রেললাইন
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্কে আরেকটি মাইলফলক বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নবনির্মিত কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে এক অনুষ্ঠানে ট্রেন চলাচলের জন্য নতুন রেলপথ (চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার) উন্মোচনের করায় দক্ষিণাঞ্চল উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী পতাকা উড়িয়ে ট্রেনেরে যাত্রা শুরু করেন এবং কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামু রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত যাত্রা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ কক্সবাজার রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। আমি রেললাইন উদ্বোধনের মাধ্যমে আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। এটি এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সেই দাবি আজ পূরণ হয়েছে। আজ গর্ব অনুভবের দিন।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যরা তাকে স্বাগত জানান এবং স্থানীয় শিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
অনুষ্ঠানে রেললাইন প্রকল্পের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
নতুন এই রেললাইনের ফলে চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যন্ত দ্রুত ও নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত হবে।
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের প্রথম রেলপথের সংযোগ স্থাপনে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুমে ৯টি স্টেশন রয়েছে।
এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটার-ভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক থাকছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ফাস্ট ট্র্যাক মেগা রেলওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়।
নতুন রেললাইনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম আগামী মাসে শুরু হবে।
ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে (টিএআর) নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে এটি মিয়ানমার এবং এর বাইরেও যোগাযোগ উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
রেললাইনটি চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, রামু ও উখিয়া উপজেলাসহ ৮টি উপজেলা অতিক্রম করবে।
লাইনটি দোহাজারী গ্রাম থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ দিকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলবে। প্রথম ২৯ কিলোমিটার অংশ চট্টগ্রাম জেলার সমতল, উন্মুক্ত ভূমিজুড়ে এবং পরবর্তী ৩৩ কিলোমিটার কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার কৃষিজমি ও বনভূমির মধ্য দিয়ে যাবে।
প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে রেললাইনটি মিয়ানমার সীমান্তের পাশাপাশি মাতারবাড়ী দ্বীপে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। সম্প্রসারিত অংশে দু’টি স্টেশন থাকবে- উখিয়া ও ঘুমধুম।
এতে থাকবে ৯টি কম্পিউটারভিত্তিক ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম ও ৯টি ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম।
সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪৩টি ছোট সেতু, ২০১টি কালভার্ট, সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া এলাকায় একটি ফ্লাইওভার, ১৪৪ টি লেভেল ক্রসিং এবং রামু ও কক্সবাজার এলাকায় দু’টি মহাসড়ক ক্রসিং।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন করবেন। এর মাধ্যমে দেশের পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন হবে।
প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য নতুন রেলপথের (চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত) উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: ১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামু রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত একটি ট্রেনেরও উদ্বোধন করবেন।
নতুন এই রেললাইনের ফলে চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যন্ত দ্রুত ও নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত হবে।
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের পথে প্রথম পরিদর্শন ট্রেন
১০২ কিলোমিটার এই রেলপথে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও গুমদুমে নয়টি স্টেশন রয়েছে।
কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনটি ঝিনুকের আকৃতিতে নির্মিত হওয়ায় এটি একটি আইকনিক স্টেশন। এতে পাওয়া যাবে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।
এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটারভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক রয়েছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল শেখ হাসিনা তার সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
খুলনা-মোংলা রেললাইন উদ্বোধন ১ নভেম্বর
বুধবার (১ নভেম্বর) থেকে চালু হচ্ছে খুলনা-মোংলা রেলপথ। বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি ট্রেন চলাচলের জন্য রেললাইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।
এর আগে সোমবার (৩০ অক্টোবর) খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত নির্মিত নতুন রেললাইনে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করবে। এদিন দুপুরের পর ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত যাবে একটি ট্রেন।
খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসাইন মাসুম বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খুলনা-মোংলা রেললাইন এখন পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হয়েছে। সোমবার দুপুরের পর ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত একটি ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে। কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
আরও পড়ুন: খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্প: মেয়াদ বাড়ছে ৬ মাস
তিনি আরও জানান, আগামী ১ নভেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি আনুষ্ঠানিকভাবে এই রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল হক জানান, রবিবার মোটর ট্রলিতে করে মাইকিং করে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচলের বিষয়টি রেল লাইনের ২ পাশের এলাকাবাসীকে অবহিত করা হয়। যাতে লোকজন সচেতন হতে পারে এবং দুর্ঘটনা না ঘটে।
প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। ওই রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার। এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: খুলনা-মোংলা রেললাইন ডিসেম্বরে উদ্বোধন
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ঠেঙ্গামারা রেলগেট সংলগ্ন ২২৯নং পিলারের কাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির বয়স ৪০ বছর হতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
এলাকাবাসীরা জানান, সকালে উপজেলার ঠেঙ্গামারা রেলগেট সংলগ্ন ২২৯নং পিলারের কাছে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন মালঞ্চি রেল স্টেশনের ইনচার্জ মোস্তাক আহমেদকে জানান।
আরও পড়ুন: সিলেটে কুশিয়ারা অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
পরে তিনি সান্তাহার জিআরপি থানাকে অবহিত করলে তারা এসে লাশটি উদ্ধার করে।
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা স্টেশন ইনচার্জের।
সান্তাহার জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তার হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গাছে বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো যুবকের লাশ উদ্ধার
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর
ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের আগে চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন করছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দোহাজারী স্টেশন থেকে মোটর ট্রলিতে করে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে প্রাণঘাতী এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে: ভারতের রেলমন্ত্রী
এর আগে তিনি কালুরঘাট রেলসেতু মেরামতের কাজ পরিদর্শন করেন। পরে সাংবাদিকদের কালুরঘাট সেতু মেরামত কাজের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী।
আগামী ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, মূলত কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিতেই মন্ত্রীর এই সফর। উদ্বোধন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে মন্ত্রী দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা দেবেন এবং কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের কাজ দেখবেন।
রেল পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রী রেললাইন পরিদর্শন করছেন। কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন বসানোর কাজ শেষ এবং ট্রেন চলাচলের উপযোগী অবস্থায় রয়েছে।’
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।
শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন: আট মাস পর ১ আগস্ট থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী
ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী
কুড়িগ্রামে রেললাইনের পাশে মিলল নবজাতকের লাশ
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার টগরাইহাট এলাকায় কুড়িগ্রাম-রংপুর রেললাইনের পাশ থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) সকালের দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে কে বা কারা লাশটি রেললাইনের পাশে রেখে গেছে তা জানা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে রেললাইনের পাশে একটি নবজাতকের লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
ধারণা করা হচ্ছে, নবজাতকটি ছয় খেকে সাত মাস বয়সী।
ওই এলাকার রবিউল ইসলাম রবি নামে একজন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। মনে হচ্ছে গর্ভপাত করে বাচ্চাটিকে এখানে রেখে গেছে। আর বাচ্চাটি মেয়ে বাচ্চা। বাচ্চাটি ফুটফুটে সুন্দর, দেখে খুবই মায়া লেগেছে।
রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হীল জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নবজাতকটির বয়স ছয় থেকে সাত মাস হতে পারে। এছাড়া নবজাতকটিকে কেউ হয়তো রাতের আধারে এখানে রেখে গেছে। লাশটি রেললাইনে থাকার কারণে আইনগত বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশ দেখবেন।
আরও পড়ুন: করিমগঞ্জে রাস্তার পাশ থেকে ২ নবজাতকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে কুকুরের মুখ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার!
চট্টগ্রামে রেললাইনের পাশে টায়ারের গুদামে আগুন
চট্টগ্রাম মহানগরীতে রেললাইনের পাশে একটি টায়ারের গোডাউনে আগুন লেগেছে। শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১টার দিকে নগরীর দেওয়ানহাটে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: সরকার আগুন নিয়ে খেলছে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুড়িয়ে দিচ্ছে: ফখরুল
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, দেওয়ানহাটে একটি টায়ারের গোডাউনে আগুন লাগার খবর পেয়ে নগরীর বিভিন্ন স্টেশন থেকে ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়েছেন।
এদিকে, রেললাইনের পাশে ওই গোডাউনে আগুন লাগায় সারা দেশের সঙ্গে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার জাফর আলম জানান, আগুনের কারণে ঢাকা থেকে আসা সোনার বাংলা ট্রেন স্টেশনে ঢুকতে পারেনি।
এছাড়া মার্শাল ইয়ার্ড থেকে আসা বিজয় ও মহানগর এক্সপ্রেসও আটকা পড়েছে। আগুন নেভানো হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
আরও পড়ুন: কোনাবাড়ীর ঝুট গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ঢাকার ওয়ারীতে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
যারা রেললাইনে আগুন দিয়েছে তারা বহিরাগত: রাবির ভিসি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, যারা রেললাইনে আগুন দিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়, বহিরাগত।
ঘটনার একদিন পর সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক সাত্তার এ কথা বলেন।
ভিসি বলেন, ‘আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থামাতে বোঝানোর চেষ্টা করেছি এবং সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছি। কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরির সময় শিক্ষার্থীদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে।
অধ্যাপক গোলাম সাব্বির জানান যে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
ভিসি বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের গুলি করতে বলেনি।’
ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে রবিবার রাতে একদল যুবক রেললাইনে আগুন ধরিয়ে দেয়ায় রাজশাহী ও ঢাকার মধ্যে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সুপার আব্দুল করিম জানান, এদিন রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের কাছে শিক্ষার্থীরা রেললাইনে আগুন দেয়।
শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন নগরীর বিনোদপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং এতে অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
শনিবার স্থানীয়রা ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে এবং ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় দফা দাবি নিয়ে স্লোগান দেন, বিচারের দাবি জানান।
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় ও পুলিশের হামলার বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাসে সব শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিত করা এবং আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এসব দাবির মধ্যে ছিল।
আরও পড়ুন: ‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাসের সিট নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে নৈশপ্রহরীর মৃত্যু
সীতাকুণ্ডে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাঁটা পড়ে এক নৈশপ্রহরী নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ফৌজদারহাট এলাকায় রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সালাউদ্দিন (৫৫) ফৌজদারহাট এলাকার মৃত লেদুর ছেলে এবং ‘সীমা স্টিল’- নামক একটি রড তৈরি কারখানার নৈশপ্রহরী।
আরও পড়ুন: কঙ্গোতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, কারখানা থেকে রাতের ডিউটি শেষে সকালে রেললাইন দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন সালাউদ্দিন। এসময় চট্টগ্রাম থেকে আপলাইন দিয়ে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ফৌজদারহাট এলাকায় অতিক্রমকালে ট্রেনে কাঁটা পড়েন তিনি। এসময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এই বিষয়ে ফৌজদার হাট জিআরপি পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান আলী বলেন, ছলিমপুর ইউনিয়নের ফৌজদারহাট এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে আপলাইন দিয়ে ছেড়ে আসা একটি ট্রেনে কাটা পড়ে সালাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই লাশটি এলাকাবাসী নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
সিলেটে অটোরিকশা চালকের লাথিতে ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু!
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন এ বছরই চালু হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের কাজ পুরোদমে চলছে। চলতি বছরে ডিসেম্বরের মধ্যেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে রেল যোগাযোগ চালু হবে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার জন্য তারা কাজ করছেন। ‘আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব। আর কোনো কারণে জুনে কাজ শেষ না হলে আরও এক থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে। তারপরও আমরা এ বছরের মধ্যেই ট্রেনে করে কক্সবাজার যেতে পারব।'
মন্ত্রী বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার প্রকল্পের ৮০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকি ২০ শতাংশ এই সময়ের মধ্যে শেষ হবে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নতুন রেললাইনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে যাত্রা 'আনন্দদায়ক ও আরামদায়ক' হবে।
এছাড়া এতে কক্সবাজারের পর্যটনসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে সহজে কক্সবাজারে আসবেন পর্যটকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। তেমনি সহজভাবে দেশের সব প্রান্তে যাবেন কক্সবাজারবাসীও। সহজ হবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আনা-নেয়া। এতে বাড়বে কক্সবাজারে পর্যটক স্রোত। 'ভ্রমণকারীরা খুব সহজেই প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ পাবেন,' বলেও জানান বলেন।
প্রকল্প অনুযায়ী সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাঁও, রামু ও কক্সবাজার সদরসহ ১০০ কিলোমিটার রেলপথে মোট আটটি স্টেশন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সব যানবাহনে ভাড়া বাড়লেও ট্রেনের ভাড়া বাড়েনি: রেলমন্ত্রী
পর্যবেক্ষকদের মতে, রেলপথ সচল হলে সবদিক দিয়ে ঘুরে যাবে কক্সবাজার অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির চাকা।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার ১০০ কিলোমিটার রেলপথের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প থেকে জানা যায়, ১০০ কিলোমিটার রেলপথে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদরসহ স্টেশন থাকছে আটটি। এজন্য সাঙ্গু, মাতামুহুরি ও বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে তিনটি বড় সেতু।
এছাড়া রেলপথে তৈরি হয়েছে ৪৩টি ছোট সেতু, ২০১টি কালভার্ট ও ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং। সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া এলাকায় তৈরি হচ্ছে একটি ফ্লাইওভার, রামু ও কক্সবাজার এলাকায় দুটি হাইওয়ে ক্রসিং। হাতি ও অন্য বন্যপ্রাণীর চলাচলে ৫০ মিটারের একটি ওভারপাস ও তিনটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ১০০ কিলোমিটার রেললাইনে এরইমধ্যে ৫০ কিলোমিটারের বেশি এখন দৃশ্যমান। বেশির ভাগ ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ শেষ হয়েছে। যেগুলো বাকি আছে সেগুলো আগামী কয়েক মাসেই শেষ হবে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ আছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। তবে, আমরা চেষ্টা করছি ২০২৩ সালের জুন-অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ করতে। সেইসঙ্গে রেলস্টেশনগুলোর নির্মাণকাজও চলমান আছে।
আরও পড়ুন: চিলাহাটি-মঙ্গলা রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে জুনে: রেলমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, কক্সবাজার সদর থেকে সাত কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। স্টেশনটিকে সৈকতের ঝিনুকের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। স্টেশন ভবনটির আয়তন এক লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলা ভবনটির বিভিন্ন অংশে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলমান আছে। নির্মাণাধীন আইকনিক ভবন ঘেঁষে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ মিটার প্রস্থের তিনটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হচ্ছে। এর পাশেই রেলওয়ের আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে আটটি ভবনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ক্যান্টিন, লকার, গাড়ি পার্কিং ইত্যাদির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। পর্যটকরা স্টেশনের লকারে লাগেজ রেখে সারাদিন সমুদ্রসৈকতে বা দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে পারবেন। এই স্টেশন দিয়ে দিনে ৪৬ হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী