মাদক মামলা
মাদক মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে পরীমণি
রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় বিচারিক আদালতের অভিযোগ (চার্জ) গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি।
রবিবার (৩০ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ক ধারা অনুযায়ী আবেদনটি করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার।
চার্জ শুনানিকালে তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রার্থনা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করেন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয় এবং তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, তারা দোষী না নির্দোষ। এসময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। এরপর আদালত চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: মা হচ্ছেন পরীমণি
উল্লেখ্য, গত বছর ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তার নামে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়। মামলায় পরীমণির ৫ আগস্ট চারদিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর ১৯ আগস্ট আরও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন তিনি কারামুক্ত হন।
গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমণিসহ তিনজনের নামে ঢাকা মুখ্য বিচারিক হাকিম (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। গত ১৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন। ১৪ ডিসেম্বর চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-১০ এ বদলির আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় পরীমণিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৫ জানুয়ারি
মাদক মামলায় খুলনায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
খুলনায় মাদক মামলায় দুই যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রবিবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম আশিকুর রহমান এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- যশোর জেলার বাগ আচড়া এলাকার সুজন কবীর (২৭) ও একই এলাকার আজিজুল ইসলাম (২৮)। বর্তমানে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ধর্ষণ মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন, স্ত্রীর ৭ বছরের কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে ২১ মে রাতে খানজাহান আলী থানার সিটি টোল প্লাজার সামনে দিয়ে দ্রুতগতির একটি গাড়ি চেকপোস্ট অতিক্রম করছিল। এই সময় পুলিশের বাধার মুখে গাড়িটি থামানো হয়। তাদের আচরণ সন্দেহজনক হলে গাড়ি তল্লাশির একপর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ার পাশে বিশেষভাবে তৈরি করা বাক্সের মধ্য থেকে ২৩২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কলেজছাত্রী হত্যা মামলায় শ্বশুড় শাশুড়িসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৩
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে খানজাহান আলী থানা পুলিশের শহর উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) মো. খায়রুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৭ আগস্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব কান্তি দাস ওই দু’জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। রবিবার মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়।
মাদক মামলায় পরীমণিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় অভিনেত্রী পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম এ অভিযোগ গঠন করেন এবং মামলার বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
এছাড়া আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ মামলার সাক্ষাগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এ সময় পরীমণি ও মামলার অপর দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুই আসামি হলেন-আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
এর আগে ২ জানুয়ারি, একই আদালত এই মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে কি না তা নিয়ে যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পিছিয়েছে আদালত
মামলায় পরীমণিসহ দু’জন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
গত বছরের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত বছরের ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকালে পরীমণি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় জামিন পেলেন পরীমণি
এরপর র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই মামলায় পরীমণিকে আদালতে হাজির করা হলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড ও পরে আরও দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমণি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।
২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করা পরীমণি এ পর্যন্ত ৩০টি চলচ্চিত্র ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমণিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
