প্রতারণা
নড়াইলে ‘প্রতারকচক্রের’ ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
নড়াইলে ‘প্রতারকচক্রের’ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি পুলিশ)। বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়। এ সময় এদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মডেলের ১০টি মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন কোম্পানির ৪৮টি সিমকার্ড জব্দ করেছে পুলিশ।
এরা হলন- কালিয়া উপজেলার পাঁচগ্রাম ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের মাসুদ তালুকদারের স্ত্রী তানিয়া খাতুন, মান্নু তালুকদারের স্ত্রী লিমা খাতুন ও মহিষখোলা গ্রামের আছাদ শেখের ছেলে বাবর আলী।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বৃহস্পতিবার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আলী হোসেন জানান, প্রতারকচক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি খুলে ও অনলাইনে চটকদারি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিত।
তিনি আরও জানান, তাদের কয়েকটি বিকাশ নাম্বরের মাধ্যমে ৩০লাথ টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া গ্রেপ্তারদের নামে কালিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে তরুণী হেনস্তার ঘটনায় গ্রেপ্তার শীলার মুক্তিতে বাধা নেই
গোয়ালন্দে গরুর দুধ নিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
উন্নয়নের নামে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার: জিএম কাদের
গণতন্ত্র বাদ দিয়ে সরকার উন্নয়নের নামে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রবেশদ্বার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র চর্চা করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না: জিএম কাদের
বুধবার বনানীর দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পার্টিতে কয়েকজনের যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে জিএম কাদের আরও বলেন, তাদের দলের রাজনীতির মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা।
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু লোক উন্নয়নের নামে গণতন্ত্রের অপব্যাখ্যা করতে চায়। কারণ তারা বলে যে গণতন্ত্রের চেয়ে উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে হবে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসলে, উন্নয়নমূলক গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। এ ধরনের গণতন্ত্রের নামে জাতিকে প্রতারিত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত হবে। গণতন্ত্র নিশ্চিত হলেই জনগণের সব অধিকার নিশ্চিত হবে।
অনুষ্ঠানে পার্টির চেয়ারম্যানকে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন প্রখ্যাত চিকিৎসক মঞ্জুর-এ-খোদা।
জিএম কাদের চিকিৎসককে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সক্ষমতা জোরদারে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ ও যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ: জিএম কাদের
দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে গেছে: জিএম কাদের
চাকরি নিয়ে ‘প্রতারণা’: অভিযুক্তের বাড়িতে লাশ রেখে এলাকাবাসীর অনশন
পঞ্চগড় সদরে চাকরির জন্য দেয়া টাকা ফেরতসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে প্রতারকের বাড়িতে লাশ রেখে অনশন করছে এলাকাবাসী। তবে অভিযুক্তসহ পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া দাখিল মাদরাসার তৎকালীন সভাপতি হোটেল ব্যবসায়ী জুলফিকার আলম প্রধান দুই বছর আগে মাদরাসার লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে জাকিরুল ইসলামের বাবা দবিরুল ইসলাম প্রধানের কাছে থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা নেন। দুই মাস আগে জুলফিকারের সভাপতির সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে টাকা ফেরত দিতে চাপ দেয় জাকিরুলের পরিবার। কিন্তু তিনি কালক্ষেপন করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে এক দম্পতি
২৫ দিন আগে জাকিরুলের বাবা দবিরুল ইসলাম প্রধান আবারও জুলফিকারের কাছে টাকা ফেরত চাইলে উল্টো তাকে লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে নিজের বাড়ি গিয়েই তিনি স্ট্রোক করেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর গত ৭ আগস্ট দবিরুল আবারও স্ট্রোক করলে রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দবিরুলের লাশ জুলফিকারের বাড়িতে রেখে অনশন শুরু করেন।
এই বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত জুলফিকার আলম প্রধানের বাসায় গিয়েও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে আলোচনা করে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পাওয়া গেল বিরল প্রজাতির রেড কোরাল কুকরি সাপ
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, লাশ রেখে অনশনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গভীর রাতে উভয়পক্ষ বসে ছয় লাখ টাকা ফেরত দেয়া সাপেক্ষে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।
পঞ্চম শ্রেণি পাশ না করেই তিনি ডাক্তার!
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেহন বাজারের নুরুজ্জামান বাবুল ওরফে বাবুল। তিনি একজন কথিত চিকিৎসক।
জানা গেছে, সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে একটি ওষুধের দোকানের সঙ্গেই ডাক্তার, চেম্বারের পাশে ঝুলানো একটি সাইনবোর্ড। সেখানে লেখা, ডাক্তার নুরুজ্জামান বাবুল, ডিএমএফ ঢাকা, মেডিসিন চিকিৎসক। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রোগী দেখা হয়। এসব বলে এলাকায় মাইকিং চলে। তবে এই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে এলাকাবাসী।
বাবুলের কাছে চিকিৎসা নেয়া ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার জ্বর হয়েছিল। আমি তার কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তিনি আমাকে কিছু হাই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে দেয়। তবে আমার এক পরিচিত বড় ভাই ওষুধগুলো দেখেই খেতে বারণ করেন এবং আমাকে অন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। সেই ডাক্তারের দেয়া প্যারাসিটামল খেয়ে আমি সুস্থ হই।
আরও পড়ুন: ডাক্তার দেখানোর কথা বলে রাস্তায় ফেলে গেলেন মাকে
আরেক ভুক্তভোগী রাবেয়া খাতুন বলেন, আমি মাথা ব্যথার কথা জানিয়ে তার কাছে ওষুধের পরামর্শ চাই। তিনি অনেকগুলো ওষুধ লিখে দেয়। তবে সুস্থতার বদলে আমি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে শহরের এক মেডিসিন ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। সেই ডাক্তার পূর্বের খাওয়া সব ওষুধ ভুল ছিল জানায়।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী আলতাফুর জানান, বাবুল আমাদের সামনেই বড় হয়েছে। আমরা জানি ও প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পার হয়নি। তাই আমরা তার কাছে চিকিৎসা নেই না। তবে অনেকে অজান্তে চিকিৎসা নিতে এসে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। চিকিৎসার মত এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সাবধান থাকা উচিত। দ্রুত এই ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে যেকোন বড় বিপদ হতে পারে।
এই বিষয়ে ডাক্তার পরিচয়দাতা বাবুলকে ডাক্তারি পড়ালেখা বা কোন প্রকার প্রশিক্ষণের কাগজ দেখতে চাইলে নেই বলে অকপটে স্বীকার করেন বাবুল। সেই সঙ্গে চেম্বারের পাশে থাকা ওষুধের দোকানের লাইসেন্সও নেই বলে স্বীকার করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডাক্তার দেখানোর কথা বলে রাস্তায় ফেলে গেলেন মাকে
অভিযুক্ত বাবুল বলেন, যেখানে ব্যানার করছি সেখানে তারা ভুল করে ডাক্তার লিখে ফেলছে। তাছাড়া এই এলাকার আশেপাশে কোনেরা ডাক্তারও নেই। তাই আমি যা চিকিৎসা দিচ্ছি তাতে মানুষের উপকার হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, চিকিৎসার মত স্পর্শকাতর বিষয়ে কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই। বিষয়টি জানা ছিল না। দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চাকরির প্রলোভনে প্রতারণা, আটক ২
চুয়াডাঙ্গায় চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় মূল অভিযুক্তের কাছ থেকে নগদ ১৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুক্তিপাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন-আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের কাবিলনগর গ্রামের মৃদুল হোসেনের ছেলে রাশেদুজ্জামান শান্ত (৩৫)এবং তার সহযোগী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মাবিলা ইউনিয়নের পিরোজখালী গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে কাঠমিস্ত্রি বিল্লাল হোসেন।
এর আগে খাসকররা ইউনিয়নের কাবিলনগর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল লতিফ অভিযুক্ত শান্তর নামে ডিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শান্তকে সহযোগীসহ আটক করে ডিবি পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ওএমএসের কার্ডের প্রলোভন: আইনজীবীর অর্থদণ্ড
জানা গেছে, অভিযুক্ত শান্ত দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে এনএসআইয়ের ফিল্ড অফিসার পরিচয় দিয়ে নিজের আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্নজনের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার নামে নগদ অর্থ হাতিয়ে আসছিলেন। তিনি মূলত বিজিবিতে কুক পদে চাকরি করতেন। কিন্তু বেশ কয়েক বছর আগে অনিয়মের অভিযোগে তার চাকরি চলে যায়। এরপর থেকে তিনি নিজ গ্রামসহ সবার কাছে নিজেকে এনএসআইয়ের ফিল্ড অফিসার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন বড় অফিসারের সঙ্গে নিজের সখ্যতার কথা বলে এবং আর্মির মেজর সেজে চাকরির প্রলোভনে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একটি চক্র গড়ে তুলে চাকরি দেয়ার নামে নগদ টাকাও গ্রহণ করতেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েই আমরা অভিযান পরিচালনা করি। চুয়াডাঙ্গা শহরের মুক্তিপাড়া থেকে প্রতারক শান্ত ও তার সহযোগী কাঠমিস্ত্রি বিল্লালকে আটক করা হয়েছে। এসময় শান্তর কাছ থেকে চাকরির দেয়ার নামে বিভিন্নজনের কাছ থেকে নেয়া নগদ ১৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা উদ্ধারও করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রায় ১০-১২ জন ভুক্তভোগী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরা সবার অভিযোগগুলো খুব গুরুত্ব সহকারে দেখব। এছাড়া শান্তর পুরো সিন্ডিকেট শনাক্তে ও আটকে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে যুবককে অপহরণ
সেনাবাহিনীতে চাকরির প্রলোভন, বগুড়ায় গ্রেপ্তার ৪
বগুড়ায় নকল স্বর্ণের মূর্তি দিয়ে প্রতারণা: গ্রেপ্তার ২
বগুড়ার কাহালুতে নকল স্বর্ণের মূর্তি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের সাবানপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সাবানপুর গ্রামের আনিসারের স্ত্রী ফরিদা পারভীন (৩৫) এবং গাইবান্ধা জেলার সাঘাট উপজেলার চিনের পুটুল গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুল জব্বার(৫৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১২ বগুড়ার স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, কাহালুতে নকল স্বর্ণের মূর্তি নিয়ে প্রতারণা চলছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সাবানপুর গ্রাম থেকে নকল স্বর্ণের মূর্তিসহ ফরিদা ও জব্বারকে গ্রেপ্তার করে কাহালু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় কষ্টিপাথরের ২টি শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি উদ্ধার
সরাইলে দিঘী থেকে কাঠের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার
বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার আহ্বান
বেলজিয়ামের বাংলাদেশের দূতাবাস, লুক্সেমবার্গের গ্র্যান্ড ডাচি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশন বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছে, যারা ব্রাসেলসের বাংলাদেশ দূতাবাসের নামে অপরাধ করছে তাদের সম্পর্কে সচেতন হতে।
সোমবার এক বিবৃতিতে ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, দূতাবাসের নামে একটি ভুয়া আইএমও অ্যাকাউন্ট খুলে প্রবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা ও অপরাধ করার চেষ্টা করছে একটি দল।
দূতাবাস বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে বাংলাদেশি কমিউনিটিকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: শ্রমবাজার সম্প্রসারণে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
পিবিআই পরিচয়ে প্রতারণা, যুবক আটক
গাজীপুরের টঙ্গী থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিচয় দেয়া এক প্রতারককে আটক করা হয়েছে। রবিবার (১৫ মে) রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকায় তাকে আটক করা হয়।
আটক মো. আরিফের (২০) বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার মহেশপুর গ্রামে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জিএমপি উপকমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানার অভিযানে থানাধীন সফিউদ্দিন একাডেমি রোডে অভিযান চালিয়ে পিবিআই লেখা সংবলিত জ্যাকেট, বাংলাদেশ পুলিশ লেখা সংবলিত মাস্ক এবং পুলিশ ইউনিফর্মে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রতীকসহ ভুয়া পিবিআই পুলিশ মো. আরিফকে (২০) আটক করা হয়।
আটক প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
পড়ুন: রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৪৯
দর্শনা থানার নামে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা, যুবক কারাগারে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার নাম ও ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে অপপ্রচারের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে বিকাল ৫টার দিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জোহরা খাতুন কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার তাহসিন তুহিন (২৪) ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের তাহাজ্জেল আলীর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে দর্শনা থানার নাম ও ছবি ব্যবহার করে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলেন তুহিন। পরে ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর দর্শনা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পরোয়ানাভুক্ত ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। ওইদিন আসামিদের ছবিসহ দর্শনা থানার ফেসবুকে পোস্ট দেয়া হয়। গত ৫ এপ্রিল বিকালে ওই পোস্টে মন্তব্য করেন তুহিন।
শনিবার (৯ এপ্রিল) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিম জব্দ করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর মোবাইলে দর্শনা থানার নামে খোলা ভুয়া আইডিটি সচল ছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হাসান জানান, আসামির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তির নাম ও ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইডি খুলে ও আইডি হ্যাক করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।
পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে বাসের ভেতর থেকে সুপারভাইজারের লাশ উদ্ধার, চালক আটক
রাজশাহীতে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিদ্যুৎ অফিসে ঘেরাও, ২ কৃষক আটক
ঝিনাইদহে ‘জ্বীনের বাদশা চক্র’ এর ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহ শহরে মোবাইল ফোনে প্রতারণার মধ্যমে এক নারীর কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বণার্লাংকার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ‘জ্বীনের বাদশা চক্র’ এর চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের মিন্টু পদ্দারের ছেলে রায়হান হোসেন (২৫) ও তুহিন হোসেন (২০), একই গ্রামের আজল হকের ছেলে জিয়াউর রহমান (২২) ও শাকপালা গ্রামের নারায়ন দাসের ছেলে মিলন দাস (৩৫)।
শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: যশোরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
পুলিশ সুপার জানান, গত বছরের ৩ নভেম্বর উপজেলার খাজুরা গ্রামের ভুক্তভোগী রেনুকা খাতুনকে গভীর রাতে মোবাইলে কল দেয় ওই প্রতারক চক্র। রেনুকার বাড়ির পাশের পুকুরে সাত কলস স্বর্ণ রাখা আছে, সেটা পেতে হলে জায়নামাজ ক্রয়ের জন্য হাদিয়া স্বরূপ ৫৬০ টাকা দাবি করে তারা। রেনুকা খাতুন নগদ একাউন্টের মাধ্যমে টাকা দেন। পরে তার কাছ থেকে চার ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই চক্র। প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে ওই নারী গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, মামলা দায়েরের পর ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল বিকাশ ও নগদ একাউন্টের সূত্র ধরে প্রতারকদের চিহ্নিত করে অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের দুর্গম এলাকা থেকে ওই চার জনকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার