যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ফের নিহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বন্দুকধারীর গুলিতে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
পুলিশের বরাতে স্থানীয় কেটিএনভি নিউজ চ্যানেল এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৩৪ মিনিটে গুলি চালানো হয় এবং সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ গুলিবর্ষণের শিকার দুইজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে।
বাকি তিনজনের শারীরিক অবস্থাও গুরুতর বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাস ভেগাস মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের একজন মুখপাত্র নিহতদের ‘গৃহহীন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসের রটারডামে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৩
তিনি জানান, হামলাকারী এখনও পলাতক।
অন্যদিকে দেশটির এবিসি ৭ নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে, লাস ভেগাসে ঘটা শুক্রবারের ঘটনা লস অ্যাঞ্জেলেসের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত না।
এই সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেসে সম্ভবত একজন সিরিয়াল কিলার তিনজন গৃহহীনকে গুলি করে হত্যা করেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, নিহত তিনজন ফুটপাতে বা গলিতে একা একা ঘুমাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহে বন্দুক হামলায় ৮ জন নিহত
ক্যালিফোর্নিয়ার বাইকার বারে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৩ যুবককে গুলি
যুক্তরাষ্ট্রের বার্লিংটনে শনিবার ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত তিন যুবককে গুলি করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘৃণা থেকে হামলাটি করা হতে পারে। পুলিশ সন্দেহভাজনকে খুঁজছে।
রবিবার বার্লিংটন পুলিশ প্রধান জন মুরাদ বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইউভিএম ক্যাম্পাসের কাছে হামলা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং একজন ‘গুরুতর জখম’ হয়েছেন। ভুক্তভোগী তিনজন এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে হাঁটছিলেন, তখন তারা হ্যান্ডগান হাতে একজন শ্বেতাঙ্গের মুখোমুখি হন।
মুরাদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘কোনো কথা না বলে অভিযুক্ত পিস্তল থেকে কমপক্ষে চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং পালিয়ে যায়।’
মুরাদ বলেন, তিনজনই ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। এদের মধ্যে দুইজন মার্কিন নাগরিক এবং একজন যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের টেক ইউনিভার্সিটিতে ছুরিকাঘাতে আহত ৪, সন্দেহভাজন আটক
এর আগে রবিবার, আমেরিকান-আরব বৈষম্য বিরোধী কমিটি একটি বিবৃতিতে জানায়, নিহতরা ফিলিস্তিনি আমেরিকান কলেজছাত্র এবং ‘ধারণা করা হচ্ছে ভুক্তভোগীরা আরব ছিল বলেই তাদের উপর গুলি চালানো হয়েছে।’
এফবিআই বলেছে, তারা গুলির বিষয়ে অবগত।
নিউইয়র্কের আলবানিতে অবস্থিত এফবিআই মুখপাত্র সারাহ রুয়ান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি তদন্তে ফেডারেল আইন লঙ্ঘনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়, এফবিআই তদন্ত করার জন্য প্রস্তুত।’
হোয়াইট হাউস বলেছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গুলির ঘটনা সম্পর্কে জানেন। আইন প্রয়োগকারীরা আরও তথ্য সংগ্রহ করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে আপডেট জানানো হবে।
কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস এক বিবৃতিতে গুলি চালানোর জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার বা দোষী সাব্যস্ত করার ব্যাপারে কেউ কোনো তথ্য দিতে পারলে ১০ হাজার ডলার পুরস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে দ্য ইনস্টিটিউট ফর মিডল ইস্ট আন্ডারস্ট্যান্ডিং এক্সে (পূর্বে টুইটার) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’
তারা আরও জানায়, ‘আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এটিকে ঘৃণামূলক অপরাধ হিসেবে বিবেচনাসহ একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার আহ্বান জানাই। গুলিকারীকে বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমরা স্বস্তিতে থাকব না।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মেইন রাজ্যে গুলিতে নিহত ১৬
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর ৪৭০টি নির্বিচারে গুলির ঘটনা ঘটেছে
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তারা (মার্কিন) আমাদের সঙ্গে আছে। আমরাও তাদের সঙ্গে আছি।’
সোমবার (২৭ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বেশি কিছু চায় না এবং তারা শুধু বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। ‘আমরাও চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। বরং আমি তাদের বলব, যারা ভোট বানচালের চেষ্টা করছেন তাদের মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় আনতে।’
মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই একটি বাস্তববাদী দেশ। এটি বাস্তবতায় বিশ্বাস করে এবং যখন বাস্তব কিছু করা হয়, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাতে সমর্থন দেয়।
উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন, আমেরিকা সব আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ১৯৭১ সালে গণহত্যাকারী পাকিস্তানি বাহিনীর পাশে ছিল। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর যখন বাংলাদেশ তার বিজয় দিবস পালন করে, তখন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সমর্থন করে। ‘আমাদের স্বাধীনতার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনোই আমাদের বিরুদ্ধে যায়নি। এর মানে কী? যেহেতু একটি দেশ হয়ে গেছে, তারা তখন সেই দেশটার সঙ্গে থাকে।’
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক যাত্রায় বাধা সৃষ্টি করতে চায় না। ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চাই না।’
