বাংলাদেশ
কোকা-কোলা বাংলাদেশকে কিনে নিল তুরস্কের কোকা-কোলা আইসেক
দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে উপস্থিতি জোরদারে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যে কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডকে (সিসিবিবি) অধিগ্রহণের চুক্তি সই করেছে তুরস্কের কোকা-কোলা ইসেক (সিসিআই)।
সিসিআইয়ের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থা সিসিআই ইন্টারন্যাশনাল হল্যান্ড বিভি (সিসিআইএইচবিভি) এবং কোকা-কোলা কোম্পানির (টিসিসিসি) একটি সহায়ক সংস্থার মধ্যে শেয়ার ক্রয় চুক্তি (এসপিএ) সই হয়।
আরও পড়ুন: সেমস-গ্লোবালের আয়োজনে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী চলছে
চুক্তিটি সিসিবিবির শতভাগ শেয়ার অধিগ্রহণের রূপরেখা দেয়, সিসিআইএইচবিভি প্রাথমিক সরাসরি শেয়ারহোল্ডার হিসাবে আবির্ভূত হয়।
সিসিবিবি বাংলাদেশে কোকা-কোলা কোম্পানির অধীনে ঝকঝকে এবং স্টিল উভয় ব্র্যান্ডের উৎপাদন, বিক্রয় এবং বিপণনের অন্যতম প্রধান পরিচালনাকারী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চুক্তির শর্তানুযায়ী, সিসিআই ১৩০ মিলিয়ন ডলারের এন্টারপ্রাইজ মূল্য থেকে সমাপ্তির তারিখ হিসাবে সিসিবিবির আনুমানিক নিট আর্থিক ঋণ বিয়োগ করে নির্ধারিত ইক্যুইটি ভ্যালুতে (ইক্যুইটি ভ্যালু) সিসিবিবির সম্পূর্ণ শেয়ারহোল্ডিং অর্জন করতে চলেছে।
সমাপ্তির তারিখ হিসাবে সিসিবিবির সুনির্দিষ্ট নেট আর্থিক ঋণের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য একটি বিস্তৃত সমাপনী নিরীক্ষণের পরে একটি পরবর্তী সমাপনী মূল্য সমন্বয় প্রক্রিয়া কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড খেতাব জিতল দারাজ
অধিগ্রহণটি সিসিআইএইচবিভির বিদ্যমান নগদ সংস্থানগুলোর মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং এটি সিসিআইয়ের নেট লিভারেজের উপর একটি পরিমিত প্রভাব ফেলবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এই কৌশলগত পদক্ষেপটি কেবল সিসিআইয়ের বিশ্বব্যাপী প্রভাবকে প্রসারিত করে না বরং উদীয়মান বাজারগুলোতে বৃদ্ধির সুযোগগুলোকে পুঁজি করার প্রতিশ্রুতিকেও জোরালো করে। অধিগ্রহণটি নিয়ন্ত্রক অনুমোদন এবং প্রথাগত বন্ধের শর্ত সাপেক্ষে এবং ভারতীয় উপমহাদেশের পানীয় শিল্পে একটি প্রধান পরিচালনাকারী হিসাবে সিসিআইয়ের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সিসিআইয়ের সিইও করিম ইয়াহি বলেন,‘আমরা সিসিবিবি অধিগ্রহণের জন্য শেয়ার ক্রয় চুক্তি সই করতে পেরে খুবই আনন্দিত, যা আমরা ভবিষ্যতের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনার সঙ্গে বাজারে প্রবেশের একটি দুর্দান্ত সুযোগ হিসাবে দেখি। এর মাধ্যমে সিসিআইয়ের মূল ক্ষমতা স্থাপন করে বৃদ্ধি এবং মান উৎপন্ন করা যেতে পারে। এই অধিগ্রহণটি সিসিআইয়ের জন্য আরও বৈচিত্র্যময় ভৌগলিক গুরুত্ব তৈরি করে এবং টিসিসিসির সঙ্গে এর প্রান্তিককরণকে দৃঢ় করে।
আরও পড়ুন: কোকাকোলা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নয়: হাইকোর্ট
বাংলাদেশ ধূমপানমুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করুক: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, বাংলাদেশ ধূমপানমুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করুক।
তিনি বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে যে পরিমাণ কাজ করা হয়েছে এই কাজের ফসল হিসেবে ট্রেনে এখন ধূমপান কম হয়। ধূমপান আরও কমানো দরকার। আমাদের সুযোগ আছে এক্ষেত্রে কাজ করার।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রেল ভবনের সভা কক্ষে ধুমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে সম্মাননা পদক-২০২৩ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পুরো দেশ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে: রেলপথমন্ত্রী
তিনি বলেন, ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ালে ট্রেনে ধূমপানের পরিমাণ কমে যাবে। রেলে বিপুল পরিমাণ যাত্রী যাতায়াত করে। এখানে অল্প জায়গায় অনেক লোক ভ্রমণ করে। ভ্রমণের সময় ধূমপান করলে জনগণের মধ্যে এর ক্ষতির প্রভাবটা বৃদ্ধি পাবে। তাই ট্রেনকে ধূমপান মুক্ত রাখা জরুরি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েকে ধূমপানমুক্ত করার জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, এই ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
রেলমন্ত্রী বলেন, সাধারণ জনগণ এখন অনেক সচেতন। মানুষের মধ্যে ধূমপানের পরিমাণ কমে গেছে বলে আমার মনে হয়। এখন ধূমপানে ঝুঁকে পড়ছে শিক্ষিত লেখাপড়া জানা যুবকরা। তাদের সচেতন করা জরুরি।
আরও পড়ুন: রেলের উন্নয়নে আরব আমিরাতের সহযোগিতা চান রেলপথমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েকে ধূমপানমুক্ত করার জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, প্রকল্পটি যথাযথভাবে হয়েছে বলে আমি মনে করি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে সচেতন করতে পারলে মানুষ যদি আন্তরিক হয়, তাহলে ক্ষতি কমবে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের মধ্যে যদি এর ক্ষতিকারক প্রভাব নিয়ে প্রচার করে তাদেরকে সচেতন করা যায় তাহলে সাধারণ মানুষ অনেক জটিল রোগ থেকে বেঁচে যাবে, বিশেষ করে ক্যান্সার ও যক্ষ্মা সহ বিভিন্ন ধরণের রোগ।
আরও পড়ুন: রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠাল বাংলাদেশ
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জন মিয়ানমারের নাগরিককে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে জাহাজে তোলা সম্পন্ন শেষে মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেয় তাদের জাহাজ।
এর মধ্যে ৩০২ জন বিজিপির সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুইজন সেনাসদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার জবাবদিহি নিশ্চিত করুন: ফরটিফাই রাইটস
এদিকে, বৃহস্পতিবার হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনী জেটিঘাট থেকে তাদের জাহাজে তোলা শুরু করে। জেটি ঘাট থেকে প্রথমে বাংলাদেশের জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে তোলা হয়। সেই জাহাজে করে গভীর সমুদ্রে অবস্থানকারী মিয়ানমারের জাহাজে তোলা হয়। তার আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তায় বান্দরবান ঘুমধুম সীমান্ত ও কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা সীমান্তে আশ্রয়ে থাকা ৩৩০ জনকে ৬টি বাসে করে ইনানীস্থ নৌ বাহিনীর জেটিঘাটে আনা হয়।
হস্তান্তর শেষে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রতিককালে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জন মিয়ানমারের নাগরিককে বিজিপির কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। বাংলাদেশ মানবিক সেটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। অতিসম্প্রতি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এই সংঘর্ষের প্রভাব বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তেও এসে পড়ে।
সীমান্তে বিজিবির টহল ও জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা বাহিনীকে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল
তিনি আরও বলেন, সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে বিজিবি সীমান্তের পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে। বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি যাই হোক, সীমান্ত দিয়ে আর একজন মিয়ানমারের নাগরিককেও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
সীমান্তে স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে।
বাংলাদেশের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিজিবি মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম।
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুলিশ কর্নেল মায়ো থুরা নাউংয়ের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ৫ সদস্য বিশিষ্ট বিজিপি প্রতিনিধিদল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের ৩৩০ সদস্যের হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে
আ.লীগ ছাড়া সবাই বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বন্ধ করতে চায়: সিপিডি
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট থেকে বেরিয়ে আসতে চায় বলে একটি বিশ্লেষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন মিলনায়তনে 'বাংলাদেশে জ্বালানি রূপান্তরের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা: একটি নাগরিক ইশতেহার' শীর্ষক সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি আমদানিতে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বাংলাদেশের: সিপিডি
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঘোষিত আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কমানোর বিষয়টি রাখা হয়নি।
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদান, বিদ্যমান জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক জ্বালানি ব্যবস্থার অতি আধিপত্যের অবসান, জ্বালানি মিশ্রণ ও বহুমুখীকরণ এবং বিদ্যুৎ আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে তা অনুপস্থিত।
সেমিনারে বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর শাকিল জয়, বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বুয়েটের কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধ্যাপক ও ডিন এবং প্রধান উপদেষ্টার সাবেক বিশেষ সহকারী ড. এম তামিম; সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ (সিইআর), ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী; কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্কের (ক্লিন)প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী ; অ্যাকশনএইডের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ; ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ)লিড এনার্জি অ্যানালিস্ট শফিকুল আলম।
বক্তারা বলেন, সরকারকে অবশ্যই বিদ্যুৎ ও প্রাথমিক জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। অন্যথায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত অব্যাহত লোকসান থেকে মুক্তি পাবে না।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল বলেন, দেশের শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য অর্জনই আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
তিনি বলেন, ‘জনগণের দাবি বিদ্যুৎ পাওয়া। তারা আর বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা করতে চায় না এবং উৎপাদন খরচ দেখতে চায় না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
তিনি আরও বলেন, কিছু ভুল থাকতে পারে, তবে আমরা সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে প্রধান বাধা হচ্ছে দেশে জমির স্বল্পতা।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে সামগ্রিক দৃষ্টিতে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার রাতারাতি বিদ্যুৎ রূপান্তরের জন্য তার পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে পারে না।
ড. তামিম বলেন, সরকার দিনের বেলা সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে সহজেই তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ করতে পারে, তবে এ জাতীয় কোনও পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিকল্পনার আওতায় আগামী ২০ বছর ১০ হাজার মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু থাকবে।
শফিকুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানির ফলে দেশে ডলারের ঘাটতি বাড়ছে। আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে আমাদের দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে বলেও জানান তিনি।
অ্যাকশনএইডের আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বেসরকারি উৎপাদকদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ৫২ হাজার কোটি টাকা, ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু মালয়েশিয়া: পলক
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ভ্রাতৃপ্রতীম দুইটি দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক তুলে ধরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় ডাকভবনের দপ্তরে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার হাজনা মো. হাসিম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চবি সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার কৃষ্টি, সংস্কৃতি প্রায় অভিন্ন হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ বৈদেশিক কর্মক্ষেত্র হিসেবে মালয়েশিয়ায় অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের দিকনির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন পলক।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির এই সুযোগ কাজে লাগাতে মালয়েশিয়া ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের জন্য মালয়েশিয়া অত্যন্ত গর্বিত।
এর আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ডাকভবনে ডাক অধিদপ্তরে ডাকঘরের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট স্থাপন বিষয়ক আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মার্ট ডাকঘর নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।
পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তর ও মধুমতি ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীরা ‘কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল’: পলক
বাংলাদেশে নারী জাগরণ ঘটেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংরক্ষিত আসনের জন্য জাতীয় সংসদে প্রত্যাশী ১ হাজার ৫৫০ জনেরও বেশি নারীর প্রবেশ প্রমাণ করে বাংলাদেশে নারী জাগরণ ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন দেখি মাত্র ৪৮টি সংরক্ষিত আসনের জন্য ১ হাজার ৫৫৩ জন নারী আশাবাদী, তখন আমরা এই উপসংহারে আসতে পারি যে বাংলাদেশে নারীর জাগরণ ঘটেছে।’
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নারীদের সঙ্গে এক সভায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নারীরা এখন প্রতিটি সেক্টরে সফলভাবে কাজ করছে এবং তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান রুগ্ণ শিল্পের মালিকরা
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যেখানেই নারীদের পাঠাই, তারা সবাই সফলভাবে কাজ করে… আমাদের নারীরা তাদের যোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছে।’
খেলাধুলাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নারীদের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নারীদের জন্য নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কোনো যুক্তি নেই।’
তিনি বলেন, এটা অযৌক্তিক যে নারীরা খেলাধুলা, ব্যবসা ও চাকরিতে যোগ দিতে পারবে না। কারণ একজন নারী (খাদিজা) প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিবি খাদিজা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন এবং তিনি ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্য হযরত মুহাম্মদকে (সা.) তার সমস্ত অর্থ ও সম্পদ দিয়ে সহায়তা করেছিলেন।
ইসলাম নারীকে এমনকি হিজড়া সম্প্রদায়কেও যথেষ্ট অধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নারীদেরকে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আমরা খুবই সচেতন। আজ গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো নারীই পিছিয়ে নেই।’
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও বেশি সংখ্যক নারী সরাসরি ভোটের মাধ্যমে এগিয়ে আসবে।
জাতীয় সংসদে ৩৫০টি আসন রয়েছে, যার মধ্যে ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসায় বাংলাদেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে।’
আরও পড়ুন: জননিরাপত্তা নিশ্চিতে অপচেষ্টা প্রতিহত করুন: প্রধানমন্ত্রী
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন দেশ সামরিক শাসনের অধীনে নিমজ্জিত ছিল।
দেশের মানুষকে তার অন্যতম শক্তি হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সব সময় গ্রামীণ উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, তিনি অসংখ্য গ্রাম পরিদর্শন করেছেন এবং জনগণকে খাদ্য উৎপাদন ছাড়া এক ইঞ্চি আবাদি জমিও ফেলে না রাখতে উৎসাহিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি সবাইকে অনুরোধ করেছি যেভাবেই হোক খাদ্য উৎপাদনে সম্পৃক্ত হতে।’
তিনি আরও বলেন, অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ।
তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে অনেক সাহায্য করেছে ভারত। সেসময় প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয়ও দিয়েছে দেশটি।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তিনি এবং তার বোন শেখ রেহানা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বিমসটেক মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান।
তিনি বিমসটেকের সঙ্গে বাংলাদেশের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিমসটেকের চমৎকার সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্ব দিন: একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রীর ভিশন এবং স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সপ্তম শীর্ষ সম্মেলনের সময় বিমসটেক নেতাদের উদ্বোধনের লক্ষ্যে আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রস্তাবিত বিমসটেক সচিবালয় ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।
প্রতিটি সেক্টরের জন্য একটি শীর্ষস্থানীয় দেশ সহ সাতটি খাতে নামিয়ে আনাসহ বিমসটেকের অধীনে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো পুনর্গঠন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বিমসটেক সহযোগিতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত এবং বাংলাদেশ এ খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের পর বাংলাদেশ যখন সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে তখন পরবর্তী বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন ফোরামের কার্যক্রম আরও জোরদার করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক প্রক্রিয়াকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যেহেতু নতুন মহাসচিব ও সভাপতিত্বে থাকবে দুটি অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ- ভারত ও বাংলাদেশ এবং সচিবালয়ের আনুষ্ঠানিকতা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
৬ষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের পর এই গ্রুপের সভাপতিত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ বিমসটেক প্রক্রিয়ায় আরও দায়িত্ব গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের সমুদ্র-স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নেপাল বাংলাদেশের সমুদ্র ও দুইটি স্থলবন্দর (বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী) ব্যবহার করতে চায় বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমাদের একটা মিটিং হবে, সেখানে এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপালের সঙ্গে আমাদের অনেক এনগেজমেন্ট আছে। নেপালের প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশে লেখাপড়া করছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের ব্যাপারে নেপালের খুব আগ্রহ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নেপাল ভূমি বেষ্টিত একটি দেশ। তারা মূলত মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে চায়। এছাড়া তারা বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দরও ব্যবহার করতে আগ্রহী। বন্দর ব্যবহার করে তারা পণ্য আনা-নেওয়া করতে চায়।
এসব ব্যাপারে তিনি কথা বলেছেন এবং সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত ব্যক্তিগতভাবে বন্দরগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিনি চান যাতে দ্রুত এগুলো হয়। আমরাও এটি বাস্তবায়নের গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে এটি নিয়ে কথা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম শেখ মুজিবুর রহমান: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী যখন দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি একটি বিষয় উত্থাপন করেছেন যে, আমরা কীভাবে ভারতের ২৩ কিলোমিটার ভূমি ব্যবহার করে নেপালের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে পারি। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমাদের একটা বৈঠক হবে, সেখানে এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপাল এখন ফুলবাড়ী পর্যন্ত আসতে পারে। কিন্তু আমাদেরগুলো যেতে পারে না। এ সংকট নিরসনে আমরা তিন দেশ মিলে কাজ করছি। এটা তারা চায়, আমরাও সেটা চাই। এটা হলে বহির্বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বেশি মসৃণ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
সব ফরম্যাটে বাংলাদেশের অধিনায়ক হলেন শান্ত
সব ফরম্যাটে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন বাঁহাতি ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত।
সোমবার এই বছরের বোর্ডের প্রথম সভা শেষে বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
পাপন বলেন, 'নাজমুল হোসেন শান্তকে সব ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ বছর টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।’
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৪: সাকিবের পারফরম্যান্সে পঞ্চম জয় পেল রংপুর
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে সাকিবের অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এরপরই এরকম সিদ্ধান্ত এল বিসিবির পক্ষ থেকে।
টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে শান্তর নিয়োগ বিস্ময়কর হতে পারে, কারণ এই ফরম্যাটে সাকিব বাংলাদেশের হয়ে নিয়মিত ছিলেন। তবে বেশ কিছু কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন নাজমুল হাসান।
বিসিবি সভাপতির ব্যাখ্যা, 'সাকিব তার দৃষ্টিশক্তি নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন। শ্রীলংকার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ এবং বিশ্বকাপের কথা ভেবে আমরা অনুভব করেছি যে নতুন অধিনায়ক নিয়োগ এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই পরিবর্তন বিশ্বকাপের নির্বিঘ্ন প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিসিবি সভাপতি।
সাকিবের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে নিজের নেতৃত্বের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন শান্ত। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় অধিনায়ক হিসেবে আরও দীর্ঘ সময় কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৪: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে উড়িয়ে দিল রংপুর রাইডার্স
বাংলাদেশের হয়ে ছয়টি ওয়ানডে, তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং দুটি টেস্টে তিনটি জয় নিয়ে একটি সফল অধিনায়কত্বের রেকর্ড রয়েছে শান্তর ঝুলিতে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক হিসেবেও নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন তিনি।
সহঅধিনায়কের পদ এখনো ফাঁকা রয়েছে। এই পদে বেশ কয়েকটি নাম বিবেচনাধীন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি। টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটের জন্য বাংলাদেশের আলাদা সহঅধিনায়ক থাকতে পারে।
পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে শান্তর প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হতে যাচ্ছে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট। সিলেট ও চট্টগ্রামের দুটি ভেন্যুতে হবে এই সিরিজ।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৪: টাইগারদের বিপক্ষে স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরল স্ট্রাইকার্স
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় রয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিচ্ছে বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যদি না হতো তাহলে আমরা সুলতানগঞ্জে আসতে পারতাম না।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ও ভারত অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রমণ ও বাণিজ্য প্রটোকলের (পিআইডব্লিউটিটি) আওতায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জে ‘সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল’ এবং ‘সুলতানগঞ্জ-মায়া’ নৌপথে নৌযান যাত্রার উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাল্কহেড ধাক্কা দেওয়ায় ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
এরপর সুলতানগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আতঙ্কে থাকত। উন্নয়নের চাকা ৭৫ এর মতো উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দিতে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অর্থবহ, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণে শেখ হাসিনার হাত আরও শক্তিশালী হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামী দিনে দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ হাসিনার ডাইনামিক নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা নির্মিত হয়েছে।
তিনি অরও বলেন, ‘কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ এ নীতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় চলে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। সৌদিআরবসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে সরাসরি চলবে জাহাজ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য একটি মহল তৎপর ছিল। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় চলে গেছে।