ধর্ষণ মামলা
বাসাইলের সাবেক ইউএনও মঞ্জুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সাবেক ইউএনও মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক মনিরা সুলতানা তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) হিসেবে কর্মরত মনজুর ইউএনও থাকা অবস্থায় ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল ছাড়লেন ঘোড়াঘাটের সাবেক ইউএনও ওয়াহিদা
তিনি বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছিলেন এবং নিজেদের দম্পতি পরিচয় দিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিয়ের জন্য মেয়েটি চাপ দিলে মনজুর তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ ঘটনায় গত বছরের ২১ জুন আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
পরে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন।
পিবিআই গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে এবং সোমবার আদালত দণ্ডবিধির ৪৯৩ ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সাবেক ইউএনও’র ৮ বছর কারাদণ্ড
গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় ভাসুরসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
বরিশালে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় ভাসুরসহ দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাদেরকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই নারীর স্বামীকে খালাস দেয়া হয়েছে।
রবিবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইয়ারব হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাসুর জিয়া হাওলাদার (৩৫) ও তার স্বজন সিদ্দিক হাওলাদার (৪০)।
আরও পড়ুন: খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
এজাহারের বরাতে বেঞ্চসহকারী জানান, ২০০৬ সালে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাসিন্দা আফজাল হাওলাদারের ছেলে সহিদুল ইসলামের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর যৌতুকের জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন এবং সন্তানসহ ভুক্তভোগীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনায় ২০০৭ সালে তিনি স্বামী, ভাসুর ও শ্বশুরকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামিরা বার বার চাপ দিতে থাকেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে শিশু ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
ভুক্তভোগী গৃহবধূ মামলা তুলে না নেয়ায় ২০১১ সালে ২২ আগস্ট রাতে তার বাবার বাড়িতে গিয়ে কৌশলে ঘরের ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে ভাসুর জিয়া হাওলাদার। আর এই কাজে স্বামী সহিদুল ইসলাম ও তাদের স্বজন সিদ্দিক হাওলাদার সহযোগিতা করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা ২৫ আগস্ট একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পঞ্চগড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ফায়ার সার্ভিস মোড়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. হাসান আলী (২৫) আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী মালগোবা গ্রামের মৃত আমিনার রহমানের ছেলে এবং পেশায় চা শ্রমিক।
এর আগে আটোয়ারী উপজেলার মালগোবা একই গ্রামের সমিজুল ইসলামের ছেলে রাজু ইসলাম (২০) ও পুরাতন আটোয়ারীর মৃত গিয়াসউদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, বিয়ের কথা বলে গত ৬ আগস্ট গভীর রাতে ওই কিশোরীকে ডেকে এনে আটোয়ারী উপজেলার পূরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দর পাড়া গ্রামের একটি চা বাগানে প্রেমিক হাসান আলী, রাজু ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মো. সবুজ, আমিনুল ইসলাম ওরফে ডিপজল,নজরুল ইসলাম ও অমর মিলে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পরদিন ওই কিশোরীর বাবা আটোয়ারী থানায় সাত জনের নামে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ হাসানের বন্ধু রাজু ইসলাম ও সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ মামলার প্রধান আসামি হাসানসহ এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাসে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা জানান, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আগামীকাল শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, ধর্ষণ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
খুলনায় ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত এক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারদাণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার আসামির উপস্থিতিতে খুলনা নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মাসুদ গাজী (৪৫) খানজাহান আলী থানার মাত্তমডাঙ্গা পূর্বপাড়া এলাকার আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে শিশু ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোরীর মা নেই। বাবা রাজমিস্ত্রির সহকারী এবং তিনি বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে কাজ করেন। সেই সুবাদে তার ১৬ বছর বয়সী মেয়ে ও আট বছর বয়সী ছেলেকে বাড়িতে একা থাকতে হয়।
২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর আসামি কিশোরীকে বাসায় ডেকে নিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে আসামি ওই কিশোরীকে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করে এবং কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বাবা বাড়ি আসলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। তিনি মাসুদের স্ত্রীকে বিষয়টি জানালে উল্টা তাদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: রংপুরে ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
পরে স্থানীয়দের পরামর্শে কিশোরীর বাবা ২০১৬ সালের ২০ জুন বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা করেন। খানজাহান আলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রোকনুজ্জামান একই বছরের ১১ ডিসেম্বর মাসুদকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
হবিগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার হবিগঞ্জের নারীও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (১) এর বিচারক সুদীপ্ত দাশ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মনু মিয়া (৩০) বানিয়াচং উপজেলার উত্তর সাঙ্গর গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাবা হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি দিনমজুরের স্ত্রীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে মনু মিয়া। বিষয়টি কাউকে জানালে তার স্বামী ও তাকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। ভুক্তভোগীর স্বামী বাড়িতে এলে ঘটনার বিষয় জানায় ধর্ষণে শিকার গৃহবধূ। বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মনু মিয়াকে আটক করে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। এক পর্যায়ে মনু মিয়াকে তার ভাই উস্তার মিয়া ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ: ৪ জনের যাবজ্জীবন
এদিকে এঘটনা দুদিন পর ১৭ জানুয়ারি রাত ১টায় মনু মিয়া ওই গৃহবধূর বসত ঘরের সিদ কেটে প্রবেশ করে ভয় দেখিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে আবারও ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নিজে বানিয়াচং থানায় মনু মিয়া ও উস্তার মিয়াকে আসামি করে এজহার দায়ের করে। তদন্ত শেষে পুলিশ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। মামলায় বাদীপক্ষের ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ করা হয়।
দিনাজপুরে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
দিনাজপুর সদরে প্রতারণার শিকার হয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক প্রেমিকা। শনিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযুক্ত রুবেল রহমান (২৩) সদরের নিশ্চিন্তপুর বড়দিঘী গ্রামের বাসিন্দা ও রাজশাহী পলিকেটনিকে কম্পিউটার সায়েন্সের শেষ বর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
মামলার বরাত দিয়ে কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, মামলার বাদীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় সূত্রে প্রায় এক বছর ধরে রুবেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দৈহিক সম্পর্কে জড়ান তারা। ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে এ ব্যাপারে তথ্য প্রমাণও রয়েছে। এখন বিয়ের কথা বলায় মেনে না নিয়ে ছেলেকে অন্যত্র সরিয়ে রেখেছেন বাবা-মা। উপায়হীন হয়ে মামলার আশ্রয় নিয়েছে ভুক্তভোগী।
আরও পড়ুন: হুজুর ডেকে বিয়ে, পরে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা।
সিলেটে ধর্ষণ মামলা: ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েও বাঁচতে পারলেন না সুজিত
মামলা থেকে বাঁচতে ভারতের নাগরিকত্ব নিয়ে বাঁচতে পারলেন না ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত সুজিত নম বিশ্বাস। মামলার দেড় বছর পর মঙ্গলবার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার সুজিত নম বিশ্বাস (২২) সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ভিত্রিখেল গুচ্ছগ্রামের মৃত প্রজেস বিশ্বাসের ছেলে।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর জানান, সুজিত ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি। ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে সাজা থেকে বাঁচার চেষ্টা করছিলেন তিনি। মাঝে মধ্যে লুকিয়ে দেশে এলেও তার সন্ধান পায়নি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে গ্রেপ্তার ১,গাঁজা জব্দ
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার সুজিত শ্রীপুর চা বাগান এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ পরিচয় নিশ্চিত করে তাকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি বলেন, ২০২০ সালে ১৮ জুন জৈন্তাপুর থানায় সুজিতের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। প্রায় দেড় বছর আগে তিনি ভারতে পালিয়ে যান এবং তার বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে বোনের সহায়তায় রনি রায় নাম ধারণ করে ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: যশোরে তৃতীয় লিঙ্গের লাভলী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
নড়াইলে ধর্ষণ মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন, স্ত্রীর ৭ বছরের কারাদণ্ড
নড়াইল সদর উপজেলায় কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া একই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তের স্ত্রীকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সানা মো. মাহরুফ হোসাইন এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে পৃথক মাদক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার বামনহাট গ্রামের লিয়াকত মোল্যা (৬৯) ও তারা স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫৮)।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নড়াইল সদরের এক কিশোরীকে টাকার লোভ দেখিয়ে লিয়াকত মোল্যা ধর্ষণ করলে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সে তার মা ও বোনকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবারের অজান্তে কিশোরীর গর্ভপাত ঘটানোর জন্য আসামি লিয়াকত মোল্যা তাকে ওষুধ খাওয়ালে ২০২১ সালে ৪ মার্চ সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই কাজে লিয়াকতকে তার স্ত্রী সুফিয়া সহযোগিতা করেন।
এ ঘটনায় স্বামী ও স্ত্রীর নামে ২০২১ সালের ৬ মার্চ সদর থানায় মামলা দায়ের হয়।
আরও পড়ুন: কলেজছাত্রী হত্যা মামলায় শ্বশুড় শাশুড়িসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৩
কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল গ্রেপ্তার
কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। রবিবার রাতে মাদারীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি ইমরান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রবিবার ভোরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। তবে এ ঘটনার এজাহার নামিয় অন্য দুই আসামি ইসরাফিল হুদা জয় ও মেহেদী হাসান বাবু এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
রবিবার ভোরে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়ার আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম সাহাবুদ্দীন (২৫), কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়ার মৃত সালেহ আহমদের ছেলে মেহেদী হাসান (২১) ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবনিয়া গ্রামের মৃত মোক্তার আহমদের ছেলে মামুনুর রশীদ (২৮)। তারা ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগী ছিলেন বলে জানান পুলিশ।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: হোটেল ম্যানেজার ৪ দিনের রিমান্ডে
রবিবার দুপুর দেড়টায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন জানান, তদন্ত সাপেক্ষে তিনজনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি জানান, কিশোরগঞ্জের এক বাসিন্দা তার স্ত্রী শিশু সন্তানসহ জীবিকা নির্বাহের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছিল। মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও আদায় করে আসছিল। আশিক ও তার সহযোগীদের দাবি করা চাঁদা দিতে না পারায় গত ২২ ডিসেম্বর ওই নারীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
পুলিশ জানায়, মামলার প্রধান আসামি আশিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ইয়াবা, অস্ত্রসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। ইসরাফিল হুদা জয়ের বিরুদ্ধেও দুটি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে স্বামী সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) স্বামী-সন্তানকে জিম্মি ও হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই বার দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী। অভিযোগ পেয়ে রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের কলাতলীর ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামে একটি হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র্যাব-১৫। এ ঘটনার পরের দিন জড়িতদের শনাক্ত করে চারজনের নাম উল্লেখ করে আরও তিনজন সহ সাতজনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে ভিকটিমের স্বামী। ওইদিন জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ব্যবস্থাপক এজাহার নামিয় আসামি রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেপ্তার করে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ওই মামলা ট্যুরিস্ট পুলিশকে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মা ও দুই শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার
স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: যুবকের যাবজ্জীবন, সহযোগীর ১৪ বছরের সাজা
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন এবং তার সহযোগীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আক্তারুজ্জামান বুধবার দুপুরে এ সাজার রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ঝিনাইগাতীর কালিনগর গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৩১) এবং তার সহযোগী হাসলিগাঁও গ্রামের ছানা মিয়া (৩৮)।
শেরপুর নারী ও শিশু আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি মামলার নথির উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ২০১৫ সালের ২০ মে সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী চাচার বাড়ি থেকে নিজবাড়িতে ফিরছিল। পথে সাজাপ্রাপ্তরা রাস্তা থেকে জোর করে তাকে অপহরণ করে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শেরপুর, জামালপুর, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শফিকুল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। স্কুলছাত্রীর বাবার করা মামলায় পুলিশ দুই মাস পর ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করে। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন মিয়া আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক পর্যায়ে ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার এ সাজার রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। রায়ে একইসাথে শফিকুলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহিদুল হক আধার উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে রেল যাত্রীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার