দীপু মনি
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে ‘বিদেশিদের ভূমিকা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দীপু মনি
বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে বিদেশিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীরা যখন ক্ষমতায় আসল, তাদের যখন বিচার হল না, তখন মানবাধিকার ক্ষুন্ন হয়নি? তারা তারা তখন গণতন্ত্র নিয়ে কিছু বলেনি। এখন আমাদের নানা রকম ছবক দেয়।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে শিশুপুত্র রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুকে করা হলো নৃসংশভাবে, তখন মানবাধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে কি না সে প্রশ্নও তোলেন মন্ত্রী। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা ফিরে এসে নিহত বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের জন্য সেই বাড়িটিতে একটু দোয়া পড়তে চেয়েছিল, তাকে তা করতে এবং বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তখনও মানবাধিকার ক্ষুন্ন হয়নি! সেসব ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কীর্তির উপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানে হানাদার বাহিনীর যে ৯৫ হাজার আত্মসমর্পন করেছিলন, সে আত্মসমর্পনকারীদের মধ্যে বাঙালি নামধারী কিছু কুলাঙ্গার পাকিস্তানি সেনা অফিসার ছিল। এই রকিবুল হুদা ছিল তার মধ্যে একজন।
তিনি বলেন, অতএব সে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার চেস্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ২১ বার চেষ্টা করা হয়েছে।
দীপু মনি আরও বলেন, যখন ২০০১ সালে অব্যাহতভাবে মাসের পর মাস সারা বাংলাদেশকে বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসীরা মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছিল। যখন মহিমা, ফাহিমা, পুর্নিমা, লতিফা তাদেরকে একের পর এক ধর্ষণ এবং গণধর্ষণ করা হয়েছিল, তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
নির্বাচনের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সম্ভব নয়: দীপু মনি
এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে দুর্যোগকবলিত এলাকায় এর ব্যতিক্রম হতে পারে বলে তিনি জানান।
শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুরের লেডি প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন শেষে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত আছে পরীক্ষার সময়ে যদি কোনো যায়গায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পরীক্ষা বন্ধ করতে হয়, সে স্থানে স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় পরীক্ষা চলবে।’
আরও পড়ুন: সরকার বছরে ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীপ্রতি ৫.৩৪ লাখ টাকা খরচ করে: দীপু মনি
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতি বছরই হয়, এ বছর হয়তো প্রকোপটা বেশি। ডেঙ্গু পরিস্থিতির জন্য সারাদেশের এইচএসসি পরীক্ষার মতো পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী। তারা এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। বহু আগে ১৭ আগস্ট পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একদম প্রস্তুত।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, কিছু পরীক্ষার্থী সব সময় পরীক্ষার আগে চিন্তা করে আরেকটু সময় পেলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে। সে জন্য এত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া যায় না। এটি পাবলিক পরীক্ষা, এটি সঠিক সময়ে নেওয়া জরুরি। এমনিতে কোভিডের কারণে অনেক সময় পিছিয়ে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে এবং এ বছর আমরা চেষ্টা করছি পরীক্ষা এগিয়ে নিতে।
আগামী বছর আমরা চেষ্টা করব স্বাভাবিক সময়ে নিতে। এর মধ্যে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের চিন্তা থাকে। সে জন্য আইসিটি বিষয়ে কম নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছে। পুরো পরীক্ষা কম নম্বরে অর্থাৎ পুনর্বিন্যাস নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছে। কাজেই যে অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে আছে, তারা রাস্তাঘাটে এই আন্দোলন না করে তারা পড়ার টেবিলে ফিরে যাক এবং তারা প্রস্তুতি নিলে আমি বিশ্বাস করি তারা ভালো করবে।
দীপু মনি বলেন, আমাদের তো পরীক্ষায় শতভাগ পাস করে না। যারা পাস করে না তারা পরের বছর পরীক্ষা দেয়। যারা ভালো করে না, তারা মান উন্নয়নের জন্য পরের বছর পরীক্ষা দেয়। এই সুযোগগুলো সব সময় আছে। কাজেই পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। আমাদের পরীক্ষার্থীরা যেন সবাই পড়ার মধ্যে মনোনিবেশ করে এবং তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।
এসএসসির পরে এইচএসসিতে এসে শিক্ষার্থী কমে যাওয়া অর্থাৎ ঝরে পড়া সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অনেক সময় এই সংখ্যাটি হঠাৎ করে মনগড়া বলা হয়। এটির সঠিক সংখ্যা জেনে বলতে হবে। যারা এসএসসি পরীক্ষা দেয়, তাদের মধ্যে বহু সংখ্যক কর্মজীবনে প্রবেশ করে। অনেকে বিদেশে চলে যায়। আবার কেউ আছে অন্যান্য শিক্ষা অর্থাৎ কারিগরি শিক্ষায় চলে যায়, তারা আর এইচএসসি দিতে আসে না। এসব বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সম্ভব নয়: দীপু মনি
২০০৯ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬-১২ শ্রেণিতে ভর্তি বেড়েছে ৫২.৫%: দীপু মনি
ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও আইটেসারেক্টের উদ্যোগে আয়োজিত বহুল প্রত্যাশিত ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার (২৩ জুলাই) বেলা ৩ টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এটি অনুষ্ঠিত হবে। সবার জন্য অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত থাকবে।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্পকলা ও গণিত (স্টিম)-এ শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য এই জমকালো অনুষ্ঠানটি সারাদেশের ছয়টি স্তরের শিক্ষার্থীদের একত্র করবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: শিক্ষামন্ত্রী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- শিক্ষামন্ত্রী ও ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডা. দীপু মনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন- ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক ও প্রধান উপদেষ্টা ইউজিসি'র সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন।
ইনোভেটিভ এডুকেশন ইকোসিস্টেম ও স্টিম শিক্ষার প্রসারে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতার আয়োজন একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলে মনে করেন প্রফেসর সাজ্জাদ।
ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, ‘অলিম্পিয়াডটি একটি নবযাত্রার সূচনা করবে। যেখানে সকল স্তরের শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্প, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং বিভিন্ন স্টিম বিষয়ে দক্ষতা প্রদর্শন করার সুযোগ পাবে। এই প্ল্যাটফর্মটি শুধুমাত্র একাডেমিক শিক্ষাকে উৎসাহিত করে না; বরং প্রতিযোগিতা, সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনাকেও উৎসাহিত করে’।
ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ তরুণদের প্রতিভার উন্মেষ ঘটানোর জন্য একটি অসাধারণ আয়োজন।
এছাড়া উদ্ভাবন ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন প্রয়োজন বলে শিক্ষাবিদগণ অভিমত ব্যক্ত করেন।
৬টি ভিন্ন ভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীরা মোট ৮টি বিভাগে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
নিম্নোক্ত লিংকে প্রবেশ করে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা ও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে:
https://nationalsteamolympiad.com
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
বিএনপির আন্দোলন হাঁকডাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ: শিক্ষামন্ত্রী
সরকার বছরে ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীপ্রতি ৫.৩৪ লাখ টাকা খরচ করে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বৃহস্পতিবার বলেছেন, সরকার প্রতিবছর ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীপ্রতি ৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয় করে।
সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে ক্যাডেট কলেজগুলোর জন্য সরকারি বরাদ্দ ছিল ১৯৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
বর্তমানে, ৩ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করে। সে অনুযায়ী ক্যাডেট কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু বার্ষিক সরকারি ব্যয় ৫ লাখ ৩৪ হাজার ০৪৩ টাকা।
মন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয়ের বরাদ্দ সমন্বিতভাবে করা হয়, তাই সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যয় আলাদাভাবে দেখানো হয় না।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬-১২ শ্রেণিতে ভর্তি বেড়েছে ৫২.৫%: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীপ্রতি সরকারের বার্ষিক ব্যয় ৫০ হাজার ৫১২ টাকা।
২০২১-২২ অর্থবছরে, এই পর্যায়ের ৩৩ লাখ ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ১৬ কোটি ১৬৭ লাখ টাকা।
মাধ্যমিক-পরবর্তী স্তরের ৩ লাখ ৪৫ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে সরকারি বরাদ্দ ৭০৭ কোটি টাকা। প্রতি শিক্ষার্থীর বার্ষিক খরচ ২০ হাজার ৪৮৯ টাকা।
তৃতীয় পর্যায়ে, ৩৮ লাখ ১২ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৭ কোটি ৮০৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে শিক্ষার্থীপ্রতি সরকারের বার্ষিক ব্যয় ২০ হাজার ৪৭৮ টাকা।
মন্ত্রী বলেন, বাজেট ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ও গতিশীলতা এবং শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় সুশাসন, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির কারণে সরকারি, বেসরকারি ও ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মাথাপিছু আয়ের ব্যবধান ক্রমশ কমছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: শিক্ষামন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: মন্ত্রী
২০২৬ সালে নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ২০২৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং এর সমমানের পরীক্ষায় নতুন পাঠ্যক্রমের অধীনে উপস্থিত হবে।
তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে। আর ২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথম এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে।
সোমবার (২৯ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিউট মিলনায়তনে ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল-২০২৩’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম এবং প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। আর ২০২৪ সালে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হবে। এরপর ২০২৬ সালের প্রথম এসএসসি ও সসমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যায়ন এ বছর থেকে শুরু হচ্ছে। নানান দিক বুঝে উঠতে আমাদের সময় লাগবে। শিক্ষকদেরও অভ্যস্ত হয়ে ওঠার জন্য কিছুটা সময় লাগবে। অভিভাবকদেরও সময় লাগবে। আমরা সৌভাগ্যবান শিক্ষোক্ষার্থীদের বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা, তাদের সময় লাগছে সবচেয়ে কম। শিক্ষার্থীরা দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে, হয়ে যাবে। আমরা এই স্মার্ট শিক্ষা, তার বিভিন্ন অংশ নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাবো। যাতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারি সে জন্য স্মার্ট শিক্ষার নীতি নির্ধারণ কৌশল রপ্ত করবার জন্য আমাদের এই আয়োজন।’
আরও পড়ুন: মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশে বিনির্মাণে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণের সূচনা উপলক্ষ্যে ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল' আয়োজন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এই ফেস্টিভ্যালে ২০টি স্মার্ট শিক্ষা কার্যক্রম প্রদর্শন ও ১০টি সেমিনারে সব শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে।
একটি কেন্দ্রীয় ‘স্মার্ট শিক্ষা’ ফ্রেমওয়ার্ক রচনার লক্ষ্যে কিছু মতামত নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে উপস্থাপন করার জন্য এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী ভ্যাস্টিভ্যাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, অনেকগুলো সেমিনার করবো, সেখান থেকে অনেক উপায় বের হবে। স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণের শুরু হলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত রক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিরা ফেস্টিভ্যালে অংশ নেওয়া স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। এরপর বিকালে সেমিনারে অংশ নেন নির্ধারিত অতিথিরা।
আরও পড়ুন: আমরা উচ্চশিক্ষাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গুণগত মান অর্জন করতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী
লিখিত পরীক্ষার পরে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, যে ভবিষ্যতের জন্য আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের তৈরি করছি, সেই ভবিষ্যতে মূল দক্ষতাই হবে শিখতে পারার দক্ষতা। সেখানে একজন শিক্ষার্থীর যোগাযোগের দক্ষতা, সূক্ষ্ম চিন্তার দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, অনেকের সঙ্গে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে। আর যে শিক্ষার্থী যত বেশি সৃজনশীল ও মুক্তচিন্তা করবে সেই শিক্ষার্থী এসব বিষয়ে ততই দক্ষ হয়ে উঠবে। তাই মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব হবেনা।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটালে কঠোর শাস্তি: শিক্ষামন্ত্রী
সোমবার (২২ মে) বিকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় দিবসসমূহে বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা রূপান্তর গঠানোর জন্য আমরা নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এসেছি। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি নতুনভাবে করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শ্রেণীতে এই নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
এছাড়া নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা একজন শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।
মাউশির পরিচালক (প্রশাসন) শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আমরা উচ্চশিক্ষাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গুণগত মান অর্জন করতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী
লিখিত পরীক্ষার পরে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য: দীপু মনি
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বাংলাদেশ সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ রূপকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিক প্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষ হবে, প্রযুক্তির মাধ্যমে সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সাধিত হবে, সরকার প্রযুক্তিগতভাবে স্মার্ট হবে এবং সমাজের সকল স্তরে এর প্রতিফলন হবে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবননির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য।
ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের আমন্ত্রণে ‘গ্রোথ সামিট ২০২৩’- শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে অন্যতম প্রধান আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় দীপু মনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার প্রসারের ফলে কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পরতে পারে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের ফলে সৃষ্ট এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং উদ্ভাবন-নির্ভর সমাজ বিনির্মাণে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: দীপু মনি
তিনি প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থাকে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রণয়নের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে অভিহিত করে, শিক্ষাব্যবস্থার সর্বস্তরে প্রযুক্তির প্রসারে সরকার কর্তৃক প্রণীত ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান ফর আইসিটি ইন এডুকেশন, ন্যাশনাল ব্লেন্ডেড একুকেশন এন্ড স্কিল মাস্টারপ্ল্যান প্রভৃতির ওপর আলোকপাত করেন।
শিক্ষামন্ত্রী গত ০২-০৩ মে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের অংশ হিসেবে আয়োজিত বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের ডায়ালগসমূহে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় তিনি, ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বৈষম্য সৃষ্টির প্রেক্ষিতে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে মর্মে মন্তব্য করে, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও কর্মসংস্থান-এই ত্রয়ীর মধ্যে নিবিড় সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি শিক্ষাজীবনে অর্জিত জ্ঞান যাতে কর্মক্ষেত্রে অনুপযোগী হয়ে না যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষণ ও দক্ষতার উত্তরোত্তর উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার সুস্পষ্ট রূপরেখা সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সকলকে আহ্বান জানান।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকালে শিক্ষামন্ত্রী ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী চেয়ারপার্সন প্রফেসর ক্লাউস শোয়্যাব এবং ফোরামের বর্তমান সভাপতি বর্গ ব্রেন্ড এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
এসময় তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নের বৈশ্বিক আলোচনা এবং এ সংশ্লিষ্ট বৈচিত্র্যময় চিন্তাভাবনাকে একটি কমন প্লাটফর্মে উপস্থাপনের প্রয়াসের জন্য তাদের প্রশংসা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতি নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কোভিড-১৯ এর কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং সময়ে সরকারের গৃহীত প্রচেষ্টা তাদের সামনে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, নানাবিধ ইতিবাচক দিকের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ শ্রমবাজারের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। সে বিষয়ে নিবিড় ও বিস্তারিত গবেষণা কার্যক্রম হাতে নেওয়ার জন্য তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামকে অনুরোধ জানান তিনি।
বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান, বিশ্বের নামকরা কর্পোরেট সংস্থাসমূহের প্রধান নির্বাহীবৃন্দসহ প্রমুখ ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই: দীপু মনি
আগামী বছর জাতীয় মেধাক্রম তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রীর মা মারা গেছেন
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির মা রহিমা ওয়াদুদ শুক্রবার মারা গেছেন।
দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানের নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের ইউএনবিকে এতথ্য জানান।
মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮৯ বছর।
শিক্ষামন্ত্রী এখন রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। তিনি আগামীকাল (রবিবার) সকাল ১১টায় দেশে ফিরবেন বলেও জানান তিনি।
আগামীকাল বাদ আসর কলাবাগান ক্রীড়া চক্র খেলার মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কামরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটালে কঠোর শাস্তি: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, সারাদেশে চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই। গুজব রটতে পারে, গুজব রটিয়ে ধরা পড়লে কঠোর শাস্তি হবে।
২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিন রবিবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর বাড্ডা হাইস্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অটিস্টিক শিশুদের বয়সের শর্ত শিথিল করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের গুজব রটানো ঠেকাতে সার্বক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেখানেই কোনো ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে, কেউ গুজব ছড়াবার চেষ্টা করছে বা কিছু হচ্ছে, সেখানেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
আগামী বছর পরীক্ষার সময় আরও এগোবে কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর পরীক্ষা এগিয়ে আনার চেষ্টা করব। তবে যারা পরীক্ষা দেবে তারা পুরো প্রস্তুতির সময় পেয়েছে কি না তা দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশের শিক্ষকদের একটি মতামত নেওয়া হবে—তারা কোন সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করতে পারবেন। শুধু তো তাড়াহুড়া করে শেষ করলে হবে না, স্বস্তিতে শেষ করতে হবে। শিক্ষকদের মতামত নিয়েই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, গত বছর আমরা পরীক্ষা এগিয়ে আনতে পারতাম, কিন্তু বন্যার কারণে আমাদের পেছাতে হয়েছে। এইবার আমরা গত বছরের তুলনায় অনেক এগিয়ে নিয়ে এসেছি। সামনের বছর চেষ্টা করব, স্বাভাবিকের যতো কাছাকাছি যাওয়া যায়।
প্রশ্নপত্রে ভুলের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভুলভ্রান্ত্রি যেটা সেটাই তো ভুলই। গতবার যে কয়েকটি জায়গায় যে কয়েকটি ভুল হয়েছে তাদের কড়া মাশুল দিতে হয়েছে। যারা দায়িত্বে থাকেন, তাদের যাতে ভুল না হয়, সেদিকে যেন সচেতন থাকেন।
আরও পড়ুন: ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই: দীপু মনি
আগামীকালের এসএসসি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।
শনিবার বিকালে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে কেউ গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হবে কি হবে না তা নীতিগত বিষয়।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার এটা নিয়ে ভাবছে। প্রথমে এটা বিশ্লেষণ করা দরকার কারণ এর সঙ্গে আর্থিক ফ্যাক্টর জড়িত।’
দক্ষিণ আইচা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
এর আগে দীপু মনি শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্ক, জ্যাকব টাওয়ার, দেশের প্রথম পরিবেশবান্ধব কেন্দ্রীয় খাসমহল জামে মসজিদ এবং বেগম রহিমা ইসলাম কলেজসহ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন সুবিধা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার হলের ২০০ গজের মধ্যে প্রার্থী ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রবিবার