প্রতারণা
দূতাবাসে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১
লোভনীয় বেতনে বিভিন্ন দূতাবাস ও প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রবি পল গোমেজ (৫৩) নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার লাফন গোমেজের ছেলে।
শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডি জানায়, প্রতারণার শিকার এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে ভাটারা থানায় একটি মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির প্রতারণার মামলা: তাহসান খানের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, মহানগরীর ভাটারা থানাধীন নূরের চালা এলাকায় আরএস এন্টারপ্রাইজ নামক অফিস দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করত রবি ও তার সহযোগীরা।
তারা সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরি দেয়ার কথা বলে ভুক্তভোগী হাশেম মিয়ার কাছ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা নেয়।
এভাবে অনেককে তাদের কোম্পানির ব্যাংক চেক দেয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। পরে তাদের চাকরির কোনো ব্যবস্থা না করে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায় প্রতারক চক্র।
সিআইডি ঢাকা মেট্রোপলিটন (দক্ষিণ) জানিয়েছে, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয়ে প্রতারণা: মেম্বার প্রার্থী গ্রেপ্তার
ইভ্যালির প্রতারণার মামলা: তাহসান খানের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
ইভ্যালির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় হাইকোর্টে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন গায়ক- অভিনেতা তাহসান খান।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আগাম জামিনের আবেদন জানালে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। তাহাসান খান ই-ভ্যালির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
তার জামিন আবেদনের শুনানিকালে আদালত বলেন, সেলিব্রেটিদের দায়িত্ব অনেক বেশি। তাদের দেখে সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ইভ্যালিতে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা গচ্চা গেছে। এ কারণে বিজ্ঞাপনের মডেল বা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে সেলিব্রিটিদের আরও সতর্ক হতে হবে।
আদালতে তাহসান খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহিউদ্দিন দেওয়ান। এর আগে বুধবার এ মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন অভিনেতা-গায়ক তাহসান খান।
একই মামলায় হাইকোর্ট গত ১৩ ডিসেম্বর অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার হতে পারেন তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া
ইভ্যালির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এই মামলাটি করেন। মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইভ্যালির শুভেচ্ছাদূত ছিলেন তাহসান খান। মিথিলা ছিলেন ইভ্যালির ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছাদূত। আর শবনম ফারিয়া ছিলেন ইভ্যালির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা। তাদের উপস্থিতি এবং বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তায় আস্থা রেখেই বিনিয়োগ করেন বলে দাবি করেন মামলার বাদী সাদ স্যাম রহমান। তারা প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করতে সহায়তা করেছে। আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ তিন লাখ ১৮ হাজার। যা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির প্রতারণা: আগাম জামিন চেয়ে আবেদন মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার
ইভ্যালির প্রতারণা: মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন
সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয়ে প্রতারণা: মেম্বার প্রার্থী গ্রেপ্তার
সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে গাইবান্ধায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং ইউপি নির্বাচনে একজন মেম্বার প্রার্থী।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, আব্দুর রাজ্জাক নিজে ক্যাপ্টেন পরিচয়ে সাগর চৌধুরী নামে ফেসবুক আইডি খোলেন। এই সুত্রে তার সঙ্গে জর্ডান প্রবাসী ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মোছা.উম্মে কুলছুম জাহানের সঙ্গে পরিচয় হয়।
এক পর্যায়ে ওই মহিলার ভাই তৌফিক প্রধানকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে বিকাশের মাধ্যমে তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তিনি চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়। পরে তিনি বুঝতে পারেন যে ক্যাপ্টেন সাগর চৌধুরী নিজের পরিচয় গোপন করে প্রতারণা করে আসছে।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হলে গাইবান্ধা ডিবি পুলিশ প্রতারক ও ভুয়া ক্যাপ্টেন আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: প্রতারণার মামলায় সাহেদের বিচার শুরু
ইভ্যালির প্রতারণা: মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন
ইভ্যালির প্রতারণা: মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আট সপ্তাহ পর তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিন বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
সোমবার সশরীরে হাজির হয়ে তারা আগাম জামিনের আবেদন জানালে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।
আদালতে মিথিলার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক। এবং শবনম ফারিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা। জামিন শুনানি শুরুর আগে বিকেল ৩টার দিকে তারা আদালতে হাজির হন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির প্রতারণা: আগাম জামিন চেয়ে আবেদন মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার
উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগের ব্যাপারে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানান, মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা তার তিন লাখ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাতে সাহায্য করেছে। তার টাকা তিনি এখনো উদ্ধার করতে পারেননি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে মামলা করেছেন। এ মামলায় অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া আগাম জামিন চেয়ে রবিবার হাইকোর্টে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার হতে পারেন তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া
অনন্য মামুনের পরিচালনায় নিরব-মিথিলার চলচ্চিত্র ‘অমানুষ’-এর শুভমুক্তি ডিসেম্বরে
ইভ্যালি’র এমডি’র বিরুদ্ধে বরিশালে চেক প্রতারণার ৩ মামলা
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে বরিশালে তিনটি চেক প্রতারণা মামলা হয়েছে। রবিবার বরিশাল অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক পৃথক তিনটি মামলা আমলে নিয়ে সমন জারি করে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারি চারচিল ও বাদী পক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান।মামলা সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের বাসিন্দা নিলয় শরীফ মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, সাদিকুর রহমান সুরুজ দুই লাখ ৭১ হাজার টাকা এবং মো. ফেরদাউস এক লাখ ৭৪ হাজার টাকা ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের কাছে দেন। এর বিপরীতে চেক দেয়া হয়। কিন্তু চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে সেই চেক ফেরত দেয় ব্যাংক কতৃপক্ষ।পরে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে টাকা ফেরত চেয়ে লিগাল নোটিশ করা হলেও কোনো সদুত্তর না মেলায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন নিলয়, সুরুজ ও ফেরদাউস।
আরও পড়ুন: সাভারে ইভ্যালির ৪ ওয়্যার হাউজ সিলগালা করেছে পরিচালনা কমিটি
ইভ্যালির গ্রাহকরা ৬ মাস পাওনার জন্য বোর্ডকে চাপ দিতে পারবেন না: হাইকোর্ট
প্রতারণা এড়াতে আসল ওয়েবসাইট ভিজিটের আহ্বান দারাজের
ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, (ইউএনবি)- কেনাকাটার সময় প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচতে সকল গ্রাহক ও ক্রেতাদের দারাজ বাংলাদেশের আসল ওয়েবসাইট ভিজিট করার আহ্বান জানিয়েছে দারাজ বাংলাদেশ (https://www.daraz.com.bd/) কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ডিএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (সিটিটিসি) প্রতারণার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী,আটক ব্যক্তি দারাজ বাংলাদেশের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট বানিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। দারাজ বাংলাদেশের মূল ওয়েবসাইটের অনুকরণে দারাজ ডট সিএল ডোমেইন নামে ভুয়া ওয়েবসাইট ও ‘দারাজ বাংলাদেশ’ নামে ভুয়া ফেসবুক পেজ বানিয়ে ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করা হতো ও অবৈধ পণ্য বিক্রি করা হত, যার ফলে দারাজের যথেষ্ট সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে এবং ক্রেতারা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের প্রতি আংশিকভাবে আস্থা হারিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই প্রতারক চক্র ক্রেতাদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন এমএফএস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করতো এ চক্র।
আরও পড়ুন: দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে রেকর্ড
এর প্রেক্ষিতে দারাজ বাংলাদেশ সকল ক্রেতাদের সন্দেহজনক কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার ও দারাজের মূল ওয়েবসাইট ভিজিট করার অনুরোধ জানিয়েছে।
দারাজ সবসময় দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সঠিকভাবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণার বিপরীতে দারাজ ইতোমধ্যেই বনানী থানায় মামলা করেছে।
দারাজের মাধ্যমে প্রতারণার কোনো সুযোগ নেই। দারাজের https://www.daraz.com.bd/ শুধুমাত্র এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই ক্রেতারা পণ্য অর্ডার করতে পারবেন। এবং দারাজ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হচ্ছে- https://www.facebook.com/DarazBangladesh।
এ ব্যাপারে দারাজ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস বলেন, “ডিএমপি’র সিটিটিসি ইউনিট থেকে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি, আমরা এর সাধুবাদ জানাই। আমাদের ক্রেতা ও ই-কমার্স খাতের জন্য ইতিবাচক ফলাফল নিশ্চিতে দারাজ ডিএমপি’কে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। দারাজ এর ক্রেতাদের সবসময় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এবং তাদের জন্য নিরাপদ শপিং নিশ্চিত করাকে আমরা অগ্রাধিকার দেই। আমরা আমাদের সকল ক্রেতাদের দারাজের মূল ওয়েবসাইট ভিজিট করার এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে সঠিক চ্যানেল ব্যবহারের অনুরোধ করছি।”
ডিএমপি’র সিটিটিসি ইউনিট থেকে তাদের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেন- “সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণায় এখন অভিনব নানা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতারকরাও সময়ের সাথে সাথে স্মার্ট হয়ে উঠছে। সবাইকে এখন এসব ট্রেন্ডের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং কোনো সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আসল ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।”
আরও পড়ুন: দারাজের বৃহত্তম ওয়ান-ডে সেল ১১.১১ ক্যাম্পেইন চলছে
দারাজ:
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ, অসংখ্য বিক্রেতাকে লক্ষাধিক ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করেছে। একশো’রও বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষণিক এবং সহজ সুবিধাদানের সাথে সাথে প্রতি মাসে ২০ লাখেরও বেশি পণ্য বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ।
দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একইসাথে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস এবং কমিউনিটি। দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারেরও বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে। দারাজ বিভিন্ন লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলোকে মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান এবং নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে।
২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যেকোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ গর্বের সাথে কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে, দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন ‘ইলেভেন ইলেভেন’ এর জন্য প্রস্তুত দারাজ
৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে মোহাম্মদ মুছা নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার আশরাফ আলী রোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার মোহাম্মদ মুছা নগরীর খুলশী থানার হীল সাইড আবাসিক এলাকার রৌশন টাওয়ারের হাজী খায়ের আহম্মদের ছেলে।সিএমপির খুলশী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ‘মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর করা ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলার আসামি ছিলেন মোহাম্মদ মুছা। গাড়ি ব্যবসার আড়ালে তার ছেলে মাসুদ পারভেজকে দিয়ে এসব প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি। তাকে আগামীকাল শুক্রবার আদালতের কাছে সোপর্দ করা হবে।
আরও পড়ুন: টাকা আত্মসাৎ মামলায় চট্টগ্রামে হেফাজত নেতা কারাগারে
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টেস্ট ম্যাচকে ঘিরে ৭ স্তরের নিরাপত্তা
এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণা: আটক ৩
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি)পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দারা। রবিবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার সকালে ঢাকার উত্তরা, গাজীপুরের পুবাইল ও নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ এলাকায় একাধিক অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল তাদের আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, টঙ্গী সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র করিমুল্লাহ, মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আল রাফি টুটুল ও হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবদুল্লাহ আল মারুফ।
আরও পড়ুন: ছয়তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী’র আত্মহত্যা
দলটি বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্ন প্রদানের জন্য মেসেঞ্জার ও ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে বিজ্ঞাপন দিত।
এই প্রতারক চক্রের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপের ফলোয়ারের সংখ্যা ৪৭ হাজার বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
আটককৃতরা পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ৫০০-২০০০ টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র দেয়ার আশ্বাস দেয় এবং এই আশ্বাসে তারা নগদ, বিকাশ, রকেটের মাধ্যমে অগ্রিম টাকা গ্রহণ করে।
এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: হলে স্মাটফোন ব্যবহার: এসএসসি পরীক্ষা থেকে ৪ শিক্ষক বহিষ্কার
বিয়ের নামে প্রতারণা: চট্টগ্রামে এসআই’র বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীর মামলা
বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে পুলিশের উপ পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক কলেজছাত্রী।অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য তাওহিদুল ইসলাম কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। বর্তমানে তিনি বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই হিসাবে কর্মরত। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বায়োজিদ বোস্তামী থানার এসআই হিসেবে কর্মরত।বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী তরুণী (১৮)। তিনি নগরীর একটি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: প্রতারণা মামলায় আদিয়ান মার্টের সিইওসহ ৩ জন রিমান্ডেআদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন।বাদীর আইনজীবী রুবেল পাল বলেন, এসআই তাওহিদুল ইসলাম বিয়ে হয়েছে বলে ‘মিথ্যা কাবিননামা’ দেখিয়ে আমার মক্কেলের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও প্রতারণার করেছে। এ অভিযোগ আদালতে মামলা হয়েছে।ওই তরুণী আদালতকে জানায়, ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তার বাসায় গৃহশিক্ষক ছিলেন তাওহিদুল ইসলাম। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তরুণীকে চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় নিয়ে গিয়ে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ৫২৬২/১৮ ও ৫২৬৩/১৮ নম্বর হলফনামা সম্পাদন করেন তাওহিদুল।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে চাকরির লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা: গ্রেপ্তার ৩বিয়ের যৌথ হলফনামা সম্পাদনের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের বিশ্বাস তৈরি করে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন সময় অভিযোগকারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন তাওহিদুল। এক পর্যায়ে তাওহিদুল পুলিশের এসআই পদে চাকরি পান। ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল সারদা পুলিশ একাডেমিতে বহিরাগত ক্যাডেট এসআই’র প্রশিক্ষণে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তারা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে চলাফেরা করেন। সারদায় প্রশিক্ষণে যাওয়ার পর এক বছর তাদের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ৯ জুলাই প্রশিক্ষণ শেষে এসআই হিসেবে যোগদানের পর থেকে বিয়ের হলফনামা সম্পাদন থেকে শুরু করে সব সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে আসছেন তিনি।’
টাকা আত্মসাৎ মামলায় চট্টগ্রামে হেফাজত নেতা কারাগারে
এহসান সোসাইটি নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে কয়েকশ' গ্রাহকের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ছলিম উল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক কামরুন নাহার রুমি আদালতে হাজির হলে তার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী শেখ আল জাবেদ বলেন, ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ও সুদমুক্ত প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে বিভিন্ন গ্রাহকের পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় ছলিম উল্লাহ রবিবার আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত আবেদন নাকচ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা মুহিবুল্লাহ
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভা সদরে ‘এহসান সোসাইটি’ নামে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ছলিম উল্লাহ দেড় হাজার মানুষকে মোটা অংকের লাভের লোভ দেখিয়ে ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ও সুদমুক্ত প্রতিষ্ঠান উল্লেখ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মাওলানা ছলিম উল্লাহসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন গ্রাহক আসাদুজ্জামান। ওই মামলায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে মাওলানা ছলিম উল্লাহসহ অন্যরা গা ঢাকা দেয়।
প্রতারিত গ্রাহকদের মধ্যে নাজিরহাট কুম্ভরপাড়া গ্রামের মো. হারুনের লভ্যাংশসহ পাওনা ১৩ লাখ টাকা, দৌলতপুরের এবিসি এলাকার এয়াকুবের আট লাখ, মাওলানা ছলিম উল্লাহ’র নিজের বাড়ির জাহেদুল আলমের চার লাখ, দৌলতপুরের আবদুল মান্নানের ২০ লাখ, নাজিরহাট বাজারের ন্যাশনাল ফার্মেসির মালিক মোস্তফার নয় লাখ, জান্নাত হোটেলের মালিক জাকির সওদাগরের পাঁচ লাখ টাকা।
প্রতারিত গ্রাহক ও মামলার বাদী আসাদুজ্জামান অভিযোগ করেন, মাদ্রাসার একজন শিক্ষক হয়েও চট্টগ্রাম শহর ছাড়াও কক্সবাজার ও ফটিকছড়িতে অসংখ্য বিলাসবহুল আবাসিক ভবন ও ভূসম্পদের মালিক ছলিম উল্লাহ। বিভিন্ন ব্যাংকে সঞ্চিত রয়েছে তার মোটা অঙ্কের টাকা।
আরও পড়ুন: হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী মারা গেছেন
হাটহাজারীতে তাণ্ডব: হেফাজত নেতা নাসির উদ্দিন মুনির গ্রেপ্তার