তিনি জানান, তাদের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন হতে পারে, তা বিশ্বকে দেখাতে চান তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে এবং দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, জনগণের কল্যাণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ গঠনমূলক পরামর্শকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলো আমাদের সুপারিশ করে এবং যদি তারা সহায়ক ভূমিকা পালন করে তবে আমরা সেগুলোকে স্বাগত জানাই।’
সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, এর জন্য প্রয়োজন সবার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা।
মোমেন জানান, তারা উন্নত দেশগুলোকে অগ্রাহ্য করতে পারেন না।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের অনেক শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে বিবেচনা করি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একটি পরাশক্তি। আমরা তাদের অগ্রাহ্য করতে পারি না।"
তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিলে আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। বাংলাদেশে সাধারণত ৫০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দেন।
মোমেন বলেন, ১৯৯৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের আমলে বাংলাদেশে একটি মাত্র নির্বাচন হয়েছিল, যা ভোটারবিহীন ছিল।
র্যাব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, র্যাব অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান এবং দুর্নীতিমুক্ত হওয়ায় জনগণ একে সম্মান করে।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর সংগঠন। র্যাব থাকাতে আমরা সন্ত্রাসবাদ সমূলে উৎপাটন করেছি এবং মাদক ও মানব পাচারও অনেক কমেছে।’
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের দ্বারা প্রশিক্ষিত হওয়ায় তারা খুবই স্মার্ট। ‘তাদের আবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে তারা আরও ভালো করবে।’
তিনি বলেন, ‘মার্কিন সরকার পরিণত এবং আমরা সবসময় আশাবাদী এই এলিট ফোর্সের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন জানান, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা কোনো চাপ অনুভব করছেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতি মানে অগ্নিসংযোগ করা নয়, মানুষ হত্যা নয়, দেশের উন্নয়নে বাধা দেওয়া এবং অবরোধের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে বাধাগ্রস্ত করা নয়। রাজনীতি হতে হবে জনগণের কল্যাণের লক্ষ্যে। তাহলে জনগণ তাদের গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন: যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, পেছানো হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা বন্ধে সব দলকে আন্তরিক হতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে কাজ করছি: হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনেমা হল মালিকদের নবনির্বাচিত কমিটি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের বিষয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করছে ইউরোপীয় দেশগুলো : ড. হাছান মাহমুদ
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে রাশিয়ার মুখপাত্রের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সেটির জবাবও দিয়েছে। সেটি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, এটি দুই রাষ্ট্রের বিষয়। কেউ ছুটিতে যেতে পারে, আবার ছুটি থেকে আসতেও পারে। এটি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমি মনে করি না।
তিনি বলেন, এটি রুটিন কাজের অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। পাশাপাশি বহুমাত্রিক সম্পর্ক আছে। আমরা সে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে কাজ করছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন— নির্বাচনে বাইরের থাবা এসে পড়েছে এবং দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে৷
একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এবারের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করা চ্যালেঞ্জ কি না- প্রশ্ন করা হলে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন চায় দেশে একটি গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর একটি নির্বাচন হোক।
মন্ত্রী বলেন, আমরাও সেটি চাই। আমরা চাই সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ইতোমধ্যে সারা দেশে নির্বাচনের যেভাবে সাড়া পড়েছে, যেভাবে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ নির্বাচনে থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়া অন্য দলগুলো যারা এখনও নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেয়নি। তাদের অনেকেই শিগগির ঘোষণা দেবে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দমন-পীড়ন চলছে।
এ ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রীর মতামত চাইলে তিনি বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিভিন্ন সময় বিবৃতি বিক্রি করে। ফলে তাদের নিয়ে আমি তেমন কোনো কথা বলতে চাই না।
তিনি বলেন, দেশে যেমন কিছু বিবৃতিজীবী আছে আর আন্তর্জাতিকভাবেও কিছু বিবৃতিজীবী আছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দেশে যে এত গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো হচ্ছে, সেটি যখন তাদের বিবৃতিতে অনুপস্থিত থাকে আর অন্যটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় সেই বিবৃতিজীবীদের নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দেয় যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য আর গাজায় হত্যাকাণ্ড হলে চুপ থাকে। আর বাংলাদেশে কেউ কাউকে ঘুষি মারলে বিবৃতি দেয়। এ সমস্ত বিবৃতি নিয়ে কথা বলতে চাই না। এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নেই।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী 'অপরাধীদের' বিচারের আওতায় আনা হবে: হাছান মাহমুদ
কুলিয়ারচরে সারভর্তি ট্রাকে আগুন
বাংলাদেশ সম্পর্কে অন্যান্য দেশের মন্তব্য অনভিপ্রেত: পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশ নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্যকে ‘অনভিপ্রেত’ বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমি এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। বাংলাদেশের কী হচ্ছে বা না হচ্ছে, তা নিয়ে কথা বলতে পারি। তৃতীয় বা চতুর্থ দেশ নিজেদের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা করছে... এ বিষয়ে আমি কী বলব- এটাকে অনভিপ্রেত বলা যেতে পারে।’
রবিবার (২৬ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এসব কথা বলেন।
দুই বড় দেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্র সচিব এ মন্তব্য করেন।
মারিয়া জাখারোভা ২২ নভেম্বর সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ‘স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তি’ নিশ্চিত করার নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার বিষয়ে বারবার কথা বলেছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের 'হস্তক্ষেপ' নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব
রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং স্থানীয় বিরোধী দলের একজন উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধির মধ্যে অক্টোবরের শেষে একটি বৈঠকের বিষয়ে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
রুশ পক্ষ জানিয়েছে, বৈঠকে তারা দেশে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সংগঠিত করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে।
জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠক নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার 'ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যার' বিষয়ে তারা অবগত।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে পছন্দ করে না যুক্তরাষ্ট্র।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পুনর্ব্যক্ত করেছে, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, তারাও তাই চায়, আর তা হলো- শান্তিপূর্ণভাবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হোক।
আরও পড়ুন: এফওসি: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা
দিল্লিভিত্তিক কূটনীতিকদের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্র চায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে: মুখপাত্র মিলার
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় দেশটিতে 'অবাধ ও শান্তিপূর্ণ' নির্বাচন দেখতে চাওয়ার বিষয় পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ২১ নভেম্বর ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে আমরা এটাই দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, এটাই যুক্তরাষ্ট্রের নীতি, যেমনটা তিনি বেশ কয়েকবার স্পষ্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
মানবাধিকারের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র 'বিএনপি কর্তৃক পরিকল্পিত' রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানাবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি মনে করি আমি আমার আগের উত্তরেই এর জবাব দিয়েছি।’
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলোর সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা তাদের ব্যাপার: মুখপাত্র
অধিকারকর্মী ও শ্রমিক সংগঠনে হামলাকারী-হুমকিদাতাদের জবাবদিহি করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা তাদের ব্যাপার: মুখপাত্র
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা ওই দু’দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
তিনি বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নানান বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সে আলোচনায় বৃহত্তর বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও উপআঞ্চলিক নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার নানান দিক উঠে আসা স্বাভাবিক। আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে কী আসবে, না আসবে তা এই দু’দেশের নিজস্ব ব্যাপার।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ভারত- যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের 'টু প্লাস টু' সংলাপের ধারণাগত সূত্রপাত ২০১৭ সালে। পরে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় ভারতের নয়াদিল্লিতে। 'টু প্লাস টু' সংলাপটি মূলত ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সার্বিক দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি আলোচনার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর তারিখ এখনো ঠিক হয়নি: সেহেলী সাবরীন
তিস্তা চুক্তি বিষয়ে বাংলাদেশ ভারত থেকে কোনো বার্তা পেয়েছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, আপনারা জানেন তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসংক্রান্ত চুক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বাংলাদেশ তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কোনো অগ্রগতি হলে তা যথাসময়ে আমরা আপনাদের জানাব।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করা যায়।
উল্লেখ্য, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরে রোহিঙ্গারা কী কী সুযোগ সুবিধা পাবে সে সম্পর্কে ব্রিফ করা এবং অসমাপ্ত ভেরিফিকেশন কার্যাবলী সম্পন্ন করার জন্য গত ৩১ অক্টোবর-১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে কক্সবাজারের টেকনাফে দ্বিতীয় কাম অ্যান্ড টক ভিজিটের আয়োজন করা হয়েছিল।
এ সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং যেসব প্রশ্নের তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে পারেননি; যেমন নিজ গ্রামে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা দান, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় রাখাইনে জাতিসংঘের সরাসরি সম্পৃক্ততা ইত্যাদি। সেসব বিষয়ে পরে তাদের অবস্থান জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
ইতোপূর্বে মিয়ানমারের আরেকটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজার ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ব্রিফ করেন এবং রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদল প্রত্যাবাসনের আয়োজন সম্পর্কে সরাসরি ধারণা নেওয়ার জন্য রাখাইন ভ্রমণ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেয় না: মুখপাত্র
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির হার রেকর্ড উচ্চতায়: প্রতিবেদন
ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জের ২০২৩ সালের ওপেন ডোরস রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যুরো অব এডুকেশন অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স এবং ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ৫৬৩ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
যা পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের তুলনায় ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি প্রতিনিধিত্ব করে এবং এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ সামগ্রিক বৃদ্ধিগুলোর মধ্যে একটি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এই বৃদ্ধি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি বৃদ্ধির বিস্তৃত প্রবণতার অংশ। ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যা এক মিলিয়ন অতিক্রম করেছে, যা ৪ দশকের মধ্যে দ্রুততম বার্ষিক বৃদ্ধির হার।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার জন্য আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিচ্ছে দেখে আমরা উচ্ছ্বসিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুগান্তকারী গবেষণায় সম্পৃক্ত হওয়া থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্যাম্পাস জীবনকে সমৃদ্ধ করা পর্যন্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা মার্কিন ক্যাম্পাসে চিত্তাকর্ষক সাফল্য অর্জন করে চলেছে।’
২০২৩ সালের ওপেন ডোরস রিপোর্টে আরও দেখা গেছে, বাংলাদেশি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মধ্যে ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী স্নাতক (স্নাতক ও সহযোগী ডিগ্রি) অধ্যয়নে ভর্তি হয়েছেন।
প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি স্নাতকোত্তর মার্কিন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশ্বের সপ্তম স্থানে নিয়ে গেছে।
গত এক দশকে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষে ৩ হাজার ৩১৪ জন শিক্ষার্থী থেকে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ১৩ হাজার ৫৬৩ জন শিক্ষার্থীতে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে ৪.৯ শতাংশ
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে ‘জড়িয়ে পড়া থেকে বিরত থাকবে’ যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ফের পুনর্ব্যক্ত করেছেন, বাংলাদেশে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি বাংলাদেশের সরকারের ভবিষ্যৎ সে দেশের জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হওয়া উচিত।’
সোমবার (১৩ নভেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কেন মার্কিন সরকারকে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে একজন সাংবাদিকের করা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনে পক্ষ নিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে আরেকটি দলকে সমর্থন করি না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি।’
মিলার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমাকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন সাংবাদিকের প্রচেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই এবং আমি তা করা থেকে বিরত থাকব।’
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: শাহরিয়ার আলম
এর আগে, সোমবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম পুনর্ব্যক্ত করেছেন, ‘কে আয়োজন করছে’ তা ব্যাপার না, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি সংবিধান ও সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু'র পক্ষ থেকে প্রধান তিন রাজনৈতিক দলকে পাঠানো চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষের মুখপাত্ররা এ বিষয়ে জানতে পারবেন।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং শিগগিরই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিরোধী দল বিএনপির দাবি ‘সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও অবৈধ।’
বাংলাদেশের স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
আরও পড়ুন: সংলাপের আহ্বান জানিয়ে লু’র চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি
৩ প্রধান দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একসঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ পিটার হাসের
যুক্তরাষ্ট্রের টেক ইউনিভার্সিটিতে ছুরিকাঘাতে আহত ৪, সন্দেহভাজন আটক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় লুইসিয়ানা রাজ্যের রাস্টনে লুইসিয়ানা টেক ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ছুরিকাঘাতে চার নারী আহত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় পুলিশ জানায়, একজন ছাত্র এই আক্রমণ চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি তাৎক্ষণিক করা সহিংসতা বলে মনে হচ্ছে। তদন্ত চলছে।’
রাস্টনের মেয়র রনি ওয়াকার বলেছেন, চারজনের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাদের শ্রেভপোর্টের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাস পুলিশ ছুরিকাঘাতের কয়েক মিনিটের মধ্যে একজন সন্দেহভাজনকে (২৩) আটক করেছে।
রাস্টন পুলিশ প্রধান স্টিভ রজার্স বলেছেন, প্রাথমিক চিকিৎসার পর সোমবার বিকালে অভিযুক্তকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
ওয়াকার বলেছেন, ছুরিকাঘাত করা চারজনের মধ্যে একজন স্নাতক শিক্ষার্থী, তাকে প্রথম শ্রেভপোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নিহত বাকি তিনজন শিক্ষার্থী নয়। দুজনকে প্রথমে রাস্টনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তারপর শ্রেভপোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
ওয়াকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে।’
টেকের ল্যামব্রাইট স্পোর্টস অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে সকাল ৯টার কিছু পরেই আক্রমণটি ঘটে।