ঢাবি
ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে হলের দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টার দা সূর্যসেন হলের আবাসিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম।
এদিন সকালে ভূমিকম্পের সময় তিনি তার ঘরের জানালা থেকে লাফ দেন। যার ফলে তার পায়ের আঙুলে আঘাত লাগে।
পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই ছাত্র পায়ের আঙুলে চোট পেয়ে ঢামেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে ভর্তি হয়েছেন।
এছাড়া, সূর্যসেন হল ও হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের রিডিং রুমের দরজার কাঁচও ভূমিকম্পে কেঁপে কেঁপে ওঠে। এসব ঘটনায় তাড়াহুড়ো করে কক্ষ থেকে বের হতে গিয়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প
ভূমিকম্পে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হলের দেয়ালে ফাটল
ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের কাছে ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামালের বাসভবনের সামনে শনিবার ৩টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আল-আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর আমরা পাইনি, বিষয়টির ওপর নজর রাখছি।’
আরও পড়ুন: মিরপুরে ঢাবি কর্মীদের বহনকারী বিআরটিসি বাসে আগুন
ঘটনার পরপরই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ৩টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং তারা খতিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি’র কলা ভবন থেকে দুটি বোমা উদ্ধার
বিএনপির অবরোধ: ঢাবির বিভিন্ন ফটকে ছাত্রদলের তালা
বিএনপির অবরোধ: ঢাবির বিভিন্ন ফটকে ছাত্রদলের তালা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনুষদের ৯টি গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
যে ৯টি গেটে তালা লাগানো হয়, সেগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামের প্রবেশপথে, বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের ফটকে, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট, চারুকলা অনুষদ, কার্জন হলের পেছনের ফটকসহ কয়েকটি একাডেমিক ভবন।
এটি উল্লেখ করা যেতে পারে, দরজাগুলোতে তালা লাগানো হয়েছিল যা প্রায়ই বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: রমনা কালী মন্দির এলাকায় ঢাবির দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা
তালা লাগানোর পাশাপাশি অবরোধের সঙ্গে সংহতি জানাতে এসব গেটের চারপাশে ব্যানার ও পোস্টারও লাগানো হয়েছে।
একটি ব্যানারে লেখা ছিল- ‘রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত!’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ইউএনবিকে বলেন, ‘দেশকে বাঁচাতে ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপি ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে গণমানুষকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি আহ্বান করেছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ রক্ষার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন শুরু করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আওয়ামীপন্থী কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে বাধ্য করছে। আমরা শিগগিরই ক্যাম্পাসে আরও কর্মসূচি পালন করব।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত
জ্ঞান অর্জন ও বিজ্ঞান চর্চা কর: ঢাবির সমাবর্তনে তরুণদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
জ্ঞান অর্জন ও বিজ্ঞান চর্চা কর: ঢাবির সমাবর্তনে তরুণদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
জ্ঞান অর্জন ও বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে দেশকে উন্নত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমার জন্য যা যা সম্ভব আমি তাই করছি। তরুণদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায়।’
রবিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সড়ক যোগাযোগে নতুন যুগের সূচনায় বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদানের লক্ষ্যে এই বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
নয়াপল্টন ও শাপলা চত্বরে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত সরকারবিরোধী সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবারের সহিংসতার প্রতিবাদে বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতাল সত্ত্বেও কর্মসূচি পালন করা হয়।
শেখ হাসিনা গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘গবেষণাকাজে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কৃষি গবেষণায় আমরা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছি। আজ আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে এবং দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারপর আমাদের চাঁদে যেতে হবে। চাঁদে যাওয়ার জন্য আমি ইতোমধ্যে লালমনিরহাটে এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার একমাত্র লক্ষ্য জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আমার কাছে কিছুই নয়। আমি অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী হতে পারতাম। কিন্তু আমি এটা এভাবে চাইনি।’
তিনি বলেন, তিনি জনগণের কল্যাণে ক্ষমতা ব্যবহারে বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, ‘আমি যা করছি তা হলো জাতির পিতা যেভাবে দেখতে চেয়েছিলেন, সেভাবেই দেশের উন্নয়ন করা। এটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’
তিনি শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত মানুষের কথা ভুলে না যাওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ মানুষ যত বেশি উন্নত হবে, দেশের জন্য তত ভালো হবে। মুষ্টিমেয় মানুষের অগ্রগতি কাম্য নয়। এটি সর্বজনীন হতে হবে। আমাদের উন্নয়ন তৃণমূল থেকে, গ্রাম থেকে আসবে।’
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বাংলাদেশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা বার বার উল্লেখ করেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) কৃষি, দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উপর গুরুত্বারোপ করার কথা বলতেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন ব্যর্থ হবেই: আনোয়ারায় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে এবং বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার প্রতিটি বাণী হৃদয়ে ধারণ করে এবং তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা তা করতে সক্ষম হয়েছি। আমি এভাবেই করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। তবে করোনা ও যুদ্ধ গোটা বিশ্বের জন্য বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে।’
তিনি বলেন, রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এই স্বাধীনতার সুফল সবার কাছে পৌঁছে দেব। এই বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না।
তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
বঙ্গবন্ধুকে ‘ডক্টর অব লজ’ প্রদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার হৃদয়ের বিশ্ববিদ্যালয়। আমি যদি আবার ভর্তি হতে পারতাম, এখান থেকে মাস্টার্স শেষ করতে পারলে খুশি হতাম।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি বিশ্বের অনেক দেশ থেকে অনেক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এতে সন্তুষ্ট নই। আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তা পাইনি। যদিও আমাকে এখান থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়েছিল, তবে আমি যদি এখানে আবার পড়াশোনা করতে পারতাম তবে আরও ভালো হতো।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের কাছ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ (মরণোত্তর) ডিগ্রি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের উপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে টোল নিয়ে ঝুমুরের স্বপ্ন পূরণ
রমনা কালী মন্দির এলাকায় ঢাবির দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা
রাজধানীর রমনা কালী মন্দির এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শনিবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কারুশিল্প বিভাগের সৌরভ সরকার (২৫) এবং ভাস্কর্য বিভাগের সুমিত (২৩)। দু’জনই ঢাবির জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
সৌরভকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর সুমিতকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ঢাবির মেডিকেল সেন্টারে।
সিনিয়র শিক্ষার্থীরা জানান, রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে সৌরভ, সুমিতসহ বেশ কয়েকজন ঘুরতে বের হয়েছিলেন। তখন রমনা কালী মন্দির ও লেকপাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় কয়েকজনের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে সৌরভ ও সুমিতকে মারধর করে তারা। এছাড়া সৌরভের পেটে ছুরিকাঘাতও করে।
বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থীরা দু’জনকে চিকিৎসার জন্য ঢাবির মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই সৌরভকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, সৌরভ নামে ঢাবির শিক্ষার্থীকে ভর্তি (ঢামেক হাসপাতাল) রাখা হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাইকার সেমিনার অনুষ্ঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগিতায় ‘জাপানের আধুনিকায়নে শিক্ষাগত উন্নয়ন’ শীর্ষক চতুর্থ জাইকা চেয়ার লেকচার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সেমিনারটি আয়োজন করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
জাইকা ওগাতা সাদাকো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র রিসার্চ অ্যাডভাইজার ড. কায়াশিমা নোবুকো সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
তিনি তার বক্তব্যে জাপানের শিক্ষাব্যবস্থার ঐতিহাসিক উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করেন এবং বিশ্বজুড়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। এছাড়াও জাপানে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন ও প্রসারে জাপান সরকার ও বিদেশি শিক্ষকদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে পড়াশোনার জন্য পাঠাতে সরকারের ভূমিকা এবং পরে জাপানের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে ওই শিক্ষার্থীদের অবদানের কথা তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাইকার সহায়তায় প্রণীত হলো ডায়াবেটিস মেলিটাস সংক্রান্ত জাতীয় নির্দেশিকা
এ সময় তিনি যেকোনো দেশে মানসম্মত শিক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা এবং পাশাপাশি বিদেশি জ্ঞানের স্থানীয়করণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি জাপানের শিক্ষাগত উন্নয়নের দিকটি তুলে ধরে বলেন, যেভাবে শিক্ষার উন্নয়নের মাধ্যমে জাপান একটি উন্নত ও আধুনিক দেশে পরিণত হয়েছে তা প্রশংসার পাওয়ার যোগ্য।
এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে স্বনামধন্য শিক্ষকদের এনে জাপানে শিক্ষার প্রসার ঘটানো এবং জাপানি শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দেশে পাঠিয়ে তাদের জাতীয় উন্নয়নে কাজে লাগানোর প্রশংসা করেন।
এ ছাড়াও দেশের প্রাথমিক থেকে টারশিয়ারি শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে আলোচনা করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সেমিনারে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিবলী নোমান। পাঁচশোর বেশি অ্যাকাডেমিক, গবেষক, উন্নয়ন পেশাজীবী ও শিক্ষার্থী সেমিনারটিতে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে নিরাপত্তা জোরদারে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স চালু
ক্রীড়া কোটায় ঢাবিতে ৬০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক কোর্সে খেলোয়াড় কোটায় ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
খেলোয়াড় কোটায় ভর্তি কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার উপাচার্য লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চিরকুট লিখে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দক্ষ ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে খেলোয়াড় কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র সরোবরে রেস্তোরাঁকর্মীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৬
ভারী বর্ষণ: ঢাবি ছাত্রাবাসে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
ভারী বর্ষণ: ঢাবি ছাত্রাবাসে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
একদিনের বর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুটি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশ বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষণে হলে এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং ভোগান্তিতে পড়েন তারা।
হল দুটি হলো- নিউমার্কেট এলাকার আজিমপুর কবরস্থানের কাছে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল।
এদিকে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ওই হলের শিক্ষার্থীরা মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে রাজধানীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ঘটছে প্রাণহানিও
এই দুই হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- শুক্রবার ভোর থেকে হলগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
কুয়েত মৈত্রী হলের নিচতলার কয়েকটি কক্ষে পানি জমে আছে। এদিকে এ ঘটনায় নিচতলার শিক্ষার্থীদের উপরের তলায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে কুয়েত মৈত্রী হলের একটি দোকানে ফ্রিজ বিস্ফোরিত হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খাওয়ার পানির সংকটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক ছাত্র লাবন্ন তাসফি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে পড়ব কখনো কল্পনাও করিনি। গত ১২ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ নেই, খাওয়ার পানি নেই, শৌচাগারেও পানি নেই।
তিনি আরও বলেন, আজ আবার বৃষ্টি হলে কী অবস্থা হবে জানি না। তবে বৃষ্টি থামার পর থেকে পানির স্তর একই রয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ওয়াসা থেকে পানির গাড়ি ভাড়া করে এবং ক্যান্টিনে খাবার রান্না করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর থেকে নীলক্ষেত, জহুরুল হক হল প্রাঙ্গণ, সলিমুল্লাহ হল প্রাঙ্গণ ও সীমান্ত সড়ক, শামসুন্নাহার হলের কিছু অংশসহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নাজমুন নাহার বলেন, আমরা ও আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট পাচ্ছি। যেহেতু আমাদের নিয়মিত বিদ্যুৎ থাকছে না তাই আমরা পানীয় জল পাম্প করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে আমাদের কাছে যে পানীয় জল রয়েছে তা শিগগিরই শেষ হয়ে যেতে পারে। তবে আমরা ওয়াসার সঙ্গে কথা বলেছি- তারা আমাদের পানি সরবরাহ করবেন।
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। ওই এলাকা থেকে পানি সরাতে কাজ করছে সিটি করপোরেশনের তিনটি দল।
তিনি আরও বলেন, সাময়িকভাবে আমরা ওয়াসা থেকে পানির ব্যবস্থাপনা করছি।
আরও পড়ুন: বরিশালে অস্ত্রোপচার করে সুঁই বের করার সময় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
অতি বৃষ্টির কারণে চবির ২২ বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
ছাত্রলীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাবি ক্যাম্পাসের জনজীবন বিপর্যস্ত
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। সারা ক্যাম্পাস যেন 'বাসস্ট্যান্ডে' পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সারাদেশ থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীরা বাস ও মাইক্রোবাস ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। তারা তাদের গাড়িগুলো ঢাবি ক্যাম্পাসে পার্কিং করে রেখেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় ছাত্রলীগের সমাবেশ শুরু হওয়ায় সকাল থেকেই নেতা-কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আসতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য প্রহরীর মতো জেগে থাকুন: ছাত্রলীগের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ঢাবি কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়ে কবি জসিমুদ্দিন হলের খেলার মাঠ, মহসীন হলের খেলার মাঠ এবং সড়কের সর্বত্র যানবাহন পার্কিং করা হয়। এছাড়া, ক্যাম্পাসজুড়ে অবাধে জনসমাগমের কারণে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, বাইরে থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হলের ক্যান্টিনে ভিড় জমায়।
এমনকি ঢাবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা শিক্ষার্থীদের 'গণরুম' থেকে বের করে দিয়ে বহিরাগতদের হলে থাকতে দেন।
বহিরাগতদের এই বাড়তি চাপের কারণে প্রায় প্রতিটি পুরুষ হলেই রান্না করা খাবারের ঘাটতি দেখা দেয় এবং একটু দেরিতে খাবার খেতে যাওয়া ছাত্ররা ক্যান্টিন থেকে দুপুরের খাবার খেতে পারেনি।
অন্যদিকে, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ক্যান্টিনগুলোতে বহিরাগত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের খাবার রান্নার প্রি-অর্ডার নেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো খাবার রান্না করা হয়নি।
কিছু নেতা-কর্মী খাবার ও থালা-বাসন নিয়ে সমাবেশে এসে ক্যাম্পাসে রান্না করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্বস্তিকর করে তোলে।
আরও পড়ুন: খালেদার চিকিৎসার বিষয়ে আইনের বাইরে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই: কাদের
নীলক্ষেত অবরোধ করে ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সিজিপিএ শর্ত শিথিল করার দাবিতে এবং প্রতীকী ‘গণ আত্মহত্যা’ কর্মসূচি পালন করে ঢাবি কর্তৃপক্ষের বৈষম্যের প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রবিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত মিছিল বের করেন।
সাত কলেজ আন্দোলনের সমন্বয়ক তসলিম চৌধুরী বলেন, আমরা গত ১৬ আগস্ট ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ম্যামের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমরা এই প্রক্রিয়ার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। এ কারণে আমরা আবারও আমাদের দাবি আদায়ে এখানে এসেছি। আমাদের কথা না শোনা পর্যন্ত আমরা বাড়ি ফিরব না।
তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুসরণ করে একে বর্ষ থেকে আরেক বর্সে উত্তীর্ণ হতে ভারসাম্যপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান। এ ছাড়া সিজিপিএ শিথীল করে তিনটি বিষয়ে মান উন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান।
বিক্ষোভ করতে গিয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে নীলক্ষেত মোড় শহরের অন্যতম ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ মোড় হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়কসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটের আবরার হত্যা মামলার আসামি ক্লাসে যোগ দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজার মুক্তির দাবিতে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