যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রেনা বিটার ঢাকায়
যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স সম্পর্কিত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রেনা বিটার দুই দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।
কনস্যুলার ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ঢাকায় আসার আগে তিনি পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ও করাচি সফর করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশ সফরে আসছেন ৯ সেপ্টেম্বর
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, উক্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি দূতাবাস ও কনস্যুলেট কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং কনস্যুলার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, তার সফর বিদেশে মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষা এবং যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ ভ্রমণ ও অভিবাসনের সুবিধার প্রতি আমাদের গভীর ও টেকসই অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিক
আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া
২০২২ সালে ভারতে বিদেশি পর্যটক আগমনের শীর্ষ তিন উৎস দেশ যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ
২০২২ সালে ভারতে বিদেশি পর্যটক আগমনের(এফটিএএস) শীর্ষ উৎস দেশের তালিকায় উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ।
বিশ্ব পর্যটন দিবসে ভারতীয় পর্যটন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে পিটিআই।
এতে বলা হয়েছে, ভারতে ২০২২ সালে ৬ দশমিক ১৯ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটকের আগমন নথিভূক্ত করেছে, যা ২০২১ সালে ছিল ১ দশমিক ৫২ মিলিয়ন।
২০১৯ -এ প্রাক- মহামারির বছরে ভারতে ১০ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটকের আগমন হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এপ্রিলে রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বলেছিলেন, মহামারির পরে পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সপ্তাহব্যাপী বিচ কার্নিভাল ও পর্যটন মেলা শুরু আজ
পর্যটন মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ভারত রাজস্ব থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৩ কোটি রুপি (১৬ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বৈদেশিক মুদ্রা পেয়েছে, যা ২০২১ সালের ৬৫ হাজার ৭০ কোটি রুপি থেকে ‘উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি’।
এছাড়াও, মার্কিন ডলারে বিদেশি পর্যটক প্রাপ্তিতে ভারতের অংশ ২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। প্রতিবেদন অনুসারে, পর্যটক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের ১৪তম স্থানে রয়েছে ভারত।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দিল্লি বিমানবন্দর ২০২২ সালে ভারতের এফটিএ-র জন্য শীর্ষ আটটি বন্দরের ৩১ দশমিক ২১ শতাংশ গঠন করেছিল।
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যটকদের জন্য আমাদের দেশের ভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আশা করা হচ্ছে- বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশে অবস্থানরত সব বিদেশি মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র।’
তিনি বলেন, তিনি মার্কিন দূতাবাস বা বাংলাদেশে কর্মরত কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচনা করবেন না।
আরও পড়ুন: 'অভিন্ন অগ্রাধিকার' নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি বলব যে অবশ্যই আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, প্রতিটি আয়োজক দেশকে অবশ্যই সমস্ত কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তার বাধ্যবাধকতা বজায় রাখতে হবে এবং কর্মীদের উপর যে কোনো আক্রমণ প্রতিরোধে সমস্ত কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে।’
গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার আবারও গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকেন।
তিনি বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট পদক্ষেপ, পূর্বরূপ পদক্ষেপ সম্পর্কে বলছি না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ সব দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
মুখপাত্র বলেন, তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে সেক্রেটারির কর্তৃত্বের অধীনে বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে, যারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে দুর্বল করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে আমরা বিশ্বাস করি।
মিলার বলেন, ‘এবং ২৪ মে আমরা যখন এই নীতি ঘোষণা করেছিলাম তখন আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছিলাম যে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়। বরং যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে যাদেরকে আমরা বিশ্বাস করি- গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই আমরা অন্য ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিকল্পটি বজায় রাখি যদি এবং যখন আমরা বিশ্বাস করি যে এটি উপযুক্ত।’
আরও পড়ুন: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ নেতাদের আবেগ ও উদ্ভাবন অমূল্য সম্পদ: রাষ্ট্রদূত হাস
জলবায়ু ফ্রন্টে তরুণ নেতাদের প্রশংসা করে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, বিশ্বের সামনে উদ্ভূত জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের প্রতিশ্রুতি সত্যিই প্রশংসনীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক।
তিনি বলেন, ‘সবাইকে অবশ্যই তাদের ভূমিকা পালন করতে হবে। আমি আপনাদের নিজ নিজ দেশে কমিউনিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে আপনাদের উত্সর্গের জন্য সমস্ত জলবায়ু চ্যাম্পিয়নদের প্রশংসা করি।’
২৬-২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস, একটি যুব-নেতৃত্বাধীন সামাজিক উদ্যোগ জেনল্যাবের সঙ্গে সহযোগিতায়, ক্লাইমেট অ্যাকশন চ্যাম্পিয়ন্স নেটওয়ার্ক (সিএসিএন) বাংলাদেশ কনক্লেইভের আয়োজন করে।
লক্ষ্য ছিল বায়ুর মান উন্নত করায় তরুণ জলবায়ুকর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ৫০ জন জলবায়ু উদ্যমী তরুণ এই ইভেন্টে যোগ দেয়।
রাষ্ট্রদূত হাস সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি তরুণ প্রতিনিধিদের পরিবেশ সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় কাজ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সীমানা পেরিয়ে কাজ করার মাধ্যমে এই তরুণ নেতারা তাদের সম্প্রদায়কে দেখিয়ে দিচ্ছেন যে ভাগ করা সমৃদ্ধির জন্য তাদের একে অপরের প্রয়োজন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘আপনাদের আবেগ, উত্সর্গ ও উদ্ভাবনী চিন্তা আমাদের সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলোর একটি মোকাবিলার অমূল্য সম্পদ।’
তিনি বলেন, ‘ইতিবাচক কাজ চালিয়ে যান এবং জেনে রাখুন যে বিশ্ব আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা দেখছে এবং সমর্থন করছে। একইসঙ্গে আমরা সকলের জন্য আরও টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গড়ে তুলতে পারি।’
ক্লাইমেট অ্যাকশন চ্যাম্পিয়নস নেটওয়ার্ক (সিএসিএন) হলো ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের অর্থায়নে আঞ্চলিক একটি উদ্যোগ। যার লক্ষ্য এই অঞ্চলে জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য তরুণ নেতৃত্বকে প্রশিক্ষণ দেয়া ও ক্ষমতায়ন করা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচনে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করবে না: দীপু মনি
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ভিসা নীতি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফি-এর ওপর নির্ভরশীল।
বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিলেট নগরীতে স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সংস্থার ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্বের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম কর্মীরাও ভিসা নীতির মুখোমুখি হতে পারে: হাস
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি পরবর্তী নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে না, কারণ এতে সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই।
দীপু মনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের প্রথম দিনে সবার হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলায়মান খান।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাঙন ধরবে না: সালমান এফ রহমান
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর, কিন্তু কিছু গোষ্ঠী তিক্ততা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর, কিন্তু কিছু গোষ্ঠী তিক্ততা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে এবং বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যাচার করছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) নিউ ইয়র্কের বাঙালি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, যুক্তরাষ্ট্র শাখা আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা যে নীতি ও মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্র সেই নীতি ও মূল্যবোধে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশ হচ্ছে সেই দেশ যেখানে গণতন্ত্রের জন্য আমরা লড়াই সংগ্রাম করেছি। আমরা জনগণের ভোটে জয়লাভ করলেও ১৯৭১ সালে আমাদের সরকার গঠন করতে দেয় নাই। বরং আমাদের উপর গণহত্যা চালানো হয়েছিল আর তখন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।’
আরও পড়ুন: সবার সহযোগিতা ছাড়া সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না সরকার: মোমেন
ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলাম গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। এজন্য স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের ৩০ লাখ মানুষের প্রাণ দিতে হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য এতো অল্প সময়ে এতো মানুষ আত্মত্যাগ করেনি। আমরা পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র জাতি যারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য এতো বড় ত্যাগ স্বীকার করেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে ও মানবাধিকারে বিশ্বাস করে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের মতের, চিন্তার মিল আছে। নীতিগতভাবে আমাদের দুদেশের মধ্যে মিল রয়েছে। তবে তাদের কোনো কোনো ব্যক্তিবিশেষ হয়তো আমাদের উন্নয়ন পছন্দ করছেন না, তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহবান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কেউ বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যাচার করলে তাদের মিথ্যাচারকে চ্যালেঞ্জ করতে দলমত নির্বিশেষে প্রবাসী বাংলাদেশিদের রুখে দাঁড়াতে আহ্বান জানান তিনি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে যেসব ভালো পরামর্শ দেয় আমরা সেটা গ্রহণ করি। যুক্তরাষ্ট্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে আর আমরাও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমাদের দেশের কিছু লোক আছে যারা নির্বাচন বয়কট করতে চায়, নির্বাচন ভয় পায়। নির্বাচন বানচাল করতে তারা সবরকমের চেষ্টা করে থাকেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে আমরা ২৬তম বড় অর্থনীতিতে পরিণত হব।’
আরও পড়ুন: ভুল তথ্য-অপপ্রচার মোকাবিলা করতে প্রবাসীদের প্রতি মোমেনের আহ্বান
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রয়েছে ১৭ কোটি মানুষ, তাই আমাদের নিজস্ব বাজারও অনেক বড়। সেজন্য আমাদের দেশের প্রতি অনেকেরই আগ্রহ বেড়েছে, কারণ আমাদের মাথাপিছু আয় ৫ গুণ বেড়েছে। দারিদ্রের হার অর্ধেকের বেশি কমেছে। এসবই শেখ হাসিনার সরকারের লক্ষ্যভিত্তিক পদক্ষেপ বাস্তবায়নের কারণে সম্ভব হয়েছে।’
ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মাছ এবং সবজি উৎপাদনে আমরা বিশ্বে তৃতীয়। চাল উৎপাদনে আমরা বিশ্বে চতুর্থ। আমাদের কৃষি জমি অনেক কমে গেছে কিন্তু খাদ্য উৎপাদন চারগুণ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। তবে আমরা এই উন্নতি করছি বলে অনেকেরই গাত্রদাহ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অনেকেরই পছন্দ হচ্ছে না। কারণ এখন আমরা বিদেশির পয়সায় চলি না। আর আমরা উন্নতি করেছি বলে অনেকের আগ্রহ বেড়েছে। অনেকেই আমাদের কাছে টানার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা কারো লেজুরবৃত্তি করতে চাই না। আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আমরা বিজয়ের জাতি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটি সুন্দর পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে গেছেন। আর এই নীতি হচ্ছে ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ আমরা এই নীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা একটা ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করি।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি ড. মসিউর মালেক।
অন্যান্যের মধ্যে কবি ও সাহিত্যিক ফকির ইলিয়াস, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আব্দুল খালেক মিয়া, বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার নিউইয়র্ক প্রতিনিধি লাভলু আনসার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতৃবৃন্দ এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
স্বাধীন ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিকের আহ্বান ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানের
ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেছেন, ভারত একটি মুক্ত ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; যেখানে সকল জাতির সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা হয়। কারণ এই অঞ্চলে চীনা প্রভাব নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি চিফস কনফারেন্সে জেনারেল মনোজ পান্ডে এসব কথা বলেন।
সামরিক কূটনীতি এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রচারের লক্ষ্যে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ৩০টি দেশের সেনাপ্রধান ও প্রতিনিধিদল দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন, যা বুধবার শেষ হবে।
পান্ডে বলেছেন, এই অঞ্চলের দেশগুলো যখন একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক নিশ্চিতে কাজ করছে, তখন ‘আমরা আন্তঃরাজ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা দেখতে পাচ্ছি।’
পরোক্ষভাবে তিনি চীনের কথা বলেছেন, কেননা দেশটি সম্প্রতি এই অঞ্চলে তার কার্যক্রম বাড়িয়েছে।
পান্ডে বা মার্কিন সেনাপ্রধান র্যান্ডি জর্জ কেউই তাদের মন্তব্যে স্পষ্টভাবে চীনের কথা উল্লেখ করেননি।
একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনা সম্প্রসারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জর্জ বলেন, অঞ্চলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার। ‘এ কারণেই আমরা এই কনফারেন্স আয়োজন করেছি এবং এজন্যই আমরা প্রশান্ত মহাসাগরের অন্য যে কোনও জায়গার চেয়ে এই অঞ্চলে বেশি সক্রিয়।’
মার্কিন সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘এই সম্মেলন যা প্রমাণ করে... তা হলো (আমাদের) ঐক্য ও প্রতিশ্রুতি।’
পরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পান্ডে বলেন, ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি সবসময়ই বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান, বলপ্রয়োগ এড়ানো এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা।
তিনি আরও বলেন, সামুদ্রিক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলো ছাড়াও, আঞ্চলিক বিরোধসহ ‘কৃত্রিমভাবে সম্প্রসারিত দ্বীপগুলোকে রিয়েল এস্টেট অধিগ্রহণ এবং সামরিক ঘাঁটি স্থাপন’-সহ অঞ্চলটি স্থল নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং মানবিক উদ্বেগের সম্মুখীন হয়েছে।’
এখানেও চীনের নাম উহ্য রাখেন তিনি।
দ্বীপগুলোর উপর পূর্ব চীন এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আঞ্চলিক দাবি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাশাপাশি জাপানের বেইজিংয়ের ছোট প্রতিবেশীকে বিচলিত করেছে।
এদিকে ২০২০ সাল থেকে নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
সেসময় হিমালয় লাদাখ অঞ্চলে অনির্ধারিত সীমান্তে সংঘর্ষে মোট ২৪ জন ভারতীয় ও চীনা সৈন্য নেহত হয়। তাদের মধ্যে ২০ জন ছিল ভারতীয় এবং চার জন ছিল চীনা সৈন্য।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো ধরনের টানাপোড়েনের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ম্যানহাটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে আমাদের কোনো উদ্বেগ নেই। বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে যারা, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভিসা দেবে না।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ৫০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক চিঠিতে বাইডেন বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের অংশীদারিত্ব আগামী ৫০ বছর এবং তারও বেশি সময় ধরে অব্যাহত থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বলেন, ভিসা নীতি ঘোষণা বিশ্বব্যাপী অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের অংশীদারদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।
এর আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন নয়। কারণ তারা কোনো ভুল করছে না।
শুক্রবার রাতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যেহেতু সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছে, তাই আগামী নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো কারণ নেই।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তিদের নাম বা সংখ্যা প্রকাশ করবে না।
দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার শুক্রবার ইউএনবিকে বলেন, মার্কিন আইন অনুযায়ী ভিসা রেকর্ড গোপনীয়।
তিনি বলেন, ভিসা নীতি ঘোষণার পর থেকে মার্কিন সরকার ঘটনাগুলো খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে।
শিলার আরও বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনার পর আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ পানি সম্মেলনের প্লেনারি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
ভিসা নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাঙন ধরবে না: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাঙন করবে না।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত আইসিইউআরপি সম্মেলনে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সালমান বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বাজারে সাড়ে ১৫ শতাংশ প্রতিযোগিতামূলক কর দিয়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশি পণ্য। ওই বাজারে বাংলাদেশ কোনো বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারাই ভিসানীতিতে ফেঁসে গেছেন: খাদ্যমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ইউরোপের অন্যান্য অঞ্চলের মতো যুক্তরাষ্ট্র জিএসপির মতো কোনো বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা বাংলাদেশকে দেয় না।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় মার্কিন ভিসা নীতিকে স্বাগত জানিয়েছেন সালমান।তিনি বলেন, এই নীতির লক্ষ্য কেবল বাধাই নয়, নির্বাচনের সময় সহিংসতার ঘটনাও পর্যবেক্ষণ করা।
আরও পড়ুন: বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিশেষ কারো বিষয়ে বিবৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, 'ভিসা দেওয়া হবে কি না, তা সম্পূর্ণভাবে সে দেশের ওপর নির্ভর করছে। মার্কিন সরকার বিশেষভাবে কারো সম্পর্কে কোনো বিবৃতি জারি করেনি।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনতে যা করার করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে ইনডোর প্লে-গ্রাউন্ড উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে আসন্ন নির্বাচনে যারা বাধা দেবে এবং নির্বাচন পণ্ড করার চেষ্টা করবে তাদের জন্য এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হবে। আমরা মনে করি এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।
বিএনপির চলমান রোডমার্চ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো আন্দোলন সংগ্রামে সরকার ভীত নয়।
বিএনপির আন্দোলন সরকার যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করে যথাসময়ে বাংলাদেশের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন করাই আমাদের লক্ষ্য: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা জনগণের ‘উহ’ শব্দটিও শুনতে চাই না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী