৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২৮ হাজার ১৬৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১০৪ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: আরও ১৮ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৩৯ জন হাসপাতালে ভর্তি
দ. আফ্রিকায় ওমিক্রন ঢেউ শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে
দ. আফ্রিকার বিশেষজ্ঞেরা বলেছেন, দেশের করোনা সংক্রমণের বর্তমান হার দেখে বোঝা যাচ্ছে, করোনার পিক সময় আরও আগেই পার হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার দেশটিতে ১৫ হাজার ৪২৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। অথচ এক সপ্তাহ আগে গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে রেকর্ড ২৭ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
পর্যাপ্ত পরীক্ষার সুযোগ না থাকা, পরীক্ষার ফল পেতে দেরি হওয়া এবং নানা জটিলতার কারণে দৈনিক শনাক্তের পরিমাণের এই অবিশ্বাস্য রকমফের হতে পারে। তবে দেশটির সংক্রমণের ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছে, দ্রুত ছড়িয়ে পরা ওমিক্রন সংক্রমণ স্থিমিত হয়ে পড়েছে।
উইটওয়াটারস্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস এনালিটিকস বিভাগের জ্যেষ্ঠ গবেষক মার্টা নুনস বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, কিছুদিন আগে ওমিক্রন শনাক্তের অন্যতম হটস্পট গাউটেং প্রদেশ এবং সারা দেশের অবস্থা দেখলেই বোঝা যায়; আমরা ওমিক্রন সংক্রমণের চূড়ান্ত অবস্থা পার হয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, এটা ছোট একটি ঢেউ…এবং সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো এর ফলে করোনায় প্রাণহানি ও হাসপাতালগুলোর দূরাবস্থা অন্যান্য ঢেউয়ের তুলনায় অনেক কম ছিল।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা
মার্টা আরও বলেন, এটা ঠিক যে কোনো সময় মহামারি হঠাৎ উর্ধ্বগামী হতে পারে। তেমনি গত নভেম্বর মাসের তুলনায় আমরা হঠাৎ নিম্নগামীতা লক্ষ্য করছি।
নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে দ. আফ্রিকার গাউটাং প্রদেশে সংক্রমণের হার বাড়তে দেখি। ২৫ নভেম্বর দেশটিতে বিজ্ঞানীরা করোনার উচ্চ সংক্রমণশীল ওমিক্রন ধরন শনাক্ত করে। এসময় বিজ্ঞানীরা জানায়, বিশ্বব্যাপী দাপিয়ে বেড়ানো করোনার ডেল্টা ধরনের চেয়েও ওমিক্রন দ্রুত সংক্রামক।
খুব দ্রুতই ওমিক্রনের প্রভাবে পুরো দ. আফিকা কাবু হয়ে পড়ে। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, দেশটিতে শনাক্ত হওয়া রোগীর ৯০ শতাংশই নভেম্বরের মাঝামাঝি আক্রান্ত হয়।
এছাড়া সারা বিশ্বেই সেসময় দ্রুত সংক্রমণ বাড়তে দেখা যায়। মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গত সপ্তাহে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর ৭৩ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত। এর মধ্যে নিউইয়র্কে শনাক্ত রোগীর ৯০ শতাংশের বেশিই ওমিক্রনে আক্রান্ত।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যে গত সপ্তাহে ৬০ শতাংশ আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৮৯ শতাংশ দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের কথা জানা গেছে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট: দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ বন্ধ হচ্ছে
ওমিক্রনের প্রাদূর্ভাব মাঝারি ধরনের হলেও, বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছিলেন এত দ্রুত শনাক্ত বাড়তে থাকলে দেশের হাসপাতালগুলো রোগীতে পূর্ণ হয়ে উঠবে। অক্সিজেন ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামের অভাবে হাসপাতালগুলো আবারও চাপে পড়বে। কিন্তু চলতি মাসের শুরুর থেকেই গাউটাং প্রদেশে শনাক্তের হার কমতে থাকে। গত ১২ ডিসেম্বর দৈনিক শনাক্ত ১৬ হাজার পর্যন্ত পৌঁছানোর পর থেকেই ক্রমান্বয়ে শনাক্তের পরিমাণ কমছে।
প্রিটোরিয়ার স্টিভ বিকো একাডেমিক হাসপাতালের কোভিড-১৯ চিকিৎসক ডা. ফারিদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘হঠাৎ শনাক্তের হার কমে যাওয়াটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।’
তিনি বলেন, দ্রুত শনাক্তের হার বৃ্দ্ধি পাওয়ার পর হঠাৎ শনাক্ত কমে যাওয়ার ফলে আমরা বুঝতে পারছি, আমরা প্রথম ঢেউয়ের শেষভাগে এসে পৌঁছেছি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেই চট্টগ্রামে নিখোঁজ ২ জন