আইনমন্ত্রী
কবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে তা প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করবেন: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবেন তা ঠিক করবেন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ওয়েস্ট মিনিস্টার স্টাইল পার্লামেন্টারি সিস্টেম অব গভর্নমেন্টে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। সেই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করেন যে তিনি একটি ছোট সরকার গঠন করতে চান বা নির্বাচনকালীন সরকার করতে চান, তখন তিনি তা করবেন। আমার মনে হয় এই ব্যাপারে কোন অস্পষ্টতা নেই।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলে দিয়েছেন যে নির্বাচনকালীন সরকারে কারা কারা থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে একটি রূপরেখা তিনি দিয়েই দিয়েছেন।
রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দুর্নীতি বিষয়ক মামলার বিচারকার্যের সাথে সম্পৃক্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ‘১৫০তম রিফ্রেসার কোর্সের’- উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের একজন রিপোর্টিয়ার বাংলাদেশ সফর শেষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দিয়েছেন- সে প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, এই বক্তব্য জাতিসংঘ দিয়েছে বলে আমি মনে করি না। তারা এই বক্তব্য দেওয়ার আগেই ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যখন মিসইউজ ও অ্যাবিউজ হচ্ছিল তখনই কিন্তু আমি বলেছি যে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই আইনের মিসইউজ ও অ্যাবিউজ বন্ধ করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ঠিক সেই ধারাবাহিকতায় আমি পরিস্কারভাবে বলেছি যে এই মিসইজউ ও অ্যাবিউজ বন্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু সংশোধন প্রয়োজন হবে এবং সে বিষয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। টেকনিক্যাল নোট পেয়েছি। এসব মতামত বিবেচনা করে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনী আনা হবে। এটা কারও প্রেসক্রিপশনের উপর নির্ভরশীল না। আমরা যখন মনে করেছি যে, মিসইউজ হয়েছে, আমরা স্বীকার করেছি এবং সেই মিসইউজকে সংশোধন করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে জোরালোভাবে কাজ করছে সরকার: আইনমন্ত্রী
মানুষ যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পায়: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এটি করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে না।
তিনি জানান, এই আইনের অপব্যবহার রোধে তিনি বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে একটি টেকসই সমাধান দরকার। এই সমাধানের অংশ হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কিছু সংশোধনী আনা হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে জোরালোভাবে কাজ করছে সরকার: আইনমন্ত্রী
রবিবার (২১ মে) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল আইন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’- শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংলাপ ও আলোচনা একটি গণতান্ত্রিক সমাজের চাবিকাঠি। তাই সরকার সমাজের বিভিন্ন অংশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করতে উৎসাহিত বোধ করে।
তিনি জানান, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছে, তাদের কিছু ইনপুট পেয়েছে এবং এটি পর্যালোচনা করছে।
আনিসুল হক বলেন, অনলাইনে নারীদের প্রায়ই হয়রানি করা হচ্ছে, যার সুরাহা হওয়া দরকার। ডিজিটাল স্পেসের যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে দেশ, সরকার বা কোনো ব্যক্তির মানহানি করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে বর্তমানে সমস্ত দেশ ডিজিটাল স্পেসে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং যারা ডিজিটাল আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ও আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তাদের রক্ষা করা দরকার।
এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দরকার। তাই এ আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না। তবে আইনটি সংশোধনের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এছাড়া এটি অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: মানুষ যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পায়: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না: আইনমন্ত্রী
শ্রম আইন সংশোধনে জোরালোভাবে কাজ করছে সরকার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন নিশ্চিত করার জন্য জোরালোভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আইন সংশোধন একটি জটিল প্রক্রিয়া। বিশেষ করে শ্রম আইন যা ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যম ঘটে থাকে। তাই এই আইন সংশোধনে যুক্তিসঙ্গত সময়ের প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনাগুলো বিবেচনা করা হবে: আইনমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৬ মে) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে শ্রম আইন সংশোধন বিষয়ক টেকনিক্যাল নোট ও গ্লোবাল গুড প্রাকটিস নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা সভার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক শ্রমিকের কাজের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রম মান এবং মৌলিক নীতি ও অধিকার অনুযায়ী শ্রম খাতকে উন্নত করার জন্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা নিয়ে কোনো অস্পষ্টতা নেই।
মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইএলও গভর্নিং বডিতে তিনি বাংলাদেশের শ্রমের মান উন্নয়নে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা তুলে ধরেছেন।
শ্রমবিষয়ক আইনি কাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, এরই মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। ইপিজেড শ্রম বিধিমালা জারি করা হয়েছে।
শ্রম বিধিমালা সংশোধনের প্রথম রাউন্ডে বিশেষজ্ঞ কমিটির বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় নেওয়া হয়।
এছাড়া, আগামীতেও তাদের পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো পুটিআইনেন, বাংলাদেশ এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশির কবির, এনসিসিডব্লিউই’র সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: মানুষ যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পায়: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল হবে না। এটা আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা আইনের মধ্যেই সাংবাদিকদের, যারা সত্য সাংবাদিকতা করেন, তাদের সুরক্ষার জন্য অবশ্যই প্রভিশন থাকবে।
বুধবার (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ‘শেপিং আ ফিউচার অব রাইটস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনাগুলো বিবেচনা করা হবে: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে সরকার কাজ করছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি, আজও বলছি, এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, শুধমাত্র সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ করার জন্য।
আমি আপনাদের নিশ্চিত করেই বলতে পারি, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কখনও সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতা হরণ করবে না। কারণ, বঙ্গবন্ধু তার দেওয়া সংবিধানে সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দানসহ একে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তিনি সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করে দিয়েছেন; ৪০টির অধিক টেলিভিশন চ্যানেল, ২২টি এফএম রেডিও এবং ১৭টি কমিউনিটি রেডিও অনুমোদন দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংবিধান উপহার দেন, তার ৩৯ অনুচ্ছেদে প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হয়। শুধু তাই নয়, বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়-এটাই হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির অঙ্গীকার এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি আওয়ামী লীগের উদার গণতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর, তার দেওয়া সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে যেসব মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো নির্বিচারে লঙ্ঘন করা হয়।
সামরিক স্বৈর শাসকরা সংবাদ মাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতার সবকিছুই লঙ্ঘন করে এবং বাধাগ্রস্ত করে। বলতে গেলে সেসময় বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার কিছুই ছিল না।
এটা নিয়ন্ত্রিত হতো একটি বিশেষ জায়গা থেকে।
তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সরকার গঠনের পর দেশে প্রথমবারের মতো বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দেন। এসব টেলিভিশন চালু হওয়ার পর সেগুলোতে প্রচলিত অনুষ্ঠান সম্প্রচারের পাশাপাশি নতুন ধারার অনুষ্ঠান টকশো ও লাইভ নিউজ সম্প্রচার শুরু হয় এবং এর মাধ্যমে দেশে সংবাদ মাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতার নব দিগন্ত উন্মোচিত হয়।
তিনি ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে অভিযাত্রা শুরু করেন, তার ফলে আজ বাংলাদেশে অনলাইন মিডিয়া ও স্যোসাল মিডিয়ার বিপ্লব ঘটেছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মক্ষেত্র পাওয়ার অধিকারের ওপর জোর দিলেন আইনমন্ত্রী
জননেত্রী শেখ হাসিনার গড়া ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে দেশে প্রায় কয়েক হাজার অনলাইন মিডিয়া ও নিউজ পোর্টাল কাজ করছে।
এর পাশাপাশি ফেইসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন স্যোসাল মিডিয়া রয়েছে। এসব নিউ মিডিয়ায় দেশের কোটি কোটি মানুষ প্রতি মুহুর্তে অবাধে অডিও-ভিজুয়াল সংবাদ ও মতামত প্রকাশ করছে।
ফলে নিউ মিডিয়া এখন অনেক ক্ষেত্রেই প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদের সোর্স হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের গুরুত্ব তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রচলিত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলোকে সর্বক্ষণ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করে টিকে থাকতে হয়।
সে কারণে তাদেরকে সবসময় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হয়। কিন্তু অনলাইন মিডিয়া ও স্যোসাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে এই দায়িত্বশীলতার বড়ই অভাব দেখা যায়। যেকারণে হর-হামেশাই এসব নিউ মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
এসব সাইবার অপরাধ দমনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
সাইবার অপরাধ দমনের জন্য সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম. ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশে আইন প্রণয়নের উদাহরণ টেনে আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারও ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামে একটি আইন প্রণয়ন করেছে।
আইনটি প্রণয়নের পূর্বে এডিটরস কাউন্সিল, এটকো, সাংবাদিক সংগঠনসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করা হয়।
এমনকি এই আলোচনার দ্বার সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। আইনটি বাস্তবায়নের প্রথম দিকে, এর কিছু মিসইউজ ও অ্যাবিউজ হয়েছে- এটি আমি অস্বীকার করবো না।
তবে আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সেই মিসইউজ ও অ্যাবিউজ আগের তুলনায় অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।
আমরা এসব মিসইউজ ও অ্যাবিউজ আরও কমানোর লক্ষ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-কে পরিশুদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: কোনো মতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা যায় না: আইনমন্ত্রী
কোনো মতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা যায় না: আইনমন্ত্রী
কোনো মতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটা আইন। এ আইনকে কোনো মতেই বাতিল করা যায় না।’
আরও পড়ুন: বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইসিটি আইন করা হয়নি: আইনমন্ত্রী
রবিবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইজিপির সঙ্গে প্রতিনিয়ত মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে আলোচনা হয়। অনেক মামলা, সেগুলো যাতে আদালতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সেসব জটিলতা নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করি। এছাড়া মামলা জট কমানোর জন্য আলাপ-আলোচনা করি। সেই আলোচনার জন্য তিনি এসেছিলেন। এতটুকুই হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা খুব ভালো করেই জানেন যে আমি সাব-জুডিস ম্যাটারে (বিচারাধীন বিষয়) কারো সঙ্গে আলোচনা করি না। এছাড়া এটা আদালতের ব্যাপার, আদালত যে পদক্ষেপ নেবে সেটাই আমাদের মানতে হবে।
আরও পড়ুন: সুলতানার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনাগুলো বিবেচনা করা হবে: আইনমন্ত্রী
সুলতানার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে মৃত সুলতানার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে যখন ওই নারীকে নওগাঁ থেকে আটক করা হয়েছিল; তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো মামলা হয়নি। এর একদিন পর মামলা দায়ের করা হয়। সুতরাং, এক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার বক্তব্য হলো ওই নারী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ধরা পড়েননি।
দু-একটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানেই এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
নওগাঁ পৌরসভা-চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী সুলতানাকে (৩৮) ২২ মার্চ র্যাব-৫ এর একটি টহল দল তুলে নিয়ে যায়।
পরে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং তারপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ২৪ মার্চ সেখানে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যে মামলাগুলো করা হয়েছে বা করা হচ্ছে সেগুলো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি স্বীকার করি আপনারা নির্ভীক সাংবাদিক। জনগণের কাছে সত্য প্রকাশ করলে সরকার কখনো বাধা দেবে না।’
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে শামসকে সাদা পোশাকের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) লোকজন ধরে নিয়ে যায়।
একই দিন দৈনিক প্রথম আলোতে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন যুবলীগ নেতা।
বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনাগুলো বিবেচনা করা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) হালনাগাদ করার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
তিনি বলেন, ‘এ আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা সবাই বলেছেন। এটিকে যদি ভালো করা যায় তবে সেটাই করা হবে। এ আইন নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে আমরা সেগুলোকে বিবেচনায় নিচ্ছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইনটি প্রণীত হয়েছে, আমরা এই লক্ষ্য ধরে রাখব।’
আরও পড়ুন: বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইসিটি আইন করা হয়নি: আইনমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলোচনা হচ্ছে। আমি একটি জিনিস বলতে পারি, আমরা চেষ্টা করছি সব পক্ষের কথা শোনার। সবকিছু যাচাই-বাছাইয়ের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি বলেন, আজকে দুটি আইন নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও উপাত্ত সুরক্ষা আইন। উপাত্ত সুরক্ষা আইনের একটি নতুন খসড়া ওয়েব সাইটে আজ আপলোড করা হয়েছে। আমরা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে এ বিষয়ে আগামী ৬ এপ্রিল আবার বসবো। সেখানে সেটা নিয়ে আলোচনা করবো।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথম বৈঠকের পরে যেসব পরামর্শ দেয়া হয়েছে, সেগুলো বিবেচনা করা হয়েছে। আইনটিতে যেসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে, তা অনেকটা দূর করা হয়েছে।
সভায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আজ দুটি আইন নিয়ে কথা হয়েছে। একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সেটি এরইমধ্যে বলবৎ আছে। এ আইনটির যেসব উদ্বেগের জায়গা নিয়ে কথা বলার ছিল, সেটি আমরা করেছি। দ্বিতীয়টি হচ্ছে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া। এটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে আমরা আলোচনা করতে পারিনি।
তিনি জানান, উপাত্ত সুরক্ষা আইনের নতুন একটি খসড়া হয়েছে। যেটি আজকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে সরকারের উদ্যোগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান খসড়াটি হয়েছে। খসড়াটি যেহেতু আজ প্রকাশিত হয়েছে, তাই আমরা আগে এটি দেখতে পারিনি।
তিনি বলেন, আমাদের হাতে একটি কপি এসেছে। আমরা আইনমন্ত্রী ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর (জুনাইদ আহমেদ পলক) সঙ্গে একমত হয়েছি যে আগামী ৬ এপ্রিল এ আইন নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। কারণ খসড়াটি নিয়ে নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন অংশীজনের কাছ থেকে পরামর্শ এসেছে।
তিনি বলেন, নতুন খসড়াটি আমরা ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই। খসড়াটি পর্যালোচনা করার সুযোগ সরকার আমাদের দিয়েছে। আমরা আশাবাদী, আমাদের মন্তব্য ও পরামর্শ তারা বিবেচনা করবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে গণমাধ্যমসহ জনগণের একটি বড় অংশের উদ্বেগ রয়েছে জানিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মন্ত্রীও আলোচনা প্রসঙ্গে এ আইনের অপব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। সরকার এ বিষয়ে অবহিত আছে। আমরা মনে করি সার্বিকভাবে নাগরিক সমাজের অবস্থান হলো এ আইনটি বাতিল করা দরকার। এছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই। কারণ এখানে মৌলিক যে বিচ্যুতি, উদ্বেগ ও পাশাপাশি আইনটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপব্যবহারের যে সুযোগ করে দেয়া হয়েছে, আমরা মনে করি আইনটি ঢেলে সাজানো হলেও তা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। জনকল্যাণমুখী হবে না। তাই আমরা আইনটি বাতিল করা দরকার বলে মনে করি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, ড. সি আর আবরার, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রেজাউর রহমান লেনিন, সাইমুম রেজা তালুকদার, শারমিন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে: আইনমন্ত্রী
নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের চাপ নেই: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে।
তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত আবেদনে দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর বিষয়ে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। মতামত দিয়ে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে। এই অবস্থায় কিছুদিন আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এসেছে
অনুকূল পরিবেশ থাকলে রাজনীতি করবেন খালেদা জিয়া: বিএনপি
নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের চাপ নেই: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর বিদেশিদের কোনও চাপ নেই।
তিনি বলেন, বিদেশিরা যদি (নির্বাচন সম্পর্কে) জানতে চায়, তাহলে তাদের বলতে আমাদের আপত্তি নেই; কারণ আমরা হত্যা বা মিথ্যার রাজনীতি করি না। আমরা কিছু গোপন করি না, তাই কূটনীতিকদের জানাতে আমাদের কোনও আপত্তি ও দ্বিধা নেই।
আরও পড়ুন: খালেদাকে রাজনীতি করতে দিতে বাইরের কোনো চাপ নেই: আইনমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির নেতৃত্বে ডেনমার্ক, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, স্পেন ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ায় দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারও পরামর্শ তারা শুনবে না।
তিনি বলেন, স্বাধীন দেশের নাগরিকদের জন্য যা ভালো তা আমরা করব।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। আমরা চাই সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
তিনি আরও বলেন, আমরা সংবিধানের বাইরে যাব না। সংবিধানে যেভাবে বলা আছে সেভাবেই নির্বাচন হবে। আমরা চাই বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
তবে কে নির্বাচনে অংশ নেবে, আর কে নেবে না সেটা রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপার।
আরও পড়ুন: বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইসিটি আইন করা হয়নি: আইনমন্ত্রী
আবেদন পেলে খালেদার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী
বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইসিটি আইন করা হয়নি: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি।
তিনি বলেন, আমি একটা কথা আগেই বলে রাখি যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট কিন্তু কারও বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য করা হয় নাই। পেনাল কোডে আমাদের অপরাধগুলো লিপিবদ্ধ করা আছে। চুরি করলে কি শাস্তি হয়, তা সেখানে লেখা আছে। এছাড়া প্রযুক্তির বিস্তার এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এখন চুরি আর ফিজিক্যালি করতে হয় না, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সবোর্চ্চ উদাহরণ।
সোমবার (৬ মার্চ) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এ ‘শেপিং অব থার্ড সেক্টর-ল অ্যান্ড পলিসিস’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আবেদন পেলে খালেদার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ডিজিটাইজেশন এবং অ্যাডভান্স কম্পিউটারাইজেশনের ফলে যেসব অপরাধ নতুন মাধ্যম করা যাচ্ছিল সেগুলোকে অপরাধ স্বীকৃতি দিয়ে একটা আইনের প্রয়োজন ছিল। এছাড়া আমার সঙ্গে সারা বিশ্বে নানা অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে যত আলাপ-আলোচনা হয়েছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের প্রয়োজনীয়তা নাই, এই কথা কিন্তু কেউ বলে নাই।
আইনমন্ত্রী বলেন যে দুঃখজনক হলেও সত্য, এই আইনটা করার পরে অনেক মিস ইউজ এবং অ্যাবিউজ দেখেছি। সত্যকে অস্বীকার করবো না এবং সত্যকে স্বীকার করতেও আমার দ্বিধা নেই। যখন আমি দেখলাম এই আইনটা অপব্যবহার হওয়ার যথেষ্ট প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তখন ইমিডিয়েটলি এটা নিয়ে কি করা যায়, তা নিয়ে নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে বসেছিলাম।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে হিউম্যান রাইটস হাই কমিশনের অফিস থেকে আমরা একটা সাজেশন পেয়েছি এবং এই সাজেশনটা আমরা দেখছি। আরেকটি প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) মামলাটা অনেকেই করেন। যাকে আসামি করা হয় তাকে কিছুদিনের জন্য যেন জেল খাটানো যায়। এইরকম একটা প্রবণতার কারণেই মামলা করা হয় এবং মামলাটা গ্রহণও করা হয়। তখন আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে প্রথমেই যেটা করলাম- সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যদি ডিএসএ আইনে মামলা করা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে মামলাটা যেন গ্রহণ করা না হয়। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য যেন অন্য সেলে পাঠানো হয়।
আনিসুল হক বলেন, অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করবেন সাংবাদিক কেন সবাইকে না কেন? সাংবাদিক প্রথমে ছিল এই কারণে যে এই আইনের উদ্দেশ্য যে বাক স্বাধীনতা হরণ করার জন্য নয়, সেটাকে এস্টাবলিস্ট করা। সেই মেসেজটা পুলিশের কাছে পৌঁছে দেয়া। সেটা আমি মনে করি সাকসেসফুল হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের লাইন মিনিস্ট্রি কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় নয়। যখন এই আইনের ড্রাফট করা হয়েছিল, তখন কিন্তু এর স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা কতটুকু হয়েছিল তা আমি কিন্তু খুব একটা জানি না। এই আইনটা ব্যাটিংয়ের জন্য যখন আমার মন্ত্রণালয়ে আসে যখন আমি জানি, তখন এর স্টেকহোল্ডার তাদের যত বক্তব্য আছে, তাদের সঙ্গে বসেছিলাম।
ডিএসএ আইন করার উদ্দেশ্য নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা যেরকম এদেশের নাগরিক। আমরাও এদেশের নাগরিক। আপনাদের যেরকম সংবিধানের প্রতি আনুগত্য আছে, আমাদেরও সেরকম আনুগত্য আছে। এছাড়া আমরা চাই না সংবিধান বিরোধী কোনও আইন হোক।
আরও পড়ুন: সরকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রথমত কারও বিরুদ্ধে এই মামলা গ্রহণ করা হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত এই মামলার জন্য গঠিত সেল সত্যি সত্যিই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই মামলা বিবেচনার জন্য গ্রহণ না করা হবে।
দ্বিতীয়ত, বিচার বিভাগ স্বাধীন তাদের আমি কিছু বলতে পারি না। তবে আমি প্রসিকিউশনকে এই ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও পুলিশকে এই নির্দেশ দেয়া আছে যে, এই ব্যাপারে মামলার রুজু করলেই গ্রেপ্তার করা হবে না, আগে সমন দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সব আইনে কিছু কিছু সিস্টেমিক প্রবলেম আছে, কিছু কিছু আইনে ইমপ্লিমেন্টশনে প্রবলেম আছে। তখন ইম্পিমেন্টেশনে প্রবলেম হয় তখন আইনটা টেবিলে আসে। তখন ইম্পিমেন্টেশন প্রবলেমগুলো কীভাবে রিজলব করা যায় তা দেখা হয়।
ঠিক সেই কারণে আজকেও আমি বলি যে এই আইনটা নিয়ে বসব, যদি রুলসের পরিবর্তন করে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারি, অবশ্যই আমরা সে দিকে যাব। যদি তারপরও আমরা দেখি রুলস না আইনটার কিছু সংশোধন করার প্রয়োজন আছে, আমরা সেটাও করবো।
তিনি বলেন, মনে হয় না যদি ঢালাওভাবে আমরা বলি আইনটা বাতিল করে দেয়া হোক, তাহলে সেটা যুক্তিসঙ্গত কারণ হবে না। আসুন আজকে এখানে এ বিষয়ে আজকে যা বললেন সে বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে বসব। সেটা আপনারা চাইলে রোজার আগেও হতে পারে বা রোজার পরেও হতে পারে।
আমার মনে হয় রোজার আগে বসলেই ভালো হবে, কারণ এ বিষয়টি যাতে সামনের বাজেট অধিবেশনেই তুলা যায়।
এর আগে অনুষ্ঠানে আইন সংশোধনের জন্য নাগরিক সমাজ কর্তৃক প্রস্তাব তুলে ধরা হয়, এতে বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন ২০১৬ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
আইন সংশোধনের জন্য নাগরিক সমাজ কর্তৃক প্রস্তাব উপস্থাপন উপলক্ষে ইউএসএইড, ইন্টারন্যাশনাল-সেন্টার-ফর-নট-ফর-প্রফিট ল (আইসিএনএল) ও কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ইউএসএইড এর প্রমোটিং অ্যাডভোকেসি এন্ড রাইটস (পিএআর) এর মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সি আর আবরার, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খালেদাকে রাজনীতি করতে দিতে বাইরের কোনো চাপ নেই: আইনমন্ত্রী