মাদক মামলা
মাদক মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর ফলে মামলার আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলার বিচার শুরু হলো। বৃহস্পতিবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম আসামির অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন করেন।
সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনের পৃথক দুই মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টের বাসায় অভিযান চালিয়ে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, বিদেশি মদ এবং প্রায় ১০টি দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা (৯ লাখ টাকা সমমূল্যের) জব্দ করা হয়। তার বাসা থেকে আট কেজি স্বর্ণ ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকাও জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে ৭ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার বিজিবির
এদিন আসামি গোল্ডেন মনিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়।
এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী তাকে নির্দোষ দাবি করে মামলা দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির অব্যাহতির খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এ ঘটনার পরদিন ওই বছরের ২২ নভেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা করে র্যাব।
আরও পড়ুন:মাদক ব্যবসা: ঢাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত ১
আসামিদের স্বীকারোক্তি: কক্সবাজারে নারী ও মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয় পর্যটকদের
বাড়ির পেছনে গাঁজা চাষ, মাদক মামলায় কারাগারে চাষি
কুষ্টিয়ায় কুমারখালী উপজেলায় ১০ ফুট দীর্ঘ ২৫ কেজি ওজনের একটি গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ মনোহারপুর গ্রামের নওগাঁ পাড়ায় অভিযান চালিয়ে এটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় উজ্জল হোসেন (৪৩) নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। তিনি একই গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাঁজার গাছসহ যুবক আটক
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, বসত বাড়ির পেছনে কৌশলে গাঁজার চাষ করছিলেন রাজমিস্ত্রি উজ্জল হোসেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে গাছটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ২০০ গাঁজার গাছ জব্দ, আ‘লীগ নেতা আটক
পরে মঙ্গলবার সকালে তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয় এবং দুপরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বেগুন খেতের আড়ালে গাঁজা চাষ!
নাটোরে মাদক ও অস্ত্র মামলায় ২ জনের কারাদণ্ড
নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদক মামলার একজনকে যাবজ্জীবন ও অস্ত্র মামলার একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার মহিশালবাড়ি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে কলিমুদ্দিন (২৫) ও মশিউর রহমান (৩৭)। এদের মধ্যে কলিমুদ্দিনকে যাবজ্জীবন এবং মশিউরকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া রায়ের সময় মশিউর আদালতে উপস্থিত থাকলেও কলিমুদ্দিন পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড
সরকারি কৌসুলি সিরাজুল ইসলাম জানান,২০১৫ সালের ২০ আক্টোবর বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান এলাকায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ কলিমুদ্দিনকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এদিকে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার লক্ষ্মীকোল এলাকার মশিউর রহমানের বাড়ি থেকে গুলিসহ সুটারগান উদ্ধারের পর পুলিশ পরে তাকে আটক করা হয়।
খুলনায় মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
খুলনায় মাদক মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আর তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া একই মামলার অন্য একটি ধারায় তাকে খালাস দেয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আব্দুর রহমান চর রূপসা বাগমারা এলাকার বাসিন্দা আব্দুর লুৎফর শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদক মামলায় ২ আসামির কারাদণ্ড
খুলনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালত (ভারপ্রাপ্ত) বিচারক তাসনিম জোহরা এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি রাতে র্যাবের একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন, রূপসা উপজেলার জাবুসা মোড়ের জৈনক আব্দুল গনির দোকানের সামনে নেভীব্লু রংয়ের একটি ব্যাগ নিয়ে অজ্ঞাত একব্যক্তি ঘোরফেরা করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তারা সেখানে অভিযান চালালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি সেখান থেকে পালাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে তার ব্যাগ তল্লাশি করে ৩২ বোতল ফেনসিডিল, হুস্কি এবং ভারতীয় মদ উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর মৃত্যুদণ্ড
এই ঘটনায় ওই দিন রাতে র্যাবের ডিএডি মো. নুর ই আলম বাদী হয়ে মাদক আইনের দুইটি ধারায় আব্দুর রহমানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি রূপসা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এম এ করিম তাকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সিলেটে মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
সিলেটে মাদক মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালত এর বিচারক মিজানুর রহমান ভুঁইয়া এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বিলাল আহমদ ইমন জকিগঞ্জ উপজেলার দিঘলীগ্রাম এলাকার উত্তরকূল গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ২টার দিকে এস আই (উপপরিদর্শক) মনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জকিগঞ্জের আটগ্রাম বাসস্ট্যান্ড থেকে বিলাল আহমদ ইমনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ৩৯ বোতল ভারতীয় অবৈধ ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।এ ঘটনায় এস আই মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ইমনকে একমাত্র আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
এ মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার সিলেট জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালত এর বিচারক মিজানুর রহমান ভুঁইয়া আসামি বিলাল আহমদ ইমনকে অবৈধ মাদক বহন ও বাজারজাত করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এ মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড.শিশির কুমার রায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ও দায়রা ও জজ ৩য় আদালত এর এপিপি এডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, সরকার মাদকের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে মাদক মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে দুদক
ক্যাসিনো কাণ্ডে বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।
মঙ্গলবার (১৭ মে) এর ওপর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দের বেঞ্চে শুনানি হবে।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট, মুক্তিতে বাধা নেই
এর আগে ১১ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় তিন শর্তে জামিন পান সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ জামিন মঞ্জুর করেন।
শর্তগুলো হলো- আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না সম্রাট, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার প্রতিবেদন আগামী ধার্য তারিখে জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য,২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও অর্থ পাচারের দুই মামলা এবং একটি মাদক মামলাও হয়।
মোট চার মামলায় জামিন পেয়ে গত ১১ মে কারামুক্ত হয়েছেন সম্রাট।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন সম্রাট
কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মো. শামীম (৩৫)জেলার বাজিতপুর উপজেলার মধ্যভাগলপুর গ্রামের মৃত কালা চাঁন মিয়ার ছেলে।
সে বাজিতপুর থানার একটি মাদক মামলার বিচারাধীন আসামি হিসেবে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলা কারাগারে আসে।
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক (তত্ত্বাবধায়ক) ডা. মো. হেলাল উদ্দিন জানান, হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেন। পরে পৌনে পাঁচটায় মো. শামীম নামের ওই হাজতিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসকরা আরও জানান, স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শামীমের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতালে হাজতির মৃত্যু
কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মো. নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাজতি মো. শামীম কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিল। শনিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ পড়লে দ্রুত তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে ভোররাতে তার মৃত্যু হয়।
হাজতির মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের লোকজনদের জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
চট্টগ্রামে মাদক মামলায় ২ আসামির কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে মাদক মামলায় দুইজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কক্সবাজারে টেকনাফ থানার শাহপরীর দ্বীপ বাজার পাড়ার সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে জাফর আহম্মেদ (৫০) ও একই এলাকার মিস্ত্রিপাড়ার মৃত মো.হাসেমের ছেলে মো. শফিক (৩৭)।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর মৃত্যুদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর নগরের খুলশী থানার জাকির হোসেন সড়কের গরীব উল্লাহ শাহ (র.) মাজারের প্রবেশমুখ থেকে দুই জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তৎকালীন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রোর কোতোয়ালি সার্কেলের পরিদর্শক ইব্রাহিম খান বাদী হয়ে খুলশী থানায় মামলা করেন। ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। উক্ত মামলায় মোট চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, মাদক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত জাফর আহম্মেদ ও মো. শফিক দুই আসামি জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন।
মাদক মামলায় হাইকোর্টে জি কে শামীমের জামিন আবেদন
অস্ত্র-মানি লন্ডারিং এবং দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার বিতর্কিত ঠিকাদার ও যুবলীগ নেতা জি কে শামীম মাদক মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। সোমবার (১১ এপ্রিল) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতেয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার এ আবেদনের শুনানি মুলতবি রাখেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোট চারটি মামলা হয়।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন সম্রাট
অস্ত্র মামলায় দেয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, জি কে শামীম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক এবং জুয়ার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার সহযোগিরা উচ্চ বেতনভোগী দুষ্কর্মের সহযোগী। তারা অস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে এসব অস্ত্রশস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করেছেন। এর মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। আসামি শামীম অস্ত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদক ব্যবসা ও মানি লন্ডারিং করে আসছিলেন।
২০২০ সালের ২১ অক্টোবর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় শামীমের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৯ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে করা মাদক মামলার কার্যক্রম স্থগিত
মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন সম্রাট
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে সোমবার স্থায়ী জামিন দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীর জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার ৭ নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার একটি অস্ত্র মামলা ও মানি লন্ডারিং মামলায় জামিন পান সম্রাট।
তবে সম্রাটের আইনজীবী বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় জামিন না পাওয়ায় সম্রাট জেল থেকে বের হতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট
গত বছরের ২৪ নভেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সম্রাট।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া জব্দ করা হয়।
চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়।
৭ অক্টোবর র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে একমাত্র আসামি করা হয়। মাদক মামলায় সম্রাট ও আরমানকে আসামি করা হয়। এরপর সম্রাটের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও দুদক মামলা করে।
২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক।
২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের এসআই রাশেদুর রহমান।
আরও পড়ুন: সম্রাট কেন জেলে? পাঁচ তারা জেল চাই!