জলাবদ্ধতা
উপকূলীয় এলাকার সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর
উপকূলের বিশাল এলাকায় কৃষি উৎপাদনের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
তিনি বলেন, দেশে খাদ্যের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। একইসাথে বাড়ছে পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা। এসব খাদ্যের যোগান অব্যাহত রাখতে হলে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করতে হবে। আর উৎপাদন বৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায়। এ সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে সবাইকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগের আহবান কৃষিমন্ত্রীর
রবিবার রাতে যশোর সার্কিট হাউজে যশোর ও খুলনা অঞ্চলের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।মন্ত্রী বলেন, আগে বছরে যেখানে একটি ফসল হতো, সেখানে এখন সীম চাষ, অসময়ের তরমুজ, মরিচ প্রভৃতি চাষ হচ্ছে।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, কৃষিতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি (প্রিসিসন এগ্রিকালচার) ও রোবট ব্যবহারের মাধ্যমে আগামী দিনের খাদ্য উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
সভায় কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে সমস্যা, সম্ভাবনা ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন। আলোচনায় উঠে আসে ভবদহের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যার কথাও।
জলাবদ্ধতা নিরসনে বিএডিসির উদ্যোগের প্রশংসা করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, গতবছর বিএডিসি পাম্পের সাহায্যে পানি নিষ্কাশনে কাজ করেছে। এর ফলে মানুষের বাড়ি-ঘরে পানি উঠতে পারে নি।
আরও পড়ুন: কৃষির উন্নয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহবান কৃষিমন্ত্রীর
এসময় ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিএডিসি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কাজ করবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বিকালে কৃষিমন্ত্রী সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কামারালী ও বাকরা গ্রামে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। মাত্র ২৭ টাকা কেজিতে টমেটো বিক্রি করছে জানিয়ে কৃষকেরা এসময় আরও কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন।মন্ত্রী বলেন, টমেটোর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ করে দেয়া হবে। এছাড়া, পরমাণু শক্তি ব্যবহার করে টমেটোসহ শাকসবজি ফলমূলের সংরক্ষণকাল বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, সাতক্ষীরায় এ বছর ৮৪ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হয়েছে। এটিকে ৭০০ হেক্টরে উন্নীত করা হবে। এজন্য কৃষকদেরকে বীজ, সারসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গবেষকদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
স্থানীয় কৃষি বিভাগের হিসেবে, সাতক্ষীরায় এ বছর ৮৪ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হয়েছে। বারি হাইব্রিড-৪ ও বারি হাইব্রিড-৮ জাতের এ টমেটো চাষে যুক্ত আছেন ৫০০ কৃষক ও ১৫০০ শ্রমিক।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদেরকে বীজ, চারা, বালাইনাশক প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। এসময় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মো: হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে নগরবাসী
চট্টগ্রামে রাত থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। সকাল থেকে কর্মস্থলে যাওয়া মানুষ এবং প্রয়োজনে ঘরের বের হওয়া নগরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বুধবার (২৫ আগস্ট) নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালিশহর, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ সিডিএ, বহদ্দারহাট, ষোলশহর, দুই নম্বর গেইট, মুরাদপুর, প্রবর্তক মোড়, চকবাজার ও এলাকা হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। অফিসগামীরা পায়ে হেঁটে ও রিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে কয়েক স্থানে পাহাড় ধস
আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় এই বৃষ্টিপাত। যা আরও দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
সকালে ষোলশহর এলাকায় অফিসগামী ইদ্রিস আলী বলেন, চট্টগ্রামে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে যায়। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক ঘণ্টা পানিতে দাড়িয়ে আছি কোন গাড়ি পাচ্ছি না। জনপ্রতিনিধিদের খামখেয়ালিপনার কারণে চট্টগ্রাম নগরবাসীর এ দু:খ যাচ্ছে না।
এদিকে জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন কর্মজীবী নারীরা। সড়কে পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় হাঁটুপানি মাড়িয়ে যেতে হয় কর্মস্থলে।
জলাবদ্ধতার কারণে ঘর থেকে বের হওয়া নগরবাসীর চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। পানি ঢুকে সিএনজি নষ্ট হয়ে যেতে দেখা গেছে বিভিন্ন জায়গায়। অফিসমুখী মানুষকে হাঁটু পর্যন্ত পানি দিয়ে হেটে বা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে দুই নম্বর গেইট এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে প্রণোদনা চায় চাষিরা
দুর্ভোগের কথা জানিয়ে নাছিমা আখতার নামে এক গার্মেন্ট কর্মী বলেন, কারখানায় যাওয়ার উদ্দেশে ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে আটকে গেছি। যে পরিমাণ পানি, কোনোভাবেই চলাফেরা করা যাচ্ছে না। রিকশা ভাড়াও বেশি নিয়েছে। সড়কে সকালে ছিল না পর্যাপ্ত বাসও।
এই বৃষ্টি আরও দুদিন থাকতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ বলেন, আজ বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।
চট্রগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে ভুল থাকলে সংশোধন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
চট্রগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসমূহের অবকাঠামোর ডিজাইনে ভুল থাকলে সংশোধন করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, চট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্রগ্রাম পোর্ট অথোরিটি এবং সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশনসহ অন্যান্য সকল সমস্যা সমাধান করা হবে।
বুধবার (১১ আগস্ট) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে 'চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন' শীর্ষক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, 'চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশনে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া, চট্রগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষের উদ্যোগেও প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পের অধীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসনে যে নকশা করা হয়েছে সেগুলো আজকের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুনঃবিবেচনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সমস্যা সমাধানে চলমান প্রকল্পের পাশাপাশি প্রয়োজনে নতুন প্রকল্প নেয়ার কথা উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার মাস্টার প্ল্যান এবং জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসমূহের অবকাঠামোর ডিজাইনেকোন ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইনে ওয়াটার পন্ড নির্মাণ ও স্থান নির্বাচনের বিষয়ে যৌথ পর্যালোচনারও পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রবল বর্ষণে ঝিনাইদহে জলাবদ্ধতা, তলিয়ে গেছে ২০ চাতাল
মন্ত্রী জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অবকাঠামোসমূহের নির্মাণকাজ বাস্তবসম্মত ও টেকসই হতে হবে যাতে চট্টগ্রামবাসী প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদি সুফল ভোগ করতে পারে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যাপারে কোন গাফলতি মেনে নেয়া হবে না। এমন কোন কাজ করা যাবে না যার জন্য পরবর্তীতে মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বন্ধে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছি। মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর এবং স্বেচ্ছাসেবীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। তাই জনগণকে সচেতন করার জন্য আমরা সব ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকায় সব জায়গায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কিন্তু মানুষ যদি অসচেতন হয় তাহলে ডেঙ্গু মোকাবেলা করা কঠিন হবে।
সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
অবৈধভাবে দখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধার করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
জলমগ্ন মাগুরার বাবুখালী পুলিশক্যাম্প
মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নে অবস্থিত অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। জনগণের জান-মাল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অস্থায়ী ভাবে পুলিশ ক্যাম্পটি বসানো হয়।
জনগণের দেখভালের দায়িত্ব পুলিশের হলেও, পুলিশের এই ভোগান্তি দেখবে কে? বাবুখালী পুলিশ ক্যাম্পটিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
অল্প বৃষ্টিতেই বাবুখালী পুলিশ ক্যাম্প এলাকা জুড়ে পানি জমে মনে হয় ভাসমান ময়লা আবর্জনার স্তূপ। পুলিশ ক্যাম্পের পাশেই বাবুখালী ইউনিয়ন পরিষদ হওয়ার কারণে একই জলবদ্ধতা দেখা যায় বাবুখালী পুলিশ ক্যাম্প ও ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর জুড়ে।
আরও পড়ুন: দরজা বন্ধ রেখে মাগুরায় সমাজসেবা অফিসের কার্যক্রম
মাগুরা পুলিশ সুপার জনাব খান মোহাম্মদ রেজওয়ান গত বছর বাবুখালী পুলিশ ক্যাম্পের জন্য স্থায়ীভাবে ক্যাম্প নির্মাণের পদক্ষেপ নিলেও তেমন কোনও জায়গা না পাওয়ার কারণে কোনও সুব্যবস্থা হয়নি।
বাবুখালী পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা সুবীর কুমার রায় জানান, ক্যাম্পের উত্তর ও পূর্ব দিকে উঁচু রাস্তা থাকায় পানি নিষ্কাশনের কোনও ব্যবস্থা নেই। এ জন্য সামান্য বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা দেখা যায়। এই সমস্যার এক মাত্র সমাধান পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদেশি ফল চাষে সফলতা
বাবুখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মীর সাজ্জাদ আলী বলেন, এই জলাবদ্ধতার কারণে এলাকার জনগণ এবং পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমনকি বাবুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা প্রদানে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই জলাবদ্ধতার।
প্রবল বর্ষণে ঝিনাইদহে জলাবদ্ধতা, তলিয়ে গেছে ২০ চাতাল
কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণের ফলে ঝিনাইদহের নিম্নাঞ্চলুগলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা না থাকার ফলে সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারের ত্রিমোহনি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ২০ চাতাল ও বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।
একই সাথে ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকর ও চাতালে মালিক-শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: বন্যার আশঙ্কা: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
এদিকে, প্রায় দুই মাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে চাল উৎপাদন কার্যক্রম। এতে কোটি টাকার লোকসান হয়েছে শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চাতাল মালিকরা। এ অবস্থায় বেকার হয়ে অসহায় দিন কাটাচ্ছেন চাতালগুলোতে কর্মরত প্রায় দুই শতাধীক শ্রমিক। এছাড়া সাধুহাটি ও সগান্না ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বর্ষার পানি নিষ্কাণের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকেরা ফসলের ক্ষতি হবার আশঙ্কা করছেন।
শনিবার সরেজমিনে ত্রিমোহনি চাতাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওই এলাকার চাতালগুলোর পাশে একটি বিল ছিল। এই বিল দিয়ে এসব নিচু এলাকার পানি নিষ্কাষণ হত। কিন্তু প্রায় এক বছর আগে শুকনো মৌসুমে এই বিল এলাকায় পুকুর খনন করে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। যার ফলে পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। এতে কয়েকদফা বৃষ্টিতে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
চাতাল শ্রমিক আবু তালেব জানান, চাতালে কাজ করে সংসার চলে। কিন্তু বৃষ্টিতে পানি জমে প্রায় দুই মাস চাতাল বন্ধ রয়েছে। ফলে রোজগার না থাকায় কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। কখনও কখনও তিন বেলাও খাবার জুটছে না।
জলাবদ্ধতার শিকার একটি বাড়ির মালিক ইমান আলী বলেন, ‘পাশেই পুকুর কেটে বাধ দেয়ার ফলে বৃষ্টিতে এখানে পানি জমে গেছে। এই পানি বের হতে না পেরে আমাদের ঘরে ঢুকছে। খুবই সমস্যা হচ্ছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর পরও কোনও কাজ হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গৃহিণীরা এখন কৃষাণী
চাতাল মালিক ও ডাকবাংলা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন ভান্ডারী বলেন, ‘আমাদের চাতালের পাশে প্রভাবশালীরা পুকুর খনন করায় চাতাল এলাকার পানি বের হচ্ছে না। এখন পানি নিষ্কাষণ না হওয়াই আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কিছু বসত-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।’
তিনি জানান, প্রায় ২০টি চাতাল ক্ষতিগ্রস্থ, উৎপাদন কাজ বন্ধ থাকার ফলে কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। প্রশাসনকে একাধিকবার জানানোর পরও কোনও ফল পাওয়া যায়নি। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পরে অটো রাইস মিলের ভেতরেও পানি উঠে যাবে। ফলে আরও কয়েক কোটি টাকা লোকসানের ঝুঁকি বাড়ছে।’
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীন জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যনদের নিয়ে তিনি এলাকাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। দ্রুতই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।
তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
তিন ঘণ্টার টানা বর্ষণে ঢাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত মাত্র তিন ঘণ্টার বৃষ্টিপাতে নগরীর বেশ কয়েকটি অঞ্চলের বাসিন্দারা জলাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়েছেন।
রামপুরা, বাড্ডা এবং মিরপুর এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মধ্যে রয়েছে ।
বৃষ্টি পরবর্তী সময়ে, অনেক মানুষকে হাঁটু পানিতে হেঁটে তাদের কর্মস্থল ও গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আরেক দফা ভূমিকম্প
বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার ঢাকায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন বলেছেন, "বুধবারও রাজধানীতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।"
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও অস্থায়ী দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কয়েকটি স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা সারাদেশে একইরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশে প্রথমবারের মতো ভার্টিক্যাল ফ্লোটিং বেড পদ্ধতি উদ্ভাবন
বছরের অর্ধেকটা সময়, বিশেষ করে বর্ষায় জলাবদ্ধতার কারণে দেশের প্রায় ৩০ লাখ হেক্টর জমি অনাবাদি থাকে। এই সময়ে জলাবদ্ধ জমিতে কোনো কৃষিকাজ হয় না। ফলে ওইসব এলাকায় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে কর্মের ব্যবস্থা নেই। জমিতে কৃষি ফলন না হওয়ায় লোকসান হয় কৃষকের। ঘাটতি দেখা দেয় শাক-সবজিসহ খাদ্য সামগ্রীর।
অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই: এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বুধবার বলেছেন, অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
কুড়িগ্রামে মৌসুমের রেকর্ড বৃষ্টিপাত, জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে শহরবাসী
ভারী বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন অফিস ও আদালত পাড়ায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা হাত আর কারও নেই: মেয়র আতিক
খাল দখলদারদের হুশিয়ার করে দিয়ে বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা হাত আর কারও নেই। আপনাদের (দখলদারদের) হাত যতই লম্বা হোক না কেন, জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা নয়।