প্রধানমন্ত্রী
দোয়া ও বিক্ষোভ কর্মসূচি দিল হেফাজত
চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাণহানির সাথে জড়িত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া এবং গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে আগামী সোমবার দোয়া মাহফিল ও ২ এপ্রিল দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী।
হেফাজত মহাসচিব বলেন, ‘শুক্রবারের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সামনে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এর আগে শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের গুলিতে পাঁচ কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে সারা দেশে রবিবার সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডাকে দলটি।
হরতাল চলাকালে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে রিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়িসহ হালকা যানবাহন চলাচল করলেও কোনো ধরনের দুরপাল্লার যাত্রীবাহী গাড়ি চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়নি।
আরও পড়ুন: হেফাজতের হরতাল: হাটহাজারীতে সড়ক কেটে অবরোধ
হাটহাজারীতে শুক্রবার দুপুরে সংঘর্ষের পর থেকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্ররা। সেখানে শুক্রবার ইটের প্রাচীর তৈরি করে অবরোধ করলেও পরে সে দেয়াল তুলে ফেলে। রবিবার ভোর থেকে রাস্তা কেটে দিয়ে খালের মতো বিশাল লম্বা গর্ত করে অবরোধ অব্যাহত রেখেছে ছাত্ররা। এর মধ্যে শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো বিক্ষুব্ধ মাদরাসার ছাত্ররা হাটহাজারীর ডাকবাংলোতে আগুন দিয়েছে।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব শর্মা জানান, বেশ কিছু নেতা-কর্মী বিক্ষুব্ধ হয়ে ডাকবাংলোয় আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় তারা নিচ তলার স্টোর রুমে থাকা দুটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেয়।
এর আগে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষের সময় হেফাজতের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ডাকবাংলো ও স্থানীয় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কড়া নিরাপত্তায় হেফাজতের বিক্ষোভ
করোনার নতুন ধাক্কা মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশে কোভিড-১৯ মহামারির নতুন যে ধাক্কা আসছে তা মোকাবিলায় দলের নেতা-কর্মীদের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রবিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের একটা নতুন ধাক্কা আসছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই ভাইরাসের ভিন্ন রূপ এসেছে। তাই, আমরা অতীতে যেমন করেছি, এখন আবার সেই পদক্ষেপ নিতে হবে।’রবিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক সভা বা সিম্পোজিয়াম, সেমিনার বা প্রশিক্ষণ কর্মশালা সামাজিক দূরত্ব মেনে করতে হবে। যতদূর সম্ভব খোলা জায়গায় কর্মসূচি করতে হবে। সবার মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। সবাইকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’আরও পড়ুন: স্থিতিশীল দক্ষিণ এশিয়া গড়তে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রীসরকার প্রধান কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় আগের মতো আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।খাদ্য উৎপাদনখাদ্য উৎপাদনের দিকে নজর দিতে শেখ হাসিনা দেশের এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সেই জন্য সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আহ্বান জানান।তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও জানিনা করোনভাইরাস কখন যাবে। তবে জনগণ যাতে খাদ্য সংকটে না পড়েন সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে (ভালো উৎপাদনের জন্য), প্রয়োজনে আমরা অন্যান্য দেশগুলোকে সহায়তা করতে পারব।’কোভিড -১৯ টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং মানুষের জীবন রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি উপহার হিসেবে আমাদের আরও টিকা দিয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী বাকি টিকার ডোজগুলোও আমরা যথাসময়ে পেয়ে যাব।’
আরও পড়ুন:স্থিতিশীল দক্ষিণ এশিয়া গড়তে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গত ১২ বছরে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে দেশ পরিচালনা করেছি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্পন্ন করা হয়েছে।তিনি বলেন,স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পাঁচ দেশের প্রধান এসেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ২৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে শুভেচ্ছা বার্তা আমরা পেয়েছি।‘এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ২৬ মার্চ অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন, যার অর্থ কোনো অঞ্চলের কেউই বাদ নেই। এটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এটাই আমাদের সার্থকতা,’বলেন তিনি।শেখ হাসিনা বলেন, সময়ের অভাবে সব বার্তা শোনাতে পারিনি। সব বার্তা রক্ষিত আছে। এগুলো তৃণমূল পর্যন্ত প্রচার করতে হবে। তাদের শুভেচ্ছাবার্তা যেন জনসাধারণ জানতে পারে। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনকে এগুলো প্রচারে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ঈদুল ফিতরের পর স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেবে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন।এছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জামান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কোচি ও হুমায়ুন কবির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শপথ নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
স্থিতিশীল দক্ষিণ এশিয়া গড়তে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার বলেছেন, এই অঞ্চলের বৃহত্তম দেশ হওয়ায় একটি স্থিতিশীল, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া গড়তে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি পরস্পরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি তাহলে আমাদের জনগণের উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ১০ দিনের উদযাপনের সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
স্বাধীনতা দিবস: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১৭ মার্চ ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া সর্বাধিক ঘনবসতিযুক্ত অঞ্চল, কিন্তু এই অঞ্চলে বিপুল সম্পদ রয়েছে। আমরা সবাই যদি এই সম্পদগুলোর যথাযথ ব্যবহার করতে পারি তাহলে এ অঞ্চলকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের কল্যাণে সব মতপার্থক্য ভুলে একসাথে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই শুভ মুহূর্তে আসুন প্রতিজ্ঞা করি সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করব।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক কর্তৃক প্রণীত আমাদের পররাষ্ট নীতি হলো 'সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দক্ষিণ এশিয়াকে উন্নত-সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব।
ভারতের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতের সাথে বর্তমানে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘প্রতিবেশী সর্বাগ্রে’ নীতির প্রশংসা করি। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের টিকা পাঠানোর মাধ্যমে মোদিজির এই নীতিরই প্রতিফলন ঘটেছে।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শপথ নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত এখন আমাদের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য সম্প্রতি ফেনী নদীর উপর মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। এই রাজ্যগুলো এখন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে, ব্যবহার তারা করছে। সেই সাথে মোংলা বন্দরও তারা ব্যবহার করতে পারবে।’
মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
দুটি মেগা উদযাপনে যোগ দিতে দু'দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় পৌঁছেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং ভুটানের পর ঢাকায় আসা নরেন্দ্র মোদি পঞ্চম বিশ্ব নেতা।
সফরসঙ্গীসহ তিনি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে মোদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মোদির বাংলাদেশ সফরে সাধারণ মানুষ খুশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল গার্ড অব অনার দেয়।
বিমানবন্দরে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান। চারা রোপণ করার পাশপাশি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি।
এরপর তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু মানবাধিকার ও স্বাধীনতার রক্ষক: মোদি
শুক্রবার বিকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু যাদুঘর’ উদ্বোধন করবেন। সেখানে মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজ সভায় যোগ দেবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ পরিদর্শন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এরপর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলায় ওরাকান্দি মন্দির পরিদর্শন এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরিপুরে অবস্থিত যশোরেশ্বরী দেবী মন্দির পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
বিকালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এ সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাঁচটিরও বেশি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদি ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লীর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার আহ্বান মোদি-বাইডেনের
গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শপথ নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশের গণতান্ত্রিক এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে যাতে কেউ ব্যাহত করতে না পারে সে জন্য সব নাগরিককে নতুন করে শপথ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের উপহারের ১২ লাখ করোনার টিকা আসছে শুক্রবার
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপহার হিসেবে আগামীকাল আরও ১২ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা আসছে বাংলাদেশে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডিসি) পরিচালক ও মিডিয়া সেলের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার সকালে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এক লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তাব চীনের
এর আগে ২১ জানুয়ারি ভারত সরকারের ২০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা উপহার হিসেবে দিয়েছিল বাংলাদেশকে।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ‘কোভিশিল্ড’ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি হচ্ছে। এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সাথে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠানোর কথা সেরাম ইনস্টিটিউটের।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ অব্যাহত রাখুন: ডব্লিউএইচও
ভুটানে ফিরে ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইনে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীরা
ঢাকা থেকে ভুটানে ফিরে বৃহস্পতিবার ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইন শুরু করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং ও তার সফর সঙ্গীরা।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, বিমানবন্দরে পার্কিং করা গাড়িতে থাকা কোয়ারেন্টাইন সুবিধায় তিনি গন্তব্যে পৌঁছান।
প্রতিনিধিদলকেও কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার জন্য সেখানে গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়।
আগামী ২১ দিন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সব সরকারি কাজ এবং অনুষ্ঠানাদি ভার্চুয়ালি পরিচালিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ভুটানের রাজার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেন।
আরও পড়ুন: হাসিনার পাশে বসে বাংলাদেশের গল্প শুনতে এসেছি: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ সফরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে আবদুল মোমেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশের ভুটান সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায়
সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দক্ষিণ এশিয়ার নেতাদের সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই শুভ মুহূর্তে আমি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক নেতাদের এবং নীতি-নির্ধারকদের শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের অষ্টম দিনে বুধবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পিটিএ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সূচকে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশের বসবাস। এ অঞ্চলে যেমন চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তেমনি রয়েছে প্রচুর সম্ভাবনা। এ অঞ্চলের মানুষের রয়েছে অসম্ভব প্রাণশক্তি, উদ্ভাবন ক্ষমতা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে জয় করে টিকে থাকার দক্ষতা।’
তিনি বলেন, ‘পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে প্রাপ্ত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে আমরা সহজেই দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের ভাগ্যের উন্নতি করতে পারি। আমরা যদি আমাদের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য একসাথে কাজ করি, তাহলে অবশ্যই দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সুবিধার জন্য নেপালের সাথে পিটিএ চান প্রধানমন্ত্রী
‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনে নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের প্রতিজ্ঞা নিন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
মোদির বিরোধিতাকারীদের ইন্ধন দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর বিরোধিতাকারীদের ইন্ধন যোগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে ভারতবিরোধিতা ও ভারতের সাথে বৈরিতার যে রাজনীতি অনুসরণ করে আসছে, সেটি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য সহায়ক নয়।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'মঙ্গলবার দেখতে পেলাম, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব প্রশ্ন তুলেছেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী কেন বাংলাদেশে আসছেন। প্রকৃতপক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসার বিরুদ্ধে যারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে এর পেছনেও যে বিএনপি-জামায়াত, বিশেষ করে বিএনপি ইন্ধন দিয়ে আসছিল, মির্জা ফখরুল নিজেই ‘মোদি কেন আসছেন’ সে প্রশ্ন তুলে সেই ঘোমরটাই ফাঁস করেছেন।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের সম্পর্কযুক্ত সংবাদ পরিবেশনে যত্নবান থাকুন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি তাদের যে ভারতবিরোধিতার রাজনীতি সেটা থেকে ফিরে আসতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে প্রতিবেশির সাথে সুসম্পর্ক প্রয়োজন। বিশেষ করে যে দেশ দিয়ে আমাদের তিনদিক বেষ্টিত, সেই দেশের সাথে সুসম্পর্ক না রেখে আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতি সম্ভবপর নয়। বিএনপি যেহেতু বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি চায় না, সে কারণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কেন আসছেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।’
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, এ ধরণের প্রশ্ন উত্থাপন না করে বরং সঠিক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসুন, আপনারা ভারতবিরোধিতার রাজনীতি, ভারতের সাথে বৈরিতার যে রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে অনুসরণ করে আসছেন, সেটি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য সহায়ক নয়।
আরও পড়ুন:লজ্জা ভেঙে টিকা নিন: বিএনপি নেতাদেরকে তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছর থেকে আমরা যেমন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি, শেখ হাসিনা যদি অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই বিশ বছর পর আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে পারব।
সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম শাহ’র সভাপতিত্বে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া বেগম, সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারসহ অন্যান্য নেতারা সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন:গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি মঙ্গলবার শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।
ঢাকায় আসার পরই তিনি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শেরিং দর্শকদের বইয়ে স্বাক্ষর করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং দুই দেশের বন্ধুত্বের স্বীকৃতি প্রদানের ৫০তম বার্ষিকী।
আরও পড়ুন:ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায়
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটান বাংলাদেশকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
এর আগে সফরসঙ্গীসহ তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে শেরিংকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
লোটে শেরিং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসা চতুর্থ বিশ্ব নেতা।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে লোটে শেরিংকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। তাকে স্বাগত জানানো হয় ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে।
এরপর ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল গার্ড অব অনার দেয়।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ আমদানি করতে চায় ভুটান
বিমানবন্দরে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক হবে। পরে তাদের নেতৃত্বে হবে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
আলোচনার পরে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন লোটে শেরিং। পরে তিনি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুত্র মতে, ২০১৮ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণের পরে প্রধানমন্ত্রী ডা. শেরিংয়ের এটি দ্বিতীয় সফর ঢাকায়।
আরও পড়ুন:ভুটানের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে ঢাকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী