পুলিশ সদস্য
চট্টগ্রামে ফেনসিডিল বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশ সদস্য আটক
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ফেনসিডিল বিক্রি করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েছেন সাজ্জাদ হোসেন নামে এক পুলিশ কনস্টেবল। এ সময় তার কাছ থেকে ৭৪ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা্ হয়।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) উপজেলার ভূজপুর থানার চিকনছড়া এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা ওই কনস্টেবলকে ফেনসিডিল জব্দসহ আটক করে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তাকে থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার: র্যাব
আটক সাজ্জাদ হোসেন খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে। তার বাড়ি নাটোর জেলার বড়াইগ্রামের বনরুপা আবাসিক এলাকায়।
ভূজপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাশেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাজ্জাদ হোসেন নামের এক যুবককে স্থানীয়রা ৭৪ বোতল ফেনসিডিল জব্দসহ আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে হস্তান্তর করে।
তিনি জানান, পরে খবর পেয়ে আমাদের ডিউটি টিম সেখান থেকে তাকে থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রামগড় থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, সাজ্জাদ মঙ্গলবার রাতে ডিউটির পর থেকে থানায় উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
মাগুরায় হাজত থেকে আসামির পলায়ন, ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
মাগুরার মহম্মদপুর থানার হাজত থেকে এক সাজাপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে গেছে। সোমবার (২৪ জুলাই) ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহিন ও ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) মোহাম্মদ পাপ্পুকে সামমিয়ক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের সেফ হোম থেকে ১৭ বাসিন্দার পলায়ন
পলাতক আসামি সোয়েব মোল্যা (৩০) মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের রো’নগর গ্রামের মৃত সিদ্দিক মোল্যার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির হোসেন জানান, দেড় বছর আগে চুরির অপরাধে নড়াইলের আদালতে সোয়েবের ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। কিন্তু সাজার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
২৩ জুলাই শনিবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তাকে থানাহাজতে রাখা হয়। কিন্তু পরদিন সকাল সাড়ে দশটায় দেখা যায় আসামি হাজতে নেই। এ সময় হাজতখানার সামনের রড ভাঙা পাওয়া যায়।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, পালিয়ে যাওয়া আসামি আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে কনস্টেবল পাপ্পু ও এএসআই শাহীনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই জঙ্গির পলায়নকে 'ব্যর্থতা' বলেছেন র্যাব মহাপরিচালক
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
সিসিক নির্বাচন: নিরাপত্তা রক্ষায় ২৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরবিচ্ছিন্ন করতে নগরীতে কাজ করছে প্রায় ২৬০০ পুলিশ সদস্য। এছাড়াও মাঠে রয়েছেন ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৪২টি ওয়ার্ডে ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবেন।
মঙ্গলবার (২০ জুন) সকালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) লাইন্সে এক সংবাদ সম্মেলনে এসএমপি কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরিফ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে একজন পুলিশ পরিদর্শক, উপ-পুলিশ পরিদর্শক একজন ও পাঁচজন পুলিশ সদস্য এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে একজন পুলিশ পরিদর্শক, একজন উপ-পুলিশ পরিদর্শক ও চারজন পুলিশ সদস্য এবং সাতজন নারী ও সাতজন পুরুষসহ মোট ১৪ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৪৩ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
তিনি জানান, নির্বাচন উপলক্ষে প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে পুলিশের ৪২টি মোবাইল টিম, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে ১৪টি ট্রাইকিং টিম এবং প্রতি থানায় একটি করে ছয়টি ও ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং টিম থাকবে। পাশাপাশি থাকবে দু’টি ওয়ার্ডে একটি করে র্যাবের মোট ২২টি ও পাঁচটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবির টহল।
এ সময় পুলিশ কমিশনার নির্বিঘ্নে ভোটদানের জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, বুধবার ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন।
এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
এদের মধ্যে দলীয় মনোনীত চার প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম দলীয় প্রতীক (গোলাপফুল) মার্কায় নির্বাচন করবেন।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ প্রার্থীই বিএনপির: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট), মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস গাড়ি) এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ) প্রতীকে নির্বাচন করছেন।
অপরদিকে ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নগরে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। মেয়র পদে আটজন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ (বুথ) রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি।
এদিকে দীর্ঘ প্রায় ১৮দিন পর শেষ হলো সিসিক নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণা। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী সোমবার (১৯ জুন) রাত ১২টায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণার নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যায়। একইসঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় মোটরসাইকেল চলাচল। এরপর থেকেই স্তব্ধ সিলেট নগর।
ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে আগের ও পরের দিন বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ১৯ জুন সোমবার রাত ১২টা থেকে ২২ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত সিসিক এলাকায় কোনো মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। আর ২০ জুন মধ্যরাত থেকে ২১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ গাড়ি, পিক আপ, প্রাইভেট কার ও ইজিবাইক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
তবে, অনুমতি সাপেক্ষে প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যটকের ক্ষেত্রে ওই আইন শিথিল করা হয়েছে। এর বাইরে জরুরি সেবা কাজের সঙ্গে যুক্ত যেমন : অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুত, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের ক্ষেত্রে ওই নিষেধাজ্ঞার প্রযোজ্য হবে না বলে নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
অপরদিকে সিসিক নির্বাচনে ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি ৫৮টি কেন্দ্র সাধারণ (ঝুঁকিমুক্ত) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এসএমপির করা এবারের তালিকা অনুযায়ী ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫, ২২, ২৪, ২৫, ২৬, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৬, ৩৮, ৩৯ ও ৪২ নম্বর (মোট ১৮টি) ওয়ার্ডের সব ভোটকেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও কিছু ওয়ার্ডের এক বা একাধিক কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এরমধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম নবগঠিত ৪১ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে সবগুলো কেন্দ্রই ঝুঁকিমুক্ত বা সাধারণ।
এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সুদিপ দাস জানান, সিসিক নির্বাচনে মোট ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ৫৮টি কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ১৩২টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিচারে নেওয়া বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। দূরবর্তী অনেক কেন্দ্র রয়েছে, কিছু কেন্দ্রের আশেপাশের পরিবেশ নিরাপদ নয়, কিছু কেন্দ্রে গোলযোগের সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলো বিবেচনা করা ১৩২টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিমুক্ত কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ওই গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্র অনুযায়ী ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশি কম নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে নির্বাচন কমিশন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন সিসিক মেয়র আরিফ
যশোরে ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশ সদস্য নিহত
যশোরে ট্রাকের ধাক্কায় আকিমুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পুলেরহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আকিমুল ইসলাম ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চটকাবাড়িয়া গ্রামের মোনছের আলীর ছেলে। তিনি যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তার কনস্টেবল নম্বর ১৬৯০।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
যশোর পুলিশ কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আকিমুল ইসলাম সরকারি ডাক নিয়ে ঝিকরগাছা থানার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে পুলেরহাট কৃষ্ণবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি ট্রাক তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি পড়ে গিয়ে আহত হন। পরে পথচারীরা আকিমুলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে যুবকের ইটের আঘাতে পুলিশ সদস্য নিহত
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
সিলেটে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ পুলিশ সদস্য ‘ক্লোজড’
পাথর ও বালুবাহী ট্রলি আটকে চাঁদাবাজির অভিযোগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলার পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারী) রাতে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়া) শাহরিয়ার বিন সালেহ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তাদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
এই দুই পুলিশ সদস্য হলেন- ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মো. সুমন মিয়া ও মো. শাহরিয়ার হোসাইন। তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কলাবাড়ি এলাকায় পাথর ও বালুবাহী ট্রলি আটকে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছিলেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: বাস চালককে মারধর, বরিশালে ট্রাফিক সার্জেন্ট ক্লোজড
জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো.শাহাব উদ্দিন খান গত ২৪ ডিসেম্বর ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ওই দুই পুলিশ সদস্য তাকে না জানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতেন। বারবার তাদের সতর্ক করার পরও তারা চেইন অব কমান্ড মানেননি।
সিলেটের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (কোম্পানীগঞ্জ-গোয়াইনঘাট সার্কেল) প্রভাস কুমার সিংহ জানান, মূলত চেইন অব কমান্ড ভাঙার অভিযোগে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। নির্দিষ্ট জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাওয়ার অভিযোগ আছে। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে বালু ও পাথরবাহী ট্রলি আটকে চাঁদাবাজির অভিযোগও আছে। বিষয়টি পরবর্তী সময়ে তদন্ত করে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, কর্তব্যে অবহেলার অভিযাগে ৩ পুলিশ ক্লোজড
পেপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনতাই: আদালতের ৫ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
রাজধানীর মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের ওপর পেপার স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আদালতের পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন-সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনর্চাজ (এসআই) নাহিদুর রহমান ভুইয়া, আসামিদের আদালতে নেয়ার দায়িত্বরত পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনেস্টেবল শরিফ হাসান ও আব্দুস সাত্তার।
সোমবার (২১ নভেম্বর) ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে জঙ্গির পলায়ন: রেড অ্যালার্ট জারি
এর আগে রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞানামা আসামি করা হয় আরও সাত থেকে আটজনকে।
কোতোয়ালি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ।
শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি মোটরসাইকেলযোগে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়াও আদালতের আশপাশে অবস্থান করা অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করে।
এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, রবিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে কাশিমপুর থেকে ১২ জন আসামিকে ঢাকার আদালতে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে আসা হয়।
সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার প্রসিকিউশন বিভাগে আসামিদের হাজিরা দেয়ার জন্য সিজেএম আদালত ভবনের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইবুনাল ৮-এ নিয়ে যাওয়া হয়।
এ মামলার শুনানি শেষে জামিনে থাকা ১৩ নম্বর আসামি মো. ঈদী আমিন (২৭) ও ১৪ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) আদালত থেকে বের হয়ে যায়। এরপর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে আদালতের মূল ফটকের সামনে পৌঁছানো মাত্র আগে থেকেই দুটি মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাতনামা আনসার আল ইসলামের পাঁচ থেকে ছয়জন সদস্য, আদালতের আশপাশে অবস্থানরত আনসার আল ইসলামের আরও ১০/১২ জন সদস্য হামলা করে।
তারা কনস্টেবল আজাদের হেফাজতে থাকা আসামি মইনুল হাসান শামিম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) মো. আরাফাত রহমান (২৪) ও মো. আ. সবুর ওরফে রাজু ওরফে সাদ ওরফে সুজনকে (২১) ছিনিয়ে নিতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে।
কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে আসামিদের মধ্যে কোনো একজন তার হাতে থাকা লোহা কাটার যন্ত্র দিয়ে কনস্টেবল আজাদের মুখে আঘাত করে।
আরও পড়ুন: ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই: ২ মাস পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা
গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত ৪, আহত ১৫
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় গাছের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কা লেগে এক পুলিশ সদস্যসহ চারজন নিহত এবং কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে আব্দুল আলীম নামে এক পুলিশ সদস্যের নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও অন্য তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নিহত আব্দুল আলীম বরিশাল মেট্রোপলিটনের একজন পুলিশ সদস্য। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জ আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি গোপালগঞ্জ এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের ৩ যাত্রী নিহত, আহত ১০
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- মোংলার বেবি বেগম (৪০), হুমায়ূন কবীর(২২),আমিরুল ইসলাম(৩৪), কয়রার শরিফুল (২৪), মনিরুল ইসলাম (২৫), বাগেরহাটের স্নেহা (৩২) আলি হোসেন, রফিক মোল্লা (৩৪) গোপাগঞ্জের বরকত (৪০), শামিম (৩৬)।
জানা যায়, দুর্ঘটনাকবলিত দিদার পরিবহনের বাসটি চট্রগ্রাম থেকে বাগেরহাটের মোংলা যাচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী দিদার পরিবহনের যাত্রী খুলনার কয়রা উপজেলার মনিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুমিল্লা থেকে তাদের গাড়িতে ওঠার কথা ছিল, কিন্তু গাড়ি কুমিল্লায় এসে পৌঁছায় রাত পৌনে ১টায়। এরপর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে চালক খুব দ্রুত গতিতে গাড়ি চালচ্ছিলেন।
তিনি আরও জানান, দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, চট্রগ্রাম থেকে বাগেরহাটের মোংলাগামী দিদার পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস চন্দ্রদিঘরিয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে এক পুলিশ সদস্যসহ চারজন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আর ১৫ জন।
ওসি জানান, আহত ১০ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতরা সবাই বাসের যাত্রী ছিলেন।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে আসা রোগীদের মধ্যে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ৪০৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ট্রাক চালকের
সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরাও মাদক সাপ্লাই করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরা মাদক সাপ্লাই করেন। যারা করেন তাদের সবাইকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসি। কেউ বাদ যায় না।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মাদকাসক্তি নিরাময়ে বেসরকারি খাতের ভূমিকা’- শীর্ষক গোলটেবিল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনি জেলখানায় গিয়ে দেখুন মাদকের মামলায় পুলিশের সদস্য যেমন আছে, র্যাবের সদস্যও আছে। তেমন অন্য ব্যবসায়ীরাও রয়েছে। পুলিশ বলে তার জন্য আইন আলাদা হবে বিষয়টি এমন নয়।
ডোপ টেস্টের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশে যারা মাদক নেয়, তদেরকে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে তাকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। এই জায়গাটাতে আমরা খুব কঠিন অবস্থানে চলে আসছি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, চাকরির শুরুতে যারা সিলেক্টেড হবে তাদেরকে ডোপ টেস্ট করার প্রচলন পুরোপুরি নিতে যাচ্ছি। পুলিশ-বিজিবি সব জায়গায় ডোপ টেস্টের প্রচলন রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হচ্ছে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, চিকিৎসরা নাকি সবচেয়ে বেশি মাদক গ্রহণ করেন। তবে বিষয়টি আমার জানা নেই। নেশা করে মাদক নেন চিকিৎসক, সাংবাদিক, ইঞ্জিনিয়ার, আমরাও নিয়ে থাকি। চিকিৎসরা মাদক নেবে না এমনতো কথা নেই। তারাতো আলাদা জাতি না। দু-একজন পথভ্রষ্ট হতে পারে।
মাদকের চাহিদা হ্রাস করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে যে স্বপ্ন দেখছি, এই যে আমাদের উন্নয়ন, তার সব বরবাদ হয়ে যাবে যদি মাদকের ভয়াবহতা থেকে আমাদের ভব্যিষৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে না পারি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সন্তানেরা অত্যন্ত মেধাবী। সেই প্রজন্মকে যদি মাদকাসক্তি থেকে রক্ষা করতে না পারি তাহলে আমাদের স্বপ্ন অবাস্তবই থেকে যাবে। মাদকের চাহিদা কমাতে হলে গণমাধ্যমের অনেকখানি গুরুত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মাদকের চাহিদা হ্রাসে শুধু ক্রোড়পত্র দেই না, আমরা ছোট ছোট টিভিসি বানাচ্ছি। প্রত্যেকটি জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবল ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। ল্যাবও হয়েছে।
সবক্ষেত্রেই অসাধু লোক সব জায়গাতেই আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হেরোইন উদ্ধারের পর নাকি পরীক্ষা করার পর পাউডার হয়ে যায়। হুম অস্বীকার করছি না। কারণ শুধু পোর্টে কিংবা পুলিশে নয়, সব জায়গাতেই খারাপ অসাধু মানুষ আছে। আমরা শক্তিশালী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন করেছি।
সারা বাংলাদেশে জেলখানার ক্যাপাসিটি আছে ৪১ হাজার প্লাস। কিছুদিনের মধ্যে এটা আরও বাড়বে। কিন্তু সব সময় থাকেই ৮০ থেকে লাখের বেশি। এরমধ্যে ৬০ শতাংশই মাদক ব্যবসায়ী। বিচারের সময় সাক্ষী পাওয়া যায় না। আর আমাদের লম্বা জট লেগেছে মামলার। সেখানে এই মাদক মামলা হারিয়ে যায়। আমরা চেয়েছিলাম বিশেষ ট্রাইব্যুনাল চাইছিলাম মাদক মামলার জন্য, যদিও আমরা সেটা এখনও পাইনি। যদি শাস্তিটা দৃশ্যমান হতো তাহলে ডিমান্ড হ্রাস ও সাপ্লাই কমে যেতো।
মাদকের সাপ্লাই কমাতে বিজিবি, কোস্টগার্ডের সক্ষমতা ও জনবল বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বর্ডারে আমরা এখন অনেক কিছু করতেছি। টেকনাফে দেখেন নাফ নদীর যে বর্ডার তা দুর্গম। সেখানে বিওপি থেকে বিওপি যেতে সময় লাগে। আমরা সেন্সর লাগাচ্ছি সমস্ত বর্ডারে। হেলিকপ্টার টহলের ব্যবস্থা করছি, যাতে মাদকের সাপ্লাই বন্ধ করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশে ৬০ থেকে ৭০ লাখ মাদকাসক্ত। এজন্য ভাল হাসপাতাল নেই। আমাদের মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে অভিজ্ঞ ডাক্তার নাই, সাইক্রিয়াটিস্ট নাই। তেজগাঁও সরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে উচ্চ ও মধ্যবিত্তের কেউ যায় না।
বেসরকারি খাতে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র চালুর জন্য সরকারিভাবে সহায়তা করার আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দুর্গাপূজায় পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বালুখালী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দায়ের কোপে পুলিশ সদস্য আহত
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের দায়ের কোপে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শনিবার দুপরে উখিয়ার বালুখালী ৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত আবু সাঈদ (২২) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এ কর্মরত।
এপিবিএন সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ জুবায়েরকে আটক করতে যায় পুলিশের একটি দল। এসময় জুবায়েরের ভাই সানাউল্লাহ নামের আরেক রোহিঙ্গাসহ ৪/৫ জন যুবক পলিশের আভিযানিক দলের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। হামলায় সানাউল্লাহ’র ধারালো দার আঘাতে কনেস্টেবল আবু সাঈদ গুরুতর আহত হন।
পরে,আবু সাঈদকে আহত অবস্থায় কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
সাঈদ বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, দায়ের কোপে তার ডান হাতের কবজিতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক সৈয়দ হারুন অর রশীদ জানান,এঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে এবং জুবায়ের সহ বাকিদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
কুতুপালং ২-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হামিদ হোসেনের ছেলে জুবায়েরের বিরুদ্ধে অপহরণ,চাঁদাবাজী ও হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার আসামি জকোরিয়ার কারাগারে মৃত্যু!
কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ সরকার: জিএম কাদের
মিয়ানমার সীমান্তে গোলাবর্ষণে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত, আহত ৫
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
ফরিদপুরের নগরকান্দায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার উপজেলার তালমার সদরবেড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রায়হান ইসলাম রাজিব (২৬) গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার প্রভাকরদী গ্রামের বাসিন্দা ও ফরিদপুর জেলা পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নগরকান্দার তালমার সদরবেড়া এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন রায়হান।
পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এদিকে রায়হানের মৃত্যুতে ফরিদপুর জেলা পুলিশ শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত আরও একজনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র আহত, মাইক্রোবাসে আগুন