বাংলাদেশ
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে শুভ সূচনা বাংলাদেশের
নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়ে চার জাতি সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল।
শনিবার(২ মার্চ) বিকালে ললিতপুরের আনফা কমপ্লেক্সে স্বাগতিক নেপালকে হারায় বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধে দুটি গোল করে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ এ কে এম সাইফুল বারী টিটু।
শনিবার(২ মার্চ) বিকালে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, 'প্রথম ম্যাচ হিসেবে পারফরম্যান্স ঠিক ছিল, তবে অনেক উন্নতি করতে হবে, বিশেষ করে আমরা যে সুযোগ তৈরি করেছি, আমাদের আরও গোল করা উচিত।’
লিগ ভিত্তির ম্যাচে ৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এবং ৮ মার্চ একই সময়ে একই ভেন্যুতে ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: এএফসি মহিলা এশিয়া কাপ: অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ
শীর্ষ দুই দল ১০ মার্চ ফাইনালে খেলবে।
এর আগে শুক্রবার(১ মার্চ) বিকালে একই ভেন্যুতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ভুটানকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করে চমৎকার সূচনা করে ভারত।
ভারতের হয়ে দুটি করে গোল করেন শ্বেতা রানি, পার্ল ফার্নান্ডেজ ও আনুশকা কুমারী।
আরও পড়ুন: ফিফা নারী আন্তর্জাতিক ফুটবল: সিঙ্গাপুরকে ৮-০ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ
‘অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র’
আগামী ৫০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে 'অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে' বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কাজ করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলো কীভাবে সহযোগিতা করছে তা জানতে সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক আইলিন লাউবাচার; এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ এসেছেন।
আরও পড়ুন: আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী এবং একক বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আমাদের নেতারা স্থানীয় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে এমন একটি ব্যবসার পরিবেশ তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র 'প্রস্তুত' রয়েছে।
প্রতিনিধি দলটি ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করার মাধ্যমে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগকে আরও আকর্ষণীয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা: বিশ্বব্যাংক এমডি
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে তিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করছেন। ’
মার্কিন প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতা, যুব কর্মী এবং মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম তৈরিতে নিয়োজিতদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে মার্কিন দূতাবাস এক পৃথক বার্তায় জানায়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সেসব বিষয়ে আলোচনা করেছি।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
আরও পড়ুন: আগামী অক্টোবরের সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই নিবন্ধন বিষয়ে বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে মত বিনিময় সভা
টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে জার্নালে প্রকাশ ও পরবর্তীকালে করণীয় সম্পর্কে অংশীজনের সমন্বয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সরাসরি ও ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
সিনিয়র সচিব জিআই পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়িকে ভারতে নিবন্ধন এবং বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, জিআই ট্যাগ ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করলে উদ্যোক্তারা পণ্যের অধিকতর মূল্য পাবেন এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে একটি লিগ্যাল এক্সপার্ট প্যানেল গঠনের বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
সভায় পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কসের (ডিপিডিটি) পক্ষ থেকে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের জিআই সংশ্লিষ্ট আইন, উভয় দেশের টাঙ্গাইল শাড়ির জার্নাল, ট্রিপস এগ্রিমেন্টের সংশ্লিষ্ট ধারা এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
আলোচনা পর্বে টাঙ্গাইল শাড়ির আবেদনকারী হিসেবে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক, এই শাড়ি উৎপাদনের ইতিহাস, উৎপাদন ও বিপণন অঞ্চল নিয়ে সভাকে জানান।
আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
আলোচনায় অংশ নিয়ে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান জিআইয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান। এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশ যেহেতু লিসবন এগ্রিমেন্টের সদস্যভুক্ত দেশ নয়, সেহেতু ডব্লিউআইপিও আরবিট্রেশন মিডিয়েশন সেন্টারের মাধ্যমে এ বিরোধ নিষ্পত্তি সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
এসএসজিপি প্রকল্পের উপদেষ্টা শরিফা খান আপত্তির বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং ভারতীয় হাইকোর্ট বরাবর আপিল করার কথা বলেন। তিনি বিকল্প সকল উপায়ে একই সঙ্গে উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের উপর জোর দেন।
ট্রেড এক্সপার্ট ড. মোস্তফা আবিদ খান তিনটি পদ্ধতিতে বিষয়টি নিষ্পত্তির উপর আলোকপাত করেন। প্রথমত কূটনৈতিকভাবে ভারতের সঙ্গে বিষয়টি সমাধান করা। দ্বিতীয়ত, আপিলের জন্য ডব্লিউটিওতে আবেদন করা এবং তৃতীয়ত টাঙ্গাইল শাড়ি নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে আবেদন করা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আলম মোস্তফা ডব্লিউটিও ডিসপিউট সেটলমেন্ট বডিতে আবেদন করার কথা বলেন। একই মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিওর প্রতিনিধি মাসুকুর রহমান শিকদার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভারতের আদালতে আপিল করার কথা বলেন। এছাড়া জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
সভায় বক্তারা ভারতীয় পরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর আলোকপাত করেন এবং প্রতিবেদনে জিওগ্রাফিক্যাল লোকেশনকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মতামত ব্যক্ত করেন।
এছাড়া তাঁতীদের স্থানান্তরের বিষয়টি ভারতীয় জার্নালে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান। উক্ত জার্নালে শাড়িটি হাইব্রিড শাড়ি বলে স্বীকার করা হয়েছে, তাই শাড়িটি একটি নতুন শাড়ি যা টাঙ্গাইল শাড়ি নামকরণ করা অযৌক্তিক বলে মত প্রকাশ করেন।
বক্তারা টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এর আগে অনুরূপ কেস স্টাডি (যেমন-বাসমতি চাল) করার পর অগ্রসর হওয়ার কথা বলেন।
এছাড়া ডিপিডিটির জিআই সেলকে শক্তিশালীকরণের কথাও আলোচনা করা হয়। সভায় টাঙ্গাইল শাড়ির বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা ঢাকার যেখানে পাবেন: বধূ সাজের সেরা গন্তব্য
কোম্পানীগঞ্জে ভারতীয় শাড়ি-লেহেঙ্গা জব্দ, গ্রেপ্তার ২
আগামী অক্টোবরের সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার (এসডিপি) হলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং উৎকৃষ্ট কর্মকাণ্ডগুলো বিনিময়ের মাধ্যমে আসিয়ান ও বাংলাদেশ উভয়ই লাভবান হবে।
এ লক্ষ্যে তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবরে ভিয়েনতিয়েনে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে আসিয়ানের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আসিয়ানের ঢাকা কমিটির (এডিসি) সদস্যরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আসিয়ানের এসডিপি হতে বাংলাদেশের প্রত্যাশায় সমর্থন করার আশ্বাস দেন এডিসির সদস্য।
এডিসি ঢাকাভিত্তিক আটটি আসিয়ান আবাসিক মিশন- ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মিশন প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অনানুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আসিয়ান দেশগুলোর উচিত পারস্পরিক লাভজনক অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধনকে কাজে লাগানো।
বাংলাদেশের সঙ্গে আসিয়ানের যে বাণিজ্যিক ব্যবধান রয়েছে, তা অতিক্রম করা সম্ভব উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনার সুফল পেতে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক উভয় পর্যায়ে বেসরকারি খাতের বর্ধিত ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওষুধ, চামড়াজাত পণ্যের মতো বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে তাদের কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করতে মিশন প্রধানদের পরামর্শ দেন।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি মোকাবিলায় এডিসির সদস্যদের সমর্থন প্রত্যাশা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ওআইসি অধিবেশনে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অপতথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা: বিশ্বব্যাংক এমডি
২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বব্যাংকের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) আন্না বিজার্ড।
রবিবার বাংলাদেশে তার প্রথম সফর শেষে তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে জরুরি ভিত্তিতে গভীর সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক খাতের সংস্কার প্রয়োজন।
বিজার্ড বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণামূলক।’
সফর শেষে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'মুদ্রা ও রাজস্ব নীতিতে দ্রুত ও সাহসী সংস্কার বাংলাদেশকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, আর্থিক খাতের ঝুঁকি হ্রাস করতে এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম করবে।’
বিজেরদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বর্তমানে, প্রায় সব ছেলে ও মেয়ে শিশু স্কুলে যায় এবং প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ রয়েছে।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি এবং তাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন।
চট্টগ্রাম বিভাগে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী উভয়ের প্রয়োজন মেটাতে দুটি নতুন প্রকল্পে ৬৫ কোটি ডলারের বেশি অর্থায়ন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করছে বিশ্বব্যাংক ও সরকার।
অর্থায়নের প্রায় অর্ধেক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যয় করা হবে এবং অনুদানের শর্তেই তা ব্যয় করা হবে।
আরও পড়ুন: নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের বিশেষ তহবিল চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
বিজার্ড এলন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব নিয়ে আমি গর্বিত, দেশটি লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সহায়তা করেছে। আমরা বাংলাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, একটি শক্তিশালী বেসরকারি খাত গড়ে তুলতে, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং জলবায়ুর অভিঘাত ও ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলার সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা অব্যাহত রাখব এবং একই সঙ্গে কেউ যেন পেছনে পড়ে না থাকে তা নিশ্চিত করব।’
সফরকালে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনার জন্য অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের নেতাদের এবং নারী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) অর্থায়নে অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ ও রেয়াতি ঋণ আকারে প্রায় ৪১ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম চলমান আইডিএ কর্মসূচি এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
বিপিএলকে 'সার্কাস' বললেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) বছরের পর বছর ধরে সমালোচিত হলেও বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ এটিকে 'সার্কাস' আখ্যা দিয়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেছেন।
সম্প্রতি ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বিপিএল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, 'কিছু নিয়মনীতি থাকা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় একটা টুর্নামেন্ট খেলছে এবং এরপর আরেকটা টুর্নামেন্ট খেলছে। এটা একটা সার্কাসের মতো।’
আরও পড়ুন: বিপিএল: অনুশীলনে মাথায় চোট পেয়েছেন মুস্তাফিজ
বাংলাদেশে ‘যথাযথ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট না হওয়ায়’ হতাশা প্রকাশ করেছেন হাথুরুসিংহে। তিনি বলেন, 'এটা শুনতে খুব অদ্ভুত লাগছে, কিন্তু যখন আমি বিপিএল দেখি, তখন মাঝে মাঝে টিভি বন্ধ করে রাখি। কিছু খেলোয়াড় এই শ্রেণিরই নয়। বর্তমান সিস্টেম নিয়ে আমার একটা বড় সমস্যা আছে।’
বাংলাদেশের এই কোচ এমন একটি টি-টোয়েন্টি ইভেন্টের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন, যেখানে বাংলাদেশি বোলাররা ডেথ ওভারে বোলিং অনুশীলন করতে পারে এবং যেখানে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা টপ অর্ডারে ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।
হাথুরুসিংহে আরও বলেন, 'একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি যা চায় তাই করে। তিনি বলেন, 'আমার সেরা কিছু খেলোয়াড় বিপিএল খেলছে না। তাহলে আপনি কীভাবে আশা করেন যে বাংলাদেশ দল অন্য দলগুলোর সঙ্গে থাকবে? আমি একটা কঠিন যুদ্ধ করছি।’
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এলিমিনেটর ও প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচের মধ্য দিয়ে প্লে-অফে প্রবেশ করেছে বিপিএল ২০২৪। বিপিএলের পরপরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট ম্যাচের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
হাথুরুসিংহে মনে করেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে আসল প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে মাঠে, তবে টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ আন্ডারডগ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে উন্নতি করছি। সত্যি বলতে, আমরা আন্ডারডগ। এটা আমাদের জন্য ভালো চ্যালেঞ্জ। আমি এখনও আত্মবিশ্বাসী যে আমরা তাদের সঙ্গে ভালো লড়াই হবে। বিশ্বকাপের আগে, এই সিরিজের পর আমরা বুঝতে পারব আমরা কোথায় আছি।’
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: নিউজিল্যান্ডকে ৭২ রানে হারিয়ে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার
বিসিবির নারী বিভাগের নতুন প্রধান হাবিবুল বাশার
কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ভারতীয় নাগরিক
মাদক নিয়ে বাংলাদেশে আটকা পড়েছিলেন মো. দিদারুল ইসলাম নামে এক ভারতের নাগরিক। এক বছর কারাভোগ শেষে শনিবার দুপুর ২টায় দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট দিয়ে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দিদারুল ইসলামকে ভারতের হিলি অভিবাসন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন বাংলাদেশের হিলি অভিবাসন পুলিশ। এসময় সেখানে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দিদারুল ভারতের পশ্চিবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার খারুন (ভীম) গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে।
আরও পড়ুন: ২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
বাংলাদেশের হিলি অভিবাসন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, ভারতীয় নাগরিক দিদারুল সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এসময় বিজিবি সদস্যরা তাকে মাদকসহ আটক করে। এই ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় মাদক মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে দিনাজপুর জেল হাজতে পাঠায়।
ওসি আরও জানান, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত দিদারুলকে অনুপ্রবেশের দায়ে এক বছর ও মাদক মামলায় এক বছর সাজা দেন। একই সঙ্গে দুই মামলার সাজা চলায় এক বছরেই তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। পরে দুই দেশের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় শনিবার দুপুরে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ভারতের হিলি অভিবাসন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার জানান, বাংলাদেশের হিলি অভিবাসন পুলিশ দিদারুলকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর আমরা আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ২৫ বাংলাদেশি
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১২ বাংলাদেশি
তরুণদের বিপণনযোগ্য কাজের দক্ষতা বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতামূলক করবে: মাইকেল শিফার
ইউএসএআইডির এশিয়া অঞ্চলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার বলেন, ‘বাজারে চাহিদা আছে এমন বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে, এদেশের তরুণরা দেশকে আরও প্রতিযোগিতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে পারবে ‘
তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী এশিয়ান টাইগার – 'রয়েল বেঙ্গল টাইগার' হিসেবে তারা দেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। সেই সঙ্গে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।’
বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম
বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম বলেন, গত ৫০ বছরে তারা স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য খাতে বাংলাদেশে বিপুল পরিমান বিনিয়োগ করেছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী ৫০ বছর এবং এরপরেও বাংলাদেশের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী।
মহান ভাষা আন্দোলনের সব শহীদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) “মহান শহীদ দিবস” ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে: পর্যটনমন্ত্রী
স্কট উরবম বলেন, মাতৃভাষা দিবস শুধু বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়েই নয়, সমগ্র পৃথিবীর মানুষের হৃদয়েও বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।
তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে সেইসব বীরের মহান আত্মত্যাগের কথাও উল্লেখ করেন যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও বাংলা ভাষা রক্ষায় অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
মার্কিন ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ বাংলা পৃথিবীতে অন্যতম সর্বাধিক উচ্চারিত ভাষা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে এবং এটি সারা বিশ্বে বাংলা ভাষার প্রভাব ও গুরুত্বের প্রমাণ বহন করে।
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গকারী সব ভাষাবীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে দিনব্যাপী এক কর্মসূচি গ্রহণ করে দূতাবাস। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, মার্কিন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম।
রাষ্ট্রদূত ইমরান তার বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দোলনের সব শহীদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে বাঙালি জাতির ‘বাতিঘর’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ভাষা সৈনিকদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সমৃদ্ধ বাংলা ভাষা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার উপযুক্ত কূটনৈতিক মাধ্যম হতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি নতুন প্রজন্মকে সমৃদ্ধ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে আরও জানার জন্য উৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার
পরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দূতাবাস পরিবার, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ভারত, নেপাল, জাপান ও শ্রীলঙ্কার শিল্পীরা এবং একটি বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক দল কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে উপস্থিত অতিথিদের মুগ্ধ করেন। পরে রাষ্ট্রদূত ইমরান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দূতাবাস আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এই গৌরবোজ্জ্বল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম অংশ নেন।
রাত ১২ টা ০১ মিনিটে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ‘প্রভাত ফেরি’ বের করার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন, তথ্যচিত্র প্রর্দশন এবং বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার (ইকনোমিক) ড. মো. ফজলে রাব্বি, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি অহিদুজ্জামান নূর।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি, ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট এবং ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া শুরু
‘চিন-রাখাইনের চলমান সংঘাতের গতিপ্রকৃতি বুঝতে হবে বাংলাদেশকে’
এক আলোচনায় বক্তারা বলেন, চিন ও রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের গতিপ্রকৃতি বাংলাদেশকে বুঝতে হবে। তারা উল্লেখ করেন, ভারত, চীন ও বিশ্বের অন্যান্য শক্তিশালী দেশগুলোর জন্যও রাখাইন গুরুত্বপূর্ণ।
বিআইপিএসএসের প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) এ এন এম মনিরুজ্জামান বলেন, 'মিয়ানমারের সার্বিক উন্নয়ন পরিস্থিতি বা সংঘাতময় পরিস্থিতি আমাদের বিশেষ করে রাখাইন ও চিনকে গুরুত্ব দিয়ে বুঝতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার দ্য ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস) আয়োজিত 'মিয়ানমার কি উন্মোচিত হচ্ছে? বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের জন্য প্রভা ‘ শিরোনোমে এ গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
মিয়ানমারের জটিল সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামো বিশ্লেষণ এবং দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া মূল্যায়নের জন্য এই আয়োজনে অংশ নেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব শান্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন : প্রধানমন্ত্রী
স্বাগত বক্তব্যে বিপসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাফকাত মুনির রোহিঙ্গা সংকটের বাইরেও মিয়ানমারের গতিপ্রকৃতি বোঝার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মুনিরুজ্জামান গত অক্টোবরে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের উত্থানের মাধ্যমে এই অঞ্চলে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ভূমিকা এবং চলমান অভ্যন্তরীণ কোন্দলের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।
মুনিরুজ্জামান বলেন, রাখাইন শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, চীন, ভারত ও বিশ্বের অন্যান্য বড় শক্তির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘চীনের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ কিয়াউকফিউতে তাদের একটি গভীর সমুদ্রবন্দর রয়েছে যা চীনের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের জন্য রয়েছে কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট, যার জন্য সীমান্তবর্তী রাজ্য চিন ও রাখাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
প্যানেল আলোচক সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন, মিয়ানমারের সাবেক ডিফেন্স অ্যাটাশে ও লিবিয়ায় সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মো. শহীদুল হক এবং ইউল্যাবের সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের (সি-এসএএস) পরিচালক ও 'দ্য ইস্টার্ন গেট' বইয়ের লেখক সুদীপ চক্রবর্তী তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
তৌহিদ হোসেন পরিস্থিতিকে একটি ক্রমবর্ধমান গৃহযুদ্ধ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যেখানে সশস্ত্র বিদ্রোহ ও বেসামরিক বিরোধিতা উভয়ের মুখোমুখি তাতমাদাও।
তিনি বলেন, 'এই প্রথম বামনরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিয়েছে।’
ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবগুলো নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। এই অঞ্চলে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পরিকল্পনাগুলো উল্লেখ করেছিলেন এবং সংঘাতের সংস্থান নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃতির উপর জোর দেন তিনি।
বাংলাদেশের জন্য সম্পদ নিয়ন্ত্রণ ও রোহিঙ্গা ইস্যুর কৌশলগত গুরুত্বের ওপরও জোর দেন হোসেন।
