জাতিসংঘ
কোরআন অবমাননার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে ওআইসির পক্ষে গভীর নিন্দা জানালেন রাষ্ট্রদূত
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধকে অবমাননা করে কিছু দেশে প্রকাশ্যে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’
শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তার কার্যালয়ে ওআইসি গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সাক্ষাৎকালে এ মন্তব্য করেন মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
বাংলাদেশের নেতৃত্বে উক্ত বৈঠকে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রের মধ্য থেকে মিশর, সৌদি আরব, মৌরিতানিয়া ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ওআইসির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন, পবিত্র কোরআন পোড়ানোর এই ঘৃণ্য কাজটি শুধু বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকেই গভীরভাবে আঘাত করেনি, বরং এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং ব্যক্তি বিশ্বাসের নীতিরও পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত
অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আহ্বান জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৩তম অধিবেশনে শুক্রবার রোহিঙ্গাদের বিষয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
এতে মিয়ানমারের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে এবং নির্যাতিত মানুষদের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) কর্তৃক ‘হিউম্যান রাইটস সিচুয়েশন অব রোহিঙ্গা মুসলিম অ্যান্ড আদার মাইনরিটিস অব মিয়ানমার’- শিরোনামের প্রস্তাবটি পেশ করা হয়েছে।
একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিস্তৃত আলোচনার পর কোনো ভোট ছাড়াই এটি গৃহীত হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
মিয়ানমারে বিরাজমান অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রেজুলেশনের বিভিন্ন দিক নিয়ে মতপার্থক্য ছিল।
আরও পড়ুন: সেরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুশীলন অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভাগ করে নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জাতিসংঘের
মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসন সম্ভব নয় এমন মতামতের বিপরীতে, অন্য দৃষ্টিভঙ্গি ছিল যে দীর্ঘস্থায়ী অনিশ্চয়তা এবং সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির ভিত্তিতে প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করা দরকার।
প্রস্তাবে প্রচুর চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় প্রদান অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করা হয়।
তারা রোহিঙ্গাদের ক্রমবর্ধমান হতাশার মাত্রা এবং প্রত্যাবাসন নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী অনিশ্চয়তা থেকে উদ্ভূত স্পিল-ওভার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।
এতে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের একটি দল রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে এবং তাদের মধ্যে আরও আস্থা তৈরির জন্য 'গো-এন্ড-সি ভিজিট’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তার জন্য ক্রমান্বয়ে কমছে এবং অপর্যাপ্ত তহবিলের প্রেক্ষাপটে এই প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
রেজুলেশনে রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতার আন্তর্জাতিক জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।
এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলমান বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত কোনো বাহিনী তাদের সঙ্গে যুক্ত নয়: জাতিসংঘ
‘বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘ বিশেষ বিবেচনা করবে’
সেরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুশীলন অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভাগ করে নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জাতিসংঘের
জাতিসংঘ মহাসচিবের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি (এসআরএসজি) মামি মিজুতোরি সোমবার বন্যা, সাইক্লোন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সেরা কিছু অনুশীলন ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি পরামর্শ দেন যে বাংলাদেশ দুর্যোগ সংক্রান্ত আইন, দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য আন্তঃসংস্থা সমন্বয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে; যখন জাতি সফলভাবে অন্তর্ভুক্তিকরণ অনুশীলন করছে, বিশেষ করে দুর্যোগের সময় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন মামি মিজুতোরি।
মন্ত্রী জাতিসংঘকে ভূমিকম্প প্রস্তুতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করার অনুরোধ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্কের প্রতি দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এসআরএসজি ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যমেয়াদী স্টকটেকিং অনুশীলনে সরকারের অবদানের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ড. মোমেনের কৃতজ্ঞতা
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল
জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।
বৈঠকে এসডিজি, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা, কোভিড-১৯ এর প্রভাব এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বিশ্বে খাদ্য সংকটের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন সংস্থাগুলোর রাজনীতিতে নয়, উন্নয়নের বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে হবে: মোমেন
তিনি বলেন, তার সরকার সংকট নিরসনে সব পতিত জমি চাষের আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী এমনকি ছাদেও খাদ্য ও সবজি চাষের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, তার সরকার কৃষি খাতে গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ইতোমধ্যে লবণাক্ত ও বন্যা-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন এবং সেগুলো আরও উন্নত করার জন্য কাজ করছেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু, তারা আমাদের জন্য একটি বড় বোঝা হয়ে উঠেছে। এটি সামাজিক সমস্যা তৈরি করেছ,’।
আমিনা জে মোহাম্মদ বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ৫২টি দেশ এখন সংকটের দ্বারপ্রান্তে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের একসঙ্গে সংকট মোকাবেলা করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’
তিনি বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের প্রশংসা করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদ বাংলাদেশের: সুইডিশ দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে তলব
উন্নয়ন সংস্থাগুলোর রাজনীতিতে নয়, উন্নয়নের বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দেশের জনগণকে ‘দেশ ধ্বংস করার মিশনে নিয়োজিতদের’ বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণকে আহ্বান জানাই যে দেশ ধ্বংস করার তালে যারা আছে, আপনারা তাদের বর্জন করুন।’
শনিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করলে কোনো লাভ হবে না।’
এর আগে, সফররত জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এবং জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গ্রপের (এসডিজি) চেয়ার আমিনা জে মোহাম্মদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এবং সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা, প্যারিস চুক্তি এবং বর্ধিত অর্থায়ন, প্রযুক্তি বিনিময় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ন্যায্য রূপান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক সংহতির জন্য বিশ্বব্যাপী পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার জন্য জরুরি আহ্বান জানিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, তারা কোনো রাজনৈতিক ইস্যুতে আলোচনা করেননি বরং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই। দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন - এইগুলো আমাদের সামনের চ্যালেঞ্জ।’
দুঃখ করে মোমেন বলেন, অনেক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
আরও পড়ুন: অন্যের প্ররোচনায় বিপথগামী না হওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ঢাকায় এসডিজি সেমিনারে বক্তব্য রাখবেন আজ
জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন গ্রুপের চেয়ার আমিনা জে মোহাম্মদ শনিবার ঢাকায় 'রোড টু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস সামিট ২০২৩' শীর্ষক এক সেমিনারে যোগ দেবেন।
বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল বিকাল ৫টায় একই স্থানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত কোনো বাহিনী তাদের সঙ্গে যুক্ত নয়: জাতিসংঘ
ঢাকায় অবস্থানকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল সোমবার ঢাকা ত্যাগ করবেন।
তার বর্তমান নিয়োগের পূর্বে তিনি নাইজেরিয়ার ফেডারেল প্রজাতন্ত্রের পরিবেশ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যেখানে তিনি জলবায়ু পদক্ষেপ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার প্রচেষ্টায় দেশের প্রচেষ্টা পরিচালনা করেছিলেন।
তিনি ২০১২ সালে সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন পরিকল্পনার দায়িত্ব নিয়ে জাতিসংঘে যোগ দেন।
তিনি এই প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যার ফলে টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী চুক্তি হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের
স্পিকারের সঙ্গে সফররত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ
মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত কোনো বাহিনী তাদের সঙ্গে যুক্ত নয়: জাতিসংঘ
জাতিসংঘ মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত কোনো বাহিনী তাদের সঙ্গে যুক্ত নয়। সোমবার (২৬ জুন) নিউইয়র্কে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় হক বলেন, ‘মিস্টার ল্যাক্রোইক্স (জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল ফর পিস অপারেশনস জিন-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স) গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে (বাংলাদেশে) সাক্ষাৎ করেছেন, যাদের সঙ্গে শান্তিরক্ষা সংক্রান্ত উদ্বেগ মোকাবিলা করতে হবে।’
ল্যাক্রোইক্স ২৫-২৬ জুন ঢাকায় একটি ‘সফল ও সমৃদ্ধ’ বৈঠকের জন্য বাংলাদেশ, কানাড ও উরুগুয়েকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আরও বেশি নারীর যোগদান ও সাফল্য লাভের জন্য তারা কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে ঢাকায় গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেষ হলো ঢাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক সভা
শান্তিরক্ষায় নারী বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সময়, ল্যাক্রোইক্স শান্তিরক্ষা; বিশেষ করে মিশনে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতিশ্রুতির জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পান।
তিনি বলেন, শান্তিরক্ষায় সবচেয়ে বেশি সৈন্য নিয়োজিত থাকায় বাংলাদেশের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল শান্তিরক্ষী যাতে নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশে উন্নতি করতে পারে তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কার্যকর কৌশল অন্বেষণের জন্য উন্মুখ।
ঢাকায় থাকাকালীন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল ফর পিস অপারেশনস জিন-পিয়ের ল্যাক্রোইক্স এবং ইউএন আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল ফর ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স ক্যাথরিন পোলার্ড নারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘ বিশেষ বিবেচনা করবে’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের
শেষ হলো ঢাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক সভা
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক সভায় বক্তারা শান্তিরক্ষা কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘নির্দিষ্ট এবং কার্যকর প্রতিশ্রুতি ও উদ্যোগ’ গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন। শান্তিরক্ষায় নারীদের জন্যও একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরির দিকে মনোনিবেশ করা হয়।
তারা শান্তিরক্ষায় নারীদের বর্ধিত এবং অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার তাৎপর্যও তুলে ধরেন।
সোমবার ঢাকায় ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক বৈঠক-২০২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার; নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি; শান্তি অভিযানের জন্য জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল; ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্সের জন্য জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল; বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক; জাতিসংঘের পুলিশ উপদেষ্টা; মহাপরিচালক, কানাডার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপারেশন; উরুগুয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিষয়ক মহাপরিচালক সমাপনী অনুষ্ঠানে তাদের বক্তব্য দেন।
দুই দিনব্যাপী প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে ‘শান্তি রক্ষায় নারী’ ধারণাকে সামনে রেখে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে। শান্তিরক্ষা মিশনে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলো যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে তা মোকাবিলা করা, লিঙ্গ-সমন্বিত নীতি প্রণয়নের গুরুত্ব, নিশ্চিত করা লিঙ্গ-প্রতিক্রিয়াশীল নেতৃত্ব, নারী শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি, জবাবদিহিতার গুরুত্ব, এলসি ইনিশিয়েটিভ ফান্ডের ব্যবহার ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
ঢাকায় প্রথম শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দেবেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রোইক্স
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (ইউএসজি) জিন পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স আগামী ২৫-২৬ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দেবেন।
সেক্রেটারি জেনারেলের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘২০২৩ সালের ৫ ও ৬ ডিসেম্বর ঘানার আক্রায় অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের আগে চারটি বিষয়ভিত্তিক সম্মেলনের সিরিজের মধ্যে এটিই প্রথম।’
বাংলাদেশ, কানাডা ও উরুগুয়ের যৌথভাবে আয়োজিত এই প্রস্তুতি সভার প্রতিপাদ্য 'জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী'।
দুই দিনব্যাপী এই বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অর্থবহ অংশগ্রহণ এবং লিঙ্গ-প্রতিক্রিয়াশীল নেতৃত্বকে উৎসাহিত করার জন্য অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও কার্যকর অনুশীলন নিয়ে আলোচনা করতে সৈন্য ও পুলিশ প্রেরণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধি এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় প্রথম শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দেবেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রোইক্স
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে তিনি (জিন পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স) এই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের পর ২৭ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত নেপাল ও ভুটান সফর করবে ল্যাক্রোইক্স।
তিনি শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের কাঠামোসহ জাতিসংঘ শান্তি কার্যক্রমে দেশগুলোর চলমান সমর্থন নিয়ে আলোচনা করবেন।
জাতিসংঘ অনুসারে, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের কার্যকারিতা এবং তারা যেসব কমিউনিটিতে কাজ করে তাদের ওপর তাদের প্রভাব জোরদার করার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য একত্রিত হওয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মন্ত্রী পর্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
২০২৩ সালের ৫-৬ ডিসেম্বর ঘানার আক্রায় শান্তিরক্ষী মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।
২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সালে সিওলসহ রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার বা মন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ধারাবাহিক বৈঠকের মধ্যে এটি সর্বশেষ বৈঠক।
অ্যাকশন ফর পিসকিপিং, এফোরপি প্লাস এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে চলমান সংস্কারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কার্যক্রমের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের ওপর আলোচনা করা হবে।
মিশনগুলো আগের চেয়ে আরও বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রিসভা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা, কৌশলগত যোগাযোগ (ভুল-বিভ্রান্তি এবং ঘৃণাত্মক বক্তব্যের সমাধান সহ), নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা, শান্তিরক্ষীদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং শান্তিরক্ষায় নারীদের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে এমন ধারণার উল্লেখ আছে।
আরও পড়ুন: ঘৃণামূলক বক্তব্য, গুজব, ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তির বিস্তার কমানোর উপায় অনুসন্ধান করছে জাতিসংঘ
বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী দেশগুলোর একটি।
দক্ষিণ এশীয় দেশটি ১৯৮৮ সালে সংস্থাটির সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রথম ইউনিফর্মধারী কর্মীদের মোতায়েন করেছিল। যখন তারা ইরান ও ইরাকের মধ্যে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে সহায়তা করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল।
জাতিসংঘের মতে, বিগত তিন দশকে তারা যে দেশে সেবা দিয়েছে সেখানে এই সাহসী পুরুষ ও নারীদের অবদান অপরিসীম।
এদিকে, জাতিসংঘের ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথরিন পোলার্ড শুক্রবার ঢাকায় এসেছেন।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার বাংলাদেশে জাতিসংঘ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানান।
সফরকালে জাতিসংঘের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নারীদের জমির মালিকানায় আইনি বাধা দূর করুন: জাতিসংঘ প্রধান
ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রতিরোধ: সমাজের বিভিন্ন স্তরের বাংলাদেশিরা বৈচিত্র্য ও সহাবস্থানের কথা বললেন
জাতিসংঘ বাংলাদেশে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরি করেছে, যেখানে রক ব্যান্ড নেমেসিসের প্রধান ব্যক্তি জোহাদ চৌধুরী, নৃত্যশিল্পী হৃদি শেখ, ব্যান্ড এফ মাইনর এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের আরও অনেক বাংলাদেশি সন্মান, বৈচিত্র্য ও সহাবস্থানের অর্থ সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।
২১ জুন বাংলাদেশে জাতিসংঘের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে প্রকাশিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তৈরি করা হয়।
২০২২ সালে প্রথমবারের মতো পালিত ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রতিরোধে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক দিবস হলো, ঘৃণামূলক বক্তব্যের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি এবং অনলাইন ও অফলাইন— উভয় ক্ষেত্রে সহাবস্থান ও অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর একটি দারুণ সুযোগ।
আরও পড়ুন: ঘৃণামূলক বক্তব্য, গুজব, ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তির বিস্তার কমানোর উপায় অনুসন্ধান করছে জাতিসংঘ
‘ইউনাইটেড ন্যাশন্স স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড প্ল্যান অব অ্যাকশন অন হেট স্পিচ’ অথবা ঘৃণামূলক বক্তব্য বিষয়ে জাতিসংঘের কৌশল ও কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘ঘৃণামূলক বক্তব্য’ বলতে বোঝায়- ‘বক্তব্য, লেখা বা আচরণের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের যোগাযোগ, যা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে তাদের পরিচয়ের ভিত্তিতে আক্রমণ করে। অন্যভাবে বলা যায়- তাদের ধর্ম, জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তা, গোত্র, বর্ণ, বংশ, লিঙ্গ বা অন্যান্য পরিচয়ের ভিত্তিতে আক্রমণ করে অথবা তাদের প্রতি মর্যাদাহানিকর বা বৈষম্যমূলক ভাষা ব্যবহার করে।’
ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দিবসে তার বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘… আমরা যেহেতু ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রতিরোধ দিবস উদযাপন করছি, তাই আসুন অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়পরায়ণ ও শান্তিপূর্ণ কমিউনিটি ও সমাজের কথা তুলে ধরি। সবার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করার পাশপাশি এই বিষাক্ত ও ধ্বংসাত্মক বিষয়গুলো প্রতিরোধ ও অবসানে আমরা নতুন করে আমাদের প্রচেষ্টা শুরু করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এর বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পারি এবং এটিকে প্রতিরোধ ও এর সবগুলো ধরনের অবসান ঘটাতে কাজ করতে পারি।’
ভিডিওটি দেখা যাবে ইউটিউব প্ল্যাটফর্মের এই ঠিকানায়- https://www.youtube.com/watch?v=amGnp6L7L60&ab_channel=UnitedNationsinBangladesh
আরও পড়ুন: ভুয়া খবর ও ঘৃণামূলক বক্তব্য নিয়ে শনিবার রাজধানীতে আলোচনা
ফেসবুকে রোহিঙ্গা বিরোধী ঘৃণামূলক বক্তব্য রোধে ব্যর্থ হয়েছে মেটা, অ্যামনেস্টির নিন্দা