আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে সংশোধন আনছে, তাতে সাংবাদিকরা খুশি হবেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কী ধরনের সংশোধনী আনা হচ্ছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটার জন্য আপনারদের একটু অপেক্ষা করতে হবে। আমি মনে করি, আপনাদের পরামর্শ সরকারের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি এটুকু বলতে পারি, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের যে সংশোধন হচ্ছে তাতে আপনারা সকলে খুশি হবেন।’
তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। তার সফরে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। নতুন আঙ্গিকে আমাদের এই অংশীদারত্ব কাজে লাগাব ও শক্ত করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলাপ হয়েছে। তাকে বলেছি- আমরা এই আইন সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী সেপ্টেম্বরে এই সংশোধনী পার্লামেন্টে তোলা হবে এবং পাস করা হবে বলে আশা রাখি।’
আরও পড়ুন: লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা গভীর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত সৃষ্টি করে: আইনমন্ত্রী
বৈঠকে উপাত্ত সুরক্ষা আইন নিয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সেখানে বলেছি- এটি নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে একবার বৈঠক করার পরে আবার একটা খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সেটি নিয়েও অংশীজনদের সঙ্গে বসা হবে বলে আমি আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে শুনেছি। ইমন গিলমোরকেও সে কথা বলেছি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রম আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বলেছি, বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার জোরদার হয়েছে। এটি নিয়ে অনেক কাজ করেছি এবং করে যাচ্ছি। যে সব সমস্যা আছে, সেগুলো দূর হবে বলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আশা ব্যক্ত করেছি। সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা চেয়েছি।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘তাদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে বিশেষ কোনো আলাপ হয়নি। নির্বাচন নিয়ে তাকে কেবল বলেছি, প্রধান নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশন নিয়োগে যে আইনটি আমরা করেছি, এটি এই উপমহাদেশে প্রথম। গেল অর্ধশত বছরে এমন আর কোনো আইন হয়নি। আমরা আইন করেছি অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য।’
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অনেক বিদেশি প্রতিনিধি আসছেন, এ নিয়ে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীটা এখন বিশ্বগ্রাম। এখানে বিভিন্ন দেশ পারস্পরিক সম্পর্ক ধরে রাখতে বিভিন্ন আলোচনায় যুক্ত হয়। আমি সে আলোকেই দেখছি। আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ।’
তিনি বলেন, আমাদের যেসব বন্ধুদেশ আছে, তারা আমাদের অবশ্যই অনেক কিছু জিজ্ঞেস করতে পারেন। আবার অনেক কথা তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে পারি। কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে এই আলোচনার মাধ্যমে তা দূর হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেগুলো দূর হচ্ছে বলে মনে করি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার: আইনমন্ত্রী
সংবিধান না মানলে দেশের নাগরিক বলা ঠিক না: আইনমন্ত্রী
লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা গভীর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত সৃষ্টি করে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বদ্ধমূল সমস্যা এবং এর প্রভাব অনেক বেশি বিস্তৃত।
তিনি বলেন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ছাড়াও পরিবার, সম্প্রদায় ও সামগ্রিকভাবে জাতিকে প্রভাবিত করে।
তিনি আরও বলেন, এ সহিংসতা কেবল শারীরিক ক্ষতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি গভীর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে পারিবারিক কাঠামোকে ব্যাহত করে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্তরে ক্ষতিগ্রস্তদের অগ্রগতিতে বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
শনিবার (২২ জুলাই) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স বেঞ্চ বুক লঞ্চ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা এবং প্রশমনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদালত এ ধরনের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে; যাতে তারা প্রতিকার পায় এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করতে পারে।
তিনি বলেন, এমন প্রেক্ষাপটে, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাবিষয়ক মামলার জটিল বিষয়গুলোর সহজ সমাধানে বিচার বিভাগীয় বেঞ্চ বুক দুটি বিচারকদের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সব স্তরের মানুষের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সমাজের দুর্বল ও অসহায় মানুষদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক পরিসরে আইনি, প্রশাসনিক ও নীতিগত সংস্কার করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার বিষয়ে সুদৃষ্টি দিয়েই তার সরকার ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ২০১০ সালে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন করেছে।
২০১২ সালে পর্নোগ্রাফি (নিয়ন্ত্রণ) আইন ও মানব পাচার প্রতিরোধ আইন করেছেন। এ আইনগুলো সহিংসতা ও লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, নারী ও শিশুরা মানব পাচারের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। এ ঘৃণ্য অপরাধ দমনে কৌশলগতভাবে সাতটি বিভাগীয় সদরে সাতটি মানব পাচার বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী ১০১টি বিশেষায়িত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি উল্লেখযোগ্য নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে।
এছাড়া এ দূরদর্শী পদক্ষেপগুলো নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ হিসেবে করেছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার: আইনমন্ত্রী
সংবিধান না মানলে দেশের নাগরিক বলা ঠিক না: আইনমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ নৈরাজ্যের দেশে পরিণত হবে। বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের ভালো চায় না।
শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ইতিহাস বলে, তারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে এবং সে হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য আইন করেছে। শুধু তাই নয়, হত্যাকারীদের চাকরি দেওয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সুবিধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন তাদের সঙ্গে রাজনীতি করতে হলে শক্ত হাতে রাজনীতি করতে হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে। তারা নির্বাচন করতে চায় না, তারা চায় পেছনের দরজা দিয়ে আবার কেউ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাক।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আসবে না, বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচন করবে।
আরও পড়ুন: সংবিধান না মানলে দেশের নাগরিক বলা ঠিক না: আইনমন্ত্রী
শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চায় মার্কিন প্রতিনিধি দল: আইনমন্ত্রী
সংবিধান না মানলে দেশের নাগরিক বলা ঠিক না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা সংবিধান মানে না, তাদের বাংলাদেশি নাগরিক বলা ঠিক না।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিমান ও নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা অনেক কিছুই বলবেন। আওয়মী লীগ সংবিধান মেনে চলে। কারণ লাখো শহীদের রক্তে স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু এ সংবিধান দিয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। আর যারা সংবিধান মানে না, আমার মনে হয়, নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দাবি করা তাদের ঠিক না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমাদেরকে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।
আরও পড়ুন: শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চায় মার্কিন প্রতিনিধি দল: আইনমন্ত্রী
অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চায় মার্কিন প্রতিনিধি দল: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, গাজীপুরের শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছে বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রতিনিধি দলে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া ব্যুরোর উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল হক বলেন, 'তারা শহিদুল ইসলামের (গাজীপুরের শ্রমিক নেতা) মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন। আমি এ কথাটাই বলেছি। এই পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণত যেটি আলাপ করার সেই আলাপই করেছি।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা হয়নি। তারাও জিজ্ঞাসা করেনি, আমারও বলার প্রয়োজন হয়নি।'
আরও পড়ুন: অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা হয়েছে। এ আইন নিয়ে আমি আগে যে কথা বলেছি, ঠিক সেই কথাগুলো উনাদের আজকে বলেছি। আগের মতোই বলেছি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশোধন করা হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'তারা পরিষ্কারভাবেই বলেছেন, ওনারা সব দেশেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান। গতকাল আমার সচিব ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) টিমকে যেভাবে বলেছে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যে আইনি কাঠামো সেটা বাংলাদেশে আছে। যে আইনগুলো এ ব্যাপারে সহায়ক আমি সেই আইনগুলোর কথা উল্লেখ করেছি।'
আনিসুল হক আরও বলেন, আমরা সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইনটি করেছি, সেটা সম্বন্ধে কথা বলেছি। এটাও বলেছি গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে এ আইন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই আইন করেছে। এ ছাড়া এই উপমহাদেশের অন্য কোনো দেশে এই আইন নেই, সেটাও আমি বলেছি।'
তিনি আরও বলেন, ‘তারা কিছু কিছু বিষয়ে কথা বলেছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সেসব বিষয়ে তারা শুধু এটুকু বলেছেন, সুষ্ঠু তদন্ত হলে সেটা ভালো। আমি তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি, বাংলাদেশে আগের সাংস্কৃতি নেই যে, বিচার হবে না। বাংলাদেশে এখন যেকোনো অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার হয় এবং তাই হবে।’
মানবাধিকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ঈদের আগে গত ২৫ জুলাই শ্রমিকদের বেতন–ভাতা আদায়ে আরও দুই শ্রমিকনেতাকে নিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীর প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডে গিয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম। কারখানা থেকে বেরিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পরেই তাদের উপর হামলা করা হয়। এ হামলায় প্রাণ হারান শহিদুল।
আরও পড়ুন: বিমান ও নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: আইনমন্ত্রী
ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার: আইনমন্ত্রী
অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনই একমাত্র সমাধান এবং কোনো অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না, এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বলেছেন তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।
রবিবার (৯ জুলাই) রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে বিচারকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন
নির্বাচন কমিশনের আরপিও ('জনপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) বিল, ২০২৩' সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ইসির ক্ষমতা খর্ব হয়নি বরং আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার সংরক্ষিত হয়েছে।
দুই মাসের মধ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তির জন্য সরকার বিচার ও পুলিশকে চিঠি দিয়েছে বলে বিএনপির উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এতে কোনো সন্দেহ নেই। এ নিয়ে তারা (বিএনপি) কোনো চিঠি দেখালে আলোচনা হবে। আমি মনে করি তারা (বিএনপি) অন্য কোনো ইস্যু খুঁজে না পেয়ে মিথ্যা ইস্যু তৈরিতে তৎপর। আমি দৃঢ়ভাবে বলেছি, এ বিষয়ে কোনো চিঠিও দেওয়া হয়নি বা কোনো মৌখিক আদেশও দেওয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন: বিমান ও নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: আইনমন্ত্রী
ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার: আইনমন্ত্রী
সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
বিমান ও নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বলেছেন, বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নত প্রযুক্তির আরও যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
মঙ্গলবার সংসদীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা আনিসুল হক লক্ষ্মীপুর থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে আটটি স্কোয়াড্রন ফাইটার জেট রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে বর্তমানে দুটি সাবমেরিনসহ ৬৫টির বেশি যুদ্ধজাহাজ, দুটি হেলিকপ্টার ও চারটি মেরিটাইম এয়ারক্রাফট রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন যে ফ্রিগেট, করভেট, অফশোর পেট্রোল ভেসেল (ওপিভি), মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল (এমসিএমভি), লার্জ পেট্রোল ক্রাফট (এলপিসি), ওশান টাগস, হারবার টাগস, অয়েল ট্যাঙ্কার, লজিস্টিক শিপ, অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের অন্যান্য পরিকল্পনা রয়েছে।
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাজেট বরাদ্দের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ভাসমান ক্রেন, হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে ভেসেল ও হোভারক্রাফট।
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার: আইনমন্ত্রী
এদিকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংসদে বলেছেন, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে কোনো মুক্তিযোদ্ধা নেই।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার শেষ জন্ম তারিখ ছিল ৩০ মে, ১৯৫৯।
সে অনুযায়ী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার চাকরির মেয়াদ হবে ৩০ মে, ২০১৯ পর্যন্ত। বর্তমানে কোনো মুক্তিযোদ্ধা নিয়ম অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে কর্মরত নেই।
মন্ত্রী আরও বলেন, মন্ত্রণালয় ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন সংসদকে জানান, মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত আ.লীগের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতিসংঘের মতে, প্রকৃতি ধ্বংসের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ১০ লাখ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
মন্ত্রী আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক দূষণ তাদের বর্তমান গতিতে চলতে থাকলে ২০৭০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী তিন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের একটি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতির দেশ গঠনের মৌলিক ভিত্তি হলো শান্তি, স্থিতিশীলতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন, যেগুলোর প্রতিটির সঙ্গে ‘ন্যায়বিচার’ শব্দটি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার।
রবিবার (১৮ জুন) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সদ্য পদায়নকৃত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য আয়োজিত ১৫১তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ন্যায়বিচারের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, লুকাস-এর মতে ন্যায়বিচার অনুগ্রহ, উদারতা, কৃতজ্ঞতা, বন্ধুত্ব ও সহমর্মিতার থেকে পৃথক।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে জোরালোভাবে কাজ করছে সরকার: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর মতে ন্যায়বিচার চারটি নাগরিক গুণাবলির একটি; অন্যগুলো হলো প্রজ্ঞা, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সাহস। প্রত্যেক বিচারকের এসব গুণাবলি থাকা দরকার। কারণ তাদের কলম দিয়ে নিত্যদিন ন্যায়বিচারের হাজারও বাণী ঝড়ে।
দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, এর আগে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে বিচারকদের প্রথম পদায়ন করার পর ম্যাজিস্ট্রেসি ও ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশেষ কোনও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না।
তিনি বলেন, এবারই প্রথম বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সদ্য পদায়নকৃত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্টোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য এ ধরণের প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করেছে, যা চলমান থাকবে।
ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানোর ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।
এসময় আইনমন্ত্রী এই প্রশিক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং কোর্সটি আয়োজন করার জন্য ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান।
২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৭২৫ জন বিচারককে ভারতের ভূপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমিতে সশরীরে প্রশিক্ষণ প্রদান করার তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেও একটি আন্তর্জাতিক মানের জুডিসিয়াল একাডেমি স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ একাডেমিতে বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, ডাক্তারসহ বিচারসংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট নানাবিধ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, একাডেমি স্থাপনের জন্য প্রকল্প এলাকায় ৩৭ দশমিক ৫০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। চিহ্নিত ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে আইন ও বিচার বিভাগের বাজেটে ১৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি বিচারক নিয়োগে জোর দেওয়ার বিষয়ে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অধস্তন আদালতে মোট ১৩২৯ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৫তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে ১০৩ জন এবং ১৬তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে ১০০ জন বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার সংসদে বলেছেন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করায় কোনো সরকারি সংস্থা হয়রানির জন্য মামলা করবে না।
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান (সিলেট-২) এর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
১১ দফা সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে কোনো সরকারি সংস্থার দ্বারা হয়রানির জন্য মামলা দায়ের না করা; প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সমর্থক, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের হামলা প্রতিরোধ করা এবং এ ধরনের হামলা হলে আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: কোনো মতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা যায় না: আইনমন্ত্রী
অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে সরকারের কাছে প্রস্তাবনা যাতে সব রাজনৈতিক দল অবাধে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে পারে; বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে সংবিধান ও নির্বাচনী আইন অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠদের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা; যোগ্য ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ; এবং দেশি-বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগসহ আইনানুগ প্রয়োজনীয় সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বাকি সিদ্ধান্তগুলো হলো নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে এবং তারা যাতে নিষ্ঠার সঙ্গে ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া। নির্বাচন; ভোটকেন্দ্র এবং নির্বাচনী এলাকায় অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মোতায়েন করা; নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য নির্বাহী ও বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, যেহেতু আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাই এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন দৃঢ়ভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সবার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ, পর্যাপ্ত সংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি সংবাদ তথ্য অবাধে নিতে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াকে সুযোগ-সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের ফলাফল যেন সব ভোটার এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সকল প্রার্থীর সঙ্গে সমান আচরণ করবে, নির্বাচন কমিশনের আরও যোগ্য কর্মকর্তাকে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেবে, নিরপেক্ষ প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ করবে যারা পক্ষপাতমূলক নির্বাচন থেকে মুক্তি দেবে এবং কর্মকর্তারা নির্বাচনী আইন ও বিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: কবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে তা প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করবেন: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ৭ হাজার মামলা হয়েছে।
সোমবার সিলেট থেকে নির্বাচিত গণফোরামের সংসদ সদস্য মুকাব্বির খানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সংসদে পাস হয়।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ পর্যন্ত কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ উদ্বিগ্ন।
তাই সচিবালয়ের নিয়মানুযায়ী প্রশ্নের এই অংশটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জামালপুর থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৩৬ লাখ ৭০ হাজার মামলা বিচারিক আদালতে বিচারাধীন রয়েছে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: কবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে তা প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করবেন: আইনমন্ত্রী
এর মধ্যে দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৪ হাজার এবং ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ২০ লাখ ৮৬ হাজার।
মন্ত্রী বলেন, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৪৪ হাজার ঢাকায় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ লাখ ৭১ হাজার মামলা চলছে চট্টগ্রামে।
নোয়াখালীর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ন্যায়বিচার প্রত্যাশী জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে একটি আধুনিক বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত হলে সারাদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এবং মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে কার্যকর ও দৃশ্যমান উন্নতি হবে।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনা হবে: আইনমন্ত্রী
শ্রম আইন সংশোধনে জোরালোভাবে কাজ করছে সরকার: আইনমন্ত্রী