মেজর জেনারেল শহীদুল হক তার প্রারম্ভিক বক্তব্যে মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের সংঘাতের বিপরীত প্রকৃতি নিয়ে একটি বিস্তৃত বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, কিছু অনুমানের কারণে মিয়ানমার বিচ্ছিন্ন হবে না। তিনি এমন একটি দৃশ্যকল্পের কল্পনা করেছিলেন যেখানে তাতমাদাও শেষ পর্যন্ত ইএওগুলোর সঙ্গে পুনরায় আলোচনা করবে, মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে সংঘাতের অনন্য মাত্রা বোঝার গুরুত্বের উপর জোর দেবে।
হকের মতে, পূর্ব সীমান্তে লড়াইয়ের গতিশীলতা পশ্চিম সীমান্তের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে পৃথক, প্রতিটি অঞ্চল স্থিতিশীলতার জন্য নিজস্ব চ্যালেঞ্জ এবং প্রভাব উপস্থাপন করে।
তিনি বলেন, একটি অঞ্চলে বিপর্যয় সামগ্রিকভাবে মিয়ানমারের জন্য সর্বনাশ নয়।
তিনি আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল খোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
যে আরাকান আর্মির সঙ্গে জড়িত হওয়া ভারতের জন্য একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হতে পারে বলেও পরামর্শ দেন, বিশেষত কালাদান প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে।
আরও পড়ুন: রমজানে কোনো পণ্যের ঘাটতি হবে না: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মেজর জেনারেল হক একটি প্রকল্পকে মৃত ঘোষণা করেন, যা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের উপর আঞ্চলিক গতিশীলতার প্রভাব এবং কৌশলগত যোগাযোগ ও জোটের গুরুত্বকে চিত্রিত করে।
সুদীপ চক্রবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী পাইপলাইনের মাধ্যমে দেশের জ্বালানি খাতে চীনের কৌশলগত বিনিয়োগের দিকে মনোনিবেশ করে মিয়ানমারের গভীর ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরেন।
তিনি এই জ্বালানি রুটগুলো সুরক্ষিত করতে মিয়ানমারের জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক লালন করার চীনের দীর্ঘদিনের অনুশীলনের উপর জোর দেন।
বিপরীতে, তাতমাদাওয়ের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পরিবর্তিত গতিশীলতার বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ার জন্য সমালোচিত হয়েছে।
চক্রবর্তী মিয়ানমারের অস্থিতিশীলতার বৃহত্তর প্রভাবের কথাও উল্লেখ করেছেন, যার মধ্যে সংঘাত ও অস্ত্রশস্ত্র প্রতিবেশী দেশগুলো, বিশেষত বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও রয়েছে।
চক্রবর্তীর বিশ্লেষণে মিয়ানমারের চলমান অস্থিরতা এবং এর আঞ্চলিক প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেশী দেশগুলো, বিশেষ করে বাংলাদেশকে কৌশলগত পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।
অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নগুলো জ্বালানি নিরাপত্তা, আসিয়ানের কূটনৈতিক সম্ভাবনা এবং মিয়ানমারের প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির রূপরেখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেয়।
কথোপকথনে মিয়ানমারের কোনো জাতিগোষ্ঠীর নৌ সক্ষমতা না থাকার তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা হয়, যা ওই অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য ও নিরাপত্তার গতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
অধিকন্তু, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ হলেও আলোচনায় এতটাই প্রাধান্য পেয়েছে যে তা আসিয়ানের সঙ্গে সম্পৃক্ততাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলে ঐকমত্য হয়েছে।
এই সংকটে আসিয়ানকে আরও বড় ভূমিকা পালন করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
শ্রোতারা আসিয়ানের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের সম্ভাবনাও তুলে ধরেন।
ইন্টারেক্টিভ সেশনে আঞ্চলিক রাজনীতির জটিলতা নিরসনে বাংলাদেশের একটি সক্রিয় ও উদ্ভাবনী কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করার অপরিহার্যতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
পারস্পরিক স্বার্থ চিহ্নিতকরণ এবং তার সঙ্গে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ তার কৌশলগত অবস্থান উন্নত করতে পারে এবং আরও নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।
আলোচনা শেষে মেজর জেনারেল মুনিরুজ্জামান পরিকল্পিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানান এবং জটিল গতিশীলতার গভীরে গিয়ে বিশ্লেষণের জন্য প্যানেলিস্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানটি কেবল কঠোর বিশ্লেষণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্মই নয় বরং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত আলোচনাকে সমৃদ্ধ করতে বিআইপিএসএসের অবদান তুলে ধরে।
বিআইপিএসএস জানায়, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কে বৃহত্তর বোঝাপড়ায় অবদান রেখে এ ধরনের জটিল আলোচনা জোরদার করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন