প্রতারণা
ইভ্যালির চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা
ইভ্যালির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।
পল্টন এলাকার জুনায়েদুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম শুক্রবার ধানমন্ডি মডেল থানায় মামলাটি করেছেন বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি ও ই অরেঞ্জের মতো ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
আসামিদের মধ্যে আছেন, ইভ্যালির ভাইস প্রেসিডেন্ট আকাশ, সিনিয়র অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার তানভীর আলম, ম্যানেজার জাহেদুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ জাওয়াদুল হক চৌধুরী।
উল্লেখ্য, এর আগে শামীমা এবং কোম্পানির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগ এনে ইভ্যালির গ্রাহক আরিফ বাকের রাসেল গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অপরাধ তদন্ত শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ২ আগস্ট একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সাধারণ চিঠির মাধ্যমে ইভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের পরিচালিত সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার নির্দেশ দেয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা অধিদপ্তরও গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালির দ্বারা ‘প্রতারণা’র অভিযোগ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ হচ্ছে, তারা ভোক্তাদের প্রতিষ্ঠানের ই-ওয়ালেটে টাকা জমা দিতে বাধ্য করেছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
ঢাকার একটি আদালত ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে শুক্রবার তিন দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এই দম্পতিকে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম মো.আতিকুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে এই আদেশ দেন। এর আগে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ই-কমার্স কোম্পানির গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নেয়া কয়েকশ’ কোটি টাকার অপব্যবহার এবং পণ্য সরবরাহ না করে তাদের প্রতারিত করার অভিযোগে রাসেল ও শামীমার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানিয়েছেন, ইভ্যালির এক হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ রয়েছে।শুক্রবার এলিট ফোর্সের সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও মিডিয়া শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন এই তথ্য প্রকাশ করেন।
শামীমা এবং কোম্পানির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগ এনে ইভ্যালির গ্রাহক আরিফ বাকের রাসেল গুলশান থানায় একটি মামলা করার পর এই দম্পতিকে আটক করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই ) অহিদুল ইসলাম জানান, টাকা আত্মসাত ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইভ্যালির চেয়ারম্যান পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
এছাড়া,বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অপরাধ তদন্ত শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ২ আগস্ট একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সাধারণ চিঠির মাধ্যমে ইভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের পরিচালিত সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার নির্দেশ দেয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা অধিদপ্তরও গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালির দ্বারা ‘প্রতারণা’র অভিযোগ পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ হচ্ছে, তারা ভোক্তাদের প্রতিষ্ঠানের ই-ওয়ালেটে টাকা জমা দিতে বাধ্য করেছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
প্রতারণার অভিযোগে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগিব হাসান ও তার সহযোগীকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব সূত্র জানায়, বিকালে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এ ব্যাপারে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: রিফাত হত্যা মামলার আসামি মুসা বন্ড গ্রেপ্তার
সূত্রে জানা যায়, এক সময় মসজিদের ইমাম রাগিব মাল্টি-লেভেল-মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানিতে যোগদান করেন এবং তিনি পিরোজপুরে অবস্থিত এহসান গ্রুপ অব কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রথমে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি দিয়ে শুরু করে, পরে তিনি গ্রুপের নামে ১৭টি সংস্থা গঠন করেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ‘জেএমবি’র চার সদস্য গ্রেপ্তার: অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার
উল্লেখ্য, ইসলামী শরিয়াহ আইন অনুযায়ী কোম্পানি চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এবং তাদের উচ্চ মুনাফার আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করায় এই গ্রুপের বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে ইভ্যালির চেয়ারম্যান-পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
সিরাজগঞ্জে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরের দিকে কামারখন্দ উপজেলার কোনাবাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক রাজ নামে এক গ্রাহক বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরা এর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত এ মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার কাছে পণ্য পৌঁছাবে ইভ্যালির 'এসএমই ডিল
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ইভ্যালি থেকে চলতি বছরের ৪ মে একটি টেলিভিশন, পেনড্রাইভ, আয়রন মেশিনসহ পাঁচটি পণ্য অর্ডার করেন। ওই সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী পণ্য অর্ডারের ৭ থেকে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও ডেলিভারি দেয়া হয়নি। অর্ডারকৃত ওই পণ্যের মূল্য ৫০ হাজার ৭৩৭ টাকা।
নিদিষ্ট সময়ে পণ্য হাতে না পেয়ে ওই সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিকসহ তিনজন ৫ দিনের রিমান্ডে
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মঞ্জুরুল ইসলাম সোহাগ সাংবাদিকদের জানান, বিজ্ঞ আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও কাগজপত্র বিবেচনা করে মামলা আমলে নিয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিরাজগঞ্জকে মামলা তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
ই-অরেঞ্জের মালিকসহ তিনজন ৫ দিনের রিমান্ডে
প্রতারণা করে গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ তিনজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর আসামি হলেন- ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহ।
সোমবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়ার আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম তিন আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে করোনা সার্টিফিকেট প্রতারণা চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় আমান উল্যাহকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা এবং গাড়ি জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ মাস্ক নিয়ে প্রতারণা, সিলেটে দারাজকে জরিমানা
মামলা দায়েরের পরই গত ১৭ আগস্ট সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমান আদালতে এসে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ১৭ আগস্ট সকালে মামলাটি দায়ের করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক।
আরও পড়ুনঃ ফেনীতে স্বর্ণের বার লুট: ডিবির ওসি ফের ৪ দিনের রিমান্ডে
জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেন না হেলেনা জাহাঙ্গীর
পল্লবী থানায় দায়ের করা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো.নোমানের আদালত এ আদেশ দেন। কিন্তু তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না।
হেলেনা জাহাঙ্গীরের পক্ষে জামিন আবেদন করে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ২০ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিনের আদেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ ১৪ দিনের রিমান্ডে হেলেনা জাহাঙ্গীর
তবে এ মামলায় জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না হেলেনা জাহাঙ্গীরের। কারামুক্ত হতে হলে তাকে পল্লবী থানার প্রতারণা মামলা, গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এবং মাদক মামলায় জামিন পেতে হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
মামলায় অভিযোগ, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও তার দুই সহযোগী হাজেরা খাতুন ওরফে অনি এবং সানাউল্লাহ নুরী ও অন্যান্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে সরকারের অনুমোদন না থাকার পরও জয়যাত্রা টিভি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল দাবি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ করে মোটা অংকের টাকা জামানত হিসেবে গ্রহণ করে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছিলেন ।
আরও পড়ুনঃ পরীমণি, পিয়াসা ও হেলেনাসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নম্বর রোডের ৫নম্বর বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’-এ অভিযান পরিচালনা করে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে (৪৯) আটক করা হয়।
অভিযানে বিদেশি মদ, ক্যাঙ্গারুর চামড়া, হরিণের চামড়া, মোবাইলফোন, চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। পরবর্তী সময়ে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে বিটিআরসির সহযোগিতায় মিরপুরে অবস্থিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়। পরে পৃথক চার মামলায় তার ১৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
১৪ দিনের রিমান্ডে হেলেনা জাহাঙ্গীর
পৃথক চার মামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীরের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনূর রহমান পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণা ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চার দিন করে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুনঃ আ’লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর আটক
গুলশান থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মাদক মামলায় তিনদিন করে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী।
গত ৩০ জুলাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে আরও ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ গাবতলী থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের দুই ‘সহযোগী’ গ্রেপ্তার
এদিন পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলাতেও হেলেনা জাহাঙ্গীরের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
এছাড়া, গত ৩১ জুলাই মাদক মামলায় পাঁচ দিন এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।
পল্লবী থানায় দায়ের করা দুই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তবে, গুলশান থানার দুই মামলায় ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
আরও পড়ুনঃ হেলেনা জাহাঙ্গীর, সেফুদা ও কালো মিডিয়া
হেলেনা জাহাঙ্গীরের পক্ষে শফিকুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পৃথক চার মামলায় তার ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে (৪৯) গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গাবতলী থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের দুই ‘সহযোগী’ গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া ও গ্রেপ্তার হওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরের অন্যতম দুই ‘সহযোগী’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন, হাজেরা খাতুন (৪০) ও সানাউল্ল্যাহ নূরী (৪০)।
আরও পড়ুনঃ হেলেনা জাহাঙ্গীর, সেফুদা ও কালো মিডিয়া
ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে গত ২৯ জুলাই রাজধানীর গুলশান-২ থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আওয়ামী লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর তিন দিনের রিমান্ডে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেলেনা জাহাঙ্গীরের প্রতারণার কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৪ এর অভিযানে মঙ্গলবার ভোরে গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরের অন্যতম এই দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় দুটি ল্যাপটপ এবং দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ আ’লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর আটক
র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাজেরা ও সানাউল্ল্যাহ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মানিকগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস পরিচয়ে প্রতারণা, আটক ১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস-২ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মানিকগঞ্জে মো রুবেল মিয়া ওরফে শাওন (৩৬) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছেন র্যাব-৪।
শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক রুবেল মিয়া হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে অশ্লীল ছবি ধারণকারী প্রতারক চক্রের ৬ সদস্য আটক
শুক্রবার দুপুরে-৪ এর মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার এএসপি উনু মং আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে মানিকগঞ্জ এলাকায় নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ পরিচয় দিয়ে মো. রুবেল মিয়া বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ ত্রাণ বিতরণ করার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে আসছিল।
এ ছাড়া আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গণভবন থেকে নৌকা প্রতিক জেলা পর্যায়ে দলীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেয়ার আশ্বাস দিয়েও মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে আসছিল। সম্প্রতি ফরিদপুরে একটা খেলার অনুষ্ঠানে বিতরণের জন্য শহরের ইলেকট্রনিকের মালিক তৌফিক খানের কাছে টেলিভিশন দাবি করেন।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার বেতিলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও ভূয়া ভিজিটিং কার্ড পাওয়া গেছে।
উনু মং বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের আটক ব্যক্তি প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় ইলেকট্রনিকের মালিক তৌফিক খান বাদি হয়ে থানায় মামলা করবেন বলে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জে প্রতারণার মামলায় ইসলামী আন্দোলনের নেতা মহিবুল্লাহ গ্রেপ্তার
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মহিবুল্লাহকে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার করেছে সদর থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহা উদ্দিন ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুফতি মহিবুল্লাহ মহিব (৫০) ওই গ্রামের মো. রহমতুল্লাহর ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহা উদ্দিন ফারুকী জানান, সিরাজগঞ্জ শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কামারখন্দ উপজেলার নয়াচালা গ্রামের ভাজন আলী শেখের ছেলে মো. আলমগীর হোসেনের (৩০) কাছ থেকে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর ৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা নেন মহিবুল্লাহ। পরবর্তীতে চাকরি দিতে না পারায় আলমগীর হোসেন টাকা ফেরত চাইলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সিরাজগঞ্জ শাখার একটি চেক প্রদান করেন মহিবুল্লাহ। ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা তিনি আলমগীরকে ফেরত দেন এবং চেকের পেছনে অবশিষ্ট টাকার কথা লিখে দেন। এরপর থেকে তার কাছে টাকা চাইতে গেলে নানা তালবাহানা, সময়ক্ষেপণ ও প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দেন মহিবুল্লাহ।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: আটক ৫
তিনি জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে প্রতারণার অভিযোগ এনে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বুধবার রাতে সদর উপজেলার কালিয়া কান্দাপাড়া গ্রামের নিজবাড়ি থেকে মহিবুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক