বাংলাদেশে করোনা
সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৮ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৬ জনে। আগেরদিন এ সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৮ জন। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ২ হাজার ৪৫১ জনে।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩১ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৯৪৭ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৪৭ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ৪ হাজার ৯৮৫ জন।
দেশে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৭ হাজার ২১৩ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে রেকর্ড আরও ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৩৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৩০ জুন ৬৪ জন মারা যান, যা একদিনে মৃতের সংখ্যায় এতদিন সর্বোচ্চ ছিল।
আরও পড়ুন: সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ২৮ লাখ ৫৯ হাজার ছাড়াল
সোমবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় একদিনে ৭ হাজার ৭৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত এবং ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৭টি পরীক্ষাগারে ৩৪ হাজার ৩৬০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩৪ হাজার ৩১১টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১.০২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৬৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমকি ৬৯ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সোমবার ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের গণপরিবহন (সড়ক, রেল, নৌ, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে উৎপাদন ও সেবায় নিয়োজিত গণপরিবহনের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া বিদেশি ও বিদেশ ফেরত যাত্রীদের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে না।
আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা কাজে (গ্যাস, বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট) নিয়োজিতরা নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবেন।
সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস, আদালত, বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে এদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা নেয়া করতে পারবে। শিল্প কারখানা, নির্মাণকাজ চলবে। শিল্প কারখানা শ্রমিকদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আনা নেয়া করতে হবে। বিজিএমইএ, বিকেএমইকের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি (ওষুধ কেনা, দাফন, সৎকার, নিত্যপণ্য কেনা) প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করুন: প্রধানমন্ত্রী
খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাবার বিক্রি ও সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই দোকানে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা যাবে না। শপিং মলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে কেনাকাটা করা যাবে। কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সীমিত পরিসরে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লকডাউনে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ থাকবে: বেবিচক
লকডাউনের দিন থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক রুটে যথারীতি ফ্লাইট চালু থাকবে।
শনিবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার-ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, লকডাউনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর ফ্লাইট স্থগিতের বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হবে।
যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, লকডাউনের সময় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
শনিবার তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘লকডাউনে অন্যান্য পরিবহনের মতো যাত্রীবাহী ট্রেনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। তবে মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে।’
সোমবার থেকে লকডাউন?
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী সোমবার থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।
শনিবার ক্ষমতসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরিধান করা উচিত।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কিন্তু এখনো অনেকেই মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অনিহা দেখাচ্ছে, যা প্রকারান্তরে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে আসতে পারে।’
এদিকে, এক ভিডিও বার্তায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, দুই-তিন দিনের মধ্যেই দেশব্যাপী সাত দিনের লকডাউন শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের সরকারি বেসরকারি-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পকারখানা খোলা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে শিল্পকারখানা খোলা থাকবে, সেখানে একাধিক শিফট করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকরা যাতে কাজ করেন তা নিশ্চিত করতে হবে।’
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে। তবে কমেছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৮ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ৯ হাজার ২১৩ জন।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজার ৬৮৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জনে পৌঁছেছে।
করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি: দেশে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে। তবে কমেছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৮ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ৯ হাজার ২১৩ জন।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজার ৬৮৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শুক্রবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে একদিনে রেকর্ড ৬ হাজার ৮৩০ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৫০ জন।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭টি পরীক্ষাগারে ২৪ হাজার ১০০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২৪ হাজার ৫৪৮টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.১৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমকি ২৩ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬১ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ১ লাখ ৪৪ হাজার ১৭৯ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান করোনায় আক্রান্ত
করোনার টিকা পায়নি ৩৬টি দেশ: ডব্লিউএইচও
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ২০৬ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৯৬ জন।
অধিক করোনা সংক্রমিত এলাকায় আংশিক লকডাউনের প্রস্তাব করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সোমবার বলেছেন, অধিক করোনা সংক্রমিত এলাকায় আংশিক লকডাউনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে করোনার উৎপত্তিস্থল বন্ধ করতে না পারলে দেশের অর্থনীতির চাকা থেমে যেতে পারে, মানুষের আর্থিক বড় রকমের সংকট হতে পারে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বেশকিছু প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-যেসব এলাকায় এখন সংক্রমণের হার বেশি সে এলাকাগুলোতে সম্ভব হলে আংশিক লকডাউন করা।’
তিনি বলেন, প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা; পিকনিক, ওয়াজ-মাহফিল বন্ধ রাখা; বিয়ে-সাদির অনুষ্ঠান সীমিত করা; কোয়ারেন্টাইন ব্যাবস্থা জোরদার করা; সকল যানবাহন, বাস, স্টীমারে যাত্রী অর্ধেক বা তারো কম রাখা; অফিস আদালতে কম আসা যাওয়া করা; মুখে মাস্ক ছাড়া কোনো সার্ভিস ব্যবস্থা না রাখা; মোবাইল কোর্ট বাড়িয়ে দিয়ে জরিমানার ব্যবস্থা জোরদার করা।
‘আশা করা যাচ্ছে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে,’ বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে হাসপাতাল ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইন জুমে অংশ নিয়ে একথা বলেন জাহিদ মালেক।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটকে বিশ্বের একটি অন্যতম চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের আরও গতিশীল হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। এই ভবনটিকে ৪ তলা থেকে ৮ তলা বিশিষ্ট করা ও ৪১৪টি বেড থেকে এখন ১২৫০ বেডে বৃদ্ধি করতে পারায় দেশের অসহায় বহু রোগী চিকিৎসা সেবা বেশি পাবে বলে মন্ত্রী জানান।
এর পাশাপাশি দেশের ৮ বিভাগে ৮ বিশেষ হাসপাতাল নির্মাণের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন। এই ৮ হাসপাতাল নির্মাণের পর দেশে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য আরও অন্তত ১৪০০ বেড বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর মীর জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান।
কোভিড-১৯: দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৪৫, ৫ হাজারেরও বেশি শনাক্ত
দেশে ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত আরও বেড়েছে বলে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ১৮১ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৮৯৫ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ৯৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে রবিবার অধিদপ্তর জানায়,আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯০৮ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ওই ৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঈদ পর্যন্ত বাড়তে পারে: মন্ত্রী
টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৪টি পরীক্ষাগারে ২৮ হাজার ৬৮৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২৮ হাজার ১৯৫টি নমুনা। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৮.৩৮ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমকি ৫৪৭ শতাংশ।
দেশে করোনায় আরও ৭ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬৬
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
করোনা: ২৪ ঘণ্টায় কমেছে শনাক্ত ও মৃত্যু
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও পাঁচজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ২৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২৪৮, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বেড়েছে
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ৯ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ২৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২ লাখ ৯৬ হাজার
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ লাখ ৯৬ হাজার। সেই সাথে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ৫৩ লাখ ছাড়িয়েছে।