যুক্তরাষ্ট্র
৩ প্রধান দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একসঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ পিটার হাসের
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরতে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ জানিয়েছেন।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) মার্কিন দূতাবাসের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে, তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ‘থ্রিসি নীতি’ কার্যকর করবে।
দূতাবাস জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেয় না।
আরও পড়ুন: সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২ (এ) (৩) (সি) বা ‘থ্রিসি’-এর অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছিল।
এই নীতির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশির জন্য ভিসা সীমিত করতে পারবে।
আরও পড়ুন: কপ২৮: দুবাইয়ে পিটার হাসের সঙ্গে সাবের হোসেনের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচনে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘খুব স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছে দিল্লি: কোয়াত্রা
ভারত আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচন ঢাকার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, ভারত ফের স্পষ্ট করে জানিয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন ঢাকার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ২+২ পঞ্চম বার্ষিক মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপের পর মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কোয়াত্রা।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব বিস্তৃতভাবে আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি এবং বাংলাদেশ নিয়ে যা কিছু উদ্বিগ্নতা, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্টভাবে জানিয়েছি আমরা।’
২+২ বৈঠকে সাধারণত উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধি বিশেষ করে দুই দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা অংশ নেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন মার্কিন পক্ষ থেকে প্রধান অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
আরও পড়ুন: হাসিনা-মোদি আলোচনার পর ঢাকা-নয়াদিল্লি ৩ সমঝোতা স্মারক সই
মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময়, ২+২ সংলাপে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য করা ভারতের কাজ নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে এবং একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল দেশ গঠনে দেশটির দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করে যাবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচিও বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেছেন, ভারত বলেছে তারা একটি ‘স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল’ জাতি গঠনে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি।’
বাংলাদেশে বিরোধীদলীয় নেতাদের গ্রেপ্তার ও জেলে পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে চিত্র তুলে ধরলেন সেসব সম্পূর্ণই আপনার বর্ণনা, আমার নয়।
মুখপাত্র বাংলাদেশ সম্পর্কিত প্রশ্নকারী সাংবাদিককে বলেন, ‘ক্র্যাকডাউন, কারাবন্দি বিরোধীদলীয় নেতা, ইত্যাদি আপনার ব্যাখ্যা। অনুগ্রহ করে সেগুলো আমার কাছে বর্ণনা করবেন না।’
তিনি জানান, তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে চান না।
তিনি আরও বলেন, যেমনটি আমি বলেছি, বাংলাদেশে নির্বাচন তাদের ঘরোয়া বিষয়।
আরও পড়ুন: ‘হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে’ মার্কিন পদক্ষেপ দ. এশিয়ার জন্য ইতিবাচক নয়: ওয়াশিংটনকে দিল্লি
বাংলাদেশ-ভারত কৌশলগত সংলাপ দিল্লিতে শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায়, কারণ তারা একসঙ্গে কাজ করার জন্য বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দৃষ্টি রাখছে।
৯ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত বছর বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছি এবং অবশ্যই এটি এমন একটি দেশ যার সঙ্গে আমরা আমাদের সম্পর্ক ও অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করতে চাই।’
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
তিনি বলেন, বাণিজ্য, জলবায়ু ক্ষেত্রে সহযোগিতা, নিরাপত্তার ক্ষেত্র এবং যেখানে সেই সম্ভাবনা বিদ্যমানসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র অব্যাহত রয়েছে।
প্যাটেল বলেন, তারা কোনো দেশে নির্দিষ্ট কোনো সরকার, রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না।
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব এলাকায় নির্বাচন চলছে, সেখানে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে- জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করা ওই নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, বাংলাদেশ কর্মকর্তা ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে: মুখপাত্র
যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, বাংলাদেশ কর্মকর্তা ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে: মুখপাত্র
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা আশা করে- যে কোনো দেশের সরকার তাদের কর্মকর্তা ও স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সব ধরনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক কর্মকর্তা ও কূটনৈতিক স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’
প্যাটেল ভিয়েনা কনভেনশন ও এর অধীনে বিদ্যমান কূটনৈতিক কনভেনশনগুলোর অধীনে দেশের বাধ্যবাধকতার কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো সহিংসতা 'অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে' নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র প্যাটেল
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, যদিও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণত ইউনিয়ন পর্যায়ের যেকোনো নেতাকে যেকোনো অন্যায়ের জন্য সতর্ক করে। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ শোকজ নোটিশ দেবে এবং মুজিবুল হক চৌধুরীকে সতর্ক করবে।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশ সরকার ভিয়েনা কনভেনশন ও কূটনৈতিক কনভেনশনের অধীনে দেশের বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কূটনীতিক, তাদের কর্মকর্তা এবং তাদের স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সমস্ত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরী তার এক জনসভায় 'মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে মারধরের' হুমকি দেন।
আরাফাত বলেন, ‘ইউনিয়ন হলো দলের সর্বনিম্ন স্তর এবং সেই স্তরের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এমন অনেক কথা বলে যাতে আমরা খুব বেশি মনোযোগ দিই না। আওয়ামী লীগও কোনো রেজিমেন্টেড দল নয়; অতএব, তৃণমূল নেতারা বাকস্বাধীনতা ভোগ করেন।’
আরও পড়ুন: ভুয়া প্রোফাইল থেকে সাবধান: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এই বিশেষ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের এই নেতার আপত্তিকর বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি। আমি আওয়ামী লীগের সকল তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মীদের সাবধানতা অবলম্বন এবং কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক প্রার্থী বা দলকে সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আশা, আমাদের আকাঙ্ক্ষা এবং সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অংশীজনদের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে আমরা যে দিকে কাজ করে যাচ্ছি তা হলো- এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে।’
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো সহিংসতা 'অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে' নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র প্যাটেল
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সহিংসতার যে কোনো ঘটনাকে তারা 'অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে' নিচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি এবং তা চালিয়ে যাব।’
৬ নভেম্বর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রতিবেদক যুক্তরাষ্ট্র সহিংসতা বন্ধ ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা বলবে কি না জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের
প্যাটেল পুনর্ব্যক্ত করেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।
প্যাটেল বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলকে অন্য দলের চেয়ে বেশি পছন্দ করি না। এই মুহূর্তে আমাদের ফোকাস জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা; সরকার, বিরোধী নেতা, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে যথাযথভাবে সম্পৃক্ত হওয়া যাতে তারা বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।’
এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, ঢাকা দূতাবাসে তাদের একটি 'অবিশ্বাস্য প্রতিভাবান' দল রয়েছে। যার নেতৃত্বে একজন অভিজ্ঞ রাষ্ট্রদূত রয়েছেন, যিনি শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিস্তৃত অঞ্চলেও কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র মিলার
বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র মিলার
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশকে ‘নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছে এবং তারা সহিংসতার ঘটনাগুলোকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে’ নিয়েছে।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, তারা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে এবং তা অব্যাহত রাখবে; এবং বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার্থে ও শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য তাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সহিংসতা পরিহার করতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি- এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ।’
মিলার বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন রাজনৈতিক দল, ভোটার, সরকার, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম- সকলের দায়িত্ব।
মুখপাত্র বলেন, ‘এবং আমরা যা চাই, বাংলাদেশের মানুষও তাই চায়, আর তা হলো- শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন।’
আরও পড়ুন: পূর্বশর্ত ছাড়াই সব পক্ষ সংলাপে অংশ নেবে: সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত হাসের প্রত্যাশা
সহিংসতা ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশের সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
পুলিশ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা, হাসপাতাল ও বাসে আগুন অগ্রহণযোগ্য: যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকায় ২৮ অক্টোবর সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
৩০ অক্টোবর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা এবং একটি হাসপাতাল ও বাস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা অগ্রহণযোগ্য; একইভাবে সাংবাদিকসহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাও।’
মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের ঘটনাগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে এবং সহিংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করতে কর্তৃপক্ষকে উৎসাহিত করছে।
আরও পড়ুন: সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য সব সহিংস ঘটনা পর্যালোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম প্রত্যেকের দায়িত্ব।
মুখপাত্র বলেন, কূটনীতিকরা বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। যেমন- সুশীল সমাজ সংগঠন, গণমাধ্যম পেশাদার, ব্যবসায়ী নেতা, সাংস্কৃতিক অবদানকারী, শিক্ষাবিদ এবং অন্যান্য অনেক ধরনের সংস্থা ও ব্যক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘কূটনীতিকরা তাদের দৈনন্দিন কাজের অংশ হিসেবেই তা করেন।’
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেয় না: মুখপাত্র
চীনকে হারাতে চাইলে টাকার ঝুড়ি ও সাশ্রয়ী প্রস্তাব নিয়ে আসুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার (২৮ অক্টোবর) বলেছেন, চীনকে পরাজিত করতে চাইলে অন্যান্য দেশের ভয় দেখানো ও উপদেশ দেওয়ার পরিবর্তে টাকার ঝুড়ি ও সাশ্রয়ী মূল্যের প্রস্তাব নিয়ে আসা উচিত।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি চীনকে হারাতে চান, তাহলে আপনাদেরও চীনাদের মতো টাকার ঝুড়ি ও সাশ্রয়ী মূল্যের প্রস্তাব নিয়ে আসা উচিত। শুধু উপদেশই আমাদের সন্তুষ্ট করে না।’
তিনি সাম্প্রতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ উভয় সফরে এই কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে তিনি ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘নেভিগেটিং চ্যালেঞ্জস: বাংলাদেশ’স রেসপন্স টু দ্য কারেন্ট গ্লোবাল সিচুয়েশন’- শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
কূটনৈতিক ম্যাগাজিন ডিপ্লোম্যাটস ওয়ার্ল্ড সেমিনারের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইউরোপ সফরকে ‘অত্যন্ত সফল’ উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো বাংলাদেশের কথা শুনেছে এবং তারা এখন তহবিল নিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় নেতারা বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সব ধর্মের নাগরিকের অধিকার সমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন বলেন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের নামে চাপ সৃষ্টি করে অনেক দেশ তাদের পণ্য বিক্রি করতে চায়।
তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় বাংলাদেশ এখন সামরিক সরঞ্জাম কিনতে চায় না।
২০২১ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত তারা ৩০০ বিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য, নির্ভরশীলতার পরিবর্তে অপরিহার্য সংযোগ স্থাপন করা এবং বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগের ঘাটতি বন্ধ করা তাদের লক্ষ্য।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেন বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে ইইউ ও বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি নতুন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে আলোচনার সূচনা করেন।
এই উপলক্ষে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের টেকসই সবুজ পরিবর্তনে অবদান রাখার জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের চুক্তি সই করেছে ইইউ, ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) ও বাংলাদেশ। এটি দেশের জলবায়ু প্রশমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণেরও লক্ষ্য।
৭০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের শিক্ষা সহায়তা, ভালো কাজ, সবুজ নির্মাণ, ই-গভর্নেন্স ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এই পাঁচটি অতিরিক্ত সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড চালু করা হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেন বলেন, ‘ইইউ ও বাংলাদেশ ৫০ বছর ধরে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত অংশীদার। এখন আমরা গ্লোবাল গেটওয়ের অধীনে সবুজ পরিবর্তনের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে, এই অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইউরোপীয় কমিশন, ইআইবি ও বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে সমর্থন করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা বাহিনীতে যোগ দেবে। এই ৪০০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ বাংলাদেশের জনগণ এবং এর অর্থনীতির জন্য একটি পরিবর্তন সৃষ্টি করবে।’
আরও পড়ুন: আমরা এগুলোকে গুরুত্ব দিই না: বিএনপির কর্মসূচি সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফর বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেয় না: মুখপাত্র
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে তারা কোনো পক্ষ নেয় না বলে আবারও বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার(২৬ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি শুধু এটুকুই বলব, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমরা কোনো পক্ষ নিই না।’
‘বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র’ টকশোতে বিএনপিপন্থী অংশগ্রহণকারীদের এমন দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মিলার এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার সম্প্রতি ঢাকা সফর করেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে মার্কিনিরা হামলার শিকার হলে জবাব দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন-অস্টিনের হুঁশিয়ারি
বিভিন্ন টকশোতে বিরোধী দলীয় বক্তারা দাবি করছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।
এর আগে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেও সম্প্রতি ভারতের একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ ধরনের প্রতিবেদনকে সমর্থন করেনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের'অবনতির' খবর পর্যবেক্ষণ করছেন।
আমরা বাংলাদেশ সরকারকে তার জন্য একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করেছি।
মিলার বলেন, 'অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়ায় আমাদের কিছু যোগ করার নেই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সব অংশীজনদের সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকার আহ্বান অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের মেইন রাজ্যে গুলিতে নিহত ১৬
যুক্তরাষ্ট্রের মেইন রাজ্যে লিউইস্টনে একটি বোলিং অ্যালি ও পানশালায় বুধবার রাতে এক ব্যক্তি গুলি চালিয়ে কমপক্ষে ১৬ জনকে হত্যা করেছে। এতে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছে।
কর্তৃপক্ষ বাসিন্দা, ব্যবসায়ীদের রাস্তায় ও বাইরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কারণ সন্দেহভাজন পলাতক রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুই কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন, কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা চলমান তদন্তের বিশদ বিবরণ প্রকাশ্যে আলোচনা করার অনুমতি পাননি এবং নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপির সঙ্গে তারা কথা বলেছেন।
এর আগে লিউইস্টন পুলিশ এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, তারা প্রায় ৪ মাইল (৬ দশমিক ৪ কিলোমিটার) দূরে একটি বোলিং অ্যালি স্কিমঙ্গিস বার অ্যান্ড গ্রিল অ্যান্ড স্পেয়ারটাইম রিক্রিয়েশনে একটি সক্রিয় বন্দুকধারীর ঘটনা মোকাবিলা করছে। আন্দ্রোসকোগিন কাউন্টি শেরিফ অফিস তাদের ফেসবুক পেজে সন্দেহভাজনের দু’টি ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে- এক বন্দুকধারী কাঁধে অস্ত্র তুলে একটি স্থাপনায় প্রবেশ করছে।
আরও পড়ুন: হামাসকে 'ধ্বংস' করার অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর : গাজা আক্রমণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে
পুলিশ বলেছে, ‘দয়া করে সড়ক থেকে দূরে থাকুন যাতে জরুরি সাড়াদানকারীদের হাসপাতালে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যায়।’
সেন্ট্রাল মেইন মেডিকেল সেন্টারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কর্মীরা ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে এবং রোগীদের নিতে এলাকার হাসপাতালগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করছে। জরুরি বিভাগে ফোন রিসিভ করা এক নারী জানিয়েছেন, আর কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না এবং হাসপাতালটি নিজেই লকডাউনে রয়েছে।
লেজেন্ডস স্পোর্টস বার অ্যান্ড গ্রিলের মালিক মেলিন্ডা স্মল জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক চতুর্থাংশ মাইলেরও কম দূরত্বে বোলিং অ্যালিতে গোলাগুলির খবর পেয়ে তার কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের দরজা বন্ধ করে দেয় এবং ২৫ জন গ্রাহক ও কর্মচারীকে দরজা থেকে সরিয়ে দেয়। শিগগিরই, পুলিশ সড়কটি দখলে নেয় এবং পর্যায়ক্রমে ৪ বারে একজন পুলিশ কর্মকর্তা সবাইকে নিরাপদে নিয়ে আসেন। পানশালায় সবাই নিরাপদে আছেন।
আরও পড়ুন: হামাসের আকস্মিক হামলায় ২২ ইসরায়েলি সেনা নিহত
মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় ১৬ অভিবাসী নিহত, আহত ২৯