নড়াইলে পৃথক মাদক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে পৃথক দু’টি মাদক মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন।
এর মধ্যে যশোরের চৌগাছা থানার হুদাপাড়ার জুয়েল রানা ও কারিগরপাড়ার জহুরুল ইসলামকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে তারা দু’জন পলাতক আছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ নভেম্বর সকালে নড়াইল-যশোর সড়কের চাঁচড়া এলাকায় ইঞ্জিনচালিত করিমন গাড়িতে থাকা জুয়েল রানা ও জহুরুলের কাছ থেকে ২০২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দু’জনের নামে নড়াইল সদর থানায় মামলা হয়।
আরও পড়ুন: কলেজছাত্রী হত্যা মামলায় শ্বশুড় শাশুড়িসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৩
অন্যদিকে, রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত যশোরের কোতোয়ালি থানার খোজারহাট দক্ষিণপাড়ার কার্তিক দেবনাথকে (৪৫) সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ছাড়াও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। টাকা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
২০১৩ সালের ১১ অক্টোবর নড়াইল-যশোর সড়কের আবাদ এলাকায় ইঞ্জিনচালিত আলমসাধু গাড়িতে থাকা কার্তিক দেবনাথের কাছ থেকে ৫২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার নামে নড়াইল সদর থানায় মামলা হয়।
সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আলাদা দু’টি মাদক মামলায় এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
মাদক মামলায় পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পিছিয়েছে আদালত
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় অভিনেত্রী পরীমণিসহ দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পিছিয়ে দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
অভিযোগ গঠনের পর মামলার বিচার শুরু হতে পারে। মামলায় পরীমণিসহ তিন আসামিই বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
অভিনেত্রীর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ-১৯ আদালতের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম আগামী বছরের ২ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
মঙ্গলবার সকালে আদালতে যাওয়ার পথে পরীমণি অসুস্থ হয়ে পড়ায় আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি আদালতের কাছে আরও কিছু সময় চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা: পরীমণির আবেদন নাকচ, অভিযোগপত্র গ্রহণ
পরীমণি আদালতে উপস্থিত না থাকলেও মামলার অপর দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন বিচারকের সামনে হাজির হন।
১৫ নভেম্বর, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা অভিযোগ আমলে নেন এবং অভিযোগ গঠনের জন্য ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ৪ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির পরিদর্শক এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী মোস্তফা কামাল।
এর আগে গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরদিন তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত
শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সমীর অপসারিত
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানের বিরুদ্ধে মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে অপসারণ করা হয়েছে। জামিন পেয়ে মুম্বাইয়ের একটি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার এক সপ্তাহ পর শুক্রবার ফেডারেল মাদকবিরোধী সংস্থা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) এই শীর্ষ কর্মকর্তাকে এ মামলা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, এই ‘হাই-প্রোফাইল মামলা’ নিষ্পত্তি করার জন্য এক প্রত্যক্ষদর্শীর মাধ্যমে শাহরুখের কাছে ৮ কোটি রুপি ঘুষ দাবি করার অভিযোগে এনসিবি জোনাল ডিরেক্টর সমীরকে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা সঞ্জয় সিংয়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্ত দল এখন সমীরের কাছ থেকে ক্রুজ-অন-ড্রাগ মামলাটি হাতে নিয়েছে।
মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর আরিয়ানকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর মুম্বাইয়ের হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে ৩০ অক্টোবর মুম্বাইয়ের উচ্চ-নিরাপত্তাযুক্ত আর্থার রোড কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। ৮ অক্টোবর থেকে আরিয়ান বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন। মুম্বাইয়ের হাইকোর্ট ২৩ বছর বয়সী আরিয়ান ও তার দুই বন্ধু আরবাজ বণিক ও মুমুন ধামেচার শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন।
মুম্বাই হাইকোর্টের দ্বারা তালিকাভুক্ত ১৪টি শর্তের মধ্যে রয়েছে যে আরিয়ান, আরবাজ এবং মুমুন দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না এবং মাদক মামলায় কোনও সাক্ষীকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারবেন না। তাদের পাসপোর্টও আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
আরিয়ানকে বিশেষ করে, প্রতি শুক্রবার ফেডারেল মাদক বিরোধী সংস্থার মুম্বাই অফিসে যেতে এবং যখনই প্রয়োজন হয় তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে তার জামিন বাতিল হতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে ৩ অক্টোবর মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনের অভিযোগে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে আটক করে ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)।
আরও পড়ুন: পুরাতন বান্টি-বাবলি জুটিকে টপকাতে আসছে বান্টি অর বাবলি-২
পুনিথ রাজকুমার: কান্নাড়া চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতার পরোপকারী ক্ষণস্থায়ী জীবন
মুক্তি পেয়ে কী বার্তা দিলেন পরীমণি
পরীমণি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন এটি খুব ভালো কথা, সবার পাওয়া উচিত। যারা তার সাথে জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে তাদেরও পাওয়া উচিত। তিনি বের হলেন বিজয়ীর বেশে, মাথায় পাগড়ি, হাস্যমুখে। খুব সুন্দর লাগছিল তাকে। মুক্তি পাওয়ার পর উৎসুক জনতার উদ্দেশ্যে উৎফুল্ল পরীমণি হাত উঁচিয়ে অভিনন্দন গ্রহণ করছিলেন। এই সময় অনেকেরই চোখ ছিল তার হাতের দিকে। তার হাতে লেখা ছিল, ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’।
এ লেখা দেখে পরিমণি আর তার উপদেষ্টাদের বুদ্ধি নিয়ে আমার সন্দেহ জাগছে। একটু বোঝা উচিত ছিল এতে অনেকেই ক্ষুণ্ন হতে পারেন। বিশেষ করে যাদের কারণে তিনি জেলে ছিলেন। তারা ক্ষমতার দ্বন্দ্বে হেরে গিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন, এটা যদি কেউ ভেবে থাকেন তবে তার জন্য বিপদ আছে।
‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ কথাটি একটি গান থেকে নেয়া এবং এটি হয়তো তার প্রিয় গান হতে পারে। গানটিতে মূলত রাগ ও ঘৃণা প্রকাশ করার জন্য গালিগালাজ করা হয়েছে। তবে যথেষ্ট উত্তেজক ভাষায় লেখা এই গান আজকের দিনে তাকে প্রিয় করে তুলবে না অনেকের কাছে! বিষয়টা বোঝা কঠিন নয়, যদিও বোঝা যায় যে এই বিজয়কে সে নিজের ব্যক্তিগত বিজয় মনে করছে। এটি যে মধ্যবিত্ত শ্রেণির এক ধরণের লড়াই ছিল ‘ক্লাব’ শ্রেণির বিরুদ্ধে সেটা তার মাথায় ঢুকেনি। কিন্তু কেউ ভুলবে না যে ‘ক্লাব’ শ্রেণি কত ক্ষমতাবান এবং চাইলে তারা পরীমণিকে আরও বহুদিন আটকে রাখতে পারতো। এরকম বহু কেস আছে। করেনি, কারণ একে নিয়ে তারা আর সময় নষ্ট করতে চায় না।
আরও যুদ্ধ আছে। যারা তার বিপক্ষে তারা এখনও সমান ক্ষমতাবান। পরীমণি বোট ক্লাবের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভেবেছিল ‘জিতেছি’। কিন্তু তার সূত্র ধরে বাড়িতে রেইড, জেল, রিমান্ড ইত্যাদি। তারা ক্ষমতা রাখে, সে রাখে না। পুলিশের বাড়াবাড়ি তার বড় উপকারে এসেছে, কিন্তু খেলা শেষ হয়নি। মামলা ডিসমিস হয়নি। হাতে ওই কথা লিখে বিজয় নিশান না উড়িয়ে তিনি চলে গেলেই পারতেন। তার বোঝা উচিত, এক মাঘে ক্ষমতাহীনদের শীত যায় না। এই মেয়ে বোকা, কার সাথে লড়তে হয় এবং কীভাবে লড়তে হয় জানে না।
আফসান চৌধুরী: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: পরীমণি আর পাবলিকের জামিন হলো, অন্যদের কী হবে
পরীমণি: পাবলিক মনে মনে জামিন দিয়ে দিয়েছে
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
পরীমণিকে কি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে?
পরীমণি আর পাবলিকের জামিন হলো, অন্যদের কী হবে
শেষ পর্যন্ত সবুরে ফল পাওয়া গেলো। পরীমণির জামিন হলো কোর্ট থেকে। এরকম গড়িমসি কম দেখা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে পাবলিকের চাপ বাড়ছিল। সাথে সাথে সুশীল সমাজ ও মিডিয়া বুঝে গিয়েছিল যে এটি একটি ইস্যু। তাই জামিন না দেয়ায় খামোখা কথা হচ্ছিল। পরীমণি বিনা কারণে ‘হিরো’ হয়ে যাচ্ছিল। আর তাতে অসুবিধা না হলেও একটি অস্বস্তি তৈরি হচ্ছিল। এখন অন্য বিষয় নিয়ে সবার আলাপ করার সুযোগ হবে।
এটি ভাবার কোনো কারণ নেই যে পরীমণির ব্যাপারে সরকারে ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু আম জনতা একটু একটু ক্ষুব্ধ হচ্ছিল। কারণ এত লোকের এত বড় বড় অপরাধে জামিন হয় কিন্তু এই কেসে কেন নয়? এখন এত কথা হবে না।
তবে পরীমণির বোঝা উচিত যে যাদের সাথে তার ওঠাবসা, তাদের সাথে লাগতে যাওয়া বোকামি। আর পাবলিকের স্মৃতি খুব দুর্বল, আপনাকে ভুলতে বেশি টাইম লাগবে না। সবাই খুশি তার ছাড়া পাওয়াতে কারণ আফটার অল নারী, মানুষের এমনিতেই মনটা একটু নরম থাকে যদি সে নিজে অত্যাচারী না হয়।
অন্যদের জামিন নেই
ঠিক যেই মুহূর্তে পরীমণি জামিন পাচ্ছেন ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের কথাও মনে রাখবেন যারা তার সাথে বিভিন্ন কাজে জড়িত ছিলেন। তারা কিন্তু ভেতরেই আছেন। পাবলিক তাদের কথা ভুলে গেছে, তাদের জামিনের কোন দাবি ওঠেনি। জামিন পেতেও একটু কপাল লাগে, অনুসারী লাগে, আরও কত কিছু। এই সব মামলায় যারা ভেতরে তারা সবাই যেন জামিন পায়, তারপর যেন বিচার হয়।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: পরীমণি: পাবলিক মনে মনে জামিন দিয়ে দিয়েছে
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
পরীমণিকে কি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে?
পরীমণি: পাবলিক মনে মনে জামিন দিয়ে দিয়েছে
আগামীকালের অপেক্ষায় অনেকে। আর পছন্দ হোক আর নাই হোক বেশিরভাগ মানুষ চায় পরীমণি জামিন পাক। এখন আর তার অপরাধ বিষয় নয়। তার রিমান্ড, হাজতবাস ইত্যাদি মিলিয়ে এমন এক আবহ সৃষ্টি হয়েছে যে পাবলিকের চোখে সে এক ধরণের ভুক্তভোগী। তারা মনে করে যে তার ওপর 'অন্যায়’ করা হচ্ছে। মানুষের মন এমনই। পাবলিক কারও কষ্ট দেখলে বিশেষ করে পুলিশের হাতে সিম্প্যাথেটিক হয়ে যায়।
২. এর সাথে আছে আরও বিভিন্ন অপরাধ ও গ্রেপ্তার নিয়ে পাবলিকের ভাবনা। বড় বড় আসামি জেলের ভেতর থাকে আরামে, বিরাট বাটপার সহজেই দেশ ছাড়ে আর প্রতিদিনিই কেউ না কেউ মাফ বা অব্যাহতি পেয়ে যায় ওই অপরাধের অভিযোগ থেকে।
সময়টাও খারাপ, কারণ ইদানিং ‘বিশাল’ কয়েকজনকে ছাড় দেয়া হয়েছে। পাবলিক তাই বলছে, তাদের অপরাধের তুলনায় পরীমণি কি করেছে? এতো কেন? কিন্তু যেহেতু পাবলিকের কোনো ক্ষমতা বা প্রভাব নেই, তাই সে মনে মনে ‘জামিন’ দিয়ে দিয়েছে। আর কি করার আছে তাদের?
৩. বোট ক্লাবের ঘটনা থেকেই সব সূত্রপাত। যাদের সে ‘ক্ষতি’ করেছে , যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে তারা ব্যক্তিগতভাবে নয় গোষ্ঠীগতভাবে আঘাত পেয়েছে, অপমান বোধ করেছে। তাই রাগটা অনেক বড়, পাল্টা আঘাত আরও বড়। পুলিশ এরই মধ্যে ইঙ্গিত করেছে যে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগের ভিত্তি নেই, অতএব ঝালটা আরও বেশি তো হবেই। তার দাম চুকাতে হচ্ছে পরীমণিকে।
৪. পরিমণির জীবন-যাপন বাংলাদেশের বড়লোকদের ওপরতলার মানুষের মতোই, যেখানে নেশা, ‘অনৈতিক আচরণ’, ক্লাব আর রিসোর্ট কেন্দ্রিক জীবন বহমান। কিন্তু পরীমণি মিডল ক্লাস বড়োজোর, তার রুজি বা জীবন চলে বড়লোকের সাথে মেলা মেশায়, হিসাবের ভুল এখানে। সে উপরতলার নয়। একসাথে মদ খেলে সব মদ খোর এক হয় না, সবার সাথে লাগা যায় না। যার যে শ্রেণি সেটাই ঠিকানা। হেলেনা জাহাঙ্গীর তার ভালো উদাহরণ। পরীমিণির বিরুদ্ধে লেগেও, বোট ক্লাবের সদস্য হয়েও সে একই ধরণের মামলায় জেলেই। কারণ সে উপরতলার নয়।
৫. পাবলিক এতো কিছু বোঝে না, পরীমণির জন্য তাদের মধ্যে ‘আহা বেচারি’ বোধ কাজ করছে সবচেয়ে বেশি। সে কি হয়েছিল ভুলে গেছে, এখন রিমান্ড আর জেল দেখে দুঃখিত। তাই কি আর করবে, মনের জামিনটা দিয়েছে আদালতের জন্য অপেক্ষা না করে। তারা এইটুকুই পারে।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন শুনানির তারিখ এগিয়েছে
পরীমণির জামিন শুনানি দ্রুত করার বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় বাস সুপারভাইজারের মৃত্যুদণ্ড
হেরোইন সেবন ও বহন করা করার অপরাধে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই মামলায় অন্য তিনজনকে খালাস দেয়া হয়।
মঙ্গলবার সকালে আদালতের বিচারক দীলিপ কুমার ভৌমিক এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পারভেজ বগুড়া জেলার বাসিন্দা ও বাসের সুপারভাইজার।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সাইফুল ইসলাম প্রিন্স জানান, বাসের সুপারভাইজার পারভেজসহ আফাজ উদ্দিন, দুদু মিয়া ও সাইদুর রহমান মিলে হিলি থেকে থেকে ধুসর বর্ণের ৪৫০ গ্রাম হেরোইনসহ অবৈধ মাদক দ্রব্য নিয়ে ঘোড়াঘাট হয়ে বগুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে র্যাব ১৩ সদস্যরা মিনিবাসে তল্লাশি চালিয়ে পারভেজের কাছে থেকে ধুসর বর্ণের হেরোইন উদ্ধার করে। পরে মিনিবাসসহ ওই চারজনকে আটক করা হয়।
আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে পারভেজের অপরাধ প্রমাণিত হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ও অপর আসামিদের খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে জোড়া খুনের মামলায় ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
২০১৮ সালের ১ নভেম্বর র্যাব ১৩ ক্যাম্পের ডিএডি জাহিদ হোসেন বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন সাক্ষ্য প্রমাণের পর মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করা হয